নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে কিছু জানার আগে পৃথিবী সম্পর্কে জানুন,আমাকে জেনে নিতে পারবেন। আমি এ পৃথিবীরই ক্ষুদ্র উপাদান!

ইগোযুক্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ়

অতি সাধারণ অথচ ভীষণ রকমের আত্মহংকারী।।

ইগোযুক্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ় › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিজয় দিবস" এবং আমাদের উদযাপনের নমুনা!!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

অনেকদিন যাবৎ লিখিনা।।
লেখার উপলক্ষ যে ছিলোনা তা নয়।উপলক্ষ ছিলো কিন্তু ছিলোনা সময়।গত ক'দিন ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়েছিল কিছু কারণে বাধ্য হয়েই।
পড়া-লেখার হালকা চাপ,থিয়েটার, জব কিংবা অডিশন সবই এসেছিল দলবেঁধেই...

তবে আজ লিখবো....
লিখবো বিজয়ের কথা...স্বাধীনতার কথা!!

কেউ রাগ করলেও আমি কিছু মনে করবো
না। কারন, এই দেশকে আমি ভালবাসি।
সেটা আমার ভিতরেই থাকুক, আমি কোন
দুই দিনের বৈরাগী না যে ভাতকে 'অন্ন'
বলে ভাব নিতে যাবো। খুবই সাধারণ
একটা ছেলে আমি তবে, লোক দেখান
কোন কিছু আমি পছন্দ করি না।
একদিনের স্বদেশ প্রীতি দেখতে দেখতে
আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে।

আজ আমাদের "বিজয় দিবস"।গতকাল রাতেও গিয়েছিলাম সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।বলা যায় মানুষের ঢল নেমেছিল ঐসময়।।
ঘন্টা দুয়েক আগে থেকেই জিন্দাবাজার পয়েন্ট পর্যন্ত "দেশপ্রেমী"(!!) জনতার ভীড় সৃষ্টি হয়!!
তবে আমার মত একা একা আশা লোকের সংখ্যা ডায়নাসোরের মতই নগণ্য।।
হ্যাঁ,যারা এসেছিল তারা প্রায় প্রত্যেকে এসেছিল আলাদা আলাদা জোট হয়ে বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংঘটনের হয়ে প্লেকার্ড পুস্পস্তবক এবং ব্যানার নিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে।।
১২:০৫ মিনিটে যখন মূল ফটক খুলে দেয়া হলো তখন একপ্রকার হুড়োহুড়ির মধ্য দিয়েই সবাই ঢুকলো।।
শুরু হলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন....
কিন্তু এ কি??
সংঘটনের হয়ে ফুল দিচ্ছেন সবাই দলবেঁধে, আর তা মানুষ জানবেনা?? একটা ছবি তো তুলতেই হবে.. o.O হ্যাঁ,পিছনে এক প্রকার জনস্রোত উপেক্ষা করেই ছবি তুলছেন কিংবা সেল্ফি!! :3
ছবি তোলা শেষ তারপরেও যাচ্ছেন না!!
কিন্তু কেন??
এখানে দাঁড়িয়েই ছবি/সেল্ফি গুলা ফেবুতে আপলোড করবে কি না??
নাহ,তেমন কিছু না।।
তবে যা হয়েছে তা আমার কাছে অভাবনীয় ছিল ঐ মুহূর্ত পর্যন্ত!!
জ্বী হ্যাঁ,ঊনারা মুভ করছিলেননা একারণে যে,উনারা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন অথচ শহীদ মিনারের "মাইকে" এখনো উনাদের সংঘটনের নাম বলা হয়নি!!
এতো টাকার ফুল/ব্যানার,কনকনে শীত কিংবা বউয়ের বকুনি(!) যে উসুল হবেনা যদি মাইকে নিজেদের সংঘটনের নাম না শুনা যায়!!
মাইকে নাম শুনা গেলো... অত:পর "টক-মিষ্টি" ফ্লেভারের আনন্দ নিয়ে সবাই একসাথে যাচ্ছেন।।
কিন্তু এ কি??
...লট্টো-এপেক্স কিংবা বাটা'র সব জুতো পরেই"শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা" শহীদ বেদীর উপর দিয়ে যাচ্ছেন!!
তখন মাইকে থাকা শ্রদ্ধেয় "রজত দা" বিরক্ত হয়েই বলতে থাকেন "জুতো পায়ে দিয়ে দয়াকরে ঊঠবেন না"!!
কিন্তু কে কার কথা শুনে!!!
এটাই আমাদের বিজয় দিবস উদযাপনের প্রথম প্রহরের নমুনা!! :-D

এবার শুনুন সকালের কথা....
প্রথম প্রহরেই যারা "বেবি ডল" কিংবা "আজ ফির
তুমপে" শুনছিলো তারাই সকালে স্টেটাস দেয়
লিসেনিং "আমার সোনার বাংলা"।

জাতি হিসেবে আমরা দেশপ্রেমী.
..তবে ইদানিং আমাদের দেশপ্রেম হয়ে যাচ্ছে "একটা দিন" কেন্দ্রিক।

শাহবাগ চত্বরে গিয়ে গাঁজা খেয়ে দেশ নিয়ে
চিৎকার করলেই অথবা শহীদ মিনারে ফুল
দিয়ে একদিনের জন্য সোনার বাংলাকে
মনে করাই যদি দেশপ্রমিক হওয়ার
লাইসেন্স হয়, ফ্রাঙ্কলি স্পিকিং "আই
এ্যাম নট গোইং টু গিভ এ্যা সিঙ্গেল ফাক
টু দ্যাট ফাকিং শিট্।"

আমার কাছে স্বাধীনতা হল, মা/বোন/বউ/
প্রেমিকাকে নিয়ে মুক্ত ভাবে ঘুরতে
পারা। কৃষকের ঠোঁটে সেই শান্তির হাঁসি,
দিনমজুরের সারা দিনের শ্রম, রাস্তার
টোকাই বাচ্চা মানুষটার মুখের হাঁসি,
মায়ের হাতে ভাত খাওয়া। আমার
দেশকে নিয়ে কেউ কিছু বললে তার
বারোটা বাজানো, দেশের মানুষের মনের
শান্তিই হল স্বাধীনতা। যে দেশের মানুষ
এখনো ঠিক মত তিন বেলা খেতে পারে
না, যেখানে কোন সাংবাদিক সত্যকে
প্রচার করতে পারে না, ব্লগারদের ভয়ে
ভয়ে থাকা লাগে, সে দেশকে আমি
স্বাধীন বলতে পারবো না। স্বাধীনতা হল
সত্য বলার/করার অধিকার।

.. স্বাধীনতাকে সবসময় মনে ধারন করা উচিত, সরকারী দু-একটা দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ রেখে
স্টেটাস দাচুনো আর ভূতেদের মুখে রাম
নাম শুনা একই ব্যাপার...

ইউ অ্যল হ্যাভ টু বুঝতে হবে দিস ফ্যাক্ট!!
ধন্যবাদ..

#রুহেল_D_Egoist

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত ব্যস্ত? না লিখলেই ভালো হতো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.