নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবর্তনটা নিজ থেকেই শুরু করতে হবে!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

কেউ ধর্ষিত এবং টিজের শিকার হলে পর্দা/ পোশাকের প্রশ্ন আসে কেন আগে...?

ধর্মে যদি মেয়েদের পর্দার কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে তো চোখের পর্দা আর মনের পর্দার কথাও বলা হয়েছে---? তা না করে সবাই পোশাক নিয়ে টানাটানি করে কেন ? তার মানে এই নয় যে আমি নগ্নতায় বিশ্বাসী আর হিজাবের বিরোধী -।। হিজাব বা বোরখা পরিধান করা ছাড়াও অনেক মেয়ে শালীন ভাবে চলাফেরা করে আর যারা করে না তারা ঐসব কুত্তার জাতের মত কুত্তীর জাত!

জরিপ করলে দেখা যাবে যে--এইসব নগ্ন বা অর্ধনগ্ন পোশাক পড়া মেয়েরা না , শালীন ভাবে যারা চলাফেরা করে এমন সব মেয়েরাই বেশিরভাগ সময় ধর্ষণ বা টিজের শিকার হয়!

যাদের চোখের লজ্জা নেই, মন যাদের লালসায় ভরপুর তারাই তো এ ধরনের জঘন্য কাজ করে এবং তাদের মতই এক শ্রেণী ধর্ষিতা কেন ধর্ষিত হলো তার কারন খুঁজে ...!

পরিবর্তনটা নিজ থেকেই শুরু করতে হবে!কেউ নগ্ন হয়ে চললেই কি তার দিকে তাকিয়ে লুল ঝরাতে হবে?কেউ খারাপ হলেই কি তাকে দেখে আমাকেও খারাপ হতে হবে?লাইক-

তুমি দেখাচ্ছ আমি দেখবো না কেন? তুমি খারাপ, তাই দেখে আমিও খারাপ হবো না কেন? এই ধরনের মানসিকতা নিয়ে যারা চলে সমাজের পরিবর্তন কিংবা ভাল কিছু তাদের কাছ থেকে আশা করা যায় না...!

আসলে পরিবর্তন নিজ থেকেই শুরু করতে হবে , এবং অবশ্যই সেটা মন থেকে হতে হবে, তাহলে হয়ত একদিন সমাজ থেকে অনেক খারাপ কিছু দূর হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

খাটাস বলেছেন: চোখের পর্দা কে নারীর পর্দা প্রভাবিত করে। তবে এই প্রভাব টা তাদের মাঝেই বেশি কাজ করে, যারা মনে নোংরা ফ্যান্টাসির জগত লালন করে। আর যেহেতু চোখের পর্দা হিন রাই অপরাধী, তাই তারা নারীর পর্দার অভাব কে প্রধান তম দোষ প্রমানের চেষ্টায় লিপ্ত হয়।
অনেক শিক্ষিত মানুষের ই চোখ - মনের পর্দার ঠিক নেই, সেখানে অশিক্ষিত মানুষ গুলোর তো কথা ই নেই। আমি ও আপনার মত বিশ্বাস করি , সবার আগে নিজের পরিবর্তন দরকার। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ই অশিক্ষিত। তাদের অনেকের ই ধারনা জন্মে না, পরিবর্তন টা কেন দরকার। এতে যে তাদের ই লাভ, সমাজের সবার লাভ তা তারা বুঝতে পারে না। এব্যাপারে তাদের সচেতন করার দায়িত্ব দেশের শিক্ষিত সমাজের। কিন্তু শিক্ষিত সমাজের এক অংশ নিজের উন্নতিতে বেস্ত, আর এক অংশ জ্ঞান পাপির শ্রেণীভুক্ত যারা জ্ঞান কে অনৈতিক কাজে ব্যাবহার করে।
তাহলে আপনি ই বলুন, পরিবর্তন টা হবে কিভাবে?
পরিবর্তন দরকার, কেন দরকার, কিভাবে দরকার? - এ প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলচনা, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা, প্রচার আর ও বাড়াতে হবে। ইন শা আল্লাহ বাংলাদেশ এবং প্রতিটি মানুষ একদিন পালটাবে।

আপনি ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

আপনার কথার সাথেও একমত ভাই! আমরা রোগটা সনাক্ত করতে পেরেছি, ঔষধ কি হবে তাও জানি, কিন্তু সেরকম দক্ষ ডাক্তার নেই যিনি নিয়ম-কানুন কিংবা কতটুকু / কিভাবে ডোসটা দিতে হবে তা বলে দেয়ার! ব্যাপারটা এরকম-ই মনে হয়! আসলে মানসিকতার পরিবর্তনে কাউন্সিলিং এর দরকার আছে, সবাই যদি এ ব্যপারে সচেতন হয় এন এগিয়ে আসে তাহলেই হয়ত পরিবর্তন সম্ভব।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

কামরুল হাসান জনি বলেছেন: পরিবর্তনটা নিজ থেকেই শুরু করতে হবে!কেউ নগ্ন হয়ে চললেই কি তার দিকে তাকিয়ে লুল ঝরাতে হবে?কেউ খারাপ হলেই কি তাকে দেখে আমাকেও খারাপ হতে হবে?

আমি আপনার সাথে একমত।
তবে মেয়েরা পর্দা করে চললে ছেলেদের চোখের পর্দা করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: না ভাই এ ব্যপারে আমি বলবো হিজাব পড়া ছাড়াও অনেকে শালীন ভাবে চলে, তবে তারা কেন ধর্ষণ বা টিজের শিকার হয়? হ্যাঁ এটা ঠিক মেয়েদের পোশাকের ব্যপারে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি আমাদের সবাইকে এইসব বিষয়ে সচেতনতা এন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে!

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

নতুন বলেছেন: ভাই অনেক বার টেন্ডার আছেন যারা কিন্তু মদ খায় না.... :)

কারন তার ইচ্ছা না তাই মদ বিক্রির কাজ করেও তিনি মদ খান না....

আমাদের দেশের যারা বলে পোষাকের জন্য ধষন হয় তারা মনে হয় জানেন না যে ধষক সব সময়েই দুবল মেয়ে কেই টারগেট করে.... সমাজের প্রভাবশালীর মেয়ে যেই পোষাখেই ঘুরুক না কেন তার দিকে লুল ফেলবেনা....

সমাজে যত গুলি ধষন হয়... তার ৯৯%ই গরীর..দূবল..অল্পবয়সী..যার প্রতি অত্যাচার করলে যে পাল্ট জবাব দিতে পারবেনা তাদের উপরেই হয়ে থাকে...

মানুষ শক্তের ভক্ত নরমের যম>>> যদি পুলিষ ধষকে ধরে বিচারের ব্যবস্হা করতো.... ধষক কোটে পয়সা দিয়ে বিচার না কিনতে পারতো... তবে এতো ধষন ঘটতো না....

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন! দুর্বলরাই ধর্ষিত এন টিজের শিকার হয়! আর এদেশের বিচার ব্যাবস্থার পরিবর্তন না হলে - ধর্ষকরা ২/৪ পয়সা দিয়ে ছাড়া পেয়ে আবারো যে কুকর্মের দিকে এগিয়ে যাবে না তা ভাবাটা ভুল হবে না। আসলে সব কিছুর-ই এমন একটা পরিবর্তন দরকার যা আমাদেরকে একটু স্বস্তি আর শান্তি দিতে পারে ।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

স্বপনচারিণী বলেছেন: খোলামেলা পোশাক দেখেই হয়তো সেই মেয়ের প্রতি সেই সব পুরুষেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর তখন আগ্রহ জন্মে শালীন পোশাকের মেয়েদের প্রতি। কারন এরাইতো বেশী নির্যাতিত হচ্ছে। জানিনা, কোন যুক্তিই আসলে জোরদার করতে পারিনা এর কারন হিসাবে।..........যে খারাপ সে সবসময়ই খারাপ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! যে খারাপ সে খারাপ-ই ! খারাপের কোন সংজ্ঞা নেই! সে খারাপ এটাই তার পরিচয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.