নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুকে আদর করুন/ তাদের আবদার রাখুন কিন্তু...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

>তাদের মাথায় তুলবেন না! একটা শিশুকে ছোটবেলা থেকেই সঠিক ভাবে গড়ে তুলুন... কয়েকটি ঘটনার কথা বলছি- এসব শিশুকে বিগড়ে দেয় বৈকি - !
>> ঘটনা -১- আমার পরিচিত এক চাচী! তার ১ বছর ২ মাস বয়সের বাচ্চা আধো আধো কথা বলা শিখেছে কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল- সেই বাচ্চা কোথা থেকে যে “বাল” কথাটা শিখেছে তা কেউ জানে না, এই বাচ্চাটার সাথে কেউ কথা বললে, দুষ্টামি করলে কিংবা আনমনে বাচ্চাটা হুট-হাট “বাল” বলে! আশ্চর্যের বিষয় হল- এই বিষয়ে সেই চাচীকে অনেকেই সাবধান করে দিলেও তিনি তার বাচ্চা বলে শাসন করেন না কিংবা বাচ্চা যে এটা বলছে এবং এই কথাটা শিখে ফেলছে এব্যাপারে তাকে যে কিছু করতে হবে এই চিন্তা তার মধ্যে দেখিনা! তিনি বলেন ও তো মাসুম বাচ্চা, ওকে কি বলবো ? সত্যি অবাক হতে হয়! এখন থেকেই যদি এই বাচ্চাকে বুঝিয়ে বা ধমক দিয়ে এই কথাটা বলা ছাড়ানো না যায় তাহলে কি আদৌ এই বাচ্চাটা সঠিক পথে যাবে?
>>ঘটনা -২- পরিচিত এক মামী! তার কাছে নিজের বাচ্চা এতটা আদরের ছিল যে তিনি বলতেন, আমার বাচ্চা যা খেতে চাইবে , যখন-ই খেতে চাইবে আমি তা তখন-ই তাকে বানিয়ে খাওয়াবো! (স্বাভাবিক প্রত্যেক মা-ই তা চায়) এবং সত্যি সত্যি তার বাচ্চা মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যদি পরোটা খেতে চেয়েছে তিনি বানিয়ে খাইয়েছেন, এছাড়া যখন-ই যা খেতে চেয়েছে তিনি দিয়েছেন, ফলে বাচ্চাটা ধীরে মোটা হতে হতে অসম্ভব মোটা হয়ে গিয়েছিল, বাচ্চাটা এটা আমাকে দিতেই হবে এই জেদটা নিজের মধ্যে গড়ে তুলেছিল, ফলাফল এখন সেই বাচ্চা আউট অফ কন্ট্রোল ! কাজটা কি তিনি ভাল করেছিলেন? >ঘটনা -৩- পটুয়াখালী থাকাকালীন একদিন এক আঙ্কেল/ আন্টি বেড়তাএ আসেন তাদের ৩ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে! সে সময় আমার মামনী/ বাপি অফিসে ছিলেন! কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই বাচ্চা আমাদের তালাবদ্ধ শোকেসের মধ্যে থাকা একটা খেলনার জন্য অইরকম কান্নাকাটি শুরু করেন এবং আঙ্কেল তার বাচ্চাকে না বুঝিয়ে, শাসন না করে, (মানে অন্যের বাসার জিনিস যে ধরতে হয় না ) উলটো আমাকে চাপ দিতে থাকেন শোকেস খুলে সেই খেলনা তাকে বের করে দিতে!! আমি যে তাকে এতবার বলছি- চাবি নেই আমার কাছে এরপর ও জেদাজেদি করেছিলেন তিনি! এইটা কি তার ঠিক হয়েছিল? এরপর সেই বাচ্চা যেখানেই যেত সেখানেই যা দেখত তাই নিতে চাইত!!
>>> বাবা- মা-ই যদি সন্তানকে কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক, কোনটা করা যাবে, কোনটা করা যাবে না, এই শিক্ষাটা ছোট্ট বেলা থেকেই না দেন তাহলে সেই শিশুটা কি শিখবে...? বলতে পারেন? ইদানিং কালের অনেক বাবা- মা’কে দেখি এরকম! করছে করুক ছোট বাচ্চা এই মনোভাব! আসলেই কি আপনারা ঠিক কাজ করছেন? ভেবে দেখুন একবার!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

সুমন কর বলেছেন: সঠিক পারিবারিক শিক্ষা ছাড়া তারা কখনো মানুষ হতে পারবে না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কখনো প্রশয় দেই না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ঠিক করেছেন ভাই! পারিবারিক শিক্ষাটা আগে জরুরী!

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

জেকলেট বলেছেন: এক্কেবারে ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন। এখনকার মা-বাবা মনে করেন উনারাই একমাত্র ম-বাবা আর উনাদের বাচ্ছাদের সব করার অধিকার আছে। আমার পরিচিত এক চাচাকে (বাবার বন্ধু) আমাদের সামনেই উনার ছেলে ধমক দিয়ে বলছে তুমি কি বেশি বুঝ??? আমার বাবাই লজ্জা পেয়ে গেলেন এবং বল্লেন বাবা বড়দের সাথে এভাবে কথা বলা ঠিক না। ছেলে বলে আমাদের ফেমেলির ব্যাপারে আপনি বলের কে?? তাও দেখি ভদ্রলোকের বিকার নাই। পরে আব্বা উনারে জিঞ্গাস করলে বলেন ছেলে উনার সাথে সব সময় এইভাবে কথা বলে উনি কিছু মনে করেন্ না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাই, এরকম ঘটনা দেখে দেখে অবাক হচ্ছি!

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

নুরুল পলাশ বলেছেন: সত্যিই বলেছেন। বাবা মার উচিত ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে সুশিক্ষায় স্বশিক্ষিত করা

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু সেটাই তো উচিৎ ! কারন পারিবারিক শিক্ষাটা জরুরী আগে!

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: অতি শাসন আর অতি আদর দুইটার কোনটাই ভালো নয় বাচ্চাদের সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য।অথচ আজকাল এই দুইটাই দেখা যাচ্ছে বেশি।আপনি যে ঘটনা গুলো বললেন তা আমার আশেপাশেও ঘটেছে এবং ঘটছে। আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের আন্টি উনার ছেলেমেয়েদের বাসা থেকেই বের হতে দেন না। নিচে অন্য ছেলেমেয়েরা খেলাধূলা করে,ওরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে।এটাও ঠিক নয়।মা বাবাদের সচেতন হওয়া উচিত।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই দুটোকে ঠিক মত পরিচালনা করে শিশুকে গড়ে তোলা উচিৎ !

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বেশীরভাগ বাবা-মা'ই প্রথম দিকে বাচ্চার সকল আবদার পূরণ করতে থাকেন। বাচ্চা বিগড়ে যাওয়ার পর তাদের টনক নড়ে।

ভালো পোস্ট, পোস্টে +++

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আর তখন কিছু করার থাকে না ! ধন্যবাদ বোকা!

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কিন্তু বড়ই জটিল !!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাইয়া! জটিল বাবা- মা’ই করে ফেলে! আমিও এককালে শিশু ছিলাম, যথেষ্ট ফ্রিডম থাকা সত্ত্বেও আমি বিগড়ে যাইনি কারন আমার বাবা- মা সেভাবেই আমাকে গড়ে তুলেছেন!

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

নৈশ শিকারী বলেছেন: এই বিষয় গুলো নিয়ে প্রত্যেক পিতা মাতার ভাবা উচিৎ, ছোট কালে আমার বাবা যখন আমার দোষের জন্য শাসন না করে আদর করতেন তখন আমার দাদী প্রায়ই এই কথাটা আমার বাবাকে বলতেন, "দেখ বাবা পোলাডারে আদর দিয়া বৈদর (বাঁদর) বানাইছ না" সন্তান যতই আদরের হোক না কেনো সেই আদরের ফল যেনো সেই সন্তানকে বাঁদরে পরিনত না করে এই দিকটা খেয়াল রাখলেই চলবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাই আমিও সেটাই বোঝাতে চ্যেছি ! ধন্যবাদ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.