নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারো কারো সাধ্যের থেকেও মন থাকে বেশ বড়... !!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

আমাদের আধিয়ার ( যিনি জমি দেখাশুনা করেন তাকে এখানে আধিয়ার বলে) হামিদুর চাচা!
যিনি আমাদের জমি দেখাশুনা করেন! লোকটার মন মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করে বারবার!
প্রতিবার তিনি যখন ধান বিক্রির টাকা দিতে আসেন তখন আমাদের জন্য কিছু না কিছু খাবার আনেন!
হয় বিস্কিট না হয় চানাচুর না অন্য কিছু! প্যাকেট নিয়ে ঘরে ঢুকেই তিনি ডাক দিবেন-
ভায়া ( এখানে গ্রামে বাচ্চাদের ভায়া বলে- আমরা বুইড়া হইছি তাও বাচ্চা তার কাছে ) কুনঠে গেইলু? এইটা নে !
আমি বলি- সব সময় এসব আনতে হবে না কি? উনি বলবেন- কি হইছে আনিছু তে?
এরপর উনি শীতের সময় পিঠা খেতে আমাদের জন্য আটা নিয়ে আসেন! প্রায় ১০কেজির মত আটা দেন প্রতিবার!
এরপর আমের সময় তিনি নিজের গাছের আম বস্তা ভরে দিয়ে যান!
এগুলো দেয়ার জন্য তার সাথে আমাদের কোন বাইন্ডিং নেই তবু দেন!
আসলে কিছু কিছু মানুষের আন্তরিকতা মুগ্ধ করার মতই...

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জীবনে এমন কিছু মানুষ থাকলে খুব ভাল লাগে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০০

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু এবং এদের ভালোবাসাটা উপভোগ্য হয়

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

ভিটামিন সি বলেছেন: গ্রামের মানুষগুলি আসলেই খুব সরল আর সাধারন হয়। তাদের সাধারণ কর্মকান্ডগুলিই অসাধারণ লাগে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাইয়া এরা আসলেই সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু করে ফেলে...

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: গ্রাম-বাংলার এই অান্তরিকতাটুকু এখন আস্তে আস্তে শহুরে যান্ত্রিকতার কালো কাপড়ে ঢেকে যাচ্ছে। আর অামরা হারাচ্ছি অাদুরে সেই ডাক 'ভায়া';

গ্রামে গেলে সেই চেনা সুরে ডাক,'' কদ্দিন পর অাসলু, গাওত আর অাসপার মন চায় না নয়।'' ভালো থাকুক এই ভালো মানুষগুলো।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আমরা শহুরে মানুষেরা দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি...

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গ্রামের মানুষদের মাঝে এই গুণটা থাকে বেশী, ওনারা ভালোবাসতে জানেন, কপটতা তাদের ধারে কাছেও ঘেষতে পারেনা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন.........।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

রানা আমান বলেছেন: "আসলে কিছু কিছু মানুষের আন্তরিকতা মুগ্ধ করার মতই..." চিরকাল মনে রাখার মতই তা । একবার আমি কোন এক হাইওয়ে তে প্রায় একঘন্টা জ্যামে আটকে থেকে , এক পথচারীর পরামর্শে গাড়ি ঘুরিয়ে এক সাইড রোডে ঢুকলুম , বেশ অনেকখানি এগিয়ে আবার হাইওয়ে তে উঠে পড়া যাবে । নাম না জানা ক'টা গাঁ আর ফসলভরা প্রান্তর পার হয়ে আবারো হাইওয়ের কাছাকাছি এসে দেখলুম জ্যাম এপর্যন্ত ও । বসে থেকে থেকে অতিষ্ঠপ্রায় , বোতলের পানিও শেষ , পথপাশের এক বাড়িতে ঢুকে একটু খাবার পানি চাইলুম । সাথে সাথে ওই মহিলা দৌড়ে ঘরে যেয়ে আলমারী খুলে একটি গ্লাস নিয়ে এসে কলতলায় বসে গ্লাসটি মেজে ধুয়ে তাতে পানি ভরে আমাকে দিলেন । পানিটা খেতে খেতেই দেখি হাইওয়ে তে যানবাহনের সারি নড়তে শুরু করেছে । গ্লাসটা ফিরিয়ে দিয়ে বেরুচ্ছি এমন সময় হাতে বাজারসদাই নিয়ে গৃহকর্তা ঢুকলেন , আমি কে , কি তা না জেনেই ওনার প্রথম কথাই ছিল " আরে আরে মেমান দুপুরবেলা কই যায় ! আমি মাত্র বাজার নিয়া আইলাম , মেমান না খাইয়া কই যায় ?" অনেককরে বুঝিয়ে আবারো একদিন সময়করে এসে বেড়িয়ে যাব বলে তবে এসে গাড়িতে উঠলুম । আর যাওয়া অবশ্যই হয়নি তবে সেই আন্তরিক আহ্ববান টা কখনো ভোলার নয় ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কি অদ্ভুত... যা ভোলার নয়!!

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি উনার ছেলেমেয়েদের জন্য কতটুকু করার চেস্টা করেছেন ? উনি যখন বয়স্ক হবেন, উনার জন্য কি করার ইচ্ছা আছে আপনার?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: একদম সত্যি বলতে আমি কখনো তাদের বাসায় যাইনি! আর আমরা প্রায় ২২ বছর পর দিনাজপুর এসেছি মাত্র ৪ বছর হলো! জানি না কি করতে পারবো তাদের জন্য! তবে তাদের কিংবা চাচার ভালোবাসার অপমান কখনো করবো না আর সুযোগ পেলে অবশ্যই তাদের জন্য কিছু করবো...

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গ্রামের এই টাইপের লোকগুলো দিনদিন কমে যাচ্ছে । উনার জন্য শুভ কামনা রইলো ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু তা ঠিক...... তবু কেউ কেউ আছে... আর একদম সতি বলতে দিনাজপুরের মানুষের আন্তরিকতার কথা অনেকেই বলে...

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো এমন ভাল মানুষের কথা জানতে পেরে। আগেকার দিনে আধিয়ারগণ কয়েক পুরুষ ধরে বিশ্বস্ততার সাথে জমিদারদের জমি দেখাশোনার কাজ করে যেতেন।
৫ নং মন্তব্যে নিজের এত সুন্দর একটা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্যে রানা আমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: শুকরান ভাইয়া! হু এরাও সেই আমল থেকে মানে আমার দাদুর আমল থেকে আমাদের জমি দেখাশুনা করে!

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

দীপ্ত 71 বলেছেন: গ্রাম বা শহর সব জায়গায় এমন কিছু মানুষ থাকে। যারা অপরকে বিলিয়ে সুখ পায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.