নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় উৎসবগুলো নিয়ে এ কেমন ক্যাচাল চলছে এই যামানায়---

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

> ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই কথাটাই হয়ত মুল কারন!
> আমি বুঝি না কেন একটা মুসলিম ওই কথার সুত্র ধরে হিন্দুকে গরু খেতে বলবে? আর কেনই বা একটা হিন্দু তাদের পূজার মন্ডপে একটা মুসলিম কে যেতে বলবে? কেন হোলি খেলায় কোন মুসলিম শামিল হোক এই ইঙ্গিত থাকবে? অথচ যার যার ধর্মে তো এগুলো পাপ! তবু একদল হিন্দু/ মুসলিম যার যার উৎসবকে ঘিরে এই ফাইজলামি করছে আর এটাকে উস্কে দিচ্ছে আর এক দল! কি মহান মানসিকতা এদের? যাদের মধ্যে মানবিকতাই নেই!
> আরে উৎসব হলো আনন্দের কিন্তু সব উৎসবে শামিল হতে হবে নিজেদের ধর্মের কথা বিবেচনা করে! হিন্দু/ মুসলিমে দ্বন্দ্ব না লাগিয়ে ধর্মে ধর্মে ফাইযলামি না করে কি একে অপরের আনন্দে শামিল হওয়া যায় না? এই আমাদের কথাই দেখুন--
>> আমার পাড়াতে দুটো হিন্দু পরিবারের সাথে আমাদের খুব খাতির! আমরা একে অপরের বিপদে পাশে থাকি, একে অপরের সুখ দুঃখ ভাগ ও করে নেই আবার উৎসবে শামিল হই কিন্তু সেই শামিল হওয়াটা এমন ভাবে যাতে আমাদের কারো ধর্মে আঘাত না লাগে! আমরা রোজায় সেই দুই পরিবারে ইফতারী দেই, ঈদের শেমাই তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেই! আবার তারা তাদের পুজোর সময় প্রসাদ কিংবা ভোগ না আলাদা করে আমাদের জন্য নাড়ু/ লুচি/ সবজি দিয়ে পাঠায়! এতে কি আমাদের বা তাদের জাত বা ধর্ম যায়? আমরা কখনোই তাদের বলিনা আসো কুরাবনীর মাংস খাও, গরু কাটা দেখো! তারাও বলে না- আসো পূজার মন্ডপে যাই কিংবা হোলি খেলো! কারন আমরা যে যার ধর্ম সম্পর্কে জানি কোনটা হারাম তাও জানি!
>> আমার বাপির অনেক হিন্দু বন্ধু আছে! ঈদের পর আমরা তাদের আলাদা ভাবে দাওয়াত করে খাওয়াই আবার তাদের পুজোর পর আমাদের দাওয়াত দিলে একদম আলাদা করেই খাওয়ায়!
>>> এটাই হচ্ছে হিন্দু মুসলিমের উৎসবের আনন্দের ভাগ! অথচ একদল কি না গরু খাওয়া আর হোলি খেলা, পূজা মন্ডপে গিয়া নাচাগানা এসব কে সমর্থন দিয়ে নিজেদের ধর্মের মধ্যে ক্যাচাল লাগাই রাখতেছে! এখন হয়ত কেউ কেউ কইবে মদ খাওয়ার কথা, শুঁয়োর খাওয়ার কথা--- আরো কত কি! সেসব হারাম এই নিয়ে ক্যাচাল করবে!
>>> আমার হিন্দু এক বান্ধবী প্রতি ঈদে আমাকে আগে উইশ করে আজ আমি সকালে তাকে উইশ করেছি, তাতে কি আমার ধর্ম গেছে? না কি আমরা কেউ ধর্ম নিয়ে ফাইযলামি করছি? ও কি বলেছে- আসো পূজা মন্ডপে যাই কিংবা আমি কি বলি- আসো গরু খাও?

>>>> কয়েকটা লাইক/ কমেন্ট আর শেয়ার আর চিলিব্রিটি হওয়ার ধান্দায়, ফলোয়ার বাড়ানোর ধান্দায় আজকাল কিছু মানুষ যাচ্ছেতাই লিখে যাচ্ছে.........।।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

আশমএরশাদ বলেছেন: উৎসব বলিতে তাহারা শুধু ধর্মীয় উৎসব ভাবিলেন কেন? (একটু আগে পোস্ট করলাম)
=============================
"ধর্ম যার যার" শুধু এইটুকু বলা হলে সবাই মানেন। আবার "উৎসব সবার" এইটুকু বলা হলেও মানেন কিন্তু দুই অংশকে এক সাথে করা হলে মানেন না। মাংস হালাল কিন্তু মাংসের আলু না জায়েজ টাইপের কথা ! :) ফেসবুক আসার আগে মানুষে মানুষে এত বিভেদকারী আগে দেখা যায়নি। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান---

বাক্যেটা নিয়ে কম বুঝদার লোকেরা যারা জ্ঞানকে একটা সীমাবদ্ধ গন্ডীতে দেখেন গলি থেকে মুল রাস্তায় উঠতে পারেন না, শুধু তারাই ত্যানা প্যাঁচায়। ধর্মের মুলথিম না বুঝে শুধু খন্ডিত অংশকে দেখিয়ে যুক্তি দেন তাদের জন্য মাঝে মাঝে মায়া হয়। প্রত্যেকটা ধর্মীয় বাণী বা আদেশের আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপট আছে। ধর্মকে দেখতে হবে সমগ্রের উপর , মুল থিমের উপর।

বাক্যটার প্রথমে বলা হচ্ছে "ধর্ম যারা যার" এবং এটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে প্রথমেই । মানে গরু আপনি খাবেন কিন্তু আর কাউকে জোর করে খাওয়াচ্ছেন না, পুজা আপনি করবেন কিন্তু কাউকে বাধ্য করছেন না। মানে হইলো ধর্মের যে সব কাজ কারবার অন্য ধর্মের লোকেরা করতে পারবেনা সেটা তার তার নিজস্ব। এর পরেই বলা হচ্ছে ধর্মের সাথে সম্পর্ক না এমন উৎসব গুলা বা যেকোন উৎসবের যে এন্টারটেনিং পার্ট আছে , যেখানে একটা সমাজের অংশগ্রহণের ব্যাপার থাকে, মানসিক সহযোীতা থাকে সে সব জায়গার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে উৎসবটা "সবার।" উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে বলি। যেমন ধরেন কিছু উৎসব আছে ধর্মীয় এবং কিছু উৎসব আছে রাষ্ট্রীয়। রাষ্ট্রীয় উৎসবের মধ্যে আছে নববর্ষ উদযাপন স্বাধীনতা দিবস/ বিজয় দিবস উদযাপন ইত্যাদি। এই উৎসব গুলা সবার । বিজয় দিবসের দিন সবাই উৎসব করবে শহীদের জন্য কেউ মসজিদে কেউ মন্দিরে প্রার্থনা করবে । এখানে ধর্ম যার যেটাই হোক না কেন উৎসব কিন্তু সবাই মিলে করছি।

এবার আসা যাক ধর্মীয় উৎসব গুলার দিকে।
এক রাষ্ট্রের অধিবাসী হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে যাই হোক না কেন সেটা সাফল্যমন্ডিত করার জন্য রাস্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক দায়বদ্ধ। পারস্পরিক সহযোগীতার প্রয়োজনী্য়তা অপরিসীম। যেমন হিন্দুরা যেমন মুলসমানের উৎসবে বলে না "দা-বটি-ছুরি বেচবো না" "কাপড় বেচবো না" "কাপড় সেলাই করবো না" "ঈদে চুল কাটবো না"- ইত্যাদি । তেমনি হিন্দুদের উৎসবে কোন মুসলমান বলে না "তোমরা রাস্তায় গেট করবা না" "ঢোল তবলা বাজাবা না" "ছাগল বেঁচবো না" ইত্যাদি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় অনুষ্টান হলেও আমাদের মধ্যে উৎসব চলাকালীন কিছু সমস্যা হলেও আমরা মেনে নিই এবং নির্বিঘ্ন করতে সহযোগীতা করি। দেবী দুর্গার মুর্তি আমার ভ্যান গাড়িতে তুলবোনা সেটা বলছেনা কোন ভ্যানগাড়ি বা পিকআপ।

মুলত বাক্যটির আবেদন চমৎকার। মানুষের মধ্যে সহযোগীতার মনোভাব তৈরী করে। কিন্তু কেউ যদি ত্যানা প্যাঁচায় (কম জ্ঞানের সাথে) তাইলেই সমস্যা। ইসলাম যদি বলে থাকে সংখ্যালঘুদের জানমাল এবং তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে তোমরা বাঁধা দিবে না এবং তাদেরকে খোশ রাখা সংখ্যাগরিষ্ঠের দায়িত্ব তাহলে কেন বলবেন না "উৎসব সবার?"

যেমন ধরেন বিয়ে বর কনের বাসর ঘর ও তাদের কোন সমিস্যা নাই । কিন্তু মুরগীর রান জর্দা ভাত কেন আমাদের (সবার) হইবো না? :) লাইনটাতেই বলা হচ্ছে ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসবের যে এন্টারটেইনিং এবং হেল্পিং অংশ সেটাতো সবারই। মানসিক এগ্রিমেন্টে এবং সামগ্রিক সহযোগীতামুলক কাজের জন্য লাইনটার আবেদন আছে। তাই কমবুঝদারদের কথায় বায়াস না হয়ে আমরা বলতে পারি "ধর্ম যারা যার উৎসব সবার।" যাদের জ্ঞান অর্জনের সীমাবদ্ধতা আছে এবং উদার জ্ঞানের অভাব আছে যাদের তারা সমগ্রটা একসাথে দেখত পারে না । তাদের কথা বিশ্বাস করার আগে নিজের জ্ঞান দিয়ে যাষ্টিফাই করাই ভালো।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ভাই মাথা ঘুরে গেলো!!

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সময়, সময়ের সাথে সবকিছু বদলে যায়

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু এমন বদলানো তো ঠিক না ভাই!!

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

নতুন বলেছেন: স্কুলে পড়ার সময়ে প্রতি ঈদে আমার বাসাতে বন্ধুরা দুপুরে খাবার খেত.... হিন্দু কয়েকজন এবং একজন খৃস্টান বন্ধও থাকতো....

মা হিন্দুদেরর জন্য মুরগীর মাংস রান্না করতো।

পুজার নাড়ু, পিঠা সব সময়ই খেয়েছি কিন্তু আমিও যেমন ওদের ঈদের জামাতে যেতে বলিনাই তেমনি তারাও আমাকে পুজা মন্ডপে আসতে বলেনি।

কিছু মানুষ বেশি তেনা পেচায় তারাই এই সব নিয়ে বাড়াবাড়ী করে...

এরা আগে ধামিক` তারপরে মানুষ....

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেটাই ভাই! আসল ব্যাপারটা হলো- একদল ইচ্ছে করেই এই কাজটা করছে ক্যাচাল বাঁধাতে আর একদল উস্কে দিচ্ছে! অথচ যে যার ধর্ম মেনে অন্য ধর্মের মানুষের সাথে মিশবে, আনন্দ করবে এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা!!

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

বারিধারা বলেছেন: আপনি ঈদের সেমাই হিন্দুদের খাওয়ান কোন সমস্যা নেই, ইসলামে বরং এটি সওয়াবের কাজ কিন্তু ওদের পূজার অর্ঘ্য/প্রসাদ কোন অবস্থাতেই খাওয়া হালাল নয়। দেব দেবীদেরকে উৎসর্গ করা খাবার খাওয়া হারাম - এটা জানেন না?
http://fiqhehanafi.com/fiqhe/198

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কি পড়লেন ভাই? আমি তো বলেছি তারা ভোগের জিনিস বা প্রসাদ আমাদের দেয় না, তারা আমাদের জন্য আলাদা করে বানানো খাবার দেয়!

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" - ফালতু ডায়ালগ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমার কাছেও তাই মনে হয়!!

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা জানানো যাবেনা। কারণ তারা তো শিরক করছে। নিশ্চয়ই এটা শুভেচ্ছা জানানোর মত কাজ না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: দেখুন কেউ যখন আমাকে শুভেচ্ছা দেয় আমার উৎসবে তখন আমার ও তো তার উৎসবে শুভেচ্ছা দেয়া দরকার!

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: হ্যা, ইসলামে কাওকেই হেয় করতে শিখায় নাই। আমার মনে হয় শুভেচ্ছার বদলে অন্য ভালো কথা বলা যায়। যাতে তারা মনে কষ্ট না পায়। শিরক নিয়ে কথাটা আমি তো বানিয়ে বলছি না। আপনি তো জানেন ই এটা সবচেয়ে বড় গুনাহ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জি শুভেচ্ছা সেভাবেই দিয়েছি যাতে নিজের ধর্মের কিছু না হয়!!

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখা আর সেই সূত্র ধরে মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে অনেক ধরণের মত | এখানে ব্যাপারটা"যত মতো তত পথ" (সমাধান অর্থে) না হয়ে পথ হারাবার দশা হয়েছে ! আপনার ব্যক্তিগত মতামতের সাথে আমিও একমত হলাম | যার যে ধর্ম সে সেটা অবশ্যই পালন করবে কিন্তু সেটার সাথে অন্যধর্ম বিশ্বাসীদের আনতেই হবে বা অন্য ধর্মের কেউ না আসলেই সে গোড়া এই সিল মারার চেষ্টা করাটাই আপত্তিকর |
@আশমএরশাদ বলেছেন: "উৎসব বলিতে তাহারা শুধু ধর্মীয় উৎসব ভাবিলেন কেন?" আমার ধারণা আপনি ব্যাপারটা বেশি সরলীকরণ করে ফেলেছেন | উৎসবের কত ধরণের প্রকারভেদ সমাজ বিজ্ঞানে আছে জানি না | কিন্তু যে ভাবেই প্রকার ভেদ করা হোক না কেন ধর্ম ভিত্তিক একটা শাখা তার থাকবেই | আর সেটা নিয়েই এখনকার আলোচনা বা বিতর্ক যাই বলি না কেন | বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন নিয়ে এই ধরণের কথা নিশ্চই উঠছে না? কোনো একটা নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উৎসবে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা পার্টিসিপেট না করতাই পারে তাদের ধর্মীয় বিধি নিষেদের কারণেই | একটা উৎসব হচ্ছেই কোনো একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে (সেটা মসলিম বা হিন্দু বা খ্রিস্টান যে ধর্মেরই হোক না কেন ) আর তাতে অন্য ধর্ম অনুসারীদের যোগ দিতে(ই) হবে এটাতো খুবই আশ্চর্যজনক যুক্তি হয়ে যায় ! একটা ধর্মীয় উৎসবে সব ধর্মের অনুসারীদের যদি যোগ দিতে বিশ্বাসগত সমস্যা না থাকতো তবেতো আর বিভিন্ন ধর্ম সমাজে থাকতো না | সবাই একটা ধর্মই অনুসরণ করতো ! বিশ্বাসের পার্থক্যের কারণেইতো বিভিন্ন ধর্ম | তার প্রাকটিস বিভিন্নই হবে |

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন:
সে যেটাই হোক ভাই!! খামোখা একটা দ্বন্দ্ব লাগিয়ে কি লাভ এইসব পাব্লিকের? কেন ক্যাচাল হবে এসব ধর্মীয় উৎসব নিয়ে?

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" - ফালতু ডায়ালগ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমার ও তাই মনে হয়!!

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

নির্বাসিত কবি বলেছেন: সত্য উম্মোচনে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

আসলেই একদল উজবুকের উজগুবি যুক্তি দর্শানোকে কেন্দ্র করে সামপ্রদায়িক মনোমালিন্য প্রভাব বিস্তার করে বসতে চলেছে আমাদের উপর। আর আমরা চোখে আঙুল গুজে কেবল মাথা দুলিয়ে যাচ্ছি! এ কেমন অন্ধত্ব!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাই ব্যাপারটা খুব বিচ্ছিরি টাইপের হয়ে যাচ্ছে! আমরা ক্যাচাল চাই না! অথচ একদল তা করেই চলেছে!!

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

অভি চৌধুরী বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই কথাটা বুঝতে হলে মাথায় ঘিলু দরকার আছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু ভাই ঘিলু থাকা দরকার!!

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ধান্দাবা‌জি বেশী ক‌রে মুস‌লিম নামধারীরা। কারণ মুস‌লিম‌দের উৎস‌বে নারী পুরুষ এক সা‌থে থাক‌তে পা‌রে না। খেয়াল কইর‌া...
কলাবাগান এখন আমা‌কে গুহায় চ‌লে যে‌তে বল‌বেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কিচ্ছু বুঝি নাই!!!!

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন:
"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" - তোমরা যারা এটিকে বেদ-বাক্যজ্ঞান করো:

আবে হালায় তোরা কুতুপালং যা, ঐহানে কমছে-কম ১০০ডা পরিবার আইছে যাগোলগে সমসংখ্যক সাক্ষাত দেবীদর্শন পাবি, যারা অসহায়, আর্ত, বর্মী সামরিক জান্তার অত্যাচারে ঘর-বাড়ি ছাইড়া ঐ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তোরা যদি ওদেরকে একটু হেল্প করস তাইলে খুশি হইব:
UNHCR,
Amnesty,
NHRC, Bangladesh
বিম্পি,
আমিলিক
এমনকি মোগো পরতিবেশি ডাডারাও খুশি হইব(যদিও ওরা রোহিংগাবিরোধী। নিচে Partho Ghosh নামে এক ডাডার কমেন্ট: "উদ্বাস্তুরা হিন্দু হলে ভারতে আসুক। বর্তমান সরকার হিন্দু উদ্বাস্তুূদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা রেখেছে। কিন্তু দেখতে হবে হিন্দুদের ভিড়ে মুসলিম শুয়োরগুলো যেন না ঢুকে পড়ে।";)

সর্বপরি, বাংলাদেশের আপামর জনতা(২/১ জন ছাড়া)। এই একটি ইস্যুতে বাংগালির যে অভুতপুর্ব মেলবন্ধন (২/১ টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া) তা এবার দেখলুম, দেখে ভাললাগল।

উপরে একজনের কমেন্টে দেখলাম, ঈদের দিন নাপিত চুল কাইটা ঈদ-উৎসবে যোগ দিতেছে। আরে পাগল নাপিত যদি ১ দিন চুল না কাটে তাইলে ঐদিন তার পেটে ভাত জুটবে না। তার এ্ই পেশাগত কাজের জন্নি তার "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" - জাতীয় ফালতু ডায়ালগের দরকার পড়ে না, বা সে হয়ত ডায়ালগটা জানেও না।

আর একজন আইছে ঘিলুর বাহার লইয়া। "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" নাকি রকেট সাইন্স যেইটা বুঝতে ক্যালকুলাস জানা লাগব।

আমি হলপ কইরা কইতারি, সুন্দর সাম্প্রদা্য়ীক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে মাঝে-মধ্যে যে ১ আধটা অঘটন ঘটতেছে তার পেছনে ইনাদের মত লোকেদের অবদান নিছক কম নহে যারা লালন করে বেড়ায় "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" জাতীয় সাংঘর্ষিক চেতনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কিচ্ছু বুঝি নাই!!!!

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর এবং প্রয়োজন মত একটা আলোচনা তৈরি করেছেন, ভালো লাগলো

এরশাদ ভাইয়ের ১নং মন্তব্যের সাথে একমত ও মন্তব্যটির জন্য কৃতজ্ঞতা। ব্যাপারটি অনেক সুন্দর বুঝিয়েছেন।

সব মিলিয়ে ভালো লাগা রইল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: শুকরান ভাই পাশে থাকার জন্য!! আমার কাছে ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগে!!

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধর্ম যার যার , উৎসব তার তার !

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এটাই ঠিক মনে হয়!!

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: হুজুর :: এই যে আতাহার সাহেব আপনি মুসলমান হয়ে পুজা মন্ডপে কেন গেছেন , জানেন না পুজা মন্ডপে যাওয়া শিরিক করা এবং কবিরা গুণা !!
আতাহার হোসেন :: আপনার কথাটা মানলাম না , আমি তো পুজা করিনি ওখানে শুধু দেখেছি এবং ওদের মন্ডপের পাশে যে মন্চ বানিয়েছে সেখানকার সংস্বকৃতি অনুষ্ঠান মুলত দেখেছি । বড় বড় পুজা মন্ডপে একদিকে পুজার বেদি থাকে যেখানে পুজা হয় এবং অন্য দিকে সংস্বকৃতিক মন্চে নাচ গান কির্তন শ্যামা সংগিত ইত্যাদি হয় । প্রথমে ঢুকে দেখলাম হিন্দুরা পুজা করছে মুর্তির সামনে সেই সাথে ঢোল বাজানো হচ্ছে , দুই তিন মিনিট পুজা দেখে সংস্বকৃতিক মন্চের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখেছি , তার পর নৃপেনদা এসে লাড্ডু সিঙ্গারা দিল এবং সেই সাথে ভেজিটেল খিচুরি খেয়ে চলে এলাম ।
হুজুর ::: তোবা তোবা আপনি পুজার প্রশাদ খাইছেন , আপনি জানেন না পুজার প্রশাদ খাওয়া হারাম
আতাহার ::: ইসলামের নামে উল্টা পাল্টা কথা মিথ্যা কথা বন্ধ করেন দয়া করে , প্রশাধ টা তো কোন মাংস ছিল না , মাংস হোলে হামার বলা যেত , লাড্ডু সিঙ্গারা কি করে হারাম হয় ।
হুজুর ::: পুজার প্রশাধ হারাম , এর প্রমাণ কি আপনি দেখতে চান
আতহার ::::: মাংস ব্যথিত পুজার প্রশাধ যে হারাম না সেটা কি আপনি দেখতে চান ??
হুজুর :::: খালি খালি আজাইড়া পেচাল পাড়েন কেন
আতাহার :::: শুনুন কোরানে আল্লাহ তালা বলেছেন শুধু --- আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখির মাংস হারাম এবং এই বিষয়টি শুধু মাংসের ক্ষেত্রে প্রজোয্য ,এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি জীবনে কি কখনো পুজার মন্ডপে গেছেন ।
হুজুর :::: তোবা তোবা প্রশ্নই আসে না ।

আতাহার :::: শুনুন পুজার বেদির উপরে মুর্তির সামনে পুজার সময়ে যে খাবারটা থাকে তাকে প্রশাধ বলে , এবং বাহিরে প্যান্ডেলের পাশে বড় বড় হাড়ি ডেকচিতে সারা দিন যে রান্না হয় ঐ খাবার গুলোকে বলে ভোগ , ঐ মন মন হাড়ি ডেকচি ভরা ভোগ পুজার বেদির সামনে আনা হয় না এবং আলাদা ভাবে বিতরন করা হয় । যদি আপনার প্রশাধ খাওয়াকে হারাম মনে হয় তাহোলে ভোগটা খেতে পারেন ।

হুজুর :::: আমার মাথা খারাপ হয় নি যে ভোগ খাবো যাহা প্রশাধ তাহাই ভোগ এবং তাহাই হারাম

আতাহার ::: কোরানের আয়াত থেকে উদাহরন দিতে পারবেন একটাও , যেখানে কোরানে শুধু আল্লাহর নামে জবাই ছাড়া পশু পাখির মাংসকে হারাম করেছেন অন্য কোন খাবারকে নহে । প্রশাধ হোল যে খাবার দেবতার মুর্তির সামনে থাকে এবং দেবতার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় এবং ভোগ হোল উৎসর্গকৃত খাবার গুলো নহে ।

শুনুন মাওলানা সাহেব পুজা দেখা মানে তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করা নহে , যদি বিশ্বাষ গ্রহন করা হোত যদি আমি পুজা করতাম । আপনার লেকচার মারেন পুজা দেখলেই নাকি শিরিকি করা হয়ে যায় তাদের বিশ্বাষের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা হয়ে যায় , আমি জীবণে বহু পুজা দেখেছি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । যাদের ঈমাণ দুর্বল তাদের পুজা না দেখাই ভালো কারন দেখলেই মুর্তির প্রতি তাদের ঈমাণ এসে যাবে ।
এবার হুজুর আপনাকে একটা প্রশ্ন করি - আমি একজন মুসলমান এবং আমার সামনে কয়েক জন মুসুল্লি নামাজ পড়ছে এবং আমি সেই নামাজ পড়া দেখছি কিন্তু পড়ছি না তাহোলে কি দেখার জন্য আমার নামাজ পড়া হবে ???

হুজুর :::: কি পাগলের মত কথা বলেন অন্যের নামাজ পড়া দেখলে কি কোন দিন নামাজ পড়া হয় !!!!!!

আতাহার :::: ও হয় না বুঝি কিন্তু মুসল্লিদের ঈমাণ আর আমার ঈমাণ এক তাহোলে ও নামাজ পড়া দেখার জন্য নামাজ হবে না !!!
হুজুর :::::: নিয়ত করে ওজু করে নামাজ নিজে না পোড়লে অন্য পড়াতে নিজের নামাজ কোন দিন হবে না যতই নামাজ পড়া দেখেন ।
আতাহার ::: ও মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমানের নামাজ পড়া দেখলে নামাজ হবে না কিন্তু মুসলমান হয়ে অন্য বিশ্বাষের মানুষের পুজা করা দেখলে আমার পুজা করা হয়ে যাবে শিরিক করা হয়ে যাবে এবং হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন না করলেও আমার পুজা করা হয়ে যাবে ।
হুজুর ::: বড় বড় চোখ করে তাকায়
আতাহার :::: শুনুন হুজুর আপনি মাঠে বা টিবিতে যদি কোন খেলা দেখেন তখন আপনি দর্শক খেলোয়ার নহেন , আমি যদি অন্যের নামাজ পড়া দেখি আমি দর্শক নামাজি নহি এবং আমি যদি অন্যের পুজা করা দেখি তাহোলে আমি দর্শক পুজারি নহি । পুজা মন্ডপে যাই পুজা করতে না দেখতে এবং সেটা অল্প কিছুক্ষণ , বেশি ভাগ সময় কাটে মন্চের সামনে কালচারাল অনুষ্ঠান দেখে । আমি হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে এত মিশি এবং আমি তাদের ধর্ম গ্রন্থ ও পড়ি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি , আমার ঈমাণ অত দুর্বল নহে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.