নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিরিয়ড/ স্বপ্নদোষকে- হাগুকে - প্যাড/ কন্ডম কেনাকে আপনারা যারা ডাল-ভাতের মত করে এক করে গুলিয়ে ফেলছেন-- সেইসব গাধাবাজদের বলছি--

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

> মেয়েদের পিরিয়ডের সাথে যেসব পাকনা গাধাবাজ পোলাপাইন/ বুইড়ারা স্বপ্নদোষ কে এক করে ফেলছেন, তারা বলবেন কি? কি করে এটা এক হয়? কতটা গাধামি আর নোংরামি থাকলে আপনারা পুরুষেরা ( কিছু) নিজের জন্ম যেখান থেকে হয় সেটাকে নিয়ে হাসি তামাশা করেন? জীবনে একবার যদি কোন পুরুষের মাত্র ৩ দিনের ব্যথাযুক্ত পিরিয়ড কেমন হয় সেটা নিজ শরীর থেকে জানার সুযোগ থাকতো তাহলে সেইসব পুরুষেরা ব্যথা না শুধুমাত্র পিরিয়ডের রক্ত দেখলেই বেহুশ হইতো! ব্যথার দিকে গেলাম না আর! আর আপনারা কিছু মেয়ের পিরিয়ডকালীন সচেতনতামূলক পোস্ট আর প্যাডের পিক দেইখা নিজেদের স্বপ্নদোষের কথা সুরসুরি দিয়ে বলতেছেন এরপর পিরিয়ডের সাথে হাগুকে এক করে মিশাইতেছেন! আরে গাধাবাজরা পিরিয়ড সুরসুরির জিনিস না এইটা তোদের জন্মের ইতিহাস !
> এবার আসি আসল কথায়- পিরিয়ডকালীন সচেতনতা কিংবা পিরিয়ড যে একটা লুকাছাপার জিনিস নয়, পিরিয়ড নিয়ে যে এখনো কিছু কুসংস্কার আছে এইসব নানা হেন ত্যান ট্যাবু ভাঙ্গতে কেউ কেউ ( কিছু মেয়ে) রক্তমাখা প্যাডের ছবি, প্যাডের প্যাকেট নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে! আর তাই দেইখা পুরুষেরা হাগুর ছবি পোস্ট করছে/ কন্ডমের ছবি পোস্ট করছে, মেয়েদের প্যাড কিনতে দোকানে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় তাই দেইখা ছেলেরা কন্ডম কেনার লজ্জার কথা বলছে! হাউ ফানি ইয়ার! না আমি রক্তমাখা প্যাডের ছবি দেয়াকে সচেতনতার জন্য সাপোর্ট করছি না! কিন্তু পিরিয়ডকালীন সচেতনতার যে প্রয়োজন আছে এটার সাপোর্ট করছি! মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে যে হাসি তামাশা পুরুষেরা এখনো করে সেটার প্রতিবাদ করছি! পিরিয়ড যে একটা ন্যাচারাল ব্যাপার এবং কষ্টদায়ক সেটা বোঝার আহ্বান করছি সেইসব গাধাবাজদের! এখনো যে গ্রামাঞ্চলে মেয়েরা পুরান কাপড় দিয়ে পিরিয়ডকালীন সময় পার করে, এসময় যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার, সমস্যা হলে কিছু ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটার ব্যাপারে জোরালো সচেতনতার কিংবা আন্দোলনের দাবী করছি! কত অসচ্ছল পরিবারের মেয়েরা প্যাড ব্যবহার করে না, করতে পারে না! এদের জন্য কিছু করা হোক এটা চাইছি! আর এসব নিয়ে যদি কেউ সচেতনতামূলক পোস্ট দেয় তাতে পুরুষের প্রব কোথায়? আমি অবশ্যই চাইছি- স্কুল/কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে/ ট্রেন/ বাসে / অফিস/ আদালতের টয়লেটে, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের হুট করে হয়ে যাওয়া অস্বস্তিকর এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে এসব জায়গায় প্যাড সরবরাহ করা হোক! প্যাডের মুল্য কমানো হোক! গ্রামাঞ্চলের মেয়েদের প্যাডের ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি করা হোক, অসচ্ছল পরিবারগুলোর মেয়েদের সরবরাহ করা হোক স্বল্প মুল্যের প্যাড! স্কুল/ কলেজে এসব নিয়ে কাউন্সিলিং করা হোক! এবং শুধু মেয়েদের না ছেলেদের ও জানানো হোক এটা হাসি তামাশার কিছু না! এটা তোমার জন্মের ইতিহাস!
>> কিছু ট্যাবু নিজ পরিবার থেকেই ভাঙ্গতে হয়! শুরুটা পরিবার থেকেই হোক! হাতে গোনা দু একটা পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে মা’র সাথে সাথে বাবাও এসব বিষয়ে মেয়ে/ ছেলেকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন! আমার কথাই যদি বলি- আমার সময়ে আমার বাপি পিরিয়ডকালীন সময়ের পরিচ্ছন্নতার জন্য প্যাড/ গজ/ তুলা ব্যবহারের জন্য আলাদা ঝুড়ি/ বালতি কিনে এনে দিয়েছিলেন ! এ সময় রক্ত স্বল্পতার জন্য আয়রন ট্যাবলেট খেতে পাশাপাশি অন্য আয়রন যুক্ত খাবার খেতে বলেছিলেন, ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরমার্শ নিয়েছিলেন! ঠিক এভাবেই প্রতিটি পরিবারে বাবাদের ও মেয়েদের পিরিয়ডকালীন সময়ে সচেতনতার কথা এবং সহানুভূতি জানাতে হবে পাশাপাশি ছেলেদের এই শিক্ষাটা পরিবার থেকেই দিতে হবে যে- পিরিয়ড হাসি তামাশার জিনিস নয়! আবার আমার দাদীমা পিরিয়ড থাকা সময়ে তার বিছানায় কাউকে বসতে বা শুতে দিতেন না! ভাবখানা এমন- যেন এটা অপবিত্র জিনিস! অথচ তিনি শিক্ষিত ছিলেন কিন্তু কুসংস্কার ছিলো! একদিন আমি তাকে আচ্ছামত ধরে বুঝিয়েছি- আমাদের রাসুল ( সাঃ) তার বউ/ মেয়েদের পিরিয়ডকালীন সময়ে পাশে বসিয়ে খাইয়েছেন! বউ এর সাথে এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন! এরপর থেকে আমাদের আর কোন প্রব্লেম হয়নি!
>> অথচ ভেবে পাই না কিছু পুরুষ পিরিয়ডের সাথে স্বপ্নদোষকে/ হাগুকে কিভাবে মিলায়? এখন কথা হলো- কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয় না ! তাই নিজ ঘরে নিজের মা/ বোন/ বউ কে পিরিয়ডকালীন কষ্টে দেখেও যাদের মনে কষ্ট হয় না তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কিংবা পিরিয়ড কি জিনিস সেটা বোঝাতে রক্তমাখা প্যাড দেখিয়েও কোন লাভ হবে না! পিরিয়ড যে কোন অপবিত্র জিনিস নয় এটা যে লুকাছাপার জিনিস নয়, হাসি তামাশার জিনিস নয় এসব নানা হেন ত্যান ট্যাবু ভাঙ্গতে হবে নিজ ঘর থেকেই...... এবং অনেক অনেক সচেতনতার প্রয়োজন আছে এই বিষয়ে!

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যে সব ছেলেরা পিরিয়ড নিয়ে এমন বাজে কিছু করে তারা নিশ্চয় চরম মূর্খ।
আশা করি সবাই বুঝতে শিখবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু বুঝতে হবে! এবং কিছু শিক্ষা পরিবার থেকেই ছেলে/ মেয়ে উভয়কে দিতে হবে! কিছু ট্যাবু পরিবার থেকেই ভাঙ্গতে হবে!

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো শুধু বিবেকবানদের জন্য না, সেখানে অাছে, সামাজের উঁচু থেকে নিঁচু পর্যায়ের অানােগোনা।
যাদের মাঝে অনেকই বুঝেই না প্রিয়ড কী? তার উপর রক্ত মাখা পিক দেখলে খারাপ কমেন্টস্ করবে।
তাছাড়া খারাপ কমেন্টস্ করলে উৎসাহ দেখিয়ে অন্যজনও করে :(
যারা প্রিয়ডকে বুঝে তাদেরকে নিয়ে আলোচনা করলে এই রকম খারাপ কমেন্টস্ কখনো শুনতে হয় না।

প্রিয়ড চলাকালীন সময়ের পদক্ষেপ্ বাস্তবতা কামনা করছি।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন:
হ্যাঁ সে কারনেই বলেছি- আমি রক্তমাখা প্যাড এর পিক দেয়াকে সাপোর্ট করি না! কিন্তু এই ট্যাবু ভাঙ্গুক, সচেতনতা আসুক এটা চাই.........

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনি উলটা পালটা পেইজে ঘোরাফেরা করে এইসব দেখে মন খারাপ করবেন না
আজাইরা ছেলে মেয়ে সব প্রজন্মে, সব দেশে ছিল আছে থাকবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: না ভাই পেজে ঘুরতে হয়নি! ফেবু পোস্টেই দেখেছি, পড়েছি! সে যাই হোক! এই নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজন আছে অনেক বেশি!

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
পিরিয়ড একট ন্যাচারাল বিষয়।

সচেতনতা মূলক লেখা।
ঐ হাবাগুবাদের একটু হেদায়াত কামনা করি।

প্রত্যেক স্বামী যদি, স্ত্রীকে নিয়ে তার বোন ও মেয়ের এই সব বিষয়ে সহায়তা মূলক পদক্ষেপ নিত তবে এই মেয়েগুলোর এতো কষ্ট করতে হত না।

কষ্ট দিগুণের চেয়ে বেশি হয়ে যায় যখন মানুষ তার কষ্ট অন্য কারো নিকট শেয়ার করতে পারে না।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মেয়েরাই গোপনে এ কষ্ট সহ্য কদে যাচ্ছে।

প্রত্যেক মা বাবা আর মা বাবা না থাকলে বড় ভাই ও ভাবীদের উচিত এই বিষয়ে অদের পাশে দাঁড়ানো।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এক্সাক্টলি ভাই! এজন্যই বলেছি- পরিবার থেকেই এই ট্যাবু ভাঙ্গতে হবে! এরপর সমাজ, দেশ পাল্টাবে---

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপু ঐ সব গাধাবাজ মূর্খ দের কারণেই আজকে সমাজটা নষ্ট হয়ে গেছে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আপু কিন্তু আমরা চাই এর পরিবর্তন আসুক! আমরা আশাবাদী হতে চাই...

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

মোঃ মনোয়ার হোসাইন বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি। তবে হ্যাঁ! সম্পূর্ণ পুরুষজাতিকে দোষারোপ করা অনুচিত।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমি সম্পুর্ণ কে বলিনি ভাই!! কিছু বলেছি ! ধন্যবাদ !

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

rudainahalimah বলেছেন: ভােল

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ধর্মীয় প্রয়োজনে বা স্বাস্হ্যগত কারণে লজ্জা ভেঙ্গে প্রতিকার করার অনুমতি আছে, তবে তা যেন শালীনতার সীমার ভেতরে থাকে। এ স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যারা হাসিঠাট্টা করে তারা অবোধ, নাদান। মেয়েদের কষ্ট ছেলেদের চেয়ে বেশি বলেই মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত বলা হয়েছে, বাবার পায়ের নিচে নয়।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জি এ কারনেই সচেতনতা কিংবা ট্যাবু ভাঙ্গা যদি পরিবার থেকেই সৃষ্টি করা যায় সেটা সবচেয়ে ভালো পন্থা!

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: সংখ্যায় অল্প কিছু বিকৃত মস্তিষ্ক পুরুষদের কারনে গোটা পুরুষ জাতি-কে অপরাধী এবং দোষী সাব্যস্ত করে এক শ্রেনীর মহিলা পুরুষদের উপর বিদ্যেষ ভাব প্রকাশ করে এমন সব তীক্ত মন্তব্য ব্যাক্ত করে লেখেন এবং সে লেখা পড়ে মনে হয় তারা-ও বিকৃত মস্তিষ্ক এবং তাদের মধ্যে আর সেই বিকৃত মস্তিষ্ক পুরুষদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই । পুরুষদের উপর মহিলাদের এতো বিদ্যেষ ভাব কেন ? কেন, সে-সব মহিলাদের সন্তানের পিতা কি একজন পুরুষ নয় ? তাদের জন্ম দাতা পিতা কি একজন পুরুষ নয় ? পুরুষদের নিয়ে তাদের লেখা পড়লে মনে হয়, এ যেন কোন লেখা নয়, একেকটি লেখা একেকটি "বিষোদগার" । তারা পুরুষদের উপড় লেখতে গিয়ে নূন্যতম সন্মান বোধ দেখানোর প্রয়োজন বোধ মনে করে না, যে সন্মান টুকো তার পিতা বা ভাইয়ের উপর দেখানো হয় ।
এই বিকৃত মস্তিষ্ক মহিলাগন প্রায়-ই প্রশ্ন তুলে : সন্তান সমতুল্য কণ্যা কে একজন পুরুষ কেন বিয়ে করে ? আমার জবাব হচ্ছে ;-কোন নারী যদি তার সন্তান সমতুল্য ছেলেকে বিয়ে করা নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন তাহলে সেটা তার বা তাদের নিজেদের দুর্বলতা, কেননা, এ বিষয় নিয়ে শরিয়ত থেকে শুরু করে সমাজের কোথাও কোন বাধা নাই যে, কোন নারী তার সন্তান সমতুল্য ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না, সুতরাং একজন নারী ইচ্ছা করলেই তার ছেলে সমতুল্য পুরুষকে নির্দিধায়, নির্বাধায় বিয়ে করে বরং তার মহানুভবতার পরিচয় দিতে পারেন, তাতে কোন পুরুষের আপত্তি বা বাধা নাই, অথবা এ কোন পুরুষের জন্য অসন্তোষজনক কোন বিষয় নয় । আর যদি কোন মহিলা বা নারী ( যা-ই বলিনা কেন ) তা না করেন সেটা তার নিজের দূর্বল মন মানসিকতার পরিচয় । সব পুরুষ-ই একজন মহিলাকে খেলনার পুতুল মনে করে না । কটা পুরুষ-ই বা চার চার টা বিয়ে করেন ? কটা পুরুষ-ই বা তার স্ত্রী-কে তিন কথায় তালাক দিয়ে থাকেন ? এই জন্য সমস্ত পুরুষ জাতি-কে অপরাধী করে লেখা সুস্থ মনের অভাব এবং তা কোন সমস্যার সমাধান না দিয়ে বরং সমস্যাকে আরো জটিল করে তোলা হয় ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় যেমন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়, এখানে ঠিক তার বিপরিত ; সংখ্যালঘু মহিলা সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরুষের উপর উস্কানী মূলক বক্তব্য রেখে নতুন এক মডেল বা ফ্যাশানে নিজেদের তুলে আনেন, শুধুমাত্র অন্যের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য । এই মডেল বা ফ্যাশান তাদের মনের অস্থিরতা থেকে শৃষ্টি, যা বিকৃত ভাবে প্রকাশ করে সুস্থ সমাজে বিশৃঙ্খলতার শৃষ্টি করে ।
সংখিপ্ত করে বলছি ; আঠার বছর বয়সে শেক্সপিয়র বিবাহ করলেন তার চেয়ে ৮ বছরের বড় অ্যানি হাতওয়েকে, ২৫ বছর বয়স্ক আমাদের নবী করিম সাঃ কে ৪০ বছরের রমনী বিবি খাদিজা বিয়ে করে তার মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে এক আধুনিক সভ্যতার সূচনা করে গিয়েছেন, যা নবায়ন করে ফ্রাঁন্সের বর্তমান ফাষ্ট লেডী "ব্রিজিৎ মাক্রো" তার ছেলে বয়সী ছাত্র এ্যামানূয়েল মাক্রোকে বিয়ে করে এক স্মার্ট সভ্যতার উন্মোচন করেছেন ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমি পুরো পুরুষ কে কোথাও এটাক করিনি! বলেছি কিছু!

১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

বারিধারা ২ বলেছেন: কোন আন্দোলন শুরু করলে সেটা নিয়ে প্রথমে তামাশা হয়, কটাক্ষ হয়, তারপর ডাইরেক্ট প্রতিরোধ হয়। সেই হিসেবে পিরিয়াড নিয়ে সচেতনতা তৈরির আন্দোলন এখন একদম ইনিশিয়াল স্টেজে আছে। এখন গাধাদের উৎকট ডাকাডাকিতে আপন্যাড় মত সচেতন মানুষো যদি এরকম অনর্থক প্রতিক্রিয়া দেখান, সেটা তো পরোক্ষভাবে ওদেরকে আরও উৎসাহিত করবে। ওদেরকে ইগনোর করে যান, তাহলে তারা আন্দোলনের ওজন বুঝবে - আর যদি ক্ষেপে যান, ওরা তো পেয়ে বসবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমি কিন্তু চড়াও হইনি! দেখুন এক জায়গায় আমি আহ্বান করেছি যেন এই গাধাবাজরা এটা বোঝার চেষ্টা করে!

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অজ্ঞরা সকল যুগেই থাকবে। সচেতনতা অনেক বেশি প্রয়োজন।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু জানি! কিন্তু তাদের এড়িয়ে যাওয়া যায় না... তাই তো কিছু বলা!

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: রুষ্ট বা রাগাম্বিত হওয়ার জন্য লেখছি না, প্রিয়ডকালীন সময়-টা কি তা পরিস্কার হওয়ার জন্য লেখছি :
পৃথিবীর কোথাও, এমন কি উন্নত বিশ্বের কোন দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যায়, ট্রেন, বাস, অফিস, আদালত বা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের টয়লেটে মেয়েদের প্রিয়ডকালীন সময়ে ব্যাবহারে জন্য প্যাড রাখা হয় কিনা আমার জানা নাই । যদি এমন কোন দেশের নাম আপনি বলতে পারেন, যে দেশে মেয়েদের প্রিয়ডকালীন সময়ে ব্যাবহারে জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যায়, ট্রেন, বাস, অফিস, আদালত বা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের টয়লেটে প্যাড রাখা হয় তাহলে আপনাকে পুরস্কৃত করা হবে । প্রিয়ডকালীন সময় নিয়ে অনেক লেখলেন, কিন্তু প্রিয়ড কেন হয় তা-তো লেখলেন না ? আর যদি আপনি না জানেন, জানাবেন, আমি বলে দিবো ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: পুরষ্কার চাই না! আমি বলেছি- এ ধরনের ব্যবস্থ্যা রাখা হোক! হ্যাঁ বলে ফেলেন কেন হয়?

১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সচেতনতামুলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ, আপনার এই পোষ্ট থেকে আশাকরি অনেকেরই মনোভাবের পরিবর্তন হবে। প্যাডের প্যাকেটগুলো দোকানদাররা এমনভাবে মুড়িয়ে দেন যেন মনে হয় কোন নিষিদ্ধ জিনিষ। আমাদের দেশের পুরুষদের এসব বিষয়ে জ্ঞান খুবই সীমিত। এ ধরনের পোষ্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জি ভাই! সচেতনতা এবং পারিবারিক শিক্ষাটাই আগে জরুরী ! এবং এসব ট্যাবু থেকে বের হয়ে আসাটা খুব দরকার! ধন্যবাদ!

১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: মনে রাখবেন কিছু দুষ্টলোক সব জাগায় থাকে। মক্কা মদীনাতেও আছে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আছে! কিন্তু তাদের এড়িয়ে গেলে হয়ত আরো অনেকে জুটে যাবে তাদের সাথে! তাই তো কিছু বলা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা...

১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পিরিয়ড মহিলাদের প্রাকৃতিক একটা নিয়মে হয়,প্রথম চলাকালিন সময়ে মা,বোন,ভাবি,বা প্রতিবেশি প্যাড কাপড় ব্যবহারের নিয়মটা শিখায়ে দেয়।
পুরুষে এবিষয়ে জানা বা মাথা ঘামানোর দরকার মনে হয় পড়েনা। ফেসবুক, ব্লগ বা সোশ্যাল সাইটে এই নিয়ে মাতামাতির কোন কারন দেখিনা।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সচেতনতা আর মাতামাতি এক জিনিস নয়! আপনি হয়ত জানেন না- এ সময়ের সচেতনতা কতটা জরুরী!

১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এসব নিয়ে লিখালিখি হোক- পাব্লিক সচেতন হোক এটা চাই। তবে সুন্দরভাবে হোক।
ভালো লাগছে অনেকদিন পর, আপনার পোস্ট পেয়ে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আমিও সেটাই বলেছি! এ কারনেই ট্যাবু ভাঙ্গতে হবে পরিবার থেকে... ! কেমন আছেন?

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০২

জোকস বলেছেন: সচেতনতা মূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় যারা আজেবাজে কথা বলে তারা বেশির ভাগই অবিবাহিত।
মেয়েদের প্রিয়ডকালীন সময়ে কমবেশি সবারই ব্যাথা করে, অতিরিক্ত হলে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।
অনেকেই মনে করে ঋতুস্রাবের মধ্যে কোনো ‘অপবিত্রতা' লুকিয়ে আছে৷ এটা ভুললে তো চোলবে না যে, এই ঋতুচক্রের ফলেই কিন্তু আপনি এই পৃথিবীতে এসেছেন।
এ বিষয়ে পরিবারকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জি ভাই কেউ জেনেশুনে কেউ ইচ্ছে করেই এই প্রাকৃতিক বিষয়টাকে নিয়ে মজা করে! এসব থেকে আমাদের বের হতে হবে! তাই এই ট্যাবু পরিবার থেকেই ভাঙ্গতে হবে! ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য!

১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৮

পুলক ঢালী বলেছেন:



ভাল সচেতন মূলক পোস্ট। আমাদের দেশের কালচারে ছেলে মেয়েদের পৃথক রাখার কুফল এগুলো । পিরিয়ড খুব কষ্টকর একটা প্রকৃয়া অনেকেই সহ্য করতে না পেরে ব্যথা নাষক ঔষধ খায়। এটা না হলে একটা পুরুষ বা একটা মেয়ের জন্ম হবেনা প্রজন্ম চালু থাকার জন্য এটা একটা প্রাকৃতিক ঘটনা কিন্তু আমরা তো এট গোপন রাখতে অভ্যস্ত তাই এখন এর কুফল ফলছে। রক্তমাখা প্যাডের ছবি যে সব মেয়েরা দিয়েছে এরা ভীষন উগ্রতা নিয়ে পুরো সমাজকে উস্কানী দিয়েছে আর অজ্ঞান পুরুষদের নিয়ে বলার কিছু নেই। ছবি না দিয়ে কার্য্যকারনটা উপস্থাপন করা বেশী জরুরী যাতে মানুষের ভ্রান্ত ধারনা দূর হয়।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জি আমিও রক্তমাখা প্যাডের ছবি দিয়ে সচেতনতা চাই না! বুঝিয়ে কিংবা কাউন্সিলিং করে এবং প্রচুর প্রচারের মাধ্যমে এই বিষয়ে সচেতনতা চাই ! চাই এসব ট্যাবু ভাঙ্গুক! ধন্যবাদ!

১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৬

সোহানী বলেছেন: মিঃ সালাউদদীন, আপনাকেই বলছি। আপনার ১২ নাম্বার মন্তেব্যে প্রেক্ষিতে বলছি।

আমি খুব একটু দেশ বিদেশ যাই নাই শুধুমাত্র ইউরোপের কয়েকটা দেশ আর নর্থ আমেরিকার কয়েকটা দেশ ছাড়া। এব আমি এখন কানাডায় বাস করি। আমার অভিজ্ঞতায় বলছি, প্রতিটি স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, পাবলিক অফিস, কিছু প্রাইভেট অফিস এর বাথরুমে (মেয়েদের) ছোট্ট একটা অটো বক্স থাকে যেখানে প্যাড থাকে। এবং মাত্র ২৫ সেন্ট দিয়ে একটি প্যাড কিনতে পারেন।

আমি এখানকার ছেলে-মেয়েদেরকে এ নিয়ে খোলামেলাই কথা বলতে দেখেছি। কেউই কখনো অসন্মান বা হাসি ঠাট্টা করেনি। আমার ছেলে হাই স্কুলে পড়ে তারপর ও সে জানে এটি একটি ন্যাচারাল প্রক্রিয়া। এতে অপবিত্রতা, হাসি ঠাট্টা, নোংড়া বা অন্য কিছুর সুযোগ নেই।

ঈপ্সিতা, এটি আমাদের মানসিকতার পরিচয়। আমরা এখনো নকলের মানসিকতা থেকে বের হতে পারিনি কিভাবে শিখবো? দেশে অনেক কলেজ বা ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকে ও দেখেছি এ বিষয়ে হাসি ঠাট্টা করতে। আসলে আমাদের পরিবারই এখনো এ বিষয়ে সহজ হয়নি, ওদের দোষ দিয়ে লাভ কি?

যাহোক, বিষয়টি নিয়ে যত অালোচনা হবে তত বেশী জানতে পারবে সবাই।

ভালো থাকুন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপিজি সুন্দর করে অনেক কিছু বলেছেন! এবং আমার না জানা একটা তথ্য ও দিয়েছেন একজনের প্রশ্নের উত্তরে! আসলেই সবকিছু মানসিকতার উপর নির্ভর করে! কিছু শিক্ষা নিজ থেকে অর্জন করতে হয়! এবং এই ট্যাবু পরিবার থেকেই ভাঙ্গতে হবে! ভালো থাকবেন!

২০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ভালো থাকুন!

২১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমাদের এলাকার মেয়েরা তো প্রকাশ্যেই প্যাড, ভিট এগুলো কিনে নিয়ে যায়। কাউকে কটুক্তি করতে দেখিনি।
পিরিয়ড নিয়ে ঢাক-ঢোল পেটানোরই কি আছে?

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ঢাক ঢোল পিটানো কেন দরকার সেটা এত বিস্তারইত লিখেও যখন আপনি বুঝেন নি তখন আর কি বা বলার থাকতে পারে?

২২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অনেকেই যৌনপপ্রতিবন্ধী।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হয়তবা!!

২৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঈপ্সিতা চৌধুরী ,



ভালো একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন , যে বিষয়টি নিয়ে প্রায় সকলের অজ্ঞতা একই রকমের । "মাসিক" একটি জটিল শরীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া ।

এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি ।
নারী যখন একটি বয়সে পৌঁছায় ( মিনিষ্ট্রুয়াল এজ ) তখন প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই তার ডিম্বাধার ( ওভারী ) থেকে নির্দিষ্ট সময়ে একটি ডিম ( ওভাম ) প্রষ্ফুটিত ( ওভ্যুলিউশান ) হয় । এই ওভ্যুলিউশান প্রক্রিয়া যেমন চলে একদিকে তেমনি সেই নারীর জরায়ু আর শরীরবৃত্তে চলে নানা যাদুকরী খেলা স্ত্রী হরমোনগুলোর কারনে । এই হরমোনগুলো যেমন ডিম্বানুকে প্রস্ফুটিত করে তেমনি জরায়ুতে সন্তান ধারনের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে রাখে । জরায়ুকে তারা আসলেই একটি ফুলবাগানে পরিনত করে ফেলে । বিশেষ স্ত্রী হরমোনগুলো হয়ে ওঠে সে বাগানের মালি । সেই মালিদের পরিচর্যায় জরায়ুতে নতুন কোষের জন্ম হয়, কোষগুলি রসে ( নিউট্রিশান ও মিউকাস ) টৈটুম্বুর হয়ে ওঠে , তার মাংশপেশীতে নতুন নতুন রক্তনালী বিন্যস্ত হয় । সেজে ওঠে একটি ফুল বাগান । উদ্দেশ্য একটাই , আগত সন্তানকে নরম মখমলের বিছানায় দোল পাড়িয়ে -খাইয়ে দাইয়ে প্রসব উপযোগী ( ভায়াবল ) করে তোলা । ডিম্বানুটি যখন পুরুষ শুক্রকীট দ্বারা নিষিক্ত হয় তখনই তা জরায়ুতে ধীরে ধীরে ভ্রুনতে পরিনত হয়ে সেই বাগানে হেসে খেলে মানব সন্তান হয়ে ওঠে । নিষিক্ত হবার পরে নারীর শরীরে চলে আরেক শরীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া যা ভ্রুনকে আরো আরো বেশী করে খাইয়ে দাইয়ে শক্ত সামর্থ করে তোলে । যে সব পাকনা -গাধাবাজ পোলাপাইন আর বুইরড়াদের কথা বলেছেন তারাও তাদের মায়ের এই জটিল বিবর্তনের মধ্য দিয়েই পৃথিবীর আলো দেখেছেন ।

এই সব লোকদের মায়েরা যখন কুমারী ছিলেন তখন তাদের জরায়ু সন্তান ধারনের সকল প্রস্তুতি যতোই সম্পন্ন করে রাখুক না কেন সঙ্গত কারনেই তাদের ডিম্বানু নিষিক্ত হয়নি অর্থাৎ এক কথায় সন্তান আসছেনা । সন্তান যখন আসেনি বা আসবেনা তখন তার জন্যে সকল আয়োজনের প্রয়োজনও আর থাকেনা । বাগান রচনার কাজে নিযুক্ত মালিরা তখন নতুন মেহমান না আসার কারনে হতাশ হয়ে পড়ে এবং দুঃখে নিজেদের কাজে ইস্তফা দিয়ে উধাও হয়ে যায় । মালি না থাকলে একটি বাগান যেমন শুকিয়ে বিবর্ণ, চৌচির হয়ে যায় তেমনি যে সব কোষস্তর ( এন্ড্রমেট্রিয়াম ) এতোদিন ফুলে ফেঁপে রসে টৈটুম্বুর হয়েছিলো সেই কোষগুলি দুমরে মুচড়ে যায়, যে সব নতুন রক্তনালী বেশী বেশি করে রক্ত বয়ে নিয়ে আসার কাজে ব্যস্ত ছিলো সেই রক্তনালীও ছিঁড়ে খুঁড়ে উঠে আসে । তখন কোষীয় রস ( মিউকাস ) আর রক্ত মিলে মিশে বেড়িয়ে আসে বাইরে । এটাকে আপনি “জরায়ুর কান্না” বলতে পারেন । সন্তানের জন্যে কান্না । আ ক্রাই ফর দ্য বেবী ।
এই কান্নার দমকে দমকে জরায়ু কেঁপে কেঁপে ওঠে আর তাতে সৃষ্টি হয় গভীর এক ব্যথা ( স্পাজম ) । সেই সাথে কোষ আর রক্তনালী ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসার ব্যথা তো আছেই সব মিলিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি ।
আশা করি আপনার লেখার সব পাকনা -গাধাবাজ পোলাপাইন আর বুইরড়ারা এবং ভালো মানুষেরাও তাদের মায়ের এই কষ্টটা বুঝবেন । বুঝবেন যে এই রক্তপাত কোনও মতেই অপবিত্র নয় বরং সম্পূর্ণভাবেই “ ষ্টেরাইল” ।

আমি যখন এ বিষয়ে ছেলেদের পড়াই তখন বারবার সতর্ক করে দেই এই বলে যে , আপনাদের মা কিম্বা স্ত্রী কিম্বা বোনদের জীবনে প্রতি মাসেই এমন তীব্র ব্যথার কারন ঘটে থাকে । আপনাদের উচিৎ ঐ সময়টায় তাদের প্রতি সব রকমের সহানুভূতি দেখানো । প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটা তাদের এই অসুস্থতার কারনে তাদের কে ঐ সময়গুলোতে যতোখানি সম্ভব বিশ্রামে থাকতে দেবেন । বাড়ীর রান্নাবান্না সহ সব কাজ কেন হলোনা এই নিয়ে উচ্চবাচ্য করবেন না । এগুলো একজন শিক্ষিত ও বুঝদার লোকের দায়িত্ব ।

আমার মতে এই শারীরিক ক্রিয়াকর্মের এই সব বিবর্তন স্কুল থেকেই শেখানো ও বোঝানো উচিৎ । এটা কোনও লজ্জা বা অশালীন কোনও কিছু নয় । এটাই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম ।

এখন প্রশ্ন হলো এটা কতোক্ষন “ ষ্টেরাইল” থাকবে । এই মাসিক চলে ৩/৪ বা কারো কারো ক্ষেত্রে আরও বেশী দিন । স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারলে এই রক্তপাত ষ্টেরাইলই থাকবে সেখানে কোনও রকম সংক্রমন হবার কথা । স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এর মোকাবেলা যে স্যানিটারী ন্যাপকিন ( প্যাড) দিয়েই করতে হবে তা নয় , এ রকম আরেকটি পোস্টে
(পিরিয়ড চলাকালিন সময় কৃত্রিম উপায়ে তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ নাকি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শেখানোটা বেশী জরুরী?
লিখেছেন গুলশান কিবরীয়া, ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
)
“গুলশান কিবরীয়া” যেমনটি বলেছেন সে পদ্ধতিতেও চলে যেতে পারে । আর্থিক ভাবে অসচ্ছল দেশের বৃহদাংশ নারীদের পক্ষে প্যাডের জন্যে সামান্য ২/৩ টাকা জোগাড় করাও কষ্টকর যেখানে সংসারের জন্যে দু’মুঠো অন্ন জোগাতেই যাদের নাভীশ্বাস উঠে যায় ।

আর আপনার বাকী কথাগুলোর সাথে একমত - ট্যাবু ভাঙতে হবে নিজের ঘর থেকেই ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুন্দর করে অনেক কিছু বলেছেন! হু প্যাড ব্যবহার না করে শুধু কাপড় ব্যবহার করাও যেতে পারে কিন্তু এক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দরকার আছে! কারন গ্রামাঞ্চলে অনেকে এমন ভাবে এসব ইউজ করে যে তাতে অনেক রোগ সৃষ্টি হতে পারে! মোট কথা পিরিয়ডের সময় কি ব্যবহার করবেন এটা যেমন জানা জরুরী তেমনি এই সময়ের পরিচ্ছন্নতা কিছু সচেতনতা সৃষ্টি ও জরুরী! কারন এসব থেকে অনেক রোগ হতে পারে! সবচেয়ে বড় কথা এই ট্যাবু ভাঙ্গতে হবে! এবং পরিবার থেকেই তা শুরু করতে হবে! ভালো থাকবেন!

২৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঈপ্সিতা চৌধুরী ,



টাইপিং মিসটেকে এই লাইনটি স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারলে এই রক্তপাত ষ্টেরাইলই থাকবে সেখানে কোনও রকম সংক্রমন হবার কথা। আসলে হবে -- স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারলে এই রক্তপাত ষ্টেরাইলই থাকবে সেখানে কোনও রকম সংক্রমন হবার কথা নয়

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু এ ব্যপারটা অনেকেই জানে না !

২৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:২৩

রোমিও সবুজ দাস বলেছেন: ফেইসবুক উজবুকের বিনোদনের মাদ্যম হিসেবে এ দেশে পরিচিত। জাতি হিসেবে এটা একটা লজ্য আমাদের যারা কলম বানান লিখতে পারে না তারা স্মার্টফোনে ফেইসবুক চালায়। আমাদের জাতীয় জীবনে অনেক সমস্যার জন্য দায়ি এই ফেইসবুক।

এসব মুর্খরা একদিন নিজের বউ এর জন্য প্যাড কিনবে। তখন আর তাদের কনডম কিনতেও লজ্যা হবেনা আশাকরি। তবে হ্যা সচেতনতা এ দেশের সামাজিক সিনোনেইম। এটা লাগবেই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: যেটাই হোক ভাই! এই ট্যাবু ভাঙ্গা দরকার এবং দরকার সচেতনতা......।।

২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:২৭

রোমিও সবুজ দাস বলেছেন: ফেইসবুক উজবুকের বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এ দেশে পরিচিত। জাতি হিসেবে এটা একটা লজ্জা আমাদের যারা কলম বানান লিখতে পারে না তারা স্মার্টফোনে ফেইসবুক চালায়। আমাদের জাতীয় জীবনে অনেক সমস্যার জন্য দায়ি এই ফেইসবুক।

এসব মুর্খরা একদিন নিজের বউ এর জন্য প্যাড কিনবে। তখন আর তাদের কনডম কিনতেও লজ্জা হবেনা আশাকরি। তবে হ্যা সচেতনতা এ দেশের সামাজিক সিনোনেইম। এটা লাগবেই।

২৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সচেতনতা সবারই থাকা জরুরি। আরো জরুরি ভদ্রতা, শিষ্টাচার।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১০

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু অবশ্যই

২৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

নতুন বলেছেন: আপুনি আমি এই রকমের পোলাপাইনদের মূখ` কথাবাতাকে বলি

বানরের হাতে ফেসবুক... আপুনি আমি এই রকমের পোলাপাইনদের মূখ` কথাবাতাকে বলি

বানরের হাতে ফেসবুক...


নুন্যতম জ্ঞান থাকলে কেউই স্বপ্নদোষ, কন্ডম কেনা বা হাগু করার বিষয়ের সাথে পিরিয়ডের সাথে তুলনা করে ফান করতে পারতো না।

মিঃ সালাউদদীন, আপনাকেই বলছি। আপনার ১২ নাম্বার মন্তেব্যে প্রেক্ষিতে বলছি।

ভাই বিশ্বের সভ্য দেশগুলির ভাবনা আপনাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে... উন্নত বিশ্বে স্কুল,কলেজ,বড় প্রতিস্ঠানের ক্লিনিকে অবশ্যই প‌্যাড থাকবে এটা একটা নরমাল জিনিস।

আর আপনি জেনে অবাক হবেন। আপনার বাড়ীর পাশের বালিকা বিদ্যালয় আর মহিলা কলেজেও এখন প‌্যাড রাখে কারন এটা হঠাত করেই আসতে পারে তাই শিক্ষিকারা এটা রাখে....

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেটাই তো ভাই! কিসের সাথে কি মিলায় এরা? ধন্যবাদ সালাউদ্দীন সাহেবের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য! ভালো থাকবেন ভাইয়া!

২৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: পিরিয়ড একটা ন্যাচারাল বিষয়। এনিয়ে আপনি (ঈপ্সিতা চৌধুরী ) এতো হাউকাউ করছেন কেন? আপনার কথায় সেইসব গাধাবাজ আর আপনার মধ্যে পার্থক্য কোথায়? যতসব ছাগলের দল...........!

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমি হাউকাউ করিনি--- যেটা বলা দরকার সেটা বলেছি! হয়ত আপনি নিজেও ছাগল তাই সবাইকে ছাগল ভাবছেন!

৩০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১০

গোলাম হাসনাইন আসাদুজ্জামান বলেছেন: অবশ্যই সচেতনতা দরকার।
আপনাকে সাধুবাদ জানাই।
মূর্খরা হেনস্থা করে, তাদেরও ট্রিটমেন্ট দরকার।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জি ভাই! অনেক বেশি সচেতনতা দরকার! ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য!

৩১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: এইভাবে উলঙ্গ হওয়ার নাম সচেতনতা নয়। যত্তসব চিড়িয়ার দল।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: নাম তো দিয়েছেন দায়িত্বশীল !! তা চিন্তা চেতনা এত নোংরাশীল কেন? মিরপুর না রংপুর চিড়িয়া থেকে ছাড়া পাইছেন?

৩২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

পুলক ঢালী বলেছেন: আহমেদ জী এস সাহেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত্ত সুন্দরকরে লিখে বোঝালেন চমৎকৃত হলাম, শুধু দুঃখ এটা শুধুমাত্র একটা পোস্টের মন্তব্যের সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ না থেকে সিক্স থেকে টেনের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত হতো তাহলে কী ভালই না হতো।

৩৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন:
সংখেপে বলি : প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের জরায়ুর ভিতর প্রতি মাসে এক ধরনের ডিম্ব শৃষ্টি হয় এবং তা প্রতি মাসে একবার করে ফেটে যায়, যার ফলে স্ত্রীলিঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হয় বা রক্তশ্রাব হয় এবং এই রক্তশ্রাব হওয়ার ১০ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে স্ত্রীলিঙ্গ দিয়ে সাদা পিচ্ছিল বীর্য ঝরে এবং এই বীর্য ঝরা অবস্হায় কোন নারী যদি কোন পুরুষের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়, এবং এই নারী ও পুরুষের মধ্যে যদি কোন যৌন সমস্যা না থাকে তাহলে মহিলাটি বা গন অন্তসত্তা হন, ফলে রক্তশ্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং ৯ মাস ১০ দিনের মধ্যে মহিলাটি সন্তান প্রসব করে বা মা হন । এর পর পুনরায় রক্তশ্রাব শুরু হয় ।
বিঃ দ্রঃ- মন্তব্য করাকে নোংড়া মনের ভাববেন না, লেখার যেমন অধিকার আছে, মন্তব্য করারও তেমন অধিকার আছে, আপনার সুন্দর মন, কামনা করি তা দীর্ঘ জিবি হোক । প্রায় ৩০ বছর পর বাংলা লেখা শুরু করেছি, বানানে ভুল থাকতে পারে, আশা করি আপনার সুন্দর মন দিয়ে তা খমা করে দিবেন, ভাল থাকবেন সবাইকে নিয়ে ।

৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

অক্পটে বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট। যেটার সাথে প্রতিটা জন্মের একটা আত্মিক সম্পর্ক থাকতেই হবে। কতটুকু অজ্ঞ আর বেকুব হলে মানুষ এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পারে। আমার মা এবং আমার বোন অথবা আমার মেয়ে কি এই প্রকৃয়ার বাইরের কেউ? আজব আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ইদানিং পাঠ্য বইয়ে এই বিষয়ে সংযোজন করার কারণে কিছু বেকুব গেলরে গেলরে বলে চিল্লাইসে। জরুরী বিষয় অথচ এটা নিয়ে কি অদ্ভূত ভাবনা ওদের!

৩৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩২

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঢাক ঢোল পিটানো কেন দরকার সেটা এত বিস্তারইত লিখেও যখন আপনি বুঝেন নি তখন আর কি বা বলার থাকতে পারে?[/sb

আমি ঠিকই বুঝেছি, আপনার কাছেও পিরিয়ডটা স্বাভাবিক ব্যাপার না। এটা ফেসবুকে প্রচার করে নিজেকে আল্ট্রা মর্ডাণ প্রমাণ করার হাতিয়ার। একারণেই স্নো ক্রিম কোম্পানী গুলো টিভিতে দেখায় যে , কালো হওয়া পাপ আর বিউটি পার্লারে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় টাকা দিয়ে ছাই ভস্ম মেখে কার্টুন মার্কা চেহারা করাটা আধুনিক এবং স্বাধীনতার প্রতীক।
তারা আপনাদের মন ভাল করেই বুঝে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.