নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজার শুরু হতে না হতেই ফতোয়াবাজদের দেখা মিলছে!!!

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

>প্রথম ফতোয়াবাজরা হলো- খাবার-দাবারের দোকান আর পিক নিয়ে যাদের আপত্তি!! এরা রোজার মাসে ফেসবুকে খাবারের পিক দেয়া যাবে না এই নিয়ে ফতোয়া দিয়েছে! আমার কথা হলো- আপনি কেমন রোজাদার যে খাবারের দোকান দেখলে আর খাবারের পিক দেখলে আপনার রোজা থাকে না! এই যে আমরা রোজা রেখে বাসায় যারা অসুস্থ কিংবা রোজা রাখতে পারে না, বৃদ্ধ, তাদের জন্য খাবার বানাই, খাওয়াই, বিকেলে ইফতারী বানাই আবার প্লেটে প্লেটে সব সাজাই! কই সেসব খাবার নাড়াচাড়া করে, রান্না করেও তো আমাদের জিভ দিয়ে জল আসে না, আমাদের রোজা ভঙ্গ হয় না! আপনাদের হয় কেন? রোজার মেইন উদ্দেশ্যই তো হলো- নিজেকে সংযত রাখা, খাবার এবং অন্য গুনাহ্‌র কাজ থেকে! এইটুকু ঈমান যার নাই, তার রোজা রাখার দরকার কি জনাব?
খাবারের দোকান নিয়ে আপত্তি কেন? সবাই তো রোজা রাখে না- এই সত্যটুকু বোঝার ক্ষমতা নাই কেন আপনার?
> ২য় ফতোয়াবাজ!! এরা বলে রোজা এলেই একদল লোক দেখানো নামায পড়ে , লোক দেখানো রোজা রাখে! আরে ভাই, কে লোক দেখানো নামায/ রোজা করছে তার বিচারের মালিক তো উপরে আল্লাহ্‌ আছেন! এইটা বিচারের ভার তো আপনাকে দেয়া হয় নাই! শুধু রোজার মাসেই রোজা কিংবা নামায পড়লেও তো কেউ পড়ছে, আবার কারো কারো হয়ত এ থেকেও কিছু শিক্ষা হচ্ছে- সে নামাযী হয় কিংবা ভাল কিছু আমলের দিকে আকৃষ্ট হয়! হোক না! তাতে ক্ষতি কি?
>৩য় ফতোয়াবাজ! এরা শুরু করে- তারাবীর নামায নিয়ে! তারাবীর নামায ১২ না ২০ রাকাত? এরপর শুরু হয় খতমে তারাবী নিয়ে ক্যাচাল! এরপর এবার হয়ত শুরু হবে শব-ই -কদর নিয়ে! যেহেতু শব-ই মেরাজ নিয়ে বিশাল ক্যাচাল চলেছে!
>>> যাক গা- চার্মে আমিও একটা ফতোয়া আগে ভাগেই দিয়ে দেই-“ মেয়েদের - রোজা আছেন কি না- এই বেহুদ্দা প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন”!
>>>একটা অনুরোধ- আপনাদের দোয়াতে আমাকে ও আমার পরিবারকে রাখবেন! সবাইকে রোজার অগ্রীম শুভেচ্ছা!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

আবু আফিয়া বলেছেন: আল্লাহ ইচ্ছা করলে সবাইকে মু’মিন মুত্তাকী বানাতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নি। আল্লাহ সবাইকে স্বাধীনতা দান করেছেন। জোর করে কোন কিছু করার বিষয়ে ইসলাম নিষেধ করে। তাই কোন বিষয়েই কঠোরতার শিক্ষা ইসলাম দেয় না।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য!

২| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্থাপনা।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: শুকরান ভাইয়া! রমজান মোবারক!

৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

তানিম৭১৯ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: শুকরান ! রমজান মোবারক!

৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
ব্যাপারটা যদি আমরা এভাবে দেখি, যিনি ফতোয়া দিচ্ছেন তিনি কিন্তু তার নিজের একার কথা ভেবে বলছেন না। তিনি বলছেন পুরো সমাজের রোজাদারদের কথা মাথায় রেখে। তিনি সবাইকে বলছেন, আমাদের কারোরই এমন কোন কিছু করা বা বলা উচিৎ নয় যাতে অন্য কোন রোজাদারদের কষ্টের কারণ হতে পারে।
ধরে নিলাম, আমার বন্ধু শোয়েবের ঈমান অনেক শক্ত।তাই বলে কি তার সামনে লোভনীয় খাবার প্রদর্শন করা কি আমার জন্য ঠিক হবে। আমার কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ নয় যাতে তার কোন সমস্যা না হয়?

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু সেভাবেও ধরা যায় ভাই! কিন্তু কারো কারো উপস্থাপন ভিন্ন মনের হয়! আসলে কেউ তো ইচ্ছে করে কোন রোজাদারের সামনে খাবার নিয়ে পরীক্ষা করে না! হয়ত কেউ কেউ ইফতার টাইমের আগে নিজেদের ইফতারী করার মুহুর্তটা শেয়ার করে! এভাবেই খাবারের পিকগুলো আসে! এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই!

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "ফতোয়া" শব্দটির অপব্যাবহার হইতে বিরত থাকার অনুরোধ রইল !

পাঁঠারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলাম বিষয়ে সাধারণের মত, গ্রাম্য সালিশের রায়কে "ফতোয়া" বলিয়া "ফতোয়া" শব্দটিকে বিতর্কিত বানাইয়াছে ! আমাদের আবাল মিডিয়াতে যেহেতু পাঁঠারাই প্রভাবশালী তাই মিডিয়াতেও শব্দটির অপব্যাখ্যা চালু হইয়াছে !

সাধারণভাবে বলা যায়, ফতোয়া হইল দলিল-প্রমান সহ ইসলামী শরিয়ার ব্যাখ্যা ! ইহা প্রদানের জন্য দাওরা (মাস্টার্স সম মানের ) পাশের পরে আলাদা ইফতা ডিগ্রি অর্জন করিতে হয়। প্রধান মুফতির অধীনে একাধিক মুফতির গবেষণার পরে কোন ফতোয়া লিখিত হয় ! ফেসবুক বা ব্লগে বা গ্রাম্য সালিশে ফতোয়া উৎপাদন হয় না !

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ বিষয়টা জানানোর জন্য! আসলে কেউ কেউ এই নিয়ে যেভাবে লিখে সেটাকে সেই অর্থে - ফতোয়া বলেছি!

৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: রোজা মোবারক
প্রচলিত নিয়মে রোজা রাখা অবস্থায় কোন খাদ্য সহ পানি পানও নিষিদ্ধ। কিন্তু পানি পানে নিষেধাজ্ঞাটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। পিপাসিত অবস্থায় পানি পান না করা আত্মহত্যা সমতুল্য। প্রকৃতি বিরোধী। পানিতে কোন পুষ্টিজাতীয় খাদ্য উপাদান নাই। তাহলে পানি পানে রোজা নষ্ট হবে কেন?
ভাগ্যিস মোল্লারা পয়-প্রক্ষালনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেন নাই!

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: যেহেতু এই নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে তাই এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না! ভালো থাকবেন!

৭| ১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শর্টকাট মুসলিমদের ফেসবুক পোস্টকে পাত্তা না দেয়াই ভাল। এরা কোন ছবিতে আমিন, সুবহানাল্লাহ, মাশাআল্লাহ লিখেই বেহেশতে যেতে চায়...

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এবং তিক্ত হলেও সত্যি এটা- এসব কিছু মৌলানারা বেশি বলে না, বলে সাধারণ ফেসবুক ইউজার রা! সত্যি অবাক হতে হয়!

৮| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৪

বোববুরগের বলেছেন: Great points all of them. I would also like to point out, sometimes people fast simply because of peer pressure. Happend to me when I was living in Dhaka. The point of Ramadan is to teach self discipline, we often forget that. Passive societal pressure to conform is no way of teaching self discipline. It has to come from within.

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেটাই ভাই! এই রোজা থেকে যা আমাদের শেখা উচিৎ আমরা তা শিখি না!! ধন্যবাদ!

৯| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমরা আসলে অদ্ভুত এক গবেষক প্রজাতি!! নিজেরা যা ভাবি তা জাতিকে জানানো কর্তব্য মনে করি। উপদেশ দেই। এগুলো হলো অভদ্রতা ও এরোগেন্সি।

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আসলে আমরা সবাই নিজেকে খুব বেশি সবজান্তা ভাবতে শুরু করছি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.