নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ও ঐক্যবদ্ধ মোকাবেলা

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭





রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ও ঐক্যবদ্ধ মোকাবেলা
ফকির ইলিয়াস
==========================================
বাংলাদেশে একজন ইতালিয়ান ও একজন জাপানি নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ তাজ্জব করেছে গোটা বিশ্ববাসীকে। কী এক চরম অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে। এটা কারা করছে তা বের করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারি সংস্থাগুলো কী করছে- তা বুঝতে পারছেন না দেশের মানুষ।

বাংলাদেশে জঙ্গি আছে কি না তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন। এসব খতিয়ে দেখার দায়িত্বও সরকারের। বিদেশিদের হত্যার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে আবারো বাংলাদেশ আসছে আলোচনায়। এ বিষয় নিয়ে ঢাকায় কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন বার্নিকাট। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসের উত্থান ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। ঢাকায় ‘ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা। তিনি বলেছেন, ‘আইএসসহ সহিংস উগ্রবাদ দমনে যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আইএসের উত্থান মোকাবেলার জন্য যা যা দরকার, তার সবই আমাদের আছে। বেশ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস উগ্রবাদ দমনে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি। আর অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকার জোরালো করেছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছেন। আমরা আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ইতালি ও জাপানের নাগরিক হত্যার তদন্তে সহযোগিতা চায়, আমরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছি।’

অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- দুই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইএস জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। বাংলাদেশে আইএসের মতো কোনো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা নেই বলেও ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেছেন , ‘সন্ত্রাসীদের কোনো সীমানা নেই। তাদের যে কোনো তৎপরতাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস মোকাবেলায় যৌথভাবে কাজ করছে। গত চার দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতাই উন্নয়নকে ¤øান করতে পারবে না।’ সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করে বার্নিকাট বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এ বিষয়টি সামাল দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, এটাই এখন গোটা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া দরকার। আমরা দেখেছি, সিরিয়ায় ইতোমধ্যে রাশিয়া বিমান হামলা করেছে আইএসের ওপর। সে সঙ্গে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় হমস শহরে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলমান রুশ বিমান হামলার আওতা ইরাক পর্যন্ত স¤প্রসারিত করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের স্পিকার ভ্যালেন্তিনা ম্যাতভিয়েঙ্কো। বাগদাদ সরকারের অনুরোধেই বিষয়টি রুশ সরকার বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি। তবে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে এ রকম কোনো অনুরোধ পায়নি বলে জানিয়েছে রুশ সামরিক বিভাগ।

ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমনে সিরিয়ায় চলমান বিমান হামলার পাশাপাশি এবার স্থলসেনা পাঠানোর কথাও ভাবতে শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আইএসবিরোধী অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য সিরিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক সেনা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শিগগিরই স্থলসেনা পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানালেও সপ্তাহ না ঘুরতেই নতুন এই পরিকল্পনার কথা জানাল রাশিয়া। শুধু তাই নয়, সিরিয়ার পাশাপাশি ইরাকেও রুশ অভিযান বিস্তারের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

আইএসবিরোধী রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর সিরিয়া থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করা সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। রুশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা এই দাবি করেছেন। বিষয়টিকে সিরীয় এবং রুশ বাহিনীর যৌথ অভিযানের সাফল্য বলেও দাবি করেন তিনি। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস, আল-নুসরা এবং জায়েশ আল-ইয়ারমুকের অন্তত তিন হাজার সন্ত্রাসী সিরিয়া থেকে পালিয়ে জর্ডানে আত্মগোপন করেছে। একই দিনে সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী ওমরান আল-জৌবি ‘সিরিয়ান টিভি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রুশ বিমান হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এবং তাদের সহকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। দাবি করা হচ্ছে, সিরিয়ায় আইএসের পতন হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে- এই জঙ্গিরা যাবে কোথায়? তাদের গন্তব্য কি?

আমেরিকা বলছে, তারাও ইসলামি জঙ্গিসহ কোনো সন্ত্রাসীকেই ঠাঁই দেবে না। যদি তাই হয়- তাহলে রাশিয়ার এই জঙ্গি হামলাকে প্রত্যক্ষ সাহায্য যুক্তরাষ্ট্র কেন করছে না? আমেরিকা এর আগে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পদত্যাগ চায়। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আগেই বলেছেন, যারা ইসলামিক স্টেটকে মদদ দিচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ করতে চায় তাদের উৎসাহিত করে ওয়াশিংটন বিরাট ভুল করছে। কয়েক সপ্তাহ আগে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল। সেখানে জন কেরি প্রেসিডেন্ট আসাদকে সহযোগিতার ব্যাপারে রাশিয়ার ভূমিকায় ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘আমরা শুধু সিরিয়াকে সাহায্য করি বিষয়টা তা নয়, আমরা ইরাক এবং আরো অনেক দেশকেই অস্ত্র দিয়ে থাকি, যেসব দেশ মনে করছে তারা সন্ত্রাসের প্রথম সারির হুমকিতে রয়েছে। তবে উল্লেখ্য, কোনোরকম রাজনৈতিক পূর্বশর্ত ছাড়াই আমরা ইরাক ও অন্য দেশগুলোকে সাহায্য দিয়ে থাকি।’

আমরা জানি, সিরিয়ায় চার বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন আড়াই লক্ষাধিক মানুষ। এ ছাড়া ঘর হারিয়ে শরণার্থী হয়েছেন এক কোটির বেশি মানুষ। এর ফলে ২০১১ সাল থেকে দেশটিতে জঙ্গি সংগঠন আইএস মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বর্তমানে আইএসসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী আসাদ সরকারকে হটাতে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আমেরিকা এই আগুন থামাতে পারত। চেষ্টা করতে পারত। সে দেশের কিছু শরণার্থীকে ঠাঁই দেয়ার মধ্য দিয়েই এ দায়িত্ব শেষ করার নয়। এই আগুন জিইয়ে রাখার হেতু কি?

সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি কোনা যুদ্ধে জড়াতে চায় না আমেরিকা। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ‘অ্যাটাক দ্য সিস্টেম ডট কম’র প্রধান সম্পাদক কিথ পিটারসন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএলের সহযোগিতায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করাই হচ্ছে আমেরিকার প্রাথমিক লক্ষ্য। ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন পিটারসন। এর আগে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব ক্রোকার বলেছেন, মার্কিন সরকারের উচিত সিরিয়ায় আইএসআইএল এবং প্রেসিডেন্ট আসাদ দুপক্ষকেই টার্গেট করা। সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলা শুরুর পরপরই ক্রোকার এ মন্তব্য করেন। এ সম্পর্কে পিটারসন বলেন, দৃশ্যত মনে হচ্ছে ওবামা প্রশাসন আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে আসছে। তারা বহুদিন থেকে আইএসআইএলের বিরুদ্ধে বিমান হামলার দাবি করছে অথচ বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি দেখা যাচ্ছে না। কারণ মার্কিন সরকার আইএসআইএলকে আসাদবিরোধী অস্ত্র বলে বিবেচনা করে। বিষয়টি কি তাই? এমন প্রশ্ন এখন জনমনে দোলা দিচ্ছে প্রতিদিন।

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন বার্নিকাট যা বলেছেন, তা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। আমেরিকার মিত্র ছিলেন একসময় ইরাকের সাদ্দাম হোসেন। মিত্র ছিলেন লিবিয়ার কর্নেল গাদ্দাফি। তাদের পতন হয়েছে এই আমেরিকার হাতেই। পেছন ফিরে তাকালে আমরা দেখব অনেক কিছুই ঘটে গেছে, যেসব বিষয়কে ইতিহাস পরে ‘ভুল’ বলে চিহ্নিত করেছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তার বইয়ে লেখেছেন, ইসরায়েল তাকে সিরিয়ার একটি কথিত পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলার জন্য বলেছিল। তবে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের অভাবে ২০০৭ সালে জানানো ওই আহ্বানে তিনি সাড়া দেননি বলে উল্লেখ করেছিলেন বুশ। ‘ডিসিশন পয়েন্ট’ নামের একটি স্মৃতিকথায় জর্জ বুশ এ সব তথ্য জানিয়েছেন। সিরিয়ার এ পরমাণু স্থাপনাটি উত্তর কোরিয়ার ইয়ংবিয়ন পরমাণু কেন্দ্রের মতো বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে।

মুখে যত কথাই বলা হোক না কেন, যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে যে রক্তাক্ত যুদ্ধ করেছে তা বিশ্ব ইতিহাসে একটি দুঃখজনক নজির। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তার লেখা গ্রন্থ ‘ডিসিশন পয়েন্ট’-এ সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন। সেই সময়ের মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড বলেছেন, যুদ্ধের সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল না।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বেনিয়াগোষ্ঠী যখন কোনো অহেতুক যুদ্ধের প্ররোচনা করে তখন এর পেছনে মতলবি কারণ নিহিত থাকে। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় সে দেশের নিরীহ জনগণের হাতে অটোমেটিক মেশিনগান তুলে দিয়ে মার্কিন নীতি-নির্ধারকরা উল্লাসের হাসি হেসেছিলেন। সেই কট্টরবাদী আফগানরাই এখন ‘তালেবান’ নাম ধারণ করে মৌলবাদী জঙ্গিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এর সঙ্গে মার্কিনি এজেন্ট বলে কথিত ওসামা বিন লাদেনের আলকায়েদা গ্রুপ এখনও মার্কিনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে যত্রতত্র। সব মিলিয়ে বিশ্ব আজ একটি মহাসংকটের দিকেই এগোচ্ছে। এটা ভয়াবহ সংকেত। মানুষজন বলতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী নামের এই গ্রহ! কার জন্য এই যুদ্ধ? আর কত রক্তপাত? মাত্র কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। এই অধিবেশনে অনেক নেতা অনেক শান্তির পায়রাই উড়িয়েছেন। কোথায় সেই শান্তির প্রতীক? কোথায় সেই বাণীবদ্ধ চেতনা? না কি সবই ফাঁকা বুলি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আসছে। ২০১৬ সালেই ক্ষমতার পালাবদল হবে আমেরিকায়। বারাক ওবামা তার আট বছর পূর্ণ করে অবসরে যাবেন। রিপাবলিকানরা ক্ষমতার জন্য মরণ কামড় দিতে চাইছে। গেল আট বছর তারা মূল ক্ষমতার বাইরে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা চাইছে ধরে রাখতে রাজাসন। হিলারি ক্লিনটন অন্যতম ডেমোক্রেট প্রার্থী। তাকে ইমেল কেলেঙ্কারিতে ইতোমধ্যে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা হয়েছে।
রিপাবলিকানদের ‘যুদ্ধবাজ’ খ্যাতি আছে। সেটাই কি আবারো দেখবে বিশ্বাবাসী? প্রতিটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সে দেশের মানুষকেই সতর্ক হতে হবে। বাইরে থেকে এসে কেউ শান্তির নহর বইয়ে দিতে পারবে না। এমন উদারহণ আমরা অতীতে অনেক দেখেছি।
-----------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.