নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতার কল্যাণে ভাষাময় জীবন

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৩




মানবতার কল্যাণে ভাষাময় জীবন
ফকির ইলিয়াস
=====================================
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের সমাধি শেষ পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে। ওয়েব পোর্টাল পরিবর্তন ডট কমের প্রতিবেদক ফারজানা টুসির পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। তার গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে আজিমপুর গোরস্তানে সালামের কবরের চিহ্নায়ন। আজিমপুর পুরোনো কবরস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল তিন-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আনসারুজ্জামান, অঞ্চল তিন-এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, কবরস্থানের সিনিয়র মহরার মিজানুর রহমান ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান এবং সাংবাদিক ফারজানা টুসির উপস্থিতিতে শনাক্ত হয় ভাষাশহীদ সালামের কবর। সংবাদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে এই জাতি, এই দেশ জানতো না কোথায় মিশে আছেন এই বীর শহীদ। জানতো না তার পরিবার।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভে অংশ নেন বাংলার দামাল ছেলেরা। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালালে আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯৫২ সালের ৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আবদুস সালাম ১৯২৫ সালে ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে গ্রামটি তার নামানুসারে সালামনগর করা হয়। আবদুস সালাম কর্মজীবনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের ‘পিয়ন’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬/বি নম্বরের কোয়ার্টারে থাকতেন। এরই মধ্যে তার নামে সালামনগরে ভাষাশহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
আমরা অতীতের দিকে তাকালে দেখব, রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৯৫২ সালে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। ১৯৫৪ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু যাদের প্রাণের বিনিময়ে এ ভাষা পেয়েছিল বাঙালি জাতি তাদের বিশ্ব দরবারে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ ছিল না। এই দায়িত্ববোধ থেকে কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাংলাদেশি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের কাছে একটি আবেদন করেন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে দিনটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতি বছর দিনটিকে আন্তর্জাতিক মার্তভাষা দিবস হিসেবে নিজেরা পালনের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে সাধারণ পরিষদে পাস হয়।
আজকের বিশ্বে সে ভাষাই তত বেশি শক্তিশালী, যে ভাষার যে রাষ্ট্রের অর্থনীতি যত বেশি চাঙ্গা- অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তার কারণ কী? কারণ হচ্ছে শক্তিশালী ভাষাভাষী মানুষরাই বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছে। অগ্রসরমান প্রজন্মের শক্তি সঞ্চিত হলেই স্বীকৃতি মিলছে নিজ ভাষার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের প্রধান প্রধান হাসপাতালে সাইনবোর্ড ঝুলছে, ‘আমরা বাংলায় কথা বলি’। নিউ ইয়র্কের বোর্ড অফ এডুকেশন তাদের প্রতিটি নোটিশে এখন সংযোজন করে নিয়েছে বাংলা ভাষা। নির্দেশিকায় স্থান পাচ্ছে বাংলায় নিয়মাবলি। তার কারণ প্রায় পঁচিশ হাজারেরও বেশি বাংলা ভাষাভাষী ছাত্রছাত্রী এখন লেখাপড়া করছে নিউ ইয়র্কের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। এখন এখানে ‘বাংলা কারিকুলাম’ চালু করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষার প্রচেষ্টা চলছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন অবশেষে তাদের নির্বাচনী নথিপত্রে ভোটারদের জন্য বাংলা ভাষা সংযুক্ত করেছে। বোর্ড অব ইলেকশন তাদের নির্বাচনী নির্দেশিকায় ইতোমধ্যে বাংলা ভাষায় নির্বাচনী তথ্যাদি প্রকাশ করেছে। বোর্ড অব ইলেকশনের ছাপা ৫টি ভাষায় লেখা মোট ২৪ পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় প্রচ্ছদ ও পেছনের পাতায় বাংলা উপস্থাপন ছাড়াও ভেতরে পুরো ৪ পাতাজুড়ে বাংলায় নির্বাচনী তথ্যাদি সংযুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বে একই রাষ্ট্রে বিভিন্ন ভাষা চালু থাকার উদাহরণও দেখি আমরা। ভারতের কথাই ধরা যাক। কেরালা কিংবা তামিলনাড়ু অঙ্গরাজ্যের মাতৃভাষা আর কলকাতার মাতৃভাষা এক নয়। দুটি রাজ্যের দুজন নাগরিকের রাষ্ট্রভাষা যদিও ‘হিন্দি’ কিন্তু এই দুই অঙ্গরাজ্যে তা কি মানতে দেখা যায়? না, যায় না। বরং এই দুই অঙ্গরাজ্যের নাগরিকরা মিলিত হয়ে যান এক ভাষায়। আর তা হচ্ছে ইংরেজি। ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন মাল্টিকালচারাল কোম্পানি তাদের শোরুম খুলেছে মুম্বাই, দিল্লি, পুনা কিংবা কেরালার ট্রিচুর ডিস্ট্রিক্টে। সেখানে ভারতীয় রিপ্রেজেনটেটিভদের বলা হয়েছে, ফোনের জবাব দিতে হবে ইংরেজিতে। কারণ ক্লায়েন্ট সবাই ইউরোপ-আমেরিকার। ভাষার প্রতিপত্তি এভাবেই দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন উপনিবেশ। অর্থনীতিই হয়ে উঠেছে মুখ্যশক্তি। এমনকি বদলে দেওয়া হয়েছে সেখানকার প্রতিনিধিদের নামও। ‘রাজেশ’ হয়ে গিয়েছে ‘রেন্ডি’, ‘মনীষা’ হয়ে গিয়েছে ‘মনিকা’। এ বদল শুধু প্রতীকী কারণের। এই সঙ্গে জড়িত ‘মাল্টিকমপ্লেক্স বিজনেস এন্ডি মার্কেটিং’।
বিভিন্ন দেশেই আজ একটি বিষয় লক্ষ করা যায়, তা হচ্ছে শুদ্ধ এবং কথ্যভাষার দ্বন্দ্ব। যুক্তরাষ্ট্রে আঞ্চলিক কিংবা কথ্যভাষায় বিভিন্ন র‌্যাপ সঙ্গীতে এমনভাবে বাণীবদ্ধ করা হয়, যার মাঝেমধ্যে অশ্লীল, অশোভন কিছু শব্দও ঢুকিয়ে দেওয়া হয় খুব কৌশলে। এসব গান পারিবারিক আবহে, মাতা-পিতা-স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নিয়ে বসে শোনার মতোই নয় বলা যায়। তারপরও এসব র‌্যাপ সঙ্গীতের সিডি বাজারে আসছে মিলিয়ন মিলিয়ন। এরও কারণ একটাই, বাণিজ্যিক মুনাফা অর্জন এবং তা সম্ভবও হচ্ছে। কবি অক্টাভিও পাজ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি লিখি আমার মাতৃভাষায়। বাজারজাতকারীরা তা ইংরেজিতে তর্জমা করে মুনাফা লোটে। নোবেল কমিটির কাছেও ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব বেশি। তা না হলে তারা ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় প্রতিষ্ঠিত কবি-লেখকদের ব্যাপারে অন্তিমে এসে আগ্রহী হবে কেন?’ পাজের ক্ষোভ বাজারি মুনাফাখোরদের প্রতি। কিন্তু সে ক্ষোভ যতই তীব্র হোক না কেন, ভাষা বাণিজ্যকারীরাই পৃষ্ঠপোষকতা পায় বিভিন্ন সরকারের, রাষ্ট্র শাসকদের। এই মুনাফালাভের লোভ তো লেখকরাও সংবরণ করতে পারেন না!
বলছিলাম, একই রাষ্ট্রে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার কথা। কোনো অঞ্চলের কথ্য ভাষায় সাহিত্য রচিত হবে কিনা; কিংবা হওয়া উচিত কিনা তা নিয়েও চলছে নানা বিতর্ক। একটি কথা মনে রাখতে হবে, একই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই একটি অঞ্চলের কথ্যভাষা অন্য অঞ্চলে সম্পূর্ণ অচল। এমন কিছু শব্দ আছে যা অঞ্চলের ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন অর্থও প্রকাশ করে। তাহলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসছে যিনি কোনো আঞ্চলিক কথ্যভাষায় গদ্য পদ্য লিখছেন, তিনি কি এ অঞ্চলের পাঠককে সামনে রেখেই তা লিখছেন। নাকি তার জাতীয় ভাষার পাঠক তার লক্ষ্যবিন্দু। আগেই বলেছি, ইংরেজিতে কথ্য অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে গান রচিত, গীত হচ্ছে পাশ্চাত্য। এর শ্রোতাও একটি গোষ্ঠী। বাজারি চাহিদাও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেও ইংরেজি ভাষার বাচনভঙ্গি, উচ্চারণের ভিন্নতা প্রায়ই লক্ষ করা যায়। যেমন- নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, টেক্সাস কিংবা নিউ ইয়র্কের মানুষ একই বাচনভঙ্গিতে কথা বলেন না। সমকালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হতে যত বেশি সম্ভব ভাষার দখল শিখতে পারাটাই কৃতিত্ব বলে আমি মনে করি। যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা কোনো বাঙালি প্রজন্ম যদি বাংলা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতির ওপর গবেষণা করে বাঙালি জাতিসত্তাকে বিশ্বে আরো উজ্জ্বল করতে পারে তা তো সবার জন্যই শুভ বার্তাবাহী। কেউ যদি জাপান কিংবা চীনের কোনো বাণিজ্যিক, বৃত্তিমূলক কাজে আমেরিকা থেকে যান তাকে আগেই ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি সেখানে গিয়ে যোগদানের আগে যদি জাপানি কিংবা চীনা ভাষা কিছুটা রপ্ত করে যান তবে তাকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে তার থাকাকালীনই তাকে ভাষা শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করবে জাপানি কিংবা চীনা ওই প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব মানবের কাছে নিজেদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার এই যে চেষ্টা এবং চেতনা তা অনুসরণযোগ্য। আর এর সঙ্গে অর্থ রোজগারের বিষয় তো রয়েছেই।
এটা গর্বের কথা, বিদেশে বাংলাভাষার দাপট এগিয়ে যাচ্ছে জোরেশোরেই। অর্থ উপার্জনের উৎস করে দিতে পারলেই ভাষা সংস্কৃতি এখন আদৃত হচ্ছে বিশ্ববাজারে। তাই ভাষাকে টিকে থাকতে হচ্ছে এই অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই। একটি ভাষার শক্তি, মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের জোর বাড়িয়ে দেয়। কারণ সে যখন তার নিত্যপ্রয়োজনে ওই ভাষায় কথা বলে জীবন চালাতে পারে, আয়-রোজগার করতে পারে, তখনই ওই ভাষার প্রতি তার মমত্ব বাড়ে। যে বুঝতে পারে তার কথার মূল্য আছে। তার অক্ষরের মূল্য আছে। লেখার শেষ প্রান্তে এসে আরেকটি অর্জনের খবর পাঠকদের জানাতে চাই। গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ মার্কিন সরকারের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারের অনানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। নিউ জার্সির প্যাটারসন শহরে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় প্যাটারসনের ডেপুটি মেয়র পেড্রো রড্রিগেজ, কাউন্সিল ভাইস প্রেসিডেন্ট রুবি কটন, স্থানীয় কাউন্সিল সদস্যরা, প্যাসিক কাউন্টি অফিসের কর্মকর্তারা, নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বহু সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, টেক্সাসের হিউস্টনে বাংলাদেশ কমিউনিটির নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে একটি শহীদ মিনার ইতিপূর্বে নির্মিত হয়েছে। নিউজার্সির শহীদ মিনারটি মার্কিন সরকারের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শহীদ মিনার, যার জন্য জমির বরাদ্দ ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে পূর্ণ অর্থায়ন করেছে। ২০১২ সালে বিভিন্ন ভাষাভাষীর সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী কমিউনিটির মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং প্যাটারসনের বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্যাটারসন সিটি কাউন্সিল ওয়েস্টসাইড পার্কে জমি বরাদ্দ এবং ২০১৩ সালে এই প্রজেক্টের জন্য প্যাসিক কাউন্টি আর্থিক অনুদান দেয়। এই যে স্বীকৃতি, তা লাখ লাখ মার্কিনি অভিবাসী বাঙালিকেই সম্মান। বাংলা ভাষাকে সম্মান।
আমি যে কথাটি বারবার বলি, বাংলার পাশাপাশি এই প্রজন্মকে অন্যান্য ভাষাও রপ্ত করতে হবে। জানতে হবে অন্যান্য ভাষার সাহিত্য-সংস্কৃতি। মানুষের জ্ঞানার্জনের পরিসীমা নেই। ইন্টারনেট এখন হাতের মুঠোয়। এই সুযোগ কাজে লাগাতে
হবে। অধ্যবসায় ছাড়া কোনো জেনারেশনই এগোতে পারে না।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ॥ ঢাকা ॥ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.