নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুনি যানবাহন ও আমাদের বিবেক

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৯




খুনি যানবাহন ও আমাদের বিবেক
ফকির ইলিয়াস
===================================
দেশের দুজন কৃতী মানুষ তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে খুন করেছিল একটি যানবাহন। তা নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের মনে আছে- ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় চুয়াডাঙ্গা পরিবহনের বাসের সঙ্গে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারা দুজনসহ ঘটনাস্থলেই পাঁচজন প্রাণ হারান। গুরুতর আহত হন আরো তিনজন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাস চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম হোসেন ও জামাল হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি। তারা কাগজের ফুল ছবির শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। এ ঘটনায় ওই দিনই ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে বাসের চালক জামির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরদিন বাসের চালক জামির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ওই বছরের ১৭ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনকে হত্যার দায়ে বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর এই আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার একমাত্র আসামি জামির হোসেন ওরফে জমির ড্রাইভারের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় থাকা জামিরকে নির্লিপ্ত দেখা যায়। রায়ের পর পুলিশ তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়। বিচারক তার আদেশে বলেন, জামির হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৪২৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাকে ৩০৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো। আর দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

মামলা দায়েরের আট মাস পর জামিরের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে জামির হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এগুলো হচ্ছে- বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো (ধারা ২৭৯), সাধারণ জখম (৩৩৭), গুরুতর জখম (৩৩৮ক), খুন নয় এমন নরহত্যা (৩০৪) ও মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করা (৪২৭)। এর মধ্যে আদালত গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৩০৪ ও ৪২৭ ধারায় জামিরকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করেন। সবচেয়ে অবাক করা কথা হচ্ছে, এই ড্রাইভারের লাইসেন্সটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। রায়ে বলা হয়েছে, বিআরটিএ’র রেকর্ড মোতাবেক দুর্ঘটনার সময় জামির হোসেনের চালক লাইসেন্সটি তিন বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। পরে তিনি লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদনের একটি ¯িøপ আদালতে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিআরটিএ থেকে প্রাপ্ত পত্রে স্পষ্ট বলা হয়, জামিরের দেয়া ¯িøপটি ছিল ভুয়া। সেটি বিআরটিএ থেকে সরবরাহ করা হয়নি।

রায়ে আরো বলা হয়, অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ ছিল না। একই সঙ্গে আসামি বাসটির গতি নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রটি (স্পিড গভর্নর) কারসাজি করে রেখেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রিত গতির চেয়ে অধিক গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বিআরটিএ’র উপপরিচালক আবদুস সাত্তার দুর্ঘটনাকবলিত দুটি যানবাহনের তদন্ত করেন। তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্রটি কারসাজি (ট্যাম্পার্ড) করা ছিল।

হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশে যানবাহন এভাবেই খুনি হয়ে উঠছে। মাননীয় বিচারক তার রায়ে বলেছেন- এজাহার, অভিযোগপত্র, খসড়া মানচিত্র, বিআরটিএ’র চিঠি, জব্দ করা ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স, নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীর অভিন্ন ও অকাট্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, আসামি বাসটিকে বৃষ্টি ও বাঁকের মধ্যে অবহেলার সঙ্গে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে একটি মিনিবাসকে ওভারটেক করে মাইক্রোবাসটিকে নির্মমভাবে আঘাত করেন। এর ফলে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচটি তরতাজা প্রাণ ঝরে যায়। আসামির বেপরোয়া আচরণ ও অবহেলার কারণেই এই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

এই রায়টি ঘোষিত হওয়ার পর বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। কারা এই ধর্মঘটে মদত দিচ্ছে? আমার মনে আছে, এই নির্মম দুর্ঘটনার পর আমি ‘ভোরের কাগজ’-এ একটি লেখা লিখেছিলাম। ‘যখন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের সমাধির দিকে তাকাবো’- শিরোনামে লেখাটি ২০১১ সালে ২২ আগস্ট ছাপা হয়েছিল। সেই লেখার কিছু অংশ আমি আবারো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি লিখেছিলাম- ‘তারেক মাসুদ একসময় যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। মিশুক মুনীরও ছিলেন কানাডায়। দুজনেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। কেন গিয়েছিলেন? সেই প্রশ্নটি আমি বারবার করি। তারা তো বিদেশে থাকলে ভালোই করতেন। কেন গেলেন দেশে? গিয়েছিলেন এই দেশকে কিছু দেয়ার জন্য। দেশের মানুষের মননকে শাণিত করার জন্য। দেশের প্রজন্মকে আলোর উজ্জ্বল পথ দেখাার জন্য। কিন্তু কী পেলেন তারা? প্রাণ দিতে হলো। চলে যেতে হলো চিরতরে। গত কদিন থেকে আমি বিষয়টি যতবার ভাবছি, ততবারই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছি। এই দেশ, এই মাটি তাদের এভাবে হত্যা করতে পারল?’

আমি এই প্রশ্নটি আবারো করছি। আজ দেখা যাচ্ছে, একটি চক্র দেশকে ধর্মঘটের নামে অচল করে দিতে চাইছে। বাংলাদেশে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। এদের নেতা কে? সরকারি দল ও বিরোধী দলের কিছু সিনিয়র নেতা আছেন যারা শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ করেন। এরাই দেশে নিজ নিজ সরকারের সময়ে হাজার হাজার ভুয়া ‘ড্রাইভার’ বানাবার কসরত করেন। আজ দাবি উঠেছে, বন্দুকের লাইসেন্সের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্সেও কড়াকড়ি করা হোক। কারণ একটি গুলি একজন লোক খুন করে। আর একজন বাস বা ট্রাক ড্রাইভার শত শত যাত্রীর জীবন বিপন্ন করে। এই যুক্তিটি সরকারি মহল কীভাবে নেবে? আমরা প্রায়ই টিভিতে দেখি, ভাঙা বাসগুলোকে রং করে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। ভেতরের ইঞ্জিনের অবস্থা কী? তা কে দেখবে? না, বাংলাদেশে তা দেখার লোক নেই। কেন নেই?

সংবাদ বেরোচ্ছে, কোনো কোনো মন্ত্রীও নাকি এসব খুনি শ্রমিকদের মদদ দিচ্ছেন। কেন দিচ্ছেন? খুনি তো খুনিই। সে খুন যেভাবেই করুক। পরিবহন ধর্মঘটের নামে দেশজুড়ে নৈরাজ্য গড়ে তোলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। মানুষ হত্যার লাইসেন্স চাইছে এসব খুনিরা। অপরাধ যে করবে, সে আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি পাবে। এটাই আইন। তাহলে আজ কি আদালত অবমাননা করে ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে না?

ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হলেন শাজাহান খান। যিনি সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য। সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি হলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা। সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী যখন দুই পরিবহন সংগঠনের শীর্ষ নেতা তখন দেশবাসীকে জিম্মি করে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট কার স্বার্থে? এমন প্রশ্ন তুলেছে যাত্রী অধিকারের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন।

সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব অযৌক্তিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত। ধর্মঘট আহ্বানকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আদালত এ রায় দিয়েছেন, জনগণ দেয়নি। রায়ের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে জনগণ কেন কষ্ট পাবে?’ কী এক আজব কিছু মানুষের মানসিকতা। খুনিকে বাঁচাতে তারা দেশ অচল করে দিতে চাইছেন?

মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি মিডিয়াকে বলেছেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী রায়। বিজ্ঞ আদালত বিচার-বিবেচনা করে রায় দিয়েছেন। হাইকোর্টে যদিও আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আশা করি রায় বাস্তবায়ন হবে। এই রায় নজির হিসেবে ব্যবহার হবে, অন্য যারা স্বজন হারিয়েছেন, তারাও বিচার পাবেন।’

মিশুক মুনীরের স্ত্রী বলেছেন, একজন দোষী গাড়িচালকের বিচার হলে অন্যরা সতর্ক হবেন। তারা বুঝবেন, কাউকে হত্যা করলে পার পাওয়া যাবে না। আইনটির শুধু কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ওই ভয়ঙ্কর দিনে তারেক, মিশুকসহ আরো যাদের আমরা হারিয়েছিলাম, পৃথিবীর কোনো আদালত আর তাদের ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তবু তাদের অনুপস্থিতিতে এতগুলো বছর যে দুর্বিষহ যন্ত্রণা আমরা সয়েছি, এই রায় কিছুটা হলেও তার দায় মেটাল।’

কিন্তু সবকিছুই আজ ¤œান করে দিতে চাইছে কিছু শ্রমিক নেতা। তারা দেশকে জিম্মি করতে চাইছে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন আইনকে যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। কেউ কেউ আবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখারও দাবি জানান। কিন্তু পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে বরাবরই নতুন আইনে এ রকম বিধান না রাখার দাবি জানানো হয়েছে। সর্বশেষ আইনে পাঁচ থেকে তিন বছর পর্যন্ত চালকের শাস্তি বহাল আছে। যদিও কয়েক বছরেও আইনের চূড়ান্ত খসড়া সম্ভব হয়নি।

মানুষ এখন ক্রমশ ক্ষেপে উঠছে। ধর্মঘট অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। তারা বলেছে, উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে ডাকা এ পরিবহন ধর্মঘট পেশিশক্তি দেখানো হচ্ছে। জনগণকে জিম্মি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটি সুগভীর নীলনকশা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সরকার যখন জনস্বার্থে তথা যাত্রীর স্বার্থে বা সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু ভালো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তখনই কিছু স্বার্থান্বেষী মালিক-শ্রমিক নেতারা এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা ধর্মঘটের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে তারা কি গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যাকে বৈধতা দিতে চায়? এসব স্বার্থান্বেষীদের ষড়যন্ত্রে সড়ক নিরাপত্তা আজ চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। সড়কে মাছির মতো, পাখির মতো মানুষ মরছে। প্রত্যাশিত একের পর এক রায়গুলো সরকারের একটি সদিচ্ছার প্রতিফলন হলেও এ রায় তথা আদালতকে চ্যালেঞ্জ করে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট বন্ধে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

মানুষকে আজ ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বিবেক জাগ্রত করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চাপে রাখতে হবে- ফিটনেস নিয়ে যেন গাফিলতি না হয়। কাজটি সহজ নয়। কিন্তু তা করে যেতে হবে। না হলে এই খুনি যানবাহনকে রোধ করা যাবে না।
----------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.