নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ বাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করার আগে

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩০




পুলিশ বাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করার আগে
ফকির ইলিয়াস
-------------------------------------------
বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই লিখব ভাবছিলাম। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীতে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ আমাকে এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে উসকে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এই বাহিনীর একটি গৌরবপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমি আজ সেই বিষয়টি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। তার আগে আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই, সেই বীর পুলিশ সদস্যদের যারা এই বাংলাদেশে জঙ্গি হামলায় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। অতি সম্প্রতি সিলেটে দুইজন পুলিশ অফিসার ও একজন র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান প্রাণ দিয়েছেন। এরা হচ্ছেন- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিএসবির সিআইও-১ চৌধুরী মোহাম্মদ আবু কয়সর দিপু , সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম এবং র‌্যাব-৯-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মেজর আজাদ ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুনুর রশিদ।
প্রিয় পাঠক, আমি আপনাদের একটি খোলা চিঠি পড়াতে চাই। নিজের ফেসবুকে এটি লিখেছেন আরেকজন পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহরিয়ার বিপ্লব। তিনি তার সহকর্মী অফিসার চৌধুরী আবু কয়সর দীপুকে লিখেছেন এই চিঠিটি। ‘অশ্রæসিক্ত জানাজায় রক্তিম বিদায় দিপু ভাই’ শিরোনামে তিনি লিখেছেন- ‘কিছুই লিখতে পারছি না। কোনো কিছুই আসছে না। শুধুই স্মৃতি। কিছু স্পষ্ট। কিছু অস্পষ্ট। এলোমেলো। অগোছালো। রাতেই খবরটা পেয়ে হাসপাতালে যাই। বিছানায় শুয়ে আছেন। সবাই ব্যস্ত। ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, আর্মি, দলীয় নেতা, কর্মী জনগণ। এর ভেতরেই দীপু ভাই কি ঘুমাচ্ছেন? ডাকব? ও মা নাকে তুলা। চোখের নিচে কানের কাছে লাল রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। গভীর ঘুম। মহা ঘুম। চিরতরের ঘুম।
শনিবার দুপুরে যখন শিববাড়িতে গিয়েছিলাম পেশাগত কৌত‚হল থেকে। আমাকে দেখেই বলে উঠলেন, ভেতরে যাইও না, ওখানে যাওয়া নিষেধ। তবু আমাকে যেতে দেখে আমার এক সাংবাদিক বন্ধুকে বললেন, হারা জীবন খালি বিপদ ডাইক্কা আনে। যাও গিয়া মর গিয়া। ওনাদের ক্রস করে একটি বাসার ওপরে গেলাম যেখানে পরিচিত বড় ভাইরা নিরাপদে অভিযান দেখছিলেন। সেখান থেকে দেখছিলাম সাংবাদিক বন্ধুদের এক্টিভিটিজ। দীপু ভাইকেও দেখছি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করছেন। একজনকে দেখলাম দীপু ভাইয়ের কাঁধে ক্যামেরা রেখে ছবি তুলছেন। বিকালে চলে আসি বালুচরে একটি বাসায় দাওয়াত খেতে। সন্ধ্যায় মুসলিম হলে অন্য একটি অনুষ্ঠানে। বন্ধু মানোয়ার যখন সংবাদটি দিল বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দৌড়ে যাই ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে।
আমাকে সাবধান করে নিজেই মরে গেলেন? কীভাবে বিশ্বাস করি দিপু ভাই? আপনি তো বোম্ব ডিস্পোজালের ট্রেনিংপ্রাপ্ত। এই বোমায় আপনাকে মরতে হলো। দুপুরের কথাগুলো কানে বাজছে এখনো। কত লাশ টেনেছি জীবনে। আপনার সঙ্গেও বহুবার। হবিগঞ্জে থাকার সময় প্রায় প্রতিটি দুর্ঘটনায় আপনি আমায় ডাকতেন। আমার ডিউটি না থাকলেও আপনার কারণে আমাকে যেতে হতো। রাতের পর রাত আপনার টহল গাড়িতে আমি ডিউটি করেছি। আমার রুটিন মাফিক অন্য ডিউটি থাকার পরেও এসপি সাহেবকে বলে আমাকে হাইওয়ে পেট্রোলিংয়ের নাইট ডিওটিতে লাগিয়ে দিয়েছিলেন শুধু আপনাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য। আপনি বলতেন নিজের মানুষ পেলে বুকে সাহস বেশি পাই। আমিও ক্রাইম কন্ট্রোলের কাজ পেয়ে এনজয় করছিলাম নিজেকে। বড় ভাই থেকে পরে বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময়কার আনন্দ সুখের দিনগুলো দ্রুত মনে পড়ছিল। আমি সিলেটে আসার কিছুদিন পর আপনিও চলে আসেন। সিলেটের অনেক ঘটনার সাক্ষী আপনি। বারবার আমাকে বড়ভাই সুলভ শাসন করেছেন। আমার বিয়েতেও বড় ভাইয়ের মতো দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আপনার কোনো কিছুই ঠিক ছিল না। দুঃখের কথাগুলো আমায় বলতেন। আপনার আমার পরিচিত অপজিশনের ছেলেগুলো নেতাদের তেল মেরে মেরে ভালো ভালো পদে বসে আছে কিন্তু আপনি পজিশনের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেও গুরুত্বহীন পদে বসে আছেন। এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ থাকলেও কারো কাছে যাননি তদবির করতে। এ নিয়ে আপনাকে কিছু বললে আপনি আমাকে উল্টো ঝাড়ি দিতেন। কিন্তু আজকে শাসন করে আজকেই চলে গেলেন। কীভাবে মেনে নেই। আমেরিকা থেকে আসার পরে আপনাকে বলেছিলাম চলে যান। শুধু আমি না। সারোয়ার ভাই, বিজিত দাসহ পরিচিত অনেকেই। আপনি রাগ করে বললেন, তোমার ব্যবস্থা করে দেই তুমি যাও। গিয়া দেখ কেমন লাগে।
দীপু ভাই, অকালে মৃত্যুর স্বাদ পেতেই বুঝি এসেছিলেন? বুকটা ভার হয়ে আসছে। মুখে দলা আসে। বমি বমি লাগছে। কেন দীপু ভাই। কত সঙ্গী-সাথীকেই তো হারালাম। একসঙ্গে ডিউটি করা অবস্থায় বন্ধু সার্জেন্ট করিমকেও হারিয়েছিলাম। ওর লাশ নিয়ে রাজারবাগে মিছিল করেছিলাম। লাশ নিয়ে রাজারবাগ থেকে আরিচা পর্যন্ত গিয়েছিলাম ইমোশনাল হয়ে। আজ কেনই বা সিলেটে এলাম। আমার তো এখানে আসার কথা না। তবে কি আপনাকে এভাবে বিদায় দিতেই আসা। কফিন টানার জন্যই কি ঢাকা থেকে আসা? বুকের ভার কমছে না দীপু ভাই। আপনি তো নাইওরপুল মসজিদে প্রতিদিন নামাজ আদায় করতেন। আপনি না বলতেন আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে তদবির করবেন না। তবে কি মৃত্যুর তদবির করেছিলেন? কীভাবে মেনে নেই? যদি কাঁদতে পারতাম। জোরে জোরে কান্না। গগনবিদারী কান্না। কিংবা চিৎকার। জোরে যদি চিৎকার দিয়ে একটি ¯েøাগান দিতে পারতাম। আকাশ-বাতাস ফাটিয়ে যদি বলতে পারতাম, জঙ্গিবাদ মৌলবাদ-ধ্বংস হোক, নিপাত যাক।
দীপু ভাই, বিশ্বাস করুন আপনারা আমাদের ঋণী করে গেলেন। লাল- সবুজের এই মানচিত্রকে আরো গাঢ় লাল করে দিয়ে গেলেন। সবুজ মাটিকে আরেকটু ভিজিয়ে দিয়ে গেলেন। এ ঋণ আমরা শোধ করবই। এ দেশকে আফগানিস্তান সিরিয়া হতে দেব না। এ আমার দেশ। বাংলাদেশ। এ আমার মা। মায়ের আঁচলে যতই খামচে ধরুক জঙ্গিবাদের বিষাক্ত শকুন। শকুনের এ ডানা ভাঙবই। এ আমাদের অঙ্গীকার।’
সুধী পাঠক, এই হলো বাংলাদেশ। এই হলো আমাদের একাত্তরের চেতনা। এই হলো আমাদের পুলিশ বাহিনী। আমাদের গর্ব, এখনো আমাদের হাজার হাজার শাহরিয়ার বিপ্লব বেঁচে আছেন। তারা আছেন এই দেশকে রক্ষা এবং সেবা করার জন্য। আমি খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, বাংলাদেশে আমাদের অনেকেই পুলিশকে খুব সহজেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি। হেয়প্রতিপন্ন করার প্রয়াস চালাই। কেন এমনটি করি? এরাও তো আমাদের ভাই। আমাদের বোন। আমাদের সন্তান। খুব বিনয়ের সঙ্গে জানাই বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশের পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ড দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর নীতি ও আদর্শ বিশ্বের সব দেশেই প্রায় সমান। একটা উদাহরণ দিই। নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে যেদিন আক্রমণ হয়, সেই নাইন ইলেভেনটি ঘটেছে ঠিক আমার চোখের সামনেই। পেশাগত কাজে খুব দূরত্ব বজায় রেখেই, পুলিশ ব্যারিকেড মেনেই আমাদের এগোতে হয়েছিল। বাংলাদেশে সেই ব্যারিকেড কতটা মানেন জনগণ? কিংবা কেন মানেন না? হুমড়ি খেয়ে পড়ে তো মূলত পুলিশের কাজেই বাধা দেয়া হয়। কেন এমনটি করা হয়?
আমি দেখেছি, যে সাংবাদিক হুমকি-ধমকি দিয়ে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতা দেখান তারা নিউইয়র্কে-লন্ডনে এসাইনমেন্ট নিয়ে এসে এখানের পুলিশকে খুব সমীহ করেই চলেন। বাংলাদেশে তা করতে অনেকের অসুবিধা কোথায়? না আমি গড়পরতা সবাইকে দোষ দিচ্ছি না। কেউ কেউ তা করে থাকেন। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
আমরা দেখেছি, গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দুই পৃথক হামলায় নিহত চার পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে মোট ৫০ লাখ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন তিনি। গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। একই বছরের ৭ জুলাই শোলাকিয়া ঈদ জামাতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন কনস্টেবল জহুরুল হক ও কনস্টেবল আনসারুল হক।
রাষ্ট্র, পুলিশের (ডিএমপি) জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন খানকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) দিয়েছে। এই সম্মান গোটা বাঙালি জাতির। আমি বলছি না পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতিপরায়ণ সদস্য নেই। কোথায় নেই? সব দেশে, সব ক্ষেত্রেই আছে এমন মানুষের বিচরণ। তাই বলে পুরো বাহিনীকে দোষ দিতে হবে কেন?
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন তৎকালীন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য খেতাব পাওয়া পুলিশ সদস্যের সংখ্যা কম। পুলিশের মহান দেশপ্রেম ও ত্যাগকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি, যতদিন পৃথিবীর বুকে এই স্বাধীন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে। সিলেটের শিববাড়ির অপারেশনের সমাপ্তি ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেছেন, ‘অপারেশন টোয়াইলাইট যে কোনো ক্রাইসিস মোকাবেলায় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’ কথাটি খুবই সত্য। মনে রাখা দরকার- এই অপারেশনের সূচনা করেছে পুলিশ বাহিনী। আর সমাপ্তি করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তাই আমি খুব দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই, পুলিশ বাহিনীকে সামগ্রিকভাবে সবার সাহায্য করা উচিত। এই বাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করার আগে সবাইকে সংযত হতে হবে। সাহায্য করতে হবে সব শক্তি দিয়ে। দেশে জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী যে শক্তি দাপট দেখাচ্ছে, তা মোকাবেলা করার প্রথম বাহিনী পুলিশ। র‌্যাব, বিজিবি, সামরিক বাহিনী এ ক্ষেত্রে তাদের সহযোগী শক্তি। প্রথম বলয়টি কিন্তু পুলিশের হাতেই রচিত হয়। আর তাই ইতিহাস ও ধারাবাহিকতা সাক্ষ্য দেয়, তুলনামূলক পুলিশ বাহিনীতেই হতাহতের কিংবা আত্মত্যাগের সংখ্যা বেশি। আসুন আমরা পুলিশের সহযোদ্ধা হই। পাশাপাশি দেশমাতৃকার জন্য দাঁড়াই- যে যেভাবে পারি।
---------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ ১ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: লিখে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.