নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিতে একটি রাষ্ট্র বিক্রির কল্পকাহিনী

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮




রাজনীতিতে একটি রাষ্ট্র বিক্রির কল্পকাহিনী
ফকির ইলিয়াস
============================================
ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির কথা আপনাদের মনে আছে? এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারত রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে সম্পাদিত গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বি-পক্ষীয় আন্তর্জাতিক চুক্তি। ১৯৭৪ ইংরেজির ১৬ মে তারিখে নয়াদিল্লিতে সম্পাদিত হয় এই চুক্তিটি। বাংলাদেশের পক্ষে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই চুক্তিটি হওয়ার সই হওয়ার পরপরই একটি মহল বলেছিল, শেখ মুজিব দেশ বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা বলেছিলেন- এটা গোলামি চুক্তি। এরা কারা? কী তাদের পরিচয়? বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার গেলো ৪৬ বছরে তারা কেমন আছে বাংলাদেশে? এখন তাদের অবস্থান কী?
কথায় কথায় ভারতকে গালি দেওয়া বাংলাদেশের এক শ্রেণির রাজনীতিকের কাজ। এরা চরম ভারত বিদ্বেষী। এর কারণ কী? কারণটি হলো- এরা চায়নি ভারত বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালে সাহায্য-সহযোগিতা করুক। এরা চায়নি, ভারত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর পক্ষে লড়াই করুক। এরা মূলতই আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। দিনে দিনে তাদের আচরণে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভারতের লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হয়েছিল ৭ মে ২০১৫ তারিখে। বিলটি পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় তারা দুই দেশের দুই বরেণ্য নেতার কথা স্মরণ করেছেন। তাদের ফোনালাপে উঠে এসেছিল বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা। ফোনালাপের কথা প্রথম টুইট করে জানিয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদিই।
বিলটির লক্ষ্য ছিল, ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমি বিনিময়, এবং সাড়ে ৬ কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করা। এই বিলটি পাসের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় নিশ্চিত হয়। দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপনের পর চুক্তি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে আশাবাদী হয়ে উঠেন ভারতীয় ছিটমহলবাসীরা। তারা জানিয়েছিলেন ছিটমহল বিনিময় শুরু হলে বহু প্রতীক্ষার পর তারা ফিরে পাবেন তাদের অধিকার। ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হওয়ার পর ভারতের পার্লামেন্টে অনুসমর্থন পেলেও ভারতের ক্ষেত্রে তা এতদিন ঝুলে ছিল। ৪১ বছর পর ২০১৫ সালে এ চুক্তি বাস্তবতার পরশ পায়। এবং তা হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়েই।
২০১৭ সালেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুল প্রতীক্ষিত ভারত সফর সম্পন্ন হয়েছে। এ সফরকে ঘিরে নানা জল্পনা ছিল। কথা ছিল পক্ষে-বিপক্ষে। শেখ হাসিনা ভারত সফরের প্রাক্কালে বলে গিয়েছিলেন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের, বাংলাভ‚মির সব চাওয়া, ন্যায্য পাওনা তুলে ধরবেন। তার সফরের সময় তা তিনি তুলে ধরেছেনও। যা প্রধানত আশা জাগানিয়া যাত্রার সূত্রপাত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের সময়ে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আলোচনা হয়েছে দ্বিপক্ষীয় অনেক স্বার্থ নিয়ে। একটা কথা আমরা সবাই জানি ও মানি, স্বার্থ রক্ষা এক পক্ষের হয় না। স্বার্থ রক্ষা করতে হয় দুই পক্ষের। আর এজন্য উদার হতে হয় সেই পক্ষকে যারা বেশি সচ্ছল, যারা বেশি শক্তিশালী। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রতিবেশী সম্পর্কটা খুবই ঘনিষ্ঠ। কারণ তিন দিকেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। শক্তি, সামর্থ্যরে দিক দিয়ে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে। এটি বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ জানেন এবং মানেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সার্বিক সহযোগিতা করেছিল। এই সত্যের দ্যুতিও বাঙালি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত ছড়াবে, সন্দেহ নেই। সাম্প্রতিক ভারত সফরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন। সম্মান জানানো হয়েছে ভারতীয় শহীদদের, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তুলনামূলক আলোচনার জন্য আমরা একটু পিছনে ফিরে যেতে পারি। আজ যারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে '‘দেশ বিক্রি’র অভিযোগ করছেন- তারা নিজেরা কী করেছিলেন অতীতে?
২০০৬ সালের ২০-২২ মার্চ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া ভারত সফর করেন। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত সে সফরকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছিল দু’দেশেই। তখন দু’দেশের মধ্যে দুটি গতানুগতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হচ্ছে মাদক পাচার বা চোরাচালান রোধে সহযোগিতা চুক্তি এবং বাণিজ্য উন্নয়ন চুক্তি। বাংলাদেশের জনগণ আশা করেছিল, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা চুক্তিসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ, বাণিজ্য ঘাটতি ও তিন বিঘা করিডোরসহ অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সুরাহা না হলেও আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। অথচ সে সময় এ ইস্যুগুলো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপনই করা হয়নি। খোদ সরকারের কাছে বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকায় ওই সফরের যৌথ বিবৃতিতেও দু’দেশের মধ্যকার এক নম্বর সমস্যা অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে একটি শব্দও স্থান পায়নি। এমনকি ওই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পানিমন্ত্রী বা কোনো পানি বিশেষজ্ঞও ছিলেন না। আরো বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল, খালেদা জিয়ার ভারত সফরের সময় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছিল কি না যৌথ বিবৃতিতে তারও উল্লেখ ছিল না। অথচ প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সীমান্ত সমস্যা। ওই সফরের আগে তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব হেমায়েত উদ্দিন কিন্তু বেশ ঘটা করেই সংবাদ সম্মেলনে এসব ব্যাপারে আলোচনা হবে বলেই জানিয়েছিলেন। পরবর্তীকালেও হেমায়েত উদ্দিন ওই সফরকে ফলপ্রসূ বা সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট বলে গেছেন। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে ওই সফর একধাপ এগিয়ে গিয়েছে একথা বলতে পারেননি। উপরন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কোনো সংবাদ সম্মেলনে সফরের প্রাপ্তির কথা জানাননি। স্বভাবতই ওই সফরের সময় শীর্ষ বৈঠকের পরদিন সংবাদপত্রগুলোর শিরোনাম ছিল ‘নিরাপত্তা বাণিজ্যসহ সব বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার’, ‘শুভেচ্ছাতেই সীমাবদ্ধ সফর’, ‘বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি সই : খালেদা-মনমোহন বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে মতৈক্য’, ‘বাংলাদেশের প্রাপ্তি শূন্য’ ইত্যাদি।
সেখানে থেকে ফিরে ঢাকা আসার পর বেগম খালেদা জিয়াকে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করছিলেন। এর জবাবে তিস্তা পানি বণ্টনের ইস্যুতে খালেদা জিয়া বলেছিলেন- ‘বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলাম।’ একজন প্রধানমন্ত্রী এমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কী করে ভুলে যান? কেন ভুলে যান? নাকি এর নেপথ্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল?
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ-ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তির দোহাই তুলে মানুষের সাথে প্রতারণার রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট লেখা লিখেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু-
‘২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৮৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ছিল। গত ৮ এপ্রিল ২০১৭ দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আরো অনেক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে ইতিমধ্যেই চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলি সম্পর্কে আপনারা ও দেশবাসী জেনেছেন। বহুল আলোচিত প্রতিরক্ষা খাতের তিনটি চুক্তির বিষয়ে আমি বলতে চাই, চীনের সাথে বাংলাদেশ-চীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি-২০০২ সহ রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে ১০টি চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ তার শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ সামরিক সরঞ্জাম কেনে চীন থেকে। ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় আমাদের ক্রয়কে আরো বহুমুখী ও প্রতিযোগিতামূলক করা এবং নির্দিষ্ট কোনো নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার একটি পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মান বৃদ্ধি পাবে, যুগোপযোগী চাহিদা পূরণ সহজ হবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত হবে। ভারতের সঙ্গে আগে থেকেই সামরিক ক্ষেত্রে যৌথ মহড়া, যৌথ অনুশীলন, উচ্চ পর্যায়ে সফর, প্রতিরক্ষা কলেজগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, দুই বছর অন্তর প্রতিরক্ষা সংলাপসহ বিভিন্ন সহযোগিতা রয়েছে। চুক্তিগুলোর মাধ্যমে সহযোগিতার বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোকেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত রূপ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক একটি কাঠামোগত রূপমাত্র, নতুন বিষয় নয়। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে কোনো হুমকিতেই ফেলবে না, বিপদেও ফেলবে না। বরং এর মাধ্যমে আমাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নততর প্রশিক্ষণের সুযোগের সৃষ্টি হবে। যারা বলছেন এ সফরে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি, তাদের উদ্দেশ্যে বলবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরে সাইবার নিরাপত্তা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণার মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ও ঋণ সহায়তার বিষয়ে চুক্তির মাধ্যমে দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরো একধাপ অগ্রগতি হলো, উন্নয়নের নূতন দিগন্ত সূচিত হলো।’
শেখ হাসিনার ভারত সফর কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, তা নির্ভর করছে চুক্তি এবং ওয়াদাগুলো বাস্তবায়নের ওপর। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিকামী। তারা ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু কট্টরবাদিতাকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করেন। তা বাংলাদেশে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনেও বাংলাদেশের আপামর মানুষ ঐক্যবদ্ধ। এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে গণতান্ত্রিক, উন্নয়নকামী দেশ ভারতকে মুক্তহস্তে এগিয়ে আসতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সৌহার্দ্যরে বিশ্বাস স্থাপনে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার তার মাঝে সীমান্ত সমস্যা সমাধান, সমানুপাতিক আমদানি-রপ্তানি নিশ্চিতকরণ, বাণিজ্যে বিশ্বস্ততা স্থাপন, নদীগুলোর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান অন্যতম। বাঁধ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশের যাতে কোনো ক্ষতি সাধিত না হয়- তা লক্ষ্য রাখা দরকার মানবিক কারণেই। এখানে আরেকটি বিষয় যুক্ত হওয়া দরকার- তথ্য-সংস্কৃতির আদান-প্রদান। স্যাটেলাইট টিভি, বই-পত্রপত্রিকার আদান-প্রদান এবং বিপণনেও একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণীত হওয়া জরুরি।
আগেই বলেছি, ভারত বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিবেশী। তাই বলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবেশী বাংলাদেশকে হেলা করা কোনোমতেই কাম্য নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারতার যে মুক্ত হস্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন, ভারতের উচিত উন্নয়নশীল প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের গণমানুষের কল্যাণের কথা ভেবে সেই উদারতার পথকে প্রশস্ত করা।
ইতিহাসবিদ, রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। দুর্মুখেরা যাই বলুক না কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের এটি একটি অন্যতম সাফল্য। এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ভারত মুক্ত মন নিয়ে এগিয়ে এসে এই অঞ্চলে যৌথ বাণিজ্যের সম্ভাবনা উন্মোচনে যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই সতর্ক এবং তৎপর সেটাও কারো অজানা নয়।
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রজন্ম এগোচ্ছে। এই অগ্রসরমানতা চালিয়ে নিতে হবে। এখন এই বিশ্বে লুকোবার কিছুই নেই। এই বিষয়টি তারাই মানতে নারাজ- যারা এখনো স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি।
-------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ॥ ঢাকা ॥ ১৪ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.