নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রমিকের ভাগ্য ও একাত্তরের চেতনা

১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১২




শ্রমিকের ভাগ্য ও একাত্তরের চেতনা
ফকির ইলিয়াস
======================================
বাংলাদেশে আরেকটি পয়লা মে পালিত হলো। আমি আমার লেখক জীবনে এই দিনটি নিয়ে অনেক লিখেছি। কেন লিখেছি- তার কিছু জবাব দেওয়া দরকার। এর অন্যতম কারণ আমি যে গ্রামটি থেকে এসেছি, সেই এলাকার অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর ছিলেন। আমি তাদের ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ দৃশ্যটি খুব কাছ থেকে দেখেছি। সেই সঙ্গে এটাও দেখেছি, ১৯৭১ সালে এই শ্রমজীবী মানুষেরাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ডাকটি ছিল বঙ্গবন্ধুর। তিনি বলেছিলেন, এ দেশের মানুষ আর শোষিত হবে না।
এখন আমি এই দিনটি নিয়ে বেশি লিখতে মন থেকে সায় পাই না। কারণ দেশটা তো স্বাধীন হলো। আমাদের শ্রমিকের ভাগ্য ফিরলো কি? মুখে আমরা নীতির অনেক আপ্তবাক্য আওড়াই। সভা, সমাবেশ করি। অধিকারের স্বচ্ছতা চাই। কিন্তু বাস্তবতার কথা ভুলে যাই অবলীলায়। সমাজের সীমাবদ্ধতা ভাঙতে চাই যদিও, কিন্তু সাধ্য নেই। সাধ্য না থাকার অন্যতম কারণ ধনিকশ্রেণির রক্তচক্ষু। বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থা, বৈষম্যের স্তরকে বরাবরই পাকাপোক্ত করে। এর পরিমাপ ক্রমেই বাড়ায়। বাংলাদেশে গেলো চার দশকে আমরা সে প্রমাণ পাচ্ছি কড়ায়গণ্ডায়। একটি নব্য ধনিকশ্রেণি তৈরি হয়েছে। যারা ‘কেমন বাজেট চাই’ মার্কা শেরাটনমুখী অনুষ্ঠান করে রাষ্ট্রের শোষিতশ্রেণিকে ‘টকশো’ দেখায়। লুটেরা শ্রেণির প্রতিনিধিরা পাশাপাশি চেয়ারে বসে মুচকি হাসে। আমাদের ক্ষমতাসীনরা আশার বাণী শোনান। আর বিরোধীরা ‘কর্তব্যের খাতিরে’ তা খণ্ডন করেন কিছুটা। কারণ তারা জানেন, ক্ষমতায় তারাও ছিলেন। কিছুই করতে পারেননি। আবারও যদি ক্ষমতায় যান তবুও তেমন কিছু করতে পারবেন না। তার কারণ সরকারি ও বিরোধী উভয় দলই ভোগবাদী।
সমস্যাটা অন্যখানে। বৈষম্যের এই যে কালো পাথর তা কেউ সরাতে চায় না। তারা তা রেখে দিতে চায়। স্তর তৈরি করে মানুষের যাত্রাকে আরো কঠিন করে তুলতে চায়। বাংলাদেশে অর্থের দাপট এখন যে কয়েকটি ক্ষেত্রকে চরমভাবে দখলে নিয়েছে তার একটি হচ্ছে, শিক্ষাব্যবস্থা। তুলনামূলক প্রতিযোগিতায় এখন প্রাইভেট স্কুল, কলেজ সেক্টরগুলো এগিয়ে গেছে বহু গুণ। ফলে গ্রাম থেকে উঠে আসা, গ্রামের স্কুলের মেধাবী ছাত্রটিও এখন আর টিকে থাকতে পারছে না। টাকার খেলা, ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে মেধাবীদের স্বপ্ন।
বাংলাদেশে আরেকটি নগ্নতম বৈষম্য ও শোষণের মাঠ হচ্ছে শ্রমিকের অধিকার। 'মে দিবস' এলে যে শ্রমিক নেতারা একসময় লম্বা লম্বা বক্তৃতা বিবৃতি দিতেন, তাদের অনেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায়, শিশুশ্রম বন্ধে তারা কতটা কাজ করেছেন কিংবা আন্তরিক ছিলেন। সে প্রশ্নটি আমি গোটা দেশবাসীকে করতে চাই। বরং খুঁজলে দেখা যাবে, এ মন্ত্রীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না। শিশুরা তাদের প্রতিষ্ঠানে শ্রম দিচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাঝে মধ্যেই যে শ্রমিক বিস্ফোরণ ঘটে, তা তো সেই ধারাবাহিকতারই প্রমাণ।
খুবই পরিতাপের কথা, গ্রাম্য মাতবর মার্কা কুটচালে পারদর্শী কিছু রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশের কর্মজীবী মানুষের শ্রমের মর্যাদাকে সমুন্নত হতে দিচ্ছে না। আমার মনে পড়ছে, শেখ হাসিনা যখন ‘ওরা টোকাই কেন’ বইটি লিখলেন, তখন গ্রন্থটি সুধী সমাজে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। সেই সময়ে এক আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একশ্রেণির নেতা, বাগ্মী পার্লামেন্টারিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি বইটি পড়েছেন কি না? উত্তরে তিনি বলেছিলেন- ‘হ্যাঁ' শুনেছি, কিন্তু গ্রন্থটি পড়িনি।’ এই হলো সিনিয়র অনেক রাজনীতিকের পঠনপাঠনের বাস্তবতা। এটা খুবই দুঃখের কথা, বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিকই এখন আর সমকালীন বিশ্বের বিষয়াদি নিয়ে পঠন-পাঠনের কথা ভাবেন না। তাদের পাঠাভ্যাস নেই বললেই চলে। অথচ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা, বঙ্গবন্ধু, ভাসানী- এ নেতারা কারাবরণে গেলেও তাদের সঙ্গে থাকতো বই। তারা গ্রন্থকে কাজে লাগাতেন রাজনৈতিক জীবনে।
পাঠাভ্যাসের কথাটি এজন্য তুললাম, কারণ শুধু পাঠের সমৃদ্ধিই একজন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সমাজসেবকের অন্তর্চক্ষু খুলে দিতে পারে। তাই, না জানলে, ব্যাপকতার বিশালতা অনুধাবন করা যাবে কীভাবে? কীভাবে বোঝা যাবে সমকালীন বিবর্তনের পরিধি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক আওয়ামী লীগ নেতাই হয়তো এখনো জাতির জনকের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়েননি। ‘কারাগারের রোজনামচা’ নতুন বের হয়েছে বলে না হয় আপাতত বাদই দিলাম। বাংলাদেশে এসব অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত অকাল কুষ্মাণ্ডরাই রাজনীতির নিয়ামক। এরা যে কীভাবে চরম মৌলবাদীদের মিত্র হিসেবে কাজ করছে তা তারা নিজেরাই বুঝে উঠতে পারছে না।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সমাজের মানুষের কর্মের মূল্যায়ন করতে হবে। শ্রমের মর্যাদা দিতে হবে। মে দিবসের ঘটনাটি ঘটেছিল আমেরিকার শিকাগো শহরে। অথচ আমেরিকায় মে দিবস ঘটা করে পালিত হয় না। কিন্তু শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন আমেরিকানরা ঠিকই করে নিয়েছে। প্রতি ঘণ্টা মজুরি, প্রতি সপ্তাহান্তে বেতন নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। ন্যূনতম ঘণ্টাপ্রতি মজুরি সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়াচ্ছে ফেডারেল ইউএস গভর্নমেন্ট। আর আমরা বাংলাদেশে হাঁকডাক দিয়ে ‘মে দিবস’ পালন করছি। কিন্তু আমাদের দেশে ন্যূনতম বেতনের স্কেল অত্যন্ত নড়বড়ে। তা কেউ মানছে, কেউ মানছে না। অনেক কোম্পানি মাসে মাসে বেতনও দিচ্ছে না তাদের কর্মচারীদের। সমাজের বিবেকদর্পণ বলে পরিচিত যে সাংবাদিক সমাজ, মাসের পর মাস তারাও বেতন ভাতাহীন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এমন সংবাদও আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি। ধনতান্ত্রিক ধারায় কর্পোরেট বিজনেস হাউজগুলো সংবাদ মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করছে। আবার সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে মিডিয়া বন্ধও করে দিচ্ছে। তাদের এই যে মানসিকতা, তা তো সামাজিক চরম অবক্ষয় মাত্র। আর এসব অনৈতিকতা, যে কোনোভাবে লুটপাটের মানসিকতা গোটা রাষ্ট্রের নৈতিক অবকাঠামোকে ক্রমশ দুর্বল করে ফেলছে। প্রজন্ম পরিশুদ্ধ মননের চর্চা করার সুযোগ না পেয়ে ‘বৈধ কিংবা অবৈধভাবে হোক’ সস্তা টাকাকড়ির পিছু হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বেনিয়া গোষ্ঠী কখনোই চায় না শ্রমজীবী মানুষ কাজকর্ম করে নিজ পায়ে দাঁড়াক। তারা চায় না মজুর, চাষি, কুলি, মালি, তাঁতি, জেলে, কামার, কুমারের মতো নিম্ন কিংবা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পেশার মানুষেরা শ্রমের প্রকৃত মর্যাদা পাক। এর কারণ হলো বুর্জোয়া শ্রেণি সবসময়ই শ্রমিক শ্রেণিকে ভয় পায়। তাই তারা মনে করে এই শ্রেণি যদি মেরুদণ্ড শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে তো সমাজের অলিখিত ‘দাসপ্রথা’ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের অন্যতম শর্ত হচ্ছে শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। দুঃখের কথা, বাংলাদেশে একটি শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয় থাকলেও শ্রমিকের ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য শ্রম আদালত নেই। অথচ উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে ফ্যামিলি কোর্টের মতো লেবার কোর্টও একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, একজন শ্রমিক কাজ করে বেতন পাননি এমন অভিযোগ ইউএস লেবার কোর্টে করার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে শক্তিমান বুর্জোয়া শ্রেণি, দরিদ্র শ্রমিকের টুঁটি এমনভাবে চেপে ধরে, যাতে তারা কথা বলারও সাহস না পান। তাই মে দিবসের কর্মসূচিকে বক্তৃতা বিবৃতি, র‌্যালি, সমাবেশে সীমাবদ্ধ না রেখে গণমানুষের শ্রমের মর্যাদা দিতে কার্যকর ভূমিকা সরকারকেই নিতে হবে। শ্রমিক যদি তার সঠিক মজুরি ও মর্যাদা পায় তবে কোনো সেক্টরেই অসন্তোষ দেখা দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আবারও বলি সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হলে মানুষকে কর্মীর হাতে রূপান্তরিত করতে হবে। কাজ দিতে হবে। কাজের মূল্যায়ন করতে হবে।
একই কথা বলা যায় প্রবাসীদের বেলায়ও। চার দশকেরও বেশি বয়সী বাংলাদেশে আমরা শুধু শ্লোগানই শুনেছি। বিদেশেও অনেক সেমিনার দেখেছি। বাস্তবতা শূন্যের কোঠায়। প্রবাসী বাঙালিদের এ ব্যাপারে থাকতে পারতো বিশেষ ভ‚মিকা। আমরা দেখি, প্রবাসের একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠনের চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতায় কোনো কোনো নেতা খরচ করেন লাখ লাখ ডলার। কোনো কোনো সংগঠনের মোট নির্বাচনী খরচ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই অর্থ বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়নে ব্যয় করা যেতো। তা করা হচ্ছে না।
আমরা দেখছি, ‘শ্রম অধিকার’ পরিস্থিতি নিয়ে বহির্বিশ্বের চাপের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। শ্রম অধিকার পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে রেখেছে। এরপর থেকে অন্য সংস্থাগুলো বাংলাদেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করে। অবশ্য এ শ্রম অধিকার পুরোপুরি ঠিক না হলে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এটা হলো বিদেশিদের চাওয়া। এবার দেখা যাক, বাংলাদেশের সংবিধান কীভাবে শ্রম আইন ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করছে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ বলছে- ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে মেহনতি মানুষকে-কৃষক ও শ্রমিকের এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা।’ অনুচ্ছেদ ১৫ বলছে- ‘কর্মের অধিকার অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার; যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার।’ অনুচ্ছেদ ২০ বলছে- ‘কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয়, এবং প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী- এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন।’ অনুচ্ছেদ ৩৪ বলছে- ‘সকল প্রকার জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধ; এবং এই বিধান কোনোভাবে লঙ্ঘিত হইলে তাহা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।’ অনুচ্ছেদ ৩৭ বলছে- ‘জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ অনুচ্ছেদ ৩৮ বলছে- ‘জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংগঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ এই যে আইনের ধারা-উপধারা, তা কি বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে? কেন হচ্ছে না?
বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে শ্রমের মূল্যায়ন করতে হবে। মানুষের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যদি না দাঁড়াতে পারে- তাহলে একটি রাষ্ট্র দাঁড়াবে কীভাবে?
------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ॥ ঢাকা ॥ ৯ মে ২০১৭ বুধবার

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.