নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাতারের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে?

১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৬




কাতারের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে?
ফকির ইলিয়াস
===================================
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফর করে এলেন। এর পরেই মধ্যপ্রাচ্যে ঘটছে নতুন মেরুকরণ। হঠাৎ করেই সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে তারা কাতারের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। একই সঙ্গে একটি অ্যালায়েন্সও তৈরি করেছে সৌদি আরব। আরব অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়া এবং ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয়েছে কাতারের বিরুদ্ধে। কাতারের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণায় সৌদি আরবের সঙ্গে রয়েছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, মিসর ও লিবিয়া। আরব দেশগুলোর বাইরে মালদ্বীপও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাতার ইসলামিক স্টেট (আইএস), আলকায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এই অ্যালায়েন্স। এর মাঝেই রিয়াদ, কাতারের সঙ্গে সীমান্ত আটকে দিয়ে স্থল, নৌ ও আকাশপথে সব ধরনের যোগাযোগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। সব মিত্র দেশ ও সব কোম্পানিকেও একই পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। কাতার সরকার ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের সমর্থন দিচ্ছে বলেও সৌদি সরকারের অভিযোগ। সৌদি সমর্থিত ইয়েমেন সরকারও ইরান সমর্থিত হুতিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের আকাশসীমা বা বন্দর কাতারের বিমান বা নৌযানের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সংগঠনকে মদত দেয়ার কারণে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিসর। আরব আমিরাতভিত্তিক ইতিহাদ, এমিরেটস ও ফ্লাই দুবাই এরই মধ্যে কাতারে যাওয়া-আসার সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। বাহরাইন তাদের ঘোষণায় কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ এনেছে। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট থেকেও কাতারকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর জবাবে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত অন্যায়। যেসব অভিযোগ ও দাবি করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। সৌদি আরবের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতার বলছে, প্রতিবেশীদের এমন সিদ্ধান্ত ‘দেশের নাগরিক ও বসবাসকারীদের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে না’।

এদিকে নতুন এই ইস্যুতে মহা খুশি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল যে কাতার ‘জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের জোগান দিচ্ছে।’ কাতারের সঙ্গে যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই। তিনি বলেছেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব তার। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটারে লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন, নেতারা কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।’ এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা।’

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, রিয়াদ-আবুধাবি জোট সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের শিয়াদের প্রতি কাতারের সমর্থন বৃদ্ধি পেতে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ইরানের সঙ্গে গ্যাসফিল্ড ভাগাভাগি করায় ইরানের প্রতি সুন্নি রাষ্ট্র কাতারের নমনীয় অবস্থানেরই ইঙ্গিত দেয়। কাতার সব সময় তার নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য গর্ব করে আসছিল। কারণ, লেবানন থেকে সুদান পর্যন্ত আঞ্চলিক সংঘাতগুলোতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে দোহা তার প্রমাণ রাখতে পেরেছিল। কিন্তু দোহার সমালোচকেরা বলছে, এ ধরনের নিরপেক্ষ মধ্যস্থতা উপসাগরীয় সুন্নি দেশগুলোর স্বার্থে সক্রিয়ভাবে আঘাতকারী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থনের নামান্তর মাত্র। কাতারের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহসহ ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে কোটি কোটি ডলার দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে জিম্মি করা কাতারিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে কাতার এই অর্থ দেয়। সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, ইয়েমেন ও বাহরাইনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য রিয়াদ তেহরানকে অভিযুক্ত করেছে। তারা এটাকে ইরানের অনধিকার চর্চা হিসেবে অভিহিত করেছে।

এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র খেলছে দ্বৈত খেলা। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে ভিন্ন খবর। এতে আরশাদ মোহাম্মদ ও স্টিভ ওঁলাদের লেখা প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, কাতার-আরব উত্তেজনা নিরসনে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সমন্বয় করে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার যে ঘোষণা দিয়েছে সে বিষয়ে অন্ধকারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। এসব তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। সৌদি আরব তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছে, কাতার ইরানকে সমর্থন করে। তারা মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বেশ কিছু গ্রুপকে সমর্থন দেয়।

ওয়াশিংটনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বা শান্তি ধরে রাখার অনেক কারণ আছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যতগুলো বিমান ঘাঁটি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি রয়েছে কাতারের আল উদেইদ-এ। আইসিসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে লড়াইয়ের বড় ঘাঁটি এটি। ওদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতার মেয়াদে আইসিসকে পরাজিত করার অগ্রাধিকার ঘোষণা দিয়েছে। উপরন্তু হামাস ও তালেবানের মতো গ্রুপকে স্বেচ্ছায় স্বাগত জানায় কাতার। এ দুটি গ্রুপের বিরুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্র লড়াই করছে। ফলে কাতারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকার ফলে যখন প্রয়োজন তখনই ওই গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, অন্য দেশগুলোকে নিয়ে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার এই সিদ্ধান্তের পেছনে পূর্বানুমিত কারণ কী তা তারা বুঝতে পারছেন না। তারা আরো বলেছেন, সৌদি আরব মনে করে থাকতে পারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সফরে কঠোর ইরান বিরোধিতার নীতিতে তারা শক্তিমান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের সফরের মাধ্যমে তারা হয়তো ভেবে নিয়েছেন তিনি তাদের সমর্থন করছেন। মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, কী ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো আভাস পায়নি। তাই হোয়াইট হাউস বলেছে, উপসাগরে সৃষ্ট এই উত্তেজনা নিরসনে তারা কাজ করবে।

পাকিস্তান জানিয়েছে কাতারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। মধ্যপ্রাচ্যের আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ কুয়েত এবং ওমান কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করছে না। কাতার ইস্যুতে চলমান সংকট অব্যাহত থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ও জিসিসির ভবিষ্যৎ শঙ্কায় ফেলবে বলে ভয় কুয়েত ও ওমানের। কুয়েতের আমির, কাতারের আমিরকে অনুরোধ করেছেন তারা যেন দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে না ফেলেন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করার জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল সাবাহ। মধ্যপ্রাচ্যে খুবই সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত কাতারের আমির। শুরু থেকেই দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তিনি। চলমান সংকট নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির। কিন্তু কুয়েতের আমিরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সে ভাষণ স্থগিত করেছেন তিনি। কাতার ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। পুতিন-এরদোয়ান আলাপে দুই নেতা কাতারের ক‚টনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে, তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্যা সমাধানে কাতার ও অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মধ্যস্থতায় প্রস্তুত আঙ্কারা। একটি বিষয় আমরা জানি, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেই কাজ করে।

সৌদি আরবে এক সফরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ বছরে সৌদি আরবে ৩৫ হাজার কোটি ডলার অস্ত্র বিক্রি চুক্তির পর নিউইয়র্ক শেয়ারবাজারে অস্ত্র বিক্রেতা ৬টি মার্কিন কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়ে গেছে। এসব অস্ত্র এখন ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আরো বিভেদ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করে নিজের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন অনুমানও করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অস্ত্র চুক্তিটি সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, ইরানের ক্ষতিকর প্রভাব রোখাই এই চুক্তির লক্ষ্য। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম-সেবার এই প্যাকেজ সৌদি আরব তথা গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তায় সমর্থন জোগাবে।

আমাদের মনে আছে, ক্ষমতায় যাওয়ার আগে অভিবাসী ও মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় বসেই অভিবাসী ও মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নেন তিনি। এসব কর্মকাণ্ডে ট্রাম্পের ব্যাপারে মুসলমানদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরবকে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফরের দেশ হিসেবে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, দেশটি দুটি পবিত্র মসজিদের রক্ষক। এই সফর তার ভাবমূর্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়টিও হয়তো ট্রাম্প বিবেচনায় নিয়েছিলেন। রিয়াদে আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়টি ছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও এখন কাতারের ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে প্রশ্ন আসছে। কাতার একটি ধনী দেশ। মাত্র ২৫ লাখ মানুষের এই দেশটি তেল সম্পদে ভরপুর। কোনো কালো শক্তি কি সেই সম্পদে অবৈধ ভাগ বসাতে চাইছে ? কাতার কি সিরিয়া-লিবিয়া-ইরাকের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে? তা না হলে হঠাৎ সৌদি আরব কার নির্দেশে কাতারের পিছু লাগল? মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রয়োজন। এর অন্যতম ধাপ হলো ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুর ন্যায্য স্থায়ী সমাধান। বিশ্বে জঙ্গিবাদী যে কালোশক্তি এখন মহড়া দেখাচ্ছে এর মূল কারণ এই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। বিষয়টি ট্রাম্প এবং সৌদি প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে। যে কোনোভাবেই কাতারে আগ্রাসন থামানো দরকার। এ জন্য বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে উদারতা নিয়ে।
-------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১০ জুন ২০১৭

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাতার বড় কোন সমস্যা নয় ।হঠাৎ করে কাতারের পিছনে লাগাটা খারাপ বার্তা বহন করছে । ট্রাম্প সাহেবকে জুতা মারতে ইচ্ছে করে । ব্যাটার চেহারাই খারাপ ।

২| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: শুনেছি বাংলাদেশের ৩ লক্ষ শ্রমিক কাতারে কাজ করছেন তাদের ভবিষ্যাত কি কে জানে।নিরপেক্ষ থাকাটাই উত্তম কাতার বা সৌদী কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না

৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: মুসলিম দেশগুলো এক এক করে ধ্বংস করার বিলাতি টেকনিক এটি- যা ভারতবর্ষে প্রয়োগ করা হয়েছিল একজনকে আরেকজনের পেছনে লাগিয়ে। আফগানিস্তান, ইরাক বা লিবিয়ার মত কোন ইস্যু খুঁজে না পাওয়ায় সেখানে সরাসরি বিমান হামলা করা সম্ভব হয়নি। তাই অধিনস্ত চাকরবাকরদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে কাতারকে একঘরে করে রাখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.