নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক সম্প্রীতির সিঁড়ি

২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫১




রাজনৈতিক সম্প্রীতির সিঁড়ি
ফকির ইলিয়াস
=============================
একটি হত্যাকাণ্ড গোটা মানবসমাজকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। সুখিয়া রবিদাস। ধর্ষণ করতে না পেরে তাকে প্রকাশ্যে সড়কে লাঠিপেটা করে হত্যা করেছে একজন পাষণ্ড। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। ‘রবিদাস’ একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। তাদের জনবল খুবই কম। তাদেরকেই টার্গেট করেছে হায়েনারা। তদের বাড়িঘর ছাড় করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অত্যাচার করা হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং বাজারে সুখিয়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুতাং বাজারের সেতুর পশ্চিম পাশে সুখিয়া রবিদাস তার ১২ বছর বয়সী একমাত্র ছোট ভাইকে নিয়ে বাস করে আসছিলেন। সুখিয়াদের বাড়ির জায়গা দখলের জন্য এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তাদের নির্যাতন করে আসছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন শাইলু মিয়া নামের এক ব্যক্তি সুখিয়ার বাড়ি গেলে তিনি ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় শাইলু ভারি একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সুখিয়া মারা যান। এলাকার অনেকেই এ দৃশ্য দেখেছেন। তবে কেউ এগিয়ে আসেননি। সুখিয়ার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, হত্যার আগে সুখিয়াকে ধর্ষণও করা হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানায়, আট বছর আগে সুখিয়ার স্বামী মনিলাল দাসকেও হত্যা করা হয়। এরপর সুখিয়ার কাকা অর্জুন রবিদাসকে হত্যা করা হয় ২০১৩ সালে। শাইলু মিয়া ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ওই হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন সুখিয়া রবিদাস। তাকেও হত্যা করা হলো। সুখিয়ার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মোহর রবিদাস অভিযোগ করেন, হত্যার আগে সুখিয়াকে ধর্ষণ করা হয়। দ্বিতীয়বার নির্যাতন করতে চাইলে তিনি দৌড়ে ঘর থেকে বের হন। তখন শাইলু তেড়ে গিয়ে একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন।
সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী রফিক মিয়া মিডিয়াকে বলেছেন, বাজারের পাশে আরো তিন-চারটি রবিদাস পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছে। ওই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে একই এলাকার একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তাদের নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। জায়গা দখল করাই মহলটির মূল উদ্দেশ্য।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অশালীন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কারণে ওই নারীকে হত্যা করেন শাইলু। শাইলু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগের হত্যাকাণ্ডগুলোর বিষয়ে ওসি বলেন, তদন্তের পর এসব বিষয়ে জানা যাবে। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। থানা ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন নবী। তিনি বলেছেন, ঘটনার পর পরই প্রধান আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাইলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিপন মিয়া নামে অপর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। প্রধান আসামি শাইলুসহ অন্যান্য আসামিকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এ ব্যাপারে পুলিশ সজাগ রয়েছে। এছাড়াও আসামি শাইলুর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলাসহ ১৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সুখিয়া রবিদাস হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট বোন সুমা রবিদাস বাদী হয়ে সোমবার শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, এখানে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। শায়েস্তাগঞ্জের ঐ এলাকায় কি আর কোনো মানুষজন নাই। ইউনিয়ন, চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার নাই? সালিশ-বিচার নাই? থানার কথা বাদই দিলাম। কেউ কি এই নারকীয় ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করতে পারলো না? কোথায় আজকের তারুণ্য? কোথায় মানবিক বিবেক?
শাইলু মিয়া, সুখিয়ার স্বামীর খুনের প্রধান আসামি ছিল। এর পর সুখিয়ার চাচার খুনের দায়ও তার উপর পড়ে বলে- বলা হচ্ছে। দুই দুইটা খুনের আসামি এভাবে বাইরে ছিল কী করে? ১৮ বার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা হায়াতুন নবী। তারপরও তাকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা গেলো না কেন? বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতন বেড়েই চলেছে। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতেনের ঘটনা নিয়ে কিছুদিন হইচই হলেও শেষ পর্যন্ত বিচারের নজির খুঁজে পাওয়া ভার। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরাই ‘আইনি হয়রানির’ শিকার হন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ছিল খুবই উদ্বেগজনক। আমরা আশা করেছিলাম, ২০১৭ সালে এই অবস্থার উন্নতি হবে। না হয়নি। অথচ ২০১৬ সাল থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। ২০১৬-এর দিকে ফিরে তাকালে আমরা দেখি, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যার মধ্য দিয়ে মন্দিরের পুরোহিত ও সেবায়েত হত্যাকাণ্ডের শুরু। বছরজুড়ে হত্যা-জখম-নির্যাতনের এই ধারা অব্যাহত ছিল। ধর্মীয় গুরুদের পাশাপাশি সাতক্ষীরার আশাশুনিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হন বছরের প্রথমার্ধ্বে। বছর শেষ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র বছর শেষে মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিল, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের দিক থেকে ২০১৬ সাল ছিল উদ্বেগজনক।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৬ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আটটি জাতীয় দৈনিক ও নিজেদের অনুসন্ধান থেকে প্রতিবেদনটি চ‚ড়ান্ত করেছিল ‘আসক’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১৯২টি বাসস্থান, ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ১৯৭টি প্রতিমা, পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, ৫টি জমি ও বসতবাড়ি দখলের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৬৭ জন আহত ও ৭ জন নিহত হন। এর বাইরে পঞ্চগড়, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, পাবনা, যশোর ও বগুড়ায় মঠের অধ্যক্ষ ও সেবায়েতরা খুন হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যশোরের কেশবপুর থেকে প্রবীণ মল্লিক নামের একজন মন্দিরের সেবায়েত নিখোঁজ হওয়ার ১৩ দিন পর বাড়ির পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর সহিংসতায় সাতক্ষীরার আশাশুনির চার গ্রামের ১০০ হিন্দু পরিবার ঘরছাড়া হয়। ২৯ মে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শতাধিক বাড়িঘর, মন্দির ভাংচুর করাসহ পিটিয়ে ৩০ জনকে আহত করেন। ‘ধর্মীয় অবমাননা’র ধুয়া তুলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়। নাসিরনগর সদর ও হরিণবেড় গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫টি মন্দির ও অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রশাসনের পাহারার মধ্যেও আরো তিন দফায় মন্দির ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একই অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সংসদ সদস্যের সামনে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আসক বলছিল, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি না হলেও কিছু ইতিবাচক বিষয় লক্ষ করা গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারার অপব্যবহার রোধে উচ্চ আদালতের রায়, সংসদ কর্তৃক বিচারক অপসারণবিষয়ক বিধান নিয়ে সংশোধিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা-সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান ইত্যাদি।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধারের জোর দাবি উঠছে। সাম্প্রদায়িক নির্যাতন বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ দাবি করে সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। একই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি তুলে ধরেছি। মন্ত্রী আমাদের প্রস্তাবকে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছেন।’ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অতিসম্প্রতি ডয়চে ভেলে’কে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘সরকার ও সব রাজনৈতিক দলকে দ্রুততার সঙ্গে সংখ্যালঘু সেল গঠন করে বিশেষ বিবেচনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি। একদিকে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির ছত্রচ্ছায়ায় ঠিক পাকিস্তানি আমলের মতোই সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বিতাড়নের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন জোটেরও কেউ কেউ অনাকাক্সিক্ষতভাবে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন।’
শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত নির্যাতনের ক'টি সচিত্র খবরের ভিত্তিতে অত্যন্ত উদ্বেগ জানান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা। ২০১০ সালের শেষের দিকে গঠিত ‘শাহাবুদ্দিন কমিশন’-এর সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদও দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সামাজিক, ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি সুখ্যাত দেশ। তা বিনষ্ট করছে কারা? কেন করছে? এর জন্য মানুষ কী করতে পারে?
একটা উদাহরণ দিই। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাস। আমেরিকা থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরেছি। এলাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। আমাকে বলা হলো, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে হবে। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ ভারতে বাবরি মসজিদ আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশজুড়ে থমথমে অবস্থা।
আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবেশী মানুষ। খুব সঙ্গত কারণে আমার বক্তব্যে ‘বিজয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বিষয়টি এলো। বললাম, ভারতে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, ভারত সরকার তা দেখবে। তা নিয়ে আমাদের ভাবার কিছু নাই। বললাম, আমরা থাকতে চাই ৪৭, ৬৫,৬৯, ৭১-এর সম্প্রীতি নিয়ে। কোনোভাবেই যেন আমাদের এলাকায় শান্তি ব্যাহত না হয়। চার চোঙা লাগানো মাইকে এলাকাজুড়ে আমার কথা রাষ্ট্র হয়ে গেলো। পরদিন এলাকায় কানাঘুষা শুনলাম, আমি নাকি বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পক্ষে বলেছি। আমি হাসলাম। বললাম, ব্রিটিশ মেড টেপরেকর্ডারে আমার বক্তব্য রেকর্ড করা আছে। আমার ভাইয়েরা জানিয়ে দিলেন, ইলিয়াস যা বলেছে ঠিকই বলেছে। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
বন্ধুরা বললো, সাবধান! এলাকায় কোনো অপশক্তিকে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না। থেমে গেলো সকল কানাঘুষা। না- ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে বড় কোনো অসম্প্রীতির কাণ্ড ঘটেনি। মানুষকে এভাবেই দাঁড়াতে হয় তারুণ্য নিয়ে। আজকের বাংলাদেশে সেই তারুণ্য দরকার। দখলদার, মাস্তান, চোর, বাটপার, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাহস নিয়ে শির উঁচু করতে হবে। ধর্ষক সমাজের কুলাঙ্গার। এদের শায়েস্তা করতেই হবে। এলাকায় এলাকায় মানুষকে জাগতে হবে। আর এ সিঁড়ি, এ সেতুই শক্তিশালী করবে একাত্তরের চেতনা। সামনে এসে দাঁড়াবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।
প্রিয় পাঠক, বিনীত অনুরোধ সুখিয়া রবিদাস হত্যাকাণ্ডের বিচারে সবাই কথা বলুন- প্লিজ, প্লিজ!
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ঢাকা ২৩ জুন ২০১৭

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: আজকের বাংলাদেশে সেই তারুণ্য দরকার। দখলদার, মাস্তান, চোর, বাটপার, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাহস নিয়ে শির উঁচু করতে হবে। ধর্ষক সমাজের কুলাঙ্গার। এদের শায়েস্তা করতেই হবে। এলাকায় এলাকায় মানুষকে জাগতে হবে। আর এ সিঁড়ি, এ সেতুই শক্তিশালী করবে একাত্তরের চেতনা। সামনে এসে দাঁড়াবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।


++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.