নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংস্কৃতিক গণজাগরণ কেন প্রয়োজন

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০২




সাংস্কৃতিক গণজাগরণ কেন প্রয়োজন
ফকির ইলিয়াস
=====================================
গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার ছিল। এটির আয়োজন করেছিল ‘সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, যুক্তরাষ্ট্র শাখা। বিষয় ছিল- ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এখন কোন পথে’। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত সংগঠনটির মহাসচিব, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক হারুন হাবীব। আর সেমিনারে প্যানালিস্ট আলোচক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. নুরান নবী, অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার এবং আমি। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান। ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সমন্বয়ে সেমিনারের সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুল।

সেমিনারে লেখক হারুন হাবীব খুব দরকারি কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ছিনতাই করা হয়েছিল। সেই স্বাধীনতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সঠিক পথই এগোচ্ছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন।

হারুন হাবীব বলেন, এবার বেশ কিছুদিন পর আমি আমেরিকা এসেছি। আমি সাধারণ প্রবাসীদের সঙ্গে মিশে বা তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে সচেতন। যে কারণে আজকের অনুষ্ঠানের আলোচনার বিষয়বস্তু রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ কোন পথে। তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। দেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগোচ্ছে। এটা শেখ হাসিনা বলেই সম্ভব হয়েছে। এক সময় বাংলাদেশে এটা চিন্তাই করা যেত না। স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নামও উচ্চারণ করা যেত না। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক অর্জন। এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হলে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক শক্তির সমন্বয় ঘটাতে হবে।

আব্দুস সোহবান গোলাপ বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, প্রথমে আমাদের জানতে হবে কারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পুনবার্সন করেছেন। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, দালাল আইন করে দালালদের রাজনীতি ফেরত দিয়েছিলেন। আইন করে জাতির জনকের বিচার কাজ বন্ধ করেছিলেন। ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুর্নবাসন করে জিয়া বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিলেন। একই পথ অনুসরণ করেছেন এরশাদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কর্নেল রশিদকে এমপি বানিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছেন। রাজাকার ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলেন। আর খালেদা জিয়া রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসাগরে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব আমাদের সম্মান দেখায় এবং আমাদের রোল মডেল হিসেবে ব্যবহার করেন। ড. নূরান নবী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। আমেরিকা, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য দেশ থেকে ফোন করা হয়েছিল যুদ্ধারাধীদের ফাঁসি না দেয়ার জন্য কিন্তু শেখ হাসিনা কাউকেই কেয়ার করেননি। বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেই পদ্মা সেতু তৈরি করছেন। সুতরাং বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। এই সেমিনারে আমি আবারো শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ করেছি খুব শ্রদ্ধার সঙ্গে। বলেছি, তিনি বলেছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই এবং তা আওয়ামী লীগই করবে।

দুই.

আমরা জানি, বাংলাদেশে শহীদ জননী একটি মহান জাগরণের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাক ছিল মূলধারা ১৯৭১-এ ফিরে যাওয়ার ডাক। তিনি সমাজে, সাহিত্যে, সাংবাদিকতায়, সংস্কৃতিতে একাত্তরের চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য মনেপ্রাণে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ সালের দিনগুলোর দিকে তাকালে আমরা সেই সাক্ষ্য পাই।

বাংলাদেশে এই সাংস্কৃতিক জাগরণের কাজটি এগিয়ে নিচ্ছেন যারা, তাদের অন্যতম ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। গত বছর একটি সেমিনারে বলেছিলেন, ‘পারলৌকিক চিন্তায় তরুণ প্রজন্ম আজ বিভোর। তাই ধর্মীয় বিভাজন ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তাদের একাংশ দেশ ও সমাজকে নিয়ে চিন্তা না করে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করে পরকালের ভালো জায়গা নিশ্চিত করছে। এ বাস্তবতায় সাংস্কৃতিক আন্দোলনই হতে পারে সত্যিকারের সমাধান। তিনি বলেছিলেন, ‘স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে, এ দেশের স্বাধীনতার জন্য লাখো মানুষ জীবন দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা।’

জাফর ইকবাল একজন বরেণ্য শিক্ষক। এ রকম শিক্ষক বাংলাদেশে আরো অনেকেই আছেন। তারা কি তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন? যদি করতেন, তাহলে আমাদের তরুণ সমাজ হয়তো আরো বলীয়ান হয়ে ঘুরে দাঁড়াত। আমাদের সময়ের একজন প্রাজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন ড. আহমদ শরীফ। তিনি তার ‘সংস্কৃতি ভাবনা’ প্রবন্ধে লিখেছেন- ‘স্বল্প কথায় সুন্দর ও সামগ্রিক জীবচেতনাই সংস্কৃতি। চলনে-বলনে, মনে-মেজাজে, কথায়-কাজে, ভাবে-ভাবনায়, আচারে-আচরণে অনবরত সুন্দরের অনুশীলন ও অভিব্যক্তিই সংস্কৃতিবানতা। সংস্কৃতিবান ব্যক্তি অসুন্দর, অকল্যাণ অপ্রেমের অরি। সুরুচি ও সৌজন্যেই তাই সংস্কৃতিবানতার প্রকাশ। সংস্কৃতিবান মানুষ কখনো জ্ঞাতসারে অন্যায় করে না, অকল্যাণ কিছুকে প্রশ্রয় দেয় না, অপ্রীতিতে বেদনা অনুভব করে এবং কৌৎসিত্যকে সহ্য করে না’। তিনি আরো লিখেছিলেন- ‘সংস্কৃতির দ্রষ্টা মাত্রেই বিজ্ঞ ও বিবেকবান, সুন্দরের ধ্যানী ও আনন্দের অন্বেষ্টা, বুদ্ধি ও বৃদ্ধির সাধক, মঙ্গল ও মমতার বাণীবাহক এবং প্রীতি ও প্রফুল্লতার উদ্ভাবক। চরিত্রবল, মুক্তবুদ্ধি ও উদারতার ঐশ্বর্যই এমন মানুষের সম্বল ও সম্পদ’।

সংস্কৃতির ব্যাখায় ড. আহমদ শরীফ আরো লিখেছিলেন- ‘বাঞ্ছিত সংস্কৃতি হচ্ছে সমাজে স্বাধিকারে সমস্বার্থে সহিষ্ণুতায় সহযোগিতায় সহাবস্থানের আগ্রহ নিয়ে আবিষ্কারে, উদ্ভাবনে, নির্মাণে কিংবা গ্রহণে-বর্জনে নব নব চিন্তা-চেতনার অনুশীলনে মানবসম্পদ বৃদ্ধির এবং যন্ত্রের ও বস্তুর উৎকর্ষযোগে ব্যবহারিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য-স্বাচ্ছল্য সুরুচি-সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রয়াস চালানো এবং ভাব-চিন্তা-কর্ম-আচরণে হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-অসূয়া-জুলুম প্রভৃতির প্রভাবমুক্ত থাকা। এ অর্থে সক্রিয় সৌজন্যই সংস্কৃতি। যুক্তিনিষ্ঠ ন্যায়বানই সুজন এবং সুজনমাত্রই তাই সংস্কৃতিবান’।

আমাদের আজকের বাংলাদেশে তা কতটা প্রতিপালিত হচ্ছে? আমাদের রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পেশাজীবীরা তা কতটা মানছেন! বাংলাদেশে সংস্কৃতির সংগ্রাম শেষ হওয়ার নয়। কালো শক্তিকে দমাতে গণমানুষকে মাঠে থাকতে হবে। কথাগুলো এ বছরের বাংলা নববর্ষে আমাদের আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী সন্জীদা খাতুন। সন্জীদা খাতুন বলেছিলেন, আমাদের ফের স্বাধীনতার সংগ্রাম করতে হবে। আর সেটা নিজেদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে। সংস্কৃতির নতুন এ স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য দেশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধর্ম ব্যবসায়ীরা টাকার বিনিময়ে মানুষ কিনছে। এটি দেশের সংস্কৃতির জন্য বড় বিপদের কথা। সংস্কৃতি কর্মীদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের কাছে যেতে হবে।

ছায়ানটের সভাপতি আরো বলেছিলেন, কথা দিয়ে মানুষ কেনা যায় না। আমাদের তেমন অর্থ নেই কাউকে কেনার মতো। তাই গান-কবিতা-নাটকের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছালে দেশ আলোকিত করা সম্ভব হবে না। … দেশের তরুণরা আজ ইন্টারনেটের প্রতি ঝুঁকছে। তাই সংস্কৃতিকর্মীদের অর্জন ও তাদের কর্মগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতি দেখতে পারবে। তারাও জানতে পারবে, বলতে পারবে আমাদের কিছু রয়েছে।

বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে, ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি। এটা যারা করে, তারা চায় না একাত্তরের মূলধারায় সাংস্কৃতিক গণজাগরণ ঘটুক বাংলাদেশে। বরং তারা ধর্মীয় রেনেসাঁর ঝাণ্ডা উড়িয়ে দখলের স্বপ্ন দেখছে দীর্ঘদিন থেকেই। বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষের হাতে হাতে এখন ইন্টারনেট। মানুষ পড়তে পারছে। জানতে পারছে। তুলনামূলক আলোচনায় অংশ নিতে পারছে। এখন লুকানো-ছাপানোর কিছু নেই। পরিশুদ্ধ সংস্কৃতির বিকাশে এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। পঠন-পাঠনে প্রজন্মকে অনুরাগী করে গড়ে তুলতে হবে।

এখানে আরেকটি বিষয় বলা দরকার। তা হলো বাংলাদেশে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী সমাজ রয়েছে, তাদের শিল্প-সংস্কৃতির মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের প্রজন্মকে নিজেদের মতো দাঁড়াবার সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজ না এগোলে জাতি এগোয় না। আর জাতি না এগোলে রাষ্ট্র এগোয় না। কথাগুলো মনে রাখতে হবে সব শ্রেণির মানুষকে।
-------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আড্ডা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.