নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনটি কবিতা [] ফকির ইলিয়াস

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০





তিনটি কবিতা [] ফকির ইলিয়াস
------------------------------------------------
শাস্ত্রীয় শর্তাবলী
....................................................
আমি জানি শাস্ত্রীয় বৃষ্টিসমগ্র, কোনোদিনই ভেজাতে পারবে না আমাদের
পরিদেশ। কোনো ফুলের স্পর্শই এই মেঘমোগল-কে করতে পারবে না,
নতজানু। শুধুমাত্র যে বাষ্প আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে, তারাই
পারবে দিয়ে যেতে কিছু উষ্ণতা। কিছু জমে থাকা পাথর, পারবে সরে যেতে।

ছাড় দেবার জন্য কিংবা সরে যাবার জন্য- যেদিন প্রথম নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম,
সেদিনের কথা আজ মনে পড়ছে খুব বেশি। সেসময় আমার প্রতিবেশে কোনো
ফেসবুকার নদী ছিল না। ছিল না ডিজিটাল সূর্যের ছড়াছড়ি। এনালগ চাঁদের
সহযাত্রী হয়ে আমি যেদিন প্রথম চেয়েছিলাম সুরমার মুখের পানে, সেদিনও
আমার হাতে ছিল না কোনো নেটবুক। অথচ কয়েকটি সাদা-কালো ছবি ছিল,
আর ছিল দুচোখে শ্রাবণের লালিমা। নৌকোর উজানে ছিল একগুচ্ছ বৈঠার টান।

যৌবনের উজানপর্ব শেষ হলে বসন্তকেও বিদায় নিতে হয়। আমরা যারা পূর্ণ
জোয়ারের সাথে পাল্লা দিয়েছিলাম, তাদেরও ঘরে ফেরার ডাক পড়ে,চিত্রপুরে।

@

দলিলের প্রাচীন অক্ষর
.....................................
সাকিন খিত্তা পরগনার পুরানগাঁও মৌজা। পড়তে পড়তে আরও খুঁজতে থাকি
দলিলের উপাত্ত। বিক্রেতা শ্রী নগেন্দ্র কুমার দাশ। ক্রেতা শ্রীযুক্ত ওমর শাহ।
নামের দাগ খতিয়ান দেখতে দেখতে আমিও ক্রমশঃ শ্রীযুক্ত হয়ে যাই।আসলে
কখনও সুশ্রী ছিলাম কী না-কিংবা আমার চারপাশে ভেসে বেড়াতো কী না
সলাজ বিলপদ্ম, সেই স্মৃতির পাতায় হাত রাখি।

অনেকগুললো অক্ষরের গায়ে লেগে আছে পিতামহের হাতের ছাপ, অনেক
দলিলে এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছে তাঁর নাম ! ভিটেসূত্রের ভোরে দাঁড়িয়ে
দেখি সেই বাটোয়ারানামা, দ্বিখণ্ডিত ভূমির জরিপ। দু'ভাগ হয়ে গেছে,
সীমান্ত এসে হাজির হয়েছে প্রহরী হয়ে। কেবল নদীরাই অব্যাহত রেখেছে
তাদের উজান-ভাটির টান।

@

গোপন গায়েবানা
..................................
আমার সংগ্রহে এখনও রয়েছে কিছু গোপন পাথর। গায়েবি
ডাক জানা পাখির পালক। আছে কিছু জলরশ্মি— যে জলে
আলোর মশাল হারিয়ে গিয়েছিল একদিন। অপরিচিত নৌকো
তার গলুই ডুবাতে ডুবাতে, রেখেছিল যাত্রীদের নাম লিখে
কাঠের তলানিতে। ফুটো হয়ে ভরে যাওয়া জল,হরণ করেছিল
একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম চুম্বনের দীর্ঘ বিবরণ।

গায়েবি এলেম শিখে যে পাহাড় আমার বুকের সমান্তরালে
দাঁড়াতে চেয়েছিল, তাকে আমি কখনও হিংসে করিনি।
বরং বলেছি, আমার দেহ যে মাটিতে গড়া,
সেই মাটি দিয়েই গঠিত পর্বতের চূড়ায় একদিন
হারিয়ে গিয়েছিল আমার প্রণয়ের শুভ্র বিকেলগুচ্ছ।

@

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২১

বিজন রয় বলেছেন: দলিলের প্রাচীণ অক্ষর ..... ভাল লেগেছে বেশি।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভাল লেগেছে।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: তিনটেই অসাধারণ।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

অর্ক বলেছেন: অপূর্ব! শুভেচ্ছা কবিকে।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

ফকির ইলিয়াস বলেছেন: সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.