নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিরদিন মাতৃছায়া ঘিরে

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫




চিরদিন মাতৃছায়া ঘিরে
ফকির ইলিয়াস
========================
১৫ মে ২০১৮ এর সকালটি আমার জন্য শুরু হয়েছিল অন্যান্য দিনের মতোই।
যথাসময়ে সকাল দশটায় কাজে রিপোর্ট করেছি। প্রচণ্ড গরম পড়েছিল সেদিন নিউইয়র্কে। দুপুর একটায় আমার লাঞ্চ। বেরিয়ে শুধুমাত্র কাছের পার্কে গিয়ে বসেছি।
এমন সময় তুলি'র ফোন। তাঁর ভাষ্য- 'সিলেট থেকে এইমাত্র বড় আপা জানিয়েছে,
মা'জি-র শরীরের খুব অবনতি হয়েছে। সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় বারো দিন আগে থেকেই। আমি খুব হতাশ হই। আমার সামনে রাখা লাঞ্চ আর মুখে দিতে পারি না। কয়েকজনকে সিলেটে ফোন দেবার চেষ্টা করি। লাইন পাই না।
সাধারনত কর্মস্থলে আমার সেলফোনের রিঙ্গার অফ করাই থাকে। সেদিনও ছিল। নিউইয়র্কের সময় তখন বেলা একটা ছয়ত্রিশ মিনিট। আবার ফোন হাতে নিই। ফোন হাতে নিয়েই দেখি প্রায় দশটি মিস কল।নিউইয়র্ক,প্যারিস,লন্ডন,ওমান, সৌদী আরব থেকে এত ফোন! একসাথে সবাই আমাকে ফোন করছেন কেন! আমি শিউরে উঠি। সাথে সাথেই তুলিকে ফোন দিই। তুলি কথা ঘুরিয়ে আমার কাছে জানতে চান, লাঞ্চ খেয়েছি কী না। কি খাচ্ছি!
আমার বুঝতে বাকি থাকে না- কিছু একটা ঘটে গেছে।তুলিকে বলি- তুমি বলো
আমাকে, কি হয়েছে! এরপরই সেই অপ্রত্যাশিত কথাটি তিনি আমাকে জানিয়ে দেন-
'মা'জি আর নেই!' আমি হাউমাউ করে উঠি। কি করব এখন আমি! আকাশ ভেঙে যেন তখন আমার মাথায় পড়েছে! কারও কোনো ফোনের জবাব না দিয়েই আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু জ্যাম্বো ট্রাভেলস এর আলী আহমদ ভাইকে ফোন করি।
তিনি সালাম জানিয়েই জানতে চান- 'ইলিয়াস ভাই,খালাম্মা কেমন আছেন!'
আমি তার কোনো জবাব দিতে পারি না। হাউমাউ করে উঠি। তিনি বলেন- কি হয়েছে বলুন। আমি বলি- মা আর নেই আলী ভাই। আমি দেশে যেতে চাই এক্ষুণি। আপনি টিকিটের ব্যবস্থা করুন। তিনি বলেন আমি দেখছি। আপনাকে কল দিচ্ছি দশ মিনিটের মাঝে।
এর মাঝে আমি কয়েকটি কল করি। দেশে ফোন করি আমার বড় ভায়রা সাইফুল আনোয়ার কে। তার ফোন বিজি। এরপরেই ফোন করি আমার অনুজপ্রতিম আখতারুজ্জামানকে। তাকে ফোনে পাই। সে মায়ের শিয়রেই ছিল। সে আমাকে এই সংবাদ দেবার সাহস দেখাতে চায় না। আমিই বলি, তোমার সকল দায় এখন শেষ হয়ে গিয়েছে আখতার! সে কেঁদে উঠে।
আখতারুজ্জামান আমার খালাতো ভাই। সে আমার মা কে ডাকে 'মইজি'। আখতার
বলে মইজি আমার হাতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভাইসাব! ১৫ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারোটায় তিনি চলে যান পরপারে।
আমার সামনে তখন ঘোর অন্ধকার। কি করবো ভেবে পাই না। এমন সময়ে আমার ফোন বেজেই চলেছে। আমার শ্যালক মারুফ মিঠু ফোন করে জানায় আমাকে পিক করার জন্য সে ম্যানহাটানে আসছে গাড়ি নিয়ে। আমি তাকে আসতে বলে ফোনে কয়েকজনের সাথে কথা বলি। এর মধ্যে আলী ভাই ফোন করে জানান
আমাদের এয়ার টিকিট রেডি। রাতে নয়টায় কুয়েত এয়ারওয়েজে ফ্লাইট। আমি তুলি'কে আমাদের যাত্রার কথা জানিয়ে দিয়ে তার কাজের জায়গা থেকে জরুরি ছুটি নিতে বলি। এর মধ্যে আবার কথা বলে নিই, আমার বড় ভায়রার সাথে। যিনি শেষ সময় পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মাতোই আমার মায়ের পাশে ছিলেন।
আমিও আমার কর্পোরেট অফিসে ফোন করে ছুটির কথা জানাই। আমি মনের তাগিদ থেকেই দুসপ্তাহের ছুটির আবেদন করে রেখেছিলাম। কয়েকমিনিটের মাঝেই
তা ফাইনাল করে আমাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইমেল করতে বলি।
এদিকে মিঠু গিয়ে যথা সময়েই ম্যানহাটানে পৌঁছে। বিকেল চারটায় আমরা ম্যানহাটান থেকে রওনা হই উডহ্যাভেনের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
হঠাৎ করেই আকাশ কালো রঙ ধারণ করে গোটা নিউইয়র্ক জুড়ে। এত
রোদোউজ্জ্বল ছিল যে সকাল- তার চোখে এত বিষাদ কেন! সাঁঝ করে তুমুল ঝড়
শুরু হয় । আমার কাছে মনে হয় আমার মায়ের মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত পুরো নিউইয়র্ক।
প্রকৃতি থেকে যেন অশ্রু ঝরছে!
বাড়িতে ফিরে মাত্র দেড়ঘন্টা সময়ের মাঝেই তৈরি হই। খুব চুপিসারে নিউইয়র্ক ছেড়ে যেতে চাই আমরা।কাউকে কিছু না বলেই। আমার গন্তব্য এখন সিলেট। আমার গন্তব্য আমার মায়ের শিয়র।
সাড়ে সাতটায় মিঠু আমাদেরকে জেএফ কেনেডি এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেয়।
চেক ইন করে গিয়ে ওয়েটিং লাউঞ্জে বসি। ফোন হাতে নিয়ে দেখি, খবরটি ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই জেনে গেছেন। এর মাঝে তুলি, একটি স্ট্যাটাস দেন।
এর পরেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে দেশে বিদেশে আরও বেশি করে। শুরু হয় আমার
সেল ফোনে রিং বাজার পালা। অনবরত ফোন রিসিভ করতে করতেই গিয়ে
কুয়েত এয়ারওয়েজের এয়ারক্রাফটে চড়ে বসি আমি ও তুলি।
ফ্লাইট টি যথাসময়েই নিউইয়র্ক ছেড়ে যায়। প্লেনে বসে আমার সময় কেমন কেটেছে তা লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। প্রায় সাড়ে এগারো ঘন্টায় আমরা কুয়েত পৌঁছি। সেখান থেকে আরও সোয়া পাঁচ ঘন্টা প্লেন চড়ে ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার ভোর ২:৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছি। আমাদের রিসিভ করার জন্য বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা উপথিত ছিলেন। তাদের সহায়তায় ইমিগ্রেশন সেরে বের হই ভোর চারটায়। সিলেট থেকে আমাদের নেয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে এসেছে আখতার ও ফজলু। আমরা নিমিষেই বেরিয়ে গাড়িতে চেপে বসি।
গাড়ি ছুটে চলেছে সিলেটের উদ্দেশ্যে। তখনও ভোর রাত। সবাই ঘুমে।
আমার মা'কে রেখে দেয়া হয়েছে সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের হিমাঘারে। তিনি
অপেক্ষা করছেন আমাদের! আমার ফোন বেজেই চলেছে। আসছে ভিডিও কল।
আমাকে দেখানো হচ্ছে কোথায় তাঁকে কবর দেয়া হবে। কবর খুঁড়ার দৃশ্য দেখানো হচ্ছে আমাকে।
পথ যেন ফুরায় না। বাংলাদেশের পূবাকাশে তখন সূর্য উঁকি দিয়েছে। এক ধরনের
কুয়াশাচ্ছন্ন সড়ক। এর মাঝে ট্রাফিক জ্যাম। ট্রাকগুলো বড় জঘন্যভাবে দখল করে
রেখেছে মহাসড়ক। কী দুর্বিসহ অবস্থা ! অবশেষে বেলা এগারোটায় সিলেটে পৌঁছি।
সোজা চলে যাই হাসপাতালে। সেখান থেকে এম্বুল্যান্সে আমার মায়ের দেহ' নিয়ে রওনা দিই বাড়ির উদ্দেশ্যে। এই পথ দিয়ে অনেক যাওয়া আসা করেছেন আমার মা। অনেক ভ্রমণ করেছেন এই জনপদ। আজই তাঁর শেষ যাত্রা। তিনি শেষ বারের মতো যাচ্ছেন।
বাড়িতে যখন পৌঁছি তখন দুপুর দেড়টা। বাড়ি লোকে লোকারণ্য। মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যোহরের নামাজের পরেই জানাজার নামাজ। আত্মীয় স্বজন
সবাই এসেছেন। ধর্মীয় অনুষঙ্গে না না কাজকর্ম চলছে। চলছে শিরনীর আয়োজন।
ঠিক সোয়া দুইটায় জানাজার নামাজ পড়া হলো। ইমামতি করলেন
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মাওলানা সালিক আহমদ। দোয়া করা হলো মহান আল্লাহর দরবারে।
তারপর আমার মা'কে কবরে রেখে দেয়ার মুহুর্ত। আমি কবরে নামলাম। আমার সাথে আরও দুজন। আমরা তিনজন মিলে তাকে শেষশয্যায় রেখে দিলাম।
মুহুর্তেই ঢেকে দেয়া হলো মাটির দেয়ালে। শেষ মোনাজাত।
মা চলে গেলেন। হাজারো মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় শায়িত হলেন আমার মা।
আমার প্রতিক্রিয়া বুঝানোর কোনো ভাষা ছিল না জানা। অনেকেই কথা বলতে চান। কথা বলি। বিমর্ষ আমাদের এই সময়।
গভীর রাতে ঘুমাই। ঠিক ফজরের নামাজের আগে স্বপ্নে দেখি তাঁকে। দেখি একটি চেয়ারে বসে আছি আমি। তিনি এসছেন। দাঁড়িয়েছেন আমার পিঠে হাত দিয়ে। শাদা শাড়ি, কালো পাড় পরনে তাঁর। খুব উজ্জ্বল চেহারা। আমাকে বলছেন-
'কি করছো তুমি!'
দ্রুত ঘুম ভেঙ্গে যায়। কোথায় তিনি!
পরদিন ১৮ মে শুক্রবার আরেকটি শিরনীর আয়োজন করি। সেদিনই বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। আমরা ফলমূল দিয়ে এই শিরণি পৌঁছে দিই ঘরে
ঘরে এবং মসজিদে।
২৫ মে ছিল তাঁর চেহলাম। মিলাদ,দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি প্রায় পাঁচ শতাধিক মেহমানকে ইফতারি ও ডিনারের ব্যবস্থা ছিল। মসজিদ,বাড়িতে বাড়িতে
ইফতারি পৌঁছে দেয়া হয়। অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয় সকল আয়োজন।
আমি ও তুলি গত ফেব্রুয়ারি'১৮ মাসে দেশে গিয়েছিলাম তাঁর চিকিৎসার জন্য।দুই সপ্তাহ কাছে থেকে নিবিড় পরিচর্যা করে এসেছিলাম আমরা দুজন।
প্রায় শত বছর বর্ষীয়ান আমার মা নিজে ছিলেন খুব স্বাস্থ্য সচেতন। তাঁর
ঔষধ-পথ্যের প্রতি নিজেই খেয়াল রাখতেন সব সময়। আর তাঁকে দেখার জন্য
লোকজন তো ছিলেনই।
আমার আব্বা মারা যান ১৯৮২ সালের ২৪ অক্টোবর। আমি তখন কৈশোর পেরোনো তরুণ। আব্বা মারা যাওয়ার প্রায় ৩৬ বছর পর মা মারা গেলেন। এই তিন যুগ তিনি আমার পিতা-মাতা দুটোরই দায়িত্ব পালন করেছেন। আগলে রেখেছেন বুকে ধরে একমাত্র সন্তানকে।
১৯৯১ সালে তিনি পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। এর পর থেকেই তিনি দুনিয়ার
প্রতি আর মোটেই মোহগ্রস্থ ছিলেন না। আসতে চান নি আমেরিকায়ও।
অত্যন্ত ধার্মিক আর মোহহীন ছিলেন আমার মা। তাঁর সঞ্চয়ে থাকা একটি টাকা হলেও তিনি তা গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে আনন্দ পেতেন। বিশেষ করে তিনি ছিলেন গরীব-দুস্থ মহিলাদের আশ্রয়স্থল। কেউ কখনও তাঁর কাছ থেকে
বিমুখ হয়ে ফিরেন নি।
তিনি একটি ধ্যানী জীবন কাটিয়ে গেছেন। এবাদত বন্দেগীর মাঝেই কেটেছে
তাঁর জীবনের পুরো সময়। সব সময় চাইতেন মানুষের কল্যাণ হোক। চাইতেন, বিদেশে আমি যেন আমার স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে নিরাপদে-শান্তিতে থাকি।
আমাকে বলতেন- তোমাদের সময় হলে আমাকে দেখে যেও। আমার কোনো চাওয়া নেই বাবা।
মা'কে হারিয়ে আমি এমন একটি মানসিক অবস্থা পার করছি, বার বার
প্রশ্ন করছি নিজেকে -'আমার মায়ের মৃত্যু হবে কেন!'
কথাগুলো অনেকটা পাগলের প্রলাপের মতো। আমি তেমন অবস্থাই পার করছি।
তাঁর মৃত্যুতে হাজারো মানুষ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। শোক,সমবেদনা
জানিয়েছেন। দেখা করেছেন। কথা বলেছেন। আমার অনেক কঠিন কাজকে তারা
সহজ করে দিয়েছেন। সকল কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছেন। তাঁরা সকলের কাছেই আমি ও আমার পরিবার চিরঋণী। যে সব মিডিয়া সংবাদ প্রচার করে
পাশে থেকেছেন, আমাদের কৃতজ্ঞতা তাঁদের প্রতিও। খুব চুপিসারে এবারও দুইসপ্তাহ
দেশে থেকে ২৮ মে আবার নিউইয়র্কে ফিরেছি। মা কে রেখে এসেছে মাটির ঘরে।
আমার দু'মেয়ে নাহিয়ান ও নাশরাত হারিয়েছে তাদের দাদু'কে। তুলি হারিয়েছেন তার মা'জী'-কে। আখতার হারিয়েছে তার 'মইজি'কে। যে আখতার গেল
তেইশ বছরেরও বেশি সময় তাঁকে শুশ্রুষা দিয়েছে নিজ সন্তানের মতো।
মায়ের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমি অনুধাবন করছি- আমার জন্য দোয়ার দরজা আর খোলা নেই। জগতে নিঃস্বার্থভাবে একমাত্র মা'ই কল্যাণ কামনা করেন তাঁর সন্তানের জন্য।
আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, মা থাকবেন আমার মননে। কারণ আমার জীবনে তাঁর প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। মা, ভালো থাকুন।তাঁর আত্মা জান্নাতুল
ফেরদাউসে শান্তিতে থাকুক- মহান আল্লাহর কাছে এটাই আমার একমাত্র প্রার্থনা। #
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশ প্রতিদিন [] উত্তর আমেরিকা সংস্করণ :: ৮ জুন ২০১৮ শুক্রবার

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয় স্পর্শ করে গেলো লেখাটি। অভিভূত হ'লাম!
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনার মাকে জান্নাত নসীব করুন!

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: যারা সত্যিই অন্যের সহায়তা করে, তারা খুব কম উপদেশ দেয় বরং উদাহরন সৃষ্টি করে

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: মায়ের চেয়ে বড় কেহ নাই :|

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৯

ওমেরা বলেছেন: বিদেশ থাকার এটাই সব চেয়ে বড় কষ্ট আপনজন চলে যায় পাছে থাকা যায় না । আল্লাহর অশেষ রহমত আমার আম্মুর মৃত্যুর সময় আমরা চার ভাইবোনই উপস্থিত ছিলাম।

আল্লাহ আপনার আম্মুকে জান্নাত নসীব করুন! আমীন

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: আ‌মি আপনার বেদনা বুঝ‌তে পা‌রি। আ‌মি নি‌জেও এমন ঘটনার স্বীকার। আপনার মা‌য়ের আত্নার শা‌ন্তির জন্য দোয়া ক‌রি। আপ‌নি যেন শোক কা‌টি‌য়ে উঠ‌তে পা‌রেন। জীবন এমনই। এভা‌বেই বাঁচ‌তে হ‌বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.