নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝেমধ্যে নিজেকে কেন জানি প্রতিভাবান বলে মনে হয়! কেন মনে হয়, তা খুঁজতে খুঁজতে প্রতিভা শেষ করে ফেলছি

ফাহাদ মিয়াজি

মাঝেমধ্যে নিজেকে কেন জানি প্রতিভাবান বলে মনে হয়! কেন মনে হয়, তা খুঁজতে খুঁজতে প্রতিভা শেষ করে ফেলছি

ফাহাদ মিয়াজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” এর পরিবর্তে “৭৮৬” লেখা

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

ডা. জাকির নায়েক
কিছু লোক আছে যারা আরবী বর্ণমালাগুলোর নির্দিষ্ট মান দিয়ে যোগফল বের করে। তারপর ঐ মান দিয়ে তারা কোনো আয়াত বা দোয়া বা কোনো নাম নির্দেশ করার চেষ্টা করে।

উদাহরণ দিয়ে বলা যায় “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”-এর ‘বা’, ‘আলিফ’, ‘সিন’ এ বর্ণমালাগুলোর মান বসিয়ে তার বের করেছেন ৭৮৬ আবার ৯২ দিয়ে বুঝান মুহাম্মাদ (সা) এভাবে আরো অনেক কিছু। কিন্তু এমন ব্যবহার কোরআন বা সহীহ হাদীসের কোথাও পাওয়া যায় না।

কিছু লোক তর্ক করে যে, আমরা যখন আরবি বর্ণমালা না পাই, তখন দাওয়াতপত্র ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি ছাপাতে সংখ্যাগুলো লিখি। কিন্তু আমার কথা হলো, আপনি আরবী শব্দটি ইংরেজিতে বানান করে লিখেন। আর যদি মনে করেন সবাই বুঝবেনা তাহলে অনুবাদ লিখতে পারেন। যেমন “পরম করুনাময় দাতা ও দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে”. এত সহজ উপায় থাকতে এমন কঠিন ও বিদঘুটে পদ্ধতির প্রয়োজন কি?

আসলে বিভিন্ন সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন ধারনা আমাদের সমাজে দেখা যায়। যেমন পশ্চিমা সমাজে ১৩ সংখ্যাটিকে অপয়া ভাবা হয়। তারা বলে ‘আনলাকি থার্টিন’. আবার তারা ৬৬৬ দ্বারা বুঝায় শয়তান।

আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে চোর, বাটপার, ফটকাবাজদের ৪২০বলা হয়। এর অবশ্য কারণ আছে, ভারতীয় উপমহাদেশের সবদেশেই যদি কোন চোর বাটপার ধরা হয় তাহলে তাকে যে ধারায় শাস্তি দেয়া হয় সেটি পেনাল কোডের ৪২০ নং ধারায় বর্ণীত। তাই যদিও কারণ আছে তবুও অনেকে না বুঝেই বলে।

যারা বলেন যে বিভিন্ন বর্ণের অবস্থানগত মান যোগ করে ঐ শব্দের প্রতিনিধিত্বকারী সংখ্যা বের করেছেন, তাদের আমি সমর্থন করি না।
কারন, একই মান দিতে পারে এমন সংখ্যা দুটি শব্দের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। যার একটি ভালো অন্যটি খারাপ। সে ক্ষেত্রে আপনি কোনটি গ্রহন করেবেন?

উদাহরণ দেই, যদি বলি ইংরেজি বর্ণ B এর মান ১ এবং A এর মান৭ আর ধরুন D এর মান ৪/ এখন যোগ করলে আমরা পাই ১২/ অর্থাৎ BAD (খারাপ)এর সংখ্যাগত মান পেলাম ১২/ এখন G এর মান ২, O এর মান ৩, D এর মান ৪ ধরলে GOOD এর মান কত?দেখুন ২+৩+৩+৪=১২. অর্থাৎ (GOOD)ভালো এর সংখ্যাগত মান পেলাম ১২ ।

এখন আমি ১২ কে ভালো বা মন্দ কোনটা নির্দেশক বলব? যদি প্রথমটি মেনে বলি ১২ একটি মন্দ নির্দেশক তখন পরে আবার দেখলাম সংখ্যাটি যে মান ধরে নেয়া হয়েছে তা ভালকেও নির্দেশ করে।

তাই যারা ‘বিসমিল্লাহ্‌’ কে ৭৮৬ দ্বারা প্রকাশ করেন তাদেরকে বলি, এমন অনেক শব্দ পাবেন যেগুলোর বর্ণের মান যোগ করলে ৭৮৬ পাওয়া যাবে। সেশব্দ বা বাক্যগুলোর কিছু হতে পারে ভালো আবার কিছু হতে পারে খারাপ নির্দেশক।

তাই কোনো মুসলমানকেই সমর্থন করিনা যখন সে ৭৮৬ দ্বারা বিসমিল্লাহ প্রকাশ করে। আশাকরি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

রোষানল বলেছেন: সহমত

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য। তবে আপনার উদাহরণ টি সঠিক হয়নি। কারণ কোন বর্ণের মান আপনি আনুমান করে ধরতে পারেন না। ৭৮৬; এখানে বর্ণের ক্রমানুসারে মান নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই B এর মান ১ আর A এর মান ৭ ধরে উদাহরণ দিতে পারেন না। তবে আপনি যা বুঝানোর জন্য কষ্ট করে লেখাটি লিখেছেন আমি সে বিষয়ে একমত। বর্ণের ক্রমানুসারে মান ধরে একটি সঠিক উদাহরণ দিন তাহলে আপনার লেখাটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: কিছু ওলামে ‘ছু’ আছে যারা সুবিধা মতো ইসলামকে ব্যবহার করে থাকে! একদম ডিজিটাল ভণ্ডামি X((

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনিতো পুরাই সুবিধাবাদী মূর্খ!

একটু শক্ত কথাই বল্লাম। কারণ আপনি আপনার ধান্ধা মতো মান বসাইয়া গুড আর বেডের উদাহরন দিলেন!

আপনি চাইলেই তো আর অক্ষরের মান বানাইতে পারবেন না্! এটা আজকে থেকে চালু হওয়া জ্ঞান নয়। সেই গ্রীক তারও পূর্ববর্তী সময় থেকে চলে আসা জ্ঞান। যেখানে এলফাবেটের মান নির্ধারন করা।

আপনিতো পুরাই সুবিধাবাদী মূর্খ!

একটু শক্ত কথাই বল্লাম। কারণ আপনি আপনার ধারনা মতো মান বসাইয়া গুড আর বেডের উদাহরন দিলেন!

আপনি চাইলেই তো আর অক্ষরের মান বানাইতে পারবেন না্! এটা আজকে থেকে চালু হওয়া জ্ঞান নয়। সেই গ্রীক তারও পূর্ববর্তী সময় থেকে চলে আসা জ্ঞান। যেখানে এলফাবেটের মান নির্ধারন করা।



যেমন বিএড এর আসল মান হবে = ২+১+৪ = ৭
আর জিও ও ডি গুড এর মান হল = ৩+৭+৭+৪ = ২১

অথচ আপনি আবালীয় গণনা পদ্ধতিতে দুটোর মানই ১২ বানালেন ইচ্ছা মতো।

আর সংক্ষেপে বলি- কোরআন ভাল মতো পড়েছেন?

আল্লাহ কেন বল্লেন - আমি সব কিছূ সৃষ্টি করেছি সংখ্যাতাত্ত্বিক ভাবে। জ্ঞানীদের জণ্য রয়েছে এতে নিদর্শন।

সংখ্যা তত্ত্ব আর অংকের উপরই দুনিয়ার বেশীরভাগ জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত! ১, ০ জিরোর পাওয়ার দেখেন ! কম্পিউটারের কত কত খেলা!
এখন আপনি সেই জ্ঞানকে ধারন করতে পারছেন না। ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই বলে দিলেন- এই সব ভূয়া!! এইটা কোন ধরনের জ্ঞান?

যেমন বিএড এর আসল মান হবে = ২+১+৪ = ৭
আর জিও ও ডি গুড এর মান হল = ৩+৭+৭+৪ = ২১

অথচ আপনি আবালীয় গণনা পদ্ধতিতে দুটোর মানই ১২ বানালেন ইচ্ছা মতো।

আর সংক্ষেপে বলি- কোরআন ভাল মতো পড়েছেন?

আল্লাহ কেন বল্লেন - আমি সব কিছূ সৃষ্টি করেছি সংখ্যাতাত্ত্বিক ভাবে। জ্ঞানীদের জণ্য রয়েছে এতে নিদর্শন।

সংখ্যা তত্ত্ব আর অংকের উপরই দুনিয়ার বেশীরভাগ জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত! ১, ০ জিরোর পাওয়ার দেখেন ! কম্পিউটারের কত কত খেলা!
এখন আপনি সেই জ্ঞানকে ধারন করতে পারছেন না। ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই বলে দিলেন- এই সব ভূয়া!! এইটা কোন ধরনের জ্ঞান?

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আপনার সাথে পুরাপুরি একমত।

আর আমার ধারনা লেখক তার নিজের জ্ঞান থেকে জ্ঞাত হয়ে এই লিখা লিখেন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.