নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ফাহমিদা বারী

আমার ব্লগ মানে গল্প। গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানাই :)

ফাহমিদা বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতীতের হাতছানি

০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

পুরনো কোনো নগর অথবা শহর কিংবা কোনো ফেলে আসা সভ্যতা যারা আবিষ্কার করেন...তাদের কাছে এই অনুভূতিটা কী অসাধারণ তাই না?
এমন কোনো ভূতত্ত্ববিদ বা অনুসন্ধানকারী না হয়েও আমার কাছেও ভালো লাগে, প্রাচীন কোনো সভ্যতার অতীত হয়ে যাওয়া নিদর্শনগুলো দেখতে। জাদুঘরে সাজানো সেই নিদর্শনগুলো আধুনিক সুসজ্জিত কক্ষে দেখে ঠিক সেই অনুভূতিটা জাগে না...যে অনুভূতিটা একজন অনুসন্ধানকারী খুঁজে পায় সেটাকে সস্থানে আবিষ্কার করে।

কথাগুলো হেঁয়ালি মনে হচ্ছে তো? আচ্ছা তাহলে খুলেই বলি।
ইউকে বেজড একটি ওয়েবপেজের আর্টিকেলগুলোতে চোখ বুলাতে গিয়ে একদিন একটি পরিত্যক্ত বাড়ি সম্পর্কে জানলাম, যে বাড়িটি ১৯৫০ এর দশক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িটি একজন নগর অনুসন্ধানকারী আবিষ্কার করেছে এই ২০২১ সালে এসে। ঠিক যেন টাইমমেশিনে চেপে সেই সময়টাতে চলে যাওয়া যায় বাড়িটিতে প্রবেশ করলে। কানাডার অন্টারিও প্রদেশে অবস্থিত এই বাড়িটি এমন অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে যে দেখে মনে হয়, বাড়ির সদস্যরা কোনো একটা কাজ শেষ করার জন্য একটু বাইরে বেরিয়েছিল...কিন্তু তাদের আর কোনো কারণে ফিরে আসা হয়নি! বাড়িটির অন্দরসজ্জা দেখে মনে হয় এই একটু আগেই গ্রামোফোনে কেউ একজন গান বাজাচ্ছিল...রেকর্ডটা পাল্টে দিতে হয়ত উঠতে যাচ্ছিলো...কিন্তু তার আগেই জরুরি কোনো কাজে বাইরে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। ফিরে গিয়ে রেকর্ডটা আর পাল্টে দেওয়া হয়নি।

বাড়ির গৃহিণী হয়ত চুলায় কিছু একটা বসিয়েছিল...রান্নার উচ্ছিষ্টাংশ এখনো লেগে রয়েছে এখানে ওখানে। কিংবা বাড়ির কর্তা হয়ত শেভ করতে করতে রেজরটা একপাশে রেখেই একটু উঠে গিয়েছিল। কিন্তু তারও আর ফিরে এসে শেভটা শেষ করা হয়নি।
এমন একটি বাড়ি দিনের পর দিন এভাবে অক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকাটা সত্যিই একটা বিস্ময়! আমাদের দেশ হলে তো কস্মিনকালেও এমনটা ঘটতো না। কবেই দখলদাররা এসে সব ভেঙ্গেচুরে প্রতিটা ইঞ্চি সুই সুঁতো দিয়ে মেপে নিয়ে দখল করে ছেড়ে দিত!

কিন্তু ওসব দেশের কথা আলাদা। মাইলকে মাইল জুড়ে হয়ত জনবসতির দেখা মেলে না। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফসলের ক্ষেত। অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার পরে হয়ত একটি বা দুটি নিঃসঙ্গ একাকী বাড়ির সন্ধান মেলে। তবে এসব জায়গায় যারা বাস করে তারা কিন্তু ব্যাপারটা কম এনজয় করে না! এই একাকীত্বের মধ্যেই হয়ত তারা নিজেদের রাজাধিরাজ রূপে কল্পনা করে!

আচ্ছা এসব অনুমান থাক। বাড়িটির অন্দরমহলে একবার ঢুঁ মেরে আসা যাক!

ছবিতে একটা মেডিসিন ক্যাবিনেট দেখতে পাচ্ছি। মেডিসিন ক্যাবিনেটের বেশিরভাগ ব্রাণ্ড এখনও বাজারে চালু আছে। ভ্যাজলিনের ডিব্বাটাকে দেখে তো মনে হচ্ছে, হয়ত গতকালই কেনা হয়েছে। অল্প একটু ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। ঠাসাঠাসি করে রাখা ঔষধের ডিব্বাগুলোতে এখনও হয়ত ব্যবহারকারীর হাতের স্পর্শ লেগে আছে।
নীচের ড্রয়ারের বক্সটার এই দুর্দশা কীভাবে হয়েছে কে জানে! হয়ত ইঁদুরের কারসাজিই হবে!
কিন্তু কিছু বোতল বা কৌটার ভেতরের দ্রব্যাদি এখনো প্রায় পুরোটাই অক্ষত রয়ে গিয়েছে। মাঝখানে চলে গেছে অনেকগুলো দশক। এই এতগুলো দশকে এগুলো কোনো মানুষের হাতের ছোঁয়া পায়নি!



নিচে শেভিং ক্যাবিনেটের অবস্থা দেখুন। দেখে মনে হচ্ছে না...বাড়ির কর্তা এই একটু আগেই দাড়ি কামিয়ে উঠে গেছেন? রেজরটাকে গুছিয়ে রাখারও ফুরসত পাননি? পাশের বাদ বাকি জিনিসপাতি একেবারে টিপটপ জায়গামত সাজানো। জুতার পলিশটা দিয়ে বুঝি এখনো ঝাঁ চকচকে জুতার পলিশ করে ফেলা সম্ভব! শুধু রেজরটাই সময়ের ভারে জরাজীর্ণ। সেটাকে আবার ব্যবহার করা হয়ত ঠিক বুদ্ধিমানের কাজ হবে না! মাইন্ড দ্য টাইম গ্যাপ!



বাড়ির নারী সদস্যের ব্যবহৃত অনেক পুরনো পারফিউমের শিশিগুলোও এখনো একেবারে জায়গামত আসীন।




মাঝের বিশাল সময়ের ব্যবধানে এই যুগের মানুষ শুধু সেই পারফিউমের সুবাসটাই বেমালুম ভুলে গেছে!

ড্রয়ার ভর্তি হাতে লেখা চিঠি! সেই যুগের মানুষের কাছে চিঠিই ছিল আবেগ প্রকাশের চুড়ান্ত মাধ্যম। সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা সেই চিঠিগুলো কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা...কীই বা তাদের ভেতরের বক্তব্য, আজ এতদিন পরে তা আর জানতে পারার কোনো উপায়ই নেই!




বাড়ির বাসিন্দারা নিঃসন্দেহে খুব পড়ুয়া স্বভাবের ছিলেন! অন্তত বইয়ে ঠাঁসা এই বেডরুমটি সেইরকম সাক্ষ্যই দিচ্ছে!



অবশ্য বিছানাটা যে খুব আরামদায়ক, তা অস্বীকার করার উপায় নেই! ফটোগ্রাফারের ভাষ্যমতে, বইয়ের প্রাচুর্যে এই ঘরের ছবি তোলাই ছিল এক ভারি দুষ্কর কাজ! স্মার্টফোন কিংবা অন্য কোনো প্রযুক্তির কাছে দাসত্বের সুযোগটা তখনো সেভাবে আসেনি, বইয়ে ভরা এই সাম্রাজ্য যেন সেই কথাই বলছে!

মন খারাপ করে বসে থাকা পিয়ানোটাকে দেখে মনে হচ্ছে না, সেও তার বাজিয়ে মালিককে খুব মিস করছে?




আচ্ছা এমন একটা সাজানোগোছানো বাড়ি ছেড়ে কেন চলে গিয়েছিল এই বাড়ির বাসিন্দারা? কী হয়েছিল তাদের? এসব অজানা প্রশ্নের উত্তর জানার আজ আর কোনোই উপায় নেই! তাদের ফেলে রাখা জিনিসগুলো হয়ত এখনো বেঁচে আছে! কিন্তু তাদের মালিকেরা কি আজো বেঁচে আছে এই পৃথিবীর বুকে?

চায়না সামগ্রীতে সুন্দর করে সাজানো এই ডিসপ্লে ক্যাবিনেটটা দেখে মনে হচ্ছে না, বাড়ির কত্রী বুঝি এখনই সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন?




কোথাও এতটুকু অসামঞ্জস্য বা তাড়াহুড়ো নেই। চায়না পুতুলগুলো নির্বাক চোখে অপেক্ষা করে আছে তাদের মালকিনের হাতের পরিচর্যার আশায়। কিন্তু সেই হাত আর এতগুলো দশকে ফিরে আসেনি!

গ্রামোফোনের রেকর্ডটা যেন এখনো বেজে চলেছে! পাশে পড়ে আছে সব সরঞ্জাম।



রান্নাঘরের সাজানো সরঞ্জাম দেখে অবাক না হয়ে উপায় নেই। চুলার পাশে কি সেই পঞ্চাশ দশকের রান্নার অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে? কী সর্বনাশ! কিন্তু অন্যান্য সবকিছু দেখে তো এমনটা মনে হওয়াকে ঠেকানো যাচ্ছে না!




বাথরুমের সাজপোষাক দেখে বেশ ভালোই বোঝা যায়, রুদ্ধ হয়ে থাকা সময়টা যথেষ্ট পুরনো। বাথটাবের পাশে ড্রেসিংটেবিলের উপস্থিতিটা বর্তমান সময়ে একেবারেই বেমানান। হ্যাঙ্গারে ঝোলানো কাপড়গুলো দেখে মনের মধ্যে কৌতুহল জাগে, কেমন ছিল এর ব্যবহারকারীরা?

অতীত যেন স্তব্ধ হয়ে অপেক্ষা করে বসে আছে কালের গর্ভে বিলীন হওয়ার জন্য! (ছবি ও তথ্যসূত্রঃ হাঊজ এন্ড গার্ডেন ডট কো)


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন না?

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ফাহমিদা বারী বলেছেন: বাংলাদেশেই থাকি।

২| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১২

জটিল ভাই বলেছেন: অভিভূত......

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। :)

৩| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫০

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে যে এতোটা পরিচ্ছন্ন কিভাবে সম্ভব। কোন জিনিস ৭০ বছর পড়ে থাকলে তার ডিকে বা ক্ষয় যাই বলেন না কেন হবেই। প্রাকৃতিক শক্তিগুলো মানুষ থাকুক বাঁ না থাকুক কাজ করতেই থাকবে। এ ব্যাপারে কিছু তথ্য পেয়েছেন?

০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: জি না। এই ব্যাপারটাই হচ্ছে বিস্ময়ের কারণ। ধারণা করা হয়েছে যে, বাড়িটি সেই সময়ের পর আর কোনোভাবেই ব্যবহৃত হয়নি বা কারো অনুপ্রবেশ ঘটেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সবকিছু এতটা অবিকৃত থাকে কীভাবে কে জানে!

৪| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:০১

ঢুকিচেপা বলেছেন: মজার একটা বিষয় জানা হলো।

আমার মনে হয় বাড়ীর লোকজন এতো এতো বই পড়ে অদৃশ্য হওয়ার উপায় বের করে ফেলেছে।



ছোট গল্পের একটা বই পড়ছি ওটা শেষ করে “সেদিন ভেসে গেছে” শেষ করবো।

আপনার “পরিধি বিহীন বৃত্ত” ১ম কেনা বই, সম্ভবত ২ বছর আগে মানে যখন প্রথম প্রকাশিত হয়। গল্পগুলো ভালো লেগেছিল।

০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:২৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আপনি তো আমাকে চমকে দিলেন বইয়ের ছবি দেখিয়ে। জানেন, আমি আমার ফেসবুক প্রোফাইলে একটা এ্যালবাম তৈরি করেছি, সেদিন গেছে ভেসে' নামে। যারা বইটা সংগ্রহ করেছেন তাদের পাঠানো ছবি দিয়ে তৈরি এই এ্যালবাম। আপনি একটা বই হাতে নিয়ে ছবি দিতেন যদি, ঢুকিয়ে ফেলতাম সেই এ্যালবামে।

'পরিধিবিহীন বৃত্ত' প্রথম বই আমার। নীলসাধুদা ছিলেন প্রকাশক। বইটা এখন আঊট অফ স্টক। আশাকরি 'সেদিন গেছে ভেসে' আগেরটীকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে :)

বাড়িটার সদস্যদের ব্যাপারে যা বললেন তা ভেবে দেখার মতই! ;)

৫| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: 'পরিধিবিহীন বৃত্ত' নীলসাধুদার কাছ থেকে অনলাইনে কিনেছিলাম। এ ব্যাপারে আপনার সাথেও কথা হয়েছিল সেসময় ব্লগে, সেটা আপাততঃ মনে না করলেও চলবে।

এ্যালবামে আর না যাই, এ্যালবামের পেছনেই আছি সবসময়। আপনি আপনার মতো লিখুন।

০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আচ্ছা বেশ! আন্তরিক কৃতজ্ঞতা :) ভালো থাকবেন।

৬| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: ঠিকানা দিন দেখে আসি।

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৩১

ফাহমিদা বারী বলেছেন: অন্টারিওতে থাকেন বুঝি। আচ্ছা আমি একেবারে শেষে সেই ওয়েবপেজের লিংক দিয়ে দিচ্ছি।

৭| ০৭ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভ্রমণের জন্য আমার পছন্দ প্রকৃতি আর গবেষণার জন্য পূরাকীর্তি ( প্রাচীন ঘর-বাড়ি)।
পানাম নগরে একদম ভালো লাগেনি, কিন্ত হবেষণা কাজ হয়েছে।
এইসব বাড়িতে অনেক সময়ই ভূত থাকে, এ্যামিটিভিলের সেই বাড়ির মতো, সেটা জানেন ?

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: ২০০৭-২০০৮ এর দিকে যখন ইউএসএ তে ছিলাম তখন বাধ্য হয়ে ওদের টিভি দেখতে হতো। দেশীয় চ্যানেল তখনো সেভাবে প্রসারলাভ করেনি। সেই সময় এই জাতীয় অনেক ডকুমেণ্টারি দেখেছি। ভূত নিয়ে কত কী রিসার্চ ফিসার্চ! বিশাল টিম নিয়ে ভূত অনুসন্ধানে নেমে পড়া।
পূরাকীর্তি নিদর্শন আর প্রকৃতি আমারও ভীষণ পছন্দের।

৮| ০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ৭:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




খুব সুন্দর চিত্রের সন্নিবেশ হয়েছে লেখাটিতে ।
সাথে রয়েছে খুবই আকর্ষনীয় শব্দ সম্ভারে রচিত ঘটনার বিবরন ।
ধারা বিবরনীটি এতই চমৎকার হয়েছে মনে হচ্ছিল যেন
ধারাভাষ্যসমেত লাইভ ভিডিউ শো দেখছি ।
ঘটনা ও চিত্র বর্ণনায় মুন্সিয়ানা বিমোহিত করেছে ।
এই চিত্র সম্ভার ও বিবরণ দেখে মনে পড়ে যায়
৭৯ খৃষ্টাদ্বে মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতের ফলে
ধংস প্রাপ্ত হয়ে যাওয়া ইটালির দক্ষিনাঞ্চলীয়
প্রাচীন শহড় পম্পের শেষ দিবসটির কথা
( Last day of Pompeii) ।
ধংসপ্রাপ্ত প্রাচীন শহড়ে থাকা অনেক স্থাপনার সাথে
একটি ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের দেয়ালে থাকা চিত্র কর্ম
অটুট ছিল এতদিন ধরে
Brightly coloured frescoes decorated houses at Pompeii, near Naples

উদ্ধারকৃত কেইকে তখনো জ্বল জ্বল করে ভাসছিল নির্মানকারীর চিহ্ন
Charred bread excavated from the ancient Roman city of Pompeii still shows the maker’s mark

বাগানের থাকা পুকুর ও সাথে তাম্র মুর্তীটি ছিল অক্ষুন্ন ।
A simple garden pond survives intact at ancient Pompeii together with its small copper statue

পম্পেতে না হয় অগ্নুৎপাত হয়েছিল, কিন্ত কানাডার অন্টারিউ প্রদেশের সেই বাড়িটি হঠাৎ করে জনশুন্য ও দীর্ঘ দিন
একেবারে নিখুতভাবে অক্ষুন্ন থাকার কারণ এখনো বিস্ময় জাগায় ।

ভাল লাগা পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

ছবিসুত্র : Click This Link

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম।

সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ 'লাস্ট ডেজ অফ পম্পেই' পড়েছিলাম। এরকম নিদর্শন স্বচক্ষে দেখতে পারা সত্যিই দারুণ আনন্দের! আফসোস! আমাদের দেশে এমন সমৃদ্ধ পুরাকীর্তি নেই।

৯| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের পূরাকীর্তির সব ইট চোর আর জনগণ খুলে নিয়ে যায়।
উয়ারী বটেশ্বরে কিছু পাওয়া যেতে পারে।

০৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: উয়ারী বটেশবরে যেতে হবে ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে।

আমাদের দেশের জনগণ তো এই কাজে বিশ্বসেরা। সবাই যার যার লেভেলে এই কাজে ওস্তাদ!

১০| ০৮ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:১১

এম এ হানিফ বলেছেন: কিছু বিশ্বাস কিছু অবিশ্বাসের চোরাবালিতে ডুবেই শেষ হল অতীতের হাতছানি। ছবি, ছবির পরিচ্ছন্ন আবেশ, রুপ, পরিবেশ মনেই হতে দেয় না এসব শুধু, শুধুই কোন স্মৃতি, কোন ঘটে যাওয়া অতীত।


লেখায়, লেখার উৎকর্ষতায়, ঘটনার ধারাবাহিক, বাস্তবিক বিবরণীতে লেখকের সুনিপণ দক্ষতার ছাপ। শুভকামনা।

০৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

যাপিত অতীতের নিস্তব্ধতা কেমন যেন ভাবিয়ে তোলে মানুষকে। মনে হয়, আমরাও এভাবে একদিন অতীত হয়ে যাবো!

১১| ০৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এর উপর ২০১৫ সালেও প্রতিবেদন এসেছিল, সুতরাং ২০২১ সালে আবিষ্কৃত কথাটি ভুল। অনেক ছবিতে নাকি ১৯৭৯ সালের ক্যালেন্ডার ছিল, সুতরাং আরও যে কত ভুল আছে চমকপ্রদ বিষয়টিতে, কে জানে। ৭০ বছরের পুরোনো পরিত্যক্ত বাড়ির বাইরে ও ভেতরে কানাডার মতো বনজ সম্পদের দেশে এরকম থাকার কথা নয়।

০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমি আরেকটা আর্টিকেলে ২০১৯ সাল দেখেছি। আবার আপনার কথা শুনে বুঝতে পারছি আরো তথ্যগত ভুল থাকতে পারে। তবে বাড়ির আসবাব আর সাজসজ্জা পুরনো দিনকেই নির্দেশ করছে। আপনি চাইলে আমি সেই ওয়েবপেজের লিংক দিয়ে দিতে পারি।

১২| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: Ontario te achi. Khuje dekhi to kon shohore?!

১০ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমি সেই ওয়েবপেজে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। প্রশ্নটার উত্তরই পেলাম না!
জায়গাটা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য সেখানে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.