নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ফাহমিদা বারী

আমার ব্লগ মানে গল্প। গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানাই :)

ফাহমিদা বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নস্টালজিয়া (দ্বিতীয় পর্ব)

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০২







নস্টালজিয়া
দ্বিতীয় পর্ব
ভালোবাসার বিটিভি


‘হয়নি...আরেকটু ঘুরাতে হবে!... এই...এই…এই যাহ্‌ আবার চলে গেল... হ্যাঁ হ্যাঁ এবার হইছে...এটাই ঠিক আছে। আর যেন না নড়ে!’

মনে পড়ে এইসব কথোপকথন? ভুলি কেমন করে তাই না? নব্বইয়ের দশকের সেই দিনগুলোতে আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে যাওয়া একটা নাম ছিল বিটিভি। আজ টিভির রিমোট হাতে নিলেই এটা নয় সেটা... সেটা নয় ওটা... কত কত চ্যানেল আর কতসব বিচিত্র অনুষ্ঠান! তবু আমাদের মন ভরে না। আমাদের এখন চাই নেটফ্লিক্স, হৈচৈ কত কী! অথচ এমন একটা সময় ছিল যখন একটা মাত্র বিটিভি দিয়েই আমরা পার করে দিয়েছি আমাদের শৈশব কৈশোরের সেই সোনালি দিনগুলি!


প্রতিটা টিভি প্রোগ্রাম ছিল আমাদের পরম কাঙ্ক্ষিত। আজ লিখতে বসে ভেবেই কূলকিনারা করতে পারছি না যে কোথা থেকে শুরু করব!

তখন উঠতি তারুণ্যের সময়। বিজাতীয় সংস্কৃতির একটু আধটু হাওয়া সবে তখন দোলা দিতে শুরু করেছে আমাদের উড়ু উড়ু মনের দিকভ্রান্ত পালে। ইংরেজি থেকে বাংলায় ডাবিং করা টিভি প্রোগ্রামগুলো ছিল দারুণ জনপ্রিয়। ম্যাকগাইভারের কথা কি কখনও ভুলতে পারবে আমাদের তারুণ্য আর কৈশোর?
সঙ্গীতশিল্পী ডলি সায়ন্তণীর প্রথম গানের ক্যাসেট তখন খুব ধুম তুলেছে আমাদের মাঝে। ক্যাসেটের কাভার সঙ ছিল, ‘রংচটা জিনসের প্যান্ট পরা।’ সেই ক্যাসেটের আরেকটি শ্রোতাপ্রিয় গান ছিল, ‘টেলিফোন ধরি না... কবিতা পড়ি না... আমার দু’চোখ শুধু তাকেই খোঁজে... ম্যাকগাইভার!’ বাপরে! কী উন্মাদনা! ভাবা যায়?

আরেকটি ঘটনার কথা না বললেই নয়! আমি সেই বয়সে নিয়মিত ডায়েরি লিখতাম। এখন সেই ডায়েরি মাঝে মাঝে উল্টেপাল্টে পড়ি। একদিন একটা পাতায় আমি লিখেছি, ‘আজ বাসায় খুব একচোট হয়ে গেছে। রাফি ম্যাকগাইভার দেখতে দেখতে গলা ফাটিয়ে কাঁদতে লাগল যে, ম্যাকগাইভার মরে যাচ্ছে! বড়পা রেগেমেগে দিলো রাফিকে দু’ঘা বসিয়ে। সেই দেখে আম্মা দিলো বকা...’

রাফি আমার ভাগ্নে। ভাগ্নে এখন পি এইচ ডি করছে আমেরিকায়। আমি ডায়েরি পড়ে ওকে মেসেঞ্জারে স্ক্রিনশট সহ দেখালাম। সে আকাশ থেকে পড়ে বলল, ‘বিপু খালা এসব কি সত্যি সত্যিই হয়েছে নাকি!’

যখন ক্লাস নাইন কী টেনে পড়ি তখন আমাদের মাঝে আরও দুটো বিদেশী টিভি সিরিজ ছিল খুব জনপ্রিয়। সেগুলো হচ্ছে জাপানি সিরিজ ‘ওশিন’ আর অস্ট্রেলিয়ান একটি সিরিজ ‘গার্ল ফ্রম টুমরো’। আমার ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া বড়বোন অশিনের বেশি ভক্ত ছিল আর আমি ছিলাম পরেরটার। ভবিষ্যৎ থেকে আসা একটি কিশোরীর সাথে বর্তমানের আরেক কিশোরীর বন্ধুত্ব দেখতে দেখতে নিজেকেও ওদের একজন বলে মনে করতাম। দুজনের বিচ্ছেদে গোপনে কেঁদে বালিশ ভিজিয়ে ফেলতাম।

এছাড়া পুরো বাসার সবাই দেখত ‘আলিফ লায়লা’। আহা সেই বিখ্যাত সূচনা সঙ্গীত শুনলেই বাসার সবাই যে যেখানে থাকত এসে বসে পড়ত টিভির সামনে। অল্প কিছুসময় দেখতে না দেখতেই শুরু হয়ে যেত বিজ্ঞাপন। দেখাতো মাত্র ত্রিশ মিনিট। বিজ্ঞাপন বিরতি বাদ দিলে টেনেটুনে হয়ত কুড়ি মিনিটই হবে। তবু এটুকু দেখার জন্যই সারা সপ্তাহের সাগ্রহ প্রতীক্ষার সেই দিনগুলো... আহা...

এছাড়া আরও অনেক বিদেশী সিরিজের কথা না বললেই নয়। ডাইনাস্টি, ডালাস, দ্য এক্স ফাইলস, দ্য এটিম, দ্য রোবোকপ, ম্যানিমাল, ডার্ক জাস্টিস, নাইট রাইডার সহ আরও কত নাম! সব নাম বলতে বসলে আজ হয়ত আর শেষ করতে পারব না। প্রতিটা সিরিজ ছিল আমাদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়।

সম্ভবত বিটিভির সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল ‘মনের মুকুরে’ আর ধারাবাহিক নাটক। সাপ্তাহিক নাটক হতো মঙ্গলবারে, ‘মনের মুকুরে’ নামে। উপস্থাপিকা হাস্যজ্জল মুখে ঘোষণা দিতেন, ‘প্রিয় দর্শক এখন শুরু হচ্ছে সাপ্তাহিক নাটকের অনুষ্ঠান ‘মনের মুকুরে’। মনের মুকুরে আজ দেখবেন নাটক...’

একটি টিভি নাটক যে কতটা পরিশীলিত, আধুনিক, মানসম্পন্ন আর রুচিশীল হতে পারে সেটা বোধকরি নব্বইয়ের দশকের এইসব নাটক যারা দেখেনি তারা কিছুতেই অনুভব করতে পারবে না। সেই সব নাটকের কলাকুশলীরা ছিলেন বাঘা বাঘা সব অভিনেতা অভিনেত্রী। আর নাটকের নামগুলো দেখলেই হয়ত অনুভব করা সম্ভব এর ভেতরের উপাদান কতটা খাঁটি হতে পারে। এখানে নোঙর, ভাঙ্গনের শব্দ শুনি, আমি তুমি সে, দিনরাত্রির খেলা, বেলা অবেলা... আমাদের টিভি নাটকের সেই সোনালী অতীতের কথাই মনে করিয়ে দেয়।


আর ধারাবাহিক নাটকগুলো তো ছিল একেকটা রত্নের মতন। হুমায়ূন আহমেদ যখন টিভি নাটক লিখতে আরম্ভ করলেন তখন তো একেবারে সোনায়সোহাগা সময় শুরু হলো যেন। এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, সকালসন্ধ্যা, বহুব্রীহি, নক্ষত্রের রাত... এই নাটকগুলোর কথা কি আমরা আমাদের এক জীবনে ভুলতে পারব?

এখনো মনে আছে, বহুব্রীহি যেদিন প্রচারিত হতো সেদিন সকাল থেকেই মনটা ফুরফুরে থাকত। মনে হতো... হুহু আজ আছে! আজ যে আফজাল আবার কী করবে কে জানে! আগের পর্বে তো ক্যাসেট ভাঙছে! মামার কান্ডকীর্তি আর সোবহান সাহেবের আঁতলামি! কী যে এক মধুর আনন্দের রেশ নিয়ে হাজিরা দিতো দিনগুলো আজ তা আর স্মৃতিকথাতেও পুরোপুরি তুলে আনা সম্ভব নয়!

এছাড়া শহীদুল্লাহ কায়ছারের ‘সংশপ্তক’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘কোন কাননের ফুল’, ‘বারোরকম মানুষ’, ‘রূপনগর’… প্রতিটি নাটকই ছিল দারুণ জনপ্রিয়। এইসব নাটকের সংলাপগুলো ঘুরত মানুষের মুখে মুখে। রূপনগরের খালেদ খানের মুখের ‘ছি ছি তুমি এত খারাপ’ কিংবা বহুব্রীহি নাটকের ‘তুই রাজাকার’… এই সংলাপগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নাটকের সাথে সাথেই।


নব্বইয়ের দশকে বাবার বদলীর চাকরির সুবাদে আমরা রাজশাহীতে থাকতাম। সেইসময় বিটিভির পাশাপাশি আমাদের আরেকটা বিনোদনের মাধ্যম ছিল ‘দূরদর্শন’। রাজশাহীতে এটার সিগনাল আসত। সপ্তাহে দুইদিন দুটো সিনেমা বরাদ্দ ছিল এই দূরদর্শনের বদৌলতে। একটি কোলকাতার সিনেমা আরেকটি ওদের আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা।

আর বিটিভির প্রতি শুক্রবারের বাংলা সিনেমা তো কখনওই মিস হতো না!

সেইসময় বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলগুলো শুনলে এখনো দৌড় দিয়ে এক ফাঁকে ঘুরে আসি পুরনো সেই দিনগুলো থেকে।

দিন চলে গেছে কত পেছনে, তবু বিটিভি ভালোবাসার এক অনন্য নাম হয়ে রয়ে গেছে মনের গভীরে। আমাদের একটা সময় যেন বোকাবাক্সের ঐ একটি চ্যানেলের মাঝেই বন্দি হয়ে আছে!


মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমিওযে সে সময়েরই মানুষ। মনে করিয়ে দিলেন দুবাড়ি পর দৌড়ে গিয়ে টিভির দর্শক হতে পেরে খুশিতে মন ভরে যেতো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমাদের সবার স্মৃতিতেই বিটিভি চির অমলিন :) একাশিতে বাসায় টিভি আসার আগে আমার অবস্থাও অনেকটা সেই রকমই ছিল।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর স্মৃতি চারণ।আমার আরো পুরনো।৬৬ থেকে টিভির দর্শক।এক সময় ত্রিরত্ন খুব জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো।সকাল সন্ধার তুলনাই হয় না।এখন বিটিভি দেখা হয় শুধু সংসদ দেখার জন্য।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: সকাল সন্ধ্যার কথা মনে আছে। কী অসাধারণ নাটক! ত্রিরত্ন দেখিনি।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

জগতারন বলেছেন:
আমিও কামাল১৮ -এর মতো আগের টি,ভি'র দর্শক।
জীবনে প্রথম টেলিভিশন দেখি ১৯৭৩ সালে ঢাকায় এসে।
তখন আমি লালমাটীয়া হাউজিং সোসাইটি বয়েজ হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: বাহ আপনি তাহলে বেশ অনেকটা সিনিয়র।
আমাদের স্মৃতিতে বিটিভি জ্বলজ্বল করছে। কত কত গল্প যে মনে পড়ে যায়! সেইসময় টিভি দেখাকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু ঘটত। বইপড়া আর বিটিভি এই ছিল আমাদের শৈশবস্মৃতি।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:২৭

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: প্রথম লাইনটাই যে কত কিছু মনে করিয়ে দিল। আমরা পিচ্চিরা দুইটাকা করে দিতাম ব্যাটারি চার্জ করার জন্য। বিজ্ঞাপন গুলো ও কত ইউনিক ছিল। দেখলেই ভালো লাগতো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

ফাহমিদা বারী বলেছেন: হাহা। হ্যাঁ সেই এ্যাণ্টিনা ঘুরানোর ঘটনা ঘরে ঘরে চালু ছিল।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১০

রাইসুল খান বলেছেন: কান কাটা রমজান কে মনে পরে গেল। আর “ছি ছি ছি, তুমি এতও খারাপ” এইটা তো আমি এখনো বলি। আর তখনকার বিজ্ঞাপনেরও যেনো একটা অন্যরম মাধুর্য্য ছিলো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

ফাহমিদা বারী বলেছেন: সংশপ্তক একটা অসাধারণ ধারাবাহিক ছিল। আসলে সেই সময়ের প্রতিটা নাটক নির্মাণে ছিল চরম বুদ্ধিমত্তা। আর কলাকুশলীরা ছিলেন সত্যিই গুণীজন। এখনকার নাটকের নায়ক নায়িকাদের নখরা আর দুর্বল গল্প দেখে সেই সময়ের নাটকের কথা মনে করি।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: আহা বিটিভি

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: তুমি তো প্রায় এই প্রজন্মেরই! বিটিভির স্মৃতিতে কেন আক্রান্ত হলে? :)

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

নজসু বলেছেন:



সেইদিনগুলো আর নেই। শুক্রবারের দিন নামাজ থেকে এসেই টিভি চালু করতাম। বাংলা সিনেমা হবে। সকালেই পত্রিকায় দেখে নিতাম কি সিনেমা আছে আজকে। চ্যানেল শুরু হবার আগে গোল একটা সিগন্যাল এসে থাকতো আর টিঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙ একটা শব্দ হতো। ওটাই গোপ্রাসে গিলতাম। খাওয়া দাওয়া চলতো টিভির সামনেই। কোন কিছু মিস করতে রাজি ছিলাম না। বেশিরভাগ লায়লা নামের একজন আপা এসে অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষণা দিতেন। উনার হাসিমাখা মুখটা অপেক্ষার সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিতো।

আগে বিজ্ঞাপনও আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। দেখার মতোই ছিলো। সংশপ্তক যখন হয় তখন আমি অনেক ছোট। বেশি মনে নেই। তবে, কোথাও কেউ নেই, রূপনগর এসব নাটকের মতো নাটক আর হবে কিনা সন্দেহ। আপনার পোষ্টটি পড়ে মনের মুকরের কথা মনে পড়লো। এটা বৃহস্পতিবারে থাকতো না? বৃহস্পতিবারে সাপ্তাহিক নাটক আর মঙ্গলবারে ধারাবাহিক নাটক। ধারাবাহিক দুটো করে হতো।

ম্যাকগাইভার, রবিনহুড, টিপু সুলতান, আলিফ লায়লা, নতুন সিন্দবাদ অসাধারণ সব।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: মঙ্গলবার আর বৃহস্পতিবার এই দুটো দিন ঠিক আছে। তবে কোনবারে কোনটা হতো সেটা হয়ত ভুলে গেছি।
হ্যাঁ বিজ্ঞাপনগুলো তো দারুণ জনপ্রিয় ছিল সেই সময়। আমাদের ছোটবেলায় বেশিরভাগ হতো স্টিল এ্যাড। ধীরে ধীরে মুভিং এড এলো। আমরা বলতাম নড়াচড়া এ্যাড। :)

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: আহা সেই থান্ডার ক্যাটস , টারজান , সুপারম্যান, মিস্টার প্ল্যানেট কি সব দুর্দান্ত কার্টুন । ম্যাকগাইভার, নাইট রাইডার, স্টার ট্রাক, এলেনা । স্মৃতি সবি স্মৃতি ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: এই কার্টুনগুলো কত যে প্রিয় ছিল! প্রতিটার কাভার মিউজিকটা শুনলেও মন নেচে ওঠে! সত্যিই স্মৃতির মতো আনন্দদায়ক আর বেদনাময় কিছুই হয় না!

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ৮০ দশকে ঘরে ঘরে টিভি ছিলো না।
৯০ এর দশকে প্রায় সবার ঘরেই টিভি। সেই সময় ন্যশনাল আর ফিলিপস টিভি বেশ জনপ্রিয় ছিলো। তখন তো টিভির জন্য লাইসেন্স করতে হত।

যাইহোক আপনার ডাকনাম বিলু?

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমাদের বাসায় টিভি এসেছিল সম্ভবত একাশি সালে। সাদাকালো টিভি। সম্ভবত ফিলিপস টিভি ছিল সেটা। এর বেশিকিছু আর মনে করতে পারছি না।
আমার ডাকনাম বিপু।

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গতকালকে আমার খুব করে ইচ্ছে করছিলো আবার ছেলেবেলায় ফিরে যেতে। সেই সময় কি আর কখনো ফিরে পাবো!!! |-)

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৪

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমার তো প্রায়ই মনে হয় :)

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫২

হাসান রাজু বলেছেন: |এই কয়টা আপনার জন্য ।

view this link

[link|https://www.youtube.com/watch?v=C15BreteeAI&ab_channel=DebajitSarkar]

view this link

[link||view this link]

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: একটা মন্তব্য করে বসে থাকতে চেয়েছিলাম। মন্তব্য করে মনে হচ্ছে পোস্টের সৌন্দর্যই নষ্ট করে দিয়েছি।

ভাগ্যবশত দূরদর্শন, বিটিভি দুটোই দেখতে পারতাম। সিনেমা, চিত্রাহার ছাড়াও রামায়ণ, মহাভারত, টিপু সুলতান, চন্দ্রকান্তা মিলিয়ে দূরদর্শন ও দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু নাটক, বিদেশি অনুষ্ঠান, ইত্যাদি ও খেলা ব্রডকাস্ট (বিশেষ করে বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট) মিলিয়ে বিটিভির দৌড় ছিল অসাধারণ।

আরেকবার চেষ্টা করি।

বিটিভি

দূরদর্শন । ১১ সেকেন্ড থেকে শুরু।

এটা একটু ভিন্ন । [link||view this link]

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: হ্যাঁ এটার কথা মনে আছে। অনেকদিন পরে এটাকে সেদিন ইউটিউবে দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখলাম।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: একটা মন্তব্য করে বসে থাকতে চেয়েছিলাম। মন্তব্য করে মনে হচ্ছে পোস্টের সৌন্দর্যই নষ্ট করে দিয়েছি।

ভাগ্যবশত দূরদর্শন, বিটিভি দুটোই দেখতে পারতাম। সিনেমা, চিত্রাহার ছাড়াও রামায়ণ, মহাভারত, টিপু সুলতান, চন্দ্রকান্তা মিলিয়ে দূরদর্শন ও দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু নাটক, বিদেশি অনুষ্ঠান, ইত্যাদি ও খেলা ব্রডকাস্ট (বিশেষ করে বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট) মিলিয়ে বিটিভির দৌড় ছিল অসাধারণ।

আরেকবার চেষ্টা করি।

বিটিভি

দূরদর্শন । ১১ সেকেন্ড থেকে শুরু।

এটা একটু ভিন্ন । [link||view this link]

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সেই সময়ের কথাগুলো মনে পড়ে গেল। আহ্ সেই কান কাটা রমজান। মাসে একটা সিনেমা দেখার জন্য হলে কষ্ট করে জায়গা করে নিতাম। তাছাড়া ছায়াছন্দ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতাম।
সুন্দর একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: ঠিক তো! ছায়াছন্দের কথা একদম ভুলে গিয়েছিলাম। একটু বেশি রাতে হতো। সম্ভবত রাত সাড়ে দশটা। সেই সময়ে এটাই অনেক রাত :) এটা দেখতে হতো টিভির সাউণ্ড কমিয়ে। কারণ আম্মা আব্বা ঘুমায়ে পড়ত। আমি আর আমার বোন মিলে দেখতাম। কী রঙ্গিন সেই গুলো দিন!

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্টে উল্লেখিত সব সুন্দর নাটকগুলো ইউটিউবে আছে।
আমি মাঝে মাঝে হুমায়ুন আহমেদের নাটক দেখি।
কিছুদিন আগে দেখেছি এই সব দিনরাত্রি।
মধ্যবিত্ত পরিবারের এতো সুন্দর একটা নাটক!
সবাই এতো ভালো অভিনয় করেছে, আমি মুগ্ধ!
থিম সং হৃদয় ছুঁয়ে যায়।




২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: হ্যাঁ বহুব্রীহি অনেকদিন পরে আমিও সেদিন দেখেছি। এখনো কত ভালো লাগে দেখতে। আপনাকে ধন্যবাদ :)

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাদের এন্টেনা ঘুরানো খুব কমন ব্যাপার ছিল। ৩ বা ৪ জন লোক লাগতো। টিভির সামনে একজন, উঠানে একজন, ছাদে একজন বা দুইজন। উত্তরবঙ্গে দেখেছি এন্টেনায় হাড়ি পাতিল ঝুলালে দূরদর্শন ভালোই দেখা যেত। আমার বোন তো হিন্দি লেখা প্রায় শিখেই ফেলল। বাংলা দূরদর্শনও ভালো ছিল। ঐ সময় বিটিভি ৬ নাম্বার চ্যানেল নামে আরেকটা চ্যানেল চালু করেছিল। টিভি স্টেশন বিকাল ৩ টার আগে খুলত না আর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জাতীয় পতাকা দেখিয়ে বন্ধ করে দিত। আমাদের বাসার কাজের বুয়া টিভির পিছনে গিয়ে বুঝতে চেষ্টা করতো ছবি কোথা থেকে আসে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আমার নানী বলত যে হারিকেন দিয়ে টিভি দেখা যাবে না। তখন সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান চলতো। এই সিরিজের নায়কের নাম ছিল স্টিভ। আমাদের বাসার কাজের ছেলের নামটা খুব বিদঘুটে ছিল। তাই ওকে আমরা স্টিভ ডাকা শুরু করেছিলাম। আমার নানীর দাঁত ছিল না। তাই তিনি ডাকতেন টিভ। আমাদের মুরগীটার নাম রেখেছিলাম টুম্পা আর মোরগের নামটা খেয়াল আসছে না। খেয়াল আসলে পরে বলবো।

তখন ভিসিআরের যুগ। কোরবানি কোরবানি কোরবানি গান মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। রাস্তায় বের হলে রেস্টুরেন্টে বাজতে থাকতো। ১৯৮০ সালে ভিসিআরের নাম শুনি। ১৯৮২ সালে প্রথম ভিসিআরে সিনেমা দেখি। সম্ভবত সিনামার নাম ছিল 'নসিব'। ১৯৮০ সালের দিলে মেলাতে ভিসিআর শো হত।
টিভি সিরিজ নিয়ে আরেকটা মন্তব্যে অনেক কিছু বলেছি তাই নতুন কিছু আর বললাম না। হীরামন, মনিহার, ছায়াছন্দ ভালো লাগতো। টিভির রেস্লিং ভালো লাগতো। জেমিনি ম্যান, ইঙ্ক্রেদিবল হাল্ক, ইনভিসিবল ম্যান, লস্ট ইন স্পেস, লিটল হাউজ ইন দা প্রেইরি ভালো লাগতো। টারজান এবং নতুন কুড়ি দেখাতো। ডালাস, ডাইনাসটি বড়রা দেখত। ব্রুস্লির গ্রিন হর্নেট হত। ইউ আস্ককড ফর ইট ভালো লাগতো। সলিড গোল্ড নামে ইংরেজি গানের অনুষ্ঠান হত। এসো গান শিখির মিঠু মনটির কথা মনে আছে। আফজাল সুবর্ণার নাটক খুব হিট ছিল। ছুটির ঘণ্টা, অশিক্ষিত সিনামে হলে গিয়ে দেখেছি। ডানপিটে ছেলে, ডুমুরের ফুল, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী টিভিতে দেখেছি।

রঙ চটা জিনসের প্যান্ট পড়া জ্বলন্ত সিগারেট ঠোটে ধরা সম্ভুবত ডলি সায়ন্তনির প্রথম এ্যালবাম। ঐ রঙধনু থেকে কিছু কিছু রঙ এনে দাও না। শিল্পীর নাম হোল জাতীয়তাবাদী গায়িকা বেবি নাজনিন। একজন বৈমানিকের স্ত্রী গান গেতেন। নামটা ভুলে গেছি।

ওশিন এবং গার্ল ফ্রম টুমরোর কথা মনে আছে। নিঞ্জা টারটেল, পাপাই, স্কুবিডু, টম এন্ড জেরি জনপ্রিয় ছিল। নাইট রাইডার, দা এ টিম, এক্স ফাইল মনে আছে। কমান্ডো এবং রবোকপ দেখেছি। শনিবার হত স্যাটারডে নাইট সিনেমা পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুভি অব দা উইক। অনেক ভালো ভালো ইংরেজি সিনেমা দেখাতো। সকাল সন্ধ্যা, ঢাকায় থাকি ছিল ধারাবাহিক। আরও অনেক কিছু লেখা যেত কিন্তু মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে আর হাতে সময় নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.