নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফকির আবদুল মালেক

ফকির আবদুল মালেক

আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি

ফকির আবদুল মালেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দহন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

দহন

১.
আজ রাশেদুল বারীর জন্মদিন। জ্যৈষ্ঠের সকালে তিনি জেগে উঠলেন। বাগানে পাখিরা গান গেয়ে উঠল। জানালা দিয়ে কমলা রঙের রোদ, তার মেঝেতে বিছানো বিছানা ছাড়িয়ে, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ফলের ছবিযুক্ত ওয়ালপেপারে আছড়ে পড়েছে।

‘আজ আমার জন্মদিন’, অবশেষে তিনি আপন মনে বললেন, ‘আজ আমি ছিয়াত্তরে। দিনগুলো কত দ্রুত পালিয়ে গেল।’
তোষকটি বহুদিনের পুরানো, বহু ব্যবহৃত। এখানে সেখানে শক্ত হয়ে উঠেছে। কখনও কখনও শরীরে ব্যথা হয়। তিনি উঠলেন। জানালায় ঝুলানো টি-শার্টটি গায়ে চাপালেন আর বাগানের কাজে লেগে গেলেন। অনেক কাজ জমে আছে। আগাছা বেয়াদবের মতো বুক উঁচিয়ে আন্দোলনরত। ওদের পিষিয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত কাজে লেগে গেলেনে। পিঠ টান টান হয়ে ওঠে। বাগানে গোলাপগুলো হাসছে, গাঁদাগুলো অগ্নিশিখার মতো জ্বলে উঠছে।
‘আজ আমার জন্মদিন’
ওদিকে একটি কুকুর ঘেউ-ঘেউ করে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে। কাঁঠাল গাছটা চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে মুখরিত। এ দিকটায় ফলের বাগান। আম গাছগুলো তার শেষ সন্তানদের হারিয়ে বাঁজা মেয়ে মানুষের মত উড়নচণ্ডী। নিচে বিড়ালটা কৌশলী হয়ে লুকিয়ে আছে। ভেঙ্গে পড়া পাখির বাসার ভিতর, গতদিনের একটি ছোট পাউরুটির টুকরা থেকে টুকু টুক করে খেয়ে যাচ্ছে একটি ইঁদুর। সূর্যটা দাপট নিয়ে এগিয়ে আসছে মেঘমুক্ত আকাশে। বায়ুহীন একটি গরমের দিন এগিয়ে আসছে সময়ের রথে চড়ে। রাশেদুল বারী, ছিয়াত্তর, রান্না ঘরে বসে আছেন। নীরবতা। বাড়িটির উপরে মজবুত ছাদ, কংক্রিটের; গ্যাসের চুলায় লকলকে আগুন। বারী চিকন হাতে কৌটা থেকে টোস্ট নিয়ে যখন রুমে প্রবেশ করলেন, তার পায়ের আঘাতে কার্পেট থেকে ধুলা উড়ে তীর্যক কোমল আলোতে স্পষ্ট বলয় তৈরি করে ঘুরপাক খাচ্ছে।

বারী তার রিডিং রুমে এসে বসলেন। পত্রিকার পাতায় খুঁজে খুঁজে দেখলেন কোন্ কোন্ পণ্যের ডিস্কাউন্ট দেয়া হয়েছে। অত:পর তৃষ্ণার্ত হৃদয় নিয়ে লেটার বক্সটি পরীক্ষা করলেন, না কোন চিঠি আসেনি, না জন্মদিনের কোন শুভচ্ছো কার্ড, না বিদেশ থেকে, না দেশ থেকে। ছেলেমেয়েরা যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত- এই দিনটির খবর কে রাখে ?

২.
‘সময় উড়ছে’- তিনি বললেন।
প্রায়ই নিজে নিজে কথা বলে ওঠেন, কে শুনবে আর! তিনি টিভি রুমে এসে বসেন পুরান দিনের ঘড়ির ঘণ্টাটা বেজে ওঠে প্রতিঘণ্টা পর পর। একগুঁয়ে। টিভি অন করেন। নানা দেশের নিউজ চ্যানেলগুলোতে ঘোরেন। যখন টিভি বন্ধ করেন নানা দেশের খবরগুলো তাকে আক্রান্ত করে। খারাপ সংবাদগুলো টিভি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলের মত বিনোদন দিচ্ছে। পৃথিবীটা একটা নিষ্ঠুর ধ্বংসের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, কেউ দেখার নেই। মাঝে মাঝে বারী অদ্ভুত ভাষার চ্যানেলগুলো দেখেন, ভাষা বোঝা যায় না কিন্তু সংবাদদাতার চোখের চিক্ চিক্ ভাব দেখে বোঝা যায় যে, শিশু ধর্ষণের খবর দিচ্ছেন। মিডিয়াগুলো সাধারণ শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয়ে আঘাত দিতে ভালবাসে। তারা ধ্বংস আর প্রবঞ্চনা-নির্যাতনকে বিনোদন হিসাবে উপস্থাপন করে।

একা একা কিছুক্ষণ হেসে ওঠেন বারী। তিনি বাইরে বেরুবার পোষাক পরে নেন। জানালা, দরজা ঠিকমত বন্ধ করেছেন কিনা একবার পরীক্ষা করে নেন। বাইরে থেকে তিনি, লোহার দরজাটা টেনে ধরেন। লোহায় মরিচা ধরে গেছে, তার মত, তিনি ভাবেন। সামনে তাকান।
সীমা সূর্যের আলোর মত হেসে দাঁড়িয়ে আছে।
‘হ্যাপি বার্থডে, রাশেদুল বারী’।
বারী তেমন অবাক হলেন না, আনন্দে ভেসে গেলেন না, কারণ তিনি জানেন সীমা বাস্তবিক অর্থে এখানে নেই।
সীমা, পনের বছরের। বারীর সাথে সারাক্ষণ লেগে থাকে। সে তার পিছন পিছন হেঁটে বেড়ায়, যখন বারী পার্কে বসেছিল, সীমা একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে। জবাবদিহিতার মতো বলছে, ‘আমি ভুলতে পারি না, মি: বারী !’
‘আমি জানি, আমি জানি’
‘তুমি কি আমাকে নিয়ে আবার খেলবে ? খেলবে ?’
‘আমি তা পারি না। তুমি মৃত।’

৩.
সূর্যটা সামান্য উপরে উঠে গেছে। সীমা ছায়ার মতো তাকে অনুসরণ করে যাচ্ছে।
‘বেচারা সীমা’ বারী ফিসফিস করতে থাকেন, ‘আমার মৃত প্রেমিকা’।
বারী সচরাচর সুপার মার্কেটগুলো এড়িয়ে চলেন। ওটা অনেক জটিল আর কোলাহলে মুখরিত। মানুষের বিকট চিৎকার। বাচ্চারা হাফিয়ে উঠে কান্না শুরু করে দেয়। অল্প বয়সের যুবকেরা কানে দুল লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারা চোখ দিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে তারা ভিড় পছন্দ করে, দ্রুত সামনে এগিয়ে যায়। যুবতীরা এসব কোলাহল, ভিড় অপছন্দ করে বলে মনে হয় না। তারা আরো বেশি প্রত্যাশা করে। গৃহিণীরা তাড়াহুড়া করতে থাকে। তাদের বাচ্চারা কাঁদে, কাজের বুয়ারা তাদের সামলায়, নিজেরা একটু স্বাধীনতা উপভোগ করে নেয়। সুপার মার্কেটগুলো কোলাহলে মুখরিত, দ্রুত পদচারণায় চঞ্চল আর বারীর নিকট বিরক্তিকর আর একা।
তিনি ছোট বাজারে যান। পরিচিত দোকান থেকে দুধ, ডিম, পাউরুটি কিনেন। পাশের টেইলারিং দোকানটা মহিলা দ্বারা পরিচালিত। ত্রিশ বছরের মধ্যবয়সী তা পরিচালনা করে। বারী প্রায়ই সেখানে যান, গল্প করেন, চা খান।
‘কেমন চলছে দিন?’ মহিলা জিজ্ঞাসা করে।
‘ভাল। আল্লাহকে শুকরিয়া, তিনি ভালই রেখেছেন। তুমি?’
‘এই যাচ্ছে চলে…’
জীবনটা ভদ্রোচিত মিথ্যার সাথে সংগ্রামরত।

বারী তাতিয়ে ওঠা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান, হাঁফিয়ে ওঠেন, ভাবেন বয়সতো আর কম নয়, ছিয়াত্তর। বাড়ি ফিরে আসেন। বিশাল দোতলা বাড়ি। সামনে ফুলের বাগান, পিছনে ফলের গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত সবুজের সমারোহ। এখানে রাশেদুল বারী একা থাকেন। তিনি দোতলার খোলা বারান্দায় আরাম চেয়ারে হেলান দিয়ে বসেন। এখান থেকে রাস্তাটা দেখা যায়। গার্লস স্কুলের মেয়েরা ছুটির পর পরস্পর গল্প করতে করতে বাড়ি ফেরে। চুপ করে বসে থেকে তিনি তাদের দেখে যান। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে ছেলেগুলোর গতিবিধি তিনি দেখতে থাকেন আর ভাবেন, ‘আমি খুশি যে আমি আর যুবক হবো না।’

বায়ুহীন উত্তপ্ত দিন। অসহ্য। দীর্ঘ সময়। একা। ভালো লাগে না। তিনি বই পড়ার চেষ্টা করেন। চশমার পাওয়ার এতোটা বেশি নয় যে তিনি অক্ষরগুলো স্পষ্ট দেখতে পান। চশমাটা বদলাতে হবে। তিনি ভাবেন। একটি মুচকি হাসি তার ঠোঁটের কোণে ভেসে ওঠে।

৪.
সীমা ফিসফিস করে বলে যাচ্ছে এবং তার মাথার ভিতর চক্রাকারে একটি ঘণ্টা বেজে যাচ্ছে।
‘আমার সীমা, সীমা আমার, আমার সীমা।’
চোখ দুটি মুদিত। বিকারগ্রস্ত রোগী, বিড়বিড় করছে সে, একটা জীবন্ত স্বপ্ন যেন এবং তিনি স্পষ্ট কলিংবেল শুনতে পেলেন। তিনি দরজাটা খুলে দিলেন। দরজার ওপাশে সীমা দাঁড়িয়ে, পনের আর লাবণ্যময়ী, সূর্য শিখার মতো উজ্জ্বল। সীমা নারী আর বালিকার মাঝামাঝি, টলমল লাস্যময়ী।
‘তুমি কি আমাদের সাথে খেলতে আসবে না, বারী?’
পিছন থেকে আর একজন, বারীর মা হাসছেন।
সেই হাসিতে দৃশ্যপট বদলে গেল।

‘শোন সীমা, বারী আমার জন্য কিছু মার্কেটিং করতে যাবে, তুমি কি যাবে তার সাথে ?’
সীমা যেন এটুকুরই প্রতীক্ষায় ছিল। বারী, আঠার, সদাহাস্যময়ী প্রাণবন্ত মেয়ের সঙ্গ পাবার প্রত্যাশায় উল্লসিত হয়ে উঠল।
সীমা আর বারীকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন মা। মায়ের উৎকণ্ঠা প্রকাশ পেল তার কণ্ঠস্বরে। রাস্তা সাবধানে পারাপারের পরামর্শ দিলেন। আর এমন আশংকা করলেন যেন সমস্ত রাস্তা জুড়ে ম্যালেরিয়া, হাম, পোলিও’র জীবাণু গিজগিজ করছে। একজন মা যেমন করেন।

সীমা এবং বারী, স্বপ্নগ্রস্ত, চুম্বকের মত আকর্ষণ বোধ করতে থাকলো। তারা অযথাই কথা বলছে, হাসছে। পরস্পর ভালবাসায় পতিত দুটি উল্লসিত আবেগ-প্রবণ যুবক-যুবতী। সীমা’র দাঁড় কাকের মত কুচকুচে কোঁকড়ানো চুল, মাঝে মাঝে সরিয়ে নিচ্ছে যা বার বার তার চেহারাকে ঢেকে দিচ্ছিল। আর বারী তাকে পূর্ণিমার চাঁদ ছাড়া কিছুই ভাবল না।
‘তুমি কি সবসময় আমাকে ভালবাসবে ?’
বারী জানতে চায়।
‘সবসময় এবং এখন’ বলে সীমা বারীর হাতটা ধরে রাখল। বারী সেই স্পর্শে গভীরভাবে কেঁপে উঠল। তারা মার্কেটিং এর পরিবর্তে পার্কের নির্জন স্থানে বসে রইল দীর্ঘ সময়। তারপর তাদের মুখ কথা বলল না আর, চোখ দুটি কথা বলল, ঠোঁট দুটি অপর দু’টি ঠোঁটে আশ্রয় নিল।

৫.
আঠার পর্যন্ত রাশেদুল বারী’র জীবনটা যেন গ্রীষ্মকালীন ছুটির মত ছিল। তারপর বারী, পিতার হাত ধরে, বাইরের জগতে ঢুকে গেল। তাদের বিশাল স্পিনিং মিলের দায়িত্বটা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য পাগল হয়ে গেলেন তার পিতা। তার পিতার বন্ধু মি: আজাদ। যা কিছু স্থিরকৃত বিশ্বাস সেখানেই তিনি বুনে যাচ্ছেন অবিশ্বাসের বীজ। ঈশ্বরের অস্তিত্বে সন্দিহান। পাপ বলে যা কিছু প্রচলিত তাতেই তার স্পষ্ট বিরোধিতা। মি: আজাদ যুক্তিবাদী। প্রেম-ভালবাসা তার কাছে হাস্যকর। তিনি বুঝান যে জগতের সকল মানবীয় প্রবণতার মূলে যৌনতা। ক্রমে ক্রমে মি: আজাদ বারীর আদর্শ হয়ে উঠলেন। মদ খাওয়াকে সে পাপ মনে করে না। তার মা তাকে বারণ করলে বলে- মদ কোন খারাপ জিনিস না মা। জগতের বড় বড় বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক সকলেই মদ খেয়েছেন, খাচ্ছেন।
একদিন পার্টিতে ভরপুর মদ খেয়ে বাড়ি ফিরল বারী গভীর রাতে। সকালে সীমা উপস্থিত।
‘তোমার বাবা-মা কখন বাসা থেকে বেরিয়ে গেছেন, আর তুমি এখনও ঘুমে!’ সীমা বলে।
‘আমাকে বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য কর’ বারী বলে।
সে খেলার সব নিয়ম-কানুন জেনে গেছে, প্রতারণার সমস্ত কৌশল।
সীমা ভালবাসার গন্ধ পাচ্ছিল। হারিয়ে গেল। সব কিছুই দিতে প্রস্তুত ছিল সীমা। কিন্তু একটি পরিচ্ছন্নতা উপহার হিসাবে রাখতে চাইছিল বাসর রাতের জন্য। বারী অস্থির ছিল, সে আরো চেয়েছিল, গভীর আকুতি নিয়ে।

কিছুদিন পর বারী বিমুখ হয়ে গেল।
‘তুমি কি আমাকে আর চাচ্ছোনা ?’
‘এমন ভাবছ কেন! হা হা হা ’ শারীরিক ভাষায় অবজ্ঞার প্রকাশ সুস্পষ্ট।
চোখের জলে সীমা ভিজে গেল। শরীর ব্যথাক্রান্ত হয়ে উঠল। হৃদয় বিবর্ণ।
বারী দুরন্ত হয়ে উঠল। প্রায়শই রুচির পরিবর্তন করতে লাগল।

৬.
সীমা গুরুতর অসুস্থ। বারী খবর পায়। যতক্ষণে বারী ফিরে এলো, ততক্ষণে সব শেষ।
কালো রক্ত তার ঠোঁটের কোণায় লেগে আছে। মুখনিঃসৃত লালাগুলো জমে রয়েছে দু-ঠোঁটের মাঝখানে।
‘আমার সীমা!’
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বারী। দেরী হয়ে গেছে, খুব বেশি।
মা চিৎকার করে উঠলেন-
‘ তুই খুনি, তুই আমার মেয়েটাকে, আমার বোনের মেয়েটাকে খুন করেছিস। আমি খুন করেছি, আমি! আমি, তোদের ছাড়ব না। তোর বাবা, তুই পুরুষ মানুষ। ঘৃণা করি তোদের…’
বলতে বলতে মা ঢলে পড়লেন মেঝেতে। দু’টি লাশ পাশাপাশি দাফন করা হলো।
সময় চলে গেল। সীমা কুড়ি, কোনদিন একুশে এলোনা। মা মধ্যবয়সী কখনও বৃদ্ধা হলেন না।
বারী নিজের ভিতর ফিরে আসতে চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। বহু কষ্টে ফিরে এলেন। মনে পড়ে তার আজ তার ছিয়াত্তরতম জন্মদিন। কেউ তাকে শুভেচ্ছা জানায়নি। না ছেলে, না মেয়ে। কে খবর রাখে এই দিনের?

৭.
চোখ বুঁজতেই ভয় পাচ্ছিলেন বারী। মেঘমুক্ত জ্যৈষ্ঠের আকাশ। চমৎকার চাঁদ উঠেছে। বারী জানালা বন্ধ করে দিলেন। ঘরের ভিতর ক্রমে গরমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বারী বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। স্পষ্ট দু’টি ছায়া বাইরে অপেক্ষারত। একটা দমকা হাওয়া। দরজাটা খুলে গেল। বারী হাসছে, প্রাণবন্ত যৌবনের সেই হাসি…
‘তুমি কি আসতে চাও, রাশেদুল বারী, তুমি কি আমাকে নিয়ে খেলবে ? আমাকে ?’
‘হ্যাঁ এখন আমি তা পারি। আমি তোমাকে ভালবাসি, শেষ পর্যন্ত তোমার বুকেই আমার আশ্রয়।’
‘আমি খুবই খুশি, রাশেদুল বারী। আমি দীর্ঘদিন তোমার প্রতীক্ষায় ছিলাম।’

বারী বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। প্রাণবন্ত যুবক।

ছিয়াত্তর বছরের একটি দেহ পড়ে রইল মেঝেতে। নীরব। নিস্তব্ধ। একা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.