নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফকির আবদুল মালেক

ফকির আবদুল মালেক

আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি

ফকির আবদুল মালেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাড়ি পড়া থেমিসের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

১৯২৮ সালে লিখিত পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুঃ পৃথিবীর ইতিহাস, অধ্যায় ২৫, পৃঃ ১১১ – এ এক ইতিহাসের অবতারণা করেছেন। তিনি লিখেন, “আদিম যুগের মানুষেরা অনেক প্রাকৃতিক ঘটনার কারণই ঠিক ঠাক বুঝতে না পেরে ভয় পেত। … নদী, পাহাড়, সূর্য, গাছ, পশু এদের সবকিছুকেই প্রাচীন মানুষেরা দেব-দেবী বলে মনে করত; কতগুলো ছিলো আবার অদৃশ্য মনগড়া ভূত। ভয় তাদের মনে লেগেই ছিলো, কাজেই তারা মনে করত দেবতা বুঝি তাদের শাস্তি দেবার জন্যই সব সময় ব্যস্ত। তারা ভাবত দেবতা বুঝি তাদেরই মতো কর্কশ আর নিষ্ঠুর; কাজেই একটা পশু, পাখি অথবা মানুষ বলি দিয়ে তারা চাইত দেবতাকে খুশি রাখতে। এই দেবতাদের পূজার জন্য ক্রমে ক্রমে মন্দির গড়ে ওঠতে লাগল। মন্দিরের মধ্যে একটা বিশেষ স্থান ছিল যাকে বলা হত ‘পূজা-ঘর’। সেখানে তাদের আরাধ্য দেবতার মূর্তি থাকত। ”

সহজ সরল ভাবে আরাধ্য দেবতাদের ইতিহাস এই।

প্রাচীন গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী খুজলে অনেক দেব দেবীদের সন্ধান মিলে। এমনি এক দেবী নাম থেমিস।

থেমিস কে ছিলেন?

গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি মতে– ইনি ছিলেন প্রাকৃতিক নিয়মকানুন নিয়ন্ত্রণকারিণী দেবী। ইনি ইউরেনাসের ঔরসে গেইয়ার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বংশের বিচারে ইনি ১২ জন টাইটানের একজন। ভবিষ্যৎ-বাণী করার ক্ষমতা পেয়েছিলেন গেইয়ার কাছ থেকে। পরে এই ক্ষমতা ফিবিকে প্রদান করেছিলেন। দেবরাজ জিউসের ঔরসে তিনি জন্ম দিয়েছিলেন হোরায়ে (ঋতু নিয়ন্ত্রণের তিন দেবী) এবং মোইরায়ে (ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের তিন দেবী। রোমান পুরাণে এর নাম জাস্টিয়া (Justitia)।

ইউরোনোমে এই থেমিস এবং ইউরিমেডোন-কে বৃহস্পতি গ্রহ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন।

আদি রোমানরা গ্রিক মিথ এর কথিত দেবী জাস্টিসিয়াকে বিচারের প্রতীক হিসেবে মনে করতো ।

আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এমন লোক নাই বললেই চলে যিনি বা যারা গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটু, এরিস্টেটল এর নাম শুনেননি বা তাদের চিন্তা চেতনায় কোন না কোনভাবে প্রভাবিত নন।

দ্বাদশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, দার্শনিক, মহাজ্ঞানী আবু রায়হান মুহাম্মাদ বিন আহমদ। জনসমাজে খ্যাত আলবেরুনী নামে। ১০৩১ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ভারতবর্ষের ওপর একটি তত্ত্ববহুল গবেষণাধর্মী পুস্তক রচনা করেন। তিনি লিখেছেন, ‘সক্রেটিস নিজে যখন জনসাধারণের মতের বিরুদ্ধে মূর্তিপূজার প্রতিবাদ করেছিলেন এবং গ্রহনক্ষত্রকে ওদের ভাষায় ভগবান বলতে অস্বীকার করেছিলেন। তখন এথেন্সের ১২ জন বিচারকমন্ডলীর মধ্যে ১১ জনই তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে একমত হয়েছিল। সত্যের প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রেটিসের মৃত্যু হয়েছিল। ভারতবর্ষে এইরূপ দার্শনিকের মতো কোনো লোক জন্মায়নি যার দ্বারা জ্ঞানের তেমন উৎকর্ষ সাধন হতে পারত। (আলবেরুনির ভারততত্ত্ব, বাংলা একাডেমি, টিকা ১৯, পৃ: ৮)

অতএব, দেখা যায় দুটি কারণে সক্রেটিসকে মৃত্যুদন্ড দেয় এথেন্স আদালত। এক. ভাস্কর্য, মূর্তি, ম্যুরাল, প্রতিমা তৈরি ও পূজার প্রতিবাদ করেছিলেন; দুই. গ্রহ, নক্ষত্র, সূর্য, প্রকৃতিকে ভগবান, স্রষ্টা বলতে অস্বীকার করেছিলেন। আলবেরুনী বলেছেন, সত্যের প্রতিষ্ঠার জন্যই সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ড হয়।

প্রাচীন রোমে বিচার বা সামাজিক ব্যবস্থা কেমন ছিলো সেটা মনে করতে গ্লাডিয়েটর মুভির কথা মনে করে দেখা যেতে পারে।যেখানে দাসদের আটকে রেখে হিংস্র পশুর সাথে যুদ্ধ করতে দেওয়া হতো, আর সেই জঘন্য দৃশ্য দেখে মজা নিতো সম্রাট ও সাধারণ জনগন।
৫০০০ বছর আগে বর্বর রোমানরা কি কল্পকাহিনী বিশ্বাস করতো, সেটাকে একেবারে সুপ্রীম কোর্টের নাকের ডগাতে বসাতে চাইছে আধুনিকতার নামে, কি বিস্ময়কর!

বলা হয়, এ ন্যায়ের প্রতীক এবং অনেকেই বলে থাকেন এ মূর্তি নয় ভাস্কর্য।

আাসুন দেখে নেই মূর্তি আর ভাস্কর্য কি?

আভিধানিক অর্থে ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য অর্থ : Sculpture (স্কালপচার)। যে আকৃতি বা ছবি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা-ই ভাস্কর্য। যেমন বলা হয় ‘ভাস্কর্য বিদ্যা’ এর অর্থ, The art of carving বা খোদাই বিদ্যা। যিনি এ বিদ্যা অর্জন করেছেন তাকে বলা হয় ভাস্কর (Sculptor) অর্থাৎ যিনি খোদাই করে আকৃতি বা ছবি নির্মাণ করেন। যেমন আছে অক্সফোর্ড অভিধানে- One who carves images or figures. অর্থাৎ যে ছবি অথবা আকৃতি খোদাই করে তৈরি করে। পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে।

ভাস্কর্য ও মূর্তির আভিধানিক অর্থে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা গেল। এককথায় যে সকল আকৃতি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা ভাস্কর্য- রৌদ্র বা আলোর বিপরীতে যার ছায়া পড়ে না। আর যে সকল আকৃতি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়, রৌদ্রে বা আলোর বিপরীতে যার ছায়া প্রকাশ পায়, তা হল মূর্তি। বিভিন্ন অভিধানে এভাবেই বলা হয়েছে।

পারিভাষিক অর্থে, যে আকৃতির পূজা করা হয় সেটি মূর্তি। আর যার পূজা করা হয় না সেটি ভাস্কর্য। এ ব্যাখ্যা প্রচলিত নয়। যেমন আমরা দেখেছি যখন লেলিনের আকৃতিকে টেনে নামানো হল, তখন সকলে বলেছে ‘লেলিনের মূর্তি ..’ এমনিভাবে যখন সাদ্দামের আকৃতি টেনে নামানো হল, তখন সকলে বলল, ‘সাদ্দামের মূর্তি নামিয়ে ফেলা হয়েছে।’

এই দুইটি প্রতিকৃতি উপাসনার উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়নি, তবু এগুলি মূর্তি হিসাবেই প্রচলিত ছিল।

বাংলাদেশে ভাস্কর্যের উদাহরণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের স্মৃতিকে লালন করার জন্য এবং পরবর্তি প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার চেতনাকে প্রবাহিত করার জন্য। স্বাধীনতাযুদ্ধ স্মরণে নির্মিত এসব ভাস্কর্য রাজধানী শহর ছাড়িয়ে দেশের সর্বত্রই প্রায় রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের বাইরে, বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলেও রয়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধের এসব ভাস্কর্য।

কয়েকটি বিখ্যাত ভাস্কর্য নিয়ে সামান্য আলোচনা করা যেতে পারে।

অপরাজেয় বাংলা

অপরাজেয় বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের ভাস্কর্য যেটি সর্বসত্মরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সেটি ‘অপরাজেয় বাংলা’। এর তিনটি মূর্তির একটির ডান হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে রাইফেলের বেল্ট ধরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এর মডেল ছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্র মুক্তযোদ্ধা বদরম্নল আলম বেনু। থ্রি নট থ্রি রাইফেল হাতে সাবলীল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো অপর মূর্তির মডেল ছিলেন সৈয়দ হামিদ মকসুদ ফজলে। আর নারী মূর্তির মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পূর্ণোদ্যমে অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয়। ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। তবে অপরাজেয় বাংলার কাছে ভাস্করের নাম খচিত কোন শিলালিপি নেই। স্বাধীনতার এ প্রতীক তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন গুণী শিল্পী ভাস্কর সৈয়দ আব্দুলস্নাহ খালিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের বেদিতে দাঁড়ানো তিন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি যেন অন্যায় ও বৈষম্য দূর করে দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার গান গাইছে। এ ভাস্কর্যে সব শ্রেণীর যোদ্ধার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।

সংশপ্তক l

সংশপ্তক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতর্পণমূলক ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম। এই ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী হামিদুজ্জামান খান।
এক পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা এ ভাস্কর্যটি ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ স্থাপন করা হয়।
মূল ভূমি থেকে ভাস্কর্যটির ঊচ্চতা ১৫ ফুট। মূল ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জ ধাতুতে তৈরি।

স্থাপত্য তাৎপর্য
১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের তাঁজা প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল বাঙালি জাতি। । হামিদুজ্জামান খান ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্রোঞ্জের শরীরে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চেতনাকে এতে দৃশ্যমান করা হয়েছে।‘ সংশপ্তক’ হলো ধ্রুপদী যোদ্ধাদের নাম। মরণপন যুদ্ধে যারা অপরাজিত। এ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছেন দেশমাতৃকার বীর সন্তান।

এই সকল স্থাপত্যগুলি আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে, মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগকে চিত্রায়িত করে। আমার একটি স্বাধীন জাতি বটে কিন্তু বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা এখনও অনেক সেকেলে অন্ধকারে আছে। আড়াইশ’ বছর আগে ব্রিটিশ জলদস্যুরা যে কুসঙ্কারাচ্ছন্ন আইন শিখিয়ে দিয়ে গেছে সেটাই এখন মুর্খের মত ফলো করে যাচ্ছে উকিল-জাস্টিসরা।

প্রধান বিচারক মাথায় উলের টুপি পড়ে মা-ভেড়া সেজে থাকে, দাবি করে- সে মা ভেড়া তার সামনে সবাই সমান। এখনও উকিলরা জাস্টিসদের দেখলে ব্রিটিশ নিয়মে ‘মাই লর্ড’ ‘মাই লর্ড’ (আমার প্রভু, আমার প্রভু) করে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এতটাই অন্ধ অনুকরণপ্রিয় যে, ব্রিটেনে তীব্র শীত পরার কারণে উকিল-জাস্টিসরা কোর্ট, গাউন পরে থাকে। আর বাংলাদেশে সেই অণুকরণে গরমকালে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শত শত লোকের মধ্যে ভ্যাপসা আবহাওয়ায় উকিল-জাস্টিসরা কোর্ট-গাউন পরে থাকে। দরদর করে ঘামতে থাকে, কিন্তু ব্রিটেনের অন্ধ অনুকরণ বলে কথা!!

দুঃখের কথা- ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৬৫ বছর হয়ে গেছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৫ বছর, কিন্তু এখনও বিচারবিভাগ সেই ব্রিটিশ ভাষা থেকে বের হতে পারলো না। এখনও সুপ্রীম কোর্টে বাংলা ভাষা সম্পূর্ণ অচল।

কথাগুলো এ কারণে বললাম- সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা যেন আরো উল্টো পথে হাটছে। এতদিন ২৫০ বছর আগের ব্রিটিশ জলদস্যুদের ফলো করতো, আর এখন আরো পিছিয়ে গিয়ে ৫০০০ বছর আগে রোমান বর্বরদের কাল্পনিক বিষয় ঘেটে সুপ্রীম কোর্টের নাকের ডগায় বসাচ্ছে।

এই মূর্তিটি কোনভাবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপস্থাপন করে না বা আমাদের স্বাধীন দেশে ন্যায় বিচারের ভাস্কর্য হতে পারে না, এমন কি এটি গ্রীক দেবীকেও সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একে শাড়ি পড়িয়ে হাস্যকর করে তুলা হয়েছে, একে সরিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন।

আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সঠিক মনে করি, আমার এই দীর্ঘ আলোচনা এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম প্রশ্ন, গ্রীকের দেবী কেন বাংলাদেশে? তাদের সাথে আমাদের কি সম্পর্ক?
২য় প্রশ্ন, গ্রীকে বাংলাদেশের কোন দেবীকে এই রকম সন্মান দেয়া হয়েছে কিনা?

যদি ওখানে বাংলাদেশের কোন দেবী না থাকে, আমরা তাদের দেবী বাংলাদেশে রাখবো না!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন দেব দেবিতে বিশ্বাস স্থাপন করি না। তা গ্রীকের হোক বা বাংলাদেশের বা ভারতেই হোক।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি তো মনে করেছিলাম, যত সমস্যা গ্রীক নিয়ে; এখন অন্য সমস্যা? আসলে আপনিই সমস্যা!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমি সমস্যা হলে সমস্যা। তাই বলে যা বিশ্বাস করি না তাকে কি বলব যে বিশ্বাস করি। আমি হয়ত সেকেলে মানুষ, একটা পোষ্ট লিখেছি এর বেশিতো কিছু করিনি। আমি যথাসাধ্য তথ্য দিয়েছি, যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।

আমি যদি সমস্যা হই তবে সমস্যা, কি করা।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রীম কোর্টের সামনে এই গ্রীক দেবীর মুর্তী স্থাপনের জন্য যারা প্রম্তাব রেখেছিলেন , তারা এর সপক্ষে কি ধরণের যুক্তি দিয়েছিলেন , এই প্রস্তাব কি কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কোন কোন মহারথির হাত ধরে পাশ হয় তার একটি বিস্তারিত ফিরিস্তি মনে হয় কোন না কোন সরকারী দলিলে আছে , তাই বিষয়গুলি জানতে পারলে মন্দ হতোনা !!! বিশ্বের সকলের কাছে পরিচিত এই গ্রীক দেবীকে হাজার বছর ধরে বিশ্ব যেভাবে যে পোশাকে বা অবয়বে দেখে আসছে তাকে বাংগালী শাড়ি পড়ানোর হাস্যকর বুদ্ধিটা কেমন কেমন মাথা হতে কোন জাতীয় সংস্কৃতিক মুল্যবোধের আলোকে এসেছিল তা জানা দরকার ।
ধন্যবাদ পোষ্টটি দিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনি ঠিক বলেছেন নিশ্চয়ই কিছু নথিপত্র আছে।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:

মানুষ প্রাচীন সভ্য জাতিগুলোকে অনুসরণ করতে চায় সব সময়।

ঠিক আছে, গ্রীক দেবীকে সরায়ে ওখানে কার ভাস্কর্য দেখতে চান?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এ পোষ্টের বিষয় নয়।
ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখা যাচ্ছে, গ্রীক দেবীকে শাড়ী পরানোও এক সমস্যা! গ্রীক দেবী কেন শাড়ীতে? শাড়ী সরায়ে দিলে, সমস্যার সমাধান হবে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শাড়ী পড়ালে হাস্যকর লাগে। আপনি বলুন না পড়ালে কেমন লাগবে?

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয়, ন্যাংটাই বেশী সুন্দর দেখাবে!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: সুন্দরের জন্য দেবীকে ন্যাংটা করা ভাল কাজ না, হু।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকে অনেক যুগ, কেহ কিছু বলেনি, আপনি বলেননি; হঠাৎ করে সবাই কেন গ্রীক দেবীকে উৎখাতে লেগে গেলো? গ্রীকেরা শুনলে কি বলবে?

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

TaবিZ FaরুK বলেছেন: মুর্তি সরায়ে ঐখানে লুঙ্গি কাছা মেরে আপনি দাঁড়ায়ে যান।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমিতো জীবন্ত সাধারণ মানুষ। আমি একটি পোষ্ট দিয়েছি সেখানে কিছু তথ্য আর যুক্তি তুলে ধরেছি। আমি কি কোন ভুল তথ্য আর যুক্তি দিয়েছি?

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

রক বেনন বলেছেন: এখন গ্রীক দেবীর মূর্তি................. এরপর?????????

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমারও একই প্রশ্ন এখানে গ্রীক মূর্তি, এরপর?

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ইসলামিফাই করে ফেলুন না! পন্চাশের দশকে গাজিপুরের নাম গন্ধও শুনিনি, জয়দেবপুর ছিল, সেখানে পিকনিক করতুম, এখন জেলা সিনিয়র হল গাজীপুর! জয়দেবপুর উপজেলা বা থানাই রইলো!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ধর্মনিরপক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী লোকেরা কেন কোন দেবদেবীর পক্ষ নেয়, বুঝে আসে না।

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: মূর্তির ভীষণ ক্ষমতা রে!!!!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ১৯২৮ সালে লিখিত পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুঃ পৃথিবীর ইতিহাস, অধ্যায় ২৫, পৃঃ ১১১ – এ এক ইতিহাসের অবতারণা করেছেন। তিনি লিখেন, “আদিম যুগের মানুষেরা অনেক প্রাকৃতিক ঘটনার কারণই ঠিক ঠাক বুঝতে না পেরে ভয় পেত। … নদী, পাহাড়, সূর্য, গাছ, পশু এদের সবকিছুকেই প্রাচীন মানুষেরা দেব-দেবী বলে মনে করত; কতগুলো ছিলো আবার অদৃশ্য মনগড়া ভূত। ভয় তাদের মনে লেগেই ছিলো, কাজেই তারা মনে করত দেবতা বুঝি তাদের শাস্তি দেবার জন্যই সব সময় ব্যস্ত। তারা ভাবত দেবতা বুঝি তাদেরই মতো কর্কশ আর নিষ্ঠুর; কাজেই একটা পশু, পাখি অথবা মানুষ বলি দিয়ে তারা চাইত দেবতাকে খুশি রাখতে। এই দেবতাদের পূজার জন্য ক্রমে ক্রমে মন্দির গড়ে ওঠতে লাগল। মন্দিরের মধ্যে একটা বিশেষ স্থান ছিল যাকে বলা হত ‘পূজা-ঘর’। সেখানে তাদের আরাধ্য দেবতার মূর্তি থাকত। ”

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

বিজন রয় বলেছেন: এই জন্যই তো বললাম মূর্তির ভীষণ ক্ষমতা রে!!!!

আগে মুর্খ, ভীত, নসভ্যরা ভয়ে না বুঝে........... আর এখন শিক্ষিত, সভ্য আর সাহসীরা বুঝেই......

হা হা হা মূর্তির কি প্রভাব!!!!

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

বিজন রয় বলেছেন: ও হ্যাঁ, পন্ডিতজীর রেফারেন্সটার জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: শাড়ী পরা থেমিসের বদলে বোরকা পরা থেমিসের ভাস্কর্য থাকলে বোধ হয় সব লেটা চুকে যায়। তেতুল হুজুর এবং নব গঠিত আওয়ামী হেফাজতি লীগের আমীর শেখ হাসিনার ও পছন্দ সই হয় !!!!!!!


১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: প্রাচীন রোমে বিচার বা সামাজিক ব্যবস্থা কেমন ছিলো সেটা মনে করতে গ্লাডিয়েটর মুভির কথা মনে করে দেখা যেতে পারে। যেখানে দাসদের আটকে রেখে হিংস্র পশুর সাথে যুদ্ধ করতে দেওয়া হতো, আর সেই জঘন্য দৃশ্য দেখে মজা নিতো সম্রাট ও সাধারণ জনগন।
৫০০০ বছর আগে বর্বর রোমানরা কি কল্পকাহিনী বিশ্বাস করতো, সেটাকে একেবারে সুপ্রীম কোর্টের নাকের ডগাতে বসাতে চাইছেন আধুনিকতার নামে, কি বিস্ময়কর!

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৩

জিপ্রাইম বলেছেন: প্রধান বিচারক মাথায় উলের টুপি পড়ে মা-ভেড়া সেজে থাকে, দাবি করে- সে মা ভেড়া তার সামনে সবাই সমান। এখনও উকিলরা জাস্টিসদের দেখলে ব্রিটিশ নিয়মে ‘মাই লর্ড’ ‘মাই লর্ড’ (আমার প্রভু, আমার প্রভু) করে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এতটাই অন্ধ অনুকরণপ্রিয় যে, ব্রিটেনে তীব্র শীত পরার কারণে উকিল-জাস্টিসরা কোর্ট, গাউন পরে থাকে। আর বাংলাদেশে সেই অণুকরণে গরমকালে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শত শত লোকের মধ্যে ভ্যাপসা আবহাওয়ায় উকিল-জাস্টিসরা কোর্ট-গাউন পরে থাকে। দরদর করে ঘামতে থাকে, কিন্তু ব্রিটেনের অন্ধ অনুকরণ বলে কথা!!

এই অংশ টা আসলেই ভালো লিখেছেন, আমরা আজীবন কপিক্যাটই থেকে গেলাম -_-

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:২৫

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাল পয়েন্টটি মন্তব্যের ঘরে তুলে এনেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে ভাবা প্রয়োজন মনে করি।

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: পুরোই যুক্তিহীন একটা লেখা। আপনি লিখেছেন -

আভিধানিক অর্থে ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য অর্থ : Sculpture (স্কালপচার)। যে আকৃতি বা ছবি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা-ই ভাস্কর্য। যেমন বলা হয় ‘ভাস্কর্য বিদ্যা’ এর অর্থ, The art of carving বা খোদাই বিদ্যা। যিনি এ বিদ্যা অর্জন করেছেন তাকে বলা হয় ভাস্কর (Sculptor) অর্থাৎ যিনি খোদাই করে আকৃতি বা ছবি নির্মাণ করেন। যেমন আছে অক্সফোর্ড অভিধানে- One who carves images or figures. অর্থাৎ যে ছবি অথবা আকৃতি খোদাই করে তৈরি করে। পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে

এখানে আপনি ভাস্কর্যের ইংরেজি লিখলেও মূর্তির ইংরেজি লেখেননি। কেন লেখেননি ?

উত্তরঃ ভাস্কর্য আর মূর্তির ইংরেজি অভিন্ন। আসুন দেখি -

পুরোই যুক্তিহীন একটা লেখা। আপনি লিখেছেন -

আভিধানিক অর্থে ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য অর্থ : Sculpture (স্কালপচার)। যে আকৃতি বা ছবি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা-ই ভাস্কর্য। যেমন বলা হয় ‘ভাস্কর্য বিদ্যা’ এর অর্থ, The art of carving বা খোদাই বিদ্যা। যিনি এ বিদ্যা অর্জন করেছেন তাকে বলা হয় ভাস্কর (Sculptor) অর্থাৎ যিনি খোদাই করে আকৃতি বা ছবি নির্মাণ করেন। যেমন আছে অক্সফোর্ড অভিধানে- One who carves images or figures. অর্থাৎ যে ছবি অথবা আকৃতি খোদাই করে তৈরি করে। পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে

এখানে আপনি ভাস্কর্যের ইংরেজি লিখলেও মূর্তির ইংরেজি লেখেননি। কেন লেখেননি ?

উত্তরঃ ভাস্কর্য আর মূর্তির ইংরেজি অভিন্ন। আসুন দেখি -

পুরোই যুক্তিহীন একটা লেখা। আপনি লিখেছেন -

আভিধানিক অর্থে ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য অর্থ : Sculpture (স্কালপচার)। যে আকৃতি বা ছবি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা-ই ভাস্কর্য। যেমন বলা হয় ‘ভাস্কর্য বিদ্যা’ এর অর্থ, The art of carving বা খোদাই বিদ্যা। যিনি এ বিদ্যা অর্জন করেছেন তাকে বলা হয় ভাস্কর (Sculptor) অর্থাৎ যিনি খোদাই করে আকৃতি বা ছবি নির্মাণ করেন। যেমন আছে অক্সফোর্ড অভিধানে- One who carves images or figures. অর্থাৎ যে ছবি অথবা আকৃতি খোদাই করে তৈরি করে। পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে

এখানে আপনি ভাস্কর্যের ইংরেজি লিখলেও মূর্তির ইংরেজি লেখেননি। কেন লেখেননি ?

উত্তরঃ ভাস্কর্য আর মূর্তির ইংরেজি অভিন্ন। আসুন দেখি -

পুরোই যুক্তিহীন একটা লেখা। আপনি লিখেছেন -

আভিধানিক অর্থে ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য অর্থ : Sculpture (স্কালপচার)। যে আকৃতি বা ছবি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা-ই ভাস্কর্য। যেমন বলা হয় ‘ভাস্কর্য বিদ্যা’ এর অর্থ, The art of carving বা খোদাই বিদ্যা। যিনি এ বিদ্যা অর্জন করেছেন তাকে বলা হয় ভাস্কর (Sculptor) অর্থাৎ যিনি খোদাই করে আকৃতি বা ছবি নির্মাণ করেন। যেমন আছে অক্সফোর্ড অভিধানে- One who carves images or figures. অর্থাৎ যে ছবি অথবা আকৃতি খোদাই করে তৈরি করে। পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে

এখানে আপনি ভাস্কর্যের ইংরেজি লিখলেও মূর্তির ইংরেজি লেখেননি। কেন লেখেননি ?

উত্তরঃ ভাস্কর্য আর মূর্তির ইংরেজি অভিন্ন। আসুন দেখি -



সূত্রঃ https://translate.google.com/#auto/bn/sculpture

অর্থাৎ, ভাস্কর্যের ইংরেজি লিখলেন অথচ মূর্তির ইংরেজি এড়িয়ে গেলেন আর নিজের মতো করে মূর্তির মনগড়া সংজ্ঞা দিলেন।

সিদ্ধান্তঃ আপনি ভাস্কর্য আর মূর্তির পার্থক্য করতে না পেরে গোঁজামিল দিয়ে মেলানোর চেষ্টা করলেন। ফলে, লেখাটির কোনো মানে থাকলো না।

ধন্যবাদ।



১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য অপসারণের দাবিটি আক্রোশের বসে তোলা হয়েছে। প্রথম কথা হলো, হেফাজতে এটা করছে যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার আমরা চাচ্ছি সেটাকে বন্ধ করার জন্য বা অন্যদিকে সরানোর জন্য। কারণ আক্রোশটা সুপ্রিম কোর্টের উপর। সুপ্রিম কোর্টই যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তারা এটাকে মূর্তি বলছে। কিন্তু এটা মূর্তি নয়, এটা ভাস্কর্য।


অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে বিবিসিকে বলেন, ‘এটা তো মূর্তি না, এটা তো স্কাল্পচার (ভাস্কর্য)। আর এখানে দেখানো হয়েছে তিনটা জিনিস। একটা হলো দাঁড়িপাল্লা, ন্যায়বিচারের একটা সূচক। আর হাতে একটা তলোয়ার। দণ্ড বা শাস্তির সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তলোয়ার। তৃতীয়ত, চোখটা বাঁধা। অর্থাৎ একদম নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাইকোর্টের সামনে গ্রিক থেমেসিসের এক মূর্তি লাগানো হয়েছে। সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। কারণ গ্রিক থেমেসিসের মূর্তি আমাদের এখানে কেন আসবে। এটাতো আমাদের দেশে আসার কথা না। আর গ্রিকদের পোশাক ছিল একরকম, সেখানে মূর্তি বানিয়ে তাকে আবার শাড়িও পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাও একটা হাস্যকর ব্যাপার করা হয়েছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এই তিনটি বক্তব্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে।


আমি একজন সাধারণ মানুষ কবিতা গল্প লিখি, লোকেরা আমার লেখা পড়ে না, তবু লিখি। মাঝে মাঝে ব্লগের জন্য কিছু প্রবন্ধ লিখি। লোকেরা এসব পড়ে।

সত্যি কথা এই যে, এই তিনজনের বক্তব্যের কারণে ভাস্কর্য আর মূর্তি গুলিয়ে ফেলি। ইংরেজী অভিধানে দুটি শব্দ সমার্থক। কিন্তু ব্যবহারিক প্রভেদতো আছে।

যা পূজার জন্য নির্মিত তা মূর্তি আর যা সৌন্দর্যের জন্য নির্মিত তা ভাস্কর্য, মেনে নিলেও এমন অনেক ভাস্কর্য আছে যাকে পূজা করা হয় না তবু সেগুলিকে মূর্তি বলা হয়।


এবার আমি বলি মূর্তির সাথে যদি শুধু ঐতিহ্য বা সৌন্দর্য জড়িত তবে তা ভাস্কর্য আর যার সাথে কোন দেব দেবী বা ঈশ্বরের ধারণা জড়িত থাকে বা তাদের কল্পনার ছায়া হিসাবে প্ররতিষ্ঠিত হয় তবে মূর্তি। এটা কোন সংজ্ঞা দেয়ার প্রচেষ্টা নয়, এটা আমার বিশ্লষণ।

এই অর্থে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি যথার্ত।

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: চরম হাস্যকর উদ্ভট একটি পোস্ট। লেখার মধ্যে যুক্তির লেশমাত্র নেই। নিজের মনগড়া বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে অথচ 'আভিধানিক অর্থের' মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে।

আপনি লিখেছেন -

দুঃখের কথা- ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৬৫ বছর হয়ে গেছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৫ বছর, কিন্তু এখনও বিচারবিভাগ সেই ব্রিটিশ ভাষা থেকে বের হতে পারলো না। এখনও সুপ্রীম কোর্টে বাংলা ভাষা সম্পূর্ণ অচল।

জবাবঃ আপনার ভুলগুলো হচ্ছে -

১) ব্রিটিশ ভাষা বলে কিছু নেই, যা আছে তা ইংরেজি ভাষা ! ইংরেজি ভাষাকে ইংরেজি ভাষা লিখবেন, ব্রিটিশ ভাষা আবার কী ?

২) মূর্তি বা ভাস্কর্যের সাথে বাংলা ভাষা বা ইংরেজি ভাষার সম্পর্ক কী ? - সম্পর্ক নেই। তাই এসব ভাষা দিয়ে মূর্তি বা ভাস্কর্যের তুলনা হাস্যকর।


আপনি লিখেছেন -

কথাগুলো এ কারণে বললাম- সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা যেন আরো উল্টো পথে হাটছে। এতদিন ২৫০ বছর আগের ব্রিটিশ জলদস্যুদের ফলো করতো, আর এখন আরো পিছিয়ে গিয়ে ৫০০০ বছর আগে রোমান বর্বরদের কাল্পনিক বিষয় ঘেটে সুপ্রীম কোর্টের নাকের ডগায় বসাচ্ছে।

জবাবঃ

১) মূর্তি বা ভাস্কর্য সংস্কৃতির অংশ, শিল্পীমনে এগুলো আলাদা তাৎপর্য আছে। আপনার শিল্পীমন নেই, শৈল্পিকতা বোধ নেই, তার মানে কী এই যে দেশের অন্যদেরও শিল্পবোধ নেই ? আমরা কেউ ওই মূর্তি বা ভাস্কর্যের সামনে পুজা করতে বসি না। ওই মূর্তি বা ভাস্কর্য কারো কোনো ক্ষতি করে না। সুতরাং, ওই মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে লাফালাফি করার কোনো যুক্তি নেই। নববর্ষ পালন করি কেন আমরা ? ওটাও তো ৪৫৬ বছর আগের সংস্কৃতি। আপনি রোমানদেরকে বর্বর বলার আগে নিজেকে আয়নায় দেখুন, আপনি নিজেই বর্বরতার প্রমাণ রাখছেন আপনার অপাঠ্য লেখায় যে আপনি শিল্পবিরোধী তথা প্রগতিবিরোধী !


আপনি লিখেছেন -

এই মূর্তিটি কোনভাবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপস্থাপন করে না বা আমাদের স্বাধীন দেশে ন্যায় বিচারের ভাস্কর্য হতে পারে না, এমন কি এটি গ্রীক দেবীকেও সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একে শাড়ি পড়িয়ে হাস্যকর করে তুলা হয়েছে, একে সরিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন।

জবাবঃ

১) আমাদের দেশের অনেক কিছুই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপস্থাপন করে না, সেসব জিনিসও কী ভেঙে ফেলতে হবে ? এটা কোনো যুক্তি হলো ?

২) ন্যায় বিচারের এই ভাস্কর্য অধিকাংশ বর্বর মানুষের দেশ পাকিস্তানের আদালতেও আছে। সভ্য দেশের আদালতগুলোতে তো আছেই। এই মূর্তি বা ভাস্কর্য শিল্পবোধ আর সৌন্দর্যবোধের সাথে জড়িত, ন্যায়বিচারের সাথে জড়িত নয়।

৩) শেখ হাসিনা কে এই ব্যাপারে নাক গলানোর ? এটি বিচার বিভাগের দায়িত্ব, শেখ হাসিনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলে অন্যায় আবদার করলেই বিচার বিভাগ তা মানবে কেন ? যা আছে, তাই থাকবে। বরং শেখ হাসিনার উচিত, হেফাজতি ইসলামীদের অন্যায় আবদারের জন্য তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া যে বেশি বাড়াবাড়ি করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে, এসব ধানাই পানাই চলবে না।

৪) এই দেশ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয়, এই দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। এই দেশে ১ কোটির ওপরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী আছেন। নাস্তিক্যবাদীও দিন দিন বাড়ছে। ফলে এই দেশে সকল জনগোষ্ঠীর কথা শুনতে হবে। সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার দিতে হবে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং নাস্তিক্যবাদীগণ এই ভাস্কর্য বা মূর্তির বিপক্ষে নয়। ফলে, জাস্ট হেফাজতে ইসলামের মতো চরমপন্থী একটা দলের অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া চলবে না। কোনোভাবেই না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এত বড় আর যুক্তিপূর্ণ মন্তব্যের জবাব দেয়ার চাইতে আলাদা পোষ্ট লেখাই ভাল। ব্যস্ততা কেরে নেয় আমাদের সময়। গভীর রাতে আপনার মন্তব্যে জবাব দেয়া চেষ্টা করব।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৪

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমার ভুল সমূহঃ
১) ব্রিটিশ ভাষা বলে কিছু নেই, যা আছে তা ইংরেজি ভাষা ! ইংরেজি ভাষাকে ইংরেজি ভাষা লিখবেন, ব্রিটিশ ভাষা আবার কী ?

২) মূর্তি বা ভাস্কর্যের সাথে বাংলা ভাষা বা ইংরেজি ভাষার সম্পর্ক কী ? - সম্পর্ক নেই। তাই এসব ভাষা দিয়ে মূর্তি বা ভাস্কর্যের তুলনা হাস্যকর।


১. আমাদের আদালতে যে ইরেজি ব্যবহৃত হয় তা ব্রিটিশরা ব্যবহার করে। আমার জানামতে আরো অন্য প্রকার ইংরেজি আছে যা এখানে ব্যবহৃত হয় না। তাই আমি একবারে ব্রিটশ ভাষা বলেছি। তবু ধরে নেয়া যাক এটা ইংরেজি ভাষাই হবে, আমি ব্রিটিশ ভাষা বলেছি কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যে এটা আমার ভুল হিসাবে চিহ্নিত করা হলো?

২. আমি ভাষার সাথে মূর্তি বা ভাস্কর্যের তুলনা করিনি। কেন ভাষার ব্যাপারটা আলোচনা করেছি তা পরের প্যারায় তার উল্লেখ করেছি। আপনি তা পড়েছেন।



আপনি বলেছেন, আপনি রোমানদেরকে বর্বর বলার আগে নিজেকে আয়নায় দেখুন, আপনি নিজেই বর্বরতার প্রমাণ রাখছেন আপনার অপাঠ্য লেখায় যে আপনি শিল্পবিরোধী তথা প্রগতিবিরোধী !

আমার এই অপাঠ্য লেখায় কোথা থেকে আপনি আবিষ্কার করলেন যে আমি ভাস্কর্যে বিরোধিতা করেছি তা আমার বুঝে আসে নাই, আমি শুধু প্রধনমন্ত্রীর সাথে একমত হয়ে বলতে চেয়েছি এই গ্রীক মূর্তিটি এখান থেকে সরিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত।

প্রাচীন রোমানরা যে বর্বর ছিল তা আমি আমার লেখায় ব্যাখ্যা করেছি, সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ড, গ্রেডিয়েটরের উল্লেখ আছে লেখাটিতে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৪

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন:
১) আমাদের দেশের অনেক কিছুই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপস্থাপন করে না, সেসব জিনিসও কী ভেঙে ফেলতে হবে ? এটা কোনো যুক্তি হলো ?

আমার লেখায় কোথায় বলা হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপস্থাপন করে না ভেঙ্গে ফেলতে হবে তা আমি খুজে পাই নি।



২) ন্যায় বিচারের এই ভাস্কর্য অধিকাংশ বর্বর মানুষের দেশ পাকিস্তানের আদালতেও আছে। সভ্য দেশের আদালতগুলোতে তো আছেই। এই মূর্তি বা ভাস্কর্য শিল্পবোধ আর সৌন্দর্যবোধের সাথে জড়িত, ন্যায়বিচারের সাথে জড়িত নয়।

সর্বোচ্চ আদালতে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য স্থাপন উপমহাদেশে বাংলাদেশেই প্রথম। পাশের দেশ ভারতে পৌত্তলিকতার প্রাধান্য থাকা সত্ত্বেও সেখানে নেই এই প্রতীক। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে এই মূর্তি নেই। একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র নেপালেও নেই এই দেবীর মূর্তি। এমনকি শ্রীলঙ্কা-মিয়ানমারেও নেই তথাকথিত ন্যায়বিচারের এই প্রতীক। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইরানে ১৯৬৪ সালে কুখ্যাত শাহ প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টের সামনে পাশ্চাত্যের অনুকরণে গ্রিক বিচারের দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন করেছিল। একমাত্র এ উদাহরণটি বাদে এ পর্যন্ত মুসলিম দেশের শাসকরা যত মন্দই হোক না কেন আদালতের সামনে দেবীমূর্তি স্থাপন করতে সাহস পাননি।

৩) শেখ হাসিনা কে এই ব্যাপারে নাক গলানোর ? এটি বিচার বিভাগের দায়িত্ব, শেখ হাসিনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলে অন্যায় আবদার করলেই বিচার বিভাগ তা মানবে কেন ? যা আছে, তাই থাকবে। বরং শেখ হাসিনার উচিত, হেফাজতি ইসলামীদের অন্যায় আবদারের জন্য তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া যে বেশি বাড়াবাড়ি করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে, এসব ধানাই পানাই চলবে না


জি এটা আদালতের ব্যাপার শেখ হাসিনার অধিকার নেই মতামত দেয়া!! তবু তিনি দিয়েছেন কেন তার জবাব আপনার পরের কথাই প্রকাশিত হয়। আপনি বলেছেন তিনি যেন কড়া হুশিয়ারি দেন যাতে করে হেফাজতকে জেলে পাঠিয়ে দিবেন বলে। এই জেলে পাঠানো কি তার এখতিয়ার, এর জন্য আইন আদালত আছে আছে প্রশাসন তিনি কেন বলতে যাবেন? আপনি যেমন তার কাছে এ ধরনের আশা করেন অন্য অনেকে তার কাছে বিভিন্ন আশা নিয়ে আসে, তিনি যেমন আপনার প্রধানমন্ত্রী তিনি তাদেরও প্রধানমন্ত্রী। বুঝে আসলো কিছু?

৪) এই দেশ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয়, এই দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। এই দেশে ১ কোটির ওপরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী আছেন। নাস্তিক্যবাদীও দিন দিন বাড়ছে। ফলে এই দেশে সকল জনগোষ্ঠীর কথা শুনতে হবে। সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার দিতে হবে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং নাস্তিক্যবাদীগণ এই ভাস্কর্য বা মূর্তির বিপক্ষে নয়। ফলে, জাস্ট হেফাজতে ইসলামের মতো চরমপন্থী একটা দলের অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া চলবে না। কোনোভাবেই না।

এদেশের জনসংখ্যা কত? এক কোটি আর কিছু নাস্তিক বাদে বাকি সবার মতামত ইচ্ছা আকাঙ্খার মূল্য আপনার কাছে না থাকতে পারে কিন্তু সবার কাছে যে থাকবে না এটা কিভাবে আশা করেন!!

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০১

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -

পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে।

তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় - ভাস্কর্যের কী ছায়া নেই ? ভাস্কর্যের কী আকৃতি নেই ?

উত্তরঃ আছে। মূর্তি ও ভাস্কর্য উভয়েরই আকৃতি এবং ছায়া দুটোই আছে। একই জিনিস। যা মূর্তি, তাই ভাস্কর্য। মূর্তি শব্দটি মূলত ধর্মীয় প্রেক্ষাপট থেকে ব্যবহার করা হয়, ভাস্কর্য শব্দটি মূলত শৌল্পিক প্রেক্ষাপট থেকে ব্যবহার করা হয়।

আপনার লেখায় যে কোনো যুক্তির লেশমাত্র নেই - প্রমাণিত।

১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনার প্রত্যুত্তরের যুক্তিখণ্ডন

১) আপনি অভিধান থেকে যখন মূর্তি আর ভাস্কর্যের পার্থক্য নিরূপণ করতে চেয়েছেন, তখন অভিধান থেকেই আপনাকে পার্থক্য নিরূপণ করতে হবে। শাহরিয়ার কবির/মাহবুবে আলম/শেখ হাসিনার দেওয়া সংজ্ঞা কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নয় যে তাদের নিজস্ব বক্তব্য দিয়ে আপনি মূর্তি আর ভাস্কর্যের পার্থক্য করার চেষ্টা করবেন। মোদ্দা কথা হচ্ছে -

মূর্তি আর ভাস্কর্য একই জিনিস যা অনলাইনে গুগল ট্রান্সলেট থেকে আমি দেখিয়েছি, আপনি চাইলে যে কোনো ইংরেজি টু বাংলা ডিকশোনারিতেও চেক করে নিতে পারেন।

মূর্তি শব্দটি ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয় পক্ষান্তরে ভাস্কর্য শব্দটি শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়।

২) আপনি লিখেছেন - এদেশের জনসংখ্যা কত? এক কোটি আর কিছু নাস্তিক বাদে বাকি সবার মতামত ইচ্ছা আকাঙ্খার মূল্য আপনার কাছে না থাকতে পারে কিন্তু সবার কাছে যে থাকবে না এটা কিভাবে আশা করেন!!

জবাবঃ এই দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয়। ফলে এই দেশে কে বেশি কে কম - সেটা ব্যাপার নয়। ব্যাপার হচ্ছে, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার দেশ, সুতরাং সবার সমান অধিকার। মেজরিটি মাইনোরিটির নামে পক্ষপাতদুষ্টতা চলবে না। আর ১ কোটি একটা সিগনিফিক্যান্ট নাম্বার। ফেসবুক ও ব্লগেও আজকাল প্রচুর নাস্তিকদের দেখা যায়। আদমশুমারিতে নাস্তিকদের সংখ্যা হিসাব করা হয়না বলে অনেকের মনে হতে পারে নাস্তিক বুঝি কম। কিন্তু পৃথিবীর উন্নত ও সভ্য দেশগুলোর মতো এদেশেও নাস্তিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যে দেশে সকলের অধিকার সমান, সেই দেশে প্রগতিশীল মানুষদের কথাকে উপেক্ষা করে শুধু একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা চলবে না।

৩) হেফাজত ঘোষণা দিয়েছিলো মূর্তি/ভাস্কর্য না সরালে তারা ৫ই মের মতো তাণ্ডব চালাবে। এটা দেশের আইন শৃঙ্খলার চরম পরিপন্থী। হেফাজতীদের এই বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীর তাদেরকে হুঁশিয়ারি দেওয়া দরকার যে তাণ্ডব চালালে গতকালের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করা হবে। আর সেটি ব্যবহার করলে নিশ্চিতভাবেই এসব হেফাজতী কর্মীদের একটা অংশ জেলে যাবে। এই কথাটাকেই সংক্ষিপ্তভাবে বলার সময় ওভাবে বলেছি যে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি দেওয়া উচিত যে বেশি বাড়াবাড়ি করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উস্কানি দিলে এবং সেগুলো করলে তো জেলে যেতে হবেই। আর হেফাজতে ইসলামী এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নয়। এটি কখনো নির্বাচনও করেনি।

৪) সর্বোচ্চ আদালত হোক আর অন্যান্য আদালত হোক, পাকিস্তান ভারতের অনেক আদালতেই এই মূর্তি/ভাস্কর্য দেখা যায়। উন্নত দেশগুলোর আদালতেও আছে। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই মূর্তি/ভাস্কর্য কারো কোনো ক্ষতি করছে না। এটি নির্জীব একটি জিনিস। ফলে এটিকে যারা ইস্যু বানাচ্ছে, তারা কুটিল মনের বজ্জাত লোক ছাড়া কিছুই নয়। তাদের উদ্দেশ্য, দেশকে যেন তেন উপায়ে অস্থিতিশীল করার জন্য ছুতো খোঁজা।

৫) আমার এই মন্তব্যের আগের মন্তব্যের কোনো জবাব দেননি। কেননা, সেই জবাব আপনার কাছে নেই। আপনি লিখেছিলেন -
পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে। - অথচ এমন সংজ্ঞা কোনো অভিধানে নেই। এটি সম্পূর্ণ আপনার মনগড়া সংজ্ঞা।

ধন্যবাদ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমি মূর্তি আর ভাস্কর্যের আলাদা অর্থ খুজছিলাম যাতে করে প্রমান করা যায় যে থেমিসের ভাস্কর্যটি আসলে মূর্তি। আপনি আমার ব্যর্থতা চিহ্নিত করতে পেরেছেন আার সাথে সাথে এ প্রমানিত হলো যে, আমাদের বুদ্ধিজীবি শাহারিয়ার কবির আর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবিষয়ে কতটা কম জ্ঞান রাখেন আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে বলেছেন যে এটা মূর্তি।

আপনার কথা খুজতে গিয়ে আমি প্রামান্য একটি লেখা খুজে পেলাম।

কাঠ ও হাড়ের ভাস্কর্যঃ
কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে সংরক্ষিত বেশির ভাগ খোদাই শিল্পই ভেঙ্গে বা ক্ষয়ে গেছে। সেগুলির মধ্যে ৬টি কাঠের এবং ৪টি হাড়ের তৈরী মূর্তি। কাঠেরগুলির মধ্যে ২টি সরু যক্ষী মূর্তি, ১টি মাছ এবং অন্য আরেকটি লাঠি বা ছুরির হাতল। হাড়ের নমুনাগুলি ভাস্কর্যের গুরুত্ব বিবেচনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ একারণে যে, এগুলিতে মূর্তি ও রিলিফ একই সাথে বিদ্যমান।

কি্ংম্বা

আদি প্রস্তর ভাস্কর্যঃ
এখন পর্যন্ত বাংলায় আবিষ্কৃত এবং খ্রিস্টীয় প্রথম তিন শতকের নির্মিত প্রস্তর ভাস্কর্য অত্যন্ত কম। সাধারণ রীতির এই ভাস্কর্যগুলি উত্তর ভারতের শিল্প জগতে কুষাণদের উন্নত ধারার অন্তর্গত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এই শিল্পের কেন্দ্র ছিল মথুরা। এখানে সে সময়ে ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ও জৈন- মূলত এই প্রধান তিনটি ধর্মের অনুসারীরা পূজার নিমিত্তে মূর্তি বানাতে গিয়ে এর সূচনা করেছিল।


অথবা


গুপ্ত ভাস্কর্য ভারতের মূর্তি শিল্পের দীর্ঘ ইতিহাসে গুপ্ত যুগকে (আনুমানিক ৩০০-৫৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) উপেক্ষা করা কঠিন। ভারতীয় ভাস্কর্যের শিল্প বিবেচনায় এই অধ্যায়টি ছিল শিল্প জগতের সর্বোচ্চ চূড়া। এই অবস্থানটি অবশ্য পরবর্তী ৫০০ বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে শিল্পিদের ধারাবাহিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে।

গুপ্ত যুগে মূর্তির শারীরিক গঠন, আসন ভঙ্গি ও দেহের ভাঁজ এবং ভারতের প্রধান তিনটি ধর্মের দেব-দেবীর প্রতীকী বৈশিষ্ট্যসমূহ নির্দিষ্ট হয়ে ওঠে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই যে, এ যুগে মনুষ্য মূর্তিতে ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্য উপলব্ধ হয়, যা ছিল দুটি প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত (১) নমনীয়তা ও (২) রেখার কমনীয় প্রকাশ। তদুপরি, এযুগের মূর্তিগুলির বলিষ্ঠ অবয়ব ও সূক্ষ্ম প্রকাশভঙ্গী ভাস্কর্য এগুলিকে বিশেষ শ্রীমন্ডিত করেছে, যাকে ধ্রুপদী আখ্যা দেওয়া যায়।


আপনার মন্তব্য থেকে আমি বুঝতে পারছিলাম মূর্তি আর ভাস্কর্য্যের আলাদা অর্থ খুজতে যাওয়া ভুল হয়েছে। প্রকৃত প্রস্তাবে মূর্তি আর ভাস্কর্যের মধ্যে কোন আলাদা নেই, উভয়ে একই অর্থ বহন করে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এই মূর্তি/ভাস্কর্য কারো কোনো ক্ষতি করছে না। এটি নির্জীব একটি জিনিস। ফলে এটিকে যারা ইস্যু বানাচ্ছে, তারা কুটিল মনের বজ্জাত লোক ছাড়া কিছুই নয়। তাদের উদ্দেশ্য, দেশকে যেন তেন উপায়ে অস্থিতিশীল করার জন্য ছুতো খোঁজা।


জবাবঃ
একটি নির্জিব জিনিস তার অবস্থানগত কারণে এবং তার পুরানো ইতিহাসের কারণে ব্যাপক অর্থনবোধক হয়ে উঠেছে। এটা যদি অ্যাটর্ণি জেনারেলের বাসার সামনে স্থাপিত হতো তবে কারো কোন আপত্তি থাকিত না। প্রশ্ন হলো কেন এই গ্রীক দেবীর মূর্তি মুসলিম প্রধান দেশের যার সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উল্লেখ আছে সেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সাৃমনে স্থাপন করা হলো? যারা এই কাজটি করেছেন বজ্জাত লোক ছাড়া আর কি হতে পারে, দেশকে অস্থিতীশীল করার একটি চক্রান্ত ছাড়া একে আর কি বলা যায়?

২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: আপনি হেফাজতি?
লীগ এই দাবি তুলতে হেফাজতকে কত টাকা দিসে?
সালোয়ারকামিজ পরা থেমিস চাই

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমি হেফাজতি নই।
কত টাকা বা কোন লেনদেন সম্পর্কে আমার জানা নাই।
আপনার যা খুশি চাইতে পারেন।

২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: চামচামিমূলক পোস্ট করে নিজের মোসাহেবি চরিত্রকে সুস্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য ব্লগারকে অভিনন্দন।

জয়তু হাসিনা, জয়তু তেঁতুল, জয়তু ফকির মালেক।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: যুক্তি তর্কতো ভালোই করছিলেন।

এখন যা করছেন তা হেরে যাওয়ার লক্ষণ।

২২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্টের মুল বক্তব্য ইন্টারেস্টিং বা বেশ আগ্রহদীপ্ত। আপনার আর এ আর ১৫ এর আলোচনা বেশ ভালো লাগছিলো পড়তে। ব্লগিং এর মজাই এটা। বাকি মন্তব্যগুলো তেমন একটা গভীর নয়। আপনি ধীরস্থির ঠান্ডা মাথায় বক্তব্য দিচ্ছেন, এটাই অন্যদের শিক্ষনীয়।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি আসলে এ আর ১৫ এর সাথে বেশি দূর যেতে চাইছিলাম না অথচ আপনি বলছেন যখন তখন আলোচনা কিছু চালিয়ে নেয়া যায়। আমি চেষ্টা করব।

২৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পাঁঠারা ল্যাংটা মূর্তি দেখিয়া স্বমেহন করে এইটা জাতি মানিতে পারিবে না জানা কথা ! তাই বলিয়া শাড়ি পড়া মূর্তি দিছে, তাও হুজুরগো সইলোনা ! আচ্ছা ,শাড়ি পড়া মূর্তি না মানিলে কোনো পাঁঠারেও ঐখানে দাঁড় করাইয়া রাখা যাইতে পারে ! দাঁড়িপাল্লার বদলে তাহার বিচি দুইখানিই ন্যায়বিচারের প্রতীক হইবে ! অবশ্য পাঁঠাদের ন্যায়বিচারের ধারণার মতো বিচিও ছোট-বড় হইবে ! X(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনার জন্য নিচের লেখাটি দিলাম। পড়তে হবে বলে দিলাম, হু।


ইউরোপ ও আমেরিকার কোন কোন জাদুঘর প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় ভাস্কর্য সমৃদ্ধ। এ সকল ভাস্কর্যের মধ্যে ছয় ও সাত শতকের পূর্বভারতীয় ভাস্কর্যও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ক্লিভল্যান্ড মিউজিয়ামের কথা বলা যায়। এখানে গভীরভাবে খোদাইকৃত কালো পাথরের গরুড়াসীন বিষ্ণুর একটি মূর্তিসহ (৮০ সেমি) এ যুগ ও এতদ্বঞ্চলের বেশকিছু বুদ্ধ মূর্তি সংরক্ষিত আছে। তবে বুদ্ধ মূর্তির আরও কিছু নমুনা, বিশেষ করে বিভিন্ন রকমের বোধিসত্ত্ব ও তারা মূর্তি, সংরক্ষিত আছে নালন্দা মিউজিয়াম ও ভারতীয় মিউজিয়ামে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসাধারণ অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বগুড়ার মহাস্থানের নিকটবর্তী সালার থেকে প্রাপ্ত গিল্টি করা ব্রোঞ্জের মঞ্জুশ্রী মূর্তিতে (চিত্র-৮)। এটি বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে সংরক্ষিত। সম্মুখভাগের মুখ সামান্য ঘোরানো অবস্থায় বিদ্যমান এই বোধিসত্ত্বটি তার ডান হাত দিয়ে আশীর্বাদ ও বাম হাত দিয়ে বরাভয় দান করছেন।ছন্দময় শরীরী বিহঙ্গ ও আধ্যাত্মিক সজীবতায় প্রাণবন্ত মুখাবয়বের এই মঞ্জুশ্রী মূর্তিটি এখন পর্যন্ত সাত-আট শতকের বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য।


চিত্র-৯ বিষ্ণুমূর্তি, কুমারপুর, রাজশাহী
আরেকটি আকর্ষণীয় ব্রোঞ্জ মূর্তি, যা একদা স্বর্ণপত্রে গিল্টি করা ছিল, পাওয়া গেছে কুমিল্লা জেলার দেউলবাড়ি থেকে। এটি ব্রাহ্মণ দেবী সর্বাণীর মূর্তি। বর্তমানে হারিয়ে যাওয়া এই মূর্তিটি সাত শতকের শেষার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় রাজত্বকারী খড়গ বংশীয় রাজা দেবখড়গের রানী প্রভাদেবী কর্তৃক উৎসর্গীকৃত। যদিও এই মূর্তিটি মঞ্জুশ্রী মূর্তির তুলনায় অনেকটাই অমসৃণ, তথাপি এই দুটি মূর্তি প্রমাণ করে যে, সাত শতকের শেষ দিকে বাংলায় ধাতু ঢালাই পদ্ধতিটি সূচিত হয়ে গিয়েছিল।

সাত শতকের প্রথম দিকে বাংলায় পাথর এবং ধাতু ছাড়াও নির্মাণ শিল্পের মাধ্যম হিসেবে স্টাকো ভাস্কর্যের ব্যবহার শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ মঠের নিকটে রক্তমৃত্তিকা বিহারে খননকার্যের ফলে অত্যন্ত জীর্ণ অবস্থায় বেশ কিছু স্টাকো ভাষ্কর্ষ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে মানুষের মাথাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে একটি স্টাকো ভাষ্কর্ষের মুখাবয়বে কমনীয় হাসি সহযোগে নালন্দা থেকে প্রাপ্ত সমসাময়িক একই রকম স্টাকো মুখের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মূর্তিটি এখন পশ্চিমবঙ্গ প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী মাৎস্যন্যায়ের প্রায় ১০০ বছর, বাংলার ভাস্কর্য শিল্পের মতো ব্যয়বহুল মাধ্যমটিতে পৃষ্টপোষকতার অভাব দেখা দেয়। ফলে সাত শতকের শেষাংশ থেকে আট শতকের প্রথমাংশ পর্যন্ত পাথর অথবা ধাতু নির্মিত তেমন উল্লেখযোগ্য ভার্স্কয বাংলায় পাওয়া যায় না। তবে বিহারের কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় এ সময়ে দেব-দেবীর খোদাইকৃত মূর্তির কাজ হয়েছে।

২৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ফকির আবদুল মালেক,

ভাই, আপনার এই সব যুক্তি আসলেই কোন কাজে আসবে কি না সন্দেহ থেকে যায়। কারন, ইতিপূর্বে এই ব্রাদারকে একাধিক পোস্টে এরকম বহু যুক্তি দিয়ে দেখেছি, সকল কিছুর পরে 'তালগাছ আমার' নীতিই তার বহাল থেকে যায়। সুতরাং, ...। তবু চেষ্টা চালাতে তো দোষ নেই। দেখুন।

পাহাড় নিজের থেকে সরে যেতে পারে,
ঘটে যেতে পারে কেয়ামত।
সত্যের দিকে ফিরে আসা বাতুলতা!
বৃথা দেখি সব মেহনত!!

সুদর্শন মূরতি মায়া মনে তার গাথা,
ভুলে যেতে নাহি পারে হায়!
সকল যুক্তির শেষে, মূর্তি জড়িয়ে ধরে,
বলে, এরে ছাড়া বাঁচা দায়!!

এ 'অবুঝে' কে বোঝায়, সাধ্যি কার,
ভিন্ন নামে হোক 'মূর্তি সবি',
ইসলাম নিষিদ্ধ করে ভাস্কর্য প্রানীর
লাত উযযা মানাতের ছবি!

দয়া করে ফিরে আসো, সত্যের পথ
ডেকে যায় অবিরাম শুধু,
মিথ্যের ছলনায় আর কত তড়পাবে!
হাতরে বেড়াবে মরু ধূ ধূ!!

@ছড়াটি মান্যবর এ আর ১৫ কে উৎসর্গ করা হয়েছিল।

বিষয় সম্পৃক্ততার কারনে অনুরোধ থাকল শাহজালাল হাওলাদার এর "মূর্তির নিষেধাজ্ঞা কবিতা" পোস্টটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে।

মূর্তির নিষেধাজ্ঞা কবিতা

ভাল থাকবেন, ভাই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার দেয়া লিংকে গিয়ে দেখলাম একই মন্তব্য করে যাচ্ছে এআর১৫। আমি সেখান থেকে কিছু মন্তব্য কপি করে এখানে পেষ্ট করে রাখলাম যাতে আমার পোষ্টটি আরো বেশি অর্থপূর্ণ হয়।

২৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এখানে কুরআান হাদীছের যে আলোচনা হয়েছে ( একটি মন্তব্য ব্যতিত) তা অন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে কপি করে পেষ্ট করা। আমি মন্তব্যের ঘরে লিংক দিতে পারি না।

২৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

সালমান মাহফুজ বলেছেন: দেব-দেবিতে বিশ্বাস স্থাপন একটা বিষয় ; আর কোনো মিথলোজিক্যাল ক্যারেক্টারকে প্রতীক হিসাবে গড়ে তোলাটা অন্য ব্যাপার । একটা কুসংস্কার ; আরেকটা শিল্প । আর শিল্প তো সব সময়ই দেশ-কালের ঊর্ধ্বে ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: কথিত মূর্তিটি কতটুকু শিল্পসম্মত হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনায় না গিয়েও বলা যায় এটা স্থাপনের স্থানটি সঠিক হয় নি। ধন্যবাদ।

২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভাস্কর্য ও মূর্তি মনে হয় না অভিন্ন। ভাস্কর্য দুই ধরনের : বিমূর্ত এবং মূর্ত। বিমূর্ত ভাস্কর্য সম্পূর্ন ভাবে ইসলাম সম্মত। আর মূর্ত ভাস্কর্যের অনেকাংশ (ব্যক্তি মূর্তি) ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। অবশ্য আমি খুব বেশী জানি না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।


বিমূর্ত ভাস্কর্য সম্পূর্ন ভাবে ইসলাম সম্মত। আর মূর্ত ভাস্কর্যের অনেকাংশ (ব্যক্তি মূর্তি) ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।

২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



তার কাছে এরকম অসংখ্য জিনিষ রয়েছে। শুধু কপি পেস্ট করাই তার কাজ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

অেসন বলেছেন: থেমিসের মূর্তি বা ভাস্কর্য যাই বলুন না কেন ? তা শুধু ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়েছে। এই মূর্তিকে নিশ্চয় কেউ পুজা করবে না। এটাকে নিয়ে ধর্মীয় বিতর্ক সৃষ্টি না করলেই কি হত না?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এখনে কোন ধর্মীয় বিতর্ক হচ্ছে না। আপনি আমার পোস্ট পড়ুন। কেউ কেউ এই পোষ্টকে ধর্মীয় বিতর্কে জড়াতে চেয়েছিল।

আমি এই মূর্তিটি এখান থেকে সরিয়ে ফেলার পক্ষে।

৩০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিদ্ধান্ত কি শাড়ী খুলে নেবে, নাকি মুর্তি সরাবে?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: যা শুনছি তা তো আরো হাস্যকর মনে হইতাছে।

৩১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৩

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন - এখন যা করছেন তা হেরে যাওয়ার লক্ষণ।

জবাবঃ চোরকে চোর বলা কী অন্যায় ? - অন্যায় নয়। চামচামি করলে তাকে চামচামি করা বলা কী অন্যায় ? - অন্যায় নয়। যে যেমন কাজ করছে, তাকে সেটা বলাই সততার কাজ। যাই হোক, মূর্তি/ভাস্কর্য সরবে না - এটাই বাস্তবতা, সুপ্রিম কোর্টের ব্যাপারে শেখ হাসিনার বক্তব্যের কানাকড়ি মূল্য নেই। ধন্যবাদ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: কোন কিছুই অন্যায় নয়।
শুধু দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
ভুল বললাম।

৩২| ০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: "কোনটাকে বলি ভাস্কর্য আর কোনটাকে বলি মূর্তি
কোনটাকে বলি নির্মল আনন্দ কোনটাকে বলি ফূর্তি!"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.