নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফকির আবদুল মালেক

ফকির আবদুল মালেক

আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি

ফকির আবদুল মালেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট ছোট কথামালা-৫

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৬

এক.


অভিযানের খবর পেয়ে সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখেই পালিয়ে যান ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ভুয়া চিকিৎসকরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন।

চিকিৎসা সেবার নামে বেহাল অবস্থা। অভিজাত হাসপাতালগুলো বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। সরকারি হাসপাতালে বেহাল দশা। সাধারণ মানুষ জিম্মি। টাকা দিয়েও চিকিৎসা মেলে না। রাজধানী ঢাকাতেই হাসপাতালগুলোতে অভিযোগের পাহাড়। মাঝে মাঝে অভিযানও হয়। জরিমানা হয়।

বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা দেশের স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা কিছুতেই কাটছেই না। হাসপাতাল আছে, যন্ত্রপাতি ওষুধপথ্যের সরবরাহ যাচ্ছে নিয়মিত, আছে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী; শুধু নেই কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা। রাজধানী থেকে শুরু করে নিভৃত পল্লী পর্যন্ত সর্বত্রই অভিন্ন অবস্থা। চিকিৎসকের বদলে নার্স, ওয়ার্ডবয়, আয়াদের দিয়ে রোগী দেখানো এবং ব্যবস্থাপত্র দেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করা হচ্ছে হরহামেশাই। এতে মাঝে-মধ্যেই রোগীর পেটের ভিতর গজ-ব্যান্ডেজ, ছুরি-চাকু রেখে সেলাই করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। ওয়ার্ডবয়-আয়ার ‘ডাক্তার সাজা’র মধ্যেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সীমাবদ্ধ থাকছে না, আছে বহিরাগত দালালদেরও অন্তহীন উৎপাত। দালালরা নানা কায়দা-কৌশলে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। এসব দেখভালের যেন কেউ নেই।

দুই.



চুয়াডাঙ্গার জেলার মোট ২০ জন নারী-পুরুষের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের চক্ষু শিবিরের অপারেশনে। তাদের মধ্যে ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে। এরা সবাই গরিব। তাই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছেন। তারা বলছেন, তাদের প্রায় সবারই ‘দিন আনি দিন খাই’ অবস্থা। গ্রামে থাকেন; শহরে এলেও সেখানে চলাফেরায় অভ্যস্ত নন। ইম্প্যাক্ট হেল্‌থ সেন্টারের বিরুদ্ধে তারা লড়বেন কী করে? এমনকি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ পর্যন্ত এসব ঘটনা জেনেও নীরব।

http://www.samakal.com/whole-country/article/18031808/চক্ষু-শিবিরে-গিয়ে-চোখ-হারালেন-২০-জন-

তিন.



গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে হাসপাতালগুলোর দুরবস্থার জন্য সরকারই দায়ী। এখনো পর্যন্ত হাসপাতালগুলো পরিচালনার সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই।

ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গজিয়ে উঠছে। সনদ নেই, কিচ্ছু নেই। চিকিৎসক নেই, যন্ত্রপাতি নেই, ইমারজেন্সি নেই, ইসিজি মেশিন নেই, তারপরও সেগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এসব অনুমোদন কেন দেওয়া হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরও দায় এড়াতে পারে না। ’


চার.




হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বলেন, “ দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মত একটু তেলের অভাবে কষ্ট পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে ”

“ শাসকরা যখন বিগড়ে যায় তখন জনগণও বিগড়াতে শুরু করে। সর্বাপেক্ষা ইতর সে ব্যক্তি যার প্রভাবে তার অধীনস্থদের মধ্যে অনাচার বিস্তার লাভ করে। ”

পাঁচ.

ইসলাম সম্পর্কে আমরা ধারণা খুজি আইএস এর কর্মকান্ড থেকে আর ইয়া নবী সালামাআলাইকা শেষে হাতে গুজে দেয়া টাকা নেয়ার সময় এসবের কি দরকার ছিল বলা মৌলভীদের জীবন থেকে। অথচ ইসলামের মুল জায়গাটা অন্য কোথাও। কে খুজি?

যে যত বড় দায়িত্ববান তার জবাবদিহিতা তত বড়।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্রদেরকে নিজেদের সমবায় চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করতে হবে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: সমবায় চিকিৎসা কেন্দ্র ! ভাবুন, ছোট করে কিছু বলুন। আমাদের না হয় কিছু বলা ই হোক।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: উপরের রোগীর সুরতে হাল বয়ান করুন ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্ধার করা রোগী মো. চুন্ন বেপারী (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দেখুন Click This Link

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!

তাহলে তো মরে গেলেও অপারেশনে কাউকে পাঠানোই যাবে না !


এর চেয়ে এমনি এমনি মরা ভালো! :(

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: সত্যি অবস্থা করুণ!

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গত কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকায় ও এক ভোয়া ডাক্তারের হাতে এক (ডেলিভারি) মহিলা মারা গেছেন। মামলা হলেও গ্রেফতারের কোনো খবর নেই। মানুষ আস্তে আস্তে ভুলতে বসেছে।
সরকার ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৩

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই। করুণ অবস্থা!

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চক্ষু ক্ষতিগ্রস্থদের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক।
এই দাবীকে ভাইরাল করা দরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তি আর ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ!

সরকারের শিক্ষার মতো সার্বিক ব্যর্থতারই চালচিত্র স্বাস্থ্য খাতেও! জয় বাংলা ফুক হুজুর যে বাইর হয়নাই জাতির ভাগ্য!
যে উনি ঐ মন্ত্র পড়ে ফু দিলেই রোগ ভালা হই যাবে :P

মানুষ পুরাপুরি জিম্মি! এ অবস্থার অবসান দারকার।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৯

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এই দাবীকে ভাইরাল করা দরকার। একমত।

কি উদ্যেগ নেয়া যায়। আসুন পদক্ষেপ নেই।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সংবাদভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। পড়লাম আর ভাবলাম আমরা কতোটা এগুলাম, কতোটা পিছে গেলাম।
পোষ্টটি পড়ে সেই কথাই ভাবনায় নাড়া দিয়ে গেলো।
আমার শুভেচ্ছা রইল।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :(:(:(

সালার ডাক্তরেরা কসাই, লোভী, নৈতিকতা বর্জিত প্রাণী।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: এসব দেখার কেউ নেই!!!?

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: Spider-man says,"With great power, comes great responsibility"

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: অবশ্যই যার যত ক্ষমতা তার তত জবাবদিহিতা, এটাই ইনসাফ।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফকির আবদুল মালেক ,




স্বাস্থ্যসেবার এসব অনিয়ম ও গলাকাটা ব্যবসার দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিৎ খুব কঠিনভাবে ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: কঠিনভাবেতো দূরের কথা অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এসব দেখার কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না। পাঁচ নম্বরটার জন্য লাইক।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: লাইক দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:
আপনি কাকে ধর্মের কথা শুনান?
ধর্নব্যাবসায়ীরা এখান থেকেও নিজেদের ফায়দা লোটবে।

আশাকরি সুশিক্ষা আমাদের কিছুটা উদ্ধার করতে পারে, যদি আমরা সুশিক্ষিত হতে পারি!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: সত্যতো এই সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। প্রশ্ন হচ্ছে, সুশিক্ষা কোথা পাব, কিভাবে। ধর্ম নিয়ে যারা ফয়দা লোটে তারা লোটবে, তাই বলে কি ছোট ছোট কিছু ধর্মের কথা লিখব না। আমি লিখতে চাই যা আমার কাছে সত্যি বলে নিশ্চিত হয়েছে, সেই বিষয়গুলি। আমার কথাগুলি ভুলের উর্ধে নয়।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন একটা সেক্টর নাই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। এই দেশের অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে যদি একটু রাজনীতিবিদরা ভাবত...

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: রাজনীতিবিদরা যদি ভাবতেন নয়, তাদেরকে ভাবতেই হবে। এখন বৈরী পরিবেশ কিন্তু একদিন তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: দেশে অনেক ভুয়া ডাক্তার আছেন আর অনেক ভুয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যেখানে প্রায় ভুল ডায়াগনোসিস হয় ।
আর আনাচে কানাচে সত্যিই ব‍্যঙ্গের ছাতার মতো অকাজের হাসপাতাল হচ্ছে । এগুলো যেন দেখার কেউ নেই ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১০

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমরা শুধু ছোট করে কিছু বলতে পারি। এটা অন্তত চালু থাক।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৯

কালীদাস বলেছেন: এখানে অলরেডি দুইজন ডাক্তার কমেন্ট করেছেন, তারা পরিস্হিতি সম্পর্কে আমার চেয়ে অনেক ভাল জানেন নিঃসন্দেহে। প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক ব্যাঙের ছাতার মত বাড়ছে পাড়ায় পাড়ায়। কোন নীতিমালায় এরা চলে আমি সত্যিই জানিনা। সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন হাসপাতালে ঢুকলে কনটামিনেশনের ভয় লাগে (খানিকটা শুচিবায়ু টাইপের প্রবলেম আছে আমার), সেখানে এই জায়গাগুলোতে রোগীরা কিভাবে চিকিৎসা পায় নাকি নতুন রোগ নিয়ে বাড়ি ফেরে কিনা সেটাই তো ভয় লাগে।

ডাক্তারদ্বয়ের চোখে পড়বে এই আশায় আরেকটা পয়েন্ট যোগ করতে চাই। বাংলাদেশে এবরশন ইলিগাল, আনলেস রেজিস্টার্ড ডাক্তার প্রেসক্রাইব না করলে। এককালে যখন ফার্টিলিটি রিলেটেড এস্টিমেট নিয়ে কাজ করতাম, সরকারি/বেসরকারী অনেকগুলো সোর্স বলেছে বাংলাদেশে প্রায় সব এবরশন হয় এমআর হিসাবে রেকর্ডেড হয়ে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় অসংখ্য ক্লিনিকের এড দেখবেন মহল্লাভিত্তিক যেখানে বলা হয় এখানে এমআর করা হয়। এগুলোর কোন রেকর্ড নেই, যারা করে তাঁদের অনেকেরই আদৌ কোন কোয়ালিফিকেশন আছে কিনা ডাউট আছে। এই জিনিষটা ভয়ংকর, এমডিজি এসডিজি নিয়ে যারা লাফালাফি করে তাঁরা এই পয়েন্টটা ভাবছে কিনা আল্লাহ জানে। মেটার্নাল মর্টালিটি কন্ট্রোলে আনতে এটা নিয়ে শক্ত পলিসি নেয়া উচিত।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট যোগ করার জন্য। আনেক গুরুত্বপূর্ণ আপনার মন্তব্যটি। কৃতজ্ঞতা, আপনার উল্লেখিত পয়েন্টটি পোষ্টটির অপূর্ণতা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।
আবারও ধন্যবাদ।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমার এক পরিচিত মেয়ে তিন বার কনসিভ করলেন ,তিন বারই ওনার বর রাজী না । মারধর শুরু করে দিলেন । মেয়ে বাধ্য হয়ে এবরশন করলেন । ভাবতে পারেন পাঁচ মাসের বেবি কে ! বলা যেতে পারে হত্যা করা হয়েছে । তৃতীয় বারের বেলায় ওনার ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছিল না । অনেক ব‍্যাগ রক্ত দেবার পর এখন ভালো আছেন ।
আমার এক ফ্রেন্ড এইচএসসি তে বিয়ে করলো, এরপর বাসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক দূরে হোস্টেলে থাকেন , পরপর দুই বার বাচ্চা নষ্ট করলো । দ্বিতীয় বারের বেলায় সেইম কন্ডিশনে পড়লেন । ব্লিডিং খুব হচ্ছিল ।
এখানে বুঝাই যাচ্ছে ওনাদের মাঝে সচেতনতা নেই । যাকে রাখবে না তাকে কেন দুনিয়ায় আনা হবে, এই বোধ টুকু সবার মাঝে আগে হওয়া উচিত ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই কাজ গুলো গোপনে করা হয় । ভালো বেসরকারি কিংবা সরকারি হাসপাতাল গুলো এগুলো করেন না ।
এগুলো বন্ধের জন্য অলিতে গলিতে ক্লিনিক আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো বন্ধ করা উচিত ।

অনেক সময় অকারণে ডাক্তার এর দোষ দেয়া হয় , একবার দেখলাম ক‍্যান্সার এর রোগীর এম আর হিস্ট্রি ছিল ঐটা পরিবারের লোকজন হাইড করেন । অথচ ব্লিডিং হচ্ছিল । মারা গেলেন দোষ দেওয়া হলো ডাক্তার এর ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ব্যাঙ এর ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে ক্লিনিকগুলি, এদের নিয়ন্ত্রণ করার কোন নীতিমালা নেই, নেই দেখবাল করার কোন জনবল।

আপনার পরের কথাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ যে, অনেক সময় রোগীদের অনেক অসচেতনতা রয়েছে। আর ডাক্তারদের বদনাম হয়। উল্টোপিঠে এ কথাও সত্যি ডাক্তার (কিছু কিছু) যেন কসাই, রোগীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে জবাহ করছে। আমি নিজে দেখেছি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার নি:স্ব হয়ে গেছে। এমনকি দিনমজুরও তার যৎকিঞ্চিত সঞ্চয় বা জমিজমা বিক্রি করে দিয়েছে দালাল চক্রের হাতে। এগুলোও রোগীদের অসচেতনা বটে।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন:



@কালীদাস ,
সত্যি বলতে কি বাংলাদেশে কোনও কিছুই ইলিগ্যাল নয় । এখানে আইনটাই বে-আইন আর বে-আইনটাই হলো আইন । ব্যাপারটি হলো, আপনার বুকখানা কতোটুকু চিতিয়ে রাখা আছে । যারা রক্ষা করবেন তারাই যখন ভক্ষক হন তখন এরকমটাই হতে থাকবে , উপায় নেই । ( এটুকু আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশটুকুর জন্যে )

অনেক কথা বলতে হয় আপনার মন্তব্যের শেষাংশ চোখে পড়ার কারনে কিন্তু সুযোগ নেই । তাই ছোট করে বলি --- এম-আর এর নামে যাই ঘটুক না কেন আসলে এটা ছাড়া আমাদের উপা্য়ও নেই । এর বাইরেও আছে লোকচক্ষুর আড়ালে স্ব-গর্ভপাতের ঘটনাও । জনসংখ্যা নইলে এতোদিনে কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো ভাবলেও ভয় হয় । যত্রতত্র এমআর এর নামে হয়তো অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে কিন্তু তার ফল ( অবাঞ্ছিত শিশু ) বোঝা হয়ে উঠতে পারছেনা সমাজ আর রাষ্ট্রের কাঁধে । এদেশে মিউচ্যুয়াল অসামাজিক কার্যকলাপের চিত্র কিন্তু মোটেও ফেলনা নয় বরং বলবো আতঙ্কিত হবার মতোই । এদিকটাকেও নজরে রাখতে হবে আমাদেরই বৃহত্তর স্বার্থে । তবে এটা ঠিক, এসব কাজে শুধুমাত্র প্রশিক্ষনপ্রাপ্তদের নিয়োজিত হবার আইন করা যেতে পারে , হাতুড়েদের নয় । ( অবশ্যই এমন আইন আছে দেশে কিন্তু দেখভালের লোক নেই, ইচ্ছেও নেই ।) হাতুড়েদের কারনেই মেটার্নাল মর্টালিটি রেট বাড়ে সত্য, কিন্তু গ্রামগঞ্জে এদের ছাড়া চলেও না বিবিধ কারনে। একথা বলে আমি কিন্তু এসবকে বৈধতা দিচ্ছিনে বরং জনসংখ্যা রোধের বৃহত্তর স্বার্থে এটাকে মেনে নেয়ার কথা বলতে চাচ্ছি কারন - ‌ইট ইজ দ্য আল্টিমেট রেজাল্ট দ্যাট কাউন্টস ।
এমডিজি এসডিজি নিয়ে যারা ভাবেন তারা নিশ্চয়ই এদিকে চোখ বন্ধ করে নেই, গোল সেটআপের প্রশ্ন যখন। আবার চোখ খোলা রাখলেও কিছু কিছু জিনিষ চোখকে এড়িয়ে যেতেও পারে হয়তো ! তবে আশার কথা, দেশে কিন্তু মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ ভালো ভালো কাজ হচ্ছে , মানুষের সচেতনতাও বাড়ছে । সরকারও এদিকে বেশ সজাগ ।


০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৬

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: চিকিৎসা সেবার পেশাটির সাথে জড়িত সকলেই এতবেশি ইনকামের দিকে নজর দিতাছে যে, নৈতিকতা বা দায়িত্ববোধ হারাইয়া যাইতে বইছে। দেশের অন্য সেক্টরগুলির অবস্থাও করুন। যেন দেখাশুনার কেউ নেই।

যৌন কামনা মিটানোর সময় সন্তান নেয়া না নেয়াটা ভাবা উচিত। উত্তেজিত হলাম আর ঝাপিয়ে পড়লাম এই মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। এর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে, অর্থনৈতিক বিষয় গুলো ভাবতে হবে। সেই কারণেই সংসার করা, বিয়ে করে নির্দিষ্ট জনের সাথে কোন রকম দ্বিধাদ্বন্ধবিহীন যৌনমিলন ঘটাতে হবে, এই নিয়ম চালু আছে। কেউ কেউ ব্যাপকভাবে প্রথাবিরোধী হয়। তারা যৌনতাকে দায়িত্বমুক্ত করতে চায়, যৌনতাকে নিছক শারীরিক আনন্দ হিসাবে উপভোগ করতে চায়। এমনিতেই যৌনতা শারীরিক বাধহীন চাহিদার বিষয়, তার উপর যদি অবাধ যৌনাচার পক্ষে যুক্তি দেয়া হয়, যুবকদেরকে দায়িত্ববোধে আবদ্ধ করা না হয় তবেতো অপরিকল্পিত সন্তানের আগমন হতেই থাকবে, এমনকি বিবাহিতদেরকেও ভাবতে হবে, পরিক্লপনামাফিক এগুতো হবে, তবেই কমবে ভ্রুন বা অপরিনত শিশুহত্যার অপরাধ।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভয়ে গা শিউরে উঠলো! এত অব্যবস্থাপনা সামাল দেবে কে?
যার ক্ষমতা যত বেশী, তার জবাবদিহিতাও তত বেশী - ভাল বলেছেন এ কথাটা।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বলেন

“ দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মত একটু তেলের অভাবে কষ্ট পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে ”


“ শাসকরা যখন বিগড়ে যায় তখন জনগণও বিগড়াতে শুরু করে। সর্বাপেক্ষা ইতর সে ব্যক্তি যার প্রভাবে তার অধীনস্থদের মধ্যে অনাচার বিস্তার লাভ করে। ”

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.