নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে যায় লঙ্কায়: শ্রীলঙ্কা সফর-পর্ব/২

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

‘আমরা আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই কলম্বোর শ্রীমাভো বন্দরনায়েকা বিমান বন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছি’ রাত দশটা বাজার মিনিট দশেক আগে ঘোষণা শুনবার পর থেকেই জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে রাতের কলম্বো শহরের একটা ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কোথায় কলম্বো! এমনিতেই এ শহরের একটা দিক জুড়ে সমুদ্র, কাজেই রাতের বেলা সাগর আর বিস্তৃত বেলাভূমিতে কিছু চোখে পড়বে না- সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শ্রীলঙ্কান এয়ার লাইন্সের বিমান ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে এসে কলম্বো শহরের উপর চক্কর দেবার সময় মনে হলো, এখানে কি এখন লোড শেডিং চলছে! রাতের বেলা যে কোনো বিমান বন্দর ছেড়ে যাবার সময় দেখেছি পেছনে পড়ে থাকে উজ্জ্বল আলোর দীপাবলীতে সাজানো ঝলমলে শহর ঠিক একইভাবে কোথাও নামার আগে চোখে পড়ে সারি সারি আলোর মালা পরানো নির্ঘুম নাগরিক জনপদ। কলম্বো সে তুলনায় অনেক নিষ্প্রভ, সত্যিকার অর্থে বলা যায় অন্ধকার। মনটা একটু খারাপ হয়ে যায়।



কলম্বো পর্যন্ত পৌঁছাতে ঝক্কি ঝামেলা যাই হোক এয়ারপোর্ট থেকে পোর্ট এন্ট্রি ভিসা নিয়ে বেরিয়ে যেতে সময় লাগলো বড় জোর পনের মিনিট। ‘আয়ুবোয়ান’ বা স্বাগত লেখা ছোট্ট এ্যারাইভাল কার্ডে নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, আগমনের উদ্দেশ্য এবং শ্রীলঙ্কার একটি ঠিকানা লিখে ভিসা ফি ২০ ডলারের একটা নোটসহ কাউন্টারে পাসপোর্ট জমা দিলাম। আমার সামনে আরও কয়েকজন বিদেশী যাত্রী লাইনে ছিলেন বলে পাঁচ সাত মিনিট দাঁড়াতে হলো। এরপরে ভিসা ফির প্রাপ্তি স্বীকার পত্রসহ এ্যারাইভাল কার্ড এবং পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে দেয়ার এক মিনিটের মধ্যেই ঢুকে পড়লাম সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপে।



আমাদের শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ইউনিক ট্যাভেলসকে। ইউনিক ট্রাভেলস-এর মার্কেটিং ম্যানেজার সিহান তাহিরের সাথে ই-মেইলে যোগাযোগ ছাড়া কলম্বোতে আমার আর কোনো যোগসূত্র ছিল না। ফলে সারা দিনে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা এবং দুই দফা ওড়াউড়ি শেষে রাত সাড়ে দশটায় এয়ারপোর্টে কাউকে না পেলে কি হতে পারে ভাবতে ভাবতে খানিকটা এগিয়ে প্যাসেঞ্জারস মিটিং-পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছাবার আগেই চোখে পড়লো আমার নাম লেখা ‘ওয়েলকাম’ বোর্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছে ইউনিকের প্রতিনিধি। কাছাকাছি এসে পরিচয় দিয়ে বললাম, ‘আমিই রহমান বাংলাদেশ থেকে।’ আমার সাথে হাতের ছোট্ট ব্যাগটি ছাড়া কোনো লাগেজ নেই জেনে সে বিস্মিত হলো আর আমি বিস্মিত হলাম তার নাম শুনে। একজন মধ্যবয়সী মানুষ যদি ‘অনূঢ়া’ বলে নিজের পরিচয় দেয় তাহলে বিস্মিত না হয়ে উপায় কি! আমার জানা মতে বাংলা অভিধান অনুযায়ী অনূঢ়া শব্দের অর্থ অবিবাহিতা নারী!



অনূঢ়া আমাকে এ্যারাইভাল লাউঞ্জের বাইরে নিয়ে এসে অপেক্ষমান গাড়িতে তুলে ফেললো, সেখানেই দেখা হলো শ্রীলঙ্কা সফরের সার্বক্ষণিক গাড়িচালক বান্দারার সাথে। বান্দারার নামটি অবশ্য পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে ভাণ্ডারা এবং আরও পরে ভাণ্ডারিতে এসে দাঁড়িয়েছিল। মানুষজন ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জায়গার নাম আমাদের সচেতন বিকৃতি অথবা উচ্চারণজনিত ত্রুটির কারণে পরিবর্তিত হয়ে বিচিত্র সব রূপ ধারণ করেছিল। তবে নাম যাই হোক, প্রথম দর্শনেই আমাদের গাড়িচালক এবং তার গাড়ি দুটোই আমার পছন্দ হয়ে গেলো।



আকাশ থেকে দেখা আধো অন্ধকার শহরের রাস্তাঘাট ততোটা অন্ধকার না হলেও খুব একটা আলোকোজ্জ্বল বলা যাবে না। এয়ারপোর্ট থেকে কলম্বোর উপশহর নিগম্বর হোটেল ল্যাসলানে পৌঁছাতে পনের থেকে কুড়ি মিনিটের বেশি সময় লাগেনি। সেন্ট ল্যাসলান চারতারা হোটেল হলেও তেমন কোনো ভিড় নেই। বয়-বেয়ারা-বেল বয় কিংবা রুম সার্ভিসের ব্যস্ত ছোটাছুটি নেই। মূল রাস্তা থেকে একটু ভেতওে নিতান্তই ছিমছাম শান্ত পরিবেশ। আমার রুমের পাশেই সুইমিং পুল। ইচ্ছে করলে ব্যলকনি থেকে পুলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। আমি ঝাঁপিয়ে না পড়লেও অনেক রাতে একবার বেরিয়ে পুলের প্রান্ত ধরে হেঁটে এলাম। দূরে থেকেই চোখে পড়েছিল একেবারে শেষ মাথায় গাছপালার নিচে আধো অন্ধকারে কেউ একজন সুইমিং পুলের পাশে পেতে রাখা চেয়ারে আমার দিকে পেছন ফিরে বসে আছে। কাছাকাছি আসতেই আমাকে দেখে প্রথমে একটু চমকে উঠে পরক্ষণেই বিব্রত ভঙ্গীতে বসে রইলো মধ্য বয়সী লোকটি। দেখলাম তার সামনে খবরের কাগজের উপরে বিছানো পদ্মপাতায় খিচুড়ি জাতীয় খাবার। খানিকটা খাওয়া হয়ে গেছে, আমার আকস্মিক উপস্থিতির কারণে তার এই মধ্যরাতের নৈশ্যভোজ বিঘ্নিত হলো বলে এবার আমারই বিব্রত হবার পালা।



তুমুল বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙলো ভোরের দিকে। জানালার পর্দা সরিয়ে কিছুক্ষণ গাছের পাতায়, ফুলের পাপড়িতে বৃষ্টি ঝরতে দেখলাম। এরপর দরজা খুলে দেখলাম সুইমিংপুলের পানিতে অঝোর ধারায় ঝরে পড়ছে শ্রাবণের বৃষ্টি। অবশ্য শ্রীলঙ্কা তো আমাদের দেশের মতো ষড়ঋতুর দেশ নয়। এখানে বছরে দুবার বর্ষাকাল। মে থেকে অগাস্ট ‘ইয়ালা মনসুন’ সিজনে ইয়ালা জাতীয় উদ্যান এবং পাহাড়ি এলাকাসহ কলম্বো থেকে গল পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বর্ষাকাল। অন্যদিকে অক্টোবর থেকে এপ্রিল ‘মহা মনসুন’ সিজনে শ্রীলঙ্কার যতো প্রাচীন নগরী, অনুরাধাপুরা-সিগিরিয়া- পোলনারুয়া থেকে শুরু করে ত্রিঙ্কোমালি পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব উপকূল জুড়ে চলে ঘনঘোর বর্ষার দাপট। শ্রীলঙ্কায় শীতকাল বলে তেমন কিছু নেই। নুয়ারা ইলিয়ার মতো পাহাড়ি এলাকায় অবশ্য সারা বছরই তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে।



ঘড়িতে স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটা। গাড়ি আসতে বলেছি সকাল ছয়টায়। মুম্বই থেকে জেট এয়ারের ফ্লাইট আমাদের বাকি সাতজনকে নিয়ে কলম্বো পৌঁছাবে ছয়টায়। আমার হিসাব ছিল ফ্লাইট ছয়টায় ল্যান্ড করলে লাগেজ সংগ্রহ করে সাতজনের ভিসা ফি জমা দিয়ে পাসপোর্টে ভিসার সিল ছাপ্পড় মেরে বেরোতে কমপক্ষে আধাঘণ্টা সময় তো লাগবেই। আমি ছয়টা কুড়িতে এয়ারপোর্টে পৌঁছে আগমনী যাত্রীদের মিছিলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, কিন্তু আমাদের বাহিনির দেখা নেই। পৌনে সাতটার দিকে লাগেজ ট্রলি ঠেলে অথবা স্যুটকেসের চাকা গড়গড়িয়ে পুরো দলবল এসে হাজির। আমার বিরুদ্ধে সম্মিলিত অভিযোগÑ এয়ারপোর্টে এতোক্ষণ বসিয়ে রাখার কারণ কী! গেস্টদের নাম লেখা বোর্ড নিয়ে কেউ ভেতরে ছিল না কেন? ভেতরে না থাকলেও বাইরে যথাসময়ে উপস্থিত থাকিনি কেন....ইত্যাদি ইত্যাদি। অভিযোগের সূত্রধরে জানা গেল, ছ’টা বাজার আগেই ফ্লাইট এসে পৌঁছে গেছে। আর ইমিগ্রেশেনের ফর্মালিটি শেষ করে লাগেজ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে সময় লেগেছে সাকূল্যে পনের মিনিট। তারপর মিটিং পয়েন্টে কেউ না থাকায় এবং বাইরেও কাউকে না দেখে পুরো বাহিনির তো মাথা খারাপ! কতো রকম ভাবনা এরমধ্যে ডালপালা বিস্তার করেছে তার কোনো শেষ নেই। প্রথমত, আমি কি আদৌ কলম্বো এসে পৌঁচেছি! দ্বিতীয়ত, ইউনিক ট্রাভেলস কি ঠিকমতো সব ব্যবস্থা করেনি? তৃতীয়ত আমার সাথে যদি এয়ারপোর্টে সাক্ষাৎ না ঘটে তাহলে কলম্বোতে আমাকে খুঁজে বের করার উপায় কী! আমাদের প্রথম হোটেলে সেন্ট ল্যাসলানের নাম জানা থাকায় সেখানে টেলিফোন করার কথাও ভেবেছে কেউ কেউ। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য ভাণ্ডারির বাহনে চেপে নিগম্বর উদ্দেশ্যে যাত্রা।



প্রকৃত পর্যটকেরা নিগম্ব এসে খুশি হবেন না সে কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। এখানকার সমুদ্র বিপুল জলরাশি মাথায় করে আছড়ে পড়ে না, সপ্তদশ বা অষ্টাদশ শতকের দু একটি গির্জা ছাড়া এখানে তেমন কোনো প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন নেই, এখানকার বেলাভূমিতে মানুষের পদচারণা আছে প্রাণচাঞ্চল্য নেই। তারপরেও আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করেছি এই নিরুত্তাপ শহর থেকে। এর কারণ আমাদের সাতজনকে দুপুর থেকে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত ঘণ্টা দশেক মুম্বই এয়াপোর্টে বসে কাটাতে হয়েছে। তারপরে ভোর ছয়টায় কলম্বো পৌঁছে আবার যদি দীর্ঘ পথ গাড়িতে বসে অথবা পাহাড়ে বা প্রাসাদে ঘুরে কাটাতে হতো তাহলে অনেকের ভ্রমণ কাহিনি প্রথম দুদিনেই শেষ হয়ে যেতো। সব দিকে বিবেচনা করে নিগম্বকে আসলে রাখা হয়েছিল ট্রাঞ্জিট ক্যাম্প হিসাবে।



শ্রীলঙ্কার হোটেলগুলোতে চেক-ইনের সময় দুপুর দুইটা। আমাদের ভোরের ফ্লাইটে আগত যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে সেন্ট ল্যাসলানে আগে থেকেই আর্লি চেক-ইনের অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিলাম। নির্ঘুম রাতের ক্লান্তি ধুয়ে মুছে বেরোবার উদ্যোগ নেয়া হলো। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর ছেড়ে সকাল নটার দিকে যখন রাস্তায় বেরোলাম চারিদিকে তখন ঝিলমিল করছে রোদ। ভোরের মুসলধারে বৃষ্টির চিহ্ন মাত্র কোথাও নেই। মূল সড়ক তো বটেই গলিপথÑ লেন বাইলেনেও কোথাও কাদাপানি ময়লা আবর্জনা চোখে পড়ে না। এদের পথঘাট এরা এতোটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে কিভাবে!



অনূঢ়া এবং বান্দারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমাদেরকে যেখানে নিয়ে এসে নামালো তার ‘শামিমা’ নাম থেকেই বোঝা যায় সেটি একটি মুসলিম মালিক পরিচালিত একটি রেস্তোরা। এখন রমজান মাস চলছে। কিন্তু তাই বলে শ্রীলঙ্কার হোটেল রেস্টুরেন্ট বাণিজ্যে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। এখানে চির পরিচিত পরটা অমলেট ইত্যাদির পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে কিছু দেশী নাস্তার অর্ডার দেয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিট পিঠার মতো ‘আপ্পা’ এবং তার সাথে শুকনা মরিচ আর শুটকির চাটনি কাটা সাম্বল। চাটনি হিসাবে অবশ্য মিষ্টি পেয়াঁজের সাথে কাঁচা মরিচ বাটার তৈরি ‘সেনি সাম্বল’ও বেশ জনপ্রিয়। আমার খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষায় যাইনি। তবে পরবর্তীতে দেখেছি তারা মার্কা হোটেল থেকে ফুটপাথ পর্যন্ত সর্বত্রই নানা জাতের ‘আপ্পা’র ছড়াছড়ি। সাধারণ চালের গুঁড়ার ‘আপ্পা’ ছাড়াও চালের আটার সাথে দুধ দিয়ে তৈরি ‘কিরি আপ্পা’ ডিম মিশিয়ে বানানো ‘বিথারা আপ্পা’ এমনকি মধু সহযোগে প্রস্তুত ‘পানি আপ্পাও’ শ্রীলঙ্কার সর্বত্রই সকাল দুপুর কিংবা রাতের খাবার হিসাবে সমান প্রচলিত।



বয়স্ক যে লোকটি আমাদের লম্বা টেবিলে নাস্তা দিচ্ছিলেন, মাথায় টুপি পরনে লুঙ্গি এবং মুখে খানিকটা কাঁচা পাকা দাড়ি মিলিয়ে তাকে অনায়াসে চকবাজারের যে কোনো রেস্টুরেন্টের বেয়ারা বলে চালিয়ে দেয়া যায়। জিজ্ঞেস করে জানা গেল সারাদিন খাবারের দোকানে কাজ করলেও তিনি নিয়মিত রোজা রাখেন এবং আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমাদের আজন্ম লালিত সংস্কারের কোথায় যেনো একটু আঘাত লাগলো। খানিকটা লজ্জিতও হলাম আমরা কেউ কেউ।



আমাদের নিগম্ব দর্শন শুরু হলো বেলা এগারোটার দিকে সমুদ্র তীরের ‘ফিস মার্কেটে’ থেকে। মাছ ধরার নৌকাগুলোর বেশিরভাগই ততোক্ষণে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে মাছ বাজারে তাদের সারারাতের সংগ্রহ উজাড় করে দিয়ে নিজেদের ডেরায় চলে গেছে।



চলবে...

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: ভাল লাগলো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১২

ফরিদুর রহমান বলেছেন: অাপনার মন্তবে্র জন্য ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

লিখেছেন বলেছেন: -

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

রহমান,তানভীর বলেছেন: ভাল লাগছে পড়তে :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

ফরিদুর রহমান বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.