নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে যায় লঙ্কায়: শ্রীলঙ্কা সফর/৯

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:০১

পাহাড়ে দীর্ঘ পথ আরোহণের পর সন্ধ্যায় সন্তুর প্যারাডাইসে ফিরে সুইমিংপুলে কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল ডিনারের পরে আমাদের কুটিরের বারান্দায় আলো আঁধারিতে বসে রাতের নৈঃশব্দ উপভোগ করা যাবে। কিন্তু রাত গভীর হবার আগেই ঘুমে দু চোখ জড়িয়ে আসছিল। ফলে আঁধার বিলাস বাদ দিয়ে বিছানায় ফেরাই যুক্তিযুক্ত মনে হলো। বারান্দায় পাতা ইজিচেয়ার থেকে উঠে ঘরে ঢুকে যাবার ঠিক আগের মুহূর্তে গোটাকয়েক রাতজাগা পাখি তাদের কণ্ঠে বিচিত্র সুর তুলে উড়ে গেলো। বিছানায় গড়িয়ে পড়ার পরে ঘুমাতে মোটেও দেরি হয়নি।

ভোর বেলা পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই আমার ডিএল রায়ের সেই বিখ্যাত গানের লাইন দুটি মনে পড়লো, ‘কোথায় এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘে/তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে উঠি পাখির ডাকে জেগে...’ কিন্তু কবি তো এই গান লিখেছিলেন আমাদের দেশকে নিয়ে ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি’। তাহলে কি পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে যেখানে রাতে পাখির ডাক শুনে ঘুমিয়ে ভোর বেলা পাখির ডাকে জেগে ওঠা যায়! আমাদের চারিদিকে চোখ মেলে দেখার সাধ এবং সাধ্য দুটোই বোধহয় বড় সীমিত। খুব বেশি ভাবনার অবকাশ ছিল না। সকাল আটটায় নাস্তার টেবিলে উপস্থিত থাকার কথা। এ দিকে রাতেই দু একটা জরুরি মেইল পাঠানো দরকার ছিল, সে সকালে গুলোও বেরিয়ে যাবার আগেই পাঠাতে হবে। কাজেই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিয়ে আইপ্যাড হাতে ডাইনিং হলের বাইরের চত্বরে একটা টেবিল দখল করে বসলাম। এখানে নেটওয়ার্কটা বেশ ভালো।

এক এক করে সবাই নাস্তার টেবিলে এসে জড়ো হবার পরে আমিও এসে যোগ দিলাম। এর পরপরই আমাদের ঠিক পেছনের টেবিলে এসে বসলেন পাঁচ সদস্যের একটি ইরানি পরিবার। সহজ হিসাবে এদের বাবা মা এক ছেলে এবং দুই মেয়ে হিসাবে ধরে নেয়া যায়, তবে এ হিসাব সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু এরা যে সুদূর পারস্য থেকে আগত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পোশাক পরিচ্ছদ ছাড়াও কয়েকটি ফার্সি শব্দ থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় তাদের ইরানি পরিচয়। তবে দেশের ভেতরে হিজাব-নেকাবের ব্যাপারে তাদের যেমন সদা সতর্ক এবং পুরোপুরি রক্ষণশীল বলে মনে হয় এখানে কিন্তু তারা অনেকটাই খোলামেলা। বেড়াতে এসে এতোটা কড়াকড়ির কোনো মানে হয়!



আমাদের গন্তব্য গোল্ডেন ট্রায়ঙ্গেলের শেষ দ্রষ্টব্য এবং আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরাকীর্তি দাম্বুলার কেভ টেম্পল। সাম্প্রতিক কালে গোন্ডেন টেম্পল নামে পরিচিত হলেও পাঁচটি পাহাড়ের গুহায় ছড়িয়ে থাকা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই বিশাল বৌদ্ধ বিহার কম্পেøক্সে তুলনামূলক আধুনিক সংযোজন ভগবান তথাগতের বিশাল সোনালী ধাতব মূর্তিটি বাদ দিলেও গুহামন্দিরের গুরুত্ব এতোটুকু ক্ষুন্ন হবে না। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে দাম্বুলার গুহা মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব রাজা বলগাম বাহুর। দক্ষিণ ভারতীয় আক্রমণের ফলে অনুরাধাপুরার রাজধানী ছেড়ে তিনি এই এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। পনের বছর পরে সৈন্য সামন্ত জুটিয়ে রাজধানী পুনরুদ্ধারের পরে কৃতজ্ঞ রাজা খ্রিস্টিয় প্রথম শতকে দাম্বুলায় পাহাড়ের গুহায় নির্মাণ করেন এই মন্দির। তখন থেকেই এই বিশাল চত্বর হয়ে উঠেছিল বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা ও উপাসনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু- যা এখনো অব্যহত রয়েছে। পরবর্তী বারশ বছর ধরে অগণিত নৃৃপতি এই মন্দিরের সংরক্ষণ, নানা ধরণের সংস্কার এবং সংযোজনে অবদান রেখেছেন।



হাবারানা থেকে দাম্বুলার দূরত্ব পঁচিশ কিলোমিটারের বেশি নয়। ফলে সাত সকালে তাড়াহুড়ো করে বেরোবার দরকার ছিল না। কিন্তু বেশি রিলাক্স মুডে বাক্স পেটরা গুছিয়ে গাড়িতে উঠতেই বাজলো সাড়ে নয়টা। দুই রাতের পান্থ নিবাস সন্তুর প্যারাডাইস থেকে বেরিয়ে যাবার আগে ম্যানেজারকে একটা ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নেবো ভেবেছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি কোথায় হারিয়ে গেলেন তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না।

আমরা হাবারানা থেকে যে পথে এসেছি, সেই জাফনা ক্যান্ডি সড়কের উপরেই গোল্ডেন টেম্পলের অবস্থান। সোজা পথে মন্দির চত্বরে না এসে অনূঢ়া বান্দারা আমাদের দাম্বুলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে একটু ঘুরিয়ে এনেছে। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় এবং অনুমতি কোনোটাই ছিল না। অতএব মূল ফটকের সামনে থেকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম এই ভেন্যু এক নজর দেখেই আনন্দিত হলাম এই ভেবে, আমাদের দেশের ছেলেরাও এখানে খেলতে আসে। অবশ্য খেলা না থাকলে একটা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভেতরে দেখার মতো আর কি থাকতে পারে!

চত্বর সংলগ্ন তিনতলা ভবনের উপরে পাহাড়ের পটভূমিতে পদ্মাসনে বসে আছেন সোনারং মহামতি বুদ্ধ। সিদ্ধার্থের চরণতলের ত্রিতল ভবন জুড়ে মিউজিয়াম, পেছনে পাহাড় আর মাথার উপরে উন্মুক্ত আকাশ। বাঁ পাশ দিয়ে পাথরের সিঁড়ি ও পাথুরে পাহাড়ি পথ উপরে উঠে গেছে পাহাড়ের গুহায় আড়াই হাজার বছর আগের ইতিহাসের সন্ধানে। এখন শুধু টিকেট কিনে উর্ধ্বলোকে যাত্রা শুরু করলেই হয়। প্রবেশপত্রের মূল্য সম্পর্কে আমাদের আগে থেকেই একটা ধারণা হয়ে যাওয়ায় মানসিক প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধলো অন্য জায়গায়। সবার পকেট এবং টাকা রাখার ব্যাগ বটুয়া ইত্যাদি খুঁজে দেখা গেল টিকেট কেনার মতো যথেষ্ট শ্রীলঙ্কান রূপি আমাদের কাছে নেই। অনুরাধাপুরা এবং সিগিরিয়ায় ডলার পাউন্ড ইওরোতে টিকেট কেনার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু এখানে বিদেশি টাকা চলবে না। দাম্বুলা কেভ টেম্পলে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের কর্তৃত্ব নেই এটি নিয়ন্ত্রণ করে বুদ্ধিস্ট সোসাইটি। প্রবেশপত্রের মূল্যও তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র পাঁচশ রূপি। তবে এখানে সাদা কালোর কোনো পার্থক্য করা হয় না, সার্ক নন-সার্ক সকলের জন্যে একই দাম।

দাম্বুলার মতো ছোট শহরে স্বাভাবিকভাবেই এটিএম বুথের ছড়াছড়ি নেই। ডলার ভাঙাতে বান্দারাকে নিয়ে ব্যাংকে গেলো নয়ন। ওর ফিরে আসার অপেক্ষায় থেকে বেশ কিছুক্ষণ স্বর্ণ মিেন্দরের চত্বর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সময় কাটালাম আমরা। নয়ন ফিরলে জানলাম এখানে ডলার প্রতি এক রূপির মতো কম পাওয়া গেছে। অর্থাৎ তিনশ ডলারে তিনশ রূপি কম। নয়ন অবশ্য সাড়ে পাঁচশ ফুট উচ্চতায় আরোহনের ব্যাপারে তার অপারগতা জানিয়ে বললো, ‘আমি পাঁচশ রূপির টিকেট কিনে পাহাড়ে উঠে বৌদ্ধ মূর্তি দেখতে যাচ্ছি না, কাজেই অন্তত পাঁচশ রূপি বাঁচলো।’

নয়নকে নিচে রেখে স্বর্ণ মন্দিরের ডান দিকে পাথরের তোরণ পেরিয়ে আমরা উপরে উঠতে শুরু করেছি। প্রথম পর্যায়ে পথের ডান হাতে পাথরের এবড়ো থেবড়ো দেয়াল আর বাঁ দিকে আধুনিক রেলিং দিয়ে ঘেরা সিঁড়ি। অনেক দূর পর্যন্ত উঠে গেছে এই খাড়া সিঁড়ি তারপর থেকে কখনো পাহাড়ের গা বেয়ে আবার কখনো পাহাড় কেটে পাথর বিছিয়ে বানানো রাস্তা ধরে এগিয়ে চলা। দাম্বুলার স্বাভাবিক সমতল ভূমি থেকে মূল গুহা মন্দিরের উচ্চতা ১৬০ মিটারের মতো। পাহাড়ের পথ ধরে কিছুটা উপরে ওঠার পর চারপাশে তাকালেই দেখা যায় এলাকা জুড়ে সবুজ অরণ্যের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে আরও অনেক ছোট বড় পাহাড়। প্রাগৈতিহাসিক যুগে অর্থাৎ শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাবের অনেক আগে থেকেই এ সব পাহাড়ের গুহায় মানুষের বসতি ছিল বলে ধারনা করা হয়। দাম্বুলার গুহামন্দির কম্পেøক্সের কাছাকাছি ইবানকাতুয়ার সমাধি ক্ষেত্রে দুই হাজার সাতশ বছর আগের মানব দেহের কঙ্কাল এই ধারনাকে আরও উস্কে দিয়েছে। কাছাকাছি আশিটি পাহাড়ের গুহাতেও প্রাচীন বৌদ্ধমূর্তির সন্ধান পাবার প্রমাণ মিলেছে। তবে এখানকার মূল প্রতœতাত্ত্বিক আকর্ষণ বিচিত্র ভঙ্গীমা ও নানা আকার আকৃতির বৌদ্ধমূর্তি এবং পেইন্টিং ছড়িয়ে আছে প্রধান পাঁচটি গুহা মন্দিরে।

কেভ টেম্পলের যাত্রা পথে একাধিক জায়গায় সিঁড়ি ভাঙতে হলেও এখানে সিঁড়ির আধিক্য নেই। পাহাড় তার শরীর বিছিয়ে উপরে উঠবার পথ করে দিয়েছে। পাহাড়ের পাথুরে স্বভাবের কারণে পথ অমসৃণ হলেও চড়াই খুব বেশি নয়। একটু ধির গতিতে হাঁটলে এবং মাঝে মধ্যে কোথাও বসে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলে বোঝাই যায় না আমরা ক্রমেই অনেক উপরে উঠে যাচ্ছি। বেশিরভাগ জায়গায় পথের দু পাশে আবার কোথাও বা একপাশে ঘন গাছপালার ছায়া আর মৃদু মন্দ বাতাস পথের ক্লান্তি বুঝতে দেয় না। এখানে মাথার উপরে সূর্য থাকলেও পায়ের তলায় পাথর তেতে ওঠেনি। গাছপালা ছাড়াও নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে সুদৃশ্য ধাতব ল্যাম্পপোস্ট। কিছুটা ধীর গতিতে হাঁটার জন্যে আর কিছুটা মাঝে মাঝে থেমে চারপাশের ছবি তোলার জন্যে আমি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিলাম। একটা বাঁক পেরিয়ে দেখতে পেলাম পাথরের বালিশ মাথায় দিয়ে আমার কন্যা প্রস্তর শয্যায় শুয়ে দিব্যি বিশ্রাম নিচ্ছে। তার মাথার উপরে শাখা প্রশাখা বিস্তার করে ছায়া দিচ্ছে রক্ত করবির মতো এক সারি গাছ।

এখান থেকেই চোখে পড়ে গুহা মন্দিরের মূল প্রবেশ দ্বার, টুকটুকে লাল নকশা কাটা টালির ছাদ বিশিষ্ট শ্বেতশুভ্র সুদৃশ্য ভবন। বাকি পথটুকু পাহাড়ি রাস্তায় কোনো চড়াই নেই বললেই চলে। একটু এগিয়ে পাথরে বাঁধানো পাঁচ ধাপ সিড়ি পেরোলেই জুতা ঘর! কিন্তু অনুরাধাপুরার মতো এখানে ‘যার যা ইচ্ছা দিয়া যান’ ব্যবস্থা নেই। হলুদ রংয়ের বোর্ডে স্পষ্ট কালো অক্ষরে লেখা ‘সুজ কেয়ার টেকার। রূপিজ ২৫ পার পেয়ার’ রূপিজের জায়গাটা লাল অক্ষরে লেখা। এ যাত্রায় আমাদের সাথে নয়ন নেই। অতএব জুতা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হলো খোকনকে। আমরা একটু এগিয়ে খালি পায়ে আরও পাঁচ ধাপ পাথরের সিঁড়িতে পা রেখে মূল ফটকের সিংহ দরজায় পৌঁছাবার পর টিকেটের খোঁজ পড়লো। একবার ভুল করার ফলে এবারে আর টিকেট নিচে ফেলে আসিনি। অতএব চাহিবামাত্র দ্বাররক্ষীর হাতে টিকেট গুঁজে দিয়ে মেটাল ডিটেক্টরের সতর্ক প্রহরা পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম আড়াই হাজার বছর আগের মন্দির চত্বরে।


প্রবেশ পথের চৌকি ঘর থেকে আবারও সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামার আগেই চোখে পড়ে ডান দিকে উপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ের ঝুল বারান্দার খাঁজে দীর্ঘ সাদা স্তম্ভের সারি। পাহাড়ের গায়ে লাগানো দেয়াল আর কলামের লম্বা সারির মাঝখানটা মসৃণ পাথর বিছানো বারান্দা। কারুকার্য খচিত স্তম্ভগুলোর মাঝে ঠিক গুহামুখগুলোর সামনে একটি করে খিলান পথ। পাহাড়ের রঙে রং মিলিয়ে এখানে বারান্দার ছাদে ব্যবহার করা হয়েছে কালো টাইলস। স্তম্ভসারির নির্ধারিত বিরতিতে একই ডিজাইনে নির্মিত গবাক্ষ পথ পাহাড়ের গায়ে স্থাপত্য নৈপুণ্যের অসামান্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে পাহাড়ের অলিন্দে গুহামন্দিরের বাইরের দেয়ালজোড়া এই পুরো অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে।

গৌতম বুদ্ধের জীবন ও কীর্তির সাথে সম্পর্কিত ১৫৩টি মূূর্তি ছাড়াও শ্রীলঙ্কার রাজা মহারাজাদের তিনর্টি এবং স্বর্গের দেব দেবীদের চারটি মূর্তি পেয়েছে স্থান পেয়েছে পাহাড়ের পাঁচটি গুহায়। বৌদ্ধধর্মের এই বিশাল রাজত্বে অন্তত দুটি হিন্দু দেবতা বিষ্ণু ও গনেশ কি করে তাদের স্থান করে নিয়েছেন তা এক বিস্ময়ের ব্যাপার। এই মন্দিরে দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে রাজা নিশঙ্ক মল্ল সত্তুরটি নতুন বৌদ্ধ মূর্তি স্থাপন করেন। অষ্টদশ শতকে ক্যান্ডির রাজা মহারাজাদের শাসনকালে মন্দিরের ব্যাপক সংস্কারের পাশাপাশি নতুন করে করা হয় পেইন্টিং-এর কাজ।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজের সময় মন্দিরের দেয়াল এবং ছাদের প্রাচীন রঙিন চিত্রমালায় নতুন করে রঙ চড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে বড় ধরনের সংস্কারের সময় এ সব পেইন্টিংয়ে নতুন রঙের ছোঁয়া লেগেছে। তারপরেও পূজারি ভক্তকূলের দীপের আলো ধূপের ধোঁয়ায় অনেক চিত্রকর্মই বিবর্ণ হয়ে গেছে।

চলবে...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++

এই পর্বটাও খুব ভালো হয়েছে ।

ভালো থাকবেন অনেক :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

ফরিদুর রহমান বলেছেন: আপনি প্রতিটি পর্বেই সাথে আছেন জেনে ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আপনার এই সিরিজটা সত্যি দুর্দান্ত হচ্ছে। আপনার ভ্রমন কাহিনীর বর্ণনা মনে হচ্ছে নিজেই সেখানে আছি।


চলুক ...

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০২

ফরিদুর রহমান বলেছেন: আশা করছি আপনি শেষপর্যন্ত সঙ্গে থাকবেন। আরও অনেক জায়গাতেই আমরা এক সাথে ঘুরে বেড়াতে চাই। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

ফরিদ বিন হাবিব বলেছেন: ভালো লাগছে। আরও কিছু ছবি দিলে বেশি ভালো হতো, বর্ণনার সাথে মিলিয়ে নিতে পারতাম। চমৎকার ভ্রমণ কাহিনীর জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

ফরিদুর রহমান বলেছেন: যে কোনো কারণেই হোক ছবি আপলোড করতে সমস্যা হচ্ছে, সেই কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক ছবি দিতে পারিনি। আপনার ভালো লাগছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে । চলতে থাকুক ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৬

ফরিদুর রহমান বলেছেন: আপনার ভালো লাগা আমার জন্যেও বিশেষ ভালো লাগার ব্যাপার। লেখাটি আরও কিছুদিন চলবে আশা করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমনকাহিনী । চলুক । :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৮

ফরিদুর রহমান বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগছে জেনেই লিখতে উৎসাহিত বোধ করছি। আশা করছি আপনিও শেষপর্যন্ত সাথে থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.