নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে যায় লঙ্কায়: শ্রীলঙ্কা সফর/১২

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫০

ক্যান্ডি থেকে বেলা এগারোটর দিকে বেরিয়ে নুয়ারা ইলিয়ায় যখন আমাদের পূর্ব নির্ধারিত আবাসে পৌঁছলাম তখন সূর্য ডুবতে আর মিনিট কয়েক বাকি। শ্রীলঙ্কার লিটল ইংল্যান্ড নামে পরিচিত নুয়ারা ইলিয়ার দুরত্ব ক্যান্ডি থেকে সড়ক পথে মাত্র ৭৭ কিলোমিটার। সে হিসাবে পাহাড়ি পথে চড়াই উৎরাই পেরিয়েও ঘণ্টা দেড়েকের বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু ‘টেম্পল অফ টুথ রেলিক’ ঘুরে মহামতি বুদ্ধের দন্ত মোবারক দর্শন না করলেও বিশ্বখ্যাত রয়্যাল পেরাদেনিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেনে দ্রুত একটি চক্কর দিয়ে, পাহাড়ের চূড়ায় একটি মন্দিরে হনুমান দেবের উদ্দেশে অর্ঘ্য নিবেদন করে, পথে পথে গাড়ি থামিয়ে মধ্যাহ্নভোজ ও পাহাড়ি ঝরনার পটভূমিতে ছবি তুলে এবং সবশেষে রাম্বোদায় ব্লু ফিল্ড টি গার্ডেনে ধিরে সুস্থে চমৎকার এক কাপ চা শেষ করে নুয়ারা ইলিয়া শহরে ঢুকলাম সন্ধ্যা ছয়টায়। গত কয়েক দিন ধরে শ্রীলঙ্কার পথে পথে ঘুরে অন্তত একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আর তা হলো এখানে রাস্তা-ঘাটে কোথাও আটকে পড়ার সম্ভাবনা নেই। হরতাল অবরোধ নেই, শ্রমিক অসন্তোষ কিংবা আন্দোলনের অজুহাতে গাড়ি ভাঙচুর নেই, এমন কি বড় শহরগুলোতেও তেমন কোনো যানজটও নেই। অতএব দশ মিনিটেরও কম সময়ে ক্যান্ডি শহর থেকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে পেরাদেনিয়ার রাজকীয় উদ্ভিদ সংগ্রহশালায় পৌঁছে গেলাম।

বোটানিক্যাল গার্ডেনের গেটে এসেও এই বাগানে প্রবেশের ব্যাপারে আমাদের কারও কারও একটু দ্বিধা ছিল। কেবল গাছপালা দেখার জন্যে বিদেশ বিভূঁয়ে এসে জনপ্রতি এগারশ রূপি ব্যয় করাটা ঠিক হবে কিনা সংশয়টা সেখানে। কিন্তু দলের কনিষ্ঠ সদস্যদের একজন নাছোড় বান্দার মতো ধরে বসলো, পেরাদেনিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন না দেখে আর কোথাও যাচ্ছি না। আমি পরিবেশবিদ না হলেও পরিবেশবাদী, বৃক্ষলতার প্রতি পক্ষপাতিত্ব আছে। কিন্তু যে মুহূর্তে রাজকীয় উদ্ভিদ সংগ্রহশালার মূল ফটকে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে উত্তেজনাপূর্ণ নাটক চলছে আমি তখন গেটের পাশেই ব্যাংক অফ সিলোনের এটিএম বুথ থেকে অতি প্রয়োজনীয় শ্রীলঙ্কান রূপি সংগ্রহের চেষ্টা করছি। অতএব এটিএম বুথ থেকে আমার প্রত্যাবর্তনের আগেই ভেতরে ঢোকার সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়ে গেছে।

আটজনের দল একটু আগে পরে ভেতরে ঢোকার ফলে পরস্পর থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। খানিক অবশ্য পরে সকলে একত্রিত হলে শুরু হলো বিশাল সবুজের মধ্যে উদ্দেশ্যহীন যাত্রা। একবার ডাইনে একবার বাঁয়ে, কখনও বাঁশ বাগানে আবার কখনও পামট্রির সারি ধরে এলামেলো ঘুরে বুঝলাম এ ভাবে এলোমেলো ঘুরে সারাদিনেও এই দেড়শ একরের বিশাল বাগান দেখে শেষ করা যাবে না। অতএব প্রবেশ পত্রের সাথে দেয়া ম্যাপ দেখে বের করতে চেষ্টা করছিলাম কতটা কম সময়ে কত বেশি উল্লেখযোগ্য ফুল-পাতা-লতা-গুল্ম এবং তাদের বিচিত্র বিন্যাস দেখে নেয়া নেয়া যায়! ঠিক এই সময় কোনো সতর্ক সংকেত ছাড়াই ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হলো। যেখানে বছরে গড়ে ২০০ দিন বৃষ্টি হয় সেখানে যে কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে বৃষ্টি তো হতেই পারে। বৃষ্টিপাতের তথ্য আগে থেকে জানা না থাকায় কিছুটা ভিজে এবং খানিকটা দৌড়ে বিস্তৃত শাখা প্রশাখাযুক্ত এক বিশাল বৃক্ষতলে আশ্রয় নিতে হলো। বৃষ্টি অবশ্য যেমন জানান না দিয়ে ঝাঁপিয়ে এসেছিল তেমনি ঝুপ করে শেষও হয়ে গেল।

রাজা তৃতীয় বিক্রমবাহুর আমলে ১৩৭১ খ্রিস্টাব্দে মহাবলী নদীর তীরে পেরাদেনিয়ায় তাঁর রাজধানী স্থাপন করছিলেন। তবে রাজকীয় বাগান রচনার কাজটির সূচনা সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি রাজা কীর্তিশ্রী রাজাসিংহের শাসনামলে। আর বাগানের আধুনিকায়নের সূত্রপাত ১৮২১ সালে আলেক্সান্ডার মুনের নেতৃত্বে। ততোদিনে বৃটিশরা শ্রীলঙ্কা দখল করে নিয়েছে। কাজেই ভালমন্দ ভাঙাগড়া সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে দখলদার বৃটিশ শাসক আর তাদের প্রতিনিধিদের নাম। আমরা ইতিহাসের বিস্তারিত খোঁজখবর না নিয়ে গ্রেট লন, পাম এভিনিউ এবং ফ্লাওয়ার গার্ডেন ঘুরে অর্কিড হাউস এ্যান্ড গার্ডেনে এসে ঢুকে পড়ি। কখনোই দেখা হয়নি এমন কিছু দুর্লভ এবং প্রচুর দৃষ্টি নন্দন অর্কিডের বিপুল সংগ্রহ শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো। এখানে কোথাও কোনো ছবি তুলতে আপত্তি নেই। ঘরে অর্কিডের ফুল পাতার সাথে এবং বাইরে বিভিন্ন রঙের ফিতার মতো ছড়িয়ে থাকা নানা রঙের ফুলের সারির মাঝে তোলা হলো প্রচুর ছবি।

পেরাদেনিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে বেরিয়ে যাবার সময় মনে হলো হাতে আরও কিছুটা সময় থাকলে পুরো উদ্ভিদ উদ্যান আরও সময় নিয়ে ধিরে সুস্থে দেখতে পারলে ভাল হতো। তবে তারচেয়ে বড় আফসোস হলো আমাদের দেশের বোটানিক্যাল গার্ডেনের সাথে তুলনা করে। এর বিশাল সংগ্রহ, সুপরিকল্পিত এবং দৃষ্টি নন্দন বিন্যাসের কথা না হয় বাদই দিলাম। প্রতি বছর দুই লক্ষ স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও যেখানে গড়ে বিশ লক্ষ দর্শনার্থীর পদচারণা সেই সাজানো বাগান এতোটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এতো সুবিন্যস্ত এবং এতো সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হয় কি করে! মনে পড়লো, উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মা আমাদের বোটানিক্যাল গার্ডেন সম্পর্কে অনেক দিন আগেই বলেছিলেন, ‘না বন না বাগান’। সেই প্রায় অরক্ষিত এবং অপ-পরিকল্পিত না বন না বাগানের বর্তমান অবস্থা কি তা অবশ্য জানা হয়নি বহুদিন।

রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টা দুয়েক উদ্ভিদ উদ্যানে ঘোরাঘুরির ফলে ক্যান্ডির থিলংকা রেস্টুরেন্টের বিপুল ব্রেকফাস্টের কোনো অস্তিত্ব আর পেটে আছে বলে মনে হলো না। অতএব দূরের কোনো শহরে বিলাসি মধ্যাহ্নভোজের চিন্তা বাদ দিয়ে প্রকৃত পান্থজনের মতো রাম্বোদার পাহাড়ি পথের বাঁকে গাড়ি থামিয়ে দানাপানির অনুসন্ধানে নেমে পড়লাম। আমাদের অর্থ ও খাদ্য ব্যবস্থাপক নয়ন ব্যক্তি জীবনে খাদ্যরসিক আর তার পেশাগত জীবনও খাদ্যর সাথে সম্পর্কিত। কাজেই তার উপরে খাবার ভার ছেড়ে দিয়ে আমরা সব সময়েই নিশ্চিন্ত। সে রেস্টুরেন্টের মালিক কাম হেড বাবুর্চির সাথে কথা বলে সরাসরি কিচেনে ঢুকে গেল। পথের পাশের এই ছোট্ট রেস্টুরেন্ট শুধুমাত্র পথচলতি পর্যটকদের ক্ষুৎপিপাসা নিবারণ করে থাকে। অতএব সব সময় তৈরি খাবার পাওয়া যায় না। ‘হাফ-ডান’ ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন কারি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আসতে প্রায় আধাঘন্টা সময় লেগে গেল। বাইরে বসে এ সময় পাহাড়ের বাঁকে যানবাহনের চলাচল দেখছিলাম। রাস্তাটা বাঁ দিকের পাহাড়ের আড়াল থেকে এসে থেকে এসে রেস্টুরেন্টের সামনে বাঁয়ে মোড় নিয়েই আবার ডান দিকের পাহারে আড়ালে হারিয়ে গেছে। এ পথে গাড়ির চলাচল খুব বেশি নয়। তারপরেও মাঝে মধ্যেই হুশহাশ করে একটা দুটো ট্যাক্সি, মিনিভ্যান কিংবা মাইক্রোবাস পাহাড়ের আড়াল থেকে বেরিয়ে সামনে দিয়ে চলে যায়। এ সব দেখতে দেখতেই টেবিলে গরম খাবারের ডাক পড়লো।

রাম্বোদায় পাহাড়ের চূড়ায় সীতাদেবীর মন্দিরের কথা শুনে ছিলাম ক্যান্ডিতে আসার আগেই। রামচন্দ্র শ্রীলঙ্কায় এসে সীতা উদ্ধারের জন্য রাবণ রাজের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কাজেই সারা শ্রীলঙ্কা জুড়ে এখানে সেখানে রাম-লক্ষণ-সীতার নামে মন্দির গড়ে উঠবে এটাই তো স্বাভাবিক। জায়গাটা নুয়ারা ইলিয়া যাবার পথেই পড়বে, তাহলে আর দেবী দর্শনে আপত্তি কোথায়। বিশেষ করে আমাদের দলের দীপুর দেব-দ্বিজে যথেষ্ট ভক্তি। অতএব এর আগে অনুরাধাপুরা এবং দাম্বুলায় অনেকগুলো বৌদ্ধ মন্দির এবং স্তুপা ঘুরে আসার পরে পথে পাওয়া একমাত্র হিন্দু মন্দিরে না যাবার প্রশ্নই ওঠে না। সমস্যা হলো বাহনের চালক বান্দারাকে নিয়ে। তার কথা হলো, ‘দেয়ার ইজ নো সীতা টেম্পল, দিস ইজ আ হনুমান টেম্পল।’
রামভক্ত হনুমানকে যখন পাওয়া গেছে তখন রামচন্দ্র এবং সীতাদেবীকেও কাছাকাছি পাওয়া যেতে পারে ধরে নিয়ে বান্দারাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ইজ দেয়ার এনি টেম্পল অন দ্য হিল টপ?’
সে তাৎক্ষণিক মাথা নেড়ে জানালো, ‘হারি হারি!’ অর্থাৎ ‘ইয়েস ইয়েস, বাট ইটস আ হনুমান টেম্পল।’
‘হোক না হনুমান মন্দির, গাড়ি নিয়ে কি পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা যাবে?’
‘তা যাবে।’
‘তাহলে চলো যাওয়া যাক- আপাতত আমাদের জন্য হনুমান মন্দির হলেও চলবে।’

বান্দারা মূল সড়ক থেকে পাশের রাস্তায় নেমে সামান্য বাঁক নিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে উপরে উঠে গাড়ি পার্ক করলো। পার্কিং এলাকা থেকেও আরও খানিকটা পথ হেঁটে উপরে উঠবার পরে মন্দিরের সিঁড়ি। জুতা স্যান্ডেল খুলে পঞ্চাশ ধাপ সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে জানা গেল মন্দিরের মূল ফটক খুলবে বিকেল সাড়ে তিনটায়। সাড়ে তিনটা বাজতে তখনও প্রায় চল্লিশ মিনিট বাকি। ভাবলাম এই ফাঁকে মন্দিরের ইতিহাস ভূগোল সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নেয়া যাক। জনশ্রুতি অনুসারে সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কাধিপতি রাবণ এই রাম্বোদা উপত্যকার কোনো এক অরণ্যে আটকে রেখেছিলেন। রামভক্ত হনুমান প্রভুপতিœকে খুঁজতে খুঁজতে এসে হাজির হয়েছিলেন এখানে এই পাহাড়ের চূড়ায়। পরবর্তীতে রামচন্দ্র রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁর সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন রাম্বোদায়। ‘রাম - বোদা’ শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থও রামের যোদ্ধা। আর জনশ্রুতি বাদ দিয়ে একেবারে সমসাময়িক ইতিহাস হলো ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার চিন্ময় মিশন রামভক্ত হনুমানের কৃতকর্মের প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপ প্রতিষ্ঠা করেছে এই মন্দির। আঠার ফুট উঁচু হনুমানের মূর্তিটি গ্রানাইট পাথরের। মন্দিরের দাপ্তরিক নামও ‘ভক্ত হনুমান টেম্পল’। প্রত্যেক পূর্ণিমা রাতে এখানে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়, এ ছাড়া বছরে একবার মন্দির থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। প্রতি বছরই ভক্ত হনুমান মন্দিরে দর্শনার্থী এবং ভক্তকূলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

কোন দেবতা কোন ফুলে তুষ্ট অনেক সময় তা শুধু পূজারী পুরোহিতরাই জানেন। এখানে পূজার উপাচার উপকরণের খোঁজ নিয়ে জানা গেল ভক্ত হনুমান মন্দিরে দেবতার অর্ঘ্য হলো পান। চুন সুপারি খয়ের জর্দা বিহীন একেবারেই নির্ভেজাল পান। পাহাড়ের গায়ে পার্র্কিং-লটএর উল্টো দিকেই কয়েকটা দোকান দেখেছিলাম। সেখানে দর্শনার্থী বা ধর্মানুরাগী মানুষের জন্য চা নাস্তা পান সিগারেটসহ দেবতা হনুমানের জন্যেও পানের ব্যবস্থা আছে। একসারি দোকানের বারান্দায় বসে দুটি ছেলে যে পান বানাচ্ছিল তাও দেখবার মতো দৃশ্য। তবে তারা পানের কোনো খিলি না বানিয়ে বলা যায় পানের মালা গাঁথছিল। নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে প্রায় চোখে না দেখে অত্যন্ত দ্রুতার সাথে একের পর এক পান সাজিয়ে গেঁথে যাচ্ছে মালা। মালার দৈর্ঘ্য অনুসারে দামের তারতম্য আছে। আমাদেও খোকন ম-ল কত দামের মালা কিনেছিল তা জানা হয়নি। তবে সাড়ে তিনটা বাজার পরে মন্দিরে ঢুকে দীপু এবং খোকন কপালে তিলক কেটে বেরিয়ে আসার পরে খোকনের ভাষ্য থেকে বুঝলাম হনুমান ঠাকুর পানের মালাতে খুশি হলেও পুরোহিতের দক্ষিণা দিতে হয়েছে আরও অতিরিক্ত চল্লিশ রূপি। শুনেছি আমাদের অনেক মাজারে অথবা মন্দিরে শেষপর্যন্ত ফল-ফুল, ধুপকাঠি, বেল-নারিকেল, আগর বাতি-মোমবাতি, গিলাপ-গামছা, এমন কি বাতাসা খাগড়াই শেষপর্যন্ত আবার দোকানেই ফেরত যায়! এখানে প্রশ্ন হলো, চুন সুপারি ছাড়া এই বিপুল পরিমাণে পান দিনশেষে চিবায় কারা!

ভক্ত দুজন মন্দিরে পূজা দিতে ঢুকলে আমরা সিঁড়ির সমতলে ঘুরে ফিরে অনেকগুলো ছবি তুললাম। এখান থেকে যতো দূরে চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়ের সারি। অনেক দূরে কুয়াশায় ঘেরা পাহাড় আর আকাশের মেঘ মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ফিকে সবুজ, ঘন সবুজ, নীলচে সবুজ, গাঢ় সবুজ, কালচে সবুজÑ এ ভাবে সবুজের নানা সেডের পাহাড়, পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ছোট বড় নানা আকারের ঝরনা আর দুটি বড় পাহাড়ের মাঝ বরাবার নেমে আসা পাহাড়ি নদীর দৃশ্য দেখে এমনিতেই সারা বিকেল কাটিয়ে দেয়া যায়। অর্থাৎ মূর্তিমান হনুমান দর্শন না করে কেউ যদি পাহাড়ের মাঝ বরাবর উঠে শুধু দূরের পাহাড় দেখে নেমে যান তাতে দেবতার অসম্মান হলেও মানুষের কোনো ক্ষতি নেই।

চলবে...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

ডি মুন বলেছেন:
গত কয়েক দিন ধরে শ্রীলঙ্কার পথে পথে ঘুরে অন্তত একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আর তা হলো এখানে রাস্তা-ঘাটে কোথাও আটকে পড়ার সম্ভাবনা নেই। হরতাল অবরোধ নেই, শ্রমিক অসন্তোষ কিংবা আন্দোলনের অজুহাতে গাড়ি ভাঙচুর নেই, এমন কি বড় শহরগুলোতেও তেমন কোনো যানজটও নেই।



আমাদের শহরগুলোও যদি এমন যানজটবিহীণ নির্বিঘ্ন হত !!!!

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আরও একটি সুন্দর পর্ব +

ভালো থাকবেন ভ্রাতা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.