নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেরদৌসা রুহী

আমার সম্পর্কে আসলে বলার কিছুই নেই। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ

ফেরদৌসা রুহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চাকে সঠিক পথ দেখানোর আসল দায়িত্ত মা বাবার

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

যখন সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে গিয়ে থাকবো কিছুদিন তখন ইন্টারনেট থেকে বেশ কিছু স্কুলের নাম লিখে নিয়ে গেলাম। দেশে গিয়েই সেই তালিকা দেখে দেখে স্কুলে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেছি তাদের স্কুলে ভর্তির জন্য আসন খালি আছে কিনা, কারন আমরা যখন দেশে গিয়েছিলাম তখন সব স্কুলেই একমাস আগে থেকেই নতুন ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছিল।

বাচ্চার জন্য কোন স্কুল ভাল হবে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে কিছুটা ধারনা নিয়েছিলাম। আসন খালি আছে এমন একটা স্কুলে গেলাম, আলাপ করলাম।স্কুল মোটামুটি পছন্দ হয়েছে। তারপর গেলাম আরেকটা স্কুলে। স্কুলটি বাইরে থেকেই বুঝা যায় সব উচ্চবিত্তদের সন্তান এখানে পড়ে। স্কুলের ভেতরে দেখে তো আমার চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। স্কুলের প্রতিটা জায়গায় বিলাসিতার ছাপ। এমন না যে এরকম স্কুল আগে দেখিনি। আমরা যেখানে থাকি সেখানে নার্সারির একটা বাচ্চাকে পড়াতে এক বছরের জন্য যে পরিমান টাকা জমা দিতে হয়, সেই টাকাতে আমাদের দেশের প্রাইভেট মেডিকেলের একজন এম,বি,বি,এস এর কোর্স শেষ করতে পারবে। তাহলে বুঝায় যায় সেই এই স্কুল গুলির পুরা ক্যাম্পাস , স্কুল কতটা গুছানো। অবশ্য সব স্কুলে এরকম খরচ না, তবে বেশির ভাগ স্কুলেই এমন, বিশেষ করে প্রাইভেট স্কুল গুলিতে।আমাদের দেশে এরকম অত্যাধুনিক স্কুল আছে, আগে জানা ছিলনা। ছেলে ভর্তি পরীক্ষা দেই আর আমি স্কুল দেখি। যেদিন আমরা এই স্কুলে গেলাম তার একদিন আগেই মনে হয় এই স্কুলের এক ছাত্রী তার মা বাবাকে খুন করেছিল। একে তো এই স্কুল এত বেশি চাকচিক্য তার উপর আবার মাত্রই এই স্কুলের ছাত্রী মা বাবাকে খুন করেছে, যদিও এতে স্কুলের কোন দোষ নেই, তারপরও আমার ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় পুরো নাম্বার পাওয়ার পরও আমার মন সায় দিচ্ছিলনা এখানে ভর্তি করাতে। আমি বাচ্চার জন্য স্কুলের একটা সুন্দর পরিবেশ খুঁজছিলাম, আমার কাছে এই স্কুল এমন মনে হয়নি।

স্কুলে বলে এসেছি আমরা বাসায় গিয়ে জানাব। স্কুল থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি কতগুলো ছেলে মেয়ে পাশের কোচিং সেন্টার থেকে বের হচ্ছে। তাদের বললাম যে আমরা বাচ্চার জন্য স্কুল খুঁজছি, এই এলাকায় কোন স্কুল ভাল হবে। তারা সবাই একসাথে একটা স্কুলের নাম বলল। গেলাম সেই স্কুলে। আরো অনেকের কাছেই জেনেছিলাম এই স্কুল খুবই ভাল। হয়ত ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল, তাই একটা আসন খালি ছিল। পরদিন নিয়ে গেলাম ভর্তি পরীক্ষা দিতে। অনেকের কাছে জেনে আর নিজের চোখে দেখে মনে হল আমি এমন স্কুলই খুঁজছি। বাইরে বসে দোয়া দুরুদ পড়ছি যাতে ছেলে এই স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যায়।অনেকের কাছেই শুনেছি এই স্কুলে আসন খালি থাকলেও যদি বাচ্চা ভর্তি পরীক্ষায় ভাল না করে, স্কুল কর্তিপক্ষ আসন খালি রাখবে কিন্তু লাখ লাখ টাকা ডোনেশন নিয়ে বাচ্চা ভর্তি করবেনা। এই স্কুলেও ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছে আমার ছেলে। পরদিন সব কাগজ পত্র নিয়ে ভর্তি করে দিলাম।এই স্কুলে উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সব শ্রেনির বাচ্চাই আছে। সব কিছু মিলে আমরাও ভর্তি করতে পেরে খুশি।

প্রথম দিন ক্লাস করার পর ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম কেমন গেল তার প্রথমদিন। ছেলে বলল ভাল লাগেনি। সে ক্লাসে সবথেকে ছোট বলে অনেকেই তাকে সামনে বসতে দেয়নি, তাকে পিচ্চি পিচ্চি বলে সবাই ডাকে। তার ক্লাসের সব বাচ্চাদের বয়স কমপক্ষে ১০/১১ আর তার বয়স মাত্র ৭ বছর ১০ মাস।তার বয়স কম বলে প্রথমে স্কুলও ভর্তি করতে চাইনি। ছেলে আমার দেশের বাইরে পড়ার কারনে সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী অল্প বয়সেই ক্লাস থ্রিতে চলে এসেছে। আর আমাদের দেশে ঢাকাতে ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদের বয়সও ৮/৯ হয়ে যায়। যাই হোক ছেলেকে বললাম কিছু কিছু বাচ্চা তুমি নতুন বলে এমন করবে, তুমি তাদের কিছুই বলবেনা, একসময় দেখবে তারা চুপ হয়ে যাবে।

দিন যাচ্ছে আর ছেলের স্কুলের প্রতি আগ্রহ কমছে। অনেকেই তাকে ছোট বলে পাত্তা দেইনা, অনেকেই তাকে সামনে বসতে দেয়না, আর একজন তো আরো সরশ, সে তাকে ধাক্কা দেয়, থাপ্পড় দেয়, তার টিফিন খেয়ে ফেলে। সব কিছু জানালাম স্কুলের সুপার ভাইজারকে। উনি বললেন ঠিক আছে আমি দেখব। আমিও কয়েকজন বাচ্চাকে বললাম যে সে নতুন, তাকে যেন সবাই হেল্প করে সব কিছুতে। কয়েকটা বাচ্চা তাকে বিরক্ত করা বন্ধ করে দিল। কিন্তু একটা বাচ্চা যে থাপ্পড় মারে, ঘুষি মারে, টিফিন খেয়ে ফেলে সেই বাচ্চা আরো বেশি করে বিরক্ত শুরু করেছে।

ছেলে আমার বাসায় এসে প্রতিদিন কান্না করে। স্কুলে যেতে চাই না। স্কুলে বাচ্চারা এরকম করতে পারে, এসবে সে অভ্যস্ত না। আমি তাকে শিখিয়েছি মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতে, কেউ খারাপ ব্যবহার করলেও সে যেন তাকে কিছুই না বলে, সে শিখেছে অন্য বাচ্চাদের সাথে খাবার শেয়ার করে খেতে, সে শিখেছে ভ্যালেন্টাইন ডে-তে এতিম বাচ্চাদের সাথে ভালোবাসা প্রকাশ করতে, সে শিখেছে তার জন্মদিন এতিমখানাতে খাবার খাওয়াতে, বাসার কাজের লোক, ড্রাইভার, দারুয়ান তাদের সাথে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করতে।

সে শিখেনি অন্যের খাবার জোর করে খেয়ে ফেলতে, মারামারি করতে।কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে। একে তো নতুন স্কুল, পড়ার সিস্টেম আমিও বুঝিনা, ছেলেও বুঝেনা। কারন দেশের বাইরে তো তাকে বাসায় পড়তে হয়নি, আমি শুধু বাংলা পড়িয়েছি বাসায়, এখনো পড়াই। তার উপর আরেক ছেলের এমন ব্যবহারে কি করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমি শুধু বলি বাবা এডজাস্ট কর, এডজাস্ট কর, এই ছেলের সাথে কথা বলবে না। ছেলে বলে আমি কথা বলিনা, তাও সে এমন করে, আরো কয়েকজনের সাথেই এমন করে। একদিন ছেলে ছুটির পর ক্লাস থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হল আর বের হয়েই আমাকে তার হাত দেখাচ্ছে, ঐছেলে তাকে এমন খামচি দিয়েছে যে রক্ত পড়ছে। আমি বললাম তুমি কি এই ছেলের মাকে চেন। সে বলল হুম। তারপর দূরে দাঁড়ানো একটা মহিলাকে দেখিয়ে বলল এই হচ্ছে তার মা। আমি বললাম যাও তার মাকে গিয়ে বল সে কি করেছে। আমি কিছুই বলব না, সমস্যা তোমার তাই তুমিই বল।

ছেলে আমার সেই মহিলার কাছে গেল। আমি তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। সে বলল ‘’খালামনি দেখেন সামিন আমার হাত খামচি দিয়ে কেটে ফেলেছে’’। সামিনের মা বলল ‘’ তুমি আমাকে বলছ কেন? তুমিও তাকে খামচি দিয়ে দিতে’’। এই কথা শুনে আমি শুধু বললাম আমি তাকে কারো সাথে মারামারি করতে শেখাই না, আমি শেখাই তোমার সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলেও তুমি তার সাথে ভাল ব্যবহার করবে।

এই কথা শুনে তো মহিলা এমন ক্ষ্যাপা ক্ষেপেছে যে তার মুখে যা আসে তাই আমাকে শুনিয়ে দিল। তার ছেলে তো এসব দেখে মহাখুশি। আমি মহিলার এমন দূর্ব্যবহারে অবাক, আমার ছেলে কোনদিন কোন মানুষকে দেখেনি এমন খারাপ ব্যবহার করতে, সেতো ভয়েই শেষ। এই মহিলা নাকি পি, এইচ, ডি করা। এমন পি, এইচ, ডির কি মূল্য যে ব্যবহার ই শিখেনি। পরে অনেকের কাছেই শুনেছি এই মহিলার কাছে তারাও তার ছেলে যে অন্যের টিফিন খেয়ে ফেলে, মিথ্যা বলে, মারামারি করে এসব নিয়ে বিচার দিয়ে নিজেরাই অপমানিত হয়েছে। সে কারো কথা বিশ্বাস করেনা। তার ছেলে যা বলে তাই বিশ্বাস করে। এজন্য এখন আর কেউ তাকে কিছু বলেওনা।

বাসায় এসে আমি পুরা এক সপ্তাহ মন খারাপ করে ছিলাম তার ব্যবহারে। ছেলে শুধু বলে মা চলেন আমরা আবার চলে যাই। প্রতিটা মা বাবার উচিত তার সন্তানকে ভাল-মন্দ, পাপ-পূন্য, যার যার ধর্মের ধর্মিয় জ্ঞান, মানবিক গুণাবলী শেখানো। বাচ্চারা কাদামাটির মত,মা বাবা বাচ্চাকে যা শেখাবে তারা তাই শিখবে। বাচ্চাকে সব মা বাবাই আদর করে কিন্তু এভাবে অন্ধের মত আদর করে আমরাই তাদের ঐশীর মত হওয়ার পথ তৈরি করে দেই। শুধুমাত্র সঠিক শিক্ষার অভাবে এইধরনের মায়েদের বাচ্চারা বড় হয়ে ভাল কোন চাকুরি বা ব্যবসা হয়ত ঠিকই করবে, কিন্তু মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েও মানুষ হবেনা। প্রতিটা মা বাবার উচিত বাচ্চাকে যথেষ্ট সময় দেওয়া। বাচ্চা কার সাথে মিশছে, স্কুলে কি করছে সেসব জানা। আমরা যদি বাচ্চাদের সঠিক পথ না দেখাই তাহলে বাচ্চারা তো উল্টো পথে হাঁটবেই।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

ধমনী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন রুহী আপা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সমাজে ভালো খারাপ সব ধরনের লোক আছে। এর মাঝেই টিকে থাকতে হবে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো খারাপ নিয়েই আমাদের বসবাস।
সব মা বাবা তাদের সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিলে সমাজের অনাচার কিছুটা হলেও কমতো।
তারপরও এসব নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: মূল্যবান কথা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমি ধারণা করেছিলাম আপনার সন্তান এবং আপনার কেমন অভিজ্ঞতা হতে পারে।

বাবা-মা যে সন্তানের প্রথম শিক্ষক সেটি অনেকে ভুলে যায়। মনে করে, শিশু বিদ্যালয় থেকেই সব শিখবে।

ঐশির জন্য দায়ি তার বাবা মা এবং রাষ্ট্র নিজে।

একটি সময়োপযোগী লেখা। শিক্ষা হোক সমাজের।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাবা-মা যে সন্তানের প্রথম শিক্ষক সেটি অনেকে ভুলে যায়। মনে করে, শিশু বিদ্যালয় থেকেই সব শিখবে।

হুম অনেকেই ভাবে স্কুলে দিয়ে দিয়েছে ব্যস বাচ্চার দায়িত্ত শেষ। নিজের সন্তানকে যদি মা বাবা সামাজিক, নৈতিক, ধর্মীয় ও মানবিক শিক্ষা দিতে না পারে, আর কেউ এসব শিক্ষা দিতে পারবেনা।

আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: পি এইচ ডি করা এসব মায়েদের বাচ্চারাই 'ঐশী' হয়ে যায়। গাড়িচাপা দিয়ে রিক্সাচালক খুন করে। আসলেই সবকিছু ভেবে দেখার এবং বাবা মায়েদের তাদের সন্তানকে ভালো ব্যাবহার, আদব কায়দা শিখানো খুবই জরুরী।

কথাগুলো শেয়ার করার জন্য বনমহুয়া আপাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আসলেই সবকিছু ভেবে দেখার এবং বাবা মায়েদের তাদের সন্তানকে ভালো ব্যাবহার, আদব কায়দা শিখানো খুবই জরুরী।

ঠিক বলেছেন। ২০বছরের আগে সন্তানের যে কোন অপরাধের জন্য অবশ্যই মা বাবা দায়ী ।

আমার নাম কিন্তু বনমহুয়া না :)

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: আজকাল যুগের বাবা মা রা হইল শর্টকার্ট এর বাবা মা। ছেলে মেয়েরে ল্যাপটপ, ট্যাব ফোন এর ইন্টারনেট দিয়ে দাও ছেলে-মেয়ে এক কোণায় এই গুলা নিয়ে পড়ে থাকবে, আর তারা নিজেদের নিয়ে থাকবে। আমরা মনে করি ছেলে মেয়ের পিছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢাললেই হল, ছেলেমেয়ে ফেরেশতা হয়ে বের হবে। এই ছেলেমেয়েগুলা যখন অমানুষ হবে; বুড়া বয়সে তাদের লাথি দিয়ে দূর করে দিবে সেইদিন তারা বুঝবে।
অবশ্য আমাদের দেশে আবার মানুষ হওয়ার স্টান্ডার্ড অনেক নীচেঃ আজকাল ত টাকা আর ক্ষমতা থাকলেই সবাই মানুষ। আপনি চুরি করেন, ডাকাতি করেন, খুন করেন কোন প্রবলেম নাই; শুধু টাকা থাকলেই হবে - ওইটাই সবাইকে আজকাল ভাল মানুষের ট্যাগ লাগিয়ে দেয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এই জগতে বাবা মায়ের চেয়ে বড় শিক্ষক আর কেউ নেই।

বাচ্চা জন্ম দিলেই মা বাবা হওয়া যায়না।

বাবা মা যদি সন্তানকে সঠিক শিক্ষা না দিতে পারে আর কেউ পারবেনা।

ধন্যবাদ পিচ্চি হুজুর আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সন্তানের প্রথম পদক্ষেপ বাবা মায়ের হাত ধরে শেখা!!
প্রথম শিক্ষাই শুরু হয় তার ঘর থেকেই!!
বাবা মা -ই পারেন ভালবাসা দিয়ে তার সন্তানকে নিজেদের মনের মত করে গড়তে!!

কিন্তু পরিবেশ,সমাজ,দেশ বা দেশের আইনি ব্যবস্থাও সহায়ক একটা সুন্দর জীবন গঠনের!!!
এখন বাবা মা দু'জনেই যদি চাকুরী করেন সে ক্ষেত্রে সন্তানকে যথেষ্ট সময় দেবার মত সময় তাদের হাতে থাকে না!!
বাচ্চারা তখন শেখে অন্যের কাছ থেকে!!! পরিবেশ থেকে, সমাজ থেকে!!!!!
মানুষ গড়ার কারিগর বাবা মায়ের সাথে আর সবাই!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ফেরদৌসা তোমার এই সচেতনতামূলক লেখার জন্য!!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সন্তানের প্রথম পদক্ষেপ বাবা মায়ের হাত ধরে শেখা!!
প্রথম শিক্ষাই শুরু হয় তার ঘর থেকেই!!
বাবা মা -ই পারেন ভালবাসা দিয়ে তার সন্তানকে নিজেদের মনের মত করে গড়তে!!


আপা আপনি হচ্ছে আল্লাহর রহমতে একজন সফল মা। তাই আপনার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি।
সেদিন কে যেন লিখেছিল ২০ বছরের আগে পর্যন্ত সন্তানের যেকোন অপরাধের জন্য মা বাবা দায়ী । আমার কাছেও তাই মনে হয়।

অনেক ধন্যবাদ আপা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমার স্কুল জীবনের শুরুর কথা মনে পড়লো। আমিও বয়সে ছোটই ছিলাম সহপাঠিদের তুলনায়, কিছুটা শীর্ণকায় ও খাটো। এরজন্য অনেক দুর্ভোগই পোহাতে হয়েছে। অপমানও বোধ করেছি যথেষ্ট। পুরো স্কুল লাইফটাই শুনতে হয়েছে, বাচ্চা আর 'বাইট্টা' শব্দ দুটো শুনে।
অবশ্য এখন বদলেছে সবই। যারা 'বাইট্টা' বলতো তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছি।

একই শহরে বড় হল, তারা পুরো স্কুল লাইফ এত 'বড় বড়' থেকেও এখানে অপরিচিত আর আমাকে ৭৫ ভাগ মানুষই চিনে 'বাচ্চা' হওয়ার পরও।

তবে হ্যা, এইটা সম্ভব হয়েছে শুধুই আম্মুর কারণে। সাহসটা ঐ সময় আম্মুই দিয়েছে, ফাইট করে যেতে বলেছে। করে গেছি, এখন সফল। এখন মাঝে মাঝে ভাবি আমার বন্ধুগুলোরও একই ভাবে বেড়ে উঠা হয়ে থাকলে, তারাও এখন নীচে পড়ে থাকতো না।

ঐ সময়টা শেখারই বয়স। শেখাতে হবে বাবা-মাকেই। স্কুল শিখাবে পুথিগত বিদ্যা। আর বাবা-মা মানুষ হওয়ার বিদ্যা।

আপনার পোষ্টের বক্তব্য ভাল লাগলো। [কে বলেছে আপনি লিখতে পারেন না - আপনার আগের পোষ্টটা কিন্তু ভুল ছিল /:) ]

ভাগ্নের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কে বলেছে আপনি লিখতে পারেন না - আপনার আগের পোষ্টটা কিন্তু ভুল ছিল

আমি আসলেই লিখতে পারিনা। আপনাদের লেখা পড়ে শিখছি মাত্র।

যাক এই পোস্টের জন্য আপনার কথাও কিছু জানা হল।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। অনেক ব্যস্ত আছি কয়দিন যাবত তাই উত্তর দেয়া হয়নি।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: হায় হায়। আমি ভুল করে আপনার নামটা ভুল লিখে ফেলেছি। সরি রুহি আপা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হা হা হা আচ্ছা সমস্যা নাই।

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

বনমহুয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপা। আসল শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

সুলতানা রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। শিক্ষা প্রথমে ঘর থেকেই শুরু হয়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম।পরিবারের কাছে যদি আসল শিক্ষা না পাওয়া যায় তাহলে আর কে শিক্ষা দিতে পারবে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

গেদা (Geda) বলেছেন: [si]বাচ্চারা কাদামাটির মত,মা বাবা বাচ্চাকে যা শেখাবে তারা তাই শিখবে । ধন্যবাদ

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদেশ পাগলা বলেছেন: চমৎকার ম্যাডাম ! একটু ক্ষুদ্র উপহার লন একজন ভালো মা হিসাবে !

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: B:-/

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

আরজু পনি বলেছেন:

আমার মেয়েও বয়সে ওর ক্লাসে সবচেয়ে ছোট...এটা সে যখন নিশ্চিত হয়েছে তখন থেকে সে ক্লাসে বয়স উল্লেখ করা কোন প্রসংগ আনে না...কোন গ্রুপ করলেও সেখানে যেনো বয়সের কোন ব্যাপার না থাকে সেই ব্যবস্থা করে B-)

কিছু ঘটনা ওর সাথেও ঘটছে কিন্তু ওকে নিষেধ করে দিয়েছি যেনো এর পাল্টা জবাব না দিয়ে টিচারকে বলে । যেহেতু ওর রেজাল্ট ওর সেকশনে সব থেকে ভালো আর সে সব কাজেই খুব সিনসিয়ার সাথে সে স্কুলের বাইরেও পুরস্কার পেয়েছে যেখানে ওর স্কুলের নাম জড়িত ছিল ফলে টিচাররা তাকে এসব ব্যাপারে মেন্টাল সাপোর্টটা বেশ ভালো দিচ্ছে ।

আপনার বাচ্চা যেহেতু একেবারে নতুন তাই এটা প্রমাণসে এখনই করতে পারবেনা কিন্তু আপনি পারবেন । আপনি ্ওর ক্লাসের সব টিচারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন । সেই বিশেষ বাচ্চার মায়ের সাথে সেধে সেধে মেশার চেষ্টা করতে পারেন...যেমন দেখা হলেই হাসিমুখে লম্বা করে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে পারেন...আর সেই বাচ্চাকে দেখলেই ওর সাথে হেসে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে পারেন...এতে কাজ হতেও পারে ।

আমি সেধে আমার বাচ্চার ক্লাসমেটদের অভিভাবকদের সালাম দিয়ে থাকি আর বদ বাচ্চাগুলোকে হাসিমুখে (দাঁত কামড়ে) প্রায়ই কুশলাদি জিজ্ঞেস করি। কিছু কাজ হচ্ছে । ;)

আপনার বাচ্চার জন্যে অনেক শুভকামনা রইল ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছেলে স্কুলে নতুন আর আমিও নতুন। কেউ আমাদের সাথে মিশেনা তাই আমাদের সমস্যা হয়েছে বেশি।

আর ঐ একটা বাচ্চার জন্য আমার ছেলে স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল।তারপর ফাইনালে যখন আমার ছেলে অনেক

ভাল রেজাল্ট করেছে তখন বাচ্চারা ও মায়েরা সেধে সেধেই কথা বলতে আসতো। কিন্তু ঐ বাচ্চার অত্যাচার আরো বেড়ে গিয়েছিল।

যাক এখন আমরা আবার বাইরে চলে এসেছি। এসব সমস্যা আর নেই।

অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

মাধব বলেছেন: জীবন সত্যিই জটিল।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম জীবন জটিল। আর আমাদের নোংরা মানসিকতাই এর জন্য দায়ী।

১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার লেখাটি আমাকে আবেগতাড়িত করেছে। আরজুপনি আর আপনার আদর্শিক ভাবনা আমার মায়ের সাথে হুবহু একই। ছোটবেলা যখন মা আমাকে বলত "বাবা, কেউ যদি তোমাকে চড় মারে তবে তোমার দরকার নেই তাকে চড় মারার। বরং তুমি নিজের ভদ্রতা ও মার্জিত ব্যবহার করে ওখান থেকে ফেরত আসবে।"।

তখন মায়ের ওপর প্রচন্ড রাগ হতো। কারণ আমি নিজে দেখেছি অন্য সহপাঠীদের মা বাবা কিংবা বড় ভাইয়েরা কিভাবে হুংকার ছেড়ে বলে- তোকে একটা মারলে তুই দুইটা মারবি।

এভাবেই মূলত আমাদের মধ্যে ভায়োলেন্স, অসভ্যতা আর বর্বরতার পাঠ দেয়া হয়। যার সূত্র ধরে জন্ম নেয় ইভটিজার, মাস্তান, বখাটে থেকে শুরু করে অনলাইনে গালিবাজরা।

শিক্ষার শুরু হোক পরিবার থেকেই। মা বাবাই হোক সবচেয়ে প্রিয় ও প্রভাবশালী শিক্ষাগুরু। দেশ হয়ে ওঠুক শান্তিময়।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি নিজে দেখেছি অন্য সহপাঠীদের মা বাবা কিংবা বড় ভাইয়েরা কিভাবে হুংকার ছেড়ে বলে- তোকে একটা মারলে তুই দুইটা মারবি।

এভাবেই মূলত আমাদের মধ্যে ভায়োলেন্স, অসভ্যতা আর বর্বরতার পাঠ দেয়া হয়। যার সূত্র ধরে জন্ম নেয় ইভটিজার, মাস্তান, বখাটে থেকে শুরু করে অনলাইনে গালিবাজরা

ঠিক বলেছেন গেম ভাই।২০ বছরের আগে পর্যন্ত সন্তানের যেকোন অপরাধের জন্য মা বাবাই দায়ী। আর যারা সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে পারে তারা কখনোই কোন অন্যায় করতে পারেনা।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই স্কুলে উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সব শ্রেনির বাচ্চাই আছে -- এরকম স্কুলে পড়াই ভালো। মুদ্রার দু'পিঠই চেনা যায়।
আপনার অভিজ্ঞতাটা এখন বেশ কমন হয়ে উঠছে। অনেককেই এখন বলতে শুনি এরকম অভিজ্ঞতার কথা।
যাক এখন আমরা আবার বাইরে চলে এসেছি। এসব সমস্যা আর নেই যারা বাইরে যেতে পারছেনা, তাদেরকে এসব বিরূপ অভিজ্ঞতা নিয়েই বেঁঁচে থাকতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রতিটি গৃৃহে পিতামাতারা তাদের সন্তানদের সুসন্তান হিসেবে গড়ে ওঠার প্রাথমিক শিক্ষাটা দিতে পারেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এই স্কুলে উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সব শ্রেনির বাচ্চাই আছে -- এরকম স্কুলে পড়াই ভালো। মুদ্রার দু'পিঠই চেনা যায়।
আপনার অভিজ্ঞতাটা এখন বেশ কমন হয়ে উঠছে। অনেককেই এখন বলতে শুনি এরকম অভিজ্ঞতার কথা।


হুম এসব তো আমাদের দেশে কমন। কিন্তু এমন কেন হবে? বাবা মায়ের প্রশ্রয়েই বাচ্চারা বড় হয়ে যত রকম অপকর্ম করার সাহস পাই।
যতদিন মা বাবারা বাচ্চাদের ভাল মন্দের শিক্ষা না দিতে পারবে ততদিন পর্যন্ত অপরাধ করার প্রবণতা কমার কোন উপায় নেই।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বাচ্চারা আসলেই কাঁদামাটির মত। তাদের যেকোন রুপ দেয়া যায়। বাবা মার উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক রুপে গড়ে তোলা। তারা যেন অন্তত ভালোর সাথে মন্দের পার্থক্য করতে জানে এবং মন্দ কিছু করলে সেটার জন্য অপরাধবধে ভোগে। বাচ্চাদের আদর করবার সাথে ভালো মন্দ শিক্ষা দেয়া এবং সেভাবে না চললে শাসন করাটাও ভীষন জরুরী।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাচ্চারা আসলেই কাঁদামাটির মত। তাদের যেকোন রুপ দেয়া যায়। বাবা মার উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক রুপে গড়ে তোলা। তারা যেন অন্তত ভালোর সাথে মন্দের পার্থক্য করতে জানে এবং মন্দ কিছু করলে সেটার জন্য অপরাধবধে ভোগে। বাচ্চাদের আদর করবার সাথে ভালো মন্দ শিক্ষা দেয়া এবং সেভাবে না চললে শাসন করাটাও ভীষন জরুরী।

হুম এটাই করা উচিত। কিন্তু মায়েরা বাচ্চাদের সময় না দিয়ে খেলনা কিনে দেয়, কার্টুন ছেড়ে দেয়। কি শিখবে এসব থেকে বুঝিনা। বিনোদনের জন্য এসব দরকার কিন্তু এটা যেন নেশা না হয়ে যায়। আর আদরের সাথে শাসন তো অবশ্যই দরকার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে আপনার আর আপনার ছেলের জন্য খারাপ লাগলো। আরো খারাপ লাগবে যখন শুনবো শুধু এসব কারণেই বা বাবু স্কুলে এডজাস্ট হতে পারেনি বলেই চলে এসেছেন দেশের বাইরে। আমিও এক সময় দেশের বাইরে থাক তাম। ওখান থেকে কিছু জিনিস শিখে আসা ছাড়াও তাকে আমি কিছু আচরণ শিখিয়ে ছিলাম। আমার ছেলেটাও স্কুলে এসবের মুখে পড়েছে। এখন যে স্কুলে আছে সে স্কুল টা দুই বছর হয়ে গেলো, ও পছন্দ করতে পারছে না। ওকে এখন শেখাচ্ছি টিকে থাকতে হবে। এক সময় আমার ছেলে প্রেসার দিচ্ছিলো সে আর বাংলাদেশেই থাকবে না।

সন্তানের প্রথম শিক্ষা ঘর থেকেই শুরু হয় এবং মা বাবার কাছ থেকেই। তবে বড় হবার পাশাপাশি আশেপাশের ভালো শিক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার থেকেও আমরা শিখতে শিখতে বড় হই।

শুভকামনা রইলো

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আরো খারাপ লাগবে যখন শুনবো শুধু এসব কারণেই বা বাবু স্কুলে এডজাস্ট হতে পারেনি বলেই চলে এসেছেন দেশের বাইরে।

হুম আপা আবার চলে এসেছি। বাচ্চার যখন মন টেকেনা তাই আবারো চলে আসায় ঠিক মনে করলাম। দেশের বাইরের স্কুলে বাচ্চারা বড় হয় একটা বিশাল আকাশের নিচে। অনেক দেশের বাচ্চাদের সাথে বড় হয়, মন বড় হয়। তাই ভাবলাম সুযোগ যখন আছে কি দরকার বাচ্চাকে এসব থেকে বঞ্চিত করার।

আমিও এক সময় দেশের বাইরে থাক তাম। ওখান থেকে কিছু জিনিস শিখে আসা ছাড়াও তাকে আমি কিছু আচরণ শিখিয়ে ছিলাম। আমার ছেলেটাও স্কুলে এসবের মুখে পড়েছে। এখন যে স্কুলে আছে সে স্কুল টা দুই বছর হয়ে গেলো, ও পছন্দ করতে পারছে না। ওকে এখন শেখাচ্ছি টিকে থাকতে হবে। এক সময় আমার ছেলে প্রেসার দিচ্ছিলো সে আর বাংলাদেশেই থাকবে না।

বছর খানেক তো সে ছিল দেশে। দেশের বাচ্চাদের অবস্থা আঁচ করার অভিজ্ঞতা তার হয়েছে, তাই আমিও এখন আবার যখন দেশে থাকতে যাব তখন সে যেন এসবের ভেতর টিকে থাকতে পারে সেই শিক্ষাই দেব।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য এবং নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: আসলে একজন মায়েই পারে এমন ভাবে একজন সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে। আপনার লেখার মধ্যে মাতৃত্ব ফুঠে উঠেছে। আসলে আপনি আপু না ভাইয়া তা প্রশ্ন না । আমি ছিলাম ফেসবুক পোক আসলে ফেসবুক বন্ধের বদৌলতে আজ এই ব্লগে। ব্লগে অনেক কয়টা লেখা পড়লাম। সব কয়টা লেখা রুচীশীল ও জ্ঞাণ ভিত্তীক। আসলে অনেকে ব্লগে রেজিষ্টশন করতে পারেনা তাই ব্লগ বিষয়ে অজানা। আশা রাখি এই লেখাটা আপনি ফেসবুকে শেয়ার করবেন। আগামী দিনের চলার পথ সুগম হউক এই কামণা করি।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

হুম আমি অনেক লেখায় ফেসবুকে শেয়ার করি।

ব্লগিং হোক আনন্দের।

২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



খুব ভাল লাগলো লেখাটি। বাচ্চাদের যদি বাবা-মারা সঠিক শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে না পারে তাহলে বড় হওয়ার সাথে সাথে এরা আদর্শ থেকে বিচ্যূত হতে থাকে। তাছাড়া মেধার বিকাশের জন্য এই বাবা-মাদেরকেই যত্নশীল হতে হবে। বাচ্চা মানেই কার্টুন দেখবে কিন্তু তাই বলে তাকে তাতে বাঁধা না দিয়ে বরং ভাল কার্টুন দেখাতে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। বই পড়ার অভ্যাস করে তুলতে হবে। বাচ্চাদের এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেন এরা নিজেরাই বুঝতে শিখে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ।

আমার এক বন্ধু আছে ইস্কুলের টিচার। একটা ছাত্রকে বাসায় পড়াতে যায়। তার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাঃ ছাত্রের মা আমার বন্ধুকে বলছে স্যার ইয়ে মেরা বেটা হ্যায় লিজিয়ে।
তার দ্বিতীয় দিনের অভিজ্ঞতাঃ ছাত্রকে অংক করতে দেয়া হয়েছে। ছাত্র ৫*৯= ৬৯ হিসাব করেছে। তো আমার বন্ধু যখন ধমক লাগালো ছাত্র বলে স্যার ওহ !! ধ্যায়ানসে স্যার ধ্যায়ানসে।

যাই হোক এই হলো আমাদের বাবা-মা ও সন্তানদের হাল যুগের অবস্থা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হা হা হা তাহলে আপনিই বলেন এই বাচ্চার ভবিষ্যৎ কি হবে।

আমার ছেলের কোন টিচার লাগেনা বাসায়। কিন্তু দেশে গিয়ে যখন স্কুলে ছেলের মন টেকেনা তখন বাসায় আমি বুয়েটের একজন ছাত্রকে রেখেছিলাম শুধুমাত্র আমার ছেলের সাথে গল্প করার জন্য। আমার চিন্তা ছিল যে একজন ভাল ছাত্রের সাথে বসে গল্প করলেও ভাল। এবং সেই ছাত্রকে বলেও দিয়েছিলাম যে আপনার পড়াতে হবেনা কিছুই শুধু গল্প করবেন।
আমার ছেলের স্কুলে মন টেকেনি কিন্তু সপ্তাহের তিন দিন অপেক্ষা করত কখন সেই ছেলে আসবে আর সে গল্প করবে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

জুন বলেছেন: আমি অবাক হয়ে যাই যখন দেখি বাবা মা বিশেষ করে মা রাই ছোট ছোট বাচ্চাদের হিংসা ঝগড়া শেখাচ্ছে প্রতিযোগিতার নামে।
যথার্থ লিখেছেন ফেরদৌসী রুহা।
+

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: গতকাল আমার ছেলেকে যখন স্কুলে আনতে গেলাম, সে গাড়িতে উঠেই বলে আজ আমি অনেক কষ্ট করেছি। আমি বললাম

কি করেছ? সে বলে আমাদের ক্লাসের একজনের ব্যাগ খুব ভারি সে নিতে পারছিল না, তাই আমি তার ব্যাগ গ্যালারিতে নিয়ে এসেছি। আমি বললাম সে পারেনা আর তুমি পার, ভালই তো। ছেলে বলে সে তো অনেক শুকনা আর আমার চেয়ে ছোট নয় বছর, আমি দশ বছর। হা হা হা বুঝেন অবস্থা। ছেলে আবার বলে হেল্প করা তো ভাল কাজ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

কাজী রিদয় বলেছেন: বড় স্কুলে পড়ে আসলে কেউ বড় হয় না। আমরা ভুল করে অনেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোকে বড় হিসেবে দেখি। আসলে এটি কত বড় ভুল এখান থেকে বের হওয়ার পর বুঝা যায়। এরা না পারে ভালো বাংলা বলতে, না পারে ইংরেজি। আমার মেয়েকে প্রথমে চিটাগাং এর সেরা ইস্পাহানিতে দিই। একে তো ভোর সাড়ে ৬ টায় ঘুম থেকে তোলা। তার উপর টিচারা নাকি জোর করে টিফিং শেষ করাই। মেয়ে আমার বিরক্ত। বললো, বাবা আমি সরকারী প্রাইমারীতে পড়বো। বললাম ভালো কথা। ভর্তি করিয়ে দিলাম সরকারী প্রাইমারীতে। আমার মেয়ে মাত্র ৬টি বোর্ডের বই পড়ে জিপিএ ৫ পেলো। শিখতে পারলো নাচ-গান। অথচ বড় বলে খ্যাত স্কুলগুলোতে পড়াশুনার চাপে পড়ে বাচ্চারা খেই হারিয়ে ফেলে। অনেক বাবা-মা সেটা বুঝতে পারে না..আসলে স্কুলটা বড় কথা নয়, ঘরের শিক্ষাটাই হচ্ছে অনেক বড়..

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সরকারি প্রাইমারিই তো ভাল।

আমারও ইচ্ছে ছিল বাচ্চাকে সরকারি প্রাইমারিতেই পড়াব কিন্তু দেশে থাকিনা তাই সম্ভন না। তারপরও আমি বাংলা পড়াই, লেখাই।
যাতে বাংলা সম্পর্কে সে সব জানতে, বুঝতে ও পড়তে পারে।
হুম আমাদের দেশে পড়ার চাপে আর ব্যাগের চাপে বাচ্চারা চ্যাপ্টা।
আমার ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ে, এখন পর্যন্ত স্কুলের কোন বই দেখিনি। সব স্কুলেই থাকে।
আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।

২৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মানবতার চর্চা নেই:Dসত্য চিরদিন সত্য

২৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

ছৈয়দ মোকাররম বারী বলেছেন: সাধারন

২৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

ছৈয়দ মোকাররম বারী বলেছেন: অসাধারন...

২৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।

পোস্টে ভালো লাগা।

২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: পৃথিবীর প্রতিটি শিশুই সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসের উপর জন্মগ্রহণ করে। পিতা মাতাই তাকে সঠিক বা ভ্রান্ত পথের দিশারী বানায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.