নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেরদৌসা রুহী

আমার সম্পর্কে আসলে বলার কিছুই নেই। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ

ফেরদৌসা রুহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ। বো-ক্যাপ, করুণ ইতিহাসের পর এক রঙিন শহর

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৪



রাতে হোটেলে বসে নেটে খুঁজছিলাম সকালে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। খুঁজতে খুঁজতে দেখতে পেলাম এক রঙিন শহর আছে পাশেই যা এখন মিউজিয়াম হিসাবে স্বীকৃত।এই রঙিন শহরের নাম ‘’বো-ক্যাপ’’ যা ১৬০০/১৭০০ সালের দিকে হয়েছিল এবং আজো সেই অবস্থাতেই আছে। হোটেলের পাশেই বো-ক্যাপ শহর তাই পরিকল্পনা করলাম ক্যাপটাউন থেকে যাওয়ার আগে অবশ্যই এই রঙিন শহর ও তার ইতিহাস জেনে যাব, সকালে বরং টেবল মাউনটেন দেখতে যাবো।

রাতে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। রুমের হিটার চলছে ফুল স্পিডেই, একটার জায়গায় দুইটা কম্বল নিলাম, সুয়েটার গায়ে দিলাম তাও শীতে কাঁপছিলাম। সকালে রুমের পর্দা সরালেই দেখতে পেতাম টেবল মাউনটেন আর তার উপর সূর্যের আলোর ঝিলিক, কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে যখন পর্দা সরিয়েছি দেখতে পেলাম আমার সামনের পুরা পাহাড়ের উপর যেন কেউ মেঘের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে, পাহাড়ে মেঘ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি।





পরিষ্কার আবহাওয়ায় হোটেল রুমের পর্দা সরিয়েই যেমন দেখতাম


মেঘ করলেই পাহাড় মেঘের চাদরে ঢেকে যায়

আমাদের ট্যাক্সি ড্রাইভার এসে যখন ফোন দিল তখন হোটেল লবিতে গিয়ে হোটেলের ট্যুরিজম কর্মিদের সাথে কথা বললাম যে আজ টেবল মাউনটেন যাওয়া যাবে কিনা। ডেস্কে বসা মেয়েটা বললো সে আজকের আবহাওয়া বার্তা দেখে বলতে পারবে। সে আবহাওয়া বার্তা দেখে বললো ‘সরি, আজ সারাদিন আবহাওয়া খারাপ থাকবে, মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আর বৃষ্টি হবে, তাই আজ পাহাড় আর সাগর কোথাও যাওয়া যাবেনা। বললো টেবল মাউনটেন পুরাই মেঘে ঢাকা আর অন্ধকার, পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ আর সাগরে ঘুরাঘুরির সব ট্যুরিষ্ট জাহাজও বন্ধ, তাই আমরা ইচ্ছে করলে সাইট সিয়িং বাসে শহর ঘুরতে পারবো, অথবা প্রায় ১২টা মিউজিয়াম আছে শহরের মধ্যে তা দেখতে পারবো।‘’ জিজ্ঞেস করলাম বো-ক্যাপ মানে সেই রঙিন শহর দেখতে পারবো কিনা। সে বললো অবশ্যই দেখতে পারবে, আর বাকি সব মিউজিয়ামও কাছাকাছি তাই যতগুলি সম্ভব দেখতে পারবো, তবে আজ প্রচন্ড শীত থাকবে তাই আমরা যেন ভারী শীতের কাপড় আর ছাতা নিয়ে বের হয়।





ট্যাক্সি ড্রাইভারকে বললাম বো-ক্যাপ যেতে। সে প্রথমে একটা মিউজিয়ামে নিয়ে গেল। বিশাল এক মিউজিয়াম। সৃষ্টির শুরু থেকে মোটামুটি যত রকমের পশু, প্রানী এবং গ্যালাক্সির যখন যা পেয়েছে, তার যতটুকু সংরক্ষণ করা সম্ভব তার সবই এই মিউজিয়ামে তারা সংরক্ষণ করে রেখেছে। এটা পুরা দেখতে গেলে দিনের বেশির ভাগ সময় চলে যাবে, তাই অল্প একটু দেখে ড্রাইভারকে বললাম বো-ক্যাপের রঙিন শহরে নিয়ে যেতে।





যখন বো-ক্যাপে আসলাম রাস্তার দুইপাশে সারিসারি রঙিনসব বাড়ি যা আমি আগে ইন্টারনেটে দেখেছিলাম তা চোখের সামনে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এইসব রঙিন বাড়ির পেছনের ইতিহাস অনেক করুণ, বেদনাদায়ক।সারিসারি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িকে রাখা হয়েছে যাদুঘর হিসাবে, যেখানে ট্যুরিষ্টরা সব তথ্য পেতে পারে। টিকেট কেটে প্রথমে গেলাম সেই বাড়িতে। জানলাম এই বো-ক্যাপ শহর সম্পর্কে কিছু। বো-ক্যাপ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে পুরানো আর আকর্ষনীয় আবাসিক এলাকা, যেটা সিগনাল পাহাড়ের ঢালুতে ক্যাপটাউনে অবস্থিত। ১৬০০/১৭০০ সালের দিকে যখন ডাচরা সাউথ আফ্রিকা শাসন করতো তখন তারা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া,শ্রীলংকা এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রীতদাস নিয়ে আসতো এই বো-ক্যাপে।এই ক্রীতদাসদের বলা হত ক্যাপ মালে, যদিও তাদের সবাই মালয়েশিয়ার ছিলনা। ক্রীতদাসদের বেশিরভাগই ছিল মুসলমান কিন্তু ডাচরা তাদের কোন রকম ধর্মকর্ম পালন করতে দিতনা।কেউ নামাজ পড়তে পারতোনা, নামাজ পড়লে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হত। এই দাসদের দিয়ে সারাদিন কঠিন কাজ করাতো। কিন্তু তাদের ঈমাদের জোর ছিল খুবই মজবুত। তারা সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে, গভীর রাতে দূরের সিগনাল পাহাড়ের উপর গিয়ে সারাদিনের নামাজ পড়ে নিত।







এভাবে প্রায় আশি বছর তারা ডাচদের কাছে ক্রীতদাস হিসাবে বন্দি ছিল। তারপর এক সময় ১৭৯৫ সালে ব্রিটিশরা ডাচদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়। ব্রিটিশরা ক্ষমতায় আসার পর আস্তে আস্তে এই ক্রীতদাসরা কিছু স্বাধীনতা পাওয়া শুরু করেছে ধর্মীয় দিক থেকে, তারপর আস্তে আস্তে ক্রীতদাস প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেল। তখন এই বো-ক্যাপের ক্রীতদাসেরা একটি নতুন কমিউনিটি চালু করেছে যা এখন ‘’মালে কোয়ার্টার’’ নামে পরিচিত, আর এই বো-ক্যাপ মূলত মুসলিম কমিউনিটি, যাদের বহু বছর আগে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে ক্রীতদাস হিসাবে আনা হয়েছিল।পরে অনেক স্থানীয় লোকজনও মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছিল এবং তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বো-ক্যাপের লোকজন নিজেদের ‘’ক্যাপ মুসলিম’’ হিসাবে পরিচয় দেয়। এই বো-ক্যাপেই আছে সাউথ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ আওয়াল মসজিদ, আছে যে মসজিদে সাউথ আফ্রিকার মধ্যে সবার আগে জুম্মার নামাজ হয়েছিল সেই জামিয়া মসজিদ।









আগে সাউথ আফ্রিকার সব বাড়ি ছিল সাদা রঙের। যখন থেকে বো-ক্যাপের মুসলমানেরা নিজেদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছে তখন তারা ঈদ উপলক্ষে যার যার বাড়ি রঙিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং তারা ঠিক করেছিল যে একেকজনের বাড়ির রঙের সাথে যাতে অন্য কারো বাড়ির রঙ না মিলে সেভাবে রঙ করবে, সেই ঐতিহ্য আজও চালু আছে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে সেই শতশত বছর আগের বাড়িগুলিও আগের ডিজাইনেই আছে। এখন এখানে সব মুসলিমদের বসবাস, সব বাড়িতেই লোকজন আছে। পুরা এলাকায় মিউজিয়াম হিসাবে স্বীকৃত। পর্যটকেরা দেখার জন্য যেকোন বাড়িতেই ঢুকতে পারে।







মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০১

বিলুনী বলেছেন: ছবিগুলি সুন্দর । । ধন্যবাদ অনেক সময় নিয়ে কস্ট করে আমাদেরকে বিদেশের কিছু ছবি দেখানোর জন্য ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ছবি দেখে মন্তব্যের জন্য।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

সুমন কর বলেছেন: ইতিহাস, বর্ণনা আর ছবি মিলিয়ে দারুণ পোস্ট। +।
বো-ক্যাপ সম্পর্কে কিছু জানতে পারলাম।
শুভ সকাল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বো- ক্যাপের পেছনে আরো অনেক কাহিনী আছে, সব কিছু লিখতে গেলে বিশাল পোস্ট হয়ে যাবে তাই অল্প করে দিয়েছি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

অলিসাগর বলেছেন: লিখার হাত উন্নতির দিকে.....শুভ কামনা.....

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আরে এ আমি কাকে দেখছি? আমার রিয়েল লাইফের প্রতিবেশি আপনি আর আপনিই কিনা আমার ব্লগবাড়িতে আসতে এত দেরি করেছেন। যাক প্রথম আমার ব্লগ বাড়িতে আসছেন তাই স্বাগতম। আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ভ্রমন সাথে না জানা মুসলিমদের করুন ইতিহাস....

দারুন মুভি যেন চোখের সামনে খেলে গেল............

ধন্যবাদ শেয়ারে ভার্চুয়াল ভ্রমনসাথী করায় :)

++++++++++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ওখানে ডাচরা মুসলিমদের তাদের ধর্ম থেকে বিচ্যুত করতে সব ধরনের চেষ্টায় করেছিল। বো-ক্যাপের মুসলমানদের ধর্মের ইতিহাস অনেক করুণ ও রক্তাক্ত। সবকিছু এখানে লিখিনি। সময় করে এর উপর আরো একটা লেখা লিখতে চেষ্টা করবো।

অনেক ধন্যবাদ আমার ভার্চুয়াল ভ্রমণসাথী হওয়ার জন্য।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধু ছবিগুলো দেখলাম। দারুণ!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: শুধু ছবি দেখে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সময় পেলে ছবির পেছনের ঘটনা একটু জেনে নিবেন।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: খুবই সুন্দর, সুযোগ পেলে একবার যাবার ইচ্ছা আছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবেন। আমি এখন আমার পরিচিত কেউ দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে চাইলেই সবার আগে বলি ক্যাপটাউন যেতে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার!! দারুন বর্ণনা করেছেন!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এই বো-ক্যাপ এলাকার ইতিহাস অনেক করুণ ও রক্তাক্ত। সব লিখতে গেলে বিশাল পোস্ট লিখতে হবে, আমি ফাঁকিবাজি করে অল্প একটু লিখেছি।
এই এলাকার মুসলিম ইতিহাস নিয়ে সময় করে আরেকটা পোস্ট লেখার ইচ্ছা আছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছবিগুলো দেখলাম, অজানা ইতিহাসও জানলাম ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অজানা ইতিহাস জানার জন্য ও ছবি দেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

অদৃশ্য বলেছেন:



ছবি ও ঘটনা দুইটাই দারুন...

শুভকামনা...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে মন্তব্যের জন্য।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: খুব সুন্দর করে আর গুছিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ। আপনি কোথায় থাকেন জানতে পারি কি? সাউথ আফ্রিকা কেন গেলেন?

আমিতো আমার লাইফের বাজে সময় কাটিয়ে আসলাম সাউথ আফ্রিকায়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমরা ভ্রমণে গিয়েছিলাম সাউথ আফ্রিকা।বেশ কয়েকটা স্টেট ঘুরেছি, ভিসার মেয়াদ ছিল কিন্তু সময় ছিলনা তাই বেশিদিন থাকতে পারিনি। আমার বর বিভিন্ন দেশ ঘুরেছে, ইউরুপের কিছু দেশসহ। তার কাছে দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর জায়গা ক্যাপটাউন। আমরা ক্যাপটাউন দেশে মুগ্ধ। আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার এত বাজে অভিজ্ঞতার কারন হয়ত এলাকা। আপনি যে এলাকায় ছিলেন সে এলাকা হয়ত অপরাধপ্রবণ। আমরা জোহানেসবার্গ ও ছিলাম। কিছু এলাকা দেখে আমরা ভয়ে গাড়ি থেকেই নামিনি, অনেক বাংগালির বসবাস ওখানে, তারপরও আমরা অই এলাকায় থাকার বা গাড়ি থেকে নামার সাহস পায়নি, হয়ত অচেনা বলে, অথবা পত্রিকায় পড়ে। পরে আমরা ম্যান্ডেলা স্কয়ার চলে গেলাম, ওখানেই ছিলাম, জাস্ট হ্যাভেন মনে হলো এলাকাটা। ক্যাপটাউনের অনেক বাংগালির সাথে আলাপ করেছি, তারা সবাই খুবই ভালো আছে বললো।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

অশ্রুকারিগর বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা করেছেন। ইতিহাস জানলাম। সুন্দর শহরের আড়ালে এতো অত্যাচারিত স্মৃতি লুকিয়ে আছে কেইবা জানতো!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সাউথ আফ্রিকাতে যখন ডাচরা শাসন করতো তখন তারা চাইতো না মুসলিমরা ধর্মকর্ম পালন করুক। তাই তারা তাদের পায়ে শিকল দিয়ে বেধে ক্যাপটাউন নিয়ে আসতো,ক্যাপটাউন একটা দ্বিপ।
ওখানে মুসলমানদের রয়েছে এক রক্তাক্ত ইতিহাস, আমি অল্প একটু লিখেছি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ে মন্তব্যের জন্য।

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওখানে বাংগালী ছোট ব্যবসায়ীদের হত্যা করছে কারা?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ওখানে ২৫/৩০ বছর যাবত যেসব বাংগালি বসবাস করছে তারা বললো বেশির ভাগ খুন হয় বাংগালি দ্বারা বাংগালি। নারীঘটিত আর ব্যবসার ভাগভাটোয়ারা নিয়েই হয় বেশি খুন।অনেক সময় নিজেই হত্যা করে আবার ভাড়াটিয়া খুনি দিয়েও এসব করায়।

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রঙিন শহর সত্যিই রঙিন। এত উজ্জ্বল কটকটে রঙের বাড়ি ঘর অন্য কোথাও দেখা যায় না।

চমৎকার বর্ণনার সাথে আনকমন ছবিগুলোর জন্য ধন্যবাদ বোন ফেরদৌসা।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাড়ি রংগিন, কিন্তু এই রঙ এর পেছনের ইতিহাস রক্তাক্ত।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হেনা ভাই মন্তব্যের জন্য।

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার!! সব বাড়ি মিউজিয়াম আবার প্রত্যেকে থাকছেও!!

ভাল পোস্ট!! (+)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বো- ক্যাপ হচ্ছে সবচেয়ে পুরানো আবাসিক এলাকা। ডাচরা এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলমানদের দাস হিসাবে এখানে এনে রাখতো, তারা যাতে ধর্ম পালন করতে না পারে তার সব রকম ব্যবস্থা নিত, কেউ ধর্ম পালন করলে তাকে কঠিন শাস্তি দিত।তারপর যখন এসব একসময় শেষ হয়ে গেল সেই ইতিহাসের আলোকেই এই বো-ক্যাপ এলাকাকে সিটি কর্পোরেশন থেকে মিউজিয়াম হিসাবে ঘোষনা দিয়েছে। তার মধ্যে একটা বাড়িতে কেউ থাকেনা, ওটা পুরাই মিউজিয়াম, সেই আগের আমলের বহুকিছু সংরক্ষন করা আছে, বো- ক্যাপ এলাকা কিভাবে হয়েছে, এর ইতিহাস সব এই বাড়িতে জানা যায়। আর রংগিন যে কয়টা স্ট্রিট আছে সবগুলিতেই তখম থেকে যারা ছিল তাদের উত্তরাধিকার যারা ছিল তারাই আছে। ট্যুরিষ্টরা এখানে ফ্রি ভাবে ঘুরতে পারে, ছবি তুলতে পারে। বাড়িগুলি সেই আমলের আদতেই রয়ে গেছে, হয়ত থাকার জন্য ভেতরে কিছু কাজ করা হয়েছে।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১১

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ রঙিন। এরকম রঙের বাড়ি খুব একটা দেখা যায় না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: রঙয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক করুণ ইতিহাস।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪১

নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ লাগলো ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।

অনেক ধন্যবাদ

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ইতিহাস বর্ননা এবং ছবি, দুইটাই অনন্য! তবে খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে এমন সুন্দরের পিছনেও কত করুণ একটা ইতিহাস লুকায়িত! :(

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা রইলো!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বুঝেন অবস্থা, ডাচদের শাসনামলে মুসলমানেরা ধর্ম পালন করতে পারতো না, কলেমা পড়া, নামাজ পড়ার অধিকার ছিলনা। ৮০ বছর পর যখন ব্রিটিশরা আসছে তখন একটু সবাধীনতা পেয়েছে।আর আজ সেই সাইথ আফ্রিকা কোথায় চলে এসেছে। ক্যাপটাউন ইউরুপ আমেরিকার যেকোন শহরের সাথে টেক্কা দিতে পারবে।

অনেক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্যের জন্য।

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

পুলহ বলেছেন: এভাবেই সব অসুন্দর, রঙিন উদযাপনে পালটে যাক...
ভালো লাগলো রুহী আপু

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম ঠিক বলেছে। এখন ১০০ পরিবার থাকে এই বো-ক্যাপে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

বৃতি বলেছেন: বর্ণনা আর ছবি চমৎকার লাগলো। পর্যটকেরা দেখার জন্য যেকোন বাড়িতে ঢুকতে পারে জেনে অবাক হলাম।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাড়ি গুলির মধ্যে একটি পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত। আর অন্য বাড়িতেও যাওয়া যায় ছবি তুলতে, দেখতে। পুরা এলাকাকে যেহেতু মিউজিয়াম ঘোষনা দিয়েছে তাই এই ব্যবস্থা।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ খুবই সুন্দর সব ছবি এবং দারুন লেখা :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ আপা পোস্টে মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বাড়ি গুলান দারুণ। অবিশ্বাস রকম সুন্দর।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আসলেই, যখন নেটে এর তথ্য জেনেছিলাম মনে মনে ভেবেছিলাম এই এলাকাতো আমাকে দেখেই যেতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী,



নতুন একটি জায়গার কথা জানালেন যা জানা ছিলোনা আগে । বর্ণিল এক শহর যার ইতিহাস আবার কালো তেমন একটি শহরে ঘুরিয়েও আনলেন । এমন বর্ণাঢ্য ছবি আর লেখায় রঙিন এই পোস্টটির প্রশংসা করতেই হয় ।
বলেছেন, সময় পেলে এই রঙিন শহরের ইতিকথা লিখবেন । সে সময় যেন আপনার অনায়াস হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।


২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আসলেই এই রংগিন শহর দেখে কারোরই উপায় নেই এর আড়ালের রক্তাক্ত ইতিহাস। নেটে এক রংগিন এলাকা দেখে আমিও ভেবেছিলাম এটা হয়ত ট্যুরিষ্ট আকর্ষণের জন্য করা। ওখানে যেয়েই জানলাম এর সামান্য কিছু কথা। সময় পেলে হয়ত পুরাটা মানে যতটুকু জেনেছি পরবর্তীতে তা লেখার চেষ্টা করবো।

২৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

আপনার চমৎকার বর্ণনা আর রঙিন ছবিগুলো দেখে চোখ দু'টো হাসছিল।
কিন্তু হঠাতই চোখ দু'টো বাষ্পে ভরে গেল নীচের লাইন গুলো পড়েঃ

// ক্রীতদাসদের বেশিরভাগই ছিল মুসলমান কিন্তু ডাচরা তাদের কোন রকম ধর্মকর্ম পালন করতে দিতনা।কেউ নামাজ পড়তে পারতোনা, নামাজ পড়লে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হত। এই দাসদের দিয়ে সারাদিন কঠিন কাজ করাতো। কিন্তু তাদের ঈমাদের জোর ছিল খুবই মজবুত। তারা সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে, গভীর রাতে দূরের সিগনাল পাহাড়ের উপর গিয়ে সারাদিনের নামাজ পড়ে নিত। //

আবার চোখ দু'টো হেসে ওঠেছেঃ

//বর্তমানে বো-ক্যাপের লোকজন নিজেদের ‘’ক্যাপ মুসলিম’’ হিসাবে পরিচয় দেয়। এই বো-ক্যাপেই আছে সাউথ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ আওয়াল মসজিদ, আছে যে মসজিদে সাউথ আফ্রিকার মধ্যে সবার আগে জুম্মার নামাজ হয়েছিল সেই জামিয়া মসজিদ। // - তাদের সুদিনের কথা পড়ে।

ভাবতে কি যে ভাললাগছে, সবাই যার যার বাড়ি নিজের মনের রঙে রাঙিয়েছেঃ

//আগে সাউথ আফ্রিকার সব বাড়ি ছিল সাদা রঙের। যখন থেকে বো-ক্যাপের মুসলমানেরা নিজেদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছে তখন তারা ঈদ উপলক্ষে যার যার বাড়ি রঙিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং তারা ঠিক করেছিল যে একেকজনের বাড়ির রঙের সাথে যাতে অন্য কারো বাড়ির রঙ না মিলে সেভাবে রঙ করবে, সেই ঐতিহ্য আজও চালু আছে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে সেই শতশত বছর আগের বাড়িগুলিও আগের ডিজাইনেই আছে। এখন এখানে সব মুসলিমদের বসবাস, সব বাড়িতেই লোকজন আছে। পুরা এলাকায় মিউজিয়াম হিসাবে স্বীকৃত। পর্যটকেরা দেখার জন্য যেকোন বাড়িতেই ঢুকতে পারে। //

ভাল থাকুন। সবসময়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য আমার পোস্টের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
কৃতদাসদের রক্তের বিনিময়ে সাউথ আফ্রিকার ক্যাপটাউনে যে আওয়াল মসজিদ, সেই মসজিদে আমার বর আর ছেলে এবারের রোজার ঈদের নামাজ পড়েছে, বেড়াতে গিয়ে এটা আমাদের অনেক বড় পাওনা।

অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে এই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

২৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: সুন্দর ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

জুন বলেছেন: ছবি আর ইতিহাসে পরিপুর্ন রঙিন বাড়িগুলোর মতই একটি রঙিন পোষ্ট ফেরদৌসা রুহি।
ভালোলাগা রইলো।
+

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমরা যে হোটেলে ছিলাম আমাদের রুমে বো- ক্যাপের এই রংগিন বাড়ির ছবি বড় করে টানানো ছিল। তখন এটাকে শুধুই ছবি ভেবেছিলাম। পরে যখন দেখতে গেলাম দেখি যে এই সেই ছবির এলাকা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুরা এলাকায় মিউজিয়াম হিসাবে স্বীকৃত। সুন্দর বলেছেন ।
অবাক হয়ে ছবিগুলি দেখলাম ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার আনাড়ি হাতের তোলা ছবি দেখে আপনি অবাক হয়েছেন জেনে সত্যিই আনন্দিত।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু ।
দারুন লেখা ছিল।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্ট দেখে মন্তব্য করার জন্য।

২৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ক্যাপ মালেদের ইতিহাসটা যদিও করুন কিন্তু শহরটা বাস্তবিক রঙ্গিন। শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আগে সাউথ আফ্রিকার বাড়ির রঙ ছিল সাদা। যখন থেকে ক্রিতদাসেরা ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছে তখন তারা সবার বাড়ি রংগিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সিস্টেম এখনো আছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

সামিয়া বলেছেন: আপনার ঘোরাঘুরি দেখে হিংসা হচ্ছে। :P :D হাহা বেশ ভালো লাগলো।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ঘুরতে আমার ভালো লাগে কিন্তু সময় হয়ে উঠেনা এখন। আমি তো সব সময় ফ্রি কিন্তু বরের অফিস আর ছেলের স্কুলের বন্ধ একসাথে মিলেনা, তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেক জায়গায় যেতে পারিনা।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে সাউথ আফ্রিকায় কেউ বলতে পারবেনা যে আমরা ভাল আছি শান্তিতে আছি। জায়গাভেদে পার্থক্য তো আছেই তারপরেও। সাউথ আফ্রিকায় স্থানীয়দের উপর হামলা চলে আর সেই তুলনায় আমরা তো কিছুই না। ভাল আছি সেটা শুধু মনের শান্তনা। শুরুতেই তো বললাম দেশ হিসেবে সাউথ আফ্রিকা অনেক সুন্দর কিন্তু বসবাসের উপযোগী না। জোহনেসবার্গেও দেখার মত অনেক কিছু আছে।

আমার মতে সাউথ আফ্রিকা একমাত্র দেশ যেখানে হাইওয়েতে দাড়ালে আপনি সূর্যউদয়/সূর্যাস্ত স্পষ্ট দেখতে পারবেন। অনুভূতিটা এমন আকাশটা যেন আমার খুব কাছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: শহরের বাইরে অনেক ক্রাইম হয় শুনেছি। আমাদের জন্য একজন শহর থেকে ৩০ মিনিটের ড্রাইভে হোটেল ঠিক করেছিল কিন্তু আমরা ভয়ে উঠিনি। আমি গিয়েছিলাম ভ্রমণে, এক বস্তা সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এসেছি। আপনি যেহেতু ছিলেন তাই আমার চেয়ে ভালো জানবেন।
সবকিছু বাদ দিয়ে অসম্ভব সুন্দর এক দেশ সাউথ আফ্রিকা।

৩১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪

এম এ কাশেম বলেছেন: ভাল লিখেছেন, সহজ বর্ণনা, রঙ্গিন ছবি - মনের মত।
শুভ কামনা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:০৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মন্তব্য ও পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইতিসাহের সাথে চমৎকার একটা শহরও দেখা হলো, অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন আপু

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রংগিন শহরের আড়ালের করুণ ইতিহাস পড়ার জন্য।

৩৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এমন একটা জুস দরকার ছিল। ধন্যবাদ জুসের জন্য।

৩৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বো-ক্যাপবাসীদের বিষয়টি একই সাথে বেদনার এবং মজার। তাদের ইতিহাসের সাথে আফ্রিকানদের ক্রীতদাস জীবনের ইতিহাস মিলে গেলো। সৌভাগ্য যে সেই দিনগুলোতে আমাদের জন্ম হয় নি। তাই দৈনন্দিন সংবাদে আর দেখতে হলো না, ইউরোপিয়ানদের নিষ্ঠুরতার কাহিনি।

বো-ক্যাপে প্রাচীন আমলের বাড়িগুলোর ভেতর কেমন, দেখতে ইচ্ছে হয়।

এপর্বটি পূর্বেরগুলোর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে।

শুভেচ্ছা :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আসলেই এই ডাচরা যে এত্ত খারাপ ওখানে দেখে বুঝলাম। ইউরুপিয়ানদের বলা হয় সভ্য জাতি। এসব ইতিহাসের কিছু জানলে এগুলিকে আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে নিষ্ঠুর জাতি। ক্যাপটাউনে আছে ফ্রান্স বাসিদের আলাদা একটা এলাকা, ওটাকে বলে সাইমন টাউন। সব ফ্রেঞ্চরা এই সাইমন টাউনে থাকে। কি যে সুন্দর ওই এলাকাটা।সেই অতীত থেকে ডাচ, ব্রিটিশ, ফ্রান্সের লোকজনের শাসন ও অনেকেই ওখানে থেকে যাওয়ার কারনে, ক্রিতদাস হিসাবে বিভিন্ন দেশ থেকে সাদা চামড়ার ক্রিতদাস আনার কারনে ক্যাপটাউনের সব সাদা চামড়া। কালো আছে তবে খুবই কম।
সেদিন বৃষ্টি ছিল হাল্কা, আবার প্রচন্ড ঠান্ডা, তাই বো ক্যাপের অলিতে গলিতে ঘুরলেও টিকেট কাটার জন্য যে বাড়িতে গিয়েছিলাম সেটা পুরাটা ঘুরে দেখেছি, আর কিছু কিছু বাড়ির সিড়িতে বসেছি, বারান্দায় উঠেছি কিন্তু ঘরের ভেতর যায়নি। এখন মনে হচ্ছে অন্তত কিছু ঘরে যাওয়া দরকার ছিল।
বাইরে সেই আগের ডিজাইন থাকলেও ভেতরে হয়ত থাকার জন্য পরে আরো কাজ করা হয়েছে।

৩৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

কালীদাস বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা থাকল, সময় বের করতে পারলে অবশ্যই যাব :)

বাইদ্যাওয়ে, অনেক ঠান্ডার কথা বলছেন (জোহানেসবার্গেও), আপনারা কোন সময়ে গিয়েছিলেন আসলে? হিসাবে এখন স্প্রিং চলার কথা, আমারও কি ভারি বস্তা নিতে হবে? নাকি হালকা কিছুই যথেষ্ট? আমি ইউরোপে থাকি, আল্পসের গোড়ায় ;) গুগলে তো দেখছি আমার শহর কেপটাউনের চেয়ে বেশি ঠান্ডা :|

৩৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর রং বেরং এর বাড়ী দেখে মুগ্ধ। হুম! বাড়ীতে রংধনুর সাতটি রং এর ব্যবহার পিছনের করুন ইতিহাসকে ভুলিয়ে মনকে হাসি,খুশী আর আনন্দে ভরিয়ে তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। :D
সুন্দর বর্ননা, সুন্দর ছবি দেখে ঘুরে আসার স্বাদ পেলাম।
শুভকামনা।

৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চোরাবালি- বলেছেন: ভালো লগলো, ইতিহাস পড়ে, তারা কৃতদাস থেকেও নামাজী। আমরা স্বাধীন থেকে নামাজে অমনোযোগী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.