নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেরদৌসা রুহী

আমার সম্পর্কে আসলে বলার কিছুই নেই। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ

ফেরদৌসা রুহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেদারল্যান্ড ভ্রমণ। উইন্ডমিল, চিজ ফ্যাক্টরি, কাঠের জুতার ফ্যাক্টরিতে ঘুরাঘুরি

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২



আমাস্টারডামে একটা সিটি বাস ট্যুর আরেকটা ক্যানেল বোট ট্যুর শেষ করে পরের দিনের জন্য উইন্ড মিল, চিজ ফ্যাক্টরি আর হলান্ডের বিখ্যাত কাঠের জুতার ফ্যাক্টরি দেখার জন্য টিকেট কেটে নিয়ে আসলাম। ট্যুরিষ্ট বাস ছাড়ার আধা ঘন্টা আগেই ট্যুরিষ্ট অফিসের সামনে মিটিং পয়েন্টে আমাদের চেক ইন দিতে বলে দিয়েছিল।



নিদির্ষ্ট সময়ে সব কিছু শেষ করে ট্যুরিষ্ট বাসে বসার পর সবার হাতে একটা করে হেড ফোন দিয়ে দিল গাইড। গাইড প্রথমেই তার নাম পরিচয় দিয়ে আমরা আজকে কোন কোন জায়গায় যাবো তার কথা বলে আবার কয়টায় আমাস্টারডাম ব্যাক করবো তা বললো। বাস চলছে আর গাইড সব কিছুর বর্ণনা দিচ্ছে। আমাদের প্রথম গন্তব্য উইন্ডমিল। আগে যখন নেদারল্যান্ড পানিতে ডুবে থাকতো তখন এই উইন্ডমিল দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হতো, মশলা , আটা এসব ভাংগার কাজ করা হতো উইন্ডমিল দিয়ে। উইন্ডমিল বাতাসের মাধ্যমে চলে। পানির নিচে ডুবে থাকতো বলে সেই শতশত বছর আগে নৌকায় ছিল তাদের একমাত্র বাহন। এই উইন্ডমিলে কাঠ কাটার কাজ হত, সেই কাঠ দিয়ে নৌকা, জাহাজ বানানো হত।






এই কাঠ উইন্ডমিলে কাটা হয়



আমরা উইন্ড মিল এলাকাতে যখন গেলাম নামার আগে গাইড বলে দিল যে আবার কয়টায় আমাদের বাস ছাড়বে, বললো এক মিনিট দেরি করে কেউ আসলেও কারো জন্য বাস অপেক্ষা করবেনা। আমরা সবাই উইন্ডমিল এলাকাতে যে যার মত ঘুরে দেখছিলাম, ছবি তুলছিলাম। আমি ভাবলাম দুই চার মিনিট দেরি করলে আর এমন কি সমস্যা।






দূরে তাকিয়ে দেখি জাহাজ ব্রিজের নিচ দিয়ে আসার সময়, পুরা ব্রিজ উপরে দাঁড়িয়ে গেছে।



ঘুরেফিরে আমি আর আমার ছেলে কয়েক মিনিট পর এসে দেখি বাস আমাদের ছেড়ে চলে গেছে পরের গন্তব্যে। তারা যে সময়ের এমন যথাযথ ব্যবহার করে নিজে ভুক্তভুগি নাহলে বুঝতাম না। তারপর বাস না পেয়েতো আমার অবস্থা খারাপ, একদিকে এতগুলি টাকা দিয়ে আজকের জন্য টিকেট কাটলাম আবার অচেনা দেশে আমাষ্টারডামই কি করে ফিরবো সেই চিন্তায় অস্থির। আমি যে ট্যুর অফিসের থেকে টিকেট কাটলাম সেই অফিসের আরেকটা বাস দেখে সেই বাসের গাইডের কাছে সাহায্য চাইলাম, সে বলে তাদের বাসে কোন সিট নেই, পরের বাসের জন্য যেন অপেক্ষা করতে, পরের বাস আসার পর গাইড নিজেই আমাকে খুঁজে বের করে বলে তুমি বাস মিস করেছো, সমস্যা নাই আমাদের বাসে সিট খালি আছে দুইটা, তুমি আমাদের সাথে জয়েন করো।


উইন্ডমিল এলাকার আশেপাশে মাঠ ভর্তি ভেড়া






আমাদের দেখাচ্ছিল কিভাবে চিজ তৈরি করা হয়

তারপর উইন্ডমিল এলাকাতে তাদের সাথে আরো একবার ঘুরে আমরা গেলাম চিজ ফ্যাক্টরি। হলান্ডের চিজ বিশ্ব বিখ্যাত। চিজ ফ্যাক্টরিতে আমাদের প্রথমে দেখালো কিভাবে দুধ থেকে চিজ তৈরী করা হয়। তারপর বিভিন্ন রকম চিজ সবাইকে দিল টেষ্ট করার জন্য। এরপর আমাদের নিয়ে গেল চিজের শোরুমে। ওখানে নানা রকম চিজ সাজানো আছে। আছে চিজ কাটার নানা যন্ত্র। সবাই ব্যাগ ভর্তি করে চিজ কিনেছে, কেউ কেউ বিভিন্ন স্টাইলে চিজ কাটার যন্ত্রও কিনেছে।


নানা ডিজাইনের চিজ



চিজ ফ্যাক্টরি দেখার পর গাইড আমাদের নিয়ে গেল সাগর পাড়ে। ওখানে সি ফুড, ওয়েফার, ওয়াইন সহ নানা খাবার। সবাইকে বিভিন্ন খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গাইড একটা জাহাজ দেখিয়ে বললো আমরা যেন ঠিক সাড়ে চারটায় জাহাজে থাকি, জাহাজ আমাদের নিয়ে যাবে কাঠের জুতার ফ্যাক্টরিতে, গাইড বললো সেও অই জাহাজেই থাকবে। সিফুড অর্ডার করলাম, সিফুডের সাথে এক গ্লাস ওয়াইন ফ্রি। আমি যেহেতু ওয়াইন খাইনা তাই শুধু সিফুড আর কফি খেয়েছি। আগের বার সময়ের মূল্য না দেওয়াতে শিক্ষা হয়েছে, এবার তাই আরো ১০ মিনিট আগেই জাহাজে উঠে বসলাম।










আমাদের জন্য এই জাহাজ ঠিক করা ছিল, সাগর পাড়ি দিয়ে কাঠের জুতার ফ্যাক্টরি দেখার জন্য

জাহাজের দোতলায় খোলা ছাদের নিচে বসে সাগরের ঢেউ দেখতে দেখতে পৌছে গেলাম হলান্ডের বিখ্যাত কাঠের জুতার ফ্যাক্টরিতে। জাহাজ থেকে নামার পর গাইড আমাদের বলছিল এই এলাকার লোকজন কত কষ্ট করেছে যখন পানিতে তাদের ডুবে থাকতে হতো, আর তখনি এই কাঠের জুতা তারা তৈরি করেছিল । জুতার ফ্যাক্টরিতে আমাদের দেখানো হল এক টুকরা কাঠকে কিভাবে মেশিনে জুতার আকৃতি দেওয়া হয়, তারপর মেশিনের আর কাজ নাই, সব কিছু করতে হয় হাতে। ওখানেও আছে কাঠের জুতার বিশাল শোরুম। আমাদের ঘন্টা খানেক ফ্রি টাইম দেওয়া হলো যাতে সবাই ঘুরেফিরে দেখতে পারে, জুতা কিনতে পারে। অনেকেই জুতা কিনেছে, এই জুতা পড়ার চেয়ে ডেকোরেশনেই বেশি ব্যবহার করা হয়। ওখানে বেশ কিছুক্ষন থেকে আমরা কিছুদূর হেটে এসে আবার ট্যুরিষ্ট বাসে ফিরে আসলাম আমাস্টারডাম। ট্যুরিষ্টদের জন্য ট্যুর অফিস থেকে সব কিছু এত সুন্দরভাবে অর্গানাইজ করা যে দেখে মুগ্ধ হতে হয়।


এখানে এসে আমাদের জাহাজ থেমেছে


এই গ্রামেই আমাদের নিয়ে আসা হয়,জুতার ফ্যাক্টরি দেখতে, গ্রাম যে এত সুন্দর হয় তা দেখেই মুগ্ধ






জুতা তৈরির প্রথম ধাপ














কাঠের তৈরি টিউলিপ






জুতার ভেতর ফুলের চাষ





মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০০

জুন বলেছেন: খুব ভালোলাগলো আপনার নেদারল্যান্ডের ছবি সাথে বর্ননা ফেরদৌসা রুহি । আমিও ঘুরে আসলাম আপনার সাথে । নেদারল্যান্ড অর্থইতো নিম্নভুমি । পুরো দেশটিকেই সমুদ্রের তল থেকে উঠিয়ে এনেছে তারা । কাঠের জুতোগুলো অসাধারন

+

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হুম পুরা নেদারল্যান্ডই ডাচরা পানির ভেতর থেকে জাগিয়ে তুলেছে।
সবকিছুই তাদের এত গুছানো আর ট্যুরিষ্টদের জন্য এত সুন্দর করে অর্গানাইজ করা যে বার বার যেতে ইচ্ছে হয়।যদিও তা সম্ভবনা।
কাঠের জুতা আর কাঠের টিউলিপ দুইটাই অনেক বেশি সুন্দর। কিন্তু আফসোস আমি একটাও কিনতে পারিনি। ওখান থেকে আরো অনেক দেশে গিয়েছিলাম তাই কিনে বোঝা বাড়াতে চাইনি।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের এখানকার হল্যান্ডে গিয়েছিলাম | আপনার ফটোর প্রায় সব কিছুই সেখানে আছে | কিন্তু আপনারটা রিয়াল |তাই আপনার ফটোগুলো অনেক সুন্দর লাগছে | ভালো লাগলো আপনার লেখাও | খুবই সুন্দর ফটো আর লেখা | অনেক শুভেচ্ছা সুন্দর লেখার জন্য |

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনাদের ওখানকার হল্যান্ড মানে কোন জায়গা বুঝিনি।

আমার ব্লগে স্বাগতম।

অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো বর্ণনা এতোই সুন্দর মনে হচ্ছে আমি নিজেই ঘুরে বেড়াচ্ছি। ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার ব্লগে বাড়িতে স্বাগতম।
একা একা ভ্রমণে আসলে মজা নাই।
আপনাকে ঘুরিয়ে আনতে পেরেছি পোস্টের সাথে এটা বিরাট ব্যাপার।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ লেখা সেই সংগে বর্ননা ভালো লেগেছে।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাংগালি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমিও আমার দেশকে ভালোবাসি।
ভালো থাকুন আপনিও।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

আটলান্টিক বলেছেন: এটাই আমার পড়া আপনার প্রথম ব্লগ।অসাধারণ লেগেছে।আরো পড়বো।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আরে আটলান্টিক তো আমার বাসার কাছে, আমার বাসা থেকে কয়েক মিনিট দূরেই আটলান্টিক।

সেই আটলান্টিক ব্লগে দেখে ভালো লাগছে। আশা করি অন্যান্য পোস্টে আমাদের আবার দেখা হবে।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: লেখা ও ছবিতে অসাধারন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিটি জায়গা।


মুগ্ধতা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে আমিও আনন্দিত।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: নেদারল্যান্ড মানে হল্যান্ড - আমস্টারডাম, এই দেশ ভ্রমনে আমি অবশ্যই যাব।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ওখানে একটা টিউলিপ গার্ডেন আছে, বছরে মাত্র ৮ সপ্তাহ ওটা খোলা থাকে, যখনই যাবেন সেই সময়টা জেনে যাবেন।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

উচ্ছল বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা। বাঙ্গালী হিসেবে সময়জ্ঞানের শিক্ষাটা আবার পেলাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি যে শিক্ষা পেয়েছি পেয়েছি তা বাকি জীবন মনে থাকবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ ভ্রমণ কাহিনী। ছবিগুলোও দারুন। জুতার ভেতর ফুলের চাষ! ফ্যান্টাসটিক!


ধন্যবাদ বোন ফেরদৌসা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: জুতার ভেতর ফুলের চাষ দেখে আমিও অবাক হয়েছি।

পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।

অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

কালীদাস বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা অনেকদিনের, সময় করে উঠতে পারিনি প্লাস কোন ইভেন্টও ছিল না। আপনার পোস্ট দেখে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছাটা জেগে উঠল :)

উইন্ডমিলটা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। জার্মানরা গত বছর কিছুক্ষণের জন্য সারা দেশের প্রায় সম্পূর্ণ এনার্জি সাপ্লাই প্রোভাইড করেছিল রিনিউয়েবল সোর্স থেকে, যার বেশিরভাগটাই আসে উইন্ডমিলগুলো থেকে। ডাচরাও এইদিকে মুটামুটি ভালই করেছে। আমাদের দেশে সারাবছর ঠা ঠা রোড, উপকূলে প্রায় সারাক্ষণই থাকা বাতাসের তোড়; অথচ আমরা ঐদিকগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের দেশের উন্নতির চিন্তা করার, জনগনের জন্য চিন্তা করার কেউ নাই। সবাই শুধু নিজের চিন্তা করে।

ঘুরে আসুন একবার। নেদারল্যান্ড একটা টিউলিপ গার্ডেন আছে যা বছরে মাত্র ৮ সপ্তাহের জন্য খোলা থাকে, যদি কখনো যান তাহলে সেই সময়টা বেছে নিতে চেষ্টা করবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

ঘাসফুল বলেছেন: একবার এক দোকানী আমাকে বড় একটা চীজ থেকে একটা চাংক দিয়েছিলো- বিশাল সাইজের, শুধু মাত্র টেষ্টের জন্য- ফ্রী!!!। খুব অবাক হয়েছিলাম আমি!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যাতে আমরা অভ্যস্থ না তা দেখে আসলেই অবাক হই।

আর চিজ ফ্যাক্টরিতে আমাদের সব রকম চিজই দিয়েছিল টেষ্ট করতে।

অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য আর পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

এম আসিফ হাসান বলেছেন: অনেক সুন্দর ...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে দেখে আমি আনন্দিত।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নেদারল্যান্ডের মানুষের প্রতি আগে একটা ভালো ধারণা ছিলো।
কিন্তু ইদানিং তারাও নাইজেরিয়ার মানুষের মতো চিটিংবাজি শুরু করছে।
World Business List – this scam just won’t die.

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কোথায় তারা আর কোথায় আমরা।

আমাদের দেশের চেয়ে চিটিংবাজি কি বিশ্বের আর কোথাও হয় নুরু ভাই?

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার সাথে ঘুরে দেখেনিলাম !!!!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ঘুরার সংগি হিসাবে আপনাকে পেয়ে আমিও খুশি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ছবি আর লেখা রুহীআপু
অনেক দিন পর ফিরলেন ,আশা করছি আগের মতই পাব।

শুভ কামনা !

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আলসেমি করে আসা হয়না। আর কিছু না লিখতে লিখতে আংগুলে জং ধরে যায় আপু।

তবে এখন থেকে চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:


ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা!! :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী ,





অনবদ্য , চোখকাড়া সব ছবি ।
তবে বাস ছেড়ে গেলেও আপনাদের বাসটিকিট যে আপনাদের ছেড়ে যায়নি ( অর্থাৎ ঐ টিকিট বাতিল ) তেমন ঘটনা জেনে দীর্ঘশ্বাস বেরুলো আমাদের দেশের কথা ভেবে ।

বিনা খরচে বাতাস থেকে শক্তি উৎপন্ন করে বিশাল কর্মযজ্ঞের সব ছবিগুলোই ভালো লাগলো । কাঠের জুতোগুলো প্রজাপতির মতো মনে হলো । এক সময় আমাদের দেশেও কাঠের জুতো নয় " খড়ম" নামের জিনিষ ছিলো ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাস যখন আমাদের ফেলেই চলে গেল তখন আমিও ভয় পেয়েছিলাম।

অচেনা দেশ, কিছুই চিনিনা কিভাবে শহরে ফিরে আসবো সেটাই ছিল চিন্তা। কিন্তু যখন একই ট্যুর কোম্পানির বাস দেখলাম তখন মনে সাহস হলো।
তারা তো হেল্পফুল, আমাদের দেশের মত চিটার আর মানুষ ঠকানো এদের উদ্দেশ্য না।
জুতা অনেকেই কিনেছে সাথে নেওয়ার জন্য।
হুম আমাদের দেশের খরম দেখেছি আমিও।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

সুমন কর বলেছেন: দেখলেন তো, সময় না মানলে কি হয় !!!!!! ওটা বাংলাদেশ নয়।

ছবি আর লেখা মিলিয়ে পোস্ট ভালো লাগল। কাঠের জুতোগুলো দেখতে দারুণ। পায়ে পড়ে দেখেছেন ? কেমন লাগে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এক মিনিট তাদের এদিক সেদিক হয়না। ট্যুরে যাওয়ার সময় তারা যে সময়ে শহরে ফিরে আসবে বল তার আরো ১০ মিনিট আগে চলে আসে।
এর থেকে আমার শিক্ষা হয়েছে। ইউরুপের দেশে অন্তত সময় নিয়ে কোন হেলাফেলা চলবেনা।
কাঠের জুতা অনেক ট্যুরিষ্ট কিনেছে, আমিও পায়ে দিয়েছি, ভালোই লাগে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার শহরের উত্তর পশ্চিমে পঞ্চাশ মাইল দূরে বিরাট লেকের পারে ডাচরা দেড়শো/দুশো বছর আগে এসে যে শহরটা গড়েছিল সেটার নাম হল্যান্ড -বেশ বড় একটা শহর | ডাচ ভিলেজ, ডাচ কালচারের সব কিছুই আছে এখানে | ডাচ ফেস্টিভ্যাল হয় এপ্রিলে (আপনি যে ফটোগুলো দিয়েছেন সেগুলোর বেশির ভাগই আমার এখানে দেখ্যা, এমনকি লেকের উপর একটা উইন্ড মিল আছে -লেক বড় থেকে অল্প দূরেই ডাচ আইল্যান্ডে),কয়েকশো একরের উপর এখানে আছে টিউলিপের বাগান | এপ্রিল মাসের শেষদিকটায় এই বাগান বেহেশত নামিয়ে আনে লেকের পারে এই শহরে, এই টিউলিপ ফেস্টিভ্যালে | আটলান্টিকের এপাড়ে প্রায় একটা ছোট নেদারল্যান্ড আমরা দেখি এখানে | এটার কথাই বলেছিলাম আমাদের এখানকার হল্যান্ড !!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আচ্ছা এখন বুঝলাম।

আমরাও এপ্রিলেই এসেছিলাম। তখন ডাচ ফেস্টিভেল শেষ হয়ে গেছে কিন্তু তখন কাওকেনহফ টিউলিপ গার্ডেন খোলা ছিল, তাই টিউলিপ গার্ডেন দেখেছি, ফিল্ড দেখেছি।
আবারো মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

কালীদাস বলেছেন: অফটপিক: আপনার কেপটাউন রিলেটেড পোস্টগুলোতে কমেন্ট করেছিলাম। নোটিফিকেশন পান কিনা, সেজন্য এখানেও নক করে গেলাম। গুডনাইট :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: নোটিফিকেশন আসেনা অনেক সময়। এখানে জানিয়ে ভালো করেছেন।
ক্যাপটাইন নিরাপদ। পুরাটাই ট্যুরিষ্ট এরিয়া। আমরা গিয়েছিলাম জুলাইয়ে, তখন নাকি বেশি শীত। ডিসেম্বর সবচেয়ে ভালো অনেকেই বলে।
ওখানে সব হোটেলে সেল্ফ ড্রাইভ কার আছে, আবার ভাড়া নিতে পারবেন, সিটি ট্যুর বাস আছে। ট্যুরিষ্টদের জন্য সব রকম সুবিধা করা আছে। আরো কিছু জানতে হলে জানাবেন।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি ও বিবরণ পাঠে ও দেখে ভাল লাগল ।
এদের পনীরের আকৃতি দেখে অামাদের দেশের ঐতিহ্যময় কিশোরগঞ্জের অস্টগ্রামের পনীরের কথা মনে পরে গেল ।
কিশুরগঞ্জের অস্টগ্রামের পনীর দেশর সেরা পনীর ছিল । এগুলি কিশুরগঞ্জ ও ঢাকার বাইতুল মোকারম ও নিউমার্কেটের বারানদায় হকারেরা বসে বিত্রি করত । দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন খাটি পণীর তৈরী হয়না বললেই চলে । তবে নেদারল্যান্ডের উন্নত প্রযুক্তিটি অস্টগ্রামের গোয়াল গোয়ালিনীদেরে শিখাতে পারলে খুব ভাল হত ।

কাঠের জুতার ছবি দেখেও ভাল লাগল । শুনেছি নেদারল্যান্ড তাদের দেশের জংলী Yellow lady slippers orchid

ফুল হতে কাঠের জুতার ডিজাইন পেয়েছিল । জানিনা কতটা এর সত্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কিশোরগঞ্জের পনীরের কথা অনেক শুনেছি আমার নানুর কাছে।

নানুও বলে এত মজার পনীর আর কোথাও নাই।

আর জুতার ডিজাইনটা তো এই ফুলের সাথে অনেক মিল, তাই এটাই হয়ত সত্যি হতে পারে।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি ও বর্ননা অনেক ভাল লেগেছে।আপনার সাথে আমরাও যেন ঘুরে এলাম।
ভাল থাকুন।++

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার সাথে আপনাদেরও ঘুরিয়ে আনতে পেরেছি জেনে আনন্দিত।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

রাতু০১ বলেছেন: অসাধারণ ভ্রমণ কাহিনী।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমতকার পোস্ট। আগেই আপনার নেদারল্যান্ড ভ্রমনের ছবি দেখেছিলাম। ছবিগুলো দারুন।

ব্লগে পূনরায় সক্রিয় দেখে আপনাকে ভাল লাগল।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আগে ফেইসবুকে অল্প কিছু দিয়েছিলাম।

আসলে ব্লগে নিয়মিত না আসলে পরে আর কেন জানি আসাই হয়না।

এজন্য ভাবতেছি নিয়মিত হবো।

আপনার দেশে কেমন কাটতেছে?
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালই কাটছে সময়, দেশে বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘুরাঘুরি আর আত্নীয়স্বজনদের বাসায় দাওয়াতের উপর আছি । গরম একটু বেশী যদিও কয়েকদিন ধরে কিছুটা কম মনে হচ্ছে! সমস্যা শুধু ছেলেকে নিয়ে, বাহিরে বের হওয়া কস্টকর ব্যাপার গরম আর ধুলাবালিতে।


ব্লগে আবার সক্রিয় হোন আগের মত।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যাক জেনে ভালো লাগলো।

দেশে আনন্দে কাটুক সময়।

বাচ্চাকে সাবধানে রাখবেন। ছুটি কাটিয়ে নিরাপদে ফিরে আসুন।

২৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রমনকথা!

শুভেচ্ছা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।

২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষজনকে সুখী মনে হয়?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: জি ওখানকার মানুষজনকে সুখীই দেখলাম

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: মজার ভ্রমন অভিজ্ঞতায় ভিন্ন স্বাদের ভ্রমনীয় লেখা।
উয়িন্ডমিল,চিজ ফ্যাক্টরী,কাঠের জুতার ফ্যাক্টরী সব গুলাই উপভোগ করলাম।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বহু অভিজ্ঞতা জমা হয়ে আছে এই ভ্রমণে।

সাথেই থাকুন, আরো বহুত কিছু বাকি।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাংলাদেশী'দেরও স্ট্রিক্ট হতে হবে। সেকন্ড এরও হেরফের হতে দেয়া যাবে না, এমনভাবে দক্ষ হতে হবে। প্রফেশনাল হতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

আপনার পোস্টে ডাচদেশের এক টুকরো স্বর্গ ঘুরে এলাম! উপভোগ্য পোস্ট রুহি আপু! :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এক মিনিটও তারা এদিক সেদিক করেনা বলেই তাদের সব কিছুই সময়ে শেষ হয়।
অনেক সুন্দর আর গুছানো একটা দেশ।
ভ্রমণ মাত্র শুরু করলাম। বহু কিছু রয়ে গেছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন: its beautiful! I love countryside

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর ভ্রমন পোষ্ট। ভাল লাগলো। আমরা বাঙ্গালীরা যদি সময়ের মূল্য বুঝতাম তাহলে অনেকদুর এগিয়ে যেতে পারতাম। আপনার পোষ্ট দেখে বুঝলাম কেন নেদারল্যান্ড থেকে ঘুরে এসে মানুষ জুতা দান করে! (হা হা হা সুন্দর সুন্দর কাঠের জুতা, জুতার এ্যাস ট্রে ইত্যাদি :D )

৩২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

হাসান রাজু বলেছেন: অনেক ভালো লাগা । সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.