নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু না

গার্বেজ

ফ্রাস্ট্রেটেড

এইসব দৃশ্য আজহারের গোপন দর্পণের উল্টোপাশের প্রলেপ।

ফ্রাস্ট্রেটেড › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেইন্ট মার্টিন (ছোটগল্প)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২




এক

সেইন্ট মার্টিনে নামার পর দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত সময়টা চমৎকার কাটলো নিয়াজের। ভরপেট ভাত-মাছ চাবানোর পর দু’পেগ রাম খেয়ে বিকেলের শুরুটা সৈকতকিশোরদের সাথে ফুটবল খেললো পাড়ে; পুরোটা বিকেল প্রিয়তম চারটে বন্ধুর সাথে দাপাদাপি করলো ঢেউ এর গায়ে। তারপর স্নিগ্ধ মুগ্ধ মননে ভেজা শরীরে ডুবতে থাকা সূর্যটা মাখতে মাখতে ঢেউ এর কোল ঘেঁষে খুব ফূর্তিতে শীষ বাজিয়ে হোটেলের দিকে পা বাড়ালো।

অপূর্ব অবসর।

খুব দরকার ছিলো এমন কিছু সময়ের।

ক’কদম আগাতেই নিয়াজ; আচমকা অদূরে এক তরুণীকে দ্যাখে এক লম্বাটে যুবার হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে। হাঁটা দেখে তো রুহির মতো লাগে। রুহি নাকি!? দেহকাঠামো আর আংশিক যা অবয়ব দৃষ্টিগোচর, তা তো রুহির দিকেই নির্দেশ করে। রুহিও সেইন্ট মার্টিনে আসছে নাকি? সাথে কে এটা? তানিম? তানিমের সাথে রুহি; সেইন্ট মার্টিনে?

ইত্যাদি অনিয়ন্ত্রিত আগ্রহে নিজেকে ভুল প্রমাণ করার আকাংক্ষায় খানিকটা গতি বাড়িয়ে আরেকটু সামনে এগিয়ে দ্যাখেঃ
সকল আশংকা সত্য প্রমাণ করে- রুহিই।

আর সাথেও তানিম।

পুরোনো প্রেমিকার নতুন প্রেমিকের সামনে দৈন দুস্থ দাঁড়ানো থেকেই বাঁচার জন্য কিনা- অপরাধীর মতো করে নিরাপদ দূরত্ব থেকেই উল্টো ঘুরে গেলো নিয়াজ।

তারপর হাঁটলো, হাঁটলো, হাঁটলো।

আর ভাবলো, ভাবলো, ভাবলো।

শেষ যোগাযোগ এর বয়স সাড়ে সাত মাস। তানিমের সাথে ওর সম্পর্ক হলো কবে? নাকি রুহি-নিয়াজ যুগলের নোংরাতম সময়টাতে পেছনের পর্দায় তানিমের হাসি ছিলো? বিয়ে করেনি রুহি এখনো, নিয়াজ জানে। করলে দাওয়াত না পাক, খবর ঠিকই পেতো।

প্রায় ঘন্টা আধেক বিভ্রান্ত বিহবল পদচারণার পর নিয়াজ অনুধাবন করে- এই এতোটা সময় রুহি ছাড়া আর কিছুই সে ভাবেনি। রুহির সঙ্গে বা সংগহীনতায় কাটানো অতীতের ক্রম অপসারিত স্মৃতি; দিন-রাত, হর্ষ-বিষাদ, বিচ্ছেদ, একা একা, চোখের জলের বন্যারোধে নিজেকে স্বান্তনা দিতে শেখা, এর মাঝে আজ তানিম; এক অতিকায় হাঙ্গর হামলে পড়ে নিয়াজকে হিম বানিয়ে ফ্যালে।


নিয়াজ বোঝে- সেইন্ট মার্টিনে তার আর কোনো আনন্দ নেই। অবশিষ্ট এবং শহরে প্রত্যাবর্তনের পরও; সময়গুলো, তার প্রচন্ড বাজে যাবে।


দুই

সাগরপাড়ে রাত নামলে নৈশভোজকালে বন্ধুদের চাপের মুখে নিয়াজ তার বিমর্ষ থাকার হেতু গোপন রাখতে পারে না। বন্ধুরা তাদের সাধ্যমত প্রেরণা প্রদান করে। এর মাঝে ইমতিয়াজ; রমণিদের নিষ্ঠুর ও নির্লজ্জ কার্যক্রমসমূহ এবং সেগুলো তাদেরকে কীরূপে বাহ্যিকভাবে সুশ্রী অথচ ভেতরে এক বীভৎস প্রাণি বানিয়ে ফ্যালে, ফেলেছে; তা নিজের এবং পারিপার্শ্বিকের প্রেমিকদের অভিজ্ঞতার আলোকে রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করে। আর ফাঁকে ফাঁকে নিয়াজকে বলে- “এইগুলা এখন এমন হয়ই, দোস্তো। রুহিও ফালতু এক্ষান মাইয়া। এইসব নিয়া চাপ নেয়ার কোনো মানে হয় না, নট ওর্থ, আসো মাছ খাও, মদ খাও, ফূর্তি করো।”

অন্য সবার সাথে সাথে ইমতিয়াজের রসিক ভাষায়-ভঙ্গিতে বলা ভান্ডারের বিচিত্র সব গল্পের বাঁকে বাঁকে নিয়াজও হাসে, মাছ খায়, মদ খায় মৃদু। কিন্তু কোনোভাবেই রুহির কথা না ভেবে থাকতে পারে না। ইমতিয়াজ হয়তো ঠিক, দিনশেষে রুহি হয়তো ঠিকই আরো দু’দশ জন রুহির মতোই-

নিষ্ঠুর; এবং নির্লজ্জ।

কিন্তু নিয়াজের কাছে তো- রুহি; রুহিই। এই একটা মানুষ; নিয়াজের কতো স্বপ্ন, কত সাধনা, কীভাবে সে নিজেকে এবং নিজের সময়কে কোনোরকম দোটানা ছাড়া উৎসর্গ করেছে রুহির প্রশান্তি সুনিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে! ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ত্বের যুদ্ধ শেষে স্বপ্নের সংগীকে বিদায় জানানোর পরও কতোদিন; কতোদিন ঘুমোতে যাবার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে কেবল রুহির কথাই ভেবেছে নিয়াজ!!

পুরোটা আবেগ থেকে এখনো অব্যাহতি মেলেনি, এর মাঝেই এই অনাকাংক্ষিত অনাহুত দর্শন, কেমন ঝড় বয়ে যায় মনে, নিজেকে পাগল পাগল লাগে।


সেইন্ট মার্টিনে রাত গভীর হয়, তাসের প্যাকেট খোলার পর নিয়াজ স্বেচ্ছায় একা হয়ে যেতে পারে, কেউ বাঁধা দেয় না। বন্ধু চারজনকে খেলাধূলায় ব্যস্ত রেখে একাকী অন্ধকারে ঢেউয়ের ডাক শুনতে যায় নিয়াজ, মন্থরগতিতে হাঁটে বালু আর জলের সংযোগরেখা ধরে।

রুহি! রুহি!! রুহি!!!

একটা বছর কী যে চমৎকার গ্যাছে নিয়াজের। নেশাগ্রস্থের মতো রুহির সংগ উপভোগ করেছে নিয়াজ; অন্তর্জালে, মুঠোফোনে, রাস্তায়, বুঝে না বুঝে, হলুদে কী সবুজে, সকালে বিকেলে সন্ধ্যায়। উফফ!! সেইসব পাগল প্রেম দিনরাত্রি; ফ্যালকনের মতো দ্রুতগামী সময়। কখনো কখনো কী ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায়, রেস্তোরাঁ কী লাইব্রেরির সিঁড়িঁতে তড়িতে ঠোঁট ছুঁয়েছে তারা। কী আশ্চর্য স্বর্ণরং মধুর মতো মিষ্টি একটা সুগন্ধ রুহির ত্বকে।

যুগ্মতার একটা বছর পালন করার পরপরই কী যে একটা নর্দমায় পড়ে গেলো দুজনই!! বর্তমানের হিশেব মেলে না, ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা সংকটে, নোংরা ঘাটতে ঘাটতে দু’জনে শেষমেষ পরস্পরের অতীতের আঁস্তাকুড় থেকে বিকট বীভৎস একেকটা প্রসংগ টেনে আনে। দু’টো মাস কী যে কদর্য দুটো কীট হয়ে উঠলো দুজন। একেকটা দিনকে মনে হতো সপ্তাহখানেকের কারাবাস। পাশবিক শক্তিতে টানতে হয় সময়গুলোকে, দিন কাটে না, রাত কাটে না, সমস্ত পৃথিবী ক্যামন স্থবির হয়ে আসে।

নিয়াজ জানে তার দোষ আছে বেশ, কিন্তু রুহির মন উঠে গিয়েছিলো। অদ্ভূত অদ্ভূত সব যুক্তি, প্রমাণ, দর্শন, নিত্যনতুন বিষয়ে ঝগড়াঝাটি। আর ঐসব সময়ে নিয়াজও নিজেকে সামলে রাখতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে যতোবারই “যতো যাইহোক না ক্যানো আমরা আছি” বলে রুহির কাছাকাছি যেতে চেয়েছে, রুহি ততোই বেসামাল নিয়াজের কথা টেনে সে কী প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছে বর্ণনা করে আরো দূরে চলে গ্যাছে। শেষমেষ সেই সনাতন শব্দ- বিদায়।

রুহি! রুহি!! রুহি!!!

সেই রুহি এখন তানিমের সাথে; সেইন্ট মার্টিনে, সজ্ঞানে, নির্জনে। এই মাস সাতেকে দু’একটা যা মেয়ের সাথে একটু যোগাযোগ হয়েছে নিয়াজের, তাদের মাঝেও তো সে সচেতনে কী অবচেতনে কেবলই রুহির ছায়া খুঁজেছে। এতো কম ক’দিনে অন্য আরেকটা সঙ্গীর সাথে এতোটা ঘনিষ্ঠ কীভাবে হতে পারে রুহি!! নিয়াজের সাথে সময়টা কী তাহলে নিয়াজের মতো সুখে কাটেনি তার? এতো সহজে কীভাবে সব ভুলে তানিমের মতো বেঢপ বিশ্রী যুবকটির মাঝে হারায় রুহির মতো মেয়ে!

ভাটার সাথে সাথে নিয়াজের ভেতর থেকে প্রাণশক্তিটা চলে যায় কালোজলে, দূরে। চোখে জল আসি আসি করেও আসে না, ক্যামন শুষ্ক শুন্য একটা হাহাকার কেবল ঝরে।


নিয়াজ বোঝে-এই সমুদ্র সৈকতে যতোটা কম সময় রুহির কথা ভাবা যায়, ততোই তার জন্য মঙ্গল। কতোটা সময় জানে না নিয়াজ, কাটিয়ে হোটেলে ফিরতেই দ্যাখে বন্ধুরা প্রচন্ড চিৎকার করে করে আনন্দের সাথে মদ আর তাসে লিপ্ত। নিয়াজকে দু-চার লাইন ঘাটায় তারা, তারপর আবার ফূর্তিতে চলে যায়।

সে-ই ভালো। নিয়াজ অন্যঘরে বিছানায় একা একা, অনেকটা রাত বাকি রেখে যতোটা দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ে।


তিন

পর্দা নামানো হয়নি রাতে, পূর্বদিকের জানালা গলে বেশ খানিকটা সময় আলো চোখে আসায় সকালের সূত্রপাতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় নিয়াজের। পর্দা টেনে এসে আবার শোয়ার পর আর ঘুম আসেনা। ঘুমোট ঘরে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতেই টের পায়, আবারো রুহিসংক্রান্ত কালোচিন্তা তাকে হামলে ধরছে। এর চাইতে বরং পাড়ে যাওয়া ভালো, স্নিগ্ধ সকালে সাগরে আলো আর জলের নৃত্য দেখে যদি কিছু মোটিভেশন মেলে!!

তা আসলেই বেশ মেলে নিয়াজের। কাল রাতে যেই বালুপথে প্রাক্তন ও বর্তমান দুই প্রেমিকের সাথে রুহির সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে ভাবতে প্রচন্ড মনখারাপের ঢেউ এসেছিলো; সেই পথেই এখন এই শুভ্র সকালে বেশ সাবলীল সময় কাটে। খুব দার্শনিক পর্যটকের মতো করে পিঠের পেছনে হাত বেঁধে নিয়াজ দিগন্তের দিকে তাকিয়ে সাগরের কোল ঘেঁষে হাঁটে।

এমন সময় পাশ দিয়ে কোথাও ছুটতে থাকা একজন নিবাসী তাকে উদ্দেশ্য করে সজোরে বলে উঠে- “হেই, বেশিদূরে যাইয়েন না ভাই। ভোরে এক্ষান মাইয়ারে সাগরে টাইনা নিসে, এহোনো শইলডা পাওয়া যায় নাই।” নিয়াজ সাগরে নামছে না এই আশ্বাস জানাতে জানাতেই অনেকটা দূরে চলে যায় লোকটা।

দূর্ঘটনার খবর শুনে একটু ধাক্কা লাগে নিয়াজের। আহারে!! ভোরে কী করতে কেনো কীভাবে কতোদূরে চলে গিয়েছিলো মেয়েটা, কে জানে!! কার সাথে যে এসেছিলো, কতো বয়স, তার আপনজনদের কী ভীষণই না কষ্ট হবে এইসব ভাবতে ভাবতে একটা ভয় আচমকা প্রায় শুন্য থেকে জন্ম নেয়- রুহি না তো আবার? এই মেয়েটার মাঝে মাঝেমাঝেই যে খামখেয়ালি মর্ষকামিতা খেলা করে! নিয়াজের বুক ধকধক করে ওঠে, গলা শুকিয়ে যায়। নিয়াজ তাড়াহুড়ো করে সবচাইতে কাছে কিছু কাপড়পচোপড় আর চপ্পলের আড়ালে থাকা দোকানে কথোপকথনরত দু’জনকে জিজ্ঞেস করে তারা কিছু জানে কিনা। তারাও শুনেছে কেবল; কোনো নাম বা শনাক্তকারী বৈশিষ্ট বলতে পারে না।

নিয়াজের হৃদস্পন্দন আরো বাড়তে থাকে, গলাটা আরো বেশি শুকিয়ে আসে। প্রায় দৌড়ে আরেকটা ছোটো দোকান পায় নিয়াজ, কিছু ডাবের আড়ালে একটা টং। গোটা পাঁচেক খদ্দের, চা-সিগারেট-ডাব খাচ্ছে। সেখানে গিয়ে আবারো একই প্রশ্ন করতেই প্রায় সবাই কেমন ইতস্তত দিশেহারা এদিক সেদিক চায়। শুধু উশকো খুশকো চুলের একটা যুবক ভ্রু জোড়া কুঁচকে সিগারেটে টান দিয়ে অন্য হাতের তর্জনীটা উত্তর দিকে ফিরিয়ে বলে- “কী জানি নাম কইলো; ঐদিকের পানিতে নামসিলো। পরে মাইকিং কর্তিসিলো তো! কেউ লাশ পাইলে য্যান খবর দেয়।”
একরাশ আতংক মিশিয়ে খুব কাঁপা গলায় নাম জিজ্ঞেস করে নিয়াজ। যুবক গোটা দু’বার চুলজঙ্গলে হাত ডুবিয়ে মাথা চুলকে সজোরে বলে ওঠে- “অ, হাঁ, মনে পর্সে। রুহি। মাইয়ার নাম রুহি।”


নাম শোনার সাথে সাথেই পুরোটা পারিপার্শ্বিক শুন্য হয়ে আসে নিয়াজের। মনে হয় ছিটকে গ্যাছে মহাকাশে; ঠাঁই পায় না। দোকানের লোকজন কীসব জানি জিজ্ঞেস করছিলো, নিয়াজের কানে আসে; বোধে আসে না। হতভম্ব গোল চোখ দুটিতে উজার করে পানি আসে; টলতে টলতে দোকান থেকে বের হয়ে আসে নিয়াজ। সম্মুখে বালু, সাগর, ঢেউ, বহুদূরে হলুদ সূর্য। সেদিকে তাকিয়ে অনির্দিষ্ট অনুপস্থিত শ্রোতার দিকে তাকিয়ে নিয়াজ কেবল ঠোঁট কাঁপায়- রুহি নেই?

রুহি নেই। নিজেরই ভেতর থেকে কেউ একজন উত্তর দেয়। নিয়াজ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না শরীরের। হাঁটু গেড়ে দু’হাত বালুতে রেখে মাথা হেলিয়ে বসে পড়ে।

রুহি নেই! রুহি নেই!! রুহি নেই!!!

নিটোল নরম অভিমানী অবুঝ মায়াবতী রুহি। সোনারং মধুর মতো মিষ্টিগন্ধ রুহি। শিশুতোষ আজগুবি সব গল্পকথক রুহি।

রুহি নেই! রুহি নেই!! রুহি নেই!!!

নিয়াজের চোখের জলে বন্যা বয়ে যায়। “রুহিইই! রুহিইইইইই!!” বলে টেনে টেনে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।

খানিকক্ষণ পর কিঞ্চিত সম্বিত ফেরে। তার খুব কাছেই দু’জন দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে, ঐ দোকানের খদ্দেররদেরই কেউ হয়তো। নিয়াজ চোখের জল নাকের জল এক করে তাদের দিকে তাকিয়ে কোনোরকমে ভাঙ্গাস্বরে এমন করে “রুহি! রুহি!!” বলে যেনো তারাও খুব ভালোই চেনে রুহিকে; নিয়াজ বলামাত্রই বুঝে ফেলবে এই কান্নার, এই দুঃখের উৎস কোথায়।
বোঝে না; তবু একজন এগিয়ে আসে, নিয়াজকে দাঁড় করিয়ে বুকে চেপে ধরে। নিয়াজ তাকেই আপনজনের মতো করে আঁকড়ে ধরে শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে কাঁদতে থাকে।

স্বল্প সময়ের মাঝেই হুট করে তার ঘোর কাটে। তানিমের প্রচন্ড সাহায্য দরকার। মানসিকভাবে তো বটেই, লাশ পাওয়া-না পাওয়া, এর পরও হাজাররকমের ঝামেলা আছে। তাছাড়া লাশের উপর অধিকার ও পরবর্তী দায়িত্বসমূহেও অংশিদারিত্ব নিয়াজের চাই।

রীতিমত ধাক্কা দিয়ে সে বাঁধন ছাড়ায়; উত্তর দিকে তাকায়।



শিকারী প্রাণির মতো ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়োতে থাকে নিয়াজ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

কালীদাস বলেছেন: ফিনিশিংটার জন্য গল্পটা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল।
সুন্দর :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কালীদাস।
শুভকামনা।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৫

পুলহ বলেছেন: কালীদাস ভাইয়ের সাথে একমত, শেষ দিকে লেখক ভালো সাসপেন্স তৈরি করেছেন।
"তাছাড়া লাশের উপর অধিকার ও পরবর্তী দায়িত্বসমূহেও অংশিদারিত্ব নিয়াজের চাই। "--- এই লাইনটা ক্রুশাল এবং সাংঘাতিক।
"যুগ্মতার একটা বছর পালন করার পরপরই কী যে একটা নর্দমায় পড়ে গেলো দুজনই!! বর্তমানের হিশেব মেলে না, ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা সংকটে, নোংরা ঘাটতে ঘাটতে দু’জনে শেষমেষ পরস্পরের অতীতের আঁস্তাকুড় থেকে বিকট বীভৎস একেকটা প্রসংগ টেনে আনে। দু’টো মাস কী যে কদর্য দুটো কীট হয়ে উঠলো দুজন..." ধরণের বর্ণনা পাঠককে পরিস্থিতির তীব্রতার সাথে যথযাথভাবে একাত্ম করে।
শুভকামনা জানবেন লেখক !

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: মনোযোগী পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন, পুলহ।

শুভকামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.