নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....”

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” [ ছবি ও লেখা ব্লগ ]

[ দ্বিতীয় পর্ব ]
ছোট্ট এইটুকুন পৃথিবীর জানালায় যে রঙের আকাশ তার পাখা মেলে থাকে, তাকে ছাড়িয়ে অসীম নিশ্চুপ আকাশ আরও আরও রঙের ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে সততই জেগে আছে সেই অনাদি কাল থেকে । তাকে দেখে দেখে আপনার মনবীণায় বেজে উঠতে পারে এই ঝংকার .......
“ সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর - ”

জ্বলে জ্বলে পুড়ে গেছে যে তারা
সে যে আজও হয়নি হারা ।
গোপন এক ক্রন্দন সে গেছে রেখে
রঙের অবগুন্ঠনে মেখে......

ছবি : ভেইল নেবুলা যেন হাওয়ায় ওড়া বাহারী ওড়না এক ........
হাবল স্পেস টেলিস্কোপে এমন রূপেই ধরা পড়েছে সে ।

আকাশকে রাঙিয়ে দেবে বলে কবে কোন কালে একটি তারা বিদীর্ণ করেছিলো তার বুক । সে বুকে লুকিয়ে থাকা আয়নিত গ্যাস ভালোবাসার উষ্ণতায় ফুলে ফেঁপে ছড়িয়েছে রঙ । প্রায় আট হাযার বছর আগে নাম না জানা এক সুপারনোভা থেকে উগরে দেয়া এই ভালোবাসার রঙ ১৪৭০ আলোকবর্ষের পথ পাড়ি দিয়ে উঁকি দিয়েছে আপনার খোলা জানালায় । এই যে আলোর মেলা, তার মুখটি আপনি দেখবেন খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে জ্যোর্তিবিদ টলেমী যে ৪৮টি কনষ্টিলেশন এর কথা বলে গিয়েছেন, তারই একটি “সিগনেস কনষ্টিলেশন” এ । নাম রেখেছি বনলতা...র মতো সুন্দর একটি নামও রাখা হয়েছে তার – “ ভেইল নেবুলা ” ।





ছবি : ভেইল নেবুলা....উড়িয়ে ওড়না লু হাওয়ায় ......

ছত্রিশটি চাঁদের আয়তন নিয়ে এক রঙিন দোপট্টার মতো হাওয়ায় উড়ছে যেন সে । আন্তঃনাক্ষত্রিক এই রকম ধুলোর মেঘমালাকেই মানুষ নাম দিয়েছে “নেবুলা” । আপনার রাতের আকাশে এরকম অসংখ্য ধুলোর মেঘমালা দেখতে পাবেন আপনি । এ সবই হলো বক্ষ ফাঁটা কোনও না কোনও তারার ক্রন্দন । কারো অপেক্ষায় থেকে থেকে একটি নক্ষত্র যখন পুড়ে পুড়ে শেষ হয়ে যায় তখন তার বুক বিদীর্ণ করে নিঃসীম আকাশে জমে ওঠে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম আর অন্য আয়নিত গ্যাসের ধুলো । এইসব ধুলোর মেঘের ছবি জাগাবে আপনার হৃদয়স্পন্দন । আকাশের এই ছবিটি দেখে আপনার নিশ্চয়ই মনে পড়বে নজরুলের এই গানখানি - ...উড়িয়ে ওড়না লু হাওয়ায় ......

আবার ছায়াপথ ছাড়িয়ে হাযার - লক্ষ আলোকবর্ষ দুরের গ্যালাক্সির ধুসর আলোকমালাকে ও নেবুলা নামে ডাকা হয় ।

আয় সবে সহচরী,
হাতে হাত ধরি ধরি
নাচিবি ঘিরি ঘিরি,
গাহিবি গান.......
ছবি : হলুদ তারাদের হাত ধরাধরি। এটাও একটি নেবুলা, নাম এনজিসি – ৩৬০৩ (NGC 3603.)
২০,০০০ আলোকবর্ষ দুর থেকে এই কমলা রঙের অত্যুজ্বল একগুচ্ছ তারার মেলা আপনার টেলিস্কোপিক চোখে ধরা দেবে ধুলোর মেঘ হয়ে । ছায়াপথের কুন্ডলীকৃত বাহুতে (spiral arm of the Milky Way ) কনস্টিলেশন “কারিনা” র বুকের মাঝে, দক্ষিন আকাশে গোধুলীর প্রথম লগ্নে খালি চোখে যে উজ্বল তারাটি আপনি দেখেন, তার নাম “ক্যানোপাস” । সন্ধ্যাকাশের দ্বিতীয় উজ্বল এই তারাটি এই নেবুলার অবস্থান চিনিয়ে দেবে আপনাকে । চিনিয়ে তো দেবেই , কারন তার নামটি যে এসেছে গ্রীক মিথোলোজীর হেলেন অব ট্রয় এর স্বামী স্পার্টার রাজা মেনেলাস এর জাহাজের নেভিগেটর ক্যানোপাস এর নামে ।
মূলে এই কারিনা কনষ্টিলেশনটি আরো বড় এক কনষ্টিলেশন “ আর্গো নেভীস” বা “ দ্য শীপ” থেকে ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি অংশ যার ল্যাটিন নামটি হলো “কীল” (keel), মানে জাহাজের ভারসাম্য রক্ষাকারী তলদেশের অংশ বিশেষ ।

এনজিসি – ৩৬০৩ নেবুলাটি ঘিরে আছে উজ্বল গ্যাসীয় পদার্থ আর প্লাজমা । আন্তঃনাক্ষত্রিক বাতাসের ঝড় আর অতি বেগুনী রশ্মির বিকিরন মধ্যিখান থেকে এই গ্যাসীয় পদার্থ আর প্লাজমার নীলাভ ওড়নাটিকে হটিয়ে দিয়েছে বলেই কমলা রঙের অত্যুজ্বল একগুচ্ছ তারার মুখ আপনি দেখতে পাচ্ছেন । ছায়াপথে সবচেয়ে বেশী ঘনত্বের তারার জটলা এটাই আর তা পাকিয়েছে বিশাল বিশাল আকৃতির এই তারাগুলিই ।

রাতের আকাশে খালি চোখে কিছু উজ্জল তারাদের মিলিয়ে আপনি যে কল্পিত এক একটি আকৃতির কথা ভাবেন তা-ই “কনষ্টিলেশন” বা নক্ষত্রপুঞ্জ।

ছবি : সন্ধ্যাকাশের কনষ্টিলেশন “কারিনা” । উপর দিকের উজ্বল তারাটি এনজিসি – ৩৬০৩ নেবুলার ভেতরে থাকা তারা “ক্যানোপাস” ।




ছবি : কারিনায় অযুত তারার জন্ম..... রঙের আতশবাজি ।

খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে
হে বিরাট শিশু আনমনে
ভাঙিছো গড়িছো নিতি
আপন মনে .......
ছবি : জল রঙে কোন সে ধ্যানমগ্ন শিল্পীর আঁকা ছবি ! সোয়ান নেবুলার প্রান্তীয় একাংশ ।


আপনার জানলায় উঁকি দেয়া ৬০০০ আলোকবর্ষ দূরের “সোয়ান” (Swan) নেবুলা । সূর্য্যের চেয়ে যার উজ্বলতা কয়েক’শ হাযার গুন বেশী । আপনার বাড়ী সৌরজগতের ভরের চেয়ে ৮০০ গুন বেশী ভরের বাড়ী এটি আর তা ছড়িয়ে আছে ২০ আলোকবর্ষ নিয়ে । সূর্য্যের চেয়ে ২০/৩০ গুন বড় বড় ৩৫টি নক্ষত্রের আলোতে এই ধূলোর মেঘ কমলা রঙে সেজে উঠেছে । আশেপাশের আরো ৮০০টি নক্ষত্র এই মেঘমালায় ধরিয়ে দিচ্ছে ভাঙন (ইরোশন) । কালক্রমে একদিন হয়তো ভেঙে যাবে সব । তার বুকেই হয়তো গড়ে উঠবে আবার নতুন কোনও মেঘমালা ।

ছবি : স্যাজিটেরিয়াস কনষ্টিলেশনে “সোয়ান” (Swan) নেবুলা । শিল্পীর খেয়ালী তুলির আঁচড় ?

ভয়ঙ্করের দোদুল দোলায়
ফেনিয়ে ওঠা মেঘঘূর্ণি
আকাশ পানে ধায় যেন
আঁধার মহাকাল চূর্ণি ......
ছবি : আতঙ্কের রঙ ......ঈগল নেবুলা । ফেনিয়ে ওঠা মেঘঘূর্ণি ?

পরীর দেশের গল্পের মতো এক অতিকায় দানব যেন বেদীমূল থেকে ডানা ছড়িয়ে উড়ে যেতে চাইছে আকাশে , সবকিছু চূর্ণ করে ! রঙের এই ভয়ঙ্কর বাহারী দৃশ্যটি উঠে এসেছে তারাদের আঁতুরঘর (stellar nursery) ঈগল নেবুলা থেকে । ঠান্ডা গ্যাস আর ধুলোর সুউচ্চ এই স্তম্ভটি ৯.৫ আলোকবর্ষ , অন্য কথায় ৯০ ট্রিলিয়নস কিলোমিটার লম্বা ।

ছবি : মহাশূন্যে ঘাপটি মেরে থাকা ঈগল নেবুলা ।


ছবি : ইনফ্রারেড দৃশ্যে ঈগল নেবুলা ।

ঈগল নেবুলায় থাকা ঠান্ডা হাইড্রোজেনের মেঘ থেকেই জন্ম হয় এক একটি তারার । তাই এটা তারাদের একটা নার্সারী । সবে “হাটিহাটি পা পা” করা এইসব দেবশিশু তারাদের গায়ের বিচ্ছুরিত আলো এই গ্যাস আর ধুলোর জটলার গায়ে ঠিকরে পড়ে বলেই আকাশের গায়ে এমন সব অদ্ভুত অদ্ভুত আকৃতির দেখা মেলে আপনার ।
আতংক উদ্রেককারী এই রঙের খেলাটিও তেমনি আকাশের গায়ে ছায়া ফেলে আছে । ধুলোর মেঘ হলেও এটা হলো সদ্যপ্রসুত তারাদের বিশাল এক “ইনকিউবেটর” । ভৌতিক এই ছবিটির গা থেকে গ্যাসের যে আভা বেরুচ্ছে তা বহুদুরে থাকা তারাদের আলো আর পেছনের ধুলোমেঘের ক্যানভাসে “ সিল্যুএট” হয়ে আরো দানবীয় এক মেঘঘূর্ণি হয়ে উঠেছে যেন ।

মনে রেখ, আমিও ছিলাম
ছোট্ট জীবন আর
যতো হাসি গান
আমি তোমাকে দিলাম.....
ছবি : ঈগল নেবুলায় আতঙ্কের আর এক রঙ “পিলার অব ক্রিয়েশান” ।

ছবি : “পিলার অব ক্রিয়েশান” এর অতি সাম্প্রতিক ছবি । “পিলার অব ডেসট্রাকশান” ।
আপনার জানালা থেকে মাত্র ৬৫০০ আলোকবর্ষ দূরের আকাশের বুকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা
“সৃষ্টিস্তম্ভ” বা “পিলার অব ক্রিয়েশান” । আকাশের এই ছবিতে মুগ্ধ পৃথিবীর তাবৎ জ্যোতির্বেত্তারা । হয়তো আপনি ও । হাবল টেলিস্কোপের চোখে আন্তঃনাক্ষত্রিক ধুলো আর গ্যাসের এই অপরূপ স্তম্ভগুলো প্রথম ধরা পড়ে ১৯৯৫ সালে । ধুলো আর গ্যাসের মেঘের দেখা তো আকছার মিলছেই মহাকাশের বিশাল শূন্যতায়, তবে এই পিলার অব ক্রিয়েশানের রূপটি যে সবার দৃষ্টিকে টেনে রাখবে আর মনে করিয়ে দেবে সৃষ্টির রহস্যময়তাকে , তা অবান্তর কিছু কি ? আদতে এটাকে সৃষ্টিস্তম্ভ বলা হলেও অতি সম্প্রতি নাসা (NASA) র নতুন শক্তিশালী ক্যামেরার চোখ ইঙ্গিত দিয়েছে; এটা আসলে “সৃষ্টিস্তম্ভ” নয় । এটা হলো আসলে “ধ্বংসের স্তম্ভ” বা “pillars of destruction” । জমাট বাঁধা কালো কালো ছোপের মাঝে রঙের বিচ্ছুরন এই স্তম্ভের ধুলোমেঘের ভেতরে জন্ম নেয়া শিশু তারাদের তীব্র রেডিয়েশানের ফল আর সে মেঘ দ্রুত ভেঙেচুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আশেপাশের বড় বড় মহারথি তারাদের গা থেকে উঠে আসা ঝড়ের দাপটে । ঘন ধূম্রপুঞ্জের চারপাশ ঘিরে থাকা ভয়াল নীলাভ রঙ আর কিছুই নয় , নবীন তারাদের তাপদাহে বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যাওয়া পদার্থের দল ।
আপনি সত্যিই ভাগ্যবান । এই “সৃষ্টিস্তম্ভ” তার যতো হাসি-গান আর রূপ-রঙ আপনাকেই দিয়ে গেছে । আজ থেকে মিলেনিয়াম বছর পরে আপনার মতো কেউ একজন আকাশের বুকে তাকিয়ে তাকে আর দেখতে পাবেননা । স্পিৎজার টেলিস্কোপের ছবি বিশ্লেষন বলছে , মিলেনিয়াম বছর আগেই একটি সুপারনোভা বিস্ফোরনে এটা হারিয়ে গেছে চিরকালের মতো । যার আলো ৬৫০০ আলোকবর্ষ পথ পাড়ি দিয়ে ধরা পড়ে গেছে আপনারই চোখে আজ ।

এ কি সোনার আলোয়
ভুবন ভরিয়ে দিলে,
ওগো বন্ধু কাছে থেকো......

ছবি : হাবল টেলিস্কোপে ধরা পড়া ওরিয়ন নেবুলা ।
ছবি : ইনফ্রা-রেড দৃশ্যে ওরিয়ন নেবুলা ।

ছবি : ৮ইঞ্চি টেলিস্কোপে ৫ সেকেন্ডে এর কম সময়ে ধরা পড়া দৃশ্যে ওরিয়ন নেবুলা ।

হ্যা, আপনার খুবই কাছে থাকা সোনার আলো ছড়িয়ে এক বর্ণাঢ্য পড়শীর মুখ এটি , ওরিয়ন নেবুলার মুখ । মাত্র ১৫০০ আলোকবর্ষ দুরের তারাগর্ভা আপনার এই পড়শীটি, তারাদের জন্ম দিয়ে চলেছে অবিরত । “সূর্য্যের হাসি” মাতৃসদন এর মতো পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের এই “ তারাসদন”টিও যেন একগাল হাসি নিয়ে আপনার চোখে ধরা দিয়েছে । জন্ম দিচ্ছে হাযার হাযার তারা । রাতের আকাশে যে কালপুরুষের দেখা মেলে আপনার , সেই কালপুরুষের কোমরে (ওরিয়ন বেল্ট) ঝুলে থাকা তলোয়ারটির মাঝখানের উজ্জলতাটাই হলো ওরিয়ন নেবুলা ।
ছবি : কালপুরুষ বা ওরিয়ন কনষ্টিলেশন ।

ছবি : টেলিস্কোপের চোখে ওরিয়ন বেল্ট । আপনার ডান দিকের উপরের বর্ণিলতাটুকুই ওরিয়ন নেবুলা ।

চলবে ...........
প্রথম পর্ব ---
view this link


সূত্র : NASA / Wikipedia /
http://www.nasa.gov/vision/universe/solarsystem/stereo1_prt.htm
https://annoyzview.wordpress.com/
http://earthsky.org/
http://www.universeforfacts.com
http://www.skyimagelab.com/m16eanega.html
http://www.astromax.org/
http://www.spacetelescope.org/
http://apod.nasa.gov
http://www.constellation-guide.com

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

মোঃমোজাম হক বলেছেন: নেবুলা , এই প্রথম শুনলাম।
আজকাল সাই ফাই না কি যেন মুভি চলে !
আপনার লেখাটা আমার নিকট তেমনই কঠিন মনে হলো।সব অবাক ব্যাপার :)

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃমোজাম হক ,


আপনার আবহার আঁকাবাঁকা মরু পথের চেয়েও কঠিন ?
এটা সাই-ফাই-হাই না মোটেও । জ্বলজ্যান্ত বিজ্ঞান । ্আকাশের দিকে চোখ মেলে যা কিছুই দেখেন এগুলো তারই আসল রূপ, টেলিস্কোপের চোখে । অবাক তো বটেই । এগুলো তো বিশাল বিশ্বের কণামাত্রও নয় ।

ধন্যবাদান্তে ।

২| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

জেন রসি বলেছেন: মহাবিশ্ব আসলেই সুন্দর এবং রহস্যময়।সে যেন সবসময় মানুষকে হাতছানি দেয়। ধরা দিয়েও আবার ধরা দেয়না।

++

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,



বিস্ময়কর ভাবে অপরূপ সুন্দর , সম্ভ্রম জাগানিয়া ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিলিলা খুব রহস্যময়।


৩য় ভাল লাগা।

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমতিয়াজ ১৩ ,



বিষয়টি পুরাতন , নতুন করে বলা ।
সৃষ্টির লীলা বোঝা বড় ভার ....

ধন্যবাদান্তে ।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: কাব্যিক সুরে চমৎকার জ্ঞান বিতরণ করছেন । অসাধারণ ।

শুভ কামনা রইল । :)

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,




কলমের কালি তো জ্ঞান বিতরনের জন্যেই । কালি তো শেষ হয়ে যায়নি এখন ও ।
কাব্যিক সুরে, রূপে রসে রঙিন করে তুলতে চেয়েছি বর্ণাঢ্য এই অন্ধকার আকাশটাকে ।

শুভকামনা আপনার জন্যেও ।

৫| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মারহাবা । আগের মত ই সুন্দর আরেকটা পোষ্ট । লিখনশৈলীর তারিফ করছি ।
শুভকামনা জিএস ভাই

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,



অলওয়েজ আহলান ওয়া সাহলান ।
তারিফ করার তারিফ করছি ।

অনেক শুভকামনা আপনার জন্যেও ।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: আগের পর্বটির মতো এটিও চমৎকার হয়েছে।

তবে অনেক কঠিন বিষয়, পড়তে ভাল লাগে কিন্তু মনে থাকে না। :(

জানিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। লেখা অসাধারণ হয়েছে।

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,

হা হা হা ... এটা তো আর পরীক্ষার পড়া পড়ছেন না যে মুখস্ত থাকতে হবে , পাশ করতে হবে। ভালো লাগলে মোটামুটি মনে থাকার কথা । আর জানাটাই আসল ।

মন্তব্যের আন্তরিকতায় খুশি হয়েছি ।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অপূর্ব সব ছবি এবং কথা। চলুক +++++

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


চলুক বলেলেই তো আর হয়না, পেছন থেকে ঠেলতেও হয় । তবেই না চলে ।
দেখি...........

মন্তব্য ধন্যবাদের সাথে গৃহীত হলো ।

৮| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। ভালোলাগা জানাচ্ছি

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মায়াবী রূপকথা ,


সাদরে গ্রহন করলুম আপনার ভালোলাগা ।

মন্তব্য উৎসাহব্যঞ্জক ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৮

প্রামানিক বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামািনক ,


মন্তব্য সাহস সঞ্চারী । ভালো লাগলো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২৭

তপ্ত সীসা বলেছেন: ভালো পোস্ট ভায়া।

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: তপ্ত সীসা


চেষ্টা করেছি ভালো করার জন্যে ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১১| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মহাবিশ্বে মানুষই একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী।
মানুষ চলে যাবার পর, হয়তো সবই শেষ।

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,

মনে হয় , ঠিক বলেন নি । মহাবিশ্বে মানুষই একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী না ও হতে পারে । প্রভাবিলিটির দিক থেকে ধরলে হিসেবটি এরকম - যদি ১ কোটি নক্ষত্রের গ্রহগুলোর মাঝে একটি গ্রহতেও প্রানের সম্ভাবনা থাকে তবে ও পর্য্যন্ত দৃশ্যমান বিশ্বে প্রানময় গ্রহের সংখ্যা ১ লক্ষ । আর তাতে বুদ্ধিমান প্রানীর থাকার জোরালো সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

জুন বলেছেন: ভেইল নেবুলা যেন হাওয়ায় ওড়া বাহারী ওড়না এক ........
হাবল স্পেস টেলিস্কোপে এমন রূপেই ধরা পড়েছে সে ।

বাহারী ছায়াপথ ঘুরে ফিরে এলাম পৃথিবীর জল কাদায় ।
বরাবরের মতই মনমুগ্ধকর পোষ্ট ।
+

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,


ইশশশশশশশ .কি যে বলেন ! এই জল কাদার ভেতরেই তো মরি , এর ভেতরেই তো বাঁচি ।
গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ ...আমার মন ভোলায় রে.. গানটি শুনেছেন তো বটেই । তাই ফিরে তো আসতেই হবে শঙ্খচিলের বেশে ।

রাতের শুভেচ্ছা ।

১৩| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট আহমেদ ভাই। অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো। :)

++

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,

অসাধারন বলায় ভালো লাগছে ।

অনেক ভালো থাকুন আর শতদ্রুর মতো বেগবান ।

১৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধতা!!

পড়তে পড়তে কার্ল সেগানের কথা ভাবছিলাম।

সদ্যপ্রয়াত দেশের বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. এ আর খানকেও স্মরণ করছি আপনার এই অনবদ্য লেখার সূত্রে।

অনিঃশেষ শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,

মুগ্ধতা আমার লেখায় নয় । মুগ্ধতা, অন্ধকার আকাশের গায়ে খচিত রঙবাহারী রঙের খেলাতে । যা দেখতে হলে চোখের মতো চোখ থাকা চাই ।

দীপশিখার মতো অনির্বান থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

১৫| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: "বনলতার" অপরূপ সৌন্দর্য ছবিতেই আজ প্রথম দেখলাম।। আসলেও উড়িয়ে ওড়না লু হাওয়ায়।। বর্ণনে ভাল লেগেছে।।
কারিনার রঙ্গের দ্যুতি মনমুগ্ধকর সাথে “পিলার অব ক্রিয়েশান”এরতো তুলনাই নেই।। প্রতিটা ছবি যেন শিল্পীর হাতের ছোয়ায় ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে।।
নাহ্ শেষে এসে মানতেই হলো, খেলিছো এই বিশ্ব লয়ে।।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



যার কাছে মাথা নত করে দেয়া যায় তেমনই এক শিল্পীর আঁকা মহাকাশের এসব ছবি ।
মর্ত্যের কোনও শিল্ফীর হাতের ছোঁয়ায় নয় টেলিস্কোপের লেন্স দিয়েই আকাশের ক্যানভাসে মূর্ত এসব ছবি ধরা হয়েছে ।

"বনলতার" মতোই অপরূপ সুন্দর মন্তব্যখানি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

ফা হিম বলেছেন: নেবুলা আসলেই বিমূর্ত চিত্রকর্মের মত।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফা হিম ,


শুধু নেবুলাই নয় মহাবিশ্বের সব কিছুই যেন বিমূর্ত । শুধু বুঝে নিতে হয় ।

১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

আজমান আন্দালিব বলেছেন: রাতের তারা নিয়ে এত সমৃদ্ধ লেখা! কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব ,




ভালো লাগলো আপনাকে এখানে দেখে ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.