নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যেখানে যেমন................ ১

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩



তুমি যাবে ভাই
যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়
উদাসী বনের বায়.........


অনেক অনেক কাল ধরে শোনা এই কবিতার অমন আবেগীয় অনুভূতির মূর্চ্ছনা দিয়ে লেখাটি শুরু করতে পারলে ভালো হতো । ভালো হতো বলছি এ কারনে যে, এই অনুভূতিটা আজ যে জনে জনে মরে গেছে সেটা যদি না হতো।
সেই গাঁ-গ্রাম আর নেই । গাঁয়ের সেই অমায়িক - আত্মীয়র মতো মানুষও নেই । উদাসী বায়ে লতায় পাতায় আর জড়িয়ে নেই মানুষের সেই মায়া-মমতা, আত্মীয়তার বন্ধন । মানুষ এখন এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় পরিপাশ বেমালুম ভুলে গেছে মানুষ । জনমানুষের এই স্বার্থপরতার নিঠুর থাবার নীচে যে মানুষের সম্পর্কের অনেক ছিঁটেফোঁটাই বেঁচেবর্তে নেই, এ লেখা তাকেই স্মরণ করে ।
বেঁচে থাকার অসম দৌঁড়ে যে মানুষ নামের আত্মীয়গুলো অনাত্মীয় হয়ে কোথায় ভেসে যায় ক্রমে ক্রমে, তারই যেটুকু ছবি বিশদ হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে ওখানে , তাই-ই বলে যায় “জীবন যেখানে যেমন” ! এ জীবন ঘাস ফড়িংয়ের নয়, কীটের । এ জীবন দিগন্তজোড়া মাঠের মিষ্টি গন্ধ নয় , এ জীবন নর্দমার পূঁতিগন্ধে ভরা । অনেকেই হয়তো এসবের খোঁজও রাখেন না । সর্বগ্রাসী সময়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে এসবের কোনও কিছুই হয়তো আমাদের মনে দাগও কাটেনা
আর দাগ কাটেনা বলেই, যে কজন মানুষ সর্বগ্রাসী সময়ের এই অভিঘাত সয়েও এখনও ---
“ঘরে যারা যাবার তারা
কখন গেছে ঘর পানে ,
ঘরেও নহে পারেও নহে
যে জন আছে মাঝখানে
সন্ধ্যাবেলায় কে ডেকে নেয় তারে..”


গানটির কথামালায় নিরবে কেঁদে ওঠেন, লেখাটি তাদেরই জন্যে ।

১ - এক নিঃসঙ্গ যাত্রা --------------------

কেহ নাই কিছু নাই ,
কিছু রয় সংগোপনে -
শুধু নিঃসঙ্গতা সঙ্গী আমার,
এ ধরনীতলে এক নতুনের
অসহায় আগমনে
ওঠেনা উলুধ্বনী আর .....


. ছবি –১. সবে মিলি একমুঠো ঘরে , নতুনেরে সবলে ধরি জঠরে.......

ছবি –২. ঐ শোনা যায় , আসিছে কে ! এক অসহায়......

ছবি –৩. জাগো.. নতুন প্রভাত জাগো , সময় হলো .......

এক পুরাতন নিঃস্ব পৃথিবীতে কী নিঃসঙ্গ অভিযাত্রা এক নতুন অভিযাত্রীর । যেখানে স্বপ্ন-অলস যত ছায়ারা একে একে সকলি অদৃশ্য , সেখানেই চরণ দু’টি তার প্রথম ছাপ রেখে যায় । জন্মের পরে চোখ খুলতেই এক ক্লেদাক্ত ধরণীর ছবি আঁকা হয়ে যায় তাই তার বুকে ! এ থেকে তার নিস্কৃতি নেই । এতোটুকু ঘেরাটোপে ভালোবাসার, মায়া মমতার অনুভূতিহীন একটি প্রানী বেড়ে ওঠে ধীরে ধীরে । আর তার “মানুষ” নামটি হারিয়ে যায় নর্দমার স্রোতে ..................


২ – তবুও জীবন বয়ে যায় ...

যেখানে মানুষ আর থাকেনা মানুষ
তারই মাঝে তবু উতলায় অবিরাম
স্নেহ - ভালোবাসা যার নাম,
মানুষের কাছে প্রতিদিন অবহেলা শেষে
ফুরায় এ জনম এমন-ই দুঃখের হাসি হেসে ......



ছবি - ৪. এ রকমই ভাগ্য আমার, জন্ম থেকেই কন্ঠলগ্ন.......

ছবি - ৫. মুখর শৈশব ছেড়ে দায়ভারে থাকি নিমগ্ন..........

ছবি - ৬. মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি, .....
(জসিম উদ্দিন )

ছবি - ৭. মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়..(জসিম উদ্দিন)

স্নেহ – মায়া – মমতা – ভালোবাসা বস্তির দম আটকে আসা বাতাসে বাতাসেও ভাসে । এর রূপ আলাদা । এর সাথে জড়িয়ে থাকে যে এক অসহায় দায়িত্ববোধের দায় ! আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকার আলোকিত জানালার ফাঁক গলে এর গন্ধ কখনই আপনার অন্দর মহলে ঢোকেনা । আর ঢুকলেও সে গন্ধের স্বরূপ আপনার মস্তিষ্কের কোনও তন্ত্রীতে আঘাত করেনা । শুধু জীবন বয়ে চলে তার পথ ধরে, একাকী ....

৩. পথের পাশে নাম না জানা ফুল ----------

পথকলি মেয়েটির পাজরের হাড়
জীর্ণ হাতে তুলে ধরা বিবর্ণ গোলাপ
আমার গাড়ীর জানালায় ছবি হয়ে থাকে ।
কোন ছবি চাও তুমি ?
আমি যে শুধু পথের ফুল চিনি
রাস্তার পাদানীতে ফুটে থাকা
হলুদ জবা, ঘেঁটু ফুল
রঙহীন সাদাসাদা কামিনী-বকুল ।
ওরা হাসে, কাঁদে, খেলে
ধীরে ধীরে ফোঁটে, যেমন তোমার ফুল, বাগানের ।


ছবি - ৮. তোমাদের জানালায় ,চাতক চোখে করূনা মাগি .....

ছবি - ৯. পথে পথে বেচি ফুল পেটের লাগি....

ছবি - ১০. ফুল নেবো গো .......

ছবি - ১১. আমায় নহে গো , ভালোবাসো মোর ফুল.....

ছবি - ১২. আমি পথকলি , ফুলের পসরা সাজাই নিজেরে ভুলি .....

ছবি - ১৩. জোটে যদি মোটে একটি পয়সা , খাদ্য কিনি ক্ষুধার লাগি .....

ছবি - ১৪. আমার কোলের কাছে ঝুলে আছে
আমারই দায় ।
কেউ কি এখন বাড়িয়ে দেবে হাত
এই আমায় ?


যে পথকলিদের ফুঁটে থাকার কথা ঘরের সাজানো বাগানে, তারা আজ ধুলোয় লুটায় , বর্ণহীন - গন্ধবিহীন। এরা রাস্তার পাদানীতে ফুটে থাকা হলুদ জবা, ঘেঁটু ফুল । রঙহীন সাদাসাদা কামিনী-বকুল ।
এরই নাম জীবন ! এখানে নেই পরিচর্যা, নেই যতন , নেই বুকে টেনে নেয়ার কোনও হাত ! ক্ষুধার রাজ্য যেখানে গদ্যময় সেখানে কোনও ভাবাবেগ নিয়ে কেউ থামেনা এখানে , হুশশশশ করে চলে যায় বিত্ত-বৈভবের পথে । শুধু পথকলিদের ভাগ্যের গাড়ি থেমে থাকে আগোচরে ! তবুও ফুলগন্ধের বিনিময়ে নগ্ন ক্ষুধার তেতো স্বাদের তেষ্টা মেটায় তারা জীবনের ধুলোমলিন পথে ...........................

৪ - দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলোনা ................

এ রকমই ভাগ্য আমার, জন্ম থেকেই কন্ঠলগ্ন
হয়ে আছে। সেই যেদিন থেকে আমার ঈশ্বর
ছুঁড়ে ফেলেছিলেন নীচের পৃথিবীতে একটা মানুষের ছেলে
একটা সীল ঠুকে দিয়েছিলেন কপালে
একটা লাইন লিখে দিয়েছিলেন -
দুর্ভাগ্য আছে তোর বরাতে।


ছবি - ১৫. ছেড়ে দুরন্ত কৈশোর,
দু'মুঠো অন্নের লাগি
আমি যে এখন কর্মে বিভোর.....


ছবি - ১৬. যে চোখে কোনও স্বপ্ন থাকেনা কোনদিন......

ছবি - ১৭. বই নয়, নয় খেলা ; কাঁধে টেনে যাই শুধু জীবনের ঝোলা .....

ছবি - ১৮. কুড়াই জীবনের পরশ পাথর, তবুও কোথাও লাগেনা সৌভাগ্যের আঁচড়...

ছবি - ১৯. ফেরি করি অন্যের খবর, নিজের খবর ফেরারী যেথায় .....

যে রৌদ্রকরোজ্বল সকাল সারা দিনের কথা বলে যায় .......... আমাদের চারিধারের এই সকাল কি সে কথা বলে ? সে সকাল যে নিঠুর দারিদ্রের মেঘময় অন্ধকার । সে মেঘ কেটে রোদের দেখা মিলবে কি ? রাষ্ট্র-সমাজের অবহেলা , কর্ম-সংস্থানের অনুপস্থিতি, অর্থনৈতিক বৈসাম্যের সকল কলা-কুশলতার যাতাকল যে পিষে মারে আমাদের চক্ষু উন্মীলনের আগেই ! এই বিষবাষ্পে শ্বাস টেনে টেনে খুঁইয়ে ফেলি শিশুকাল , আমাদের কৈশোর , আমাদের যাবতীয় দিন । এ নিষ্টুরতা আমাকে করেনা মহান , দানেনা খ্রীষ্টের সম্মান !


৫ - গড়ে যাই সভ্যতা , এক শরীর ঘামে .......

ভ্রুনের মতো কী জটিল দ্রুততায়
পাল্টে যেতে থাকে চেনা শহর,
গড়ে যাই সভ্যতা জীবনেরে ভাঙি,
পড়ে থাকে শুধু আমার দুঃখের প্রহর .................


ছবি - ২০. যদি জানতাম, এ জীবন হবে এতো ভারী ......

ছবি - ২১. ফসকে যাসনে রে ভাই , পাবোনা রেহাই ভাগ্য যেথায় ফেরারী .......

ছবি - ২২. ছোট্ট এ হাতে ধরি , কলম নয়... কঠিন হাতুরী...........

ছবি - ২৩. কঠিনেরে ভাঙি, দিনের ঘ্রান কেউ নিয়ে গেছে কাড়ি ......

ছবি - ২৪. অকালে শুকায় মোর রূপ-রস-গন্ধ, প্রাণ নিঙাড়ি ......

৬ - এক নিষ্ঠুর পৃথিবীতে.....

দিলেনা কিছুই হে মানুষের ঈশ্বর !
শুধু দিও ম্লানমুখে একটু হাসি অবিনশ্বর,
যে আনন্দ-সুখ লুকানো হৃদয় গহীনে
তারে রেখ কিছুক্ষন, এই অপাপবিদ্ধ জীবনে .......


ছবি - ২৫. নাহি গায়ে ফুলছাপ ফ্রক, নাহি উদরে অন্ন
এইটুকু হাসি নিয়ে তবুও জীবন হোক ধন্য ......


ছবি - ২৬. হে নিঠুর পৃথিবী , করিয়াছো জড়ো দুঃখ রাশিরাশি -
তবুও তোমায় দিলাম ভুবনডাঙার হাসি ...


ছবি - ২৭. ছোট এই খেলাঘরে , হাসির ঝর্ণা ঝরে,
পৃথিবীর সব বৈভব জড়ো করে
কে কিনিতে পারে তারে ?


ছবি - ২৮. কি দোষে কাটে দুঃখে ভরা দিন !
তবে কি জন্মেই আজন্ম পাপ ?
কেন ঘিরে থাকে জীবনের সব সন্তাপ,
শুধু হাসি কেন রয় অমল-ধবল-অমলিন ?


তবুও জীবন থেমে থাকেনা , বয়ে চলে নিরবধি । দুঃখ-সুখ , কান্না-হাসি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চক্রবুহ্য ঘিরে রাখে আমাদের চারিধার । যেমন ঘিরে থাকে স্বপ্নও আমাদের ...........

জড় নই, মৃত নই, নই অন্ধকারের খনিজ,
আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ;
মাটিতে লালিত ভীরু, শুধু আজ আকাশের ডাকে
মেলেছি সন্দিগ্ধ চোখ, স্বপ্ন ঘিরে রয়েছে আমাকে।
- সুকান্ত ভট্টাচার্য


ছবি – ইন্টারনেট থেকে ।
[ প্রতিটি ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাঁদেরই যারা ছবিগুলোর প্রকৃত দাবীদার ।
আর স্বনামধন্য যে সব কবি-লেখকের দু’একটি চরন তুলে এনেছি, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সেই মহাগুনীজনদের ও ।
এদের সকলের কাছেই ঋনী হয়ে রইলুম ।]

মন্তব্য ১১০ টি রেটিং +৩২/-০

মন্তব্য (১১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ জীবন ঘাস ফড়িংয়ের নয়, কীটের -- সত্যকথন!
নীরবে কেঁদে ওঠা যেসব মানুষের জন্য এ চিত্রনিবন্ধ লিখেছেন বলে আপনি বলেছেন, বোধকরি আমিও তাদেরই একজন।
"প্রিয়"তে প্রথম, প্লাসে দ্বিতীয়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




একজন তেমন মানুষকে সকালের নরম আলোর শুভেচ্ছা জানিয়ে এই স্লো হয়ে গ্যাট মেরে চলা ব্লগে আমার এই পোস্টের প্রথম প্রতি মন্তব্য করছি ।
আমার সৌভাগ্য, একজন ঋদ্ধ লেখক আর সমৃদ্ধ পাঠক প্রথম এলেন এখানে লেখাটি প্রিয়তে নিয়ে ।

যে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখি , তিনি হয়তো চাইবেন আপনার মতো নীরবে কেঁদে ওঠা আরও মানুষ এখানে আসুক ।

ভালো থাকুন এমন করে ..................

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: ইচ্ছে করলেও একটির বেশি লাইক দিতে পারলাম না!

কোথা থেকে খুঁজে বের করলেন এমন ছবিগুলো! আর সাথে এমন কবিতার লাইন!!

২২,২৩, ২৪ নম্বর ছবি দেখে মনটা কেমন কুকরে গিয়েছিল কিন্তু পরের ছবিগুলো।দেখে মন ভরে গেল।

অপূর্ব ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,



ইচ্ছে করলেও একটির বেশি লাইক দিতে পারলাম না!
মাথায় তুলে রাখলুম আপনার এমন ইচ্ছেখানি ।

দু'একটি বাদে বাকী সব কবিতাই এই অধমের লেখা । ছবিগুলো নিজের তোলা নয় । দুঃখটা আমার এখানেই রয়ে গেলো জনমভর । নেট ঘেটে ঘেটে নিয়েছি । হয়তো খেয়াল করবেন , লেখাটি সাজিয়েছি এই নিঠুর পৃথিবীতে একটি মানুষের প্রথম আগমনের ঘন্টাধ্বণি থেকে , ক্রমান্বয়ে তার জীবনের চালচিত্রে ।

ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি –৩. জাগো.. নতুন প্রভাত জাগো , সময় হলো ....... এর নীচে যে কথাগুলো বলেছেন, তা মরমে আঘাত হেনে যায়।
মানুষের কাছে প্রতিদিন অবহেলা শেষে
ফুরায় এ জনম এমন-ই দুঃখের হাসি হেসে ......
- কথাগুলো এবং ছবিটা মর্মস্পর্শী!
ছবি - ৬. মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি, ..... -- মেয়েটা খুবই কিউট!
ছবি - ৮. তোমাদের জানালায় ,চাতক চোখে করূনা মাগি ..... -- চোখ ঝাপসা হয়ে এলো...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,



এই ধীরগতিতে চলা ব্লগে ঢুকে আবারও যে এলেন তাতে কৃতজ্ঞতা জানাই ।

আপনার সবটুকু মন্তব্য পড়ে উথাল পাতাল ছবিতে দাগ কেটে যাওয়া একটি মনে কান্নার মতো যে সুর বেজে উঠলো তাতে সে মনখানার জন্যে এই অর্ঘ্যটুকু -------
“ঘরে যারা যাবার তারা
কখন গেছে ঘর পানে ,
ঘরেও নহে পারেও নহে
যে জন আছে মাঝখানে
সন্ধ্যাবেলায় কে ডেকে নেয় তারে ।
দিনের শেষে ....।”

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: চমৎকার ছবিগুলোর সাথে চমৎকারভাবে মানিয়ে গেছে কাব্যাংশগুলো। আর আপনার উপস্থাপন, ভাবাবেগ সত্যিই প্রশংসনীয়। জীবন যে ফুলের বিছানা নয় তা আরেকবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুনি মায়া অনু ,



এমন করে মন্তব্য করার জন্যে কৃতজ্ঞ ।
জীবন যে ফুলের বিছানা নয় তা বোঝাতেই তো লিখেছি ---
বেঁচে থাকার অসম দৌঁড়ে যে মানুষ নামের আত্মীয়গুলো অনাত্মীয় হয়ে কোথায় ভেসে যায় ক্রমে ক্রমে, তারই যেটুকু ছবি বিশদ হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে ওখানে , তাই-ই বলে যায় “জীবন যেখানে যেমন” !

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভালো হতো বলছি এ কারনে যে, এই অনুভূতিটা আজ যে জনে জনে মরে গেছে সেটা যদি না হতো -------

প্রতিদিেনর দেখায় যেন এটাই স্বাভাবিক মনে হেত থাকা নাগরিক বোধে আঁচড় কাটা লেখায় হৃদয় ভিজে উঠল!
অসহায় আক্রোশে চোখে জল এসেও আসেনা!
শুধু মানুষ এই পরিচয়ের পরীক্ষা হলে- এ সময়ের এ সমাজের এ নগরের ৯৯ ভাগই ফেল করবে দৃঢ় বিশ্বাস!

আমাকে একজন মানুষ দাও
আমি নগরকে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ব!!!

ইট কাঠ পাথরের চেয়ে শক্ত অহম আর ইগোর দেয়াল ভেঙ্গে
সেই মানুষের পরিচয়ের মানুষ দিয়ে ভরিয়ে দেব নগর
নয়তো দাও চেঙ্গিস আর হালাকু, হিটলার কিংবা বখতিয়ার
অমানুষের রক্তে ধুয়ে পবিত্র করব এ নগর- মানুষের জন্য!!!



১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




এমন বিদ্রোহের কথায় আশান্বিত হওয়ারই কথা কিন্তু হতে পারছি কি আমরা ? তেমন মানুষটি কই যিনি অমানুষের রক্তে ধুয়ে পবিত্র করবেন এ নগর, মানূষের জন্যে ??
(একজন মানুষ ছিলেন, লিখতেন , তিনিও তো আজকাল কবি হয়ে গেলেন !!!!!!!)

তাইতো অনেক কষ্ট নিয়ে লিখতে হয়েছে ----মানুষ এখন এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় পরিপাশ বেমালুম ভুলে গেছে মানুষ । জনমানুষের এই স্বার্থপরতার নিঠুর থাবার নীচে যে মানুষের সম্পর্কের অনেক ছিঁটেফোঁটাই বেঁচেবর্তে নেই....

ব্লগ এতো ধীর গতির যে লিখতে গিয়ে সময় ক্ষেপনের কারনে কথার খেই হারিয়ে যাচ্চে বারবার । আপনার মাধ্যমে আমার সকল সুপ্রিয় পাঠকদের জানাতে চাই , তাদের মন্তব্যের পিঠে প্রতিমন্তব্য দিতে অনিচ্ছাকৃত দেরী হয়ে গেলে যেন ক্ষমা পাই .............।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

বাঘ মামা বলেছেন: ছবি গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারলামনা

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাঘ মামা ,



ছোট্ট এক লাইনের মন্তব্য অথচ না বলা কি বিপুল সংবেদনশীলতা !!!!!
ধন্যবাদ ।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

কাবিল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে এবং অনেক গুলো প্লাস।
আপনার যতগুলো পোস্ট পরেছি তার মধ্যে অন্যতম এই পোস্টটি আমার কাছে।
ছবি, ক্যাপশন , কবিতা সব মিলে অসাধারণ।
সত্যি বলতে কি পড়তে পড়তে বুকের মধ্যে ব্যাথা অনুভের সাথে চোখের বাঁধও মানছিল না।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন সব সময়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাবিল ,




পোস্টটি লিখতে গিয়ে , ছবির সাথে মেলে এমন করে কবিতা বানাতে গিয়ে আমার চোখও শুকনো থাকেনি ।
মন্তব্যে আপ্লুত । অসাধারন বলায়, প্রিয়তে নেয়ায়, অনেকগুলো প্লাস দেয়ায় কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।

সাথেই থাকুন আর সুস্থ থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি - ১৪. আমার কোলের কাছে ঝুলে আছে আমারই দায়, কেউ কি এখন বাড়িয়ে দেবে হাত এই আমায় ? -- এর নীচের কথাগুলো অসাধারণ!
ছবি - ১৬. যে চোখে কোনও স্বপ্ন থাকেনা কোনদিন......
ছবি - ১৭. বই নয়, নয় খেলা ; কাঁধে টেনে যাই শুধু জীবনের ঝোলা ..... -- এ দুটোই হৃদয়স্পর্শী!
করুণাধারা ঠিকই বলেছেন, ২২,২৩, ২৪ নম্বর ছবি দেখে মনটা কেমন কুঁকরে ওঠে, আবার পরের ছবিগুলো দেখে মন ভরে যায়
সব শেষে দেয়া কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর কবিতাংশ যেন লেখাটাকে পূর্ণতা দিয়ে গেল!
একজন হৃদয়বান মানুষের চোখ দিয়ে দেখা ছবি, দরদী মনের ভালবাসা দিয়ে লেখা কথা... এসব নিয়ে আপনার এ সমৃদ্ধ পোস্ট আশাতীত পাঠকপ্রিয়তা পাক, আমার মত আরও অনেকের হৃদয়ে আর চোখে একই সাথে আনন্দ আর বেদনার ছোঁয়া দিয়ে যাক, এ শুভকামনা রেখে গেলাম, আহমেদ জী এস, আপনার জন্য।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




আমার কোনও এক পোস্টের মন্তব্যে আক্ষেপ করেছিলেন ব্লগের ধীরগতি নিয়ে এই বলে যে, কতো কথা বলার ছিলো বলা যাচ্ছেনা .....
আমিও তেমনি ভেঙে ভেঙে যাচ্চি, অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের যথাযোগ্য উত্তর দিতে পারছিনে ঘনঘন 502 Bad Gateway র কল্যানে । আর স্লোনেস তো আছেই ।
আপনার শুভকামনা মাথায় তুলে রাখলুম ।

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: যে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখি , তিনি হয়তো চাইবেন আপনার মতো নীরবে কেঁদে ওঠা আরও মানুষ এখানে আসুক -- দেখতেই পাচ্ছি, তাদের আসা শুরু হয়ে গেছে।
ভাল মানুষে ভরে যাক এ নশ্বর পৃথিবী! জীবনের সব কিছুর লাগাম হৃদয়ের হাতে চলে আসুক!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



খুব সুন্দর বলেছেন ----- জীবনের সব কিছুর লাগাম হৃদয়ের হাতে চলে আসুক!
কিন্তু যে প্রসঙ্গে বলেছেন তাতে যে শুধু হৃদয় দিয়ে হবেনা , সাথে মাথাটাও লাগবে যে !!!!!!!!!

রাতের শুভেচ্ছা ।

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

নায়না নাসরিন বলেছেন: ভাইয়া ,
জীবন যেখানে যেমন । আপনার লিখা আর ছবি দেখে চোখ
যে জলে ভরে উঠলো ।
লিখাতে ++++++

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নায়না নাসরিন ,



ভালো লাগলো সাথেই আছেন দেখে । বোঝা গেলো এখনও " মানুষ" আছে ।
পোস্টটি লিখতে গিয়ে , ছবির সাথে মেলে এমন করে কবিতা বানাতে গিয়ে আমার চোখও ভিজে উঠেছিলো ।

এতোগুলো প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার এমন পোস্টগুলো মনে হয় একই সাথে পুরো একটা গল্প সংকলন। প্রতিটা ছবি যেনো আলাদা করে কথা বলছে।
অসাধারণ!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজু পনি ,




অনেকদিনের পরে একখানা মনলোভা মন্তব্য নিয়ে এলেন । ভালো লাগলো মন্তব্য আর মন্তব্যের পেছনে আপনাকে দেখে ।

ভালো থাকুন সতত ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: বিশ্ব খাদ্য দিবসের দিন এর থেকে অসহায় অথচ শক্তিশালী পোস্ট বোধহয় আর হতে পারে না। পেটের জ্বালাযে বড় সাংঘাতিক জ্বালারে ভাই! মাঝে-মাঝে ভাবি 'আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ' কথাটা এই ধরনের পথ শিশুদের জন্য কতটা কার্যকরি! :(

পোস্টে উল্লেখিত প্রত্যেকটা ছবিই যেন এক একটা জীবনের প্রতিচ্ছবি! যেখানে মিশে আছে জীবনে কোন রকমে বেঁচে থাকার কঠিন সংগ্রাম আর তীব্র হাহাকার!

পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জী এস ভাই!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



বিশ্ব খাদ্য দিবসকে সামনে এনে এমন বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যের উত্তরে শুধু এটুকুই --------

একদিন চোখের রং ও ধুঁয়ে যাবে
বাকসে্র নীচে রাখা নীলপত্র প্রেমের,
ধীরে ধীরে খোয়াবে যৌবন
চায়ের কাপে নিত্য তোলা ঝড়
তাও মনে হবে পুরাতন-পুরাতন
যেন কতোদিন ব্যবহারে মলিন।
কেবল ক্ষুধা, একমাত্র ক্ষুধাই তার
নিত্যকার সহবাস শেষে আবার
নতুন মনে হবে।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো । ভালো থাকুন ।

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

বেচারা বলেছেন: বাকরুদ্ধ। কিছু না লিখেও যে সবকিছু লেখা যায়-তার পারফেক্ট উদাহরন। লিখুন। আরো লিখুন। কিংবা বলা যায়-বলুন। বিধাতা নিশ্চই একদিন পৃথিবীটাকে সবার জন্য সমান করে দেবেন। যেখানে আমরা আবার প্রথম দিন হতে বুনব একটি নতুন পৃথিবীর বীজ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বেচারা ,



একটি নতুন পৃথিবীর বীজের প্রত্যাশার কথা শুনে আমিও আপনার মতো বাকরুদ্ধ ।
আমার ব্লগে সম্ভবত এই প্রথম এসেই এমন চমৎকার ভাবে করা একটি মন্তব্যে লক্ষকোটি ধন্যবাদ ।

স্বাগতম আমার ব্লগে আপনাকে ।
শুভেচ্ছা জানাই ।

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

সুমন কর বলেছেন: লেখা আর ছবি মিলিয়ে অনবদ্য পোস্ট। ছবিগুলো দেখে মনের অজান্তে একটি দীর্ঘঃশ্বাস বের হয়ে আসে !

আশা করি, আপনার কাছ থেকে ষড়ঋতুর মতো আরো একটি চমৎকার সিরিজ পাওয়া যাবে।

শুভ দুপুর।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,




এটি সেই সিরিজেরই ধারাবাহিকতায় লেখা । সিরিজের শুরুতেই লিখেছিলুম- ঋতু, প্রকৃতি, মানুষ নিয়ে এ সিরিজটি সাজিয়েছি ।
মনে করি আপনার আশা এতে পূর্ণ হতে পারে ।
সবসময় সাথে থেকে প্রেরনা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নাহি গায়ে ফুলছাপ ফ্রক, নাহি উদরে অন্ন
এইটুকু হাসি নিয়ে তবুও জীবন হোক ধন্য!:)


চিরন্তন অভাবের ভিতরও ইচ্ছেগুলো বাঁচুক!:)

দারুন পোস্ট!:)

অনেক অনেক ভালোলাগা++

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,




সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
আসলে ঐ দূর্মূল্য নির্মল হাসিটুকু ছাড়া তাদের তো হারাবার আর কিছু নেই !

সাথে থেকে উৎসাহিত করেন, এটা ভালো লাগে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

মার্কো পোলো বলেছেন:
ভাই, এক কথায় অসাম। এতো ভাল লিখেন কিভাবে! অন্যরকম ভাল লাগা রেখে গেলাম। আর সাথে লাইক। :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মার্কো পোলো ,




আপনার কথা শুনে ভালো লাগলো । কিন্তু লেখায় আপনিও বা কম যান কিসে ? আপনার পোস্টগুলোও তো অসাধারন জ্ঞান নিয়ে পূর্ণগর্ভা ।

সাথেই থাকুন । ভালো থাকুন ।

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২২

পথহারা মানব বলেছেন: পোষ্টের প্রতিটি শব্দ প্রতিটি বাক্য আর প্রতিটি ছবি যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের সমাজের করুন পরিস্থিতি!!! আর কত সরকার আর সমাজের উপর দায় চাপিয়ে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের এই করুন পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। সময় হয়েছে নিজের অবস্থান থেকে এদের জন্য কিছু করার।

আপনাকে আর কি ধন্যবাদ দেব, যাই দেই না কেন কোনটাই যথেষ্ট হবে না!!!
তাই শুধু প্রত্যাশা করি ভাল থাকুক জী এস ভাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: পথহারা মানব ,



অনেক ভালো লাগলো একজন সংবেদনশীল ব্লগারের দেখা পেয়ে ।

বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পাল্টাবে না কখনই । এটা ব্যক্তি বা একক ভাবে সমাজের দায় নয় ।

আপনিও ভালো থাকুন । পথহারা হয়ে থাকবেন না শুধু ।

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: জীবন হলো পদ্মপাতায় একফোঁটা জল।

অনবদ্য সংকলন!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,



হুমমমমমমমমমমমম টুপ করে ঝরে পড়াই যার নিয়তি !

ভালোলাগার মতো একটুকরো মন্তব্য ।

১৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এরাও আমাদের কেহ ,হয়তো আমরা ভুলে যাই আমাদের দায়িত্ববোধটুকু, আপনার পোষ্টখানি অসাধারণ একটা পোষ্ট।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
এরাও আমাদের কেহ ,হয়তো আমরা ভুলে যাই আমাদের দায়িত্ববোধটুকু... আপনার এই অনুভবের কথাই লিখেছি আমি এখানে ----- গাঁয়ের সেই অমায়িক - আত্মীয়র মতো মানুষও নেই । উদাসী বায়ে লতায় পাতায় আর জড়িয়ে নেই মানুষের সেই মায়া-মমতা, আত্মীয়তার বন্ধন । মানুষ এখন এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় পরিপাশ বেমালুম ভুলে গেছে মানুষ ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

২০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

জুন বলেছেন: আরেকটি আহমেদ জীএসিও পোষ্ট। অসাধারণ সব ছবি সাথে বর্ননা।
+

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,



ছোট্ট অথচ জোরালো মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: দুঃখে কাতর অসাধরন সব ছবি। ভালোলাগা জানবেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,



চেষ্টা করেছি একটুখানি ঘেরাটোপে ভালোবাসার, মায়া মমতার অনুভূতিহীন একটি প্রানী কি ভাবে বেড়ে ওঠে ধীরে ধীরে আর তার 'মানুষ' নামটি মুছে যায় আমাদের চোখে ; তারই ছবি আঁকতে ।

দুঃখে কাতর হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।
সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

ক্লে ডল বলেছেন: ছবি! কিন্তু প্রতিটি ছবিই কথা কয়ে যায়!
দেখিয়ে দেয়, ভাগ্যের সাথে বেচে থাকার লড়াই!!

:( :( :(

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,



খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা ব্লগে আপনাদের মন্তব্যের জবাব দেয়া, আপনাদের পোস্ট পড়া দেখি ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিচ্ছে ।
ভাগ্যের সাথে বেঁচে থাকার লড়াই এর মতো মন্তব্যের জবাব দেয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি । চালাতেই হবে , সবার মন্তব্যের জবাব দিতে হবে যে !

খুব সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা ।
সাথে থেকে বরাবর অনুপ্রেরনা দিয়ে যাচ্ছেন বলে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমাদের শুরুটা ছিল বিরাট(মুক্তিযুদ্ধ), এরপর সব সময় ইডিয়টরা আমাদের দেশ চালানোর ভারটা কৌশলে (পার্টির নামে) দখল করে নিয়েছিল।

শেখ সাহেব ভয়ংকর বেকুব লোক ছিলেন, উনার মাথায় সামান্য বুদ্ধিও ছিলো না।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,



শেখ সাহেব বেকুব হয়তো ছিলেন না । তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতা হয়তো ছিলোনা । বিধ্বস্ত একটি রাষ্ট্র , সেটাও আমাদের মাথায় রাখা উচিৎ ।
তবে সব সময় যে ইডিয়টরা আমাদের দেশ চালানোর ভারটা নিয়েছে সেটা আমরাই তাদের দিয়েছি "ভোট" নামের অস্ত্রটি দিয়ে সীল-ছাপ্পর মেরে । "ভোট" এর মতো ভয়ঙ্কর অস্ত্রটি আমরা ফাটাতে পারিনি ঠিক মতো একবারও। বেকুব আমরাই ।

যাক , বিপুলাকারে কর্মসংস্থান না হলে এমন অসহায়, অন্ধকার জীবন থেকে রোদ্দুরের দেখা মেলা ভার ।
মন্তব্যের রেশ ধরে অনেক কথাই বলা যেতো , কিন্তু লাভ কি ? সব বেকুবের কানে তা ঢুকবেনা মোটেও , ঢুকলেও বুঝবেনা.........

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া
এত এত কষ্ট, মন খারাপ করা ছবিগুলি।


তবুও ছবির ফুলবালিকাগুলি ফুলের মতই সুন্দর।


এত অসুন্দরের মাঝেও ম্লান হয়নি তাদের সৌন্দয্যগুলো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা ,



এত অসুন্দরের মাঝেও ম্লান হয়নি তাদের সৌন্দয্যগুলো। হওয়ার কথাও নয়, ওরা ফুলের কাছেই থাকে যে !!!!!!

আপনার অমন মননশীল মন্তব্যের উত্তর আমার এই কবিতাতেই রয়েছে ---
....আমি যে শুধু পথের ফুল চিনি
রাস্তার পাদানীতে ফুটে থাকা
হলুদ জবা, ঘেঁটু ফুল
রঙহীন সাদাসাদা কামিনী-বকুল ।
ওরা হাসে, কাঁদে, খেলে
ধীরে ধীরে ফোঁটে, যেমন তোমার ফুল, বাগানের ।


শুভেচ্ছান্তে ।

২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

অদৃশ্য বলেছেন:



দারুন...


শুভকামনা...

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অদৃশ্য ,



ছোট্ট এই মন্তব্য দারুন ভালোলাগা নিয়ে এলো ।
শুভকামনা আপনার জন্যেও ।

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। লিখা এবং ছবিগুলো একেবারেই জীবন্ত। অসংখ্য ধন্যবাদ লিখককে। পোষ্ট টি ষ্টিকি করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম ,




এতো আমাদের নিত্যদিনের ক্যানভাসের জীবন্ত ছবিই । আমাদের চারপাশেরই । দেখতে হয় প্রতিদিন , তাই হয়তো আলাদা কোনও অর্থ বহন করেনা ।
ফুল-নদী-লতা-পাতা তো হররোজই আমরা দেখি । কিন্তু তা-ই ছবি হলে ওয়াও...ওয়াও... করি । বলি - অপূর্ব !
সে কারনেই লেখাটি ষ্টিকি হবার যোগ্যতা রাখেনা ।

অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য ।
সাথেই থাকুন । ধন্যবাদান্তে ।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

জেন রসি বলেছেন: যারা বিজ্ঞানের সুফলকে, আধুনিক জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পেরেছে তারাই নাগরিক জীবনের সুফল পাচ্ছে। তবে অধিকাংশ মানুষ এসব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু মাত্র বেঁচে থাকার জন্য সারভাইভ করে যাচ্ছে। সমাধানের জন্য নতুন কোন মডেল দরকার। কারন অতীত আর ফিরে আসবেনা। কিন্তু ভবিষ্যৎ বিনির্মান করা যেতে পারে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




নাগরিক জীবনের সুফলতার চিত্র আর ক্ষুধার সাথে নিয়ত যুদ্ধরত জীবনের এই সব চিত্রের রঙ-তুলি-ক্যানভাস এক নয় ।
বিজ্ঞানের সুফলকে, আধুনিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মনে হয় এ জাতীয় চিত্রকে পাল্টানো যায়না । তাছাড়া আমাদের মতো আর্থ-সামাজিক অবস্থায় থাকা একটি দেশ বিজ্ঞানের সুফলকে ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার ক্ষমতাও রাখেনা ।

সমাধানের জন্যে মনে হয় নতুন মডেলের দরকার নেই । প্রচলিত মডেলগুলোই অনেক কাজ দিতে পারে যদি মডেল চালকেরা গরু-ছাগল চেনার সাথে সাথে রাস্তাঘাট-মানুষগুলোকেও চেনে ।

মননশীল এই মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

২৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
বিশতম প্লাস। আমি ভাষাহীন। ছবিগুলো হৃদয়ে নাড়া দেওয়ার মত। সাথের কাব্যময় পঙ্কতিগুলো চোখ টলটলে করে দেওয়ার।

++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত ,



সবটা মিলিয়ে মন্তব্যটি একজন মানুষের ছবি এঁকে দিয়ে গেলো ।
অন্তরস্থ শুভেচ্ছা ।

২৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ছবি, বিবরণ ও কবিতার বাণী
হুদয়মুলে হানে তি্ব্র এক অব্যক্ত
বেদনার শুল । যারা দেখার তারা
কি দেখেনা এই শিশুদের করুন
হালখানি। দেশের আইনের চোখে
এ যে চরম অপরাধ এ জ্ঞানটুকু কি
নেই আইনের লোকদের । রাস্তার
পাশে আইনের লোকের সন্মুখে ছোট
ছোট ছেলেমেয়েরা এ কাজ কাজ করে
কেমনে। শুনেছি হাই কোর্টের জাজেরা
অন্যায় কিছু দেখলে ও তার প্রতিকার
দায়িত্বপ্রাপ্তরা না করলে নীজেরাই তারা
সতপ্রবৃত্য হয়ে করে দেন রূল জারী ।
এ বিষয়টাকি রাস্তায় চলাফেরার কালে
গাড়ীর গ্লাস দিয়ে যায়না দেখা বাহিরে ।
কোথাই কার কাছে যাব এর প্রতিকার
চাইতে। এরাকি শুধুই হবে ক্যামেরাবন্ধী
ও কবিতার চরনে বিচরণকারী যুগ যুগ
ধরে। শেষের ছবি কয়টার মত আমরা
দেখতে চা্ই এই ভাগ্যাহত পথশিশুদের
মুখে যেন নিয়ত অনাবিল হাসি ঝড়ে ।

শুভেচ্ছা রইল এদের প্রতিকারের জন্য
কলম ধরাতে । পোস্ট টাকে নেয়া হল
প্রিয়তে ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




প্রিয়তে নেয়ার জন্যে আগেই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখি ।

লিখেছেন --
শেষের ছবি কয়টার মত আমরা
দেখতে চা্ই এই ভাগ্যাহত পথশিশুদের
মুখে যেন নিয়ত অনাবিল হাসি ঝড়ে ।

এতো আমাদের সকলেরই চাওয়া । এমন চাওয়া যেন একদিন শেষ হয় আমাদের !

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
কুশল কামনায় ।

৩০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: 'জীবনরে ছাড়িয়া যাসনে মোরে, তুই জীবন ছাড়িয়া গেলে আদর করবে কে, জীবনরে"? নির্মম প্রতিচ্ছবি!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,



জীবনটা নির্মম তো বটেই !

জীবন মোরে ছাড়িয়া যাইবে কোথায়
সে তো আবার আসিবে ফিরিয়া হেথায় !
কুকুরের মতো ঘুরিবে পথে পথে
তারপর একদিন উঠিবে শেষযাত্রার রথে
বলিবে, হে বন্ধু ; বিদায় ................



৩১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১১

শরতের ছবি বলেছেন:


হৃদয়ের গহীনে ঝাকুনি লাগিলে চোখ দিয়া ঝরে পানি । পড়ছে ...........।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শরতের ছবি ,



এতো চলমান সব ছবি, নিত্যদিনের ।

তবুও ছবি আর লেখাতে আপনার চোখে পানি, একজন সংবেদনশীল মানুষকেই চিনিয়ে দেয় ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । সাথেই থাকুন ...................

৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এদেশের অতিদারিদ্র মানুষ ১২ দশমিক ৯ পারসেন্ট- বিশ্বব্যাংক। যদিওবা সরকারীমতে আরো কম কিন্তু ভিশন ২০২১ বা ২০৩০ রুপকল্প পূরনে আমাদের সমাজ থেকে এই অনাহারী মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। সামাজিক প্রতিরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের কর্মমুখী ও স্বচ্ছল করে তোলতে হবে। বর্তমানে দেশে দারিদ্র শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ। এই শিশুদের অনাগত ভবিষ্যৎ, দেশের ভবিষ্যৎ। এই দিকে আমাদের সচেতন হতে হবে। সরকারের উপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই, প্রত্যেক সচেতন নাগরিকদের অল্পস্বল্প দায়িত্ববোধ আমাদেরকে ক্ষুধা ও দারিদ্রহীন বিশ্বের অভিমুখে নিয়ে যাবে।

আপনার লেখা ও ছবি গুলো সে দ্বায়িত্ববোধকে জাগ্রত করেছে সুপ্রিয় জী এস ভাই! শুভকামনা!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,



দারিদ্রতার হার হয়তো কমেছে কিন্তু দরিদ্র লোকের সংখ্যা কমেনি । আগে যদি ২০% দারিদ্রতা থাকতো তবে এখন হয়তো ১০% । কিন্তু লোকসংখ্যা তো দ্বিগুন হয়েছে এখন । তাই দরিদ্রের সংখ্যা বেশী । আপনি তো অর্থনৈতিক বিষয়-আসয় নিয়ে লিখছেন, আপনিই এসব হিসেব বুঝবেন ।

লিখেছেন, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের কর্মমুখী ও স্বচ্ছল করে তোলতে হবে।
কর্মসংস্থানের যদি কোনও সুযোগ না থাকে তবে ওর কোনটাই হবেনা ।

ভালো লাগলো আপনার সাহচর্য্য । সাথে সাথে থাকার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০১

পুলহ বলেছেন: মানবতাকে বিব্রত করবে আপনার এই লেখা।
কামনা করি- সেই বিব্রতবোধ কর্মচেতনায় রূপান্তরিত হয়ে শুভ, সত্য, সুন্দরে পালটে যাক।
শুভকামনা ভাই।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ ,



আমার এই লেখা মোটেও বিব্রত করবেনা কোনও মানবতাকে। করলে, লেখা না দেখেই বাস্তবের দেখা দেখে মানবতা অনেক আগেই বিব্রত হতে পারতো ।

আপনার মতো আমিও কামনা করি , আমাদের অচেতন বোধ কর্মচেতনায় রূপান্তরিত হয়ে শুভ, সত্য, সুন্দরে পালটে যাক।

রাতের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

মেহেদী রবিন বলেছেন: একটা দিন কাঁটিয়ে দেওয়া যায় এই ছবিগুলো দেখে। মনে দাগ হয়ে থাকবে অনেক দিন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মেহেদী রবিন ,



খুব সুন্দর বলেছেন ।
দয়াদ্র কিছু কবিতার জন্ম হতে পারে ছবিগুলো দেখে দেখে ।

মন্তব্যে ধন্যবাদ এবং পরিশেষে শুভেচ্ছা ।

৩৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

রাতু০১ বলেছেন: আমরা সবাই জীবনের কাহিনী শুনেছি মাঝখান থেকে
এই শুরুর কাহিনী আমরা জানি না, শেষ ও অজানা ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতু০১ ,



চমৎকার এবং ভাবিয়ে তোলার মতো একটি কথা বলেছেন । অশেষ ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্যে ।

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম । এমন করেই সাথে থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তারপরেও, তারা হাসে। আর আমরা ছদ্মবেশ খুঁজে বেড়াই।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



তারপরেও, তারা হাসে -খেলে
জীবনের সব দুঃখ ভুলে......

মন্তব্যে ধন্যবাদ । সাথে থাকার জন্যে তো বটেই ।

৩৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

সোহানী বলেছেন: ঘৃনা করি সমাজকে, ঘৃনা করি এ সমাজ ব্যবস্থাকে, ঘৃনা করি শাসককে, ঘৃনা করি শাসকের এ সমাজ ব্যবস্থাকে, ঘৃনা করি শিশুশ্রমকে আর ঘৃনা করি শিশুদের প্রতি সকল নিপিড়নকে।

ছবিগুলো এ সমাজেরই চিত্র কিন্তু আবার চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আমরা কতটা অপদার্থ। বিদেশে শিশুরা সব কিছুর উর্ধে কারন তারা জানে শিশুরাই তাদের ভবিষ্যত, দেশের ভবিষ্যত। আর আমরা জানি যে শিশুরা আমাদের ভিক্ষার হাতিয়ার!

ভালো থাকেন জি ভাই। আজকের মন খারাপের জন্য আপনি দায়ী কিন্তু :( :(

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি – সেই ঈশ্বর হয়তো চাইছেন সম্পদশালীরা যেন আরও সম্পদশালী হন – তার শত্রুরা পরাস্ত, অসহায়, অবহেলিত, শিশুরা নিগৃহীত !!!!!
ঘৃনা করলেই যদি সব কিছু পাল্টে যেতো তবে সারাটা জীবনভর শুধু ঘৃনা করেই যেতুম ।

এমন করে মন খারাপের জন্যে যদি আমাকে দায়ী করেন , তবে আপনার মন আরও খারাপ করে দিতে আমি আছি এখানেই.....

ভালো থাকুন আপনিও । ভালো মন নিয়েই থাকুন ।

৩৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট, ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম জীএস ভাই

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,



অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য ।
তা ভালোলাগা জানিয়ে আবার কোন দেশে দৌঁড় দিলেন ???? :(

৩৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
প্রতিটি ছবির গল্পঘোরে ক্ষতবিক্ষত হয় চোখ। ঝাপসা হয়। দীর্ঘশ্বাস জন্মে আবার মরে যায়। ব্যস্ততায় ভাবনাগুলো শুকিয়ে যায়। কিছু একটা করা উচিত - রম্য হয়ে যায়।

একটি স্বাভাবিক জীবন ওদের প্রাপ্য। প্রাপ্য আর প্রাপ্তির যে যোজন ফারাক তার কারণ আমরা। পরিবর্তন প্রয়োজন। নিজেদের। সমাজের। ওদের।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র ,



দীর্ঘশ্বাস জন্মে আবার মরে যায়। ব্যস্ততায় ভাবনাগুলো শুকিয়ে যায়।
সেজন্যেই লিখেছি - মানুষ এখন এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় পরিপাশ বেমালুম ভুলে গেছে মানুষ ।

আমি শুধু বেমালুম ভুলে যাওয়া মানুষদের একবার মনে করিয়ে দিয়ে গেলুম । যাতে প্রতিটি ছবির গল্পঘোরে ক্ষতবিক্ষত হয় চোখ। ঝাপসা হয়।

সুন্দর মন্তব্য । অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৪০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছবিগুলি অসাধারণ ! ক্যাপশান অতি চমৎকার !!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,



ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য । ধন্যবাদ ।
সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
যেখানে মানুষ আর থাকেনা মানুষ
তারই মাঝে তবু উতলায় অবিরাম
স্নেহ - ভালোবাসা যার নাম,
মানুষের কাছে প্রতিদিন অবহেলা শেষে
ফুরায় এ জনম এমন-ই দুঃখের হাসি হেসে ......



পড়ে রেখে যাওয়ার মত কিছু আমার কাছে নাই +++++++

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,




রেখে যাওয়ার মত অনেক কিছুই আছে । এই যেমন , যে মন্তব্যটি করলেন তাতেই একটি সংবেদী মনের পারিচয় রেখে গেলেন ।
কষ্টের কিছু দেখলে দীর্ঘশ্বাস যে পড়ে তার ছবিও রেখে গেলেন ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৪২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

মানবী বলেছেন: "গাঁয়ের সেই অমায়িক - আত্মীয়র মতো মানুষও নেই ।"
- সত্যিই কি নেই!!এমন কি হতে পারেনা তাঁরা বরাবর একই রকম। একজন শিশু, কিশোর বা সদ্য তরুণ জীবনের জটীলতা, কুটিলতা সেভাবে উপলদ্ধি করতে অক্ষম বলেই সেসময় সব কিছুই সহজ সরল আর সুন্দর মনে হয়। কালক্রমে জীবন সংগ্রামে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে পৃথিবীর জটীলতাগুলো চিহ্নিত করতে পারে বলেই সবাইকে আর আগের মতো অমায়িক, সহজ মনে হয়না!


ছবি ৪,৫,২০-১৪ দেখে অসহায়ত্ব আর অপরাধবোধে মাথা নুয়ে আসে।
ছবি ৮-১৪ মনে করিয়ে দেয় ফুল হাতে এই নিষ্পাপ শিশুরা কতো অগুনিত মানুষের জীবনে নির্মল আনন্দ, মধুর কিছু স্মৃতি কতো সহজেই সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে।

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,



হতে পারে তারা বরাবরই একই রকম ! কিন্তু আমি যে দেখছি, কালক্রমে জীবন সংগ্রামে অর্জিত অভিজ্ঞতার চোখে
! তাই তো লিখেছি --- মানুষ এখন এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় পরিপাশ বেমালুম ভুলে গেছে মানুষ । জনমানুষের এই স্বার্থপরতার নিঠুর থাবার নীচে যে মানুষের সম্পর্কের অনেক ছিঁটেফোঁটাই বেঁচেবর্তে নেই, এ লেখা তাকেই স্মরণ করে ।
যেমনটা আপনিও লিখেছেন প্রকারন্তরে ।
আপনার মন্তব্যের এমন কি হতে পারেনা তাঁরা বরাবর একই রকম। এই লাইনটির ভেতরে যে আশা জিইয়ে রেখেছেন তেমন আশা নিয়েই তো আমাকে লিখতে হয়েছে ----
""তুমি যাবে ভাই
যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়
উদাসী বনের বায়.........

অনেক অনেক কাল ধরে শোনা এই কবিতার অমন আবেগীয় অনুভূতির মূর্চ্ছনা দিয়ে লেখাটি শুরু করতে পারলে ভালো হতো । ভালো হতো বলছি এ কারনে যে, এই অনুভূতিটা আজ যে জনে জনে মরে গেছে সেটা যদি না হতো। ""

সুন্দর ও আশাবাদী এই মন্তব্যে প্রীত ।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন এর পরবর্তী পর্বেও ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ছবি কথা বলে। নাকি বলেও বলেনা ?
আপনার পোষ্টে না আসাই ভাল ছিল । এত নেয়া যায় না।
সামু খুব স্লো । দিনের পর দিন চলে ত চলেই সমাধান দেখি না ।
আর ভাল লাগছে না ।
শুভেচ্ছা রইল জি এস ভাই ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,




কি অপূর্ব আর অভাবনীয় মন্তব্য ! আপ্লুত ।
ছবি কথা বলে আবার বলেও বলেনা , যদি তেমন ছবি হয় ।

হুমমমমমমমমমমম সামুর এই হালচাল ভালো লাগার কথা নয় তবুও আশায় আশায় থাকি সামু যদি আবার হেসেখেলে ওঠে !!!!

শুভেচ্ছা আপনাকেও । ভালো থাকুন সতত ।

৪৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

প্রামানিক বলেছেন: ছবি লেখা দুটাই ভালো লাগল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



অনেকদিন পরে দেখলুম । ভালোলাগলো দেখে আর মন্তব্য করাতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হৃদয়ের আয়নায় জমেছে অচেনা ছত্রাক
দূর্দান্ত আকাশ আলো ছড়িয়ে যায় অবলীলায়
অথচ আঁধার এখানে বিষাক্ত মৌহের জল পা্নে....

ছবির সংযুক্তি লেখাগুলোকে করেছে জীবন্ত, মনে দাগ কেটে যায় অনুভূতিগুলো, জাগিয়ে দেয় নিজেকে সত্যভাবে জানার গ্রন্থিগুলোকে । ভাল লেগেছে ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,



হৃদয়ের আয়নায় জমেছে অচেনা ছত্রাক হ্যাঁ.... ছত্রাক জমেছে চোখের আয়নাতেও । তাই সব কিছু হয়না গোচর, ঝাপসা ছাপ পড়ে শুধু , দাগ কাটেনা হৃদয়ে ।

সুন্দর মন্তব্যে কৃতার্থ ।
ভালো থাকুন । জেগে থাকুন ...............

৪৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

কালীদাস বলেছেন: ছবিগুলো হৃদয়স্পর্শী।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কালীদাস ,



এটুকু মন্তব্যে অনেক কিছু বলে গেলেন ।

ভালো লাগলো আপনাকে আর আপনার করা মন্তব্য দেখে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

দীপান্বিতা বলেছেন: অসাধারণ

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপান্বিতা ,



অনেকদিনের পরে আবার দীপ জ্বলতে দেখে ভালো লাগলো ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

৪৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

নীলপরি বলেছেন: বেদনাদায়ক । নিদারুন সত্য ।

দেখেও দেখার সময় পাই না হয়ত কেউ । আপনি দেখতে বাধ্য করলেন বলে ধন্যবাদ ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,



দেখেও দেখার সময় পাই না হয়ত কেউ.[/si.... ঠিকই বলেছেন । সময় পাইনে এ কারনে যে , দেখার মানসিকতাটাই হয়তো আমাদের হারিয়ে গেছে , সে বোধটুকুও হয়তো নেই ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে আর সাথে থাকার জন্যে তো বটেই ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: খুব খারাপ লাগে ভাই রাস্তায় এইসকল দৃশ্য দেখল! কিন্তু এটাও সত্য তারা এইভাবে জীবন যাপনকে মেনে নিয়েছে। অভ্যস্ত হয়ে গেছে তারা।
তবে জানেন, এদের মত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারাই রাষ্ট্রের সফলতার ভিত্তি! কিন্তু আমাদের.... :|

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,




রাস্তার ঐসব দৃশ্যকেই আবার আপনাদের অভ্যস্ত চোখে নতুন করে তুলে ধরেছি যাতে মানুষকে " মানুষ" বলে মনে হয় আর একবার ।

আপনার মন্তব্যের শেষেরটুকু নিয়ে অনেক কথাই বলা যায় । ব্লগ পরিসরে তা সম্ভব নয় । আর বললেও তো ফলাফলটা দাঁড়াবে আপনার সেই কিন্তু আমাদের.... :|

রাতের শুভেচ্ছা ।

৫০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। ভাল লেগেছে।

অঃ টঃ সব ছবিই ইন্টারনেট থেকে নেয়া?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা ,



ঃভালো লাগলো আপনার উপস্থিতি ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

হ্যা, সবটাই ইন্টারনেট থেকে নেয়া ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৫১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা ,



দুঃখিত, দেরী হলো জবাব দিতে অনিচ্ছাকৃত কারনে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয়তে রেখেছেন দেখে ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৫২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: এই পোস্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম। দেখতে পাচ্ছি না।

ছবির সাথে কথাগুলোও মনটা আবেগী করে দিয়েছিলো। কিছু একটা করি । করা হয় না।

দোয়া করবেন যেন কিছু করতে পারি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,




সম্ভবত কোথাও ভুল হয়েছে ! আমি কারো মন্তব্য ডিলিট করি না, তা যতোই অনাকাঙ্খিত হোক না কেন । তাই আপনার মন্তব্য এখানে থাকলে পরে না দেখার কোনও কারন নেই ।

হ্যাঁ.... সদিচ্ছা থাকলে পরে অনেক কিছুই করা যায় । ঈশ্বর আপনার সহায় হোন ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৫৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

অতৃপ্তচোখ বলেছেন:
গরীবের জন্মটাই কি আজন্ম পাপ! পৃথিবীতে কতো মানুষ কতোটাকা খরচ করে অথচ এইসব জনমদুখি মানুষদের দিকে একটু সুনজর দেওয়ার মানুষের বড়ই অভাব! হাসতে হাসতে মানুষ টাকা খরচ করছে অথচ দেখেন এমন দুটি শিশু পথের দ্বারে পড়ে রয়েছে হয়তো ক্ষুধার্ত, ক্ষুধার ভার সইতে না পেরে মাথা নুইয়ে দিয়েছে। ওদের কষ্টটা যতো বড়ই হোক, ওদের দাবিটা চাহিদাটা অত বড় নয়। অথচ সেই সামান্যতম চাহিদাও যেন পূরণ করতে পারছে পৃথিবী, পৃথিবীর মানুষ! আমি মফস্বলে থাকি তাই এমন অসহায় মানুষদের কাছ থেকে দেখা হয়ে ওঠে না। যখন ফেসবুকে এগুলো ছবি দেখি তখন মনে হয় মানুষ আমরা কতটা মানবতাহীন! এইসব ভাসমান মানুষদের প্রতি কী রাষ্ট্রেরও কোনো দায়িত্ব নেই! কিন্তু রাষ্ট্রের তো সেই দায়িত্ব থাকার উচিৎ ছিল।

আপনার পোষ্টের ছবিগুলো দেখে উক্তিগুলো পড়ে মানুষ হিসেবে নিজেকে অপরাধী ভাবছি। সত্যিই তো! আমি নিজেও তো খুঁজে দেখি না আশপাশে কোন মানুষ না খেয়ে কষ্ট করছে কি না!

সকল দুঃখী মানুষের দুঃখে অবসান হোক। পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এইসব শিশুদের দিকে সকল মানুষের সুদৃষ্টি পড়ুক মহান আল্লাহর কাছে এই কামনা।

আপনার পোষ্টটি সকল মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিক মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি দায়িত্ব কতটুকু।
আপনাকে অনুসরণ করছি স্যার। কিছু মনে করবেননা। আপনার প্রতিটি পোষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। শুভকামনা সবসময়

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অতৃপ্তচোখ ,




স্বাগতম আমার ব্লগে ।
আপনার এই মন্তব্যটি আমার লেখাটিতে আরও বেশি সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে ।

অনুসরণ করাতে ধন্যবাদ ।
সাথেই থাকুন এবং ভালো থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৫৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অর্থনৈতিক ভাবে প্রান্তিক ও কায়িক শ্রমজীবী মানুষের করুণ তথাপি সংগ্রামের জীবনের অপুর্ব ছবি গল্প!

যেদিন রাষ্ট্রের মৌলিক ফেসিলিটি প্রাপ্ত নাগরিকের তালিকায় ইনারা ইঙ্কলুডেড হবে, ইনাদের জীবনের মান ও নিরাপত্তা শঙ্কা মুক্ত হবে, এই একই ঠিকানা হীনতার স্রোতে ধেয়ে আসা সম্ভাব্য মানুষের মিছিল বন্ধ হবে সেদিন চর্চায় আমাদের স্বাধীনতা অর্থবোধক হবে। আমাদের রাষ্ট্র গঠন স্বার্থকতায় সিক্ত হবে। অনেক পথ পাড়ি দিতে বাকি।

লক্ষ ভুলে উপলক্ষ নিয়ে,
গন্তব্য ভুলে রাস্তা নিয়ে,
ভীশন ভুলে মিশন নিয়ে.।.। আমরা বড্ড ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।

আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি মৌলিক চাহিদার বাস্তবায়ন,
নাগরিকতার বোধ আমাদের গন্তব্যে তাড়িত করুক।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,




নিরুদ্দেশ এই পথিককে আমার ঘরে স্বাগতম ।

চমৎকার বলেছেন --
" লক্ষ্য ভুলে উপলক্ষ্য নিয়ে,
গন্তব্য ভুলে রাস্তা নিয়ে,
ভিশন ভুলে মিশন নিয়ে.।.। আমরা বড্ড ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। "

আপনার ঐ লাইনগুলোর সাথে ঐক্যতান মিলিয়েই তো শুরুতে লিখেছি --
মানুষ এখন এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় পরিপাশ বেমালুম ভুলে গেছে মানুষ । জনমানুষের এই স্বার্থপরতার নিঠুর থাবার নীচে যে মানুষের সম্পর্কের অনেক ছিঁটেফোঁটাই বেঁচেবর্তে নেই, এ লেখা তাকেই স্মরণ করে ।


ভালো লাগলো আপনাকে দেখে । সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৫৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক স্পর্শকাতর ছবি সহ বেদনা দায়ী পোষ্ট। এই মুহূর্তে আমার চোখ টলোমলো কিন্তু এটি খুবই সাময়িক এই ব্লগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমি আবার আগের মত হয়ে যাবো। এই শিশুদের দিকে নির্লিপ্তভাবে তাকাবো কারো করুন মুখছবি দেখে হয়তো ফুল না কিনে পাঁচটা টাকা ধরিয়ে দেবো তারপর আরো অসংখ্য শিশু যখন আসতে থাকবে তখন মুখ ফিরিয়ে নেব আর এদের জন্ম দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেবার জন্য এদের বাবা মাকে ভীষন গালি দিতে থাকবো তারপর অশিক্ষিত অসচেতন মানুষগুলির ব্যাপারে সরকারের করনীয়,ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে মনে মনে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকবো কিন্তু তাতে কিছুই বদলাবেনা এই শিশুরা অসহায়ই থেকে যাবে ছেলেরা অপরাধ কর্মে ঢুকে যাবে মেয়েরা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়বে বা পাচার হবে। আমি আবারও হয়তো নুতন কোন শিশুকে দেখে ফুল না কিনে পাঁচটি টাকা ধরিয়ে দিয়ে মনে শান্তনা পাওয়ার চেষ্টা করবো নাহলে রোবোটের চোখে তাকিয়ে দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে নেবো।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,




আমাদের মননে আবেগীয় মুর্ছনার অনেকটাই বেসুরো হয়েছে বা হারিয়ে গেছে বলেই যা যা বলেছেন তেমনটাই তেমনি করেই ঘটে।
" জীবন যেখানে যেমন.." এখন হয়েছে " জীবন এখানে এমন..." এসবই আমাদের চারিধারের ক্যালিডোস্কোপিক চিত্র, হরেক হতাশার রং নিয়ে পাল্টে পাল্টে যাওয়া শুধু।

ধন্যবাদ, সুন্দর একটি সত্য মাখানো মন্তব্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.