নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা । ব্যক্তি ও স্বাধীনতা : একটি সোনার শেকল ...........

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২২

স্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা ...........


ব্যক্তি ও স্বাধীনতা : একটি সোনার শেকল...

শিরোনামের বক্তব্যটি বুঝতে কষ্ট হবারই কথা । স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কতো কথাই তো বলি । বলি দেশের স্বাধীনতার কথা , কথা বলার স্বাধীনতার কথা, ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা , অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা ইত্যাদি ইত্যাদি সহ মানুষের সর্বপ্রকার স্বাধীনতার কথা বলি । আসলে আমি -আপনি বলেই খালাস । কিন্তু স্বাধীনতা বলতে আসলে আমি -আপনি কিছু বুঝি কি ? স্বাধীনতা আসলে কি ?

বাংলা একাডেমীর “ব্যবহারিক বাংলা অভিধান”য়ে “স্বাধীনতা” শব্দটির অর্থ দেয়া হয়েছে এভাবে -
১ ) স্বচ্ছন্দতা ।
২ ) বাধাহীনতা ।
৩ ) আজাদি । আজাদির অর্থে বলা হয়েছে - মুক্ত, নিষ্কৃতিপ্রাপ্ত ।

http://www.dictionary.com/ এ স্বাধীনতা বা independence এর অর্থ করা হয়েছে এমনটা - ফ্রীডম ফ্রম কন্ট্রোল, ইনফ্লুয়েন্স, সাপোর্ট, এইড, অর দ্য লাইক, অব আদারস ।

http://dictionary.cambridge.org/ স্বাধীনতার অর্থে বলেছে - দ্য এ্যাবিলিটি টু লিভ ইয়োর লাইফ উইদাউট বিয়িং হেল্পড অর ইনফ্লুয়েন্সড বাই আদার পিপল ।

আর যদি স্বাধীনতার ইংরেজী Freedom বা Liberty ধরি তবে সব খানেই আপনি এ রকম ধারনা পাবেন -----

দ্য পাওয়ার অর রাইট টু এ্যাক্ট, স্পিক, অর থিংক এ্যাজ ওয়ান ওয়ান্টস উইদাইট হিন্ডারেন্স অর রেসট্রেইন্ট ।
অথবা -
ইগজেম্পশন ফ্রম এক্সটার্নাল কন্ট্রোল, ইন্টারফারেন্স , রেগুলেশান এটসেটরা ....

এগুলো দিয়েও কিন্তু Freedom বা Liberty বা স্বাধীনতার স্বাদ ঠিকঠাক চেখে দেখা দুঃষ্কর । কারন, পৃথিবীর হাতে এ পর্যন্ত স্বাধীনতার একটিও ভালো সংজ্ঞা নেই ।



এ তো গেলো বই পুস্তকের কঠিন কঠিন সব কথা ! আর আমরা আমজনতা সোজা কথায় স্বাধীনতা বলতে যা বুঝি তা হলো নিজের ইচ্ছে মতো চলা । এ চলায় যেন কেউ বাঁধা না দেয় । এই তো ? আমরা সবাই স্বাধীন । আমি স্বাধীন , তুমি স্বাধীন , আপনি স্বাধীন, সে স্বাধীন, জব্বার স্বাধীন , সুকুমার স্বাধীন, মনোয়ারা স্বাধীন , জয়া স্বাধীন মায় রিক্সাওয়ালা, ফেরীওয়ালা, মাছওয়ালা এমনি করে সতের কোটি লোকই স্বাধীন । এমনকি কোলের শিশুটি পর্যন্ত স্বাধীন । কেউ কারো স্বাধীনতায় হাত দেয়ার প্রশ্নই আসেনা । এটাই আমরা বুঝি মোটা দাগে ।

দেশ-কাল-পাত্রে ব্যক্তিই তো মূখ্য, তাই ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রসঙ্গেই বলি । দেখা যাক, আমি- আপনি স্বাধীন বলে যে বগল বাজাই তা কতোখানি আর কি রকম শব্দ করে ।

আপনার ইচ্ছে হলো আপনি এখন রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটবেন । একে তো আপনি এই দেশের একজন মালিক তার উপরে স্বাধীন । আপনাকে ঠেকায় কে ? কিন্তু বাস্তবে আপনি তা করেন না । কেন করেন না ? রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে গেলে যানবাহনের চলাচলে আপনি যে একটি বাঁধা এবং আপনি যানবাহনের চলাচলের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেন , সেটা ভেবে নিশ্চয়ই আপনি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটা বন্ধ করেন না । রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটা বন্ধ করেন এই কারনে যে, আপনি গাড়ীঘোড়ার নীচে পড়ে ভবলীলা সাঙ্গ করতে চান না । বউ বিধবা এবং ছেলেমেয়েরা এতিম হতে পারে ভেবে। নিজের স্বার্থটাকে বা ভালোটাকে আগে দেখেন । ঠিক তো ?

এই “ নিজের স্বার্থটাকে বা ভালোটাকে আগে দেখা ”র কথা মাথায় রাখুন ।

আবার আপনার ইচ্ছে হলো, ঘরের মধ্যে গলা ছেড়ে গান গাইবেন । আপনার ইচ্ছে । ঠিক আছে, আপনি স্বাধীন তাই কারো কিছু বলার নেই । কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন ঘরে আপনার বাবা-মা - ভাই-বোন- স্ত্রী-সন্তানও আপনার মতোই স্বাধীন ? আপনার গলা ছেড়ে গান গাওয়াতে আপনার বাবার ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে , আপনার বোনটির লেখাপড়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে , স্ত্রীর মাথা ধরতে পারে , আপনার সন্তানটির ঘুম চটকে গিয়ে তারস্বরে চীৎকার জুড়ে দিতে পারে ? তারাও তো আপনার মতোই স্বাধীন । তাই আপনি আপনার বাবার ঘুমের স্বাধীনতাকে নষ্ট করতে পারেন না । আপনার বোনটির লেখাপড়ার স্বাধীনতাকে শিকেয় তুলতে পারেন না । না কি তারা কেউই আপনার মতো স্বাধীন নয় ? স্বাধীন শুধু আপনি একা ? আপনি যদি স্বাধীনতাকে অধিকার মনে করেন তবে সবাই সে অধিকার আপনার মতোই সংরক্ষন করেন । তাই আপনি যদি “স্বাধীনতা” য় বিশ্বাস করেন তবে আপনি গলা ছেড়ে কিছুতেই গান গাইতে পারবেন না । আপনাকে একান্ত নিভৃতে গান গাইতে হবে যাতে অন্য কারো স্বাধীনতা বিচ্ছিন্ন না হয় । এর সোজা অর্থ, আপনার গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছে করলেও তা পারবেন না যদি আপনি অন্যের স্বাধীনতাতেও বিশ্বাসী হন ।
কারন লিবার্টি বা ফ্রিডম শব্দটির এই যে দ্যোতনা “ ইগজেম্পশন ফ্রম এক্সটার্নাল কন্ট্রোল, ইন্টারফারেন্স , রেগুলেশান...” এর সবটাই আপনার পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্যে প্রযোজ্য ।
আপনি নিজের স্বার্থটাকে আগে দেখেন বলেই গলা ছেড়ে গান গাইতে আপনার বাঁধেনা ।

এভাবে --------

আপনার ইচ্ছে হলো ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকবেন । কিন্তু আপনি তা পারবেন না । কারন, আপনার এই পথ আগলে থাকার কারনে অন্য পথচারীদের চলা বাঁধাপ্রাপ্ত হবে । তারাও আপনার মতো স্বাধীন বলে বাঁধাহীন ভাবে পথ চলতে চাইতে পারেন । ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থেকে পথচারীদের স্বাধীনভাবে চলার স্বাধীনতাকে আপনি বাঁধা দিতে পারেন না । এর অর্থ , ইচ্ছে হলেও আপনি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না । অন্যের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানাতে চাইলে আপনি পথ আটকে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকবেন না ।
আপনি নিজের স্বার্থটাকে ষোলআনা বোঝেন বলেই পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকেন ।

ইচ্ছে হলেই মাইক বাজিয়ে আপনার পণ্যের প্রচার, গানা-বাজনা বা ওয়াজ-নসিহত করতে পারবেন না । কারন, আপনার এই কাজ বাদবাকীদের নির্বিঘ্ন জীবন যাপনের স্বাধীনতার পরিপন্থী । এভাবে আপনি কিছুতেই শব্দদূষন করতে পারেন না যাতে অন্যের শান্তি বিঘ্নিত হয় । এটা অন্যের জীবনে আপনার সরাসরি ইন্টারফারেন্স । তাই ইচ্ছে হলেই আপনি যখন তখন মাইক বাজাতে পারবেন না ।
আপনি নিজের স্বার্থটাকে আঠারোআনাতে তুলে নেন বলেই দিন রাত্তির মাইক বাজাতে দ্বিধা করেন না ।

বাক স্বাধীনতা আছে বলে, ইচ্ছে হলেই যাকে তাকে যখন যা খুশি বলবেন ? আপনি তা পারবেন না । আপনার যা খুশি তা বলা অন্যের সম্মানহানী করতে পারে । এটা সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী । সঙ্গত কারন ছাড়া আপনার এরকম স্বাধীনতা কারো মানসিক এবং সামাজিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল । আপনি নিজের স্বাধীনতায় সত্যিকারের বিশ্বাসী ও আস্থাবান হলে অন্যের এমন স্বাধীনতার ব্যাপারেও উদাসীন থাকতে পারেন না ।
আপনার স্বার্থের কারনেই, যাকে তাকে যখন যা খুশি বলা থেকে বিরত থাকেন না ।

হাইফাই মোবাইল কিনবেন বলে বাবার সাথে টাকার জন্যে ঘ্যানর ঘ্যানর করবেন , তা হবেনা । আপনার নিজের বাবা বলেই যে এমন স্বাধীনতা আপনার আছে , এটা ভাবা স্বেচ্ছাচারিতা । বাবার মাথায় টাকার বোঝা চাপিয়ে আপনি তার জন্যে মানসিক অশান্তি , তার আর্থিক ক্ষমতার উপর চাপ প্রয়োগ কিম্বা পারিবারিক দুঃস্বপ্ন ডেকে আনতে পারেন না ।
তেমনি আপনার বাবাও পারেন না, পড়া থেকে উঠিয়ে আপনাকে ইচ্ছের বিরূদ্ধে বাজারে পাঠাতে ।
আপনাদের নিজস্ব স্বার্থের কারনেই আপনারা এসব করে থাকেন ।

এই যে ক'দিন আগে শুধুমাত্র একজন ফাঁসির আসামী ড্রাইভারকে বাঁচাতে আমাদের পরিবহন শ্রমিকেরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা বা অধিকারের নামে সারা দেশকে জিম্মি করে রাখলেন , এটা যদি স্বাধীনতার চেহারা হয় তবে এর চেয়ে বড় স্বেচ্ছাচার আর অরাজকতা কোনটি ?



এভাবে আপনি এতোদিন ধরে যা যা করে এসেছেন তার কোনটিই সম্ভবত “ স্বাধীনতা” শব্দটির সত্যিকারের অর্থের সাথে সংঘাতবিহীন নয় । ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে এসব-ই আপনার স্বেচ্ছাচারিতা । হয়তো কেউ কিছু বলেনি । বলেনি, কারন স্বাধীনতার অর্থটিই তাদের জানা নেই । জানা নেই, এর সীমানা কতোটুকু ; এর পরিধিই বা কতোখানি বিস্তৃত ।


আমি বলি - স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।
এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।



সিদ্ধান্তে আসার আগে আপনি সত্যিকারের স্বাধীনতার সীমা , পরিধি, ব্যপ্তি সম্পর্কে মনীষীদের এই কথাগুলো একবার ভেবে দেখতে পারেন ........................

















এই ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে বা ছাঁচে ফেলে নাগরিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি স্বাধীনতার পায়ে শেকল পড়িয়ে দেখুন কতোখানি জায়গা ( স্পেস ) ছেড়ে দেবে তা আপনাকে .......................

কৃতজ্ঞতা - সকল ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া । কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, এইসব ছবির প্রকৃত দাবীদারদের ।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

পুলহ বলেছেন: পোস্টের শিরোনামটা ব্যাখ্যা করেছেন সহজবোধ্য এবং আমাদের মাঝে প্রচলিত নানা অভ্যাস, কর্ম আর মানসিক 'অরিয়েন্টেশন'এর মাধ্যমে...
মনীষীদের উক্তিগুলো বেশিরভাগই গভীর, ব্যক্তিগতভাবে আমার সব থেকে ভালো লেগেছে এপিকিরাস এর বক্তব্য।
নেলসন ম্যান্ডেলার বক্তব্যটাই সম্ভবত আপনার পুরো পোস্টের সারমর্ম।
এবার একটা হাস্যকর কথা বলি- আপনার পোস্ট পড়তে পড়তেই হঠাত আমার কেন যেনো মনে হলো- ভবিষ্যতের কোন রোবট হয়তো প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে পারবে ! কারণ সে তার স্বাধীনতার যথেচ্ছ ব্যবহার না করার ব্যাপারে প্রোগ্রামড হওয়ার কথা এবং একইভাবে ঐ ডিরেক্টিভ পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে বাধ্য !
শুভকামনা জানুন ভাই !

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ ,




সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আগেই ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি ।

আর "রোবট হয়তো প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে পারবে" বলেছেন । এটাও ঠিক বলেন নি । ফ্রাঙ্কেনষ্টাইনের উদাহরন কিন্তু অন্য কথা বলে ।
যাকগে , স্বাধীনতা মানে কিন্তু কিছু না করতে পরে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা নয় । উপরের ছবিতে যেটা বলেছেন, জীন দ্য লা ব্রুয়েরী । আর এটা তো বলাই আছে ---
স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।
এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।


উপরের মূল্যবান কথাগুলো থেকে আপনার সিদ্ধান্তে আসুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: পান্ডিত্য!!

পোস্টের মূর্তি না সরালে তো ........

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,



মন্তব্যের প্রথম অংশটুকুর জন্যে ধন্যবাদ ।

শেষের অংশ সম্পর্কে বলি , আপনার সতর্কবানী সম্পর্কে যথেষ্ঠ ওয়াকিবহাল আছি ।

মূর্তিটা তো খাড়াইয়া আছিলো পেরথম । আমিই না চেইনে বাইন্ধা হেরে হোয়াইয়া ফালাইছি সরানোর লাইগ্গা । শইলে হেইরাম শক্তি নাই যে একলা একলা সরাইতে পারমু ঐ পাত্থর । আফনেরা যদি এট্টু হাত লাগাইতেন .......... :P :-P :|| B:-/

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই লেখায় আমি স্বাধীন ভাবে যদি কিছু বলি তবে লেখকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হতে পারে তাই কিছুই বলছি না।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,



হা ....হা...হা.... ভালোই বলেছেন । B-)

কিন্তু আমি যে বলেছি সোনার শেকলের কথা । আপনার পায়ে বাধা এই শেকলটি থাকলে পরে কার কার স্বাধীনতার কলাগাছটি আপনি নিশ্চিন্তে খেয়ে যেতে পারবেন , তা নির্ভর করবে আপনার চেতনার পায়ে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কদ্দুর ! !:#P :(

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: "Freedom is a luxury not everyone can afford to have"
খাসা কথা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ,




ঠিক কথাটিই বেছে নিয়েছেন ।
ধন্যবাদ ।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
Colonialism পার হয়ে imperialism-এ আবদ্ধ স্বাধীনতা। আর কত বিষাদসিন্ধু পার হতে হবে।
তবে সমাজন্ত্রের কথা বলিলে অনেকেই নাৎসিদের প্রসঙ্গ তুলে আমাদের কটাক্ষ করেন।আমি বলি নাৎসিরা মরে নাই, সাম্রাজ্যবাদের মধ্যেই তাহারা বাঁচিয়া আছে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুশি-১৯৯৪ ,



স্বাধীনতা কোনও "ইজম"য়ে আটকে নেই । অথবা কোনও ইজম-ই তাকে মুক্তি দিতে সক্ষম নয় । স্বাধীনতা নিজের ফাঁদেই নিজে আটকা পড়ে আছে ।

মানুষ নিজেই নিজেকে ইজমে জড়ায় নিজের স্বার্থসিদ্ধির চিন্তা বা ধারনাকে আঁকড়ে ধরে । তাই, কেবলমাত্র ব্যক্তি মানুষই পারে তাকে অবারিত করতে ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

বিজন রয় বলেছেন: এত সুন্দর পোস্টে অন্য কথা বলা ঠিক না।

তবু বলি............. একটি অবলা, নিশ্চল, স্থির, নিরব পাথরের মূর্তির কি অসম্ভব ক্ষমতা!!!!!

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,



অন্যকথা বলা ঠিক না হলেও বেঠিক কথার একটা জবাব তো প্রত্যাশিত ? তাই আমিও একটু অন্যকথায় জবাব দেই ।

আপনি কোন দৃষ্টকোন বা ফিলোসফি থেকে অন্যরকম কথাটি বললেন তা বুঝে উঠতে পারিনি । তবে যে ফিলোসফি বা দৃষ্টকোন থেকেই দেখুন না কেন , আসলে মূল কথাটি হলো এই - কোনও মুর্ত্তিরই, তা পাথর কিম্বা মাটিরই হোকনা কেন , অসম্ভব বা সম্ভবপর কোনও ক্ষমতাই নেই । মুর্ত্তি ক্ষমতাহীন, নির্জীব, নিঃশ্চল ।
মুর্ত্তি বা ভাস্কর্য্যের স্রষ্টা যে চিন্তা চেতনা বা আঙিক থেকে মুর্ত্তি বা ভাস্কর্য্য গড়েন তা-ই একমাত্র সত্য । মুর্ত্তি বা ভাস্কর্য্যের ভেতরে স্রষ্টার চেতনা - চিন্তাই প্রতিভাত হয় ।
যদি মুর্ত্তি বা ভাস্কর্য্যের ক্ষমতার কথা বলেন তবে সেটা পাথর বা মাটি বা কাপড়ের মুর্ত্তি স্রষ্টার চিন্তার ক্ষমতা । মুর্ত্তির নয় ।
মুর্ত্তির দ্যোতনা হলো স্রষ্টার মুখোশ, স্রষ্টার চিন্তাটাই মুখশ্রী ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট, প্রিয়তে নিলাম । শুভ কামনা রইল ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফাতিমা জান্নাত ,



ঋনী করে রাখলেন আমায় ।
অফুরান শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যেও ।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, স্বাধীনতা তাহলে রাখলেন কই, সবই তো আটকা পড়ে আছে নিজের দায়িত্বশীলতার কাছে।

খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন, ভালো লাগলো। আমাদের নিজেদের দায়িত্বটুকু ঠিকঠাক পালন করতে পারলেই স্বাধীনতাকে সম্মান শ্রদ্ধা করা হয়ে যায়। আসলে আপনার পোষ্টের মতো করে আমরা কেউ ভাবিই না কোন সময়। ভাবিইনা আমার স্বাধীনতারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে, অন্যে স্বাধীনতা হরণ করতে পারিনা কোনভাবেই।

শুভেচ্ছা রইল ভাই।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,



খুব সুন্দর মন্তব্য ।
আসলে আমাদের স্বাধীনতা তো সবটাই আটকা পড়ে আছে নিজের দায়িত্বশীলতার কাছে।
আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটির জন্যেই তো বলেছি - ..... এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।।

শুভেচ্ছান্তে ।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি চাই নাই এই পুস্ট পড়তে, কিন্তু আপনার জ্বালাময়ী লেখা আমাকে পড়তে বাধ্য করলো, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলো X((

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন, আপনার সচেতনতার শেকল ততোটাই লম্বা, যেটুকু লম্বা হলে এই পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করতে পারলেন আপনার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সত্বেও । B:-/
শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন:
স্বাধীনতা হলো নিজস্ব ইচ্ছেগুলোকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া ।

আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখাটুকু সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে স্বাধীনতা মানে কী । লেখাটা বেশ ভালো লাগলো ।

আর উপরের ছবিটাও একটা অর্থ বহন করে যে আপনি ইচ্ছে করলেই নেংটু হয়ে চলতে পারবেন না, একদম শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়া হবে ! :P

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,



হা...........হা...........হা........... =p~
আপনি স্বাধীন বলেই যে নেংটু হয়ে রাস্তায় রাস্তায় দৌঁড়ুবেন তা পারবেন না । ওটা পাবলিকের কাছে দৃষ্টিকটু লাগতে পারে , তাদের সুড়সুড়ি দিতে পারে । এমন স্বেচ্ছাচারিতা পাবলিক ন্যুইসেন্স হবে । পাগলা গারদেও যেতে হতে পারে আপনাকে।
এরকম একটা উদাহরণও আমি মূল পোস্টে দিতে চেয়েছিলুম । দেয়া হয়নি অথচ আপনি তা দেখিয়ে গেলেন ।
ধন্যবাদ ।

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা !
আমি বলি - স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।
এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।


দায়িত্বশীলতা ,বিচক্ষনতা, চেতনা তিন কী ওয়ার্ড !

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,




আপনিও বলেছেন চমৎকার, তিনটি কী ওয়ার্ড দিয়ে ।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: মোদ্দা কথা, যত বেশি স্বাধীন তত বেশি পরাধীন, তত বেশি দায়িত্ববোধ, তাইতো? বড় হবার পর এটা উপলব্ধি করেছি। যখন ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম বড় হলে স্বাধীন হয়ে যাব। আর বাবা মায়ের রেস্ট্রিকশন থাকবেনা। নিজের ইচ্ছামত চলতে পারব। কিন্তু বড় হয়ে দেখলাম আক্ষরিক অর্থে ঠিকই স্বাধীন হয়েছি কিন্তু দায়িত্ববোধের কারণে এখনই সবচেয়ে পরাধীন। চাইলেই যা ইচ্ছে তা করতে পারিনা।

ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,




আপনিও খুব সুন্দর করে নিজ-বোধ এর কথা বলে গেলেন ।
আসলেই ইচ্ছে করলেই আমরা সব পারিনে । দায়িত্ব, কর্তব্য, রুচি, শিক্ষা, চেতনা আমাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে সীমার মাঝে বেঁধে ফেলে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন স্বাধীনতার সংজ্ঞায় সময় ও দেশকে যুক্ত করার দরকার; কারণ, সময়ের সাথে মানুষ দেশের নাগরিক হিসেবে বাস করছেন।

স্বাধীনতা হচ্ছে, আইন ও সংবিধানের মাঝে, নিজের অধিকার সংরক্ষাণ ও দায়িত্বপুরণের সর্বোচ্চ প্রচেস্টা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,



আপনার কাঙ্খিত বিষয়গুলোর কথাও বলা আছে এখানে -

*** দেশ-কাল-পাত্রে ব্যক্তিই তো মূখ্য, তাই ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রসঙ্গেই বলি ।
এর সূত্র ধরেই এসেছে -
***এই ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে বা ছাঁচে ফেলে নাগরিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি স্বাধীনতার পায়ে শেকল পড়িয়ে দেখুন কতোখানি জায়গা ( স্পেস ) ছেড়ে দেবে তা আপনাকে .......................

এখানে "ইত্যাদি" বলতে বাকী যে সব রয়ে গেছে তাদের সবগুলোকেও ছাঁচে ফেলে দেখার কথাও বলেছি ।

ভালো লাগলো মন্তব্যখানি ।

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিষাদ সময় বলেছেন: পোস্টটি পড়ে ভাল লাগল। স্বাধীনতা নিয়ে তাৎপর্য্যপূর্ন এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। সবটুকু ঠিক বুঝতে পেরেছি কিনা জানিনা। যতটুকু বুঝেছি তা থেকে মনে হচ্ছে স্বাধীনতার একটি দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাহলো ইন্টারনাল চেইন (যেমন- সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে । ) কিন্তু যতটুকু জানি স্বাধীনতাকে তাৎপর্যপূর্ন এবং অর্থবহ করতে কিছু এক্সটার্নাল চেইন এর প্রয়োজন আছে যেমন: আন্তর্জাতিক আইন, রষ্ট্রীয় আইন, ধমীয় আইন, সামাজিক আইন ইত্যাদি



১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিষাদ সময় ,



খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখলে দেখবেন, ইন্টারনাল আর এক্সটার্নাল চেইন আমরা যাদেরই বলিনা কেন তা মানুষকেই তো বেঁধে রাখবে ! কিন্তু রাখে কি ? মানুষই তো তা মেনে চলবে ! চলে কি ? যদি আন্তর্জাতিক আইন, রষ্ট্রীয় আইন, ধমীয় আইন, সামাজিক আইন ইত্যাদি মানুষ মেনেই চলতো তবে পৃথিবীর এই হাল হয় ? আমি আপনি কি হবহু সেগুলো মেনে চলি ? চলি না , এটাই মোদ্দা কথা ।
মানুষ চলে তার নিজের মর্জিতে , নিজের স্বার্থ যে আইনে বা প্রেক্ষাপটে বেশি সংরক্ষিত হয় সেটা্কেই সে বেছে নেয় । তাই পৃথিবীতে ব্যক্তিই মুখ্য বলে ব্যক্তি স্বাধীনতার আলোকে স্বাধীনতার স্বরূপ উদঘাটন করতে চেষ্টা করেছি । পোস্টে দেয়া উদাহরনগুলো ভালোভাবে পড়ে দেখলে দেখবেন, আপনার সকল প্রশ্নের মোটামুটি একটা জবাব দেয়া আছে সেখানে
যেহেতু আমি লিখেছি ---- স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কতো কথাই তো বলি । বলি দেশের স্বাধীনতার কথা , কথা বলার স্বাধীনতার কথা, ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা , অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা ইত্যাদি ইত্যাদি সহ মানুষের সর্বপ্রকার স্বাধীনতার কথা বলি । আসলে আমি -আপনি বলেই খালাস । কিন্তু স্বাধীনতা বলতে আসলে আমি -আপনি কিছু বুঝি কি ? স্বাধীনতা আসলে কি ? ................... দেশ-কাল-পাত্রে ব্যক্তিই তো মূখ্য, তাই ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রসঙ্গেই বলি ।
এবং সেভাবেই স্বাধীনতাকে বোঝাতে চেয়েছি ।

স্বাধীনতাকে তাৎপর্যপূর্ন এবং অর্থবহ করতে ব্যক্তি মানুষই যথেষ্ট ।

জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ওরে যদি কিছু পরাইতেন!

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী ,




পরাইতে পারা যাইতো তয় হেতে না থাকতো শিল্প , না থাকতো শৈল্পিকতা । :||
ওটা যার যেমন অভিরূচি ।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটা বন্ধ করেন এই কারনে যে, আপনি গাড়ীঘোড়ার নীচে পড়ে ভবলীলা সাঙ্গ করতে চান না । বউ বিধবা এবং ছেলেমেয়েরা এতিম হতে পারে ভেবে। নিজের স্বার্থটাকে বা ভালোটাকে আগে দেখেন । ঠিক তো ? একদম ঠিক।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী ,





হা.........হা..........হা........ একদম খারাপ কিছু বলিনি তাহলে ?

এমনটা এবং অনেক কিছুই মানুষ তার স্বার্থটাকে বা ভালোটাকে আগে হিসেব করেই করেন , কোনও ইজম বা নীতি মেনে নয় কিম্বা অন্য সকল নিয়মকানুনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেও নয় ।

১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২২

নীলপরি বলেছেন: যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে । ----

খুব ভালো লাগলো ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,




ভালো লাগলো আপনার তিন শব্দের মন্তব্যটুকুও ।

১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পুরোটা পড়িনি তবে এবার মনোযোগ সহকারে পড়বো, উপরের সংজ্ঞা সহ রেফারেন্স লিংকটা খুবসুন্দর হয়েছে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,




পড়ুন , মতামত ও রাখুন ইচ্ছে হলে ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার যেমন স্বাধীনতাবোধ, অধিকার, তেমনি রাম-শ্যামেরও।। এখানে রাম-শ্যাম থেকে আমা কে প্রাধান্য দিলেই আমি স্বৈরাচারী!!
আবার এই ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে আমাকে রাজাকার বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার ইচ্ছেরও পক্ষপাতি না!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



রাম-শ্যাম থেকে আপনাকে প্রাধান্য দিলেই তো আপনি সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেন , তাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন । আপনার পায়ের শেকলটা তখন ছিঁড়ে যায় ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৯

জেন রসি বলেছেন: এই পোস্টটির অপেক্ষায় ছিলাম। আপনার কোন এক পোস্টে এ বিষয়টি নিয়ে খুব হালকা চালে কথা হয়েছিল। আপনি বলেছিলেন বিষয়টি নিয়ে লিখবেন। তাই প্রথমেই এমন স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সে আদিম সমাজ থেকেই মানুষকে একে অপরের সাহায্য নিয়ে সারভাইভ করে আসতে হয়েছে। মানুষ একা বেঁচে থাকতে পারেনা। আর পরস্পরের প্রতি এ নির্ভরশীলতার কারনেই সমাজ, সামাজিক প্রথা, ধর্ম, অর্থনৈতিক কাঠামো, আইন কানুন এসবের সৃষ্টি হয়েছে।আবার এসব থেকেই শাসকের জন্ম হয়েছে। খারাপ শাসকদের বিরুদ্ধে শোষিতরা বিদ্রোহ করে নতুন সামাজিক প্রথার জন্ম দিয়েছে অনেকবারই। আমরা ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখি মানুষ বারবার স্বাধীন হয়েছে। আবার পরাধীন হয়েছে। বারবার মানুষ বিদ্রোহ করেছে। পূর্বপুরুষরা যেটাকে স্বাধীনতা বলে মনে করত, পরের প্রজন্ম এসে সে কাঠামো ভেঙ্গে ফেলে মুক্ত হতে চেয়েছে। এভাবে মানুষের স্বাধীনতার ধারনাও বারবার পরিবর্তিত হয়েছে।একসময় বাজারে মানুষ কেনা বেচা চলত! আর এখন মানুষ ব্যাক্তি স্বাধীনতা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। এমন সামাজিক বিবর্তন ভবিষ্যতেও হবে সেটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়। এসব আমরা সবাই জানি। কিন্তু মূল সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আপনার পোস্টের আলোকেই আমার মাথায় কিছু ভাবনার উদয় হয়েছে।

প্রথমেই আপনার উত্তর দিয়েই শুরু করা যাক। আপনি বলেছেন স্বাধীনতা হচ্ছে একটা সোনার শেকল। বাস্তবিক অর্থে এ সোনার শেকলটা আসলে কি। আমি যদি বলি সেটা আমাদের সামাজিক প্রথা, ধর্মীয় প্রথা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, আইন কানুন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা সহ আরো অনেক কিছুর সংমিশ্রন তবে কী ভুল হবে? কারন সেসবই ঠিক করে দেয় একজন ব্যাক্তি মানুষের স্বাধীনতার সীমা। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই সেসব মেনে চলে। পাকিস্তানে ধর্ম নিয়ে বিদ্রুপ করলে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা আছে। আবার আমেরিকায় দেখি জেসাসকে বিদ্রুপ করে ডকুমেন্টারি বানানো হচ্ছে। আমাদের দেশে লিভ টুগেদার করলে সেটাকে স্বেচ্ছাচারিতা ধরা হয়। ইয়ুরোপে সেটা ব্যাক্তি স্বাধীনতার ব্যাপার!( খুব স্থূল কিছু উদাহরন দিলাম)। এমন অনেক কিছুই বলা যায়। কোথাও ছয় ঘণ্টা কর্মদিবস করা হয়। আর আমাদের দেশে ওভার টাইম করে শ্রমিক মাথা ঘুরে পরে যায়! না তাকে কিন্তু কেউ বাধ্য করছেনা। সে নিজে সারভাইভ করার প্রয়োজনেই সেটা করছে। এখন ব্যাপার হচ্ছে এমনটা সবাই কিন্তু মেনে নেয়না। কারো কারো মনে হয় না এসব প্রথা, আইন কানুন আমাদের পরাধীন করে রেখেছে। তারা তখন বিদ্রোহ করে। আর এই বিদ্রোহ থেকেই পাল্টা একটা ইজমের জন্ম হয়ে যায়। যেমন আধুনিক সময়ে কম্যুনিজম, ফেমিনিজম, এথিজম এমন অনেক রকম ইজমের কথা বলা যায়। এসব ইজমের মাধ্যমে আসলে প্রচলিত আর্থ-সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে পাল্টা একটা সোনার শেকল মানে স্বাধীনতার বোধের জন্ম দেওয়া হয়। এবং রক্ষণশীল মানুষের সাথে পরিবর্তন চায় এমন মানুষের একটা সংঘাত কিন্তু চলতেই থাকে।

এখন মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব এবং একটা সামাজিক বলয়ের মাঝেই তাকে থাকতে হয় তাই সবকিছু মিলে যে সিস্টেমে সে বাস করে সে সিস্টেমটাই তার সোনার শেকল। আবার সে বিদ্রোহ করে যে ইজমের বলয়ের মাঝে চলে যায় সেটাও তার সোনার শেকল! আর এখানে একের স্বাধীনতার কনসেপ্টের সাথে অপরের স্বাধীনতার কনসেপ্টের সংঘাত সে আদিম সমাজ থেকেই হয়ে আসছে। আর এ কারনেই একের স্বাধীনতায় অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করছে।

আমি বলি - স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।

এখন যে কুরআনকে একমাত্র সত্য মনে করে তার চেতনা, বিচক্ষনতা, দায়িত্বশীলতা, প্রজ্ঞার বোধ হবে সেটার আলোকে। আবার যে মনে করে সমাজতন্ত্র মুক্তির একমাত্র পথ তার চেতনা হবে ভিন্ন রকম। যে রাষ্ট্রের সংবিধানকেই সঠিক মনে করবে তার চেতনা হবে অন্যরকম। ধরা যাক কেউ কোন ইজমেই বিশ্বাস করেনা। তবে তার নিজের মত করেই কিছু যুক্তি থাকবে।
এবং সংঘাত অনিবার্য। সোনার শেকলে আবদ্ধ থেকেও মানুষ কিন্তু একে অপরের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে আসছে। আর এসব সংঘাত থেকেই তুলনামূলক উত্তম কোন সোনার শেকলের সন্ধানও মানুষ পেয়ে যায়!

শুভরাত্রি আহমেদ জী এস ভাই। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমার প্রিয় কবি কাহলিল জিবরানের একটি কবিতা শেয়ার করাই যেতে পারে। :)

On Freedom
Kahlil Gibran

At the city gate and by your fireside I have seen you prostrate yourself and worship your own freedom,
Even as slaves humble themselves before a tyrant and praise him though he slays them.
Ay, in the grove of the temple and in the shadow of the citadel I have seen the freest among you wear their freedom as a yoke and a handcuff.
And my heart bled within me; for you can only be free when even the desire of seeking freedom becomes a harness to you, and when you cease to speak of freedom as a goal and a fulfilment.

You shall be free indeed when your days are not without a care nor your nights without a want and a grief,
But rather when these things girdle your life and yet you rise above them naked and unbound.

And how shall you rise beyond your days and nights unless you break the chains which you at the dawn of your understanding have fastened around your noon hour?
In truth that which you call freedom is the strongest of these chains, though its links glitter in the sun and dazzle your eyes.

And what is it but fragments of your own self you would discard that you may become free?
If it is an unjust law you would abolish, that law was written with your own hand upon your own forehead.
You cannot erase it by burning your law books nor by washing the foreheads of your judges, though you pour the sea upon them.
And if it is a despot you would dethrone, see first that his throne erected within you is destroyed.
For how can a tyrant rule the free and the proud, but for a tyranny in their own freedom and a shame in their own pride?
And if it is a care you would cast off, that care has been chosen by you rather than imposed upon you.
And if it is a fear you would dispel, the seat of that fear is in your heart and not in the hand of the feared.

Verily all things move within your being in constant half embrace, the desired and the dreaded, the repugnant and the cherished, the pursued and that which you would escape.
These things move within you as lights and shadows in pairs that cling.
And when the shadow fades and is no more, the light that lingers becomes a shadow to another light.
And thus your freedom when it loses its fetters becomes itself the fetter of a greater freedom.





১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




এমন দীর্ঘ আর বক্তব্য সমৃদ্ধ মন্তব্যটি এই পোস্টের জৌলুস বাড়িয়েছে নিঃসন্দেহে । ধন্যবাদ ।

এই দীর্ঘ মন্তব্যটির প্রতিমন্তব্যটি আমার প্রশ্নে আপনার উত্তর দেয়া থেকেই শুরু করি -----
উত্তরে যা বলেছেন তা মোটেও ভুল নয় । আবার "ভুল" শব্দটিরও প্রেক্ষিত থাকে । ভুল যেখানে হয় না, সেখানে আমার আপনার স্বার্থটাই টিকে যায় । স্বার্থটা যখন ব্যহত হয় বা হেরে যায় তখনই ভুলটা হয়ে যায় ।

শুরুতে বলেছেন - "আদিম সমাজ থেকেই মানুষকে একে অপরের সাহায্য নিয়ে সারভাইভ করে আসতে হয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে আমার কথা বলি --- সেই অনাদীকাল থেকেই মানুষ উৎপাদনের হাতিয়ার একচেটিয়া ভাবে কুক্ষিগত করতে নিজে নিজে বা অন্যের সাহায্য নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত । সেকালে এ প্রতিযোগিতা ছিলো গোষ্ঠীবদ্ধ । এখনকার সময়ে তা একক একটি প্রতিযোগিতা, কে কাকে ঠেলে এগিয়ে যাবে আহে , তারই পরীক্ষা বা কোশেশ ।
সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে সমূহ সুবিধা লাভের আশায় সে খেলার যে যে শর্ত বানিয়েছে মানুষ তাকেই বলি "প্রথা" ।
সামাজিক - রাষ্ট্রীয় - অর্থনৈতিক - ধর্মীয় - রাজনৈতিক - ইত্যাদি ইত্যাদি প্রথাগুলোর জন্ম কিন্তু এভাবেই । টিকে থাকার এই প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের অভিলাষ থেকেই মানুষকে প্রথার রদবদল করতে হয়েছে কালে কালে , মানুষের স্বার্থেরই প্রয়োজনে । যেমন এখন হয়েছে , বৈশ্বিক প্রথা ।
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে যে "স্বাধীনতা"র , যে "বিদ্রোহ"র দেখা পেয়েছেন, তা এক প্রতিযোগিতা থেকে উত্তরন ঘটিয়ে আরেক প্রতিযোগিতায় খেলার পোষাকী নাম । ‌এই প্রতিযোগিতা বা পেন্টাথোলনের খেলায় আছে সব ধরনের খেলাই । যখন যেটা খেললে নির্ঘাৎ জেতা যাবে সেটাই খেলা হয় তেমন করে দাবার ছক সাজিয়ে । সমাজ - সমাজ খেলা , রাজনীতি - রাজনীতি খেলা , রাষ্ট্র - রাষ্ট্র খেলা, অর্থনীতি - অর্থনীতি খেলা এমনি করে ।

একারনেই আপনি যে বলেছেন ---- "সোনার শেকলে আবদ্ধ থেকেও মানুষ কিন্তু একে অপরের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে আসছে। আর এসব সংঘাত থেকেই তুলনামূলক উত্তম কোন সোনার শেকলের সন্ধানও মানুষ পেয়ে যায়! " তা মানুষ পেয়ে যাবেই । টিকে থাকতে হলে তাকে তা পেতেই হবে ।

কাহলীল জিবরান ও কিন্তু এই খেলার বাইরে যেতে পারেন নি । তিনি যে সমাজে বসবাস করেন , তার আলোকেই স্বাধীনতার ধারনা তাঁর । হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়েছে তাঁর, সেই স্বাধীনতার শেকল ভাঙতে গিয়ে আবার তাতেই আটকে পড়াতে ।

বিশাল যে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন তা , কতোটুকু ভরিয়ে দিতে পারলুম , সে দ্বিধা রয়েই গেলো । তবে আশা করি , অনেক কিছু বুঝতে এটা সাহায্য করতে পারে হয়তো ।

অনেক ভালো লাগা রইলো মন্তব্যে ।


২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২২

জুন বলেছেন: স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা-
স্বাধীনতা তুমি
শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
স্বাধীনতা তুমি
পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।
স্বাধীনতা তুমি
ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।
স্বাধীনতা তুমি
রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।
স্বাধীনতা তুমি
মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।
স্বাধীনতা তুমি
অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক।।
---------
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।

---শামসুর রাহমান এর বিখ্যাত স্বাধীনতা তুমি কবিতাটির বেশিরভাগ অংশটুকুই তুলে দিতে হলো মন্তব্য করতে গিয়ে। এই কবিতাটি স্বাধীনতার উপরে এক স্মরণকালের লেখা যা আমাদের হৃদয়কে আবেগাপ্লুত করে তোলে। এ কবিতায় স্বাধীনতার অনেক অর্থই আছে , যেমনঃ
স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।
কিন্ত আপনার লেখা থেকে যেটুকু মনে হলো তাতে এটা পরিস্কার "স্বাধীনতা মানেই যে যে ইচ্ছে তা করা নয়" ।
স্মরণকালের অন্যতম বাগ্মী ও পন্ডিত একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কথায় তা আরো সুস্পষ্ট।
ফ্রান্সের একচ্ছত্র রাজতন্ত্রের অবলুপ্তি ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭৮৯ থেকে দশ বছর ব্যাপী যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল তা পৃথিবীর ইতিহাসে ফরাসী বিপ্লব নামে পরিচিত । তার পেছনের অন্যতম রূপকার পান্ডিত্য আর জ্ঞ্যানে যে ছিল সে সময়ের একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব সেই জ্যা জ্যাক রুশোর কথাটি আমার মনে ধরেছে বেশী ।
FREEDOM
IS THE POWER TO CHOOSE OUR OWN
CHAINS ।

আপনার লেখা আহমেদ জী এস, তার গভীরতা আর ব্যাপ্তি বিশাল হবে এটা জানাই ছিল। সুতরাং এ বিষয়ে কিছু বললে তা পুনরুক্তি বলেই বিবেচিত হবে বলে আমি মনে করি। মনে নাড়া দিয়ে গেলো ।
+

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,



একজন বিদগ্ধ পাঠকের মতোই ওজনদার মন্তব্য । আমার এই পোস্টে তা যে অনেক রোশনাই ছড়িয়ে গেলো, তা আগেই বলে রাখি ।
যে কথা নিয়ে এই লেখা সেটার সাথে আপনার তুলে দেয়া " স্বাধীনতা তুমি " একেবারেই শতভাগ মানান সই । অথচ আপনি কবিতাটির সাথে আমার লেখাটির তুলনা করে লিখেছেন --" কিন্ত আপনার লেখা থেকে যেটুকু মনে হলো তাতে এটা পরিস্কার "স্বাধীনতা মানেই যে যে ইচ্ছে তা করা নয়" ।

এবার ভালো করে শামসুর রাহমানের এই কবিতাটির লাইন বাই লাইন খেয়াল করুন । যদিও কবিতাটি দেশের স্বাধীনতার উপরে লেখা । কিন্তু ওর প্রতিটি লাইনে স্বাধীনতার যে মুগ্ধতা কবির কথায় ফুঁটে উঠেছে তার ভেতরেই প্রোথিত আছে সকল স্বাধীনতার মূল বানী, স্বাধীনতা কেমন হওয়া উচিত তার স্পষ্ট বয়ান । এখানে কবি যা যা ইচ্ছে তা-ই করেছেন ।
আর আমি কবির মতো অমন উদাত্ত স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে বলেছি -----
*******আপনি নিজের স্বার্থটাকে আগে দেখেন বলেই গলা ছেড়ে গান গাইতে আপনার বাঁধেনা ।
******* আপনি নিজের স্বার্থটাকে আঠারোআনাতে তুলে নেন বলেই দিন রাত্তির মাইক বাজাতে দ্বিধা করেন না ।
******* আপনার স্বার্থের কারনেই, যাকে তাকে যখন যা খুশি বলা থেকে বিরত থাকেন না ।
অর্থাৎ ইগজেম্পশন ফ্রম এক্সটার্নাল কন্ট্রোল, ইন্টারফারেন্স , রেগুলেশান ....... করা হয়নি প্রতিটি ক্ষেত্রেই ।
" স্বাধীনতা তুমি " অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেছে এই মর্মবাণী । কবিতার কথা কাউকেই আঘাত করেনি, ছোট করেনি । কবিতায় স্বেচ্ছাচারিতাও নেই ।
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শহীদ মিনার, মাঠের কৃষকের হাসি, গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার, একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা, মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিকের মুগ্ধতাকে খাটো করা হয়নি । কারো ইচ্ছের বিরূদ্ধে একটি কথাও বলা হয়নি । বরং উল্টোটাই । । উঁচুতে তুলে ধরা হয়েছে সবাইকে স্ব-মহিমায় । এই রকম ইচ্ছে মতো বলার বা করার অধিকারই হলো আসল স্বাধীনতা ।
আপনিও যা যা ইচ্ছে তাই-ই করতে পারেন ঐ রকম করেই, কবির মতো ।

ঠিক বোঝাতে পারলুম কিনা জানিনে । তবে আপনার মতো বিদূষী, মনে হয় যা বোঝাতে পারিনি তাও বুঝে ফেলতে পারেন এক লহমাতেই । সে ভরসা রাখছি ।
আপনার এমন পান্ডিত্যপূর্ণ লেখা আমার মনেও নাড়া দিয়ে গেলো ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

২২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর করে বলেছেন। সহমত।

আমি কিন্তু নিজের ইচ্ছায় এ পোস্ট পড়েছি, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন নি...... ;)

ইচ্ছে হলেই মাইক বাজিয়ে আপনার পণ্যের প্রচার, গানা-বাজনা বা ওয়াজ-নসিহত করতে পারবেন না । --- এর জন্য কত রাত যে ঘুমোতে পারিনি !!! X((

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,



হা........হা........... বোঝা গেলো আপনি স্বাধীনচেতা লোক , নিজের ইচ্ছায় পোস্ট পড়েছেন । :P
কিন্তু আপনি এই পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে আমাকে দিয়েই আবার প্রতিমন্তব্য করাতে পারেন না । আপনি স্বৈরাচার ... ;) B:-/

আপনার বাক স্বাধীনতা আছে বলে এরপর থেকে গানা-বাজনা বা ওয়াজ-নসিহতওয়ালাদের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে গালাগালি করতে পারেন । কেই কিছু বলার নেই । B-))
আপনি চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে গালাগালি করলে আমিও আপনার সাথে সহমত । :-P

২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরেরই মতোই অনন্য, এপিক পোষ্ট!

স্বাধীনতা!
স্ব (নিজ) + অধিনতা = স্বাধীনতা

এই স্ব- এর জ্ঞান প্রজ্ঞা চেতনা মিলেই নির্নয় করে তার ব্যাপ্তি! স্ব- প্রভাবিত হয় তার সমাজ, ধর্ম, সংস্কৃতি, চলমান বোধ-বিশ্বাস, ব্যক্তিক অনুভবের মিশ্রনে।
আর প্রকৃত স্বাধীনতা অধরা- কারণ মানুষ আসলেই চায়না স্বাধীন হতে! সলিড ট্রুথ যেমন মানুষ সইতে পারেনা। সাথে কিছূ স্বপ্ন কিছূ আশার মিশেল তাকে উদ্বেলিত করে! তেমনি প্রকৃত স্বাধীনতাও মানুষ এড়িয়ে চলে।
আত্ম সন্ধানে যখন আমার আমিকে খুঁজে পাই- তার অল্পে সন্তুষ্ঠি, তার প্রকৃত সত্য, তার প্রত্যাবর্তন, তার মুক্তি আমি অনুভব করি। কিন্তু সে পথে বেছে নিতে চাইনা। কষ্টের বলে। ত্যাগের বলে।
কারণ লোভ, মোহ, কাম, মায়া আমাকে টেনে রাখে পরাধীনতায়! আবিষ্টতায়। জ্ঞানকে প্রলেপ দিয়ে তখন ডাইভার্ট করি নিজের ইচ্ছে পূরণের পথ রচনায়। আবার আটকে যাই সোনার শেকলে!
নয় কি?
:)

++++++++++

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




স্ব (নিজ) + অধিনতা = স্বাধীনতা = নিজের অধীন ।
কিন্তু সবাই নিজের অধীন ( আপনার কথামতো স্বাধীন ) হতে চায়না বরং অন্যেকে অধীনে রাখতে চায় ।

বলেছেন , নিজেকে খোঁজার পথ বেছে নিতে চাননা । কষ্টের বলে। ত্যাগের বলে। সে কারনেই তো বলেছি , নিজের স্বার্থটা আগে দেখে মানুষ । লোভ, মোহ, কাম, মায়া তাকে আত্মসুখ দেয় বলে সে স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে , হয়ে ওঠে স্বার্থসর্বস্য ।

স্ব- এর জ্ঞান প্রজ্ঞা চেতনা মিলেই নির্নয় করে তার ব্যাপ্তি ! চমৎকার দার্শনিক মন্তব্য ।
কিন্তু তার জ্ঞান প্রজ্ঞায় উত্তীর্ণ হয়না বলেই মানুষ তার গায়ে পরানো অধিকারের শেকলটাকে বারে বারেই অস্বীকার করে , তবুও সেটা থাকে সেখানে ...................

২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট!


কেবল কয়েকটা শব্দ এই পোস্টটির প্রসংশা করার জন্য যথেষ্ট নয়!


প্লাসের ব্লাংক চেক রেখে গেলাম! দশ বা বারো অংঙ্কের যে কোন একটা সংখ্যা বসিয়ে নিও জী এস ভাইয়া!:):)

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,




এই সেরেছে । ব্লাংক চেক ? ক্যাশ হবেতো ? তা অমন চেক এ দুই অংকও যা দুই'শ অংকও তা । :P

চেক নয় , চেকদাতার ভালোবাসা-ই অফুরান অংকে থাকুক এমনি করেই ।

২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। আমার স্বাধীনতা মানে আরেকজনের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা। অনেক ভালো লাগলো স্বাধীনতার বিশ্লেষন। এমনভাবে কখনই চিন্তা করিনি।

তারপর আমার কাছে মনে হয় স্বাধীনতা মানে মাঝ রাস্তায় দাড়াঁনো না বা গলাছেড়ে গান না... সেটা অনেকটা স্বেচ্ছাচারিতা। স্বাধীনতা মানে বৃষ্টিতে ভেজা, স্বাধীনতা মানে জোছনা রাতে নদীর পাড়ে বসে থাকা, স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছে তাই লেখা আমার কবিতার খাতা.... যেখানে কেউই বাধাঁ হয়ে দাড়াঁয় না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




স্বাধীনতা মানে তো অনেক মধুর কিছুই হয় । তেমন একটি মন থাকা চাই যে ! যে মনে জোছনা রাতে নদীর পাড়ে বসে থাকার ইচ্ছে জাগে । কবিতার খাতায় লিখতে ইচ্ছে করে তুমুল আলোড়নের কথা ।

ব্যস্ততার মাঝেও লেখাটি পড়ে সুন্দর অনুভূতির কথা জানিয়ে গেলেন বলে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রাণবন্ত আলোচনা।

তবে, স্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা - এ কথাটা মানতে পারছি না। স্বাধীনতা মানেই অ্যাবসলিয়্যুট পরাধীনতার অর্থ হলো কোনো স্বাধীন ব্যক্তিই তাঁর স্বাধীনতা ভোগ বা উপভোগ করতে পারেন না। আপনার এ শিরোনামের স্বপক্ষে কোনো মনীষীর বাণীও চোখে পড়লো না।

স্বাধীনতা মানে পরিমিতিবোধ- পুরো পোস্ট জুড়ে এ ব্যাখ্যাটাই উঠে এসেছে। এবং স্বাধীনতা অর্থ অ্যাবসলিয়্যুট পরাধীনতা তো নয়ই, এমনকি স্বাধীনতা অর্থ পরাধীনতাও বলা যায় না। স্বাধীনতা অর্থ হলো তাই- যা আপনি পুরো পোস্ট বিভিন্ন উদাহরণ যোগে ব্যাখ্যা করেছেন, এবং সেগুলো কোনো অর্থেই 'পরাধীনতা' বোঝায় না। স্বাধীনতা অর্থ পরাধীনতা বোঝালে এ দুটো শব্দের উৎপত্তি হতো না।

স্বাধীনতা অর্থ হলো এমন একটা আচরণ, যা একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত নির্বিঘ্ন বা অবাধ; এ রেখা অতিক্রম করলেই সেটা হবে স্বেচ্ছাচারিতা। কিন্তু স্বাধীনতা অর্থ অ্যাবসলিয়্যুট পরাধীনতা হলে তার আচরণের জন্য কোনো স্পেস থাকতো না। আপনি বাসার ভিতরে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে গান গাইতে পারেন তখনই, যখন বাসায় আপনি একা, এবং আপনার কোনো প্রতিবেশী নেই, যারা এই শব্দদূষণের শিকার হতে পারেন। এটা স্বাধীনতা, ঠিক আছে। কিন্তু বাসাভর্তি মানুষ থাকলে, কিংবা পাশে প্রতিবেশীরা থাকলে আপনি চিৎকার করে গান গাইতে পারেন না, তবে, ঘরের একটা নির্দিষ্ট স্থানে এমন স্বরে গাইতে পারেন যাতে ঘরের বা প্রতিবেশীদের কোনো ডিস্টার্ব হয় না। এভাবেই আপনি নিজের স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এর নাম পরিমিতি বোধ। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হতো, আপনি গান গাইবেন তো দূরের কথা, মুখই খুলতে পারছেন না, তাহলে আর সেটা স্বাধীনতা নয়, সেটাই অ্যাবসলিয়্যুট রেসট্রিকশন।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভেচ্ছা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,




আপনার কথাটি মেনে নেয়া গেলনা । বলেছেন - "অ্যাবসলিয়্যুট পরাধীনতার অর্থ হলো কোনো স্বাধীন ব্যক্তিই তাঁর স্বাধীনতা ভোগ বা উপভোগ করতে পারেন না।"
পরাধীনতার অর্থ হলো - অন্যের অধীন । আর "অধীন" শব্দের অর্থ হলো - আয়ত্ব / অনুগত ইত্যাদি । সে অর্থে "অ্যাবসলিয়্যুট পরাধীনতার" অর্থ দাঁড়ায় একেবারেই পরের অধীন । এই "পর"টা কে ? আমি বলেছি "স্বাধীনতা"র কথা । আমার বক্তব্যের মানে দাঁড়ায় এই, আপনি আপনার স্বাধীনতার অধীন । প্রকারন্তরে স্বাধীনতার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পিত । এখন এই স্বাধীনতাটা কি ? আমি বলেছি ----যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।
সেই অর্থে স্বাধীনতা মানেই অ্যাবসলিয়্যুট পরাধীনতা । পরাধীনতা আপনার বিবেকের কাছে, আপনার পরিমিতি বোধ এর কাছে ।
আর আমরা আম জনতা যেটা বুঝি সেটার কথাও বলেছি ---আর আমরা আমজনতা সোজা কথায় স্বাধীনতা বলতে যা বুঝি তা হলো নিজের ইচ্ছে মতো চলা । যেহেতু আপনি বিবেকের তাড়নায় , আপনার শিক্ষা ও প্রজ্ঞার অনুভবে যা ইচ্ছে তাই-ই করতে পারবেন না , তাই আপনিও প্রকারন্তরে পরাধীন ।

আরও বলেছেন -" শিরোনামের স্বপক্ষে কোনো মনীষীর বাণীও চোখে পড়লো না। " সকল মনীষীর বাণীই এক অর্থে আমার কথারই প্রতিফলন ।
তাছাড়া আমাকে কি মনীষী বলা যাবেনা ? :P আমি আপনি মনীষীদের চেয়ে কম কিসে ? :(
সব শিলা-ই ( পাটা ) যদি "শালগ্রাম" হয় তবে আমরা হলুদ বাটি কিসে ? ;)

ভালো লাগলো মন্তব্যের সব বক্তব্যটুকু ।
ভালো থাকুন আর স্বাধীনতায় থাকুন ।

২৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , অনেক উচ্চমানের উচ্চভাবনার কথামালায় পরিপুর্ণ এ লিখা । এ লিখার বিষয়ে কিছু বলতে হলে অনেক পড়াশুনার প্রয়োজন আছে । তাই আপাতত: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । সময় করে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



অশেষ ধন্যবাদ প্রিয়তে নিয়ে রাখায় ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫০

রাতুল_শাহ বলেছেন: স্বাধীনতা একটি শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ বুঝলেও, এখনও বাস্তবিক অর্থ বুঝি নাই।

সবার মন্তব্য আর পোস্ট পড়ে চিন্তায় পড়ে গেছি।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,



সবার মন্তব্য আর পোস্ট পড়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন ? এটাও আপনার চিন্তার স্বাধীনতা । এ চিন্তা কাউকে শারীরিক বা মানসিক ভাবে আহত করেনা , আর্থিক ক্ষতি করেনা , সামাজিক রার্ষ্ট্রীয় ক্ষতি করেনা ।
তাই আপনার এরকম চিন্তা স্বার্বভৌম ভাবে স্বাধীন ।

২৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

আমার একটি লিখা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে বিলম্ব হলো ।

আপনার পোষ্টেের লিখা পাঠে ও ইমেজ দর্শনে ব্যক্তি ও স্বাধিনতা , সোনার শিকল , শৃংখলিত পাথরের অবক্ষ মুর্তী এসব বিষয় ভাবতে ও এদের সম্পর্কে আরো কিছু জানতে কেটে যায় অনেকটা সময় , মনে হল জানার বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত স্বাধিনতায় নেই বাধা কিংবা কোন শিকল, তবে শিকল যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয় , রয়েছে সময় ও জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা যা আমার বিবেচনায় একটি বড় শিকল ।

স্বাধীনতা বলতে আসলে আমরা কি বুঝি আর স্বাধীনতাটা আসলে কি দেখলাম সে এক মহা আলোচিত বিষয় । আমাদেরকে কঠীন সব বিষয়ে বাংলায় জ্ঞান দানের আকর বাংলা একাডেমী তার “ব্যবহারিক বাংলা অভিধান”য়ে “স্বাধীনতা” শব্দটির যে তিনটি যথা স্বচ্ছন্দতা ,বাধাহীনতা ও আজাদির যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা যে খুবই অপর্যাপ্ত তা বুঝা গেল এ পোষ্টে দেয়া বিভিন্ন মনীষীর মুল্যবান উক্তি হতে । ব্যক্তি ও স্বাধিনতা , সোনার শিকল এ সংক্রান্ত বিষযাদি খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে এই পোষ্টের লিখাটিতে ।

তবে আপনি ঠিকই বলেছেন এগুলো দিয়েও Freedom বা Liberty বা স্বাধীনতার স্বাদ ঠিকঠাক চেখে দেখা দুঃষ্কর । কারন, পৃথিবীর হাতে এখন পর্যন্ত স্বাধীনতার একটিও ভালো সংজ্ঞা নেই বলেও জানা যায় । এ বিষয়ে পোষ্টে প্রদত্ত আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞা হতে জানা গেল যে The world has never possessed a good definition of the World ‘’freedom’ । আমরা আমজনতা সোজা কথায় স্বাধীনতার অর্থ নিজের ইচ্ছে মতো চলাকে বুঝালেও আসলে তা যে কতঠুকু শৃংখলবদ্ধ তা সুন্দর করে উঠে এসেছে লিখাটিতে । স্বাধিনতার পরিধি কতখানি বিস্তৃত তা ভাল করে বুঝা গেল বিভিন্ন মনীষীদের কথা হতেও ।

১৬ শতকের ফরাসী দার্শনিক Jean de la Bruyers এর উক্তি হতে বুঝা গেল To be free does not mean to do nothing but to decide what to do and what not । ১৮ শতকের আমিরিকান লেখক ও শিক্ষাবিদ Mark Twain
এর উক্তি হতে জানা গেল We have three precious gifts: the freedom of speech, freedom of conscience and the prudence to never use them both .

সবচেয়ে সুন্দর ধারনাটি পাওয়া গেল খ্রীস্টপুর্ব ৪র্থ শতকের গ্রীক দার্শনিক Epicurus যার দর্শন জগতে Epicurianism হিসাবে সুপরিচিত তার দুর্লভ উক্তি হতে, যথা The greatest fruit of restrictions is freedom । তাঁর কথার প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় ১৮ শতকের প্রোসিয়ান রাজনীতিবিদ Otto Von Bismarck এর উক্তি যার দ্বারা বলা হযেছে Freedom is a luxury not everyone can afford to have .

পরক্ষনেই দেখা যায় বিংশ শতকের নোবেল বিজয়ি রাজনীতিবিদ Nelson mendela এর দিক নির্দেশনামুলক কথায় যথা For to be the Free is not merily to cast off one’s chains. But to live in a way that respects and enhances the Freedom of others । তার কথার সাথে অতি সুন্যুদরভাবে যুক্ত হয়েছে আঠার শতকের বিখ্যাত রাশিয়ান লেখক Frodor Dostoyevsky এর উক্তি যেখানে freedom কে বলা হয়েছে An opportunity to control yourself ।

এ সমস্ত বিখ্যাত দার্শনিক , লেখক ও রাজনীতি বিদের মহামুল্যবান উক্তির আলোকে নীজের স্বাধীনতাটির পরিমাপ , স্বরূপ নির্ধারণ , নিয়ন্ত্রন , শিকল কেটে বেরিয়ে যাওয়ার সীমাবদ্ধতা কিংবা পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের মত সাধারণ পাঠককে অভিহিত করে ব্যক্তি স্বাধিনতা বিষয়ক চিন্তাধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




সময় করে এসে মন্তব্যে বিলম্বিত সময়টাকে ভরিয়ে তুললেন ।

আপনার স্বভাবসুলভ বিশ্লেষণ যে কোনও মন্তব্যের কন্ঠে, মনিহার । এখানেও তার ঘাটতি হয়নি ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর ।

৩০| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

নায়না নাসরিন বলেছেন: যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে । ----
কথাগুলি ভাললাগলো। কেমন আছেন ভাইয়া??

২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নায়না নাসরিন ,




পড়া ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

ভালো যে আছি তা এক কথায় বলা যাবেনা । তবে আছি ...

৩১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক চিন্তার খোরাক যোগিয়েছেন, আপনার মন্তব্যেও যেমন থাকে। দৃষ্টান্তগুলো একদম জুতসই! যথারীতি সুখপাঠ্য।

স্বাধীনতাকে 'পরাধীনতা' বলাই যায়, কারণ স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর শুরু হয় স্বনিয়ন্ত্রিত/আরোপিত বিধিনিষেধ, এতদিন যা কোন 'হানাদার শক্তি' আরোপ করেছিল। আপনার কথাগুলো স্বাধীন জাতি হিসেবে, অথবা স্বাধীন ব্যক্তি হিসেবে আমাদেরকে আরও দায়িত্বশীল হতে সাহায্য করবে।

দায়িত্বহীন জনগোষ্ঠির কাছে স্বাধীনতা মানে নিজেকে/নিজের সমাজকে ধ্বংস করার সনদও হতে পারে। তাই যুক্তির খাতিরে 'স্বাধীনতা মানে চূড়ান্ত পরাধীনতা' কথাটিকে মেনে নিলেও, বিষয়টি পুরোপুরি সেরকম যদি হতো, তবে কেন স্বাধীনতা নিয়ে এত টানাটানি!

স্বাধীনতা মানে তো দায়িত্বহীনতা নয়, এর মানে তো স্বেচ্ছাচারিতাও নয়... এর মানে মানুষ হিসেবে অধিকার। মানবাধিকার। নিজের অধিকার, সামাজিক প্রাণী হিসেবে অধিকার, জাতি হিসেবে অধিকার। এবং অধিকার কখনও দায়িত্ব ছাড়া আসে না। তাই স্বাধীনতার সবগুলো ফিচার অন্তর্ভুক্ত না করলে, স্বাধীনতা সম্পর্কে যে কেউ একচেটিয়া ধারণা করতে পারে।

একচেটিয়া অথবা মনগড়া ধারণা থেকে স্বাধীনতার অপব্যবহার হয়। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর, মানুষ কীভাবে একে ব্যবহার করে, সেটি একটি কৌতূহলের বিষয়। তাই স্বাধীনতা না দিলে বুঝতে পারা যায় না কোন ব্যক্তি বা জাতি স্বাধীনতার যোগ্য কিনা। এজন্যই বলা হয়, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
এক্ষেত্রে দস্তেওস্কির কথাটি বেশ ভালো লেগেছে: স্বাধীনতা মানে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ।



কিন্তু ভাই, তাই বলে কি স্বাধীনতার স্বাদকে অস্বীকার করা যায়? অস্বীকার করা যায় এর প্রয়োজনীয়তাকে? একটি দেশ বা জাতির উন্নয়ন কি স্বাধীনতা ছাড়া হয়? আমি ছাড়া আমার ভালো কি আরও কেউ বুঝে? নিজ দেশ ছাড়া কোন বিদেশি কি উন্নয়ন করে দিতে পারে? পরাধীন পূর্ববাংলা কি তার সবটুকু আয়, সবটুকু সম্পদ নিজে উপভোগ করতে পেরেছিল? তবে কেন ছ'দফা আন্দোলনের প্রয়োজন হলো? কেন দরকার হলো তিরিশ লাখ শহীদের?

স্বাধীনতা যে সত্যিই স্বাধীনতা - আর কিছুই নয়, এর জীবন্ত সাক্ষী হলো ন'মাসে অর্জিত বাংলার স্বাধীনতা। মনে পড়ে নির্মলেন্দু গুণের 'স্বাধীনতা' এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো' কবিতার কথা? স্বাধীনতার মহাসড়কে অর্জিত হয় ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়ন। তা মানবিক বলুন, কিংবা অর্থনৈতিক।

জর্জ ওয়াশিংটনের সেই কথাটি না বললে আলোচনা শেষ হবে না: স্বাধীনতা যখন ভিত্তি পেতে শুরু করে, প্রবৃদ্ধির গতি তখনই আকার পায়।

স্বাধীনতাই ব্যক্তির ব্যক্তিক প্রকাশকে সুগম করে দেয়, একটি জাতির স্বাভাবিক বিকাশের পথ করে দেয়। একে কোন যুক্তিতেই এবসোলুট পরাধীনতা বলা যায় না। তবে এবসোলুট বার্ডেন বলতে পারেন, কারণ স্বাধীনতার পর সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠির কাছে চলে আসে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব।


একটি চমৎকার আলোচনাকে উসকে দেবার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই :)

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,




চমৎকার একটি মন্তব্য ।
এই যে লাইনটি লিখলেন - “দায়িত্বহীন জনগোষ্ঠির কাছে স্বাধীনতা মানে নিজেকে /নিজের সমাজকে ধ্বংস করার সনদও হতে পারে” সেখানে তো আপনি বলেই দিয়েছেন দায়িত্বহীনতার কথা যার কারনে স্বাধীনতা ধ্বংশ হতে পারে । এর মানে “দায়িত্ব” আর “স্বাধীনতা” অঙ্গাঙ্গী জড়িত । আমিও তো সে কথাই বলেছি - স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই শৃঙ্খলিত আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ,আপনার বিচক্ষনতার কাছে , চেতনার কাছে ।
আর আপনিও তো স্বীকার করেছেন- “স্বাধীনতা মানে তো দায়িত্বহীনতা নয়” ।

দেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আপনি ছয় দফার কথা বলেছেন । ছয় দফা আন্দোলনের প্রয়োজন হয়েছে চেতনা থেকে, বিচক্ষনতা থেকে ,বাঙলার মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে । নয় কি ? বাংলার মানুষও সেই একই ধারনা থেকে উত্তরিত হয়েছে এক সার্বভৌম ভূখন্ডে । সেই ভুখন্ডের জন্ম চেতনার কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভাবার্থে শৃঙ্খলিত । আর শৃঙ্খলতাই তো পরাধীনতা । যদিও সে চেতনাকেও আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি তাই আমরা সকল অধিকারবিহীন, স্বাদ পাইনি স্বাধীনতার । যদি সেই চেতনার পায়ে দড়ি লাগানো যেতো তবে বোধহয় আজকের হুতাশনে আমাদের শ্বাস ওষ্ঠাগত হতোনা ।
আর আপনার অধিকারই তো আপনার স্বাধীনতা ।

আমার লেখা থেকে এই অংশটুকু আবার তুলে ধরলুম - “এই ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে বা ছাঁচে ফেলে নাগরিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি স্বাধীনতার পায়ে শেকল পড়িয়ে দেখুন কতোখানি জায়গা ( স্পেস ) ছেড়ে দেবে তা আপনাকে ।”

অনুগ্রহ করে ২৬ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আমার ব্যাখ্যাটুক পড়ে নিলে হয়তো বুঝতে পারবেন কোন আঙিকে আমি স্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা বলেছি । আপনার বলা এবসোলিয়্যুট বার্ডেন ও তো প্রকারন্তরে বোঝা বওয়াই । আর বোঝা বওয়া তো পরাধীনতাই তা সেটা যার কাছেই পরাধীন হোন না কেন । এই যেমন আমরা বলি, সংসারের বোঝা টানতে টানতে মরে গেলুম । এই বাক্যের ভাবখানাতে তো সংসারের কাছে আমার পরাধীনতার গন্ধই উপচে ওঠে । নয় কি ?

এর পরেও যদি না বোঝাতে পারি, তবে লেখার এই লাইনগুলো আপনার জন্যে -- “ সিদ্ধান্তে আসার আগে আপনি সত্যিকারের স্বাধীনতার সীমা , পরিধি, ব্যপ্তি সম্পর্কে মনীষীদের কথাগুলো একবার ভেবে দেখতে পারেন....”

অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো । ভালো লাগলো লেখার বিষয়টিতে গভীরভাবে সাড়া দেয়াতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
স্বাধীনতাই পরাধিনতা। সহমত

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিউল ইসলাম বাবু ,




ধন্যবাদ, সহমত সহকারে করা মন্তব্যের জন্যে ।

৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

দীপান্বিতা বলেছেন: তবু স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়

+++

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপান্বিতা ,




কেউ-ই চায়না । তারপরেও মানুষ স্বাধীন নয় । তা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । নিজের কাছে তেমন মানুষেরা তাই সকল সময়ই পরাধীন ।

মন্তব্য আর প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ ।


৩৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

নাইম রাজ বলেছেন: আমরা কি স্বাধীনতা পেয়েছি ?
দেশকি স্বাধীন হয়েছে ?
আসলে স্বাধীনতা কাকে বলে ?
সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে যে যার মত ফয়দা লোটন করাকেও মনে হয়
এক ধরনের স্বাধীনতা বলে,না ভাইয়া ।
আপনার পোস্টেও স্বাধীনতা সম্পর্কে অনেক কিছু ফুটে উঠেছে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি লেখা এবং ছবিগুলোর জন্য ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাইম রাজ ,




ধন্যবাদ লেখাটি পড়া আর মন্তব্য করে যাওয়ার জন্যে ।

স্বাধীনতার রূপ ও ভুখন্ড কি, কতোটুকু ও কেমন তা বোঝাতে স্বাধীনতার ব্যাখ্যা শেষে আমি লিখেছি ----এই ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে বা ছাঁচে ফেলে নাগরিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি স্বাধীনতার পায়ে শেকল পড়িয়ে দেখুন কতোখানি জায়গা ( স্পেস ) ছেড়ে দেবে তা আপনাকে .......................
শুধু তাই-ই নয় যারা দ্বিধায় পড়ে যেতে পারেন তাদের জন্যেও লিখেছি --সিদ্ধান্তে আসার আগে আপনি সত্যিকারের স্বাধীনতার সীমা , পরিধি, ব্যপ্তি সম্পর্কে মনীষীদের এই কথাগুলো একবার ভেবে দেখতে পারেন ........................
তাই , আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিনা , কিম্বা সব অর্থে ( নাগরিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি ) দেশ স্বাধীন কিনা এ প্রশ্নের জবাব বর্তমান ধ্যান-ধারনা দিয়ে বোঝানো কঠিন ।

সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে যে যার মত ফয়দা লোটন করা , স্বেচ্ছাচারিতা শোষক শ্রেনীদের দিক থেকে আর সাধারণ মানুষ নিজেদের জিম্মি হতে দেয়াটা - আহাম্মকী

৩৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বাধীনতা অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিলেন । সুন্দর পোস্ট । দারুন বিশ্লেষণধর্মী ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,




অনেকদিন পরে মন্তব্য নিয়ে আসা আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।

সত্যিকারের স্বাধীনতার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলিনি বরং " সো-কলড" স্বাধীনতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছি ।

৩৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা । ব্যক্তি ও স্বাধীনতা : একটি সোনার শেকল দারুণ শিরোনাম

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী ,




ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৩৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: স্বাধীনতা মানে এবসোলিয়্যুট রিস্পন্সিবিলিটি এন্ড একাউটিবিলিটি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,



সুন্দর বলেছেন ।
যদিও এমন কথা আমিও বলেছি মনীষীদের মুখ দিয়ে ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৩৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা চরম সত্য ভাবনা, যার প্রতি আমরা মোটেও ভ্রূক্ষেপ করি না, খুব সহজ করে বুঝিয়ে দিলেন বড় বড় মনীষীদের কথা দিয়ে, ছবি দিয়ে আর নিজের প্রাজ্ঞ বিশ্লেষণ দিয়ে। এজন্য আন্তরিক অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য আমার বক্তব্যকেই জোরালো করতে সাহায্য করবে ।
ধন্যবাদ আপনাকেও ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩৯| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: " স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।
এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।"

দারুন বলেছেন, সহমত।

এক্ষেত্রে বিসমার্কের বক্তব্যটা আমার বেশী পছন্দ হয়েছে।

স্বাধীনতার প্রকৃত মানে একমাত্র ১০০% শিক্ষিত (পড়াশোনা জানা নয়)ও সচেতন মানুষই বুঝতে সক্ষম।

তবে দুঃখের বিষয়কি , আমাদের এ অঞ্চলে, স্বাধীনতার মানে হলো, স্বেচ্ছাচারীতা। এ্যবসল্যুট স্বেচ্ছাচারীতা।

২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঘনা পাড়ের ছেলে ,





ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা ।

এদু'টো লাইনে ঠিকই বলেছেন -
স্বাধীনতার প্রকৃত মানে একমাত্র ১০০% শিক্ষিত (পড়াশোনা জানা নয়)ও সচেতন মানুষই বুঝতে সক্ষম।
তবে দুঃখের বিষয়কি , আমাদের এ অঞ্চলে, স্বাধীনতার মানে হলো, স্বেচ্ছাচারীতা। এ্যবসল্যুট স্বেচ্ছাচারীতা।


অজ্ঞানতা আর অশিক্ষাই হলো এর একমাত্র কারন ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

৪০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৮

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: আমার কাছে স্বাধীনতা মানে সকল দেশের সকল মানুষের সকল প্রকার বন্ধন বা শেকল মুক্ত বা সত্য জানাই স্বাধীনতা।

কারণ আপনি/আমরা যদি জানেন যে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর কতিপয় মালিকরা সমগ্র পৃথিবীর সকল দেশ ও তারেদ নাগরিককে শোষন ও ঋণের জালে আবদ্ধ করছে এবং তাদের ন্যাশনাল উইল কেড়ে নিচ্ছে তাহলে আপনি ফেডারেল রিজার্ভ আইএমএফ বিশ।বব্যাংক থেকৈ সরে আসার চেষ্টা করবেন বাট তারা এ কাজটা করলে আপনাকে যুদ্ধ করে পুরো দেশই তাদের নিজেদেরে লোকের কাছে দিয়ে দিবে। যেমন- কিছূ আমেরিকার পেসিডেন্ট ,রাশিয়া, চীন বর্তমানের আফগান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, কিউবা ইত্যাদি। তাহলে স্বাধীন...........

আবার মনে করুন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা যারা আপনার রোগ দূর করাচ্ছে সাথে এইডসও ছড়াচ্ছে এবং ক্যানসার প্রসারও করছে।............

আপনি যে খাবার খাবেন তা ক্যানসার ও ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত করার কিছূ চেষ্টা করবেন? দেখেন মনসাসেন্টা, সিনজেন্টা, কারজিল আপনার দেশটাকেই দখল করে নিবে। যেমন আজেন্টিনাকে.

আর আমরা স্বাধীন কিভাবে হলাম? না কি শাসকের চেহারা বদল হয়েছে?
মাত্র একটি ইস্ট ইন্ডিয়া কেম্পানি যদি ২৫০ বছর আগে বিশাল পুরা ভারত,শ্রীলংকা, বার্মা, নেপাল দখল করে। হাডসন বে কোম্পানি যুদ পুরা উত্র আমেরিকা দখল করে অথছ এসব কেম্পানি তো এখনো ধংস হয় নাই অন্য নামে আছে এবং এখন সকল কন্ট্রোলিং ইকুইপমেন্ট তাদের হাতে তবে শূধু ২ য় বিশ্বযুদ্ধে তারা দুর্বল হওয়াতে আমাদের স্বাধীনতা দেয়। আমরা ফ্রিডম পেলাম তাহলে ১ ম বিশ্ব যুদ্ধের পরই ওতো বিশ্ব ডি-কলোনাইজেশন মুভমেন্ট তৈরী হয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবু মুছা আল আজাদ ,





দেরীতে হলেও লেখাটি দেখেছেন বলে ধন্যবাদ ।

ব্যক্তিমানুষ ( প্রতিটি মানুষ ) যদি স্বাধীন হন তবে তা বিশ্বজনীন । আপনিও বলেছেন তাই-ই ।
কিন্তু স্বাধীনতা কি শেকল থেকে মুক্তি না কি "মোরালিটি"র অদৃশ্য শেকলে আবদ্ধ ? ভেবে দেখবেন । লেখাটি ভালো করে পড়ুন , ভাবুন ।
স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।

কেউ-ই এ জাতীয় মোরালিটির শেকলে আবদ্ধ নয় বলেই আপনি এতোগুলো উদাহরণ টানতে পারলেন বা বলা যায় টানার সুযোগ পেলেন । তারা সবাই যদি চেতনা, অনুভব, বিচক্ষনতা, দায়িত্বশীলতার কাছে আবদ্ধ , অন্যকথায় ঐ শেকলে বাঁধা থাকতেন তবে আপনার লেখা বিষয়গুলো ঘটতে পারতোনা । না কি পারতো ???????

শুভেচ্ছান্তে ।

৪১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: পূর্বের মন্তব্য

”না কি পারতো ???????”

পারতানা অবশ্যিই পারতনা।

ধন্যবাদ জি এস ভাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবু মুছা আল আজাদ ,




ফিরে এসে আবারও মন্তব্য করাতে ধন্যবাদ ।
একমত হয়েছেন । আপনাকে বোঝাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে ।


৪২| ১৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগার মুক্তা নীলের নতুন পোস্ট থেকে এটার লিংক পেলাম। আপনিই দিয়েছিলেন। এসে দেখে গেলাম। কালকে সময় নিয়ে পড়ব।
ধন্যবাদ।

১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,



লিংক ধরে এখানে এসে মন্তব্য করে যাওয়াতে কৃতজ্ঞ।
পড়ুন । আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায়।

শুভেচ্ছান্তে।

৪৩| ১৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এভাবে আমার পোস্ট পড়ার স্বাধীনতা হরণ করলেন ;)

চমৎকার বিস্তারিত পোস্ট.......


প্রকৃত স্বাধীন কেউ নয়। সবাই শৃঙ্খলার জালে আবদ্ধ। পাখির খাঁচার মতোই অদৃশ্য সুতা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে।

১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স ,



কারো স্বাধীনতা হরন হয়নি! আপনি পোস্ট পড়বেন কি পড়বেন না সে একান্ত আপনারই ইচ্ছা অর্থাৎ পড়া না পড়ার ব্যাপারে আপনি স্বাধীন! :|| "পোস্ট পড়ার স্বাধীনতা হরণ করলেন" - কই করলুম ? আপনি তো পোস্ট পড়েছেনই :(

প্রকৃত স্বাধীন কেউ নয়। সবাই শৃঙ্খলার জালে আবদ্ধ। সে কথাই বলা হয়েছে এই লেখায়।

লিংক ধরে পুরোনো এই লেখায় যে এসেছেন তাতেই কৃতজ্ঞ।
অনেক শুভকামনা।

৪৪| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

মুক্তা নীল বলেছেন: ‌
স্বাধীনতা মানেই এবসোলি্য়্যট পরাধীনতার--দেশ কাল পাত্র ভেদে যে বর্ণনা দিয়েছেন তার অপর পৃষ্ঠে শৃঙ্খলা বিদ্যমান তুলে ধরেছেন সুস্পষ্টভাবে। অন্যের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হওয়া বাঞ্ছনীয়। রাস্তার মাঝখানে হেঁটে চলা,ঘরের মধ্যে গলা, ছেড়ে গান গাওয়া , মাইক বাজিয়ে পণ্যের প্রচার এই ধাপে বিশ্লেষণ তুলে এনেছেন উদাহরণস্বরূপ, এ সবিই শৃংখলার অপর পৃষ্ঠে জড়ানো নিয়ম ধারা
আমাদের দায়িত্ব থেকে নীতি ও নৈতিকতার দিক নির্দেশনা দেয়া। অবশ্যই উগ্রবাদীতাকে নয়।

আমি বলি - স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন আপনার চেতনার কাছে , আপনার বিচক্ষনতার কাছে , আপনার দায়িত্বশীলতার কাছে ।

শেকল এর অপর নামই আমাদের দায়িত্ববোধ। এই লেখাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষণীয়। শুভকামনা জানবেন, ধন্যবাদ।

১৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




আপনার পোস্টে দেয়া লিংক ধরে এখানে এসে যে মন্তব্য করে গেলেন তাতে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম।

ঠিকই বলেছেন - "শেকল এর অপর নামই আমাদের দায়িত্ববোধ।"
সে জন্যেই তো বলেছি - "এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।"

সাথেই থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।

৪৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৭

সাসুম বলেছেন: আপনার এই পোস্ট চোখে পড়ল। যাই হোক-
স্বাধীনতা মানেই পরাধীনতা এটা মোটা দাগে সত্য নয়। আমরা ৭১ এ স্বাধীন হবার পর সবার আগে কোন কাজটা করায় হাত দিয়েছিলাম??? একটা সংবিধান বানানোর কাজে। আম্রিকার সিভিল ওয়ার শেষে সব নেতারা কি নিয়ে ব্যস্ত ছিল? একটা নিয়ম বা সংবিধান বানানোর কাজে।

এই সংবিধান বা নিয়ম কে আপনি পরাধীনতা ধরলে আপনার বক্তব্য ঠিক আছে। বাট আমরা যেহেতু সিভিল সোসাইটি তে বসবাস করি আমাদের কিছু নর্ম বা নিয়ম মেনেই চলতে হয় এবং এই স্পেসিফিক কিছু নিয়ম বা সাংবিধানিক রুলস কে অবসলিউট না করে নিজের স্বাধীনতা উপভোগ করা যায়।

আমি শেকল হিসেবে না দেখে একটা নর্মস হিসেবে দেখলেই কিন্তু হয়ে যায়। এখানে আসে আমাদের রেস্পন্সিবিলিটি। স্পাইডার ম্যান মুভির উইথ গ্রেট পাওয়ার কামস গ্রেট রেস্পন্সিলিটির মত উইথ ফ্রিডম কামস রেস্পন্সিবিলিটি।

আমি বাক স্বাধীনতার পক্ষে সব সময়। সেটা যত তিতাই হোক না কেন। সেটা হোক স্টাব্লিশ্মেন্ট এর বিপক্ষে কিংবা রিলিজিয়ন এর বিপক্ষে। আবেগ এর চেয়ে লজিক সব সময় বড় এটা মেনেই কথা বলতে দিতে হবে।

আমার কাছে স্বাধীনতা মানে রেস্পন্সিবিলিটির সাথে চর্চা। এই যে বর্তমানে ভয়ের কালচারে বাস করছি আমরা, কিছু বলার উপায় নেই- হোক এপিয়াল টু অথরিটি ফ্যালাসি তে বিলিভ করা পলিটিকাল মাফিয়া কিংবা এপিয়াল টু বিলিভের ফ্যালাসি তে বিশ্বাস করে কল্লা ফেলতে চাপাতি হাতে দৌড়ে আসা ধর্মান্ধঃ সবাই নিজ নিজ মতবাদ চাপিয়ে দিতে চায়৷ বিপরীত কিছু শুনতে চায়না, কিছু মানতে চায়না। কিছু বলতে দেয়না।

এই যে চাপিয়ে রাখার দমিয়ে রাখার কঠোর চেস্টা, এটাই আমার কাছে পরাধীনতা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাসুম,




আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগলো।
মন্তব্যে আমার বলা কথাটিকেই প্রতিষ্ঠিত করলেন মনে হলো। মোটা , চিকন, লম্বা,ছোট যে দাগই হোক কোনও একটা দাগে হলেও তো এটা সত্য !

আপনি যাকে "নর্মস" বলছেন তাও তো প্রকারন্তরে একধরনের শেকল-ই! আমরা্তো এই সব নর্মসের দেয়া "রেস্পন্সিবিলিটি"র কাছেই বন্ধী। আর বন্ধ্যাত্ব তো শেকলই- এক ধরনের নিষেধের বেড়া!
আসলে "স্বাধীনতা" বলতে আমাদের মতো সাধারণ জনগণের মনে কিন্তু "খুল্লমখুল্লা" কিছু একটা ভাব চলে আসে। অর্থাৎ যা খুশি তাই করতে পারার অধিকারটাই মনে হয়। জ্ঞানীদের মতো "রেস্পন্সিবিলিটি" টা মাথায় আসেনা। আমি পোস্টটিতে সেটা ধরেই আলোচনা করেছি। যেমন আপনি বাক স্বাধীনতার পক্ষে সব সময় । কিন্তু আরেক জন যদি এই বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে আপনাকে অযথা জঘন্য ভাষায় গালাগালি করে (লেখাতেও এমনটা বলেছি) , সেটাকেও কি বাক স্বাধীনতা বলে হেসে উড়িয়ে দেবেন আপনি ? সম্ভবত দেবেন না এবং প্রতিবাদ করবেন এবং আপনি যদি অশিক্ষিত হন বা মাথা গরম টাইপের হন তবে ধরে নিতে পারি আপনার প্রতিবাদের ভাষাও ততোধিক জঘন্য হবে। আমি এখানটাতেই স্বাধীনতার দৌঁড় কতোখানি তা দেখাতে চেয়েছি। দেখাতে গিয়েই বলেছি - আপনি আপনার দায়বদ্ধতার শেকলে আটকে আছেন। আপনি জ্ঞানী হলে,শিক্ষিত হলে আপনার সাথে উপরের উদাহরন মতো যা হতে পারে বলা হয়েছে তা করবেন না। আপনার রেস্পন্সিবিলিটি আপনাকে থামিয়ে দেবে বা বেঁধে রাখবে যেমন শেকল আপনাকে বেঁধে রাখে তেমনি।
আপনাকে চাপিয়ে রাখার, দমিয়ে রাখার যে কঠোর চেস্টার কথা বলেছেন সেটাই দৃশ্যমান, ঘটমান এবং আপনার বিপক্ষে সংঘটিত পরাধীনতা, আমিও একমত। কিন্তু আমি যে পরাধীনতার কথা বলেছি তা দৃশ্যমান নয়, আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা মাত্র। যা দেখা যায়না। তাই "পরাধীন" শব্দটিকে মোটা দাগে নেবেন না। অন্তর্গত বা অন্তঃস্থিত অর্থে নিন।
তাই বলেছি "এই শেকলটি কতোদূরে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে তা নির্ভর করে আপনার চেতনাকে বেঁধে রাখা এই শেকলটা লম্বায় কতোটুকু ! আপনি ঠিক ততোখানিই যেতে পারবেন যাতে অন্যের স্বাধীনতার উঠোনে হামলে না পড়েন ।"

আপনাকে ঠিক বোঝাতে পেরেছি কিনা সন্দেহ রয়েই গেলো।
আসছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৪৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৭

এপোলো বলেছেন: বাকস্বাধীনতার আইডিয়াটা আমার কাছে বরাবরই খুব ইন্টারেষ্টিং হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ফ্রিডম অফ স্পিচ এর সংজ্ঞার মধ্যে সেন্স অফ রেসপনসিবিলিটি লুকিয়ে আছে বলেই মনে করি। আপনার এই লেখাটা ভালো লেগেছে। এখন আফসোস লাগছে কেন আগে এই লেখা পড়িনি।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: এপোলো,




সম্ভবত আমার ঘরে প্রথম এলেন। অনেক ধন্যবাদ এখানে আসার জন্যে।
ফ্রিডম অফ স্পিচ এর সংজ্ঞার মধ্যে সেন্স অফ রেসপনসিবিলিটি লুকিয়ে আছে বলেই আমরা সীমার বাইরে যেতে পারিনে।

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.