নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে জোনাকি লুকিয়ে রেখেছি চোখে, পলকে অশ্রুজল.......

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৬



যে জোনাকি লুকিয়ে রেখেছি চোখে, পলকে অশ্রুজল......

নন্দন, মনে করিস নে যে, আমি সত্যি সত্যিই এই গল্পটা লিখতে বসেছি । এটা মূল গল্প নয় । এটা গল্প লেখার পেছনের গল্প । পেছনের কেন ? তা বলি ----
নিশীথাকে আমি কখনও দেখিনি । তবুও নিশীথার সাথে আমার একটা যোগাযোগ ছিলো । রাত-বিরেতে ঘুম ভেঙে গেলে সে আমাকে লিখতে বসতো । নিছক কথার পিঠে কথা সাজিয়ে যেতো । আমার সাথে তার যেন একটা লেখা লেখা খেলা চলছিলো । কী-বোর্ডে নিশীথার আঙুল চালানোর শব্দ পেতুম আমি তাতে । নিশীথার আঙুল কেমন, তার বর্ণনা আমি দিতে পারবোনা । কবি সাহিত্যিক হলে হয়তো স্বপ্নের ঘোরে বলতে পারতুম চম্পাকলি আঙুল -- শ্বেতশুভ্র , দ্যুতিময়, হীরন্যক । সে আঙুলের ছন্দে নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো কিনা জানিনে তবে আমার ঘুম ছুটে যেতো তাতে । তার শব্দকথার ঝংকারে আমাকেও তাল মেলাতে হতো । এককাপ চা বানিয়ে বসে যেতুম সুর-সংগতে । ঘন দুধের চা নাকি নিশীথারও খুব প্রিয় , এমন কথাই একবার লিখেছিলো সে । দুজনার এখানেই নাকি অনেক মিল ।
নিশীথাকে আমি পেয়েছি কোথায় ? হঠাৎ করেই পেয়ে গেছি, বলতে গেলে কুঁড়িয়েই । সেই যেবার আমরা দল বেঁধে জাফলং গেলুম তখন ট্রেনে থাকতেই একটা কল এসেছিলো আমার ফোনে । অপরিচিত নম্বর । হ্যালো বলতেই ও পাশে নারীকন্ঠ । কারও নাম ধরে তাকে চাইছে । রং নাম্বার ।
নন্দন ; তুই ও তো বলেছিলি – কার ফোন ?
তোর মতোন চন্দ্রা ভাবীও আমাকে খেয়াল করছিলেন । রং নম্বর বলার পরেও আমি আরো চালিয়ে যাচ্ছি দেখে তার চোখ বড় বড় হয়ে উঠেছিলো ।
- কি হে , রং নম্বরে এতো কি রঙের কথা ?
“ আছে আছে ....” বলে তোদের যন্ত্রনায় আমি উঠে কামরার বাইরে চলে গিয়েছিলুম ওয়াশরুমের কাছের ঘুপটি জায়গাটায় । ওখানে কি কথা শোনা যায় ভালো করে ! কী বিকট আর কান ঝালাপালা ইঞ্জিনের ঘটাং ঘটাং আওয়াজ । তবুও কথা চললো আধা শোনা না শোনার মধ্যে দিয়ে । শেষমেশ আবারও কথা হবে বলে ফোন ছেড়েছিলুম । সীটে বসতেই তুই আমায় একটা গাট্টা মেরে বলেছিলি – কিরে কার সাথে কথা বললি এতোক্ষন ? রং নম্বরে লোকে এতো কি কথা বলে রে ? দাঁড়া তোর হবে আজকে, হোটেলে গিয়ে উঠি আগে ।
চন্দ্রা ভাবীও যোগ দিয়েছিলো তোর সাথে ।
সে কথা তোর কি মনে আছে নন্দন ?

মূল গল্পটি রং নম্বরের তাকে নিয়েই । কিন্তু আমি তো লিখতে বসেছি গল্পের পেছনের গল্প । রায়হান গফুর তন্ময় এর গল্প । যে দৈনিক সংযোগ পত্রিকার একজন কলামিষ্ট । সেই কোন এক মফস্বল শহর থেকে অনেক ঝড়ঝাপটা পার হয়ে এখন আরামবাগের এক মেস বাড়ীর দোতালার শেষ মাথায় তিন নম্বর রুমে একার একটা ঠাই করে নিয়েছে যে। রায়হান গফুর তন্ময় একাই ভাড়া নিয়েছে রুমটি । মানুষজনের অহেতুক সঙ্গ তার খুব একটা পছন্দ নয় । পত্রিকা অফিসে আবার উল্টো চিত্র । চীফ কলামিষ্ট জহুর আহম্মদ এর টেবিলে চায়ের কাপে ঝড় না তুলে যে নিজের চেয়ারখানায় পেছনটা ছোঁয়াতে মোটেও স্বস্তি বোধ করেনা । তারপরে সহকর্মী দেলোয়ার হোসেনকে দু’চারটে কথার খোঁচা না দিয়ে যে আবার কলম ধরতে পারেনা । সাব-এডিটর মিজ আফরোজা বানুর টিফিন বক্স থেকে কিছু না কিছু একটা মুখে না দিলে যার পেটের ভাত হজম হয়না । আবার মিজ আফরোজা বানুকে এটা না বললেও উসখুস করতে থাকে মুখ –
“মাইয়া মানুষ , কি যে রান্না করেন ...... ! আমিও তো এর চেয়ে ভালো রান্না করি ।”
তারপর ঝাল-মিষ্টি একটুকরো হৃদ্যতাময় ঝগড়া ।
দৈনিক সংযোগ এ তার নিয়মিত কলাম “ ভেতরে বাইরে” আপনার হয়তো অনেকেই পড়েন নি । পড়লে দেখতেন, কী তুখোড় তার লেখার ষ্টাইল, বক্তব্যের ধার ! সেই রায়হান গফুর তন্ময় এর ভেতর বাইরের গল্প এটা । এই যাহ .. আবারও ভুল হলো । গল্প গল্প করছি কেন ? এটাতো গল্পের পেছনের গল্প ।

নন্দন জানে কিন্তু আপনাকে কি এখনও বলে দিতে হবে যে, এমন রাখঢাক, চালচুলোহীন রায়হান গফুর তন্ময় আমি নিজেই ?

না , নিশীথার পুরো নামটি আমি ঠিক জানিনে । প্রথম আলাপে নিশীথা নামটিই শুধু বলেছিলো সে, হেয়ালী করেই হয়তো । ফোন ছেড়ে আমাদের মাঝে যোগাযোগের যে ব্যাপারটি ছিলো সেটা মেইলেই । ফোনালাপ গৌন হয়ে গেছে তখন। টুকটাক লেখার নেশা আছে নিশীথার । তাই ফোন থেকে সরে এসে এখন মেইলেই যা কিছু নিশীথার সাথে । এতে ধীরে সুস্থ্যে বসে আকাশ পাতাল বলা যায় । নিজেকে উজার করা যায় লিখে লিখে ।
মেইল এ্যাড্রেসটিতে তার পুরো নামটি নেই , দু অক্ষরের একটি নামের পরে কয়েকটি নম্বর মাত্র । অবশ্য তার নামটি জানা কোনও বড় বিষয় নয় । সমুদ্রঝড়ের যতো সুন্দর নামই থাকনা কেন তার আসল রূপটি হলো, জনপদে তার আছড়ে পড়ার ধরনটিতে । নিশীথার না জানা সত্যিকারের নামটি যতোই সুন্দর বা অসুন্দরই হোক না কেন , তার আছড়ে পড়ার ধরনটি ছিলো ঢেউয়ের মতো উচ্ছল, সুন্দর। ছিটকে যাওয়া জলের কুয়াশা হয়ে উড়ে যাওয়ার মতোই ছিলো তার ভেতরের ঝিরিঝিরি দ্যুতিময় রূপটি । কথার পিঠে কথা সাজিয়ে যেতে পারতো বেশ । কুমোরের মতো ছেনে তোলা মাটি থেকে গড়ে তুলতে পারতো মৃন্ময়ী এক একটি মৃৎপাত্র ।
আমি দিব্য চোখে দেখতে পেতুম , ঘন দুধের এককাপ চা নিয়ে নিশীথা তার ল্যাপটপ রাখা ডেস্কটির সামনে চেয়ার টেনে বসেছে । এতোক্ষন রান্নাঘরে থেকে তার নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠেছে । গালে লেগেছে গোধুলীর লাল রঙের আমেজ । তার মরালী কন্ঠ আগলে রাখা একলহরী সোনার চেইনটিতে লেগে থাকা একফোঁটা ঘাম এই পড় পড় তার বুকের ঢালে ।
জানি , একথাই সে লিখবে এভাবে ---
“----ঘুমিয়ে গেছে সব চরাচর । আমি শুধু জেগে আছি । এককাপ চা আমার সামনে, যেমন থাকে আপনার ও। চা বানাতে গিয়ে নাকে ঘাম জমেছে আমার । আপনি একবার বলেছিলেন , নাকে ঘাম জমলে কি জানি কী সব হয় ।
নিঃশব্দ রাত । কেন যে এতো রাতে আপনার কথা মনে হলো ......”

এসব লিখতে শিখেছে সে আমার কাছে । প্রথম প্রথম লিখতে গিয়ে নিশীথা হোচট খেতো । সে হোচট খেয়ে ছড়ে লাল হয়ে যাওয়া জায়গাটুকুতে আমি আনাড়ী শব্দগুলি খুঁজে পেতুম । সে শব্দগুলোর ভাব মন্থন করে অমৃত উঠলে তা নিয়ে তার ছড়ে যাওয়া শব্দক্ষতে মলমের প্রলেপ মাখিয়ে বলতুম -
“ লিখুন । যাবতীয় শ্রমে ভরা দিনগুলোর ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু করে লিখুন । ইচ্ছেদের খেয়ে নেয়া জটিল সময়ের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে দেখবেন সুবাতাস বইছে । এটি একান্ত আপনার নিজের । নিজের ভেতরে আর একটি নিজস্ব ভুবন গড়ে তোলা । এখানে কারো কোনও প্রবেশাধিকার রাখবেন না । দেখবেন, মনটা সকালের রোদের মতো কনক আভায় ভরে উঠছে । লিখতে লিখতে হাত খুলবে একদিন । শব্দ করেই খুলবে ।”
তার উত্তরে নিশীথা বলতো ---
“ ভাঙনেরও তো শব্দ থাকে । জলের নীচে নিঃশব্দে মাটি ভাঙনের শব্দ । সে শব্দ সবাই শুনতে পায় না । পায় কি ?”
আমিও উল্টে বলতুম --- “ কান পাতলেই শোনা যায় , যদি সে কানে তেমন জোর থাকে ।”

আমার কানে বোধহয় তেমনটা জোর ছিলোনা । থাকলে সে শব্দ আমি তেমন করে শুনতে পাইনি কেন ? যে শব্দ নিঃশব্দে আছড়ে পড়ে, তেমন শব্দের কথা হয়তো জানাই ছিলোনা আমার । অনিয়মিত মাসকাবারী মাইনের আধেকটার বেশী পেনশনে যাওয়া জন্মদাতাকে পাঠিয়ে যা থাকে তা দিয়ে জীবন ধারনের কসরত করতে করতে স্বপ্নের সেসব বর্ণমালার ঝংকার আমার শোনা হয়ে ওঠেনি কখনও । আরামবাগের কোনও এক মেসবাড়ীতে থাকা চালচুলোহীন সামান্য এক কলামিষ্টের তেমন ঝংকার শোনার কথাও নয় ।

রায়হান গফুর তন্ময় তাহলে কি তখন তন্ময় হয়ে ছিলো অন্য কোনও খেলায় ? যা মেলেনা সহজে , সংসারে অচল এমন কিছুতে ? একটা নিটোল সখ্যতার মাকড়সার জাল বুনে তুলতে চেয়েছিলো যা সহজে দেখা যায়না অথচ ছুঁয়ে দেয়া যায় , অনুভব করা যায় ?
হৃদয়ের সব সৌহার্দ্য সঞ্জাত মোহহীন , কায়াহীন এক অপার্থিব বন্ধনজাল ?

শুরুটা ছিলো এরকমের , নিশীথা যেদিন লিখলো –
“------শুভেচ্ছা দ্বিপ্রহরের । অসম্ভব সুন্দর একটি মেইল এলো যা আমি কোনওদিন পাইনি । কি কাব্যিক মায়াময় শব্দগুলো একরাশ শিউলি ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে আমার হাতে ঝরে পড়লো যেন টুপটাপ করে এই বেলা । সকালে মেইল খুলে আপনার লেখাটি পেয়ে আমার এমন অনুভূতিই হলো । ফোনে কি এভাবে বলা যেত ....... ?”

আমি ফিরতি মেইলে লিখলুম --- “ বাহ , বেশ হাত খুলেছে তো আপনার ! এই তো বেশ লিখলেন, হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার মতো লেখা । জীবনের অপূর্ণতাটুকু পূর্ণ করে তুলুন লেখায় লেখায় । না পাওয়ার খেদটুকু ঝেড়ে ফেলুন কলমের কালির মতোন । লিখতে থাকুন । যে অভ্যেসটা মরে গিয়েছিলো বলে দুঃখ ছিলো , দেখলেন তো একফোঁটা জল পেয়ে সে আবার কেমন করে লকলকিয়ে উঠতে চাইছে ......” ।

এরকম একটা খেলায় মেতে ওঠা তখন থেকেই । রাজনীতি, সমাজনীতি এই সব নিয়ে কাঠখোট্টা কলাম লিখতে লিখতে মনের সুকুমার একটুকরো আঙিনায় যে শ্যাওলা গজিয়ে উঠছিলো এতোদিনে তা সরতে শুরু করলো বোধহয় । ভালো লাগছিলো আমারও লেখার হাত খুলছে দেখে । নিশীথা যে একজন নারী তা আমার মনেই হয়নি তেমন করে । সে যে আমার লেখার একনিষ্ঠ এক পাঠিকা । নিশীথা যেন আমারই আর একটা রূপ, আমার ভেতরের আয়নাখানি । আমি তার সাথে শব্দজাল বুনে চলি চাঁদের বুড়ির চরকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আপন মনে সুতো কাটার মতো ।

রায়হান গফুর তন্ময় এই লেখার খেলাতেই মজে ছিলো । লেখা লেখা খেলা।

রায়হান গফুর তন্ময় তাই একবার লিখেছিলো এমন করে – “ আমার লেখা কি ভালো হচ্ছে ? হঠাৎ হঠাৎ লেখার ফুলছাপ ফ্রকে রোদের ফিচেল হাসি দোলা দিয়ে যাচ্ছে কি ? জানেন, লিখতে ভালো লাগে বলেই আপনাকে লিখছি । একজন ভালো শ্রোতা - পাঠক পেলে লেখারা তরতর করে মাথা তুলতে থাকে । নিজে ফুরিয়ে গেছি কিনা, তা পরখ করে দেখি ।”
নিশীথার জবাব এলো – “ বাহ , লেখার ফুলছাপ ফ্রক ! দারুন বলেছেন , শ্রুতিনন্দন । আপনার ভেতরে একটা কি যেন আছে !

নিশীথা সেদিন আরও লিখলো এমন করে-.........
“ আপনার এই অদ্ভুত মায়া মাখানো কাব্যিক চিঠিগুলো তো আপনার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় মুক্তগদ্যের মতো করে ছাপিয়ে দিতে পারেন ..........” ।

তা হয়তো যেত ! কিন্তু নিজ ভুবনের আলোয় বাইরের আলোভূক পিপীলিকাদের টেনে আনতে বড় ভয় ছিলো রায়হান গফুরের । ততোদিনে দারুন অবাস্তব এক খেলার নেশা তার আঙ্গুলের ডগায় ভর করে ফেলেছে ! কীবোর্ডে বাজিয়ে চলেছে নাইনথ সিম্ফনী । কলমীলতার মতো সঘন সবুজে সাজিয়ে লতিয়ে লতিয়ে সে সুর ছড়িয়ে গেছে বহুদুর । রায়হান গফুর তাই লিখলো –
“চিঠি শুধু চিঠি – ই । এর সৌগন্ধ আলাদা । একদম করমচা ফুলের মতো । তাকে মুক্তগদ্যের ছাপ দিতে চাইনে । আপনাকে পেয়ে আমার লেখার হাত খুলছে , বুঝলেন নিশীথা ? ”

সেই নিশীথাই মাঝখান থেকে হঠাৎ উধাও একদিন, আমার শেষের মেইলটির জবাব না দিয়েই । তারপরেই বেশ ক’দিন বাদেই মেঘবৃষ্টির আড়ালে হেসে ওঠা রোদ্দুরের মতো আবার নিশীথার মেইল এসে হাজির ।
---- “ অনেকদিন হলো আপনার মেইলের জবাব দেয়া হয়নি । দুঃখিত । ইচ্ছেকৃত নয় , আটকে ছিলুম অন্য কাজে । আপনিও তো একটা ফোন দিতে পারতেন, বলতে পারতেন এতোদিন কোথায় ছিলেন..."

নিশীথাকে আমি নিজ থেকে কখনও ফোন দিইনি । যা কিছু ফোনালাপ তার শুরুটা ওধার থেকেই । রায়হান গফুর তন্ময়ের ভেতরের সৌন্দর্য্যবান সংবেদনশীলতার কাছে এইসব ফোনালাপকে বড়বেশী উপযাজক হয়ে ব্যক্তিগত উঠোনে ঢুকে পড়ার মতো মনে হতো বলেই নিজ থেকে ফোন দেয়নি কখনও । আঙুলের ছড় টেনে টেনে যে সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা তোলা যায় , মুখে কি সে সুর তেমন ফোঁটে ?
উত্তরে লিখেছিলুম –
“ আপনার মেইলের "বলতে পারতেন এতদিন কোথায় ছিলেন..." এই লাইনটি আমাকে বনলতা সেনের কথা মনে করিয়ে দিলো । বনলতা সেন কবিতাটি আপনি পড়েছেন ? আপনার মতো বনলতাও সেদিন এমনি করেই বলেছিলেন - " ...তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে ; বলেছে সে, "এতদিন কোথায় ছিলেন ? " / পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন ।"
কবিতাটি আমার কাছে , আমার কাছেই বা কেন , সবার কাছেই অদ্ভুত সুন্দর লাগে তাই কোট করে দিলুম আবার আপনার জন্যে ।
হ্যা .. বলছি, এতোদিন কোথায় ছিলেন , শুনি ? ”

উত্তর এলো –
“ হারিয়ে গিয়েছিলুম কক্সবাজারে , দলেবলে । আমার যেতে ইচ্ছে ছিলোনা তেমন, কিন্তু কি করি ! আমার কর্তার বন্ধুবান্ধব সব । মাঝে মাঝেই এরকম হুটহাট বেড়িয়ে পড়ার স্বভাব আছে তার । দলেবলে আড্ডা দেয়া । বোতলে গ্লাসে ঠুং ঠাং আওয়াজ তুলে কয়েকটা দিন হৈ-হৈ করে কাটিয়ে দেয়া । আমার ওসব ভালো লাগেনা ।
যাকগে.....বনলতা সেন এর বাকীটুকু আর লেখেননি কেন ? বুঝতে পারছি বনলতা সেন আপনার পছন্দের , আমারও । তা আপনার গল্প লেখার কি হলো .......... ?”

খুব একটা অবাক হইনি আমি । নিশীথা বিবাহিতা এটা কোনও বড় চমক ছিলোনা সে মুহূর্তে। বরং নিশীথার সব লেখার ভেতর থেকে হঠাৎ করে ভাঙনের শব্দগুলো বড় বেশী বাজলো যেন কানে । নিশীথা কি অব্যক্ত কিছু বোঝাতে চেয়েছে এতোদিন ধরে ? এদেশে মানুষের চারিধারে নৈঃশব্দ হয়তো নেই কিন্তু প্রতিটি মানুষের ভেতরেই কিছু কিছু নৈঃশব্দ কি থেকেই যায় আগোচরে?

নইলে প্রথমদিকে কেন সে লিখেছিলো – “ ...... জীবন সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যাগুলো দারুন ভাবে আমাকে মুগ্ধ করে রাখে। সত্যি বলতে কি আপনার লেখার গাঁথুনী আমাকে মুগ্ধ করে ফেলে দারুন ভাবে। একাকী নিঃসঙ্গ আমার মত শুনে খুব দুঃখ পেলাম। সত্যি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সারাদিন ব্যস্ত থেকেও আমরা ভেতরে ভেতরে কি একাকী এক এক জন। কাউকে ভর করে বেতস লতার মত লতিয়ে উঠতে চাই, আকড়ে ধরতে চাই, তাই নয় কি ! তারপর কিছু দিন পর সেই আকড়ে ধরা ডালটা ভেঙ্গে পরে যায় নিঃশব্দে....... “ ।

আমি জবাব দিলুম - “আপনার সাথে দ্বিমত করি । নিঃশব্দে নয় সশব্দেই ডালটি তখোনই ভেঙে যায় যখোন বেতস লতার মতো লতিয়ে ওঠাটা কোন দেনা পাওনায় জড়িয়ে যায় । যখন ঘুণ ধরে, তখন ঝুর ঝুর করে ভেঙ্গে পড়ার কথা। তা কি সশব্দে হয় ? কি জানি..... !”
নিশীথাও তর্কে কম যায়নি । লিখলো --- “ হা...হা.. হা... আপনার দ্বিমতের সাথে আমাকে যে দ্বিমত করতে হচ্ছে এখোন ! ঘুণ পোকার শব্দ শুনেছেন কখোনো ? নীরবে নদীর পার ভেঙে পড়ার শব্দ ? নৈঃশব্দের মাঝেও যে আরেক অলৌকিক শব্দ বাজে, জানেন তো ? বাইরে থেকে কিছুই শোনা যায় না । কান পেতে রাখলে তবে শোনা যায় । ”
উত্তরে আমি আর বেশী কিইবা লিখতে পারতুম ? নিশীথার একান্ত নিজস্বতায় ঢুকে পড়া হয়ে যায় যে তাতে ! তাই এক লাইনে লিখলুম – আপনার লেখায় একটু কি আক্ষেপ , একটু কি হতাশারা ছায়া ফেলে গেলো !
এবারে যেন অনেকটা সোজা করেই লিখলো নিশীথা – “ কি জানি হয়তো বা ! হয়তো বা না। বুঝে উঠতে পারিনা কি চাই কেমনটা চাই । একটা ঘোরের মাঝে চলেছি মনে হয় যেন। রাতে হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভাবি এমন জীবন কি আমি চেয়েছিলাম ! জানি না ....... ” ।

বুঝতে পারলুম, অজান্তে নিশীথার কোনও গোপন তন্ত্রীতে আমার হাত ছুঁয়ে গেছে । তা থেকে যদি বারে বারে কোনও বেদনার রাগিনী বেজে বেজে ওঠে তা রায়হান গফুর তন্ময়ের কাছেও অসম্ভব ভারী মনে হবে ।
নন্দন, তুই হয়তো অবাক হবি এটা জেনে যে, “ ভেতরে বাইরে” কলামটি লেখার কলামিষ্ট কেউ একজন, কারো এই ভেতর বাইরের খোঁজটি রাখেনি !


রায়হান গফুর তন্ময় তাই লিখলো --- “ আপনার লেখাগুলো পড়ে আপনাকে একটা কষে ধমক দিতে ইচ্ছে করছে । খুব ব্যবহারে মলিন এই কথাগুনো আবার নতুন করে আপনাকে বলি - " যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই । যাহা পাই তাহা চাইনে......"। আসলে জীবনটাই এমনি । কেউই আগেভাগে জীবনটাকে সোনালী ক্যানভাসে বন্দী করে রাখতে পারেনা, চাইলেও । পথ চলতে চলতে জটিলতায় ভরা এই পৃথিবীর যাবতীয় অনুষঙ্গ জীবনকে এখান থেকে ওখানে টেনে নিয়ে যায় । কে জানে কোথায় ! জীবন বড়ই ছটফটে অথচ কী সুন্দর ।
মন খারাপ হলে গুনগুন করে গান গাইতে পারেন বা শুনতে । গান ভালো লাগে আপনার ?
এই যাহ্‌ ........আহাম্মকী একটা প্রশ্ন হয়ে গেলো ! গান ভালো লাগে না কার ? .................”

নিশীথা উত্তর দিলো এরকম করে --- “..... রাত চারটে বেজে গেছে । আপনি হয়তো গভীর ঘুমে অচেতন । ঘরের লোকেরাও ওদিকটাতে ঘুমিয়ে । শুধু আমার ঘুম আসছে না । আপনার কথা মনে হলো । জানিনে কি ভাবছেন আমাকে । আপনি হয়তো জানেন না , জীবন সম্পর্কে আপনার ফিলোসোফিগুলো আমি মেনে চলতে চেষ্টা করি । আসলে বড়ই অদ্ভুত মানুষের এই জীবন ! আপনার ভেতরে বাইরে কলামখানি আমি মনযোগ দিয়ে পড়ি । । মাঝে মাঝে আপনার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় আপনার যে দু-একটা গল্প ছাপা হয় হঠাৎ হঠাৎ সেগুলোও পড়েছি আমি । মনে হয় আপনি বেশ পরিনত, রূচিশীল , বুদ্ধিদীপ্ত নইলে সুযোগ থাকা সত্বেও আপনার তেমন কোনও কলামে বা গল্পে কোনও নোংরামী বা অশ্লীলতা আপনি টেনে আনেন নি । আপনার এই পরিমিতি বোধ ভালো লেগেছে বলেই এই রাত জেগে আপনাকে লেখা । মনে হলো আপনাকে অনেক কিছুই হয়তো বলা যায় অকপটে................”।

নিশীথার এমন লেখা পড়ে রায়হান গফুর তন্ময় কি অবাক হবে ? তার মনের গভীরে কি অজস্র সঙ্গীতের গুঞ্জরন উঠবে ?

না....... নন্দন , আমার তেমন কিছুই হয়নি । আমার তেমন হওয়ার কথাও নয় । বরং ভয় পেয়েছিলুম । পক্ষাঘাতে আমার শরীরের বাম দিকটি, বিশেষ করে বাম হাতটি যে বেশ খানিকটা অচল সে তো তুই জানিস । এ রকম খানিকটা পঙ্গু একজনের এরকম সঙ্গীতের বিলাসিতা মানায় না । বরং নিশীথার লেখা পড়ে খুব মায়া পড়ে গেছিলো তার উপর । আমি তার জীবন কাহিনী জানিনে । জানিনে জীবন নিয়ে তার এমন হাহাকার কেন ! বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলুম । নিজের কাঁধটাকে এগিয়ে দিতে চেয়েছিলুম নিশ্চিন্ত নিরাপদে নিশীথা যেন সে কাঁধে মাথাটি রাখতে পারে বন্ধুর মতো ।
তাই লিখলুম ------ “ যদি বন্ধু বলে ভাবতে পারেন তবে প্রান খুলে বলুন, আমি শুনছি ...........”

নন্দন, কক্সবাজার থেকে নিশীথার ফিরে আসার পরে তার আগের লেখা মেইলগুলো আমি আবার পড়লুম । বারে বারে ।
মেলাতে চেষ্টা করলুম তার পাঠানো সব মেইলের সব কথা । নিশীথার বাইরেরটুকু আমি তেমন দেখিনি , ভেতরটাও কি দেখেছি খুব ! তাই মেইলের ঝাঁপি খুলে উঁকি দিয়ে তার ভেতরের সবটুকু দেখে মনে হলো , এখানেই থামা উচিৎ আমার । অনেকটা অকেজো হাতের মতো আমার মনের চোখ দু’টোও কি অকেজো হয়ে ছিলো এ্যাদ্দিন ? না কি; লেখা লেখা খেলায় মজে ছিলুম বলেই মাদুরের মতো বেছানো কারো মনের একটুকরো উঠোনের ভেতরে বাইরে উঁকি দিয়ে দেখার ফুরসৎটি মেলেনি !
দু’টো হাত ধরার মধ্যে দিয়ে যে এতো বড় পৃথিবীটাকে কেউ ধরে ফেলতে পারে, জানা ছিলোনা ।

তাকে লিখলুম - “জীবন যেখানে যেমন, তাকে সেভাবেই নিতে শিখুন । পারছেন না ? হাহাকার উঠে আসে ? এটাই তো সংসারের নিয়ম ! পৃথিবীটা তো আর স্বর্গ নয় , এ যে কাঁটা বেছানো এক পথ । যে পথের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ ফুলের দেখাও মেলে । চোখ রাখতে হয় । এর পরেও জানি , জীবনটাকে যতোই হেলাফেলা করিনে কেন , তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিই না কেন , মাঝে মাঝে জীবনের হিসেবটা নিয়ে বসতেই হয় । ইচ্ছায় কিম্বা অনিচ্ছায় । এই যেমন আমি, পক্ষাঘাতগ্রস্থ একটি মানুষ । বাম হাতটি তেমন নাড়াতে পারিনে খুব একটা । নিতান্ত সাধারন । সেই সাধারনত্বকে পুষিয়ে দিতে লেখালিখির কাজ করি । আপনার সাথে তাই এই লেখালিখির খেলায় আমার নিজের অপূর্ণতাকে ভুলে থাকার একটা পথ তৈরী হয়েছে । অকেজো বাম হাতটির ক্ষতি পুষিয়ে ডান হাতটি কী-বোর্ডে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে । আমার লেখা যে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সে কথা আপনাকে আগে লিখেছিও আমি ........”

জানিস নন্দন ; নিশীথাকে সেই-ই আমার শেষ লেখা । নিশীথা সেই লেখার জবাব আর দেয়নি আমাকে । কোনদিন দেবেও না , জানি । শুধু ফোনটিই নয় , তার মেইল এ্যাড্রেসটিও সরে গেছে আমার থেকে । আকাশের তারা গুনতে গিয়ে চাঁদটাই হারিয়ে গেছে যেন !

নন্দন ; নিশীথা আমাকে চিঠিতে লেখা শব্দমালা সাজিয়ে মুক্তগদ্য লিখতে বলেছিলো । সেই মুক্তগদ্যটিই আমি লিখবো এখন নিশীথাকে নিয়ে ...............


[ ছবির কৃতজ্ঞতা ইন্টারনেট এ সমর্পিত । ]

মন্তব্য ১৪০ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (১৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: শুভসকাল।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,




শুভ সকাল আপনাকেও ।
কিন্তু কিছু বললেন না যে !

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্পের পেছনের গল্প এত সুন্দর! না জানি তাহলে গল্পটি আরও কত সুন্দর । গল্পের পেছনের গল্প পড়ে মূগদ্ধ হলাম। গল্পটিও বলবেন আশা করি। যদিও মনে হচ্ছে এই পেছনের গল্পটি আসল গল্প।এর পরে আর কোন গল্পই নেই হয়তো।
সাধারন একটি প্রেমের গল্প সুন্দর কথা মালা দিয়ে যে কি অসাধারন ভাবে তুলে ধরা যায় তা আপনি দেখালেন ভাইয়া।
পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম। বুকে জমা ব্যাথা গুলোও কেমন বুকের মাঝে নড়ে চড়ে উঠছিল।
কিছু পড়ে মনের মধ্যে আমার যে সব অনুভুতি হয় তা আমি এত সহজেই বলতে পারি না। মনের অনুভুতি বর্ননা করা এক কঠিন কাজই আমার কাছে।
এভাবে আরও সুন্দর সুন্দর লেখা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হোন সে কামনায় করি।অনেক শুভ কামনা রইল ভাইয়া।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,




এমন অকপট মন্তব্যকে ভালো না লেগে উপায় নেই ।

মূল গল্পটির সুন্দরতা, সহৃদয় পাঠককুল-ই না হয় ভেবে নিক !

পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছিলেন । হা.......হা.......... এ যে আমাদেরই কারো না কারো গল্প । হারিয়ে তো যেতেই হয় !

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্যেও । বৈশাখের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি ।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: নীশিথার পরিচয় যেটুকু পেলাম, তাতে একরাশ মুগ্ধতা : " সমুদ্রঝড়ের যতো সুন্দর নামই থাকনা কেন তার আসল রূপটি হলো, জনপদে তার আছড়ে পড়ার ধরনটিতে । নিশীথার না জানা সত্যিকারের নামটি যতোই সুন্দর বা অসুন্দরই হোক না কেন , তার আছড়ে পড়ার ধরনটি ছিলো ঢেউয়ের মতো উচ্ছল, সুন্দর। ছিটকে যাওয়া জলের কুয়াশা হয়ে উড়ে যাওয়ার মতোই ছিলো তার ভেতরের ঝিরিঝিরি দ্যুতিময় রূপটি । কথার পিঠে কথা সাজিয়ে যেতে পারতো বেশ । কুমোরের মতো ছেনে তোলা মাটি থেকে গড়ে তুলতে পারতো মৃন্ময়ী এক একটি মৃৎপাত্র ।"

রং নম্বররের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে রায়হান গফুর তন্ময় ও নীশিথার আলাপনের সাহিত্য মূল্য আমার কাছে অপরিসীম ।

কিছু কিছু কথা এতো ভালোলেগেছে:

"যে অভ্যেসটা মরে গিয়েছিলো বলে দুঃখ ছিলো , দেখলেন তো একফোঁটা জল পেয়ে সে আবার কেমন করে লকলকিয়ে উঠতে চাইছে ......” ।"

" একজন ভালো শ্রোতা - পাঠক পেলে লেখারা তরতর করে মাথা তুলতে থাকে । নিজে ফুরিয়ে গেছি কিনা, তা পরখ করে দেখি ।”
নিশীথার জবাব এলো – “ বাহ , লেখার ফুলছাপ ফ্রক ! দারুন বলেছেন , শ্রুতিনন্দন । আপনার ভেতরে একটা কি যেন আছে ! "

"আঙুলের ছড় টেনে টেনে যে সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা তোলা যায় , মুখে কি সে সুর তেমন ফোঁটে ? "

"এদেশে মানুষের চারিধারে নৈঃশব্দ হয়তো নেই কিন্তু প্রতিটি মানুষের ভেতরেই কিছু কিছু নৈঃশব্দ কি থেকেই যায় আগোচরে? "

নীশিথা নীশিথের মতই হারিয়ে গেল রায়হান গফুরের জীবন থেকে একবিন্দু অশ্রু হয়ে - অসাধারণ!!!

পোস্টে প্লাস!!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,




এই বিশাল গল্পটি পড়ে যে মন্তব্য করলেন , তাতে কৃতজ্ঞ ।
ভালোলাগাগুলো তুলে ধরেছেন । বোঝা গেল, তেমন একটা ভালো লাগার মন আছে আপনার । সে মনের যে নামই থাকনা কেন তার আসল রূপটি হলো, আপনার মতো এমন করে লেখার বুকে আছড়ে পড়ার ধরনটিতে ।

শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০২

বিজন রয় বলেছেন: যেহেতু লেখাটি তখন বা এখনো পড়িনি তাই কিছু বলিনি। আপনার পোস্ট তাই চোখে পড়তেই শুভকামনাটি জানিয়েছিলাম। হৃদ্যতার কোন অভাব নেই আমার ভিতর।

এবার ফাগুন স্পর্শই করা গেল না বৃষ্টির কারণে, বৈশাখ কি দেখাবে জানিনে, প্রকৃতি ঠিক মতো প্রস্ফুটিত হলে কাব্য ভালভাবে ধরা দেয়।

পোস্ট নিয়ে পড়ার পর কথা হবে নিশ্চয়ই।

শুভ নববর্ষ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,



আমার মতো আর্বাচীনের কাছে এই মন্তব্য নির্ঝরের স্বপ্নভঙের মতো । শুধু পোষ্টদাতাকে দেখেই যে, কারো মনে দোলা লাগতে পারে তা এই জানলুম । বিজন ঘাসে মুখ তোলা ঘাসফুলে রঙীন হয়ে উঠলো আমার ব্লগের মাঠখানি ।

আপনার মতো বলি, বৈশাখ কি দেখাবে জানিনে , তবে বৈশাখের আগাম শুভেচ্ছার পতাকাখানি একটু দুলিয়ে দিয়ে গেলুম ।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

মানবী বলেছেন: দীর্ঘ লেখা খুব কম পড়া হয়, এই লেখাটি একটানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে একরকম বাধ্য হয়েছি লেখনীর গুনে!

" অবশ্য তার নামটি জানা কোনও বড় বিষয় নয় । সমুদ্রঝড়ের যতো সুন্দর নামই থাকনা কেন তার আসল রূপটি হলো, জনপদে তার আছড়ে পড়ার ধরনটিতে । নিশীথার না জানা সত্যিকারের নামটি যতোই সুন্দর বা অসুন্দরই হোক না কেন , তার আছড়ে পড়ার ধরনটি ছিলো ঢেউয়ের মতো উচ্ছল, সুন্দর। ছিটকে যাওয়া জলের কুয়াশা হয়ে উড়ে যাওয়ার মতোই ছিলো তার ভেতরের ঝিরিঝিরি দ্যুতিময় রূপটি । কথার পিঠে কথা সাজিয়ে যেতে পারতো বেশ । কুমোরের মতো ছেনে তোলা মাটি থেকে গড়ে তুলতে পারতো মৃন্ময়ী এক একটি মৃৎপাত্র । "

-চমৎকার! মানুষের বাস্তবিক অবয়বের চেয়ে অনলাইনে নিজের লেখালেখির মাধ্যমে যে পরিচয় ফুটে তা আমার কাছে অনেক বেশি স্পষ্ট আর নিখাদ মনে হয়। ছবিতে শুধু বাহ্যিক চেহারাটা দেখা যায় যা সদা পরিবর্তনশীল, অথচ না দেখে শুধু লেখা পড়ে একজন মানুষের সত্যিকারের রূপ।
নিঃসন্দেহে এমন দ্যুতিময় মানুষটিকে শুধু পক্ষাঘাতগ্রস্থ জেনে ছিটকে পরাটা তাকে নিমেষেই কেমন আঁধারে ঢেকে দেয়। মেলানো সম্ভব হয়না।

ইদানীং অনলাইন আপচারিতা নিয়ে একাধিক পোস্ট পড়া হলো, বেশ কাকতালীয় ব্যাপার!!!

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,




পোস্ট করার আগে এবং পরেও ভয় ছিলো এতো বড় লেখা কেউ ধৈর্য্য নিয়ে পড়বেন কিনা । ভয়টি, আপনার এই একটি মন্তব্যেই উড়ে গেছে ।

যদিও ভার্চুয়াল জগত আলো-আঁধারীতে অস্পস্ট , তথাপিও আপনার মতো আমারও মনে হয় এইজগতে যারা ধারাবাহিক লেখালেখি করেন , তাদের লেখা থেকেই তাদের মনের পরিচয় স্পষ্ট আর নিখাদ হয়েই বুঝি ধরা দেয় ।
আপনার এই উপলব্দি ভালো লাগলো ।

আসছে বৈশাখের আগাম শুভেচ্ছাবাণী পাঠিয়ে দিলুম ।
ভালো থাকুন ।



৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পের পেছনের গল্পটিই আমার কাছে অনন্যসাধারণ মনে হয়েছে। আবেগময় লিখনশৈলী।


ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




আপনার মতো রসিকজনকে যে আবেগময় করে তুলতে পেরেছি তাতেই লেখাটি সার্থক ।

ধন্যবাদ আপনাকেও । আগাম শুভেচ্ছা বৈশাখের ।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: কাব্যিকতায় হারিয়ে যাওয়ার মতো একটি লেখা । দূর্বলতা এবং অপূর্ণতাগুলোকে পজেটিভভাবে মেনে নিয়ে পথ চলাই হচ্ছে জীবনের প্রধান দর্শন ।

কলমের কালি ঝেড়ে ফেলেছি বলেই আজ কলমের কালি শেষ !

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,




এটুকু লেখাতেই যদি কলমের কালি শেষ হয়ে যায়, তবে সামনের দিনগুলোর লেখালেখি চলবে কি করে ?
কালী ভেরে নিন আর এমন পজেটিভ - পজেটিভ মন্তব্য করার জন্যে প্রস্তুত থাকুন ।

ভালো লাগলো কালি শেষ হয়ে গেলেও সুন্দর এই মন্তব্যটি করেছেন বলে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



গল্পটি পড়া হয় নি। পড়ার ইচ্ছে থাকল। তবে আপনার প্রতিটি লেখার বুনন বা গাঁথুনি যা বলেন, অনেক মজবুত লাগে আমার কাছে। সব কিছুকে গভীর এবং সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিশ্লেষনের অনন্য সাধারন একটি প্রতিভা আপনার ভেতরে কাজ করতে দেখে বার বার বিমোহিত হয়েছি।

ভাল থাকবেন প্রিয় জি এস ভাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,




এতোক্ষনে মনে হয় পড়ার সময় হয়েছে !

লিখেছেন - "সব কিছুকে গভীর এবং সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিশ্লেষনের অনন্য সাধারন একটি প্রতিভা আপনার ভেতরে কাজ করতে দেখে বার বার বিমোহিত হয়েছি।" এ মন্তব্যটি মাথায় তুলে রাখলুম ।
কিন্তু সবাই বিমোহিত হয়না । বিশ্লেষনের অন্য অর্থ করে বসে । ভাবে বিশ্লেষনে কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে । আমি ব্লগেও যেমন, ব্যক্তিগত জীবনেও সেরকমটাই থাকার চেষ্টা করি ।

ভালো থাকবেন আপনিও । আসছে বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি ।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

নাগরিক কবি বলেছেন: লুকায়িত গল্পটি পড়ার অপেক্ষারত। ভাল লাগলো অনেক। সুন্দর

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাগরিক কবি ,



আমার ব্লগে স্বাগতম ।
লুকায়িত গল্পটি না হয় লুকায়িতই থাক । যে জিনিষ লুকিয়ে রাখে মানুষ , তা চোখের সামনে তুলে ধরতে নেই ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । ভালো লেগেছে জেনে , খুশি হয়েছি । সাথেই থাকুন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: পরে মন্তব্য রাখার ইচ্ছা পোষণ করছি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাতুড়ে লেখক ,




খুশি হলুম আপনার ইচ্ছের কথাটুকু জানতে পেরে ।

শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২০

জুন বলেছেন: আজ থেকে বছর কয়েক আগে যে উপন্যাসের মাধ্যমে আপনার ব্লগের সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিল আহমেদ জী এস । সাহিত্যে আপনার সহজাত যে জ্ঞ্যান তাকেই চমৎকার লেখনীর মাধ্যমে প্রয়োগ করে সেই উপন্যাসের শেষ অংশটুকু তুলে ধরলেন আজ।
ভালোলাগলো বরাবরের মতই ।
+

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




আপনার স্মরণশক্তি বেশ প্রখর , তা জানতুম ।
কিন্তু যে উপন্যাসের কথা বললেন তার কাহিনী কি এই লেখাটির সাথে কোনও ভাবেই কি জড়িয়ে গেছে বলে আপনার মনে হয় ?
না, এটা সেই উপন্যাসের কোনও অংশ নয় কোনও মতেই । আপনার সুবিধার্থে এখানে সেই উপন্যাসের শেষের লিংকটি দিলুম , মিলিয়ে দেখতে পারেন এই গল্পটির সাথে তার কোনও মিল আছে কি নেই ----
শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা)

কেন যে আপনার এমন মনে হলো , জানিনে !

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে । বৈশাখের আগাম শুভেচ্ছা আপনাকে ।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২০

শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই আগের মতোই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্যনীড় ,



বুঝতে পারছিনে আপনি আমার ব্লগে এই প্রথম মন্তব্য নিয়ে এলেন কিনা ! এমন অপারগতা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলে বিশ্বাস করছি ।
তবুও ব্লগে স্বাগতম । আগের মতোই ভালো লেগেছে জেনে বুঝতে পারছি সাথেই আছেন । ভালো লাগলো জেনে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: লিখাটি অনেক বড় ছিল,তবে পড়ে ভালো লেগেছে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: :):):)(:(:(:হাসু মামা ,



লেখাটি বড় , তবুও পড়েছেন , মন্তব্যও করেছেন । এর চেয়ে বেশি আর কি চাওয়ার থাকে পাঠকদের কাছ থেকে ! আপনি ধন্য করলেন আমাকে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন ।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনার প্রতিটি গল্পই খুব মজা করে পড়ি। এবারের গল্পও বেশ মজা করেই পড়লাম।

শুভকামনা রইল ভাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,




খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে ।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । সাথেই থাকুন সব সময়ের মতো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: কয়েক লাইন পড়েছি, সোজা প্রিয়তে, পরে পড়বো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অতঃপর হৃদয় ,



প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।
সময় করে পড়ে দেখুন , আপনার খারাপ লাগবেনা ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত বড় । আশা করে আসছিলাম একটানে পড়ে চলে যাবো :(

সময় করে পড়ব ইনশাআল্লাহ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি ,



হা.........হা......... একটানে পড়া যাবে তেমন লেখা যে আমি লিখতে পারিনে । কেন যেন লেখার হাতটাকে লাগাম পড়াতে পারিনে ! হয়তো এটা আমার সীমাবদ্ধতা ।

সময় করে আসুন । ভালো লাগবে ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন জনাব। সত্যি অপূর্ব এক বসাতে কাজ ছেড়ে গল্পটি পড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। গল্পের প্রতিটি বাক্য সম্মোহিত হয়েছি। ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ,




পাঠকই হলেন একটি লেখার মূল বিচারক । আপনি সেই কাজটিই করলেন আর ঋনী করে রাখলেন আমায় ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্প পড়ে +++++

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অতৃপ্তনয়ন ,




প্রথম দেখলুম সম্ভবত আপনাকে, আমার ব্লগে । স্বাগতম ।
লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হয়েছি । সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ছোট ছোট নুড়ি দিয়ে এক ইমারত গড়েছেন!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,




তাহলে আপনি বলতে চান , একটা তাজমহল বানিয়ে ফেলেছি ? ;)

খুবই ভালো লাগলো এই একলাইনের ছোট্ট মন্তব্যটি ।

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ছবিটা দেখেই প্রথমে চমকালাম....... ছবি আঁকাআঁকির মাঝে যে চোখের ছবিই আমাকে বেশি মুগ্ধ করে তা আগেই বলেছি। এটা দেখেও ভাবলাম এবার তুমিও সেই মুগ্ধতায় পড়েছো ভাইয়ামনি।

শেষে এসে দেখি সেটা অন্য কারো আঁকা। :( তবুও তোমার সিলেক্ট করা ছবি বলে কথা। :) ছবিটা দেখেই এত কথা বললাম এবার গল্পটা পড়ে আসি।

:) :) :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা ,



তেমন চোখের মুগ্ধতায় কে না পড়ে, বলুন ? যে পড়েনা তার নিজের চোখেই ছানি পড়েছে বলতে হবে । :D

শিরোনামের সাথে মিলিয়ে নেটে আমার রুচিসম্মত এই চোখটিই পেয়েছি । ভেবেছিলুম নিজে একটা এঁকে ফেলি, কিন্তু দেখলুম সে সময়টি আমার হাতে নেই । তারচেয়ে বড় কথা, শিরোনামের সাথে মিলিয়ে তেমন একটি চোখ আঁকার যোগ্যতাই আমার নেই ।

চোখ নিয়ে আপনার " চোখ গেলো ... চোখ গেলো..." রব দেখেই এই এতো কথা বলা । :P

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: গল্পটি পড়া শুরু করেছিলাম নিজের ইচ্ছায়, কিন্তু শেষ করতে হল আপনার ইচ্ছায়। গল্প নয় যেন কবিতা, কোথাও ছন্দপতন নেই একটুও। এক কথায় অসাধারণ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিষাদ সময় ,




এমন রূপকল্পনায় চিত্রিত একটি মন্তব্যের যোগ্য জবাব আমার কাছে নেই । শুধু বলতে পারি - ভালো লাগলো .. অনেক ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আমারও এমন চিঠি লেখা বন্ধু আছে, ছিলো এবং থাকবেও হয়তো ভাইয়া। চিঠি লেখা আমার মহা পছন্দের কার্য্য আর আমার আঙ্গুলীও কিন্তু চম্পাকলি :) ( শত্রুদের কাছে মনে হয় গোদা গোদা :( )


(না , নিশীথার পুরো নামটি আমি ঠিক জানিনে । প্রথম আলাপে নিশীথা নামটিই শুধু বলেছিলো সে, হেয়ালী করেই হয়তো । ফোন ছেড়ে আমাদের মাঝে যোগাযোগের যে ব্যাপারটি ছিলো সেটা মেইলেই । ফোনালাপ গৌন হয়ে গেছে তখন। টুকটাক লেখার নেশা আছে নিশীথার । তাই ফোন থেকে সরে এসে এখন মেইলেই যা কিছু নিশীথার সাথে । এতে ধীরে সুস্থ্যে বসে আকাশ পাতাল বলা যায় । নিজেকে উজার করা যায় লিখে লিখে ।)

ঠিক ঠিক আমারও এমনটাই মনে হয় তবে ফোনপ্রেমীরা সে কথা মানেই না। :(





বাহ বাহ পুরো লেখাটাতেই আনন্দে মন ভরে যাচ্ছিলো কিন্তু শেষে এসে নিশীথা কেনো এমন পালালো!!!!!!!! :(

মেয়েরা দেখি আসলেও স্বার্থপর আছে অনেকেই!!!!!!!!!! B:-)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা





বেশ মজা করে মন্তব্য করেছেন । তবে হাড়ি-পাতিল ঠেলে রান্নাবান্না করা রন্ধন পটিয়সীর হাতের আঙুল চম্পাকলি থাকে কি করে ? B:-) সেতো ব্যাঙের চামড়ার মতো খসখসে হয়ে যাবার কথা । পেয়াজ-মরিচের গন্ধও লেপটে থাকার কথা । :P

আমার লেখা থেকে উদ্বৃত অংশটুকু প্রসঙ্গে বলি , চিঠি লেখার প্রতি আমার দরদ অনেকখানি । এতে অকপটে মনের একটি মূহুর্তের ছবি গেঁথে তোলা যায় সূচির কারূকাজে । উৎকৃষ্ট সাহিত্যের চেয়েও চিঠিতে ব্রীড়াময় অনেক ঋদ্ধ সাহিত্যের দেখা মেলে ।
আমি তেমনটাই তুলে ধরেছি এই গল্পে । সেজন্যেই লিখেছি --- " সকালে মেইল খুলে আপনার লেখাটি পেয়ে আমার এমন অনুভূতিই হলো । ফোনে কি এভাবে বলা যেত ....... ? ”

মন্তব্যের একেবারে শেষের অংশটুকু প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করাই শোভনীয় ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
আসছে বৈশাখী দিনের শুভেচ্ছা ।

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: নিশীথারা সবসময় পালিয়ে বেড়ায়......... ভয় পায় নিজের ভালোলাগাকে প্রকাশ করতে, ভয় পায় হঠাৎ আসা সমুদ্রের ঝড়কে, সবচেয়ে বেশী ভয় পায় নিজেকে। আটপৈাড়ে জীবনে অভ্যস্থ নিশীথারা ভয় পায় সবকিছুকে............. তাইতো সবসময় পালিয়ে বেড়ায় নিশীথারা ।

অসম্ভব অসম্ভব ভালোলাগলো গদ্য কবিতা..... এত্তাে + দিতে চাচ্ছি.... কিন্তু সামুর সার্ভার ক্রাশ করতে তাই বেশী দিলাম না. B:-/

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




আপনার এই অকপট ভালোলাগাটুকু লেখাটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে গেলো । কৃতজ্ঞ।

এবারে আপনার বক্তব্যে আসি -------
কোনও কোনও নিশীথারা সবসময় পালিয়ে বেড়ায় না, ঝাঁপিয়েও পড়ে । মানুষ তো !
“আটপৌড়ে জীবন” এর কেউ এমন ক্ষেত্রে ভালোবাসার বীজ বপন করে শেষে ভয় পেয়ে হাল ছেড়ে দেয়, তেমনটা সম্ভবত সবসময় ঠিক নয় । জীবনের অতৃপ্তি থেকে, ভালোবাসা না পাওয়ার হাহাকার থেকে খানিকটা হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে, বিপদসঙ্কুল বিক্ষুব্ধ সমুদ্র ঝড়কেও আবাহন করতেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্ভবত পিছিয়ে থাকেনা নিশীথারা। ইদারায় ডুবে মরার চেয়ে , সমুদ্রের বিশালত্বে ডুবে মরাকেই শ্রেয় মনে করে । কোনও বেতস লতার মতো কাউকে জড়িয়ে ডালপালা মেলতে চায় । এমনটাই বলেছি আমার এই গল্পে ।

এসবের পরেও বলি , মানুষের মন কোনও একঘাটে নোঙর ফেলে বসে থাকেনা । অজানা এক আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ কেন যে ব্যাকুল হয় , কেন যে অনিশ্চয়তার বাতাসে পাল তোলে সে, তার হদিস আমার মতো নাদানের পক্ষে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় ।
মানুষের মন, বোঝা বড় দায় .................

ভালো থাকুন । এমনি করে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন বলে কিছু লিখতে সাহস হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
লেখা পড়ে মুগ্ধ , অসাধারণ লেখনী আপনার । সময় করে আবার পড়তে আসবো এবং আপনার পুরাতন পোষ্টও মাঝে মাঝে পড়ি ।


ভালো থাকুন, ভাই।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,




মন্তব্যে মুগ্ধতা ।
সাথে থাকেন বলেই অনুপ্রানিত হই ভালো কিছু লিখতে ।

ভালো থাকুন আপনিও । আগাম বৈশাখী শুভেচ্ছা ।

২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়লাম লেখাটা, শেষের দিকটা ওহ, দারুন +++++++
ভাই, বই আকারে পাবো অবশ্যই জানাবেন। আর যদি এই গল্পের কোনো বই থাকে তাহলে জানাবেন।

জীবন যেখানে যেমন, তাকে সেভাবেই নিতে শিখুন । পারছেন না ? হাহাকার উঠে আসে ? এটাই তো সংসারের নিয়ম ! পৃথিবীটা তো আর স্বর্গ নয় , এ যে কাঁটা বেছানো এক পথ । যে পথের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ ফুলের দেখাও মেলে । চোখ রাখতে হয় ।
এই কথাগুলো অসাধারণ।
অভিনন্দন

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,




পড়তে গিয়ে আপনার মূল্যবান দীর্ঘ সময় খরচ হয়ে গেলো বলে দুঃখ প্রকাশ করবো না কৃতজ্ঞতা জানাবো, বুঝতে পারছিনে !

বই আকারে পাবেন কিনা ? না... আমি অতোবড় কেউ নই যে আমার বই প্রকাশকেরা ছেপে দেবেন আর পাবলিক তা পড়বে ! তাই আপনার ইচ্ছেটা পূরন হবেনা কোনদিনই । এবার দুঃখ প্রকাশ করছি ।

অনেক ভালো লাগলো আপনার এই অকপট মন্তব্য ।
ভালো থাকুন ।

২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

ওমেরা বলেছেন: গল্পের পিছনের গল্পই এত বড় !! গল্প তাহলে কত্ত বড়। অবশ্য সুন্দর ও হয়েছে অনেক ? ধন্যবাদ ভাইয়া ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,



আসল গল্পটা মোটেও বড় নয় । এই এত্তোটুকুন -----

ভালো লাগলো মন্তব্যটুকু ।
ধন্যবাদ আপনাকেও পড়া ও মন্তব্য করার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৩

নীলপরি বলেছেন: একবারেই পুরোটা পড়লাম । ভালো লাগলো ।

শুভকামনা ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,



ভালো লাগলো আপনার পুরো মন্তব্যটাই । ধন্যবাদ পড়ার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পুরোটা পড়লাম।। কিন্তু কি ভাবে যে, মনের ভাব প্রকাশ করবো বুঝে উঠতে পারছি না।।
সেই মুক্তগদ্যটিই আমি লিখবো এখন নিশীথাকে নিয়ে ............... আমিতো ভাবছি লিখেই ফেলেছেন।।
এবং তা আমাদের জন্য উন্মক্তও করে দিয়েছেন।।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



আপনাকে দেখে ভালো লাগছে ।

মন্তব্যে বোঝা গেলো , আপনার ভেতরের একখানি মন এতোদিনেও সবুজ - সতেজ আছে, মরেনি ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন নিরন্তর । আগাম শুভেচ্ছা বৈশাখের ।


৩০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২২

উম্মে সায়মা বলেছেন: পড়তে খুব ভালো লেগেছে আহমেদ জী এস ভাই। অসাধারণ শব্দের খেলা। পড়তে পড়তে নিমাই ভট্টাচার্যের 'মেমসাহেব' এর কথা মনে হচ্ছিল। চিঠিগল্প। কিছু কিছু গল্প বোধহয় এমন শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়। গল্পের পেছনের গল্পই থেকে যায়। দুজনার দেয়া মেইলগুলো গানের মত কানে রিনিঝিনি বাজছিল। মনে হচ্ছিল একেকটা কবিতা পড়ছি। অসাধারণ শব্দের গাঁথুনি। এত সুন্দর কাব্য করে, উপমা দিয়ে যে কাউকে মেইল করা যায় তাতো আমি ভাবতেই পারিনি। মুগ্ধতা। ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখা উপহার দেবার জন্য।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,




দুঃখিত, এমন সুলিখিত মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হলো বলে ।
পাঠকের এমন মন্তব্য একজন লেখকের পরম পাওয়া ।

চিঠি লেখা আমার একটা প্যাশন । । উৎকৃষ্ট সাহিত্যের চেয়েও চিঠিতে ব্রীড়াময় অনেক ঋদ্ধ সাহিত্যের দেখা মেলে যদি তেমন চিঠি হয় ।
যিনি সাহিত্য ভালোবাসেন তার জন্যে তেমন চিঠি লেখা কষ্টকর নয় ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৩১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটিদে রয়েছে এক রাশ মুগ্ধতা ।
গল্পটি পাঠের শুরুতেই প্রায় ধরেই নিয়েছিলাম এতে থাকবে গতানুগতিকতা । তবে গল্পে অতি নাটকীয়তার আতিশয্য যে থাকবেনা তা গল্প লিখকের নামটি থেকেই বুঝা নিয়েছিলাম পুর্বাহ্নে । গল্পেটিতে সাধারণ কোন ঘটনা বা ভাবনাকে অতি সুন্দর ভাবে শব্দের যাদুতে যে মহিয়ান করে তুলা হবে সেটা বুঝায় গেল গল্পটির প্রথম দিককার দু এক লাইন পাঠেই । তাই কাহিনীর থেকে বেশী মনযোগ ছিল গল্পের ব্যবহৃত শব্দমালাতে । কেমন করে কথার পিঠে কথা সাজিয়ে সাধারন বিষয়কে করা হয়েছে মোহনীয় যা পাঠক হিসাবে আমাকে টেনে নিয়ে যাবে কেবলি সামনের দিকে ।

সুপ্রিয় লেখকের কলমের নিপুন ছোয়ায় যখন দেখা গেল লিখা নিশীথার আঙুল কেমন, তার বর্ণনা আমি দিতে পারবোনা । কবি সাহিত্যিক হলে হয়তো স্বপ্নের ঘোরে বলতে পারতুম চম্পাকলি আঙুল -- শ্বেতশুভ্র , দ্যুতিময়, হীরন্যক । সে আঙুলের ছন্দে নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো কিনা জানিনে তবে আমার ঘুম ছুটে যেতো তাতে । তার শব্দকথার ঝংকারে আমাকেও তাল মেলাতে হতো । এককাপ চা বানিয়ে বসে যেতুম সুর-সংগতে । এটুকু পাঠে মনে হল পেয়ে গেছি গল্পটিতে দেখতে চেয়েছি যা ।

গল্পটি পাঠে মনে হল গতানুগতিক ধাচের গল্পের ভিরে বহুদিনের এক অচলায়তনে যেন ঘা মেরেছেন কাহিনীর বৈচিত্রতা দিয়ে । ক্রমেই ধারনা হচ্ছিল কোন এক মাহেন্দ্রক্ষনে গল্পের কোন এক পরিসরে পেলেও পেতে পারি লেখকের সঙ্গে রচনাটির কোনও বিশেষ যোগ থাকলেও থেকে যেতে , পারে !!! মনে হচ্ছিল এই বুজি বেরিয়ে এলো মুল গল্পটি রচনার ইতিহাস । গল্পটি পাঠে এগিয়ে যাওয়ার পথে মনে পড়ছিল এখনই বুজি বেরিয়ে আসবে আসল কথাটি একান্তই সহজ সরল ভাবে । কিন্তু না, কতই না কৌশলে কথার মারপেচে ফেলে লেখক শুধু সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে , তাতে জোনাকীর দেখা পেলেও মিলছেনা সহসা্ই কোন অশ্রুজল । তবে জোনাকীর আলোতে আছে বর্ণনার ছটা , আছে ঘটনার ঘনঘটা , যদিও নাই তাতে কোন তত্ব উপদেশ , শুধু অন্তরে একটি অতৃপ্তি রেখে গেল গল্পটি , মনে হল শেষ হয়েও হইল না শেষ ।

যাহোক , ইঙ্গিতমূলক পরিসমাপ্তি দিয়ে অসাধারণ শিল্প-বৈশিষ্টময় করে তুলা হয়েছে গল্পটিকে । চলমান ঘটনার মধ্যে গল্পের মুল সুরটি অনুধাবনের মহামুহূর্তটিকে ব্যঞ্জনাময় করে বিন্দুর মধ্যে সিন্ধু দর্শন করিয়ে দেয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থল হতে সাধু বাদ জানাই ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



মন্তব্যে চমৎকার কাঁটাচেরা করেছেন লেখা ও লেখকের ।
মুগ্ধ, আপনার এমন নিপুণ বিশ্লেষণে, মন্তব্যে এমন সাহিত্যের ছোঁয়া দেখে । আর লেখককে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন , মন্তব্যের ফাঁকে তা ও যে তুলে ধরেছেন তাতেও কৃতজ্ঞ ।

উপরের প্রতিমন্তব্যেও বলেছি , এবার আপনাকেও বলি - চিঠি লেখা আমার একটা প্যাশন । উৎকৃষ্ট সাহিত্যের চেয়েও চিঠিতে ব্রীড়াময় অনেক ঋদ্ধ সাহিত্যের দেখা মেলে যদি তেমন চিঠি হয় ।
আমি সে চেষ্টাই করেছি মাত্র ।
এখানে লেখকের সাথে কাহিনীর যোগ ওখানেই , লেখক তার মনখানা ঢেলে দিয়েছেন কাহিনীকে সুপাঠ্য আর কাব্যময় করে তুলতে । রসকষহীন নিত্যদিনতার মাঝে এ যেন লেখকের একটু কোয়ালিটি রি-ফুয়েলিং !

আপনার কাজ গবেষণা করা । আর্কটিকের কঠিন বরফের নীচে পড়ে থাকা উষ্ণ জলে প্রানের স্পন্দন খোঁজা । এখানেও কি সেই গবেষণায় মত্ত ? B-)
পাবেন না । জোনাকীর দেখা পেলেও পেতে পারেন কিন্তু লেখকের অশ্রুজলের দেখা মিলবেনা । :( :((

ভালো থাকুন এমন সুন্দর মনখানি নিয়ে । শুভেচ্ছা অনেক অনেক ।

৩২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাই মন্তব্য লিখার সময় চোখে ঘুম জড়িয়ে আসায় শেষের দিকে দুএকটি শব্দ ভুল হয়ে যাওয়ায় নীচে ঠিক করে দিলাম
তবে জোনাকীর আলোতে গল্পটিতে আছে বর্ণনার ছটা , আছে ঘটনার ঘনঘটা , শেষাংশে আছে কিছু তত্ব উপদেশ , সবকিছু ছাপিয়ে অন্তরে একটি অতৃপ্তি রেখে গেল গল্পটি , মনে হল শেষ হয়েও হইল না শেষ ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




বুঝতে পেরেছি ।
তবে বলি , রাত জেগে মগজের এমন পরিশ্রমের কাজ না করাই ভালো । আপনাকে আগেও দেখেছি ঘুম চোখে মন্তব্য করতে ।
থাকুন, সুস্থ্য শরীর ও মনে ।

৩৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

নায়না নাসরিন বলেছেন: “ আপনার এই অদ্ভুত মায়া মাখানো কাব্যিক চিঠিগুলো তো আপনার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় মুক্তগদ্যের মতো করে ছাপিয়ে দিতে পারেন ........
নিশিথা তো ঠিকই বলছে জী এস ভাইয়া । কেন ছাপান না ? কত পচা পচা লেখা পেপারে পরি । এটা কি পর্ব করে লিখবেন ? তাইলে অপেক্কায় রইলাম । লেখাটা দশবার পরলাম আরো পরবো তাই সোজা সোকেসে রাখলাম প্রিয় ভাইয়া :)
এত্তগুলা প্লাস দিতে চাই সোহানী আপুটার মত । আলী ভাইয়ের কমেন্টটাও সুন্দর ।
++++++++++্

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নায়না নাসরিন ,



আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো । দশবার পড়েছেন , আরো পড়বেন ; এমন কথা একজন লেখকের জন্যে উত্তুঙ্গ শৈল শিখরে ঝান্ডা তুলে দেয়ার মতো গৌরবের ।

এটার কোনও পর্ব নেই, এক পর্বেরই ।
পত্রিকায় লেখার মতো যোগ্যতা আমার নেই । ব্লগ পাতা সবার জন্যে খোলা বলে এখানেই ভালো-মন্দ কিছু লেখায় বাঁধা নেই । অপেক্ষাও করতে হয়না সম্পাদক মহাশয়ের চোখে কখন পড়বে তার জন্যে ।
আর পত্রিকায় লিখলে কি আপনাদের মতো কারো মন্তব্য, সমালোচনা পেতুম তৎক্ষনাত ? ব্লগে লেখার এটাই হলো সবচেয়ে বড় পুরষ্কার।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।

৩৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্পের পেছনের গল্প খুঁজতে খুঁজতে দেখি সেটাই এক গল্প :)

সবার দারুন দারুন বিশ্লেষনী মন্তব্যের পর শুধূ একরাশ মুগ্ধতা :)

++++++++

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




হ্যাঁ, সবাই দারুন বিশ্লেষণী মন্তব্য করেছেন । আমার সহব্লগারদের কাছে আমি তাই ঋনী ।
আপনার দেয়া প্লাস আর মুগ্ধতা আরও উৎসাহ দেবে আমাকে ।

ভালো থাকুন আর লিখুন । অনেকদিন লিখছেন না কিন্তু !
বৈশাখের আগাম শুভেচ্ছা ।

৩৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মানবী বলেছেন: দীর্ঘ লেখা খুব কম পড়া হয়, এই লেখাটি একটানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে একরকম বাধ্য হয়েছি লেখনীর গুনে! আমিও একটানেই পড়লাম! অসাধারন!!!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,




অনেক ভালো লাগার মতো একটি মন্তব্য ।
ভালো থাকুন আর এমনি করেই সাথে থাকুন ।

৩৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২০

সোহানী বলেছেন: নিশিথা ফোনটা করেই বুঝতে পারলো সে ভুল নাম্বার ডায়াল করেছে। তারপর ও ওপাশ থেকে হ্যালো শোনার পর মনে হলো বহুদিন থেকে যে চিনি, খুব আপন একজন মানুষ। যাকে সে মনে মনে খুজেঁ ফিরছে বহুকাল। একথা সেকথা বলার পর ফোনটা রেখেই কেন যেন নাম্বারটা সেইভ করে রাখলো," সে একজন"।

তারপর অনেক সময় পেরিয়ে গেল.... নিশিথার সব ভালো লাগা, মন্দ লাগা, সব আবেগ যেন হয়ে শব্দের আকারে একটি একটি ইটের মতো বিশাল ইমারত তৈরী হয়ে গেল.... টেরই পেল না নিশিথা। তারপর....... সে অনেক কথা কিন্তু তা আর বলা হলো না নিশিথার। কারন নিশিথা যে রক্তে মাংসের আটপৈাড়ে একটা নারী, শুধুই নারী। গল্পেন পিছনের গল্পই থেকে গেল সেটা আর পরিপূর্ণ গল্প হয়ে উঠলো না।...

:P :P :P :P কেমন হলো জী ব্রাদার..... ;) লিখা তাহলে শুরু করা যায়... কি বলেন!!!! :`>

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,



না,ভালো হয়নি । :-P এমন দূর্বল প্লট নিয়ে লেখা শুরু করা যায়না । যে কথা বলা হলো না সেটা নিয়ে গল্প হতে পারে , কিন্তু যা বলা হয়ে গেছে তা তো বলা-ই হয়ে গেছে । ওর আবার গল্প কি ? B:-) গল্প হবে, যে কথা বলা হয়নি তা নিয়ে ............

"সব কথা বলা হলো,
বাকি রয়ে গেলো শুধু বলিতে
যে কথা মনের কথা
কতোবার থেমে গেছি বলিতে বলিতে ........"
( হেমন্ত মুখোপাধ্যায় )
এমন গানের মতো হলে ভালো একটা গল্প হতে পারে । তখন শুরু করতে পারেন । :P

আটপৌড়ে নারীদের কোনও গল্প থাকেনা । থাকতে নেই । আর যা বলার, তার বাকীটুকু আপনার প্রথম মন্তব্যের ঘরে দিয়ে এসেছি ।
পুনরায় এসেছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।

৩৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৯

সুমন কর বলেছেন: সত্যি বলতে কি আপনার লেখার গাঁথুনী আমাকে মুগ্ধ করে ফেলে দারুন ভাবে। -- সত্য।

চমৎকার লিখেছেন। আপনার লেখা আসলেই শক্তিশালী। +।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,



বাহ.... গল্পের কথা দিয়েই চমৎকার মন্তব্য গেঁথে গেলেন ।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: “জীবন যেখানে যেমন, তাকে সেভাবেই নিতে শিখুন । পারছেন না ? হাহাকার উঠে আসে ? এটাই তো সংসারের নিয়ম ! পৃথিবীটা তো আর স্বর্গ নয় , এ যে কাঁটা বেছানো এক পথ । যে পথের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ ফুলের দেখাও মেলে । চোখ রাখতে হয় ।- :( :( :(

পড়েছিলাম পোস্ট দেবার সাথে সাথেই কিন্তু মন্তব্য করতে পারি নাই। ভালোলাগা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,



পড়েছেন , এটা জেনেই ভালো লাগলো । উৎসাহিত বোধও করছি ।
একটা জীবনবোধের কথা ঠিকই আপনার নজর এড়ায়নি ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

৩৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: মায়া মাখানো ভালোবাসার গোপন অনুভূতি। খুব সাবলীল জীবন ঘেষা কথাগুলো। শুভ কামনা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নুরুন নাহার লিলিয়ান ,




সুন্দর করে বলা এমন মন্তব্যে ভালোলাগা ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

নিশাত১২৩ বলেছেন: সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আপনার লেখা আসলেই শক্তিশালী। +।
আহমেদ জী এস ,
স্বনামধন্য ব্লগার সুমন করের মত আমিও যে তাই ভাবছি মশাই। চমৎকার এই মুক্তগদ্যে ইউজ করা মেইলগুলো কি আপনার বাস্তব জীবন থেকে নেয়া ? তাই যদি হয় তবে সেটা খোলা চত্বরে মেলে ধরা ঠিক হলো কি ?
পাসওয়ার্ড হারিয়ে ব্লগ থেকে হারিয়েই গিয়েছিলুম প্রায় । আপনাদের টানে অনেক দিনের পরে ফিরে আসা ।
মনে পড়ে কি ? নাকি ভুলে গেছেন একেবারে :)
ভালো থাকুন সর্বাংগীনভাবে ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিশাত১২৩,




ব্লগে স্বাগতম । ভালো লাগলো ব্লগের টানে আবার ফিরে এসেছেন দেখে ।

আপনার প্রশ্নের উত্তরের বেশ ক’টি দিক আছে ।
সাহিত্য জীবন ঘনিষ্ঠ । সাহিত্য মানে শুধু গল্প, গদ্য আর কবিতাই নয়, একটা জীবন দর্শনও বটে । আবার জীবন ঘনিষ্ঠ বলার অর্থ এই নয় যে , তা লেখকেরই জীবন । এই যদি হয় তবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল , বিভুতি ভূষন, মানিক বন্দোপাধ্যায়, সুনীল , সমরেশ বসু, সমরেশ মজুমদার , বুদ্ধদেব বসু , বুদ্ধদেব গুহদের মতো এমনি শতেক লেখকের লেখা গল্প , উপন্যাস কি তাদেরই জীবন কাহিনী ? তা হলে সেরেছে । একলোকের জীবনে অমন মজাদার , অমজাদার শত শত ঘটনা ঘটে গেছে ? কারন তাদের গল্প , উপন্যাস ও তো শত শত, বিভিন্ন ঘটনার আঙিকে তাদের ব্যপ্তি ।
আসলে তারা জীবনকে দেখে , জীবনের এখান ওখান থেকে কুঁড়িয়ে আনা তুচ্ছ তুচ্ছ ঘটনা থেকে নান্দনিক কিছু সৃষ্টি করে ফেলেন । যে যতো ভালো পারেন , জয়জয়কার তারই ।

খোলা চত্বরে তেমন গল্প মেলে ধরা তখনই অশোভনীয় যখন গল্পের পাত্রপাত্রীর সঠিক হদিস দেয়া থাকে যা দেখে পাঠক সহজেই সত্যটা ধরতে পারেন ।
এখানেও দুটো দিক আছে । খোলা চত্বরে নাম ধাম সহ করা গল্প যদি পাত্রপাত্রীর সম্মানহানী ঘটায় সেটা একেবারেই শোভন নয় তো বটেই , অচ্ছুত ও । আবার কারো সফলতার, ব্যর্থতার গল্প যদি লেখা হয় খোলা চত্বরে , তা কি অশোভনীয় বা অনুচিত হবে ?

না , আমি তেমন করে লিখিনি । বাস্তবের কিছু ছায়া দেখে, কিছু জেনে এটা লিখেছি । চিঠি লেখার প্রতি আমার দরদ অনেকখানি , বলতে পারেন দূর্বলতা। এতে অকপটে মনের একটি মূহুর্তের ছবি গেঁথে তোলা যায় সূচির কারূকাজে । উৎকৃষ্ট সাহিত্যের চেয়েও চিঠিতে ব্রীড়াময় অনেক ঋদ্ধ সাহিত্যের দেখা মেলে । আমি তেমনটাই করতে চেয়েছি এই গল্পে ।
সম্ভবত বোঝাতে পেরেছি আপনাকে ।

আর আপনাকে সম্ভবত ব্লগে দেখেছি , কতোদিন আগে তা মনে করতে পারছিনে । ব্লগে আমি ব্লগারদের থেকে তাদের লেখাকেই মনে রাখি বেশি । এটা আমার বোকামী হয়তো । আগে আপনাকে ব্লগে দেখেও যদি মনে রাখতে না পারি তবে সে অক্ষমতা আমারই ।

আপনিও ভালো থাকুন । সাথে থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।



৪১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সু পরামর্শের জন্য । মনে রাখার চেষ্টা করব ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




ভালো লাগলো দেখে ।
মনে রাখার চেষ্টা করলে খুশি হবো ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০১

উম্মে সায়মা বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। আপনি প্রকৃতপক্ষেই একজন উঁচুমানের সাহিত্যপ্রেমী তাই এত সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারেন :) শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,



ফিরে এসে আবারও যা বলে গেলেন তাতে কৃতজ্ঞ । তেমন শ্রোতা ( পড়ুয়া) পেলে মনে হয় অনর্গল চিঠি লিখে যেতে পারি ।

শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যেও । ভালো থাকুন আর সুখে !

৪৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

নিশাত১২৩ বলেছেন: আকাশের তারা গুনতে গিয়ে চাঁদটাই হারিয়ে গেছে যেন !
বাহ চমৎকার উপমা আহমেদ জী এস ! মারহাবা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিশাত১২৩ ,




পলকে অশ্রুজল ঝড়ানো এমন লেখায় তেমন যুৎসই একটা উপমা না দিলে চলে ? না দিলে তো আবার ভেবে বসতেন , কথার ভান্ডার ফুরিয়ে গেছে আমার ।

ভালো লাগলো ফিরে এসে মন্তব্য করাতে ।
ভালো থাকুন ।

৪৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: লেখা ভাল লাগল। তবে শুরুর অংশটা একটু বেশিমাত্রায় রাবিন্দ্রিক রোম্যানটিসিজমে আক্রান্ত। এই অংশটুকু পরের অংশের মত একটু সামনের দিনের ভাষায় হলে জমে উঠবে

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ান তানিম ,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
তবে বলেছেন , " শুরুর অংশটা একটু বেশিমাত্রায় রাবিন্দ্রিক রোম্যানটিসিজমে আক্রান্ত।" তাই কি ? আমার তো মনে হয়না শুরুর কোনও বাক্য বা ভাবে রাবীন্দ্রিক কোনও ছায়া আছে । যদি "পেতুম " " পারতুম " "গিয়েছিলুম " ( এরকম অনেকগুলো শব্দই আছে শুরুতে ) ইত্যাদি শব্দগুলিকে রাবীন্দ্রিক বলেন তবে হয়তো আপনি ঠিকই বলেছেন, আক্রান্ত । কিন্তু ওগুলো মোটেও রাবীন্দ্রিক ঢংয়ের নয় । ওগুলো বাংলা সাহিত্যের ধারা । বিশেষ করে পশ্চিম বাংলার ।

রোম্যানটিসিজমের কথা বলেছেন । পুরো লেখার ভাবটাই তো রোমান্টিকতায় ভরা । শিরোনামটিও তো তাই । চিঠিগুলো খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই ?

লেখা তো শেষ । আর যে "সামনের দিনের ভাষায়" জমিয়ে লেখা হয়ে উঠবেনা এ লেখাটি !

ভালো থাকুন । বৈশাখী শুভেচ্ছা আগাম ।

৪৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: শুধু ফোনটিই নয় , তার মেইল এ্যাড্রেসটিও সরে গেছে আমার থেকে । আকাশের তারা গুনতে গিয়ে চাঁদটাই হারিয়ে গেছে যেন


প্রিয়তে রাখলাম!!


হয়তো আর একবার পড়লে মাথা থেকে দু চার লাইন কবিতাও বেড়িয়ে আসতে পারে!:)



প্লাস!:)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,




প্রিয়তে রাখা আর প্লাস দেয়াতে শুকরিয়া ।

কবিতা বেড়িয়ে আসার অপেক্ষায় !!!!!

৪৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

বিজন রয় বলেছেন: গল্পটি গত শনিবার দুপুরে পড়েছিলাম।

নিশীথার সাথে রায়হান গফুর তন্ময় নামটি মানানসই হয়নি আমার কাছে।

হৃদয়ের সব সৌহার্দ্য সঞ্জাত মোহহীন , কায়াহীন এক অপার্থিব বন্ধনজাল ?
এই রকম জায়গাগুলো ভাল লেগেছে।

কাহিনীতে তেমন প্রভাব নেই।
ভাষায় উপর আপনার দক্ষতা আপনার লেখাগুলোকে সৌন্দর্যময় করে তোলে।

কথা হবে...........

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,



আগেই পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।

নিশীথার সাথে রায়হান গফুর তন্ময় নামটি মানানসই হবার কোনও কারন নেই । কারন নায়ক গল্পের নায়িকার নাম নিয়ে শুরুতেই তো বলে গেছে , " প্রথম আলাপে নিশীথা নামটিই শুধু বলেছিলো সে, হেয়ালী করেই হয়তো.." । আর ভার্চুয়াল জগতে নামগুলো মিষ্টি মধুরই তো হয়ে থাকে ! সেভাবেই না হয় দেখুন ।
আবার "নিশীথা" নামটির পাশে "রায়হান গফুর তন্ময়" নামটি হয়তো বেসুরো কিন্তু নায়ক নিজেকে শুধু যদি " তন্ময় " নামে বলতো তবে খুব একটা বেমানান হতোনা হয়তো । এভাবেই না হয় ধরে নিন । তবেই সব মানানসই হবে ।

না, কাহিনীতে গল্পের ঘনঘটা নেই বটে তবে আলাপচারিতা আছে যা শাশ্বত সুন্দর, মনের গভীর থেকে উঠে আসা । যা দেখে আপনি বলেছেন , " ....... লেখাগুলোকে সৌন্দর্যময় করে তোলে।" আমি গল্পের সবটাকে তেমন ঐশ্বর্যময় করে তুলতেই চেয়েছি যাতে পাঠকের মনে দোলা দিয়ে যায় ।

হ্যাঁ... কথা হবে, বিজনে !!!!!!
ভালো থাকুন ।

৪৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

চাপাবাজ ফালতু বলেছেন: আমার পড়তে ভাল লাগে ভীশন । কিন্তু আজকাল পড়া হয়ে ওঠেনা । প্রযুক্তি আমার পড়া থেকে দুরে সরিয়ে দিয়েছে অনেক। অনেক অনেক ভাল একটি লেখা পড়লাম । ভীতরটা একদম নাড়া দেয়। আপনার লেখা আমাকে পাঠক হতে বাধ্য করবে । শুভ কামনা রইল । আরো আরো অনেক অনেক দীর্ঘ লেখা চাই আপনার।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাপাবাজ ফালতু ,




আমার ব্লগে এটা আপনার প্রথম পা ফেলা, স্বাগতম ।
ভালো লাগলো জেনে যে , আপনি পাঠক হয়ে উঠছেন । প্রযুক্তির বাইরেও নিজের একটা ভু্বন গড়ে নিন । দেখবেন, দিনশেষে ঝরা ঘাম সুগন্ধী হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।
আমার অনেক দীর্ঘ লেখা চেয়েছেন । লিখে উঠি । তার আগে আমার ব্লগবাড়ীটিতে একবার ঘুরে আসতে পারেন । সাথে থাকুন ।

শুভেচ্ছা অনেক , নববর্ষের ।

৪৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

নায়না নাসরিন বলেছেন: পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নায়না নাসরিন ,



বছরের শেষ দিনটিতে একগোছা রক্তিম গোলাপের "পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা" পেয়ে ভালো লাগলো ।

যা কিছু পিছনের দিনে গেছে তা যাক, আগামী দিনগুলি যেন গোলাপের মতোই স্নিগ্ধ সৌগন্ধ ছড়িয়ে যায় আপনার জীবনে ।

৪৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মধুর মধুর গল্পে সল্পেতো বছরটাই কেটে গেল

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




বর্ষ শুরুর দিনটিতে এই প্রথম আপনার করা অনুপম নববর্ষের শুভেচ্ছার জবাব দিতে দেরীর জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী ।
মধুর মধুর গল্পে সল্পেতো পুরোনো বছরটা কেটেই গেল , এবার না হয় আপনাকে সারাটি বছর ধরেই নিত্যদিন নতুন করে বলে যাই -- নতুন দিনের সকল সুখ লুটিয়ে পড়ুক আপনার চলার পথে । আলো জ্বলে উঠুক আপনার কলমে, ব্লগের এই ঘরে । আলোকিত হোক সকল হৃদয় ।

৫০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: শব্দ চয়ন, লিখার ধার, প্রকাশভঙ্গি, ভাব সব মিলিয়ে অসাধারন
+++

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সিনবাদ জাহাজি ,




স্বাগত জানাই আমার ঘরে ।
আপনার ছোট্ট অথচ ওজনদার এমন মন্তব্যে কৃতজ্ঞ ।

বিলম্বিত শুভেচ্ছা নববর্ষের ।

৫১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল ভাই
শুভ নববর্ষ।

সুস্থ সুন্দর সুখের হোক আপনার আগামী দিনগুরো।
শুভকামনা সবসময়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,




ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ।

শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নববর্ষের । সে নববর্ষ যেন আপনাকেও ঘিরে রাখে রঙে রঙে ।

৫২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ ভিন্টেজ একটা ফ্লেভার পেলাম। তবে করলুম, খেলুম না দিলে আমার আরো ভালো লাগতো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



হুম... দ্রাক্ষারস যতো পুরোনো হয় তার স্বাদ যে কেমন তা কেবল গুনীজনেরাই জানে ।
ভালো লাগলো মন্তব্য ।
হা.... হা... আমার "করলুম, খেলুম" নিয়ে আপনার গাত্রদাহ অনেক পুরোনো এটা জানি কিন্তু ঐ যে , স্বভাব যায়না ম'লে ........ :P

৫৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নব বর্ষের শুরুতে হৃদয় মন জোড়ানো কথামালাতে ।
আপনার সময়টাও কাটুক বর্ণাঢ্য কর্ম মাঝে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




ফিরে এসে আবার যে দেখা দিয়ে গেলেন , সে আপনার মহানুভবতা ।
"সময়টাও কাটুক বর্ণাঢ্য কর্ম মাঝে " মন্তব্যে এমন আন্তরিকতার ছোঁয়া দিয়ে যাবার পরেও বলতে হয়, বর্নাঢ্য কর্মের মাঝেও যে কখনো সখনো উঁকি দেয় কালো মেঘ । তারপরেও কর্মে সময় কেটে যায় বিরামহীন ।

ভালো থাকুন ।

৫৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: এ হলো দক্ষ শিল্পীর কারিগরী । গল্প না লেখার ছলনায় গল্প বলে যাওয়া । এপাশে ওপাশে একটা দারুণ অনুভূতি পেলাম ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,




এমন মন্তব্যে আপ্লুত ।
ভালো থাকুন দারুণ অনুভূতি নিয়ে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৫৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

লেখা নয়, স্বাদ ও গন্ধে লেখার নির্যাস পেলাম। তীব্র এবং তীক্ষ্ণ! লেখককে এবং তার আবেগকে ধরার চেষ্টা করছি। স্টাইলটাও আমার খুব পছন্দ হয়েছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,




হা... হা... দারুন টুইষ্টিং মন্তব্য, ঠিক যে আপনার নিকের ছবিতে মুখোশের আদলে একটাতে তীব্র ব্যথা আরেকটাতে তীক্ষ্ণ হাসির মতো ।
লেখার নির্যাস পাওয়ার পরে আপনার আবেগকে আমিও ধরার চেষ্টা করছি। সন্দেহ নেই সে আবেগ , অনুরাগের ।

খুব ভালো লাগলো মন্তব্যটি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৫৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার অপেক্ষাটা হয়তো অনেক লম্বাই হয়ে যাবে জী এস ভাইয়া!


কারন কবিতা কবে মথা থেকে বেরুবে সেতো আমি নিজেই বলতে পারবো না! হয়তো কোন মধ্য রাতে অথবা কোন অলস দুপুরে অথবা লেকের পাড়ে নিরিবিলি কোন বিকেলে!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,




তেমন কবিতা হলে জীবনভর অপেক্ষা করাও যায় !
যখনই হোক - হোক তা চলতে ফিরতে , গরমে ঘামতে ঘামতে কিম্বা নিদহীন বিছানায় ! কবিতা লেখা চাই ........... কবিতা মাথায় থাকেনা , থাকে বুকের কাছটিতে ।

৫৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫২

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: কি অসাধারণ আপনার লেখা!!
কি অসাধারণ আপনার দর্শন!!

এদেশে মানুষের চারিধারে নৈঃশব্দ হয়তো নেই কিন্তু প্রতিটি মানুষের ভেতরেই কিছু কিছু নৈঃশব্দ কি থেকেই যায় আগোচরে?

একদম ঠিক কথা। তাই হয়তো জীবন এতো বৈচিত্রময়। মাঝে মাঝে কিছু অপূর্ণতাও জীবনকে পূর্ণতা দেয়।

আর পুরো লেখাটি অসম্ভব কাব্যিক। অসাধারণ!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম ,




খুব সুন্দর এই মন্তব্যে ভালো লাগা ।

কতোবার শ্বাস টেনে নিয়েছি এটা দিয়েই আমরা শুধু জীবন মেপে যাই । কিন্তু জীবনটা কতোবার যে বৈচিত্রতা নিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করে দিয়েছে মাপিনে তা দিয়ে । তাই "কিছু" নয় , "অনেক" অপূর্ণতাই থেকে যায় জীবনে ।

ভালো থাকুন । ঝুম বৃষ্টির শুভেচ্ছা ।

৫৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ভালো লাগলো। অফলাইনে পড়েছি, আগেই। এখন কমেন্ট দিলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য ,



অনেক ধন্যবাদ প্রেরণাদায়ক এমন মন্তব্যের জন্যে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।


৫৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৮

জেন রসি বলেছেন: হামা ভাই যেমনটা বলেছেন একটা "ভিন্তেজ" স্বাদ আছে এই লেখায়। যাপিত জীবনের কোথাও না কোথাও দিনশেষে একটা শূন্যতা থেকে যায়। তখন মানুষ কোন কিছু একটার কাছে আত্মসমর্পণ করতে চায়। যেমনটা এ গল্পের নায়ক নায়িকা একে অপ্রের কাছে করেছিল। শব্দ দিয়ে একে অপরকে স্পর্শ করার এ খেলা মানুষের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,





অনেকদিন পরে দেখা পেয়ে ভালো লাগলো ।

জীবনের কোথাও না কোথাও দিনশেষে যে একটা শূন্যতা থেকে যায় , মানুষকে সেই শূন্যতার পথে বিলি কেটে কেটে ঘরে ফিরে যেতে হয়, একা এবং একাকী ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৬০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন আর নতুন লেখা দিচ্ছেন না যে ভাইয়া? আপনার নতুন লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আর সময় করে আমার এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল। ভাল থাকুন।http://www.somewhereinblog.net/blog/mostafasohel/30190799

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,




মন্তব্যের ঘরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
লেখা দেবো সময় সুযোগ মতো ।
আপনার পোস্টটি দেখেছি আর মন্তব্যও করে এসেছি ।
ভালো থাকুন আপনিও ।

৬১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: Click This Link

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,



অনেক আগেই ক্লিক করেছি ।

৬২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: রং নম্বর বলার পরেও আমি আরো চালিয়ে যাচ্ছি দেখে তার চোখ বড় বড় হয়ে উঠেছিলো -- :) !
সমুদ্রঝড়ের যতো সুন্দর নামই থাকনা কেন তার আসল রূপটি হলো, জনপদে তার আছড়ে পড়ার ধরনটিতে এর পরে নিশীথার যে বর্ণনাটুকু দিলেন, তা এক কথায় অনবদ্য।
নিজ ভুবনের আলোয় বাইরের আলোভূক পিপীলিকাদের টেনে আনতে বড় ভয় ছিলো রায়হান গফুরের । ততোদিনে দারুন অবাস্তব এক খেলার নেশা তার আঙ্গুলের ডগায় ভর করে ফেলেছে ! কীবোর্ডে বাজিয়ে চলেছে নাইনথ সিম্ফনী । কলমীলতার মতো সঘন সবুজে সাজিয়ে লতিয়ে লতিয়ে সে সুর ছড়িয়ে গেছে বহুদুর -- অসাধারণ অভিব্যক্তি!
ঘুণ পোকার শব্দ শুনেছেন কখোনো ? নীরবে নদীর পার ভেঙে পড়ার শব্দ ? নৈঃশব্দের মাঝেও যে আরেক অলৌকিক শব্দ বাজে, জানেন তো? বাইরে থেকে কিছুই শোনা যায় না। কান পেতে রাখলে তবে শোনা যায়। -- + +
দু’টো হাত ধরার মধ্যে দিয়ে যে এতো বড় পৃথিবীটাকে কেউ ধরে ফেলতে পারে, জানা ছিলোনা -- তুলনাহীন!
প্লাস এবং "প্রিয়" তে। আবার ফিরে আসবো আরো কিছু বলার জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




অনেক ভালো লাগলো আপনাকে হঠাৎ দেখে ।
প্লাস দেয়া এবং "প্রিয়" তে নেয়াতে বোঝা গেলো, একখানা তেমন ভালোবাসার মন রয়েছে আপনার ।

সমস্ত গল্পটি থেকে "দু’টো হাত ধরার মধ্যে দিয়ে যে এতো বড় পৃথিবীটাকে কেউ ধরে ফেলতে পারে, জানা ছিলোনা" --
লাইনটিকে তুলে এনেছেন তুলনাহীন বলে। একেবারে গল্পটির কলজের ভেতরে হাত দিয়ে ফেলতে পেরেছেন সে কারনেই ।

শুভেচ্ছান্তে ?

৬৩| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:১৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: হয়তো আমরা পরিচিত হব।

শুভ কামনা।

০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক ,




ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্যে ।

শুভ কামনা আপনার জন্যেও ।

৬৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:০৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দাদ কি কলিকাতায় থাকেন?

০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক ,




আপনার কেন মনে হলো কলিকাতায় থাকি ?
কলিকাতায় নয় তার পাশে থাকি ।

৬৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ ভোর ৫:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দেখতে এসেছিলাম নতুন কিছু আছে কিনা,
ভাললাগা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম ।

০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




আপাতত নতুন তেমন কিছু নেই । দেখি এ হপ্তাতেই কিছু একটা দিতে পারি কিনা ।
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
সন্ধ্যার শুভেচ্ছা ।


৬৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখায় কিছু শব্দ আছে, তাই জানতে চেয়েছিলাম দাদা।

জবাবের জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক ,




বুঝতে পেরেছি আমার লেখায় " খেলুম", "দেখলুম" ইত্যাদি শব্দগুলো দেখে আপনার এমন ধারনা হয়েছে ।
তা হলে বলি, ঐ শব্দগুলি কি কলকাতার পৈত্রিক সম্পত্তি, যে খাস বাঙালরা তা ব্যবহার করতে পারবেনা ?
এই যেমন আপনি বলেছেন ," দাদা" । এটা দেখে কি ধরে নেবো, আপনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বলেই এটা বলেছেন ? ধরে নেয়াটা ঠিক হবেনা । ওটা বাংলা শব্দ ।

বোঝাতে পেরেছি কি ?

৬৭| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ একটি আধুনিক জীবনধারার গল্প পড়লাম । খুব ভালো লেগেছে । নিশিথা-তন্ময়ের গল্প , তাদের চিঠি আদান প্রদান যেন খুব চেনা আমার কাছে । আর আপনার বলার ভঙ্গিটা আমাকে দারুণ ভাবে আটকে রেখেছিল আপনার লেখায় । যদিও আপনার লেখা বরাবরই আমকে খুব টানে ।

অনেক দিন পরে আসলেম আপনার এখানে । কি যে হয়েছে আজকাল; মন্তব্যই করতে ইচ্ছে হয় না , কিন্তু এই লেখাটি পড়ে মন্তব্য না করে পারলাম না ।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,




অনেকদিন পরে আপনাকে দেখেও ভালো লাগলো । খুশি হলুম এটা জেনে যে , আমার লেখা আপনাকে খুব টানে । আমার লেখার ধরন আপনার ভালো লাগে বলেই হয়তো টানে । আপনাদের মতো পাঠকদের টানতে তাই চেষ্টার ত্রুটি রাখিনে আমি । গল্পটিতে বাস্তব ঘেষা কিছু তুলে ধরতে চেয়েছি তাই হয়তো চিঠি আদান প্রদান আপনার কাছে খুব চেনা চেনা মনে হয়েছে ।

এই লেখাটি পড়ে মন্তব্য না করে পারলেন না শুনে স্বভাবতই আপ্লুত । কৃতজ্ঞতা হাযারো ।
ভালো থাকবেন অনিঃশেষ । শুভেচ্ছান্তে ।

৬৮| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভুল হয়েছে দাদভাই, ক্ষমা করবেন।

১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক ,



ভালো লাগলো আবারও এসেছেন দেখে । ভুল মানুষেরই হয় ওতে ক্ষমার কিছু নেই ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৬৯| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের বাস্তবিক অবয়বের চেয়ে অনলাইনে নিজের লেখালেখির মাধ্যমে যে পরিচয় ফুটে তা আমার কাছে অনেক বেশি স্পষ্ট আর নিখাদ মনে হয় -- মানবীর এই মন্তব্যটা (৫ নং) ভাল লেগেছে। আমারু তাই মনে হয়।
ছোট ছোট নুড়ি দিয়ে এক ইমারত গড়েছেন! -- চাঁদগাজী এর এই ছোট্ট মন্তব্যটাও (১৯ নং) ভাল লেগেছে।
গল্পটা আবারো পড়লাম। আবারো ভাল লেগেছে। চমৎকার লিখেছেন। শিরোনামটাও খুব সুন্দর দিয়েছেন।

২৫ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




আবার ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো ।

মানবীর মন্তব্যটির বক্তব্যটি আমি বরাবরই বলে এসেছি পিছনের অনেক পোস্টে । সম্প্রতি করা “ একটুখানি ব্লগ ....আ টুল অব কমিয়্যুনিকেশান ! ” এ আমি ও কথা এভাবেই বলেছি ------
সামুতে অনেকে কাঁচা লেখা তো বটেই সাথে দূর্গন্ধ ছড়ায় এমন লেখাও লিখে থাকেন ।
লেখা তো যে কেউই লিখতে পারেন , দিতেও পারেন । লিখতে পারাটা ব্লগের জন্যে কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন তা, আর আপনাকে তুলে ধরছেন কি ভাবে । সামুকে আপনি যে ভাবেই সঙ্গায়িত করুন না কেন, মূলটা তো এখানেই যে, এটা আপনার দিনমানের খেড়োখাতা । খেড়োখাতায় যতো আঁকাবুকি ,কাটাকুটিই করুন না কেন শেষমেশ তার নির্যাসটুকু তো আপনার নিজের কথাই বলে, আয়নায় আপনার মুখটিই দেখায় ! আপনি কে...কেমন লোকটি আপনি ! আপনার সামু ব্লগ যদি আপনাকেই দেখায়, তবে সেখানে আপনার ছবিটি কেমন ? আপনার রূচি -আপনার শিক্ষা , আপনার স্বকীয়তা , আপনার নিজস্ব ধ্যানধারনার সুন্দর এবং সত্যিকারের একটি ছবি সেখানে দেখা যায় কি ?


চাঁদগাজীর মন্তব্যটি একলাইনের হলেও বিপুল-বিশাল তার ব্যপ্তি । একটি একটি নুড়ি দিয়েই তো মানুষ ইমারত গড়ে । আমিও সেই চেষ্টাই করেছি । তেমন একখানা ভালোবাসার মন লালন করেন বলেই, সে ইমারতের কারুকাজ ভালো লেগেছে আপনার । এমন কথা আপনার প্রথম মন্তব্যের জবাবেও বলেছি ।

ভালো থাকুন আর একখানা ভালোবাসার মন নিয়েই থাকুন ।
সকালের শুভেচ্ছা ।

৭০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এত সুন্দর করে কেমনে লিখলেন তাই শুধু ভাবছি
আমিও চেষ্টা করবো দোষ কি ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,




আমার ব্লগে স্বাগতম ।

দোষের কিছু নেই । লিখুন মনের মাধুরী মিশিয়ে । দেখবেন একদিন আমার চেয়েও সুন্দর কিছু লিখে ফেলেছেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.