নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা, শিশু ও প্রকৃতি নিয়ে ভাবি !

গাজী ইলিয়াছ

সমাজের প্রবাহমান সমস্যা নিয়ে চিন্তা করি।

গাজী ইলিয়াছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায়ের প্রতি প্রেম যেমন অনুপস্থিত ঠিক তেমনি দেশ প্রেমও আমাদের নেই বললেই চলে!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

সত্য মন লাগে সত্য সাহস লাগে! ট্রেনে বসেই status দিয়েছিলাম ঘাম রক্ত বাঁচায় যা দেখেছিলাম রাঙ্গামাটি ক্যান্টমেন্টের পাহাড়ের চূড়ায় লেখা! কি রকম ভাবে ঘেমেছিলাম তা বলার অপেক্ষা রাখে না কমলাপুর ষ্টেশনে নামতেই এক বেহুঁশ ভদ্র মহিলা কে কয়েকজনে ধরে নামিয়ে প্লাটফর্মে শুইয়ে দিল! ট্রেন যাত্রী আর এক ভদ্রমহিলা একটু পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে দিয়ে চলে গেল এরকম দেখে দেখে সবাই চলে গেল উৎসুক জনতার মধ্যে আছি আমি সহ কয়েকজন ব্যাগ টানার লেবার। নিকট আত্মীয় ডাক্তারের সাথে কথা বলে pulse দেখলাম তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না! পাশের ট্রেন থেকে পানি এনে মাথায় পানি দিয়ে মুখ মাথা মুছে দেয়ার কিছু ক্ষন পর চোখ মিটমিট করে খুলল! একটু একটু কথা বলে তাঁর স্বামীর মোবাইল নং দিল আর বলেছিলেন বুকে ব্যাথা !সাথে সাথে ঊনাকে ফোন করা হল! অতঃপর দাড়িয়ে থেকে নিজের আপনজন হলে যা করতাম তাই করলাম! উনার স্বামী পুলিশ হওয়ায় তাঁর কথামত পুলিশ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি তে পৌঁছে দিয়ে এখন অফিসে! আলহামদুলিল্লাহ দিন শুরু হলো ভাল কিছু করে! অবাক হয়েছি এরকম বেহুঁশ অসহায়ের পাশে কাউকে না দাডাঁতে দেখে! কাজটা যদিও সরকারের কিন্তু এরকম সরকারি পদক্ষেপ কি আমারা এত তাড়াতাড়ি দেখেছি?? কেন আমরা বেহুঁশ মানুষকে এভাবে রেখে আয়ের তাড়াতে চলে যাচ্ছিলাম? কেউ কেউ বলে নানান ঝামেলা! আমি মহান এর কাছে এ দোয়া করি যেন পথ চলতে এরকম কারো যদি সমস্যা হয় তার পাশ দিয়ে যেন আমাকে নেয়! অসহায়ের সেবায় আমি দারুন মজা পাই! অসহায় শিশু হলে আনন্দ টা অনেক গুণ বেড়ে যায়!করুন এছবি মোবাইলে আছে! সব ছবি তো দেয়া যায় না?? জীবনে দুবার এরকম help করেছি আরেকবার করেছিলাম ষ্টুড়েন্ট লাইফে বনানী কাকলি মোড়ে তখনকার গাজীপুর কাটবড়ি বাস মেরে দেয় প্রাইভেট কার কে! মা ও দুই মেয়ে সহ রক্তাক্ত সবাই ছিল দেখার কেউ ছিল না যেন হাসপাতালে নেয়ার! পরে দুটো রিকশা করে তাদের গাড়ির চালক সহ নিয়ে গেলাম গুলশান মা ও শিশু হাসপাতালে! ভাগ্যবান ছিল সকলেই আঘাত গুরুতর ছিল না! মনেপডে মা ছিল আজকের মত কিছু ক্ষন বেহুঁশ! ছোট দুই ফুট ফুটে মেয়ে নাম ছিল রাশা আর ভরসা! পরে পরিচয় বের হলো তারা স্কলাশটিকায় পড়ুয়া আমার ভাইয়ের মেয়ে নাবিলা নূর ককসির সাথে পড়ে! যতদুর জানি, সবাই দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে তাদের সেবা কার্যক্রম সেখানেই চালাবে! বলুনতো দেখি এখানে আসতে চাই না কেন? আজ বড় দুঃখ হলো অসহায়ের প্রতি প্রেম যেমন অনুপস্থিত ঠিক তেমনি দেশ প্রেম নেই বললেই চলে! চাকুরি তুমি চলে যাও আমি কিছু লিখে যাই, এরা শিক্ষিত নয় এরা মানুষ খেকো ডাকাত! দুঃখজনক! ভালো হউন! সত্য হউন! অনেক মজা পাবেন! সাহস বেড়ে যাবে হয়ে যাবেন সত্য ভিআইপি! প্লীজ সত্য করুন! সত্য চলুন! সমাজ কে আর কলুষিত করবেন না! দয়পূর্বক!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: নামাজ যে কত মজার জিনিস, স্রষ্টার সাথে কথা বলার অনুভুতি যে কত বিস্ময়কর, কত প্রশান্তির সেটা যদি আমরা বুঝতাম!
আমরা রাফাউল ইয়াদাইনের হদীস নিয়ে মাথা ঘামাই, আমীন বলা নিয়ে তর্ক করি, সুরা ফাতিহা পড়া নিয়ে ঝগড়া করি।
অথচ নামাজের প্রকৃত সুন্নত যে আল্লাহর সাথে কথা বলা, নিজের সব চাওয়া, সব কষ্ট আল্লাহর সাথে শেয়ার করা, সব অন্যায় অকপটে আল্লাহর কাছে স্বীকার করে নেয়া সেটা আমরা জানিই না।
নামাজে আল্লাহর সামনে নিজেকে খুলে দিন। মনের সব কথা পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে বলুন।
আপনার পাপবোধ আপনাকে আল্লাহর সাথে ফ্রি হতে দেয় না। আপনার অপরাধবোধ আপনাকে আল্লাহর সামনে হীনমন্য করে রাখে।
এত হীনমন্যতার কিছু নেই। আল্লাহ সবই জানেন। তিনি আপনার মনকে যেমন দেখেন, আপনার ভবিষ্যত ও তিনি দেখেন। তিনি জানেন আপনার অবচেতন মন এই মুহুর্তে কি চাইছে। তিনি শুধু অপেক্ষা করেন কখন আপনি তার কাছে মুখ ফুটে চাইবেন।
আল্লাহর রাসুল (সা) আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে নামাজে আল্লাহর সাথে কথা বলতে হয়। কিভাবে চাইতে হয়। কত সহজে আল্লাহর সাথে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
জানতে চাইলে দেখুন,
https://youtu.be/OLhhFzXL4Tc

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে দিনে দিনে। পূঁজিবাদী বিশ্বে টাকায় এখন মূখ্য। বাকী সব গৌণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.