নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ আরামের পর আরাম চায়। আজ মসজিদে হুজুরের বয়ানেও তা বুঝলাম। একসময় মসজিদটি ছিল মাটির ঘরের এখন সুন্দর মোজাইক ফ্লোরের এয়ারকন্ডিশন্ড়। এত সুন্দর ফ্লোর ডেকে দেয়া হয়েছে চটের উপর পরিস্কার সাদা কাপড় দিয়ে। এতকিছুর পরও আজ নিবেদন করা হলো আগামী সপ্তাহের মধ্যে সুন্দর উন্নত মানের আরামের কার্পেট দিয়ে ফ্লোর ডেকে ফেলার। তুলনামূলক সমাজ গ্রামের অসহায় মানুষদের কষ্ট চিন্তা করে এ রকম কোন পরিকল্পনা সমন্বিত ভাবে নেয়া হয় কি? যেভাবে আমরা পবিত্র মসজিদ কে নিয়ে একের পর এক আরামের পরিকল্পনা করি? অপব্যয়কে ইসলামে নিষেধ তথা শয়তানের সাথেও তুলনা করা হয়েছে। সেখানে যা না হলেও চলে তার জন্য সমাজের দুঃখী মানুষদের চরম দুঃখকে পাশে রেখে ইমাম মহোদয়ের এ রকম খরচের আহবান জানানো কতটুকু যৌক্তিক?? বড়লোক পাড়ার মৌলভী সাহেবগনও ধনীদের আরও কিভাবে আরাম দেয়া যায় তার চিন্তাতেই মশগুল থাকেন বলে মনে হয়েছে। পাশাপাশি আবিস্কারকরাও এদিকে নজর রেখে রেখে নতুন নতুন আরাম আয়াসের ভোগ্যপণ্য সৌখিন পন্য আবিস্কার করেই যাচ্ছে। যা মূলতঃ অপব্যয়কেই প্রমোট করছে বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। এ দেশ মহল্লায় এমন কোন মানবিক কমিটি বা মসজিদ কমিটি আছে যারা মহল্লায় মহল্লায় পরিবারের দুঃখ দূর্দশা চিন্তা করে পরিবার প্রতি প্রতিনিয়ত সাহয্য করার চিন্তা করে ? নেই। দুঃখজনক।
©somewhere in net ltd.