নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গভীর রাত ঘুমাতে গিয়েও ঘুমাতে পারছি না চোখে পানি আসছে। গভীর রাতের এবাদতের দুই রাকাত নামাজও পড়লাম। মন বলছে না লিখা পর্যন্ত অশান্ত মন শান্ত হবে না। কি এক হিংস্র পৃথিবীতে বাস করছি? ফারুককে আজ ডাক্তার দেখানোর পর খুবই মন খারাপ হল! ডাক্তার বললেন তার এ রকম চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ করে নোংরা জায়গায় থাকা হোম কেয়ারের অভাবে তার জীবন হুমকীর দিকে যাচ্ছে বলে তিনি অনুমান করছেন। আগামীকাল বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট দেখানোর পর বিষয়টির নিশ্চয়তা কতটুকু তা বুঝতে পারব।দোয়া করবেন তার জীবনকে যেন রক্ষা করতে পারি। আমি তিন চারবার তাকে হসপিটালে নিয়েছি বারবার ডাক্তারদের অনুরোধ করেছি তাকে হসপিটালাইজড করার জন্য কারন আমি জানি এ রকম চিকিৎসার পরও তাকে পথেই রেখে দিয়ে হিংস্রের মত আমাকেও বাসায় চলে আসতে হয়। বাসার হোম কেয়ারে থাকলে এ চিকিৎসাতে সে সহজে ভাল হয়ে যেত।কিন্তু অপারেশনের এ রকম রোগী নোংরা জায়গায় থাকলে কিভাবে ভাল হবে? যেখানে নেই বলতে কিছুই নেই। আমি ডাক্তারদের অনুরোধ করার পরও তা করেননি বা করছেন না। অন্তত হাসপাতালে থাকলে নোংরা থেকে বাঁচবে এবং কেয়ারে থাকবে। আমি বললাম তার পা টি ভাল হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করে রাখেন। ঊনারা বলেন এরকম রোগী বাসায় রাখলে হবে।তার যে বাসা নেই ঊনারা বুঝতে চাননি। নোংরা জায়গায় থাকার কারণে তার ইনফেকশন ভালোই হচ্ছে না। আমি একজন লোকও ভাড়া করেছি।
আগামীকাল বড় প্রফেসার দেখানোর পর ভর্তি না করালে আবাসিক হোটেলে রাখার চিন্তা করছি। জানিনা মহান আল্লাহ তার কপালে কি রেখেছেন? কারও কি কোন ধারনা আছে এ অবস্থায় তাকে সরকারি বা বেসরকারি অন্য কোন নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা আছে কি?
কিন্তু কেন এমন হবে? সরকারি সংস্থাগুলোর কি কোন চোখ নেই? লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে এরকম একজন অসহায় অসুস্থ এতিমের হোম কেয়ারের অভাবে যদি জীবনহানিকর কিছু ঘটে তাহলে এদেশের সরকার এবং সক্ষম ব্যাক্তিবর্গ মহানের বিচারে পার পাবে বলে আমি মনেকরি না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি একান্ত অনুরোধ এরকম অসহায় এতিম অনাথ শিশুদের নিরাপত্তা দিন! বিশেষ করে যারা অসুস্থ হয়ে পথে ঘাটে পড়ে থাকে তাদের চিকিৎসা ও থাকা খাওয়ার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন। যে দেশে এরকম অসহায় শিশু এরকমভাবে পথেঘাটে পড়ে থাকবে সে দেশে শান্তি কখনো আসবে না! এটি আমার নিকট অংকের মত প্রমানিত সত্য! প্লীজ এ সকল শিশুদের নিরাপত্তা দিন! দয়াপূর্বক!
২| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় এটা কোন সমস্যা নয়, আপনি অযথা ভাবছেন।
কে বাঁচল, আর কে বিনা চিকিৎসায় মরল এটা নীতি নির্ধারকদের নীতিতে পড়েনা ভাই।
আমরা গরীবদের এই একটা সমস্যা, না পারি রইতে না পারি সইতে।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
কাইকর বলেছেন: এই সমাজের মুখোশধারী শয়তানদের এগুলো চোখে পড়বে না।
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
রাকু হাসান বলেছেন: উদরপুর্তি আমরা মহাখুশি ..।এইসব নিয়ে ভাবার সময় কোথায় যদিও রাষ্ট্র তার দ্বায় এড়াতে পারে না
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
ফেনা বলেছেন: "শিশুর এ অবস্থা কেন? সরকারি সংস্থাগুলোর কি কোন চোখ নেই?"
এই প্রশ্নের সাথে আমি কন্ঠ মিলালাম।
আসলেই সরকার কি দেখেনা?
৬| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
গরল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি যতটুকু করেছেন তার জন্য, আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা রইল।
৭| ২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি পড়ে মনটা খুব খারাপ হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: শিশুর এ অবস্থা কেন? সরকারি সংস্থাগুলোর কি কোন চোখ নেই? এই প্রশ্নের উত্তর মেলা বড় দায়।