নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল কি শালিসী ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচার আচার বা মানুষের সমস্যার সামাধান হয়? আমার মনেহয় আগেকার দিনে যেভাবে হত তা এখন হয় বলে মনেহয় না। হলেও খুব কম!আজ গ্রামীন সমাজে তৎসময়ের শালিসী ব্যবস্থা পেশী শক্তি ও অর্থশালীর কাছে জিম্মি বলে মনেহয়। শালিসকারকরাও এখন আগেকার মত শালিসে যেতে ভয় পায়। যে কারনে মামলা যেমন বাড়ছে তেমনি অনেকের যেহেতু মামলা করার সামর্থ্য নেই তারা নিরবে কেঁদে বিচারহীনতায় ভোগে। অন্যদিকে, দেশের চলমান আইনি ব্যবস্থায় যেতে যে প্রস্তুতি নিতে হয় তা সাধারন মানুষদের কতটুুকু আছে তা একবার ভেবে দেখুন? আর আইন শেষ করে ফল পেতে কত সময় লাগে তাও একবার ভেবে দেখুন? আজ সাধারন মানুষের আইনি সূরক্ষাও সুদূরপরাহত। অপরদিকে, অর্থশালীর জন্য এ দূরবস্থা ফলদায়ক হিসেবে কাজ করে। কারন তার তো কোন সমস্যা নেই সে তো ফল ভোগ করছে। সে তার প্রয়োজন অনুযায়ী দীর্ঘ সময়ও পাই বা দরখাস্ত করে নিয়ে নেয়। যা জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস ডিনাইডকে আলিংগন করে। আমাদের দেশের বিচার শেষ করার কোন টাইম ফ্রেম নেই। অথচ মান্যবর তৎকালীন শালিসী ব্যবস্থা বিচার ছিল তাৎক্ষণিক এবং যা সকলে শ্রদ্ধার সহিত মেনে নিত! মানুষের হিংস্রতার প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে সেই মান্যবর শালিসী ব্যবস্থা আজ নেই বললেই চলে। যা এ সমাজের জন্য বড়ই আশংকার। মানুষের নিরব যন্ত্রণার প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলছে যা এ প্রকৃতির বড় শত্রু! এ নিরব যন্ত্রনার প্রবৃদ্ধিই এ প্রকৃতিকে ক্ষুদ্ধ করে এবং এ বিশ্বের আয়ুস্কালকে কমিয়ে দিচ্ছে।
তাই বলছি, সাধারণ মানুষের নিরব যন্ত্রনা প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস করার চেষ্টা করুন। আইনি ব্যবস্থা সহজ করুন। গ্রামে গ্রামে তৎসময়ের মত নিরেপেক্ষ শালিসী ব্যবস্হা প্রচলন করুন। সাধারন মানুষকে বিচারকের কাছে সহজে যেতে দিন। জটিলতা পরিহার করুন। সে সময়ে সাধারণ মানুষ দারুন সহয়তা পেত বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। প্রাতিষ্ঠানিক আদালত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মামলা নেয়ার আগে যদি সালিশী রিপোর্ট দেখেন তাহলে মামলা অনেক সহজ হবে বলে আমি মনেকরি। প্রয়োজনে গবেষণা করে সালিশী ব্যবস্থার নিরাপত্তা সহ যা যা প্রয়োজন তা দেয়ার বিষয়ে সরকার ভেবে দেখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি পঞ্চায়েত এর কথা বলছেন?
শালীশি দরকার নাই। শালিসী করার যাতা দায়িত্ব পান তারা শেষে অমানবিক হয়ে উঠে।