নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n--আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।\n

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু মজার ঘটনা-

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫






অসাধারণ রসবোধ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন হুমায়ুন আহমেদ। উনার জীবনেও ঘটেছে নানা রসময় ঘটনা।
নিজের জবানীতে ও অন্যের লিখনিতে তাঁর জীবনের কিছু মজার ঘটনা নিন্মে উদৃত হল।

১। আমার প্রথম স্কুলে যাওয়া উপলক্ষে একটা নতুন খাকি প্যান্ট কিনে দেয়া হল। সেই প্যান্টের কোন জিপার নেই, সারাক্ষণ হাঁ হয়ে থাকে। অবশ্যি তা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন হলাম না। নতুন প্যান্ট পরছি, এই আনন্দেই আমি আত্মহারা। মেজো চাচা আমাকে কিশোরীমোহন পাঠশালায় ভর্তি করিয়ে দিয়ে এলেন এবং হেডমাস্টার সাহেবকে বললেন, চোখে চোখে রাখতে হবে। বড়ই দুষ্ট। আমি অতি সুবোধ বালকের মত ক্লাসে গিয়ে বসলাম। মেঝেতে পাটি পাতা। সেই পাটির উপর বসে পড়াশোনা। মেয়েরা বসে প্রথম দিকে, পেছনে ছেলেরা।

আমি খানিকক্ষণ বিচার বিবেচনা করে সবচেয়ে রূপবতী বালিকার পাশে ঠেলেঠুলে জায়গা করে বসে পড়লাম। রূপবতী বালিকা অত্যন্ত হৃদয়হীন ভঙ্গিতে সিলেটি ভাষায় বলল, এই তোর প্যান্টের ভেতরের সবকিছু দেখা যায়। ক্লাসের সব ক’টা ছেলেমেয়ে একসঙ্গে হেসে উঠল। সবচেয়ে উচ্চস্বরে যে ছেলেটি হেসেছে, তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। হাতের কনুইয়ের প্রবল আঘাতে রক্তারক্তি ঘটে গেল। দেখা গেল ছেলেটির সামনের একটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে। হেডমাস্টার সাহেব আমাকে কান ধরে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দিলেন।

ছাত্রছাত্রীদের উপদেশ দিলেন, এ মহাগুণ্ডা, তোমরা সাবধানে থাকবে। খুব সাবধান। পুলিশের ছেলে গুণ্ডা হওয়াই স্বাভাবিক। ক্লাস ওয়ান বারোটার মধ্যে ছুটি হয়ে যায়। এ দুই ঘণ্টা আমি কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আমার সময়টা যে খুব খারাপ কাটল তা নয়। স্কুলের পাশেই আনসার ট্রেনিং ক্যাম্প। তাদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। লেফট রাইট। লেফট রাইট। দেখতে বড়ই ভাল লাগছে। মনে মনে ঠিক করে ফেললাম বড় হয়ে আনসার হবো।

২। ক্লাস টুতে উঠে আমি আরেকটি অপকর্ম করি। যে রূপবতী বালিকা আমার হৃদয় হরণ করেছিল, তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফেলি। প্রকৃতির কোন এক অদ্ভুত নিয়মে রূপবতীরা শুধু যে হৃদয়হীন হয় তাই না, খানিকটা হিংস্র স্বভাবেরও হয়। সে আমার প্রস্তাবে খুশী হবার বদলে বাঘিনীর মত আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। খামচি দিয়ে হাতের দুতিন জায়গার চামড়া তুলে ফেলে। সে-ই স্যারের কাছে নালিশ করে। শাস্তি হিসেবে দুই হাতে দুটি ইট নিয়ে আমাকে দু’ঘণ্টা নিলডাউন হয়ে বসে থাকতে হয়।

৩। থ্রি থেকে ফোরে উঠব। বার্ষিক পরীক্ষা এসে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে পড়াশোনার ধুম। আমি নির্বিকার। বই নিয়ে বসতে ভাল লাগে না। যদিও পড়তে বসতে হয়। সেই বসাটা পুরোপুরি ভান। সবাই দেখল আমি বই নিয়ে বসে আছি এই পর্যন্তই। এমন এক সুখের সময়ে ক্লাসের বন্ধু ‘মাথা মোটা’ শংকর খুব উত্তেজিত ভঙ্গিতে জানাল, তার মা তাকে বলেছেন সে যদি ক্লাস থ্রি থেকে পাশ করে ফোর-এ উঠতে পারে তাহলে তাকে ফুটবল কিনে দেবেন। সে আমার কাছে এসেছে সাহায্যের জন্যে। কি করে এক ধাক্কায় পরের ক্লাশে ওঠা যায়। একটা চামড়ার ফুটবলের আমাদের খুবই শখ।

সেই দিনই পরম উৎসাহে শংকরকে পড়াতে বসলাম। যে করেই হোক তাকে পাশ করাতে হবে। দু’জন একই ক্লাসে পড়ি। এখন সে ছাত্র, আমি শিক্ষক। ওকে পড়ানোর জন্যে নিজেকে প্রথম পড়তে হয়, বুঝতে হয়। যা পড়াই কিছুই শংকরের মাথায় ঢোকে না। যাই হোক প্রাণপণ পরিশ্রমে ছাত্র তৈরি হল। দু’জন পরীক্ষা দিলাম। ফল বের হলে দেখা গেল আমার ছাত্র ফেল করেছে এবং আমি স্কুলের সমস্ত শিক্ষকদের স্তম্ভিত করে প্রথম হয়ে গেছি। ফুটবল পাওয়া যাবে না এই দুঃখে রিপোর্ট কার্ড হাতে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরলাম।


৪। পঁচাগড় থেকে বাবা বদলি হলেন রাঙামাটিতে। রাঙামাটিতে আমরা ছিলাম পাঁচ মাসের মতো। বাবা আবার বদলি হলেন বান্দরবান। বান্দরবানের সবই ভালো, শুধু মন্দ দিকটা হলো এখানে একটা স্কুল আছে। স্কুলে আমার একমাত্র আনন্দের ব্যাপার হলো মুরং রাজার এক মেয়ে পড়ে আমাদের সঙ্গে। গায়ের রং শঙ্খের মতো সাদা। চুল হাঁটু ছাড়িয়েও অনেক দূর নেমে গেছে। আমরা ক্লাস সিক্সে পড়ি, কিন্তু তাকে দেখায় তরুণীর মতো। তার চোখ দুটি ছোট ছোট, গালের হনু খানিকটা উঁচু। আমার মনে হলো চোখ দুটি আরেকটু বড় হলে তাকে মানাত না। গালের হনু উঁচু হওয়ায় যেন তার রূপ আরো খুলেছে।

ক্লাসে আমি স্যারদের দিকেও তাকাই না। বোর্ডে কী লেখা হচ্ছে তাও পড়তে চেষ্টা করি না। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি রাজকন্যার দিকে। সত্যিকার রাজকন্যা। আমার এই অস্বাভাবিক আচরণ রাজকন্যার চোখে পড়ল কি না জানি না, তবে একজন স্যারের চোখে পড়ল। তিনি আমাকে বিষদৃষ্টিতে দেখতে লাগলেন। প্রতিটি ক্লাসেই তিনি আমাকে প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত করেন, কিন্তু আটকাতে পারেন না; কারণ ইতিমধ্যে আমি একটা জিনিস বুঝে ফেলেছি, আমার স্মৃতিশক্তি অসম্ভব ভালো। যেকোনো পড়া একবার পড়লেই মনে থাকে। সব পড়াই একবার অন্তত পড়ে আসি।

স্যার ঠিকই একদিন আমাকে আটকে ফেললেন। সমকোণ কাকে বলে জিজ্ঞেস করলেন, আমি বলতে পারলাম না। শাস্তির ব্যবস্থা হলো। বিচিত্র শাস্তি। বড় একটা কাগজে লেখা ‘আমি পড়া পারি নাই। আমি গাধা’ সেই কাগজ গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হলো। স্যার একজন দপ্তরিকে ডেকে আনলেন এবং কঠিন গলায় বললেন, ‘এই ছেলেকে সব কটা ক্লাসে নিয়ে যাও। ছাত্ররা দেখুক।’ আমি অপমানে নীল হয়ে গেলাম। টান দিয়ে গলার কাগজ ছিঁড়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে তীব্র গলায় বললাম, ‘আপনি গাধা।’ তারপর এক দৌড় দিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলাম। সন্ধ্যাবেলা লোক পাঠিয়ে শঙ্খ নদীর তীর থেকে বাবা আমাকে ধরিয়ে আনলেন। আমি আতঙ্কে কাঁপছি। না জানি কী শাস্তি অপেক্ষা করছে আমার জন্য। বাবা শান্ত গলায় বললেন, ‘স্যাররা তোমাকে পড়ান। শাস্তি দেওয়ার অধিকার তাঁদের আছে। তুমি আমার সঙ্গে চলো। স্যারের কাছে ক্ষমা চাইবে।'

বাবার সঙ্গে কাঁদতে কাঁদতে রওনা হলাম। স্যারের কাছে ক্ষমা চাইলাম। এর পর বাবা বললেন, ‘মাস্টার সাহেব, আমার এই ছেলেটা খুব অভিমানী। সে বড় ধরনের কষ্ট পেয়েছে। অপমানিত বোধ করেছে। তাকে আমি কোনো দিন এই স্কুলে পাঠাব না। সে বাসায় থাকবে।’
বাবা আমাকে কোলে নিয়ে বাসায় ফিরলেন। পরদিনই স্কুলের সব শিক্ষক বাসায় উপস্থিত। তাঁরা বাবাকে রাজি করাতে এসেছেন, যাতে আমি আবার স্কুলে যাই। বাবা রাজি হলেন না।


৫। হুমায়ূন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। হঠাৎ এক ছাত্র প্রশ্ন করলো, ‘স্যার, আপনি নাকি গরুর কথাও বুঝতে পারেন?’ হুমায়ুন আহমেদের ‘ছেলেবেলা’ বইটি পড়ে হয়তো এমন ধারণা হয়েছিলো ছাত্রটির। ক্লাসের মাঝখানে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় চলে আসায় হুমায়ুন আহমেদ বিরক্ত হলেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, পারি। নইলে তোমাদের ক্লাস নিচ্ছি কীভাবে?’

৬। এক সাংবাদিক টেলিফোনে হুমায়ূন আহমেদের কাছে তার অবসর সময় কীভাবে কাটে জানতে চাইলেন। উত্তরে হুমায়ুন আহমেদ বললেন, ‘অবসর সময়ে আমি একটা কাঁচি নিয়ে বসি। কাঁচি দিয়ে কেটে সময় কাটাই!’

৭।গভীর রাতে হুমায়ূন আহমেদকে এক বিখ্যাত অভিনেতা ফোন করল। এত রাতে ফোন পেয়ে তিনি কিছুটা বিরক্ত।
অভিনেতা ফোন দিয়ে বললেন, হুমায়ূন ভাই আমার অবস্থা খুব খারাপ।
হুমায়ুন আহমেদ বললেন, কেন কী হয়েছে?
অভিনেতা বললেন, পেটে প্রচুর গ্যাস হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদ আরও বিরক্ত হয়ে বললেন, পেটে গ্যাস হয়েছে তো আমাকে কেন? তিতাস গ্যাসকে ফোন দেন।

৮।হুমায়ূন আহমেদ প্লেনে করে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। ওনার সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে তো কম বেশি সবারই জানা আছে। প্লেনের মধ্যে হঠাৎ তাঁর সিগারেট খাওয়ার নেশা চেপে বসলো।
হুমায়ূন আহমেদ এয়ার হোস্টেসকে ডেকে বললেন, ‘সিগারেট খাওয়া যাবে?’
এয়ার হোস্টেজ উত্তরে বললেন, ‘না। প্লেনের ভিতর ধুমপান করলে দুইশত ডলার ফাইন।'
হুমায়ূন আহমেদ চারশো ডলার দিয়ে বললেন, ‘আমি এখন দুইটা সিগারেট খাব।'
এয়ার হোস্টেস ছুটে গেল পাইলটের কাছে। পরে পাইলট হুমায়ূন আহমেদকে ডেকে পাঠালেন ককপিটে। তারপর বললেন, ‘ডলার দিতে হবে না। তুমি এখানে বসে সিগারেট খাও।’

৯। হুমায়ূন আহমেদের ৫২তম জন্মদিনের কথা। শাহবাগ থেকে তাজা দেখে ৫২টা গোলাপ নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি গেলেন একজন। গিয়ে দেখলেন বগুড়া থেকে এক লোক এসেছেন। উনি হুমায়ূন আহমেদকে বলছেন, 'স্যার, আপনি চাইলে আমি আমার জান দিয়ে দিবো! আপনি আপনার নাটকে আমাকে একটা চান্স দেন।' হুমায়ূন আহমেদ তার সহকারীকে ডেকে বললেন, 'তুমি এর নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার লিখে রাখো তো। এ আমার জন্য জীবন দিতেও রাজি।' সহকারী সব টুকে নিলে চলে গেল।
এরপর হুমায়ূন আহমেদ ওই লোককে বললেন, 'তুমি বাড়ি ফিরে যাও। যদি কখনো কিডনি লাগে তো তোমাকে ফোন দিবো। চলে এসো।’

১০। হুমায়ূন আহমেদ চলচ্চিত্র বানাবেন। আগুনের পরশমণির প্রধান চরিত্র বদিউল আলমকে খুঁজছেন। একদিন শিল্পী ধ্রুব এষকে দেখে তিনি সেই চরিত্রের জন্য পছন্দ করে ফেললেন। কারণ, বদিউল আলমের নির্লিপ্ত ভঙ্গি ধ্রুব এষের মধ্যে পুরোপুরিই আছে। প্রস্তাব শুনে ধ্রুব এষ বললেন, ‘অসম্ভব! আমি জীবনে অভিনয় করিনি’। হুমায়ূন আহমেদ মুচকি হেসে বললেন, ‘তাতে কী? আমিও তো জীবনে সিনেমা বানাই নি!’

১১। ভীষণ গান ভালবাসতেন হুমায়ূন আহমেদ। বিভিন্ন সময় চমৎকার কিছু গান লিখেছেন। এর মধ্যে ‘যদি মন কাঁদে’ গানটি নিয়ে একটি মজার ঘটনা রয়েছে। নিউইয়র্কে একবার এই গানটি গেয়েছিলেন শাওন। সেখানে কয়েকজন দর্শক-শ্রোতা মন্তব্য করলেন ‘এই রবীন্দ্রসঙ্গীতটা তো আগে শুনিনি। এটা তো চমৎকার।’
এরপর হুমায়ূন আহমেদ মঞ্চে বক্তব্যের সময় বললেন, ‘যাক, এবার তবে রবীন্দ্রসঙ্গীতও লিখলাম।’

১২। একবার এক ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদকে বললেন, অমুক তো আপনাকে একেবারে ধুয়ে দিয়েছে। আপনার লেখায় নাকি শিক্ষামূলক কিছু নাই। শুনে হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘ঠিকই তো বলেছে, আমি তো পাঠ্যবই লেখি না!’

১৩। সিনেমা তৈরির প্রয়োজনে হুমায়ূন আহমেদ একবার সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর অফিসে গেছেন। কথা শেষ করে চলে আসার সময় হুমায়ূন আহমেদ হঠাৎ জানতে চাইলেন, ‘আপনাদের কোনো পুরোনো ট্যাংক আছে?’
: কেন বলুন তো?
: আমার একটা কেনার ইচ্ছা।
: ট্যাংক দিয়ে কী করবেন?
: ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিতে হয়। ট্যাংকে করে গেলে অনেক সুবিধা, তাই...।
---আজ এই কিংবদন্তী লিখকের জন্ম দিন। এই দিনে তাঁর পারলৌকিক মঙ্গল কামনা করছি।
সুত্র- http://www.earki.com/humor/article/

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মহান লেখকের পরলোকিক শান্তি কামনা করছি। সাথে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সবগুলো ঘটনাই ভীষণ মজার। তবে ৫ ও ৮ নং বেশি মজার ছিলো।

স্যারের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সব সময়। আল্লাহ্ উনাকে জান্নাত বাসী করুক।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমীন !
ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।

পড়ে মজা পাচ্ছি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শাইয়্যান ।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

কাওছার সুজন বলেছেন: আমার সবচেয়ে ফেভারিট লেখক।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার চেনা পরিমন্ডলে প্রায় সকলেরই তিনি প্রিয় ছিলেন।
আপনার ব্লগ পরিসংখ্যান-


পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ১টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৩৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ড
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন

প্রথম মন্তব্যটি আমাকেই করলেন বুঝি! =p~
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কাওছার সুজন ।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

নাগরিক কবি বলেছেন: হুমায়ুন, ভালোবাসার একটি নাম

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাগরিক কবি । আপনার কাব্যগ্রন্থের কদ্দুর কি হল?

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

ওমেরা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল মজাও লাগল বেশ । ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও ধন্যবাদ জানবেন ওমেরা

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার রসবোধ মোটামুটি

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গাজী ভাই।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পড়ে মজা পেলাম .... :)

স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালবাসার রইল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলেই তিনি মজার মানুষ ছিলেন।

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




উপস্থিত রস উনার বেশ প্রবল ছিল । আফসোস উনি আজ বেঁচে নেই । জন্মদিন রয়ে গেছে মৃত হয়ে ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বড্ড মজার মানুষটি বড্ড অসময়ে চলে গেলেন। ধন্যবাদ কথন ভাই।

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

যূথচ্যুত বলেছেন: ওঁর লেখার মধ্যে এই সরস মজলিশী ভঙ্গিটাই ওঁর জনপ্রিয়তার টিআরপি। ভালো লাগল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ জানবেন যূথচ্যুত।

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছোটখাটো ঘটনাগুলো পড়ে মজা পেলাম খুব! ৪ নাম্বার ঘটনাটা মনে দাগ কাটলো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

উনি লোকদের ভড়কে দিতে চাইতেন, এবং লেখার মধ্যে দিয়েও তাই করতে চেয়েছেন। মানুষজন এটাতেই আসক্ত হয়েছে।

ভালো লাগলো গিয়াস ভাই।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাহিদ অনিক ,আপনাকে ধন্যবাদ

১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: রসালো ঘটনাগুলো পড়ে খুব মজা পেলাম। উনার লেখার মধ্যেও এমনই মজা পাওয়া যায়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উনার কিছু নাটকও ছিল সেই রকম মজার প্রামানিক ভাই

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বরেণ্য কথাসাহিত্যিক কবিবর এঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই বোঝা গিয়েছিল বড় হয়ে বড় কিছুই হবেন তিনি...

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কথা সইত্য B-)

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৮

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: দারুণ পোস্ট
প্রায় ৫ ঘন্টায় পড়ে শেষ করলাম !
অবাক হচ্ছে সত্যি বলেছি
ব্যস্ততার ফাঁকে-ফাঁকে পড়েছিতো সময়টা প্রায় ৫/৬ ঘন্টা হবেই ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাত দুইটা পর্যন্ত ব্যাস্ত!!! :P

১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক মজার ।ওনার মিসির আলি চরিত্র টা খুব মিস করি । হিমু উদাসীন তাই ভাল্লাগে না । আরও মিসির আলির লেখা যদি থাকতো ! :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মিসির আলি সাহেবকে আমার ও ভাল লাগতো।

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: উনি এভাবে লিখতে পারতেন বলেই দেশের মানুষকে বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করতে পেরেছিলান।

ওপারে খুব ভালো থাকুক এই দোয়া করি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ রুহি'পু।

১৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ !

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরাপু।

২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

সোহানী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের সবগুলো বই পড়েছি বলে এ ঘটনাগুলো আগেই জানতাম। তারপরও মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই.............

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিষয়গুলি বেশ মজার, তাই পড়া থাকলেও পড়তে খারাপ লাগেনা।

২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ম্যাচিউরড হুমায়ুন স্যারের থেকে বালক হুমায়ুন সারের কাহানীটাই বেশি জোশ লেগেছে!!:)


স্যারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি!!:)


আর পুষ্ট পোস্টানোর লাই আফনেরো থ্যাংকু মেয়াবাই!!:)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খেয়াল করলে দেখবেন ঘটনা গুলি সাধারণ কিন্তু লিখার গুণে অসাধারন হয়ে উঠেছে।

২২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্যারের ঘটনা গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল

২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ওনার টাচে সরষের গোলাপ হয়ে ওঠা এ আবার এমন বিশেষ কি মেয়াবাই??:)


উনি হাজার বার সাধারন ব্যাপার গুলোকে অসাধারন হিসেবে প্রদর্শন করেছেন!!!:)


আর এজন্যই তিনি সেরাদের সেরা, লেখার জাদুকর!!:)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, আসলেই তিনি লিখার জাদুকর ছিলেন।

২৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: একজন অসাধারণ লেখককে নিয়ে লেখাটি খুব চমৎকার লাগল। হুমায়ুন আহমেদের রসবোধ আর লেখার দক্ষতা অতি উঁচুমানের ছিল যা মুল্যায়নের ক্ষমতা আমার নেই। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই লিখায় আমার কোন কৃতিত্ব নাই ঢাকাবাসী ভাই, সব উনার লিখা থেকে টুকলিফাই B-)

২৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ লিটন ভাই। এখন আর প্রাসঙ্গিকতা না থাকায় দয়া করে ৩ নম্বরে করা আমার মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য ডিলিট করে দিন। শুভকামনা রইল।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ডিলেট করে দিয়েছি ভাইজান।

২৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
সবগুলো ঘটনাই উপভোগ্য!!
প্রিয় লেখকের জন্মদিনে তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা!!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও ধন্যবাদ নিন বীথি।

২৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

সুমন কর বলেছেন: আপনার শেয়ারগুলো খুব ভালো লাগল। বেশি দাগ কেঁটেছে, আপনার বাবার বিষয়টি। উনার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।

মজার কিছু শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কবি।

২৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এমন রসবোধ আজকাল সামুর কোনো কোনো লেখা ছাড়া আর কোথাও তেমন একটা পাই না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সামুতে কেউ কেউ এমন লিখেন জেনে ভাল লাগলো । তাদের চিনতে পারলে অনুসরনে নিতাম।

২৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্যান্টের চেইন খোলার ব্যাপারটা প্রথমবার পড়ে প্রচুর হেসেছিলাম। এই লোকটা পাঠক বানাইছে। সেই পাঠকের অনেকে আজ লেখে। আর তাদের মধ্যে অনেকে তাকে সস্তা বলে। ভালোবাসা মানুশটার জন্য।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এমন 'সস্তা' সাহত্যিক হাজার বছরে জন্মে না।

৩০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হ্যা ওনার রসবোধ প্রচন্ড। ওনার গল্প, উপন্যাসে ছড়িয়ে আছে এমন হাজারো কাহিনী।

লেখা ভাল লাগলো ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দারুন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রতিভাবান লেখিকা কঙ্কাবতী রাজকন্যার পুট প্রিন্ট পেয়ে আনন্দিত।

৩২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের প্রতি রইল জন্ম দিনের শুভেচ্ছা ।
তাঁর সম্পর্কে অনেক অজানা কাথা জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

শুভ কামনা রইল ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার জন্যও শুভ কামনা ডঃ এম এ আলী ভাই

৩৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নীলপরি বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ । খুব ভালো লাগলো ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পরি

৩৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আবারো পড়ে গেলাম যখন সাইন থাকুক,
সত্যি খুব মজার কথাগুলো তুলে এনেছেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ভাই

৩৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

উম্মে সায়মা বলেছেন: প্রায় সবগুলোই পড়া হয়েছিল। অসম্ভব প্রিয় একজন লেখক....
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ লিটন ভাই :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলে রসবোধ বা হিউমার আমাদের নতুন করে শিখিয়েছেন তিনি।

৩৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

দিগন্তের আভা বলেছেন: এই হুমায়ুন মানুষটার জন্যই আমার বই পড়ার অভ্যাস হয়ে গেছে। উনার বই পেলে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি পেতাম না। অসাধারণ গুণী এই মানুষ ও তার সৃষ্টি সত্যিই অনবদ্য ছিল। তার শূণ্যতা পূরণ হবার নয়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই মানুষটা এদেশের মানুষকে বই মুখি করেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন দিগন্তের আভা, সাথে আরেকটি ঘটনা। হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত নরকের দাম ছিল সাড়ে তিন টাকা। তখন বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা হলে বাংলাবাজার এলাকার কোনো গলির ভেতর একটা রুম ভাড়া নিয়ে ‘কম্পোজ সেকশন’ করা যেত। সিসা দিয়ে তৈরি টাইপ সাজানো থাকে এক ধরনের কাঠের ছোট ছোট খোপওয়ালা পাত্রে। সামনে টুল নিয়ে বসে একটা একটা করে টাইপ তুলে পাণ্ডুলিপি অনুযায়ী লাইনগুলো তৈরি করে কম্পোজিটর, পৃষ্ঠা তৈরি করে। একেক খোপে একেক অক্ষরের টাইপ। ১৬ পৃষ্ঠা তৈরি হলে এক ফর্মা। ভারী একটা তক্তার ওপর ওই টাইপের দুটো করে পৃষ্ঠা। মোট আটটি ওরকম কাঠের তক্তা চলে যায় মেশিনে। অর্থাৎ একটা ফর্মা।
এভাবে ছাপা হয় বই। যারা বই ছাপার কাজ করে, ওরকম প্রেসগুলোরও অনেকেরই থাকে ‘কম্পোজ সেকশন’। ওসব ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্টটা বেশি। আর মেশিন ছাড়া শুধু ‘কম্পোজ সেকশন’ ছোটখাটোভাবে করেও অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে কেউ কেউ। ওরকম কম্পোজ সেকশনের একটা সমস্যা হলো, কম্পোজিটররা অনেকেই সিসায় তৈরি টাইপ চুরি করে নিয়ে সের দরে বিক্রি করে ফেলে। পার্টনারশিপে যারা ‘কম্পোজ সেকশন’ করে তারা নিজেরাও এক পার্টনার আরেক পার্টনারের অজান্তে টাইপ চুরি করে। বিক্রি করলেই তো ক্যাশ টাকা।

একদিন রিকশায় বসে ইমদাদুল হক মিলন হুমায়ূন আহমেদকে বললেন, ‘হুমায়ূন ভাই, চলেন আমরা দুজন একটা বিজনেস করি।’

হুমায়ূন আহমেদ সিগারেটে টান দিয়ে বললেন, ‘কী বিজনেস?’

‘একটা কম্পোজ সেকশন করি।’

‘হ্যাঁ, করা যায়। ভালো আইডিয়া। কত টাকা লাগবে?’

‘একেকজনে দশ-পনেরো হাজার করে দিলে হয়ে যাবে।’

‘সেটা দেওয়া যাবে।’

‘তাহলে চলেন শুরু করি।’

‘তোমার টাকা রেডি আছে?

‘আরে না। দশ টাকাও নেই।’

‘তাহলে?’

‘ধার করতে হবে।’

‘সেটা না হয় করলে, তবে আমার একটা শর্ত আছে।’

‘কী শর্ত?’

হুমায়ূন আহমেদ ইমদাদুল হক মিলনের মুখের দিকে তাকালেন। তারপর বললেন ‘চুরি করে টাইপ বিক্রির অধিকার সমান থাকতে হবে।’

এরপর দুজনই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েন।

৩৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: এক বসাতে আস্ত একটা বই পড়ে শেষ করার মত লেখক তিনিই ছিলেন।
তার যেকোন লেখায় যাদু আছে-যাদু না থাকলে এভাবে পাঠককে কিভাবে টানেন ?????

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি ছিলাম এর উল্টো - পড়লেই শেষ হয়ে যাবে ভেবে আমি অল্প অল্প করে পড়তাম মায়া ভাই :D

৩৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,




মজার । শেয়ারের জন্যে ডিভিডেন্ড সামনের বছর ........... :P

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাহাহাহা অনেক ধন্যবাদ এসিসট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারী ভাই :-P

৩৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,




চমৎকার হে চমৎকার
আহমেদ জী এস নামের
রহস্য করেছেন বার ! :(

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বার করছি ভাল কথা ,
মন ব্যাজার কেন?
ভাবি কি দৌড়ানী দিছে
মারছে ছুড়ে ক্যান। =p~

৪০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,



ভাবী নাই কাছে
অনেকদিন বৈদেশেতে আছে ।
ব্যাজার তাই মন
আর কি কমু কন ? :P

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার ভাবীও সাথে নাই
আজ তিন দিন
আপনিও আমার মত
স্বাধীনতার স্বাদ নিন। :D

৪১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: পড়া কথামালা, তবু আবার পড়লাম। তার লেখনীর জাদু অগ্রাহ্য করা সত্যি দুরুহ!
তিনি তার এই বিপুল ক্ষমতাকে আরো ব্যবহার করতে পারতেন, সেটাই শুধু দুঃখ আমাদের!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলেই বড্ড অসময়ে চলে গেলেন এই মানুষটি ।

৪২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

হাসান রাজু বলেছেন: লোকটা ছোটবেলায় ভালই বোকা ছিল । আমিও ছিলাম ।
কিন্তু ...... বুঝলাম না ব্যাপারটা ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোন ব্যাপারটা বুঝলেন না হাসান রাজু ?

৪৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

হাসান রাজু বলেছেন: এইটাই যে, দেখতেছি উনিও আমার মতই বোকা ছিলেন ।
তারপরও, উনি হুমায়ূন আহমেদ হয়ে গেলেন !!! ক্যামনে ? ভাই ক্যামনে?

অনেক শ্রদ্ধা উনার জন্য । মাগফেরাত কামনা করি ।

অসম্ভব সুন্দর পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উনি হুমায়ূন আহমেদ হয়ে গেলেন আর আপনি হয়ে গেলেন হাসান রাজু।

৪৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১

ফয়সাল রকি বলেছেন: লাইক দিয়ে যাই।
উনার বেশির ভাগ লেখাই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে, বিশেষত যখন নিজেকে 'হুপা' বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এর মানে কি 'হুমায়ূন পাগল'? :D

৪৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

ফয়সাল রকি বলেছেন: হা হা হা... কাছাকাছি গেছেন.... হুমায়ূন পাগল না হুমায়ূন পাঠক।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি নিজেই হুমায়ুনের বই,নাটক, সিনেমার পাগল কিনা, তাই এটাই মনে এসেছে ।

৪৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিমানী হুমায়ুনের বাবা ঠিক কাজটিই করেছিলেন, তাকে আর ঐ স্কুলে না পাঠিয়ে।
খেয়াল করলে দেখবেন ঘটনা গুলি সাধারণ কিন্তু লিখার গুণে অসাধারন হয়ে উঠেছে (২১ নং প্রতিমন্তব্য) -- কার লেখার গুণে? আপনার, না হুমায়ুন আহমেদ এর?
কয়েকটা প্রতিমন্তব্যে আপনারও তীক্ষ্ণ রসবোধের পরিচয় ফুটে উঠেছে, যা উপভোগ করেছি।
পোস্টে প্লাস + +

৪৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার আবার লিখার গুণ? প্রায় গল্পই হুমায়ূন আহমেদের লিখা থেকে নেয়া।
আমি লক্ষ্য করেছি আপনি সব লিখা, মন্তব্যই খুটিয়ে পড়েন। অনেক ধন্যবাদ জানবেন খায়রুল আহসান ভাই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুঃখিত , খায়রুল আহসান ভাইএর মন্তব্যের রিপ্লাই আলাদা মন্তব্য হয়ে গেছে।

৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি লক্ষ্য করেছি আপনি সব লিখা, মন্তব্যই খুটিয়ে পড়েন - এটা এখন স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে! :)
অনেক বিদগ্ধজনের মন্তব্যের মাঝে নতুন জ্ঞানের সন্ধান পাই। অনেকের মন্তব্যে নির্ভেজাল ভালবাসার ছোঁয়া থাকে, আবার অনেকের বুদ্ধিদীপ্ত, কৌ্তুকপূর্ণ মন্তব্য ভার হয়ে থাকা মনের ভেতরে হাসির ফোয়ারা সৃষ্টি করে, যেমন অনেক সময় আপনার মন্তব্যগুলো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাসি আনন্দের মাঝে বড় হয়েছি, বাকিটাও আনন্দে কাটাতে চাই। একটা অসুবিধা হচ্ছে, মরা বাড়িতে গেলেও আমি সেখানে কিছু কৌতুককর বিষয় আবিস্কার করি।
পুনঃ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন খায়রুল আহসান ভাই।

৪৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাল লাগা।

৫০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য, নস্টালজিক হয়ে গেলাম। +++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.