নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n--আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।\n

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খ্যাতিমানদের রম্য কথন -১

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসায় বড় বড কবি দের আড্ডা হচ্ছে।রবীন্দ্রনাথের চাকর বনমালী সেখানে সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেছে, বনমালীর বানানো চা খেয়ে.... প্রথমে কবিগুরু গেয়ে উঠলেন....

"আমারো পরাণো যাহা চায়, তার কিছু নাই,
কিছুই নাহি এই চা’য় গো"---

সবে চায়ে দু চুমুক দেয়া বিদ্রোহী কবি নজরুল এটা শুনে লাফ দিয়ে উঠে বললেন....
" বিদ্রোহী রণক্লান্ত,
আমি সেইদিন হব শান্ত,
যদি ভালো করে কেউ
চা বানিয়ে আনতো"

নজরুলের কথা শুনে উদাস মুখে জীবনানন্দ দাস বললেন....
"আর আসিবনা ফিরে রবি ঠাকুরের নীড়ে,
গরম চায়ে মুখ দিয়ে ঠোঁট গিয়েছে পুড়ে"

-খানিক পরেই কবি সুকান্ত বললেন....
"কবিতা তোমাকে দিলাম বিদায়,
এককাপ চা যেনো ঝলসানো ছাই"

-হেলাল হাফিজ তখন গুমরে বললেন....
"নষ্ট পাতির সস্তা চায়ে মুখ হয়েছে তিতা,
কষ্ট চেপে নষ্ট চায়ে মুখ দিয়েছে কিতা"
:
-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ নরম কন্ঠে বললেন....
"ভাল আছি, ভাল থেকো,
চায়েতে চিনি বেশি মেখো"
:
-তা শুনে কবি নির্মলেন্দু গুন বললেন....
"আমি হয়তো মানুষ না, মানুষ গুলো
অন্যরকম, মানুষ হলে এমন চায়ে চুমুক
দিতাম না"
-পরিশেষে রবীন্দ্রনাথ অসহায় চোখে বনমালীর পানে তাকিয়ে বললেন....
"ওরে অধম,ওরে আমার কাঁচা,
ভালো করে চা বানিয়ে তুই আমাকে বাঁচা ।

বাংলা সাহিত্যের কয়েকজন কবি ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এটা একটা বানানো কৌতুক। এটা বানানো কৌতুক হলেও বাস্তবে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একজন কৌতুকপ্রিয় মানুষ। তিনি নিজেই বলেছেন-
‘কোনদিন এত বুড়ো হবো নাকো আমি।
হাসি তামাসারে যবে কবো ছ্যাবলামি।’
হাসি তামাসারে ছ্যাবলামি না কওয়া এই মানুষটার আজ জন্মদিন। এ উপলক্ষে কবির কিছু রঙ্গ রসিকতা,হাসি তামাশা নিয়ে এই পোস্ট।


১/রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে তখন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি মেতে উঠেছে। নিয়মিত রিহার্সাল চলছে। একদিন একটি বড় হলঘরে ‘বিসর্জন’ নাটকের মহড়া চলছে। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং উপস্থিত সেই মহড়ায়, আর থাকবে না-ই বা কেন, নাটকে তিনি নিজে অভিনয় করছেন জয়সিংহের চরিত্রে। দীনু ঠাকুর বা দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর অভিনয় করছিলেন রঘুপতির ভূমিকায়। দীনু ঠাকুর ছিলেন লম্বা, চওড়া সুপুরুষ। নাটকের শেষ দৃশ্যে রবীন্দ্রনাথ অভিনীত জয়সিংহ চরিত্রটির মৃত্যু হবে এবং দীনু ঠাকুর অভিনীত রঘুপতি চরিত্রটি শোকাহত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে মৃতদেহের ওপর। প্রথম সব কয়টি দৃশ্যের মহড়া শেষ। এবার শেষ দৃশ্যের মহড়া।
যথাসময়ে রবীন্দ্রনাথ অভিনীত জয়সিংহের মৃত্যু হলো, শোকাহতের অভিনয় করে কাঁদতে কাঁদতে রঘুপতি দীনু ঠাকুর ঝাঁড়িয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথের ওপর। ঝাঁকুনি সহ্য করতে না পেরে রবীন্দ্রনাথ তখন চেঁচিয়ে দীনু ঠাকুরকে বলে উঠলেন, ‘ও দীনু, তুই ভুলে যাসনি, আমি কিন্তু সত্যি সত্যি মরিনি, বেঁচেই আছি।’
এ কথা শুনে মহড়ায় হাসির রোল উঠল।

২/সাহিত্যিক বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়, যাঁর ছদ্মনাম বনফুল, এক সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তাঁর বক্তৃতা শেষ হলে সবাই তাঁর বলার প্রশংসা করলেন। সভায় উপস্থিত রবীন্দ্রনাথও তাঁর বক্তৃতার প্রশংসা করে বললেন, ‘একটা কথা আপনারা সবাই ভুলে যাচ্ছেন কেন—বলাই তো ভালোই বক্তৃতা দেবে, ওর নামই যে বলাই। বলাই তো ওর কাজ।’

৩/একবার রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি একসঙ্গে বসে সকালের নাশতা করছিলেন। গান্ধীজি লুচি পছন্দ করতেন না, তাই তাঁকে ওটসের পরিজ খেতে দেওয়া হয়েছিল; আর কবিগুরু খাচ্ছিলেন গরম গরম লুচি।
গান্ধীজি তাই দেখে বলে উঠলেন, ‘গুরুদেব, তুমি জানো না যে তুমি বিষ খাচ্ছ।’ উত্তরে কবিগুরু বললেন, ‘বিষই হবে; তবে এর অ্যাকশন খুব ধীরে। কারণ, আমি বিগত ষাট বছর যাবৎ এই বিষ খাচ্ছি।’

৪/একবার এক দোলপূর্ণিমার দিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাক্ষাৎ ঘটে। পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর হঠাৎ দ্বিজেন্দ্রলাল তাঁর জামার পকেট থেকে আবির বের করে রবীন্দ্রনাথকে বেশ রঞ্জিত করে দিলেন।
আবিরে রঞ্জিত রবীন্দ্রনাথ রাগ না করে বরং সহাস্যে বলে উঠলেন, ‘এত দিন জানতাম দ্বিজেন বাবু হাসির গান ও নাটক লিখে সকলের মনোরঞ্জন করে থাকেন। আজ দেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়, দেহরঞ্জনেও তিনি একজন ওস্তাদ।’

৫/সাহিত্যিক ‘বনফুল’ তথা শ্রী বলাইচাঁদের এক ছোট ভাই বিশ্বভারতীতে অধ্যয়নের জন্য শান্তিনিকেতনে পৌঁছেই কার কাছ থেকে যেন জানলেন, রবীন্দ্রনাথ কানে একটু কম শোনেন। অতএব রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি যখন বললেন, 'কী হে, তুমি কি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি?', তখন বলাইবাবুর ভাই চেঁচিয়ে জবাব দিলেন, ‘আজ্ঞে না, আমি অরবিন্দ।’
রবীন্দ্রনাথ তখন হেসে উঠে বললেন, ‘না কানাই নয়, এ যে দেখছি একেবারে সানাই!’

৬/একদিন সকালবেলায় রবীন্দ্রনাথ জলখাবার খেতে বসেছেন। প্রমথনাথ এসে তার পাশে বসলেন। উদ্দেশ্য, গুরুদেবের খাবারে ভাগ বসানো। ফল, লুচি, মিষ্টি সবকিছুরই ভাগ পেলেন তিনি। কিন্তু তার নজর একগ্লাস সোনালি রংয়ের শরবতের দিকে যেটা তাকে দেওয়া হয়নি। গুরুদেব তার ভাব লক্ষ করে বললেন, 'কী হে এই শরবত চলবে নাকি?' প্রমথ তাতে খুব রাজি। অমনি গুরুদেব বড় এক গ্লাসে সেই সরবত প্রমথকে দেওয়ার আদেশ দিলেন। বড় গ্লাস ভর্তি হয়ে সেই সোনালি শরবত এল। প্রমথনাথ এক চুমুক খেয়েই বুঝলেন, সেটা চিরতার শরবত!

৭/রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের বকাঝকার পক্ষপাতি ছিলেন না। তিনি কাউকে কখনও আঘাত দিতে চাইতেন না। একবার প্রমথনাথ বিশী সম্পর্কে একটা নালিশ এল। এমন অবস্থা যে, তাকে না বকলেই নয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গুরুদেব প্রমথকে অনেকক্ষণ ধরে বকলেন। তিনি একটু থামলে প্রমথ বললেন, 'কিন্তু ঘটনা হল আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।'
রবীন্দ্রনাথ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। বললেন, 'বাঁচালি। তোকে বকাও হল আবার তুই কষ্টও পেলি না।'

৮/রবীন্দ্রনাথ তার ভক্ত ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে গান গাইছেন, 'হে মাধবী, দ্বিধা কেন?'
তখন ভৃত্য বনমালী আইসক্রিমের প্লেট নিয়ে তার ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বনমালী ভাবছে ঘরে ঢুকবে কি ঢুকবে না। কারণ রবীন্দ্রনাথ গান গাইছেন, এ সময় বিরক্ত হবেন কিনা কে জানে।
গুরুদেব বনমালীর দিকে তাকিয়ে গাইলেন 'হে মাধবী, দ্বিধা কেন?'
বনমালী আইসক্রিমের প্লেট গুরুদেবের সামনে রেখে লজ্জায় ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
রবীন্দ্রনাথ বললেন, 'বনমালীকে যদিও মাধবী বলা চলে না। তবে তার দ্বিধা মাধবীর মতোই ছিল। আর আইসক্রিমের প্লেট নিয়ে দ্বিধা করা মোটেই ভালো নয়।'

৯/একবার এক ভদ্রলোক রবীন্দ্রনাথের কাছে কলম ধার চাইলেন। তিনি কলম চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি এই কবিতার দ্বিতীয় লাইনটা জানেন? প্রথম লাইনটা হচ্ছে ‘সকল পক্ষী মৎস্য ভক্ষী, মৎস্যরাঙ্গী কলঙ্কিনী'।
রবীন্দ্রনাথ কলমটা দিয়ে বললেন, 'নিশ্চয়ই জানি। লাইন দুটো দাঁড়াল এ রকম : সকল পক্ষী মৎস্য ভক্ষী, মৎস্যরাঙ্গী কলঙ্কিনী। সবাই কলম ধার চেয়ে নেয়, আমিই শুধু কলম কিনি!'

১০/মংপুতে মৈত্রেয়ী দেবী কবিগুরুকে বেশ কয়েকদিন ধরে নিরামিষ খাওয়াচ্ছিলেন । তো একদিন মৈত্রেয়ী দেবী কিছু খাবার নিয়ে এসে বললেন -"এটা একটু খাবেন ?রোজ রোজ আপনাকে কি নিরামিষ খাওয়াবো ভেবে পাইনা ।"
কবিগুরু বললেন -"ও পদার্থটা কি?"
মৈত্রেয়ী দেবীর উত্তর-ব্রেইন ।
তখন কবিগুরু বললেন-"এই দেখ কান্ড , এ তো প্রায় অপমানের শামিল । কি করে ধরে নিলে যে, ঐ পদার্থটার আমার প্রয়োজন আছে? আজকাল কি আর আমি ভাল লিখতে পারছিনে ?"

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: সুকান্ত আর হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন সেই রকম মজার হয়েছে। পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ।
১০/ মৈত্রেয়ী দেবী কোন জন? ন্য হন্যতে যিনি লিখেছিলেন? এই বই আর লা নুই বেঙ্গলী ২টাই আমার খুব পছন্দের লেখা।
ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জী ইনি নহন্যতের মৈত্রেয়ী দেবী। জন্ম আমাদের চিটাগাং। তিনি ছিলেন রবি বাবুর অত্যান্ত স্নেহভাজন। মংপুতে মৈত্রেয়ী দেবীর অতিথি হয়ে রবীন্দ্রনাথ বহুদিন ছিলেন।

২| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমাদের প্রিন্সিপালের নামও বনমালী! ৫নংটা বেশ হাসির ছিলো।

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠোত্তোর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ব্লগার_প্রান্ত

৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কবিগুরু ছিলেন অসাধারণ রসিক মানুষ। তাঁর আরও কিছু রসালো কাহিনী শুনেছি। তাঁর সেন্স অব হিউমার ছিল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন।


ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার সংগ্রহে রবি ঠাকুরের প্রায় ৬০ টা রসিকতা আছে । পোস্টের কলেবর চিন্তা করে এত সব দেইনি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মৈত্রেয়ী দেবীর বইদুটো চমৎকার !
সেখানে রবীন্দ্রনাথের সাথে লেখিকার কাটানো সময়ের উল্লেখ আছে।

কয়েকটা জানা, বাকিটা অজানা। ভালো লেগেছে পড়তে :)


ধন্যবাদ লিটন ভাই :)

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও ধন্যবাদ নিন আর্কিওপটেরিক্স ।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: দুর্দান্ত! প্লাস !
রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে একটু হেসে নিলুম ;)

০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৬

বলেছেন: সবাই কলম ধার নেয় আমি শুধু কিনি!!

ভালোলাগাতপ বেশ মনযোগ দিয়ে পড়লাম।

ভালো লাগা যত

০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন ল ।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভীষণ মজা পেলাম।

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

পুলক ঢালী বলেছেন: গুরুদেবের জন্মদিনের উপহারটা চমৎকার হয়েছে উপরি পাওনা হিসেবে অন্যান্য সাহিত্যিকদেরগুলি।
অনেক মজা পেলম ধন্যবাদ লিটনভাই।

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠোত্তর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন পুলক ঢালী।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লিটনভাই,

ভীষণ ভালো লাগলো কবিগুরু সম্পর্কে আপনার আজকের পোস্টটি।বনমালীর চা বানানোকে কেন্দ্র করে আপনার বানানো কৌতুকটি সুপার্ব। কবিগুরু সম্পর্কে আমি দুটো সমাধান করতে চাই,
১-জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সন্ধ্যেবেলা কবিদের আড্ডা বসেছে। সে সময় জুতো পাল্টা পাল্টির একটা রেওয়াজ ছিল। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঘরে ঢোকার আগে ভালো করে নিজের চপ্পল দুটি খবরের কাগজে ভালো করে মুড়িয়ে বগলের মধ্যে করে কবির পাশে বসতে চলেছেন। ইতিপূর্বে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবির কানে ফিসফিস করে খবরটি দিয়ে দিলেন। শরৎচন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে কবির সহাস্য প্রশ্ন," কি শরৎ বগলে ওটা কি পাদুকা পুরান?" শরৎচন্দ্র অবশ্য আমতা আমতা করে কবির পাশে বসে পড়লেন।

২-কবি শেষের দিকে উপুড় হয়ে লিখতেন। উপস্থিত একজন এটা নিয়ে প্রশ্ন করতেই। কবি রসিকতার সঙ্গে বললেন, কলসিতে জল কমে গেলে যেমন উপুর করতে হয়, আমার ভিতরও বিদ্যা তেমনি ফুরিয়ে এসেছে।" উপস্থিত সকলে হেসে ফেটে পড়লেন।


শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্লেশ স্বীকার করে দির্ঘ মন্তব্য করেছেন। বোনাস হিসেবে পেলাম দুটি কৌতুকী।
একটা শোধ নিন- :P
সে আমলে একজন বিখ্যাত এবং নামকরা সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়া সাঁকের ঠাকুর বাড়িতে একবার বসেছে গোপেশ্বরের সঙ্গীত জলসা। সেই জলসায় শ্রোতা হিসাবে উপস্থিত রবীন্দ্রনাথ। তো গান শুরু করলেন গোপেশ্বর বাবু। বেশ কয়েকটি গান গেয়ে তার পালা শেষ করলেন গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার উপস্থিত শ্রোতারা ধরলেন রবীন্দ্রনাথকে- তাকেও একখানা গান গাইতে হবে, নইলে ছাড়াছাড়ি নাই। অগত্যা রাজি হলেন রবীন্দ্রনাথ। হাসিহাসি মুখে কৌতুক করে বললেন গোপেশ্বরের পর কি এবার দাড়িশ্বরের পালা!

১০| ০৯ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: হাস্য লাস্যে শুভ জন্মদিন কবিগুরু

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
রোকসানা লেইস, অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগছে। শুভ কামনা রইল ।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,




জব্বর একটি কবিতা লিখেছেন শুরুতেই কিন্তু সে জন্যে " চা চাই " বলতে ভরসা পাচ্ছিনে কারন বলেই বসতে পারেন ---

পোস্ট দিতে না দিতেই ব্লগাররা কয় - চা কই?
ওরে বনমালী কাপ নিয়া যা, বল- আর চা নাই !

হগলডি পোস্ট না পইড়রাই কয় - চা চাই
ওহে ঠাকুর, ওহে বনমালী! মুই কোম্মে যে যাই.............
:( ;) :P


পোস্টে +++++++++

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা রোজার দিনে চা চাইবেন কেমনে ? :P
সুন্দর কবিতার জন্য আপনি এককাপ চা পাওনা রইলেন।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


চলে, মোটামুটি

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন চাঁদগাজী।

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মজাই মজা হাহাহাহাহ


#চাঁন্দগাজী বলেছেন.....চলে মোটামুটি মানে ফ্যাটফ্যাটি হাহাহাহাহা

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন কাজী ফাতেমা ছবি ।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: রবি বাবুর রস ছিল ইহাতে কাহারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। :D

আমিও দুইটি শেয়ার করলুম।

১। দাড়িশ্বর

সে সময় গোপেশ্বর বন্দোপাধ্যায় খুব ভালো গান গাইতেন। একবার উনার গানের আসর বেশ জমে উঠেছে, যেখানে স্বয়ং রবি বাবুও উপস্থিত। গোপেশ্বরের গান শেষ হওয়ার পরে অতি উৎসাহী শ্রোতারা এবার রবি বাবুকে ধরলেন একটি গান শুনাতে। জোর জবরদস্তি একখানা গান তাদের শোনাতেই হবে।

এবং সবার অনুরোধে ঢেঁকি গিলে ফেললেন রবীন্দনাথ। তবে হাসিমুখে বললেন, তারমানে কি দাঁড়াচ্ছে গোপেশ্বরের পর এবার দাড়িশ্বরের গানের পালা তাইতো। (উল্লেখ্য রবি বাবুর বিশাল বিস্তৃত দাড়ি বটগাছের...)

২। তেঁতুল গুড়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চীন ভ্রমণে গিয়েছেন। সঙ্গে ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী আছেন। সে সময় আমের মৌসুম চলছিল। এবং রবি বাবু আম পছন্দ করেন এটা জেনে চীনা সরকার বাংলাদেশ থেকে আম আনালেন। কিন্তু আম যখন চীনে পৌঁছুল তখন সেগুলো শুকিয়ে গেছে।

খাবার টেবিলে সেই শুকিয়ে যাওয়া আম কবিকে দেওয়া হল। শাস্ত্রী সাহেবও খেতে বসেছেন। অতিথিদের জন্য এত দূর থেকে আমগুলো চীনারা আতিথিয়তার জন্য এনেছেন জেনে কবি অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও কষ্ট করে খেলেন। কবি খাচ্ছেন দেখে শাস্ত্রী সাহেবও খেলেন।

খাওয়া শেষে শাস্ত্রী কবির কাছে জানতে চাইলেন, কেমন আম খেলেন গুরুদেব?

কবিগুরু সহাস্যে জবাব দিলেন, আম খেতে খেতে মনে হচ্ছিল এক রবীন্দ্রনাথ আরেক রবীন্দ্রনাথের দাড়িতে তেঁতুল গুড় মেখে চুষছে।

০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাহাহাহা অনেক ধন্যবাদ জানবেন আখেনাটেন।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

নাজনীন১ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট! :)

০৯ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিতো অনেক পুরনো ব্লগার বাট এখন তেমন দেখিনা।
শুভ কামনা জানবেন সিনিয়র ।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৩

সুমন কর বলেছেন: আগে এগুলো পড়িনি, তাই রম্য পড়ে মজা পেলাম। +।

০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ নিন কবি সুমন কর।

১৭| ১০ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

নজসু বলেছেন:



২/১ টা পড়েছিলাম।
নতুনগুলো প্রথমবার পড়ে খুব মজা পেলাম।

কবিগুরু আসলেই খুব রসিক ছিলেন।
কালের কন্ঠের ঘোড়ার ডিম এর চলতি সংখ্যায় উনার রসিকতা সম্পর্কে
বলাইকে নিয়ে লেখাটা পড়েছিলাম।

দারুণ পোষ্ট।

১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো, ধন্যবাদ নিন নজসু।

১৮| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।

ধন্যবাদ :)

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.