নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গরুর চামড়ার তিন পদ’ =p~ :((

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪





ফেসবুকের বরাতে জেনেছি সেলিম আনোয়ার ভাই কোরবানীর গরু কিনেছেন ৭১ হাজার টাকা দিয়ে, চামড়া বিক্রি করেছেন ৪০০ টাকা। ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী ৬৭ হাজার টাকায় কেনা গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন ১২০ টাকায়।
আমি কিনেছি তাদের চেয়েও কম দামে। চামড়া ব্যাপারি না আবার আমার কাছে উলটা টাকা চায়; এই ভয়ে আমি শংকিত ছিলাম।

ঈদের আগে এক সকালে গোস্ত বাজার গেলাম। দেখলাম এক পিচ্ছি একটা ছাগলের চামড়া এনেছে বিক্রি করার জন্য। বিক্রিও করেছে। মুল্য ১০ টাকা। গোস্ত ব্যবসায়ী কালামকে বললাম, ছোট ছেলে দেখে ঠকাচ্ছো?
কালাম হেঁসে বলল- না ভাইয়া, বড় কেউ আনলে কিনতামই না! ছোট ছেলে দেখে দয়া পরবশ হয়ে ১০ টাকা দিলাম। চামড়াটা আমার কোন কাজে লাগবেনা, খালে ফেলে দেব।
বললাম- বিষয় কি?

সে জানালো- সরকার কতৃক এবার লবন দেয়া ছাগলের চামড়ার মুল্য নির্ধারন করা হয়েছে বর্গফুট ১৩ টাকা। আর গরুর চামড়া ৩৫-৪৫ টাকা। একটা ছোট ছাগলের চামড়ায় ১ বর্গফুটের বেশি হয়না। লবন লাগে এক কেজি, যার মুল্য ১২ টাকা। এবার আপনিই বলেন আমি একে ঠকিয়েছি কিনা?
ছেলেটার সাথে আলাপচারিতায় জানলাম- সদকা করা ছাগলের চামড়াটা কে জানি তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে দিয়েছে। ২০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে এসেছে, যাওয়ার ভাড়া নাই, হাতে আছে ১০ টাকা। কিভাবে বাড়ি যাবে এই ভেবে সে অশ্রুসজল।

সারা পৃথিবীতে চামড়ার এত চাহিদা, আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে প্রতি বর্গফুট চামড়ার মুল্য ১৩৪ টাকা সেখানে আমাদের দেশে চামড়ার মুল্য ৩৫ টাকা কেন? চামড়ার মুল্য কম হলে চামড়াজাত পণ্যের মূল্যওতো কম হওয়ার কথা! অথচ এক জোড়া চামড়ার জুতা কিনতে দেখি ৬/৭ টা গরুর চামড়ার সমান মুল্য দিতে হয়, এর কারন কি? ইউরোপে চামড়ার একটি মানিব্যাগ বিক্রি হয় বাংলাদেশী ১০ হাজার টাকায়। এ চামড়া নিশ্চয় এরা ৩৫ টাকা দরে কিনে এত মুনাফা করেনা। চড়া মুল্য দিয়ে চামড়া কিনতে হয় বলেই সে সব দেশে চামড়াজাত দ্রব্যের এত দাম!!

বিষয়টা অনেকের জানা থাকার কথা। এক সময় চামড়া এমন দামী বস্তু ছিল যে, চোরেরা গরু জবাই করে শুধু চামড়া নিয়ে যেতো। গরুর শিংএ একটা চিরকুট লিখে যেতো, ‘হালাল ভাবে জবাই করা হয়েছে।‘
সিন্ডিকেট করে এখন চামড়ার দাম এত কমানো হয়েছে যে, এখন চোররা চামড়া না নিয়ে মাত্র আধা কেজি গোশত নিয়ে গেলেও চামড়া নেয়ার থেকে বেশি লাভবান হবে।

বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেছি সিন্ডিকেট ওয়ালাদের জব্দ করতে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা সহ অনেকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছেন। চামড়া যে খাওয়াও যায় এ বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি। চামড়া কিন্তু খাদ্য হিসাবে অতি সুস্বাদু। চামড়ার স্বাদের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। অনেকেই হয়তো চোখ কপালে তুলে বলবেন, ‘আমি আবার চামড়া খাইলাম কখন?’


তাদের জ্ঞাতার্থে- চামড়া না খেলেও গরুর পায়ার নেহারী নিশ্চয় সকলের খাওয়া হয়েছে। এই পায়ার খুরের উপরের অংশটি কিন্তু চামড়া সহ নেয়া হয়। সেদ্ধ করার পর লোম উঠে যায়, এর পরে খুরের সাথে ওই চামড়াটিও রান্না করা হয়, যা খেতে অতি সুস্বাদু।আমাদের এলাকায় কোরবানের গরু যারা কাটা কুটি করে এরা গরুর মাথার চামড়াটি রান্না করে খাওয়ার জন্য নিয়ে যায়, এদের জিজ্ঞেস করে জেনেছি এটা খেতে নাকি খুব টেস্টি।

আফতাব ডেইরী সহ কিছু কিছু স্থানে এবার কোরবানীর গরু কেজির মাপে বিক্রি হয়েছে। কেজি ৩৫০ টাকা। গড়ে একটা চামড়ার ওজন হয় ১৫ কেজি। এই দরে একটা চামড়ার দাম পরিশোধ করতে হয়েছে ৫২৫০ টাকা। চামড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার কল্পে সেই চামড়া সিন্ডিকেট ওয়ালাদের কাছে ১২০ টাকায় না বেচে খেয়ে ফেলা হবে অধিক লাভ জনক। আর একবার যদি বাঙ্গালী এটা খাওয়া শুরু করে তথন মাংস দোকানেই চামড়া কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। ইদ ম্যাগাজিনে দুই পাতা জুড়ে থাকবে ‘গরুর চামড়ার তিন পদ’ নামের আর্টিকেল আর কেকা ফেরদৌসি টিভি অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবেন, ‘গরুর চামড়ার তেহারী’ নামের কোন মজাদার রেসিপি।
একমাত্র এভাবেই সিন্ডিকেট ওয়ালাদের ‘’–ন্দে বাঁশ আর হাতে হারিকেন’ ধরিয়ে দেয়া সম্ভব।
(প্রথম প্রকাশ- ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৪)
পুনশ্চঃ এবার নাকি চামড়ার দাম গত বছরের চেয়েও কম। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে অনেক স্থানে কোরবানি পশুর চামড়া মাটিতে পুতে ফেলার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। (ছবি সংযুক্ত)
জাতীয় সম্পদের কি বিশাল অপচয়! কতৃপক্ষের বোধোদয় হবে কি?

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এরা একটা পলিটিক্স। চামড়া শিল্প পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। চামড়া নিয়ে এটা একটা খেলা ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক সময় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য ছিল পাট, চামড়া, চা পাতা।
পাটের সেদিন আর নাই, চা পাতা এখন আমদানি করতে হয়। সবে ধন নীলমণি চামড়া।
এই চামড়ার বাজারটকেও হাতে ধরে শেষ করে দেয়া হচ্ছে।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাটার শোরুমে একজোড়া স্যান্ডেল হাতে নিলাম। দাম লেখা ৫০০ টাকা। মনে খটকা জাগলো। বাটার স্যান্ডেলের দাম তো এতো কম হওয়ার কথা না। ভালো করে শূন্য গুণে দেখি সেটা আসলে ৫০০০ টাকা। স্যান্ডেলটা ভালো করে উল্টে পাল্টে, টেনে টুনে দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রেখে দিলাম। এতো দামী স্যান্ডেল শোরুমেই মানায়, আমার পায়ে নয়। অ্যাপেক্স, বে, বাটা সবারই এমন দামী দামী জুতা, স্যান্ডেল আছে। ওদের জিজ্ঞেস করলে ওরা বলে, তাদের নাকি অনেক দাম দিয়ে চামড়া কিনতে হয়। ট্যানারি মালিকরা বলে, তাদের নাকি অনেক টাকার মেডিসিন দিয়ে চামড়া প্রসেসিং করতে হয়। চামড়া বিক্রেতারা তো অভাগা। তাদের কথা তো আপনার পোস্টেই উঠে আসলো। তাহলে এখানেও অসাধু একটা চক্র মুনাফা লুটছে আর মার খাচ্ছে ক্রেতা, বিক্রেতা, ভোক্তাসহ সবাই। এই অসাধু চক্রের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের পক্ষে কঠিন কিছু নয়। তবে চক্রের সবাই কোনো না কোনো ক্ষমতার অধিকারী। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি কখনই। কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হবে, তবে কবে হবে সেটাই দেখার বিষয়।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খেয়াল করলে বুঝবেন ৫০০০ টাকার স্যান্ডেলে বড় জোর ২ বর্গফুট চামড়া লেগেছে।
জুতা কারখানার মালিক, ট্যানারি মালিক, দালাল, ফড়িয়া সবার স্বেচ্ছাচারিতার পেছেনে রয়েছে সরকারের আশকারা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন অর্থনীতিবিদ।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

মাহের ইসলাম বলেছেন: গরুর চামড়া দিয়ে পিঠা বানাতে না পারলেও স্যুপ তো বানানো যাবে ?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অবশ্যই যাবে মাহের ইসলাম।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: একটা গরুতে সাধারণত ২০-২৪ বর্গফুট চামড়া থাকে। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যে ট্যানারি মালিকেরা চামড়া কিনলে (৪০ টাকা করে) ২৪ বর্গফুটের চামড়ার দাম পড়বে ৯৬০ টাকা। এখন, ট্যানারি মালিকেরা তো সরাসরি চামড়া কালেক্ট করবে না, তারা কিনবে ছোটছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এই ছোটছোট ব্যবসায়ীরাও আবার পাড়ার বিভিন্ন সিজনাল ব্যবসায়ীদের থেকে কেনে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সিন্ডিকেট করায় দামের এই অবস্থা।

একটি সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম, ট্যানার্স এসোসিয়েশন বলছে "আপনারা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করবেন"। অর্থাৎ লবণ টবন সহ প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য ৩৫-৪০ টাকা।

সরকারের বিচার বিবেচনাহীন দাম নির্ধারণ, এবং অব্যবস্থাপনার কারণে পাব্লিক চামড়া মাটিতে পুতে ফেলছে। দেশ বঞ্চিত হচ্ছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কত মূল্যবান একটা সম্পদ মানুষ মাটিতে পুতে নষ্ট করে ফেলছে।
অথচ আমাদের দেশপ্রেমিক সরকার নির্বিকার ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটি পড়ে এক দিক দিয়ে হতাশা ব্যঞ্জক হলাম।সরকার এ বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে যে ট্যানারি শিল্পের পক্ষে ভয়ঙ্কর দূর্দিন আসছে সে কথা বলা বাহুল্য।

কুরবানীতে দুজন অধিক বাজেটের ব্লগারের জন্য চিয়ার্স দিলাম। তবে ফেবু না কোথাও যেন দেখেছিলাম ছোট ভাই rajibnoor-এর পশুর দাম 90 হাজার টাকা পড়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমার পাড়াতে যে সবচেয়ে বেশি দামের পশু কিনেছে তার দামও পড়েছে 90 হাজার টাকা। আর আমরা তিনজন মিলে একটা পশু কিনেছি যার দাম পড়েছে 9700 টাকা। সর্বসাকুল্যে 57 কেজি মাংস হয়েছিল যেটা আমাদের পক্ষে পর্যাপ্ত বৈকি। ঘটনাক্রমে এই পশুটি আকারে ক্ষুদ্র হওয়ায় বাকিরা একে পেপসিগরু আখ্যাও দিয়েছিল এবং কুরবানি দাতা আমাদের তিনজনকে দেখার জন্য বড় পশু ওয়ালাদের রীতিমতো আগ্রহ জমে গেছিল। আমরা বিষয়টা ভীষণ উপভোগ করেছি। জানিয়েছে আগামী বছরও এলাকার সবচেয়ে ছোট পশুটি আমরাই কিনব। উল্লেখ্য বাড়িতে গরুর মাংস না ওঠার জন্য আমাকে আবার খাসির ব্যবস্থাও রাখতে হয়। সেখানেও পকেট অবশ্য যথেষ্ট নিম্নগামী। উভয় ক্ষেত্রেই আমি চামড়ার খোঁজ নেই নি। তবে পোস্টটি পড়ে এবার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব।

শুভেচ্ছা নিয়েন।


১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের এখানে এতিম খানার লোক এসে চামড়াগুলি কালেকশন করে নিয়ে যায়। চাইলে কোরবানি দাতাকে চামড়ার একটা অংশের টাকা দেয়া হয় যা গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
আপনাদের ওদিকে চামড়ার কি গতি হয়?
৯৭০০টাকার গরু শুনে পুলক বোধ করছি। আমাদের এখানে এক শরিকে কোরবানি দেয়া যাবে এরকম ছোট গরুর দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ দিনে, ১ কোটী ৫ লাখ চামড়া উৎপাদন হচ্ছে; অবস্হা বুঝেন, অপ্রয়োজনীয় সরবরাহ।

সারা বছর বাংগালীরা যেই পরিমান মাংস খাচ্ছে, আর যেই পরিমাণ ছামড়ার জুতা পরছেন, এতেই ছামড়া শিল্পে যথেষ্ট সরবরাহ

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: স্থানীয় বাজার হিসেবে এক দিনে উৎপাদন বেশি এটা ঠিক আছে। কিন্তু এটাতো অন্যতম রপ্তানি দ্রব্যও বটে!
প্রায় ট্যানারি মালিকের রপ্তানি লাইসেন্সও আছে।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

ইসিয়াক বলেছেন: চামড়ার জুতা কিনতে গেলে তো মনা তো হয়না চামড়ার দাম এত কম !! সেদিন একটা মানসম্মত চামড়ার মানিব্যগ কিনতে গিয়ে দেখি দাম ২০০০ টাকা!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১৫০ টাকা দামে কয়টা চামড়া বিক্রি করলে এই মানি ব্যাগ কেনা যাবে ?
আসলে নব্য নীলকরের পাল্লায় পড়েছে দেশ!

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মাহমুদুর রহমান জাওয়াদ বলেছেন: সারা পৃথিবীতে চামড়ার এত চাহিদা, আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে প্রতি বর্গফুট চামড়ার মুল্য ১৩৪ টাকা সেখানে আমাদের দেশে চামড়ার মুল্য ৩৫ টাকা কেন?

দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এটা আসলে ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মত।

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: পাট শিল্প এর মত চামড়া শিল্পও আজ ধ্বংসের মুখে গিয়াস লিটন । আমাদের দেশ থেকে প্রতিবেশী প্রায় বিনা মুল্যে চামড়া নিয়ে জুতা বানাবে তাই আমরা কিনে আনবো কমপক্ষে হাজার রুপিতে ।
বড় হতভাগা জাতি আমরা ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বড় হতভাগা জাতি আমরা ।
নেত্রৃবৃন্দের দেশ প্রেমের অভাবই আমাদের হতভাগ্য জাতিতে পরিণত করেছে।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভালো লিখেছেন।
তবে এবার চামড়া নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হয়নি। এটা একটা ভালো দিক।
আর লেখার সাথে যে ছবিটি ব্যবহার করেছেন, সে ছবি ফেসবুকে দেখছি। ছবিতে সব গুলো গাছলের চামড়া। ছাগলের চামড়ার চাহিদা খুব কম।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গরুর চামড়া পুঁতে ফেলার সংবাদও নেহায়েত কম নয় রাজীব ভাই। কালের কণ্ঠের নিউজটা দেখুন-

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৬

ঢাকার লোক বলেছেন: নাইজেরিয়ার লোকজন, মুসলমানরাও, গরু-ছাগলের চামড়া প্রথমে আগুনে ঝলসে লোমমুক্ত করে, রান্না করে খায়। চামড়াকেও মাংসেরই মত খাদ্য হিসাবেই ধরা হয়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তবে আমরা এখনো খাচ্ছিনা কেন?
সংবাদ পেয়েছি ঢাকার অনেক স্থানে চামড়ার তৈরি হালিম বিক্রি হয়।

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: খুনি খালেদা বা চোরশিরোমনি তারেকের চামড়া তুলে নিলে এ সমস্যার সমাধান হয় কিনা সে নিয়ে প্রিয় 'হাকা' বা 'কবা'র পক্ষ থেকে 'পশম দাঁড়ানো' ও 'রক্ত ছলকানো' তথ্যভিত্তিক পোষ্ট আশা করছি শিঘ্রই...........

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তেনারা যা করেন 'পে' এর বিনিময়ে করেন, চুক্তির বাইরে তেনারা কাজ করেন না। :P

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: রেসিপি'র কথা বলে দিলেন তো ছাই বাড়িয়ে সফুরা আর মঞ্জুরার জ্বালা !!
তাদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পিষিয়ে থ্যাঁতলে মজাদার রেসিপির ক্রেডিট নেবেন অন্য আরেকজন...

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কাজ করে রাজমিস্ত্রিরা, ক্রেডিট পায় ডিজাইনার।

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৫

মা.হাসান বলেছেন:

নয় নম্বরে জুন আপার মন্তব্য দেখুন । মোবাইল থেকে এর চেয়ে ভালো ছবি দিতে পারলাম না। ১ স্কয়ার ফিট চামড়া মানে আসলে ১ স্কয়ার ফিট না। একটা ভালো মানের চামড়া মেশিনে ঢোকার পরে সাতটা লেয়ারে ভাগ হয়। অর্থাৎ ১ স্কয়ার ফিট কাঁচা চামড়া থেকে ৭ স্কয়ার ফিট প্রসেস করা চামড়া বের হয়। । কোনো লেয়ার ছবি আঁকার কাজে ব্যবহার করা হয়, কোনো লেয়ার আবার জুতার কাজে ব্যবহার করা হয়। একেক লেয়ার একেক কাজে লাগে। ছোটবেলায় স্কুলে পড়েছি, আমাদের দেশে কোরবানি ঈদের সময়ে পাওয়া চামড়ার কারণে দেশে চামড়া শিল্প গড়ে উঠেছিল। কলেজে পড়ার সময় দেখেছি, আমার সহপাঠীদের মধ্যে যারা একটু হিসেবি, কোরবানির ঈদের সময় চামড়ার ব্যবসা করে কিছু পকেটমানি জোগাড় করেছে । এই পরিবর্তন বিশ্বাস করা কষ্টকর।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সম্ভবত ২০০০ সনেও আমি ৩০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি করেছিলাম ২৮০০ টাকায়।
হ্যাঁ সে সময় অনেক রাজনৈতিক ক্যাডার ও শিক্ষিত বেকাররা চামড়া কেনা বেচার সাথে জড়িত ছিল।
এক স্কয়ার ফিটে ৭ স্কয়ার ফিট হয় এ তথ্য প্রথম জানলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন মা, হাসান।

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে আমার এক ট্যানারী ব্যবসায়ী বন্ধুকে ফোন লাগালাম। তবে, এখনো জানতে পারিনি ঠিক কি কারণে চামড়ার এতো কম দাম।

ঈদের শুভেচ্ছা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তাদের ভাষ্য কি জানতে পারলে জানাবেন।
আপনিও ঈদের শুভেচ্ছা নিন।

১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
হ্যাঁ তাই তো বলি-- পড়া পড়া লাগে যেন !

ঈদের শুভেচ্ছা গিয়াস ভাইই :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও ঈদের শুভেচ্ছা নিন কবি ।

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,





হাসতে হাসতে কিম্বা হালকা চালে যা লিখলেন তা কিন্তু জটিল একটি বিষয় এবং ভেবে দেখার মতো।
চামড়ার বিশ্ববাজার সম্ভবত ভারতের পুরোপুরি দখলে। তারপরে ভিয়েতনাম, বার্মা। গরুর মতো মগজ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আর সরকার ভারতেই শুধু চামড়া রফতানী কিম্বা চোরাচালানী করেই বগল বাজায়। কারন বিশ্ববাজারে ঢোকার মতো বিদ্যাবুদ্ধি বাঙালীদের নেই কিম্বা বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত থাকে বলে একপো্র্ট প্রমোশনে একটুও শ্রম ব্যয় করেনা।
ভারতে প্রচুর চামড়া উৎপাদিত হলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা প্রায় বিনে পয়সায় এই চামড়া কেনে বাংলাদেশী বেআক্কল অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে , বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বানিয়ে। আর আহাম্মক ও চোখ বুজে থাকা সরকার তাতে মদদ জোগায় চামড়ার দাম পানির দামের স্তরে নামিয়ে এনে। ভারত এই চামড়ার বেশীর ভাগই রপ্তানী করে ইউরোপের অনেক দেশে বিশেষ করে ইটালীতে, ভারতীয় চামড়া হিসেবে। বাংলাদেরশের চামড়া হলেও সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই কোথাও । যতোদূর জানি বাংলাদেশের চামড়ার মান উন্নত বলে ইটালীতে এর কদর বেশী। দেড় টাকা দামের সেই চামড়া থেকে উৎপাদিত "ইতালীয়ান স্যু" আমরা কিনি ১২/১৪ হাযার টাকা দিয়ে।

ধিক সরকারের পলিসি মেকারদের আর তার প্রশাসনকে।




১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলেে দেশে কোনো কিছুই যে ঠিকমতো চলছে না, ডেঙ্গু নিরোধে সরকারের ব্যর্থতা, সড়কে রেলওয়েতে অব্যবস্থাপনা ও কোরবানির চামড়ার দামে ধস তার কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার অজুহাতে একটি সিন্ডিকেট চামড়া নিয়ে কারসাজি করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এই চক্রের স্বার্থ রক্ষা করছে সরকার।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার বর্গফুট প্রতি একটা হাস্যকর দাম বেধে দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করছে। এই অল্প দামের কারণে চামড়া ব্যাপকভাবে পাচার হচ্ছে পার্শবর্তী দেশে।
যেভাবে পাট শিল্প ধ্বংস করা হয়েছে, ঠিক সেই পথেই ধ্বংস করা হচ্ছে বাংলাদেশের ট্যনারি শিল্প। প্রশ্ন করার কেউ নেই। জবাব দেয়ার কেউ নেই।’

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৩

সোহানী বলেছেন: তাইতো বলি কেমন যেন পরিচিত লিখা মনে হচ্ছিল। যাক্ শেষের পাদটিকা দেখে নিশ্চিত হলাম মেমরি এতোটা লস হয়নি :`>

হায়, আপনার এ ভাবনাটি যদি উচাঁ কেউ ভাবতো কিংবা আপনাকে দৈবক্রমে ওরকম কোন স্থানে বসাতো!! না, কিছুই হবে না..... পাগলেও নিজের ভালো বুঝে আর আমরা কতটা অধম যে নিজের ভালোও বুঝি না। অথচ এরকম সম্পদ নিয়ে যদি সরকারে পর্যায়ে কোন প্লান থাকতো তাহলে সাধারন মানুষ যেমন উপকৃত হতো তেমনি এ শিল্পে একটা বিপ্লব সম্ভব হতো। কারন আমার চিন্তা বলে চামড়া শিল্পে আমাদের মতো এতোটা ভালো কেউই করতে পারবে না।

ভালো থাকেন, বাসি ঈদ মোবারক!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উচাঁ কেউ দেশের কল্যাণে ভাবনা চিন্তার মত অবসরে নেই।
এদের কেউ সামু বন্ধ করার মত প্রতিহিংসায় বিজি , তাদের অনেকেই 'ডেঙ্গুর পেছনে বিএনপির হাত' আবিষ্কারে ব্যস্ত।
উচাঁ কেউদের প্রায় সকলেই ব্যাস্ত সুইস ব্যাঙ্কে টাকা পাচারের কাজে।

১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পুরো ঘটনাতেই প্রশাসন থেকে শুরু করে হোমরা-চোমরা ব্যবসায়ী ও নেতাদের একটি সিন্ডিকেট জড়িত তা একটি পাগল বুঝতে পারছে | আমাদের মরালিটি বা নৈতিকতা, ধর্মীয় বিশ্বাস বা ঈমান যে কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তার প্রমান হচ্ছে চামড়া নিয়ে দুই নম্বরির এই ঘৃণ্য কারসাজি | কোরবানির মতো একটি ধর্মীয় ও চরম আত্মত্যাগপূর্ণ উদযাপনের মধ্যেও ইতর ব্যবসায়ী, আমলা ও নেতৃত্বের সিন্ডিকেট এর মধ্যে নিজেদের আখের ( ! ) ঘোচানোর পথ খুঁজে পেয়ে গেছে !!!!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অথচ সরকার নির্বিকার। তারা সব কিছুকে গুজব বলেই খালাস।

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দুঃখিত ! আমার পূর্ববর্তী মন্তব্যে একটু টাইপো আছে !
বলতে চেয়েছিলাম:
.....একটি সিন্ডিকেট জড়িত তা একটি পাগলও বুঝতে পারবে |

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গরুর চামড়ার কাবাব মনে হয় উপাদেয় হবে।

লেখা পড়ে মজা লাগলেও সাথে মন খারাপও হলো। আরেকবার মনে হলো, আমাদের সরকার এমন কেন? কোরবানী ঈদ তো আচমকা এসে হাজির হয় নাই। কোন পরিকল্পনা থাকবে না!

আজব সরকার দেশে!!! :(

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশে লুটপাটের মচ্ছব চলছে। পরিকল্পনার সময় কই?

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা আটকা, এক অদৃশ্য বাধনে1

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এ বাধন ভাঙ্গার কি কোন উপায় নেই?

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
চামড়া বিষয়ক আমার লেখাটি পোষ্ট করার আগে এই লেখাটি দেখতে না পারার জন্য এখন নীজের কাছে খুবই খারাপ লাগছে ।
লেখাটি হতে অনেক মুল্যবান উপাদান পেতে পারতাম । যাহোক বিলম্বে হলেও একে প্রিয়তে তুলে রাখলাম ,কাজে দিবে ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার লো রেঞ্জের পোস্ট একজন বিদগ্ধ গুনির প্রিয়তে নেয়া আমাকে সন্মানিত করা বই অন্য কিছু নয়।

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কি যে বলেন লো রেঞ্জ ,
হিমালয়ের চেয়েও উঁচু রেঞ্জের আপনার কোন পোষ্ট আর
যেন সহজে মিস না হয়ে যায় সে জন্য অনুসরনে রাখলাম ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.