নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

- শিশু জিয়াদ এবং একটি অসহায় পরিবার -

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

শিশু পড়ে গেছে, তাতেও বিপদ! শিশু পড়ে যায়নি, আবার তাতেও বিপদ! তাহলে শিশুটি কোথায় আছে, উত্তর নাই ঠিক তাতেও বিপদ!!! এমনই যেনো দেশের আইন-কানুন!

ঠিক এমনই এক গ্যাড়া কলে পড়ে এখন জিয়াদের পরিবারের রফা ঠান্ডা! একদিকে সন্তান হারানো শোক কাটিয়ে উঠার আগেই স্বামীকে হারিয়ে এ যেনো এক জাহিলিয়াতের সমাজে অবস্থান আমাদের! বলতে পারিনা এই পরিবারের অপরাধটা কি?

গত পরশু বিকাল বেলা থেকে গত কাল পর্যন্ত শিশু জিয়াদ কে নিয়ে যে নাটকের অবতারণা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা কোনো ভাবেই যুক্তি সংগত নয় কারণ একদিকে তাঁরা বলেছেন শিশু জিয়াদ কে দেয়া জুস সে পেয়েছে বলে সাড়া দিয়েছে ঠিক আবার তারাই তার উল্টো কথা বলে দিলেন যে এখানে প্রাণের কোনো অস্তিত্ত নেই!!! তাহলে প্রশ্ন জাগে তাদের দেয়া জুস কে রিসিভ করলো এবং সেই জুস কে খেলো!?

যাই হোক, এর পরেও উদ্ধার অভিযান চলতে থাকে। প্রথম অবস্থায় ব্যবহৃত ক্যামেরাটি মধ্যপথে বিকল হয়ে পড়ে। যার ফলে সেই সময়ে উদ্ধার কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়। তারপরে শিশু জিয়াদের অস্তিত্ত্ব নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা এবং ডিটেক্টর পাইপের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। যদিও এই ক্যামেরা এই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হায় আফসোস! এই উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা দিয়ে গর্তের ভিতরে থাকা ক্ষুদ্র প্রাণী সহ ভিজিটিং কার্ড এর অস্তিত্ত্ব মিললেও আস্ত একটা শিশুর অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায়নি! অবাক হওয়ার বিষয়! তাহলে এ কেমন উন্নত প্রযুক্তি!?

দেশের ক্রান্তিকালে যেমন নিম্নশ্রেণীর লোকেরা সর্বোচ্চ ত্যাগ করতেও দ্বিধা করেন না ঠিক আত্ম-সামাজিক চিন্তা-চেতনাতেও নিম্নস্তরের লোকদের ভুমিকা অতুলনীয়। শিশু জিয়াদ এবং তার পরিবারের দুর্ভাগ্য যে, তখন সেসব নিম্নশ্রেণীর, অপ্রশিক্ষিত লোকদের সুযোগ দেয়া হয়নি। তাহলে হয়তো ঐসকল যুবকদের পরিশ্রম শতভাগ সফল হতো এবং পরিবার ফিরে পেতো তাদের বুকের মানিককে।

অবশেষে বলবো, মৃত শিশুটির পরিবারের প্রতি সকলের সহানুভূতি ও উদারতা প্রকাশ করা উচিত। কোনো কারণে যেনো পরিবারটি দ্বিতয়বার পক্ষাঘাত গ্রস্থ না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

খেলাঘর বলেছেন:


সরকারে যারা আছে তা্রা প্রভাবশালী, দেশের সম্পদ তাদের হাতে; তরা অ্ন্য প্রভাবশালী ও সম্পদের মালিকদের জন্য। বাকীরা নিজেদের ব্যবস্হা নিজেরা করবে।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

রুপম হাছান বলেছেন: জনাব ঠিকই বলেছেন। প্রতিকার চাই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.