নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলি করো আমাদের বুকে, সন্তানদের নয় – এ সহিংসতা জাতির পঙ্গুত্ব অনিবার্য করবে :

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সূত্র : অনেক জেলায় কমবেশি নিরাপরাধ ব্যক্তিদেরকে গুলির ঘটনাসহ গত কালকে বিরোধী দলের একজন প্রাত্তন মন্ত্রীকে গুলি করা এবং ততপরবর্তীতে 14 দলের সভায় জাসদের সভাপতি জনাব মাঈনুদ্দিন খান বাদল বলেছেন – সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে বুকে গুলি করবে! অবাক পৃথিবী সাথে গুণে ধরা মানুষের বিবেক!

বিরোধী জোটের ডাকা অবরোধের মধ্যে একটি হৃদয়স্পর্শী ব্যতিক্রমী ছবি বিভিন্ন দৈনিকে ছাপা হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে বিরোধী জোটের কর্মসুচী চলাকালে শতাধিক বয়োবৃদ্ধ বাবা প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে বলছেন, “গুলি বন্ধ করো, আর যদি গুলি করতেই হয় সন্তানদের নয়, আমাদের বুকে করো”। গত কয়েক বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সন্তানহারা শত শত বাবা রয়েছেন, যাদেরকে সন্তানের লাশ বহনের দুর্বহ বেদনা শুধু বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাই নয়, একই সাথে উপার্জনকারী সন্তানের অকাল বিদায়ে সংসারে নেমে এসেছে অসহনীয় কষ্ট। অনেকের সন্তানকে বাড়ি থেকে ধরে এনে ঠান্ডামাথায় হতে-পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। মুরাদনগরের বয়োবৃদ্ধদের এ ধরনের অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো তারা সরকারের কাছে আকুতি জানাচ্ছেন সন্তানদের বুকে গুলি না করে তাদের বুকে গুলি করতে। তাদের এই আকুতি সন্তান হারানো বা ছেলেকে পঙ্গু করে দেয়ার সেই কষ্ট স্মরণ করিয়ে দেবে সাতক্ষীরা যশোর ঝিনাইদহ গাইবান্ধা চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিরসরাই-সীতাকুন্ড সাতকানিয়া বা কক্সবাজারের শোকাহত অসহায় বাবা-মায়েদের।

সাড়ে চার দশক আগে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা সাম্য, ন্যায়বিচার ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ চেয়েছিলেন, যেটি তারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ স্বাধীনতার চেতনার নামেই একধরণের হানাহানি ও ঘৃণার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েচে সারা দেশে। বিভক্তি ও বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে ঘরে ঘরে। এখন যা হচ্ছে তেমন কিছু হয়তো স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষেরা কল্পনাই করেননি। তারা চাননি রাজনৈতিক ভিন্ন মতের জন্য একে অন্যের বুক বিদীর্ণ করবে। বাংলাদেশে সত্যিকার গণতান্ত্রিক ও হিংসা-বিদ্ধেষমুক্ত ন্যায়বিচারের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অসহিষ্ণুতা আর যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়ার মানসিকতার অবসান ঘটাতে হবে। স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি যে দেশ বা সমাজে থাকবে না সেটাকে কোনোভাবেই কাঙ্খিত সমাজ হিসেবে ভাবা যায় না। অথচো আজ বাংলাদেশের পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যখন-তখন গুলি, গুম, অপহরণ আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হত্যার জনপদে। এ পরিচিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে আমাদের এ প্রিয় দেশটি একটি ব্যর্থ দেশ বা সমাজে পরিণত হবে।

আমরা মনে করি, বাংলাদেশকে তার জম্মকালীন স্বপ্নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে খুন, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ এবং ধর্ষনের মতো জগন্য কর্মগুলো থেকে জনপদকে পরিছন্ন রাখতে হবে। জনসম্মতিতে ক্ষমতার পালাবদলের প্রক্রিয়াকে আবার ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে প্রতিকার করা যাবে এসব ঘটনার। এ ব্যাপারে সরকার বা বিরোধী দল যার যতটুকু দায়িত্ব সেটি অবশ্যই পালন করতে হবে। তা না হলে মধ্যপ্রাচ্যে যে হানাহানি ও সঙ্ঘাতের সর্বনাশা অবস্থা এখন চলেছে, সেটা যে আমাদের এই জনপদে অনিবার্য হয়ে দেখা দেবে, তা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪০

শেখ মফিজ বলেছেন: সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে বুকে গুলি করবে ।
সন্ত্রাসীদের পক্ষে সাফাই গাইতে হবে কেন ?

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রুপম হাছান ,




গতানুগতিক ভাবে একপেশে হয়ে গেছে । ভোটের লাইনে আপনাকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারলে নিজেরা রাজা-রানী সেজে বসা যাবে এই ধান্ধায় কতো যে প্রান পুড়ে কয়লা করা হলো এবং হবে তা কেন আপনার চোখ এড়িয়ে গেলো ? সন্ত্রাসীরা মারতে পারবে আর পুলিশ বা সরকার যা-ই বলুন ,তারা গুলি করলেই যতো দোষ ?
যে হানাহানি বন্ধের কথা আপনি বলছেন , তার মোক্ষম দাওয়াই হলো সন্ত্রাসীদেরও আগুনে পুড়িয়ে মারা ; আর ঠ্যাংয়ে নয় বুকেই গুলি করা ।

ভেবে দেখবেন আশা করি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.