নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

- চাল নিয়ে চালবাজি – পরিসংখ্যান বিকৃতি বিপদ ডেকে আনতে পারে :

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

আওয়ামী লীগের মেয়াদে বলা হয়েছিল, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এর পর বাকি থাকে খাদ্য রফতানিকারক দেশ হওয়া। সেটি করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার সাথে 50 হাজার টন চাল রফতারিন চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তির ফলস্বরুপ ইতি মধ্যে দুই মেয়াদে 25 হাজার টন চাল রফতানিও হয়েছে। যার মান নিয়ে শ্রীলঙ্কা আপত্তি করার পর চাল রফতারিন চেষ্টা চলছে ভারতে। এরপর নতুন করে প্রচারণা শুরু হয়েছে ভারতের মতো রফতানিকারক দেশেও চাল রফতানির। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সরকার চাল রফতানি করার জন্য ভারতীয় প্রস্তাবও বিবেচনা করছে। ভারতে 30 হাজার টন চাল রফতানি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এতোদিন বাংলাদেশই, ভারত থেকে চাল এনে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতো। এবার চালের উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে চাল যাবে। অথচো বাস্তবতা হলো- গত বিদায়ী বছরে আমদানি করা হয়েছিল ছিল 12 লক্ষ মেট্রিক টন যার প্রায় পুরোটাই এসেছে ভারত থেকে!

উদ্বৃত্ত চাল রফতানির কথা বলা হলেও বাংলাদেশের ঘাটতি পূরণে চলতি অর্থবছরের এই কয় মাসেই আমদানি হয়েছে সাড়ে চার লাখ টনেরও বেশি। বলা হয়, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি হয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় 82 শতাংশ বেশি। কেবল গত নভেম্বরেই আমদানি হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ডলারের চাল। এরপর নতুন করে এলসি খোলা হয়েছে হাজার কোটি টাকার খাদ্যপণ্য আমাদানি করার জন্য। বিপুল পরিমাণ আমদানি করার পরও চাল রফতানির এমন প্রচারণায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কয়েক কোটি কৃষক। উৎপাদনের এই ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম কমছে না। ভোক্তাকে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে অথচো কৃষক পাচ্ছে না তার নায্যমূল্য। বাজার অস্তিতিশীল করে কিছু সুবিধাবাধী গোষ্ঠীকে লাভবান করে দেয়ার এ প্রচারণাকে তারা দেখছেন চাল নিয়ে চালবাজি হিসেবে।

আওয়ামী নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারের সময় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর পরবর্তী 15 বছরে চালের উৎপাদন প্রতি বছরেই বেড়েছে। আর প্রতি বছরই চাল আমদানি করতে হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার দাবি করার সময় মাথাপিছু চালের চাহিদাকে জনসংখ্যা দিয়ে গুণ করে চালের মোট চাহিদা নিরুপণ করা হয়। এভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও বিপুল পরিমাণ খাদ্য আমদানি করতে হওয়া মানে হলো, হয় মাথাপিছু চাহিদা ঠিক নয়; নয়তো জনসংখ্যার হিসাবের মধ্যে ঝামেলা আছে। অথবা খাদ্য যা উৎপাদন হওয়ার কথা বলা হচ্ছে বাস্তবে তা হয়নি। যদিও এসব বিবেচনায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি আর করেনি পরের সরকার। দেখা গেছে সে সময় খাদ্য উৎপাদন আগের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পেয়েছিলো। অথচো আমাদের সরকার পুণরায় ক্ষমতায় এসে সেই পুরনো দাবি আরো জোরালো ভাবে উপস্থাপন করতে শুরু করেছে। এতে আমি খুশি!

ইতালির একজন রাজনীতিবিশারদ মেকিয়াভ্যালি বলেন, একটি মিথ্যা বারবার বললে সেটি সত্য বলে প্রতিয়মান হয়। বলা হয়, হিটলারের সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ তত্ত্বকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছিলো, (আমি জানি না)। এই সরকারও সেই লাইনে যাচ্ছে বলে বোদ্ধারা বলছেন। কিন্তু সংকট দেখা দেয়, পরিসংখ্যান নিয়ে প্রচারণা চালানো হলেও প্রকৃত চিত্র আড়াল করা যায় না। পরিসংখ্যানের প্রকৃত সত্য এক দিকে চেপে রাখা হলে তা আরেক দিকে প্রকাশ হয়ে পড়ে। চাল রাফতানিকারক হওয়ার প্রচারণার ক্ষেত্রেও সেটি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতা হলো পরিসংখ্যান নিয়ে নয়ছয় করা হলে রাষ্ট্র সঠিক পরিকল্পনা নিতে পারে না। এ কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে যারা পরিসংখ্যান নিয়ে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, তাদের এ কাজ থেকে নিবৃত থাকা দরকার।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিথ্যাই যার আজন্ম সংগী সে বলবে সত্য!!!

আর তথাকথিত সুশীল সমাজ আর মিডিয়া দেখলাম আজ নেংটো হয়ে সরকারের দালালীতে নেমেছে!!!

কিন্তু এইরকম নিরেট তথ্য গুলো তাদের ঘৌলা দলান্ধ চোখে পড়েই না!!!!!

মিথ্যার উপর মিথ্যা তার উপরে মিথ্যা......
সাথে আছে স্বেচ্ছাচার আর স্বৈরচারের একমুঠো গুড়
আর চামচা, দলান্ধ মিডিয়া আর গুন্ডাপান্ডা মিশেলে চলছে হাম্বা স্যালাইন সরকার!

ধিক! স্বৈরাচার তার দোসর- নিরব সমর্থক এবং বেহায়া বিবেক বর্জিত দলান্ধ ভেক চেতনাবাজদের।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১০

রুপম হাছান বলেছেন: লা জবাব। ভালোই বলেছেন জনাব। লাইকস।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের ভাগ্য নিয়ন্তারা.ন্ত্রীরা সারাক্ষনই মিচে কথা কইতে পারেন!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১২

রুপম হাছান বলেছেন: জানেন তো জনাব, একটি মিথ্যাকে বার বার উপস্থাপন করলে তা সত্য বলে প্রতিয়মান হতে থাকে। আর এরা তাই করে চলেছেন। তবে এদেরকে বিশ্বাস করবেন না কখনো। লাইকস।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: না আমরা জামাতি দের আমলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন ছিলাম আর আওয়ামী সরকার আসার পর কৃষি উৎপাদন প্রতি বছর কমছে.. এবার খুশী

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৭

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব রাগ করার জন্য। হা হা হা।

তবে কখন কে ঠিক তা বলতে পারবো না। কিন্তু এখন যা দেখতেছি মনে হচ্ছে আগেই ভালো ছিলো। যাই হোক

আমরা সব কিছুতেই সত্যতা, সততা, ন্যায়-নিষ্ঠতা এবং পরিছন্নতা আশা করি।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.