নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোচিং বাণিজ্য চেপে বসেছে বৈকি –এখনি সংস্কার দরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় :

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

খবরে দেখেছি কত!, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য আরো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে! যদিও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোচিং বন্ধ করার লক্ষ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই কোচিংয়ে নেমে পড়েছেন প্রায় সকল শিক্ষক। এর থেকে মনে হচ্ছে রাজধানীর সব ক’টি স্কুল কর্তৃপক্ষ কোচিংকে বাধ্যতামূলক করে ফেলেছে। সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে বুঝতে পারা যায় যে, কোচিং নানা দিক দিয়ে ক্ষতিকর। এক দিক থেকে যেমনি কোচিং এর কারণে শিক্ষকরা ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে পড়ান না অন্য দিকে ছাত্র-ছাত্রীরাও ক্লাসের পড়া তেমন গুরুত্ব দিয়ে পড়েন না! কারণ তারা ধরেই নেয় যে, এর জন্য বাড়তি জবাবদিহি করতে হয় না। যার ফলশ্রুতিতে, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার যে স্বাভাবিক কার্যক্রম মূলত কোচিং এর মাধ্যমে তা এক প্রকার অচল করে দেয়া হয়েছে বলে মনে করি।

শিক্ষকেরা কোচিং ব্যবসায় ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ জুগিয়েছে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় একটি শিশুর মানসিক বিকাশের চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে পরীক্ষা। এখন স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণীতে পর্যন্ত পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। অভিভাবকদের সামনে বড় করে দেখানো হচ্ছে মেধা নয়, ফলাফলকে। এরই মধ্যে ফলাফলের ক্ষেত্রে একটা বিরাট ‘বিস্ফোরণ’ ঘটে গেছে বলে মনে করি। ‘ভালো’ ফল এবং পাসের হার বেড়ে গেছে অনেক। এ শিক্ষার্থীরাই যে মানের দিক দিয়ে অনেক পেছনে পড়ে গেছে, তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই। শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় মিলে একটি পাবলিক পরীক্ষা চালু ছিল এতদিন। সেখানে তিন-তিনটি পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার আগে আবার টেস্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবার মনোযোগ, যে করেই হোক ভালো রেজাল্ট করতে হবে। এ সুযোগে স্কুলগুলো কোচিং এক রকম বাধ্যতামূলক করে বসেছে। নামিদামী স্কুলের শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই ‘ভালো টিচার’ –এর কোচিং ক্লাসে যোগ দিচ্ছে। এবং সেই ‘ভালো টিচার’রা আবার বাসায় বা কোনো বাড়ি ভাড়া করে ক্লাস শুরু করেন। সেখানে বাংলা থেকে শুরু করে ধর্ম বিষয়েও পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীরাও ক্লাস শেষ করেই কোচিংয়ে গিয়ে পড়তেছে। এরই মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাথার উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে শিক্ষা নামক ভারি বোঝা। আর এসব প্রক্রিয়ায় মেধাবী প্রজম্ম তৈরি হওয়া প্রায় অসম্ভব বলেও মনে করি।

অভিভাবকেরা সন্তানের ‘ভালো’ রেজাল্ট ও ‘উজ্জ্বল’ ভবিষ্যতের চিন্তায় ছুটেছেন এক কোচিং থেকে অন্য কোচিংয়ে। আগে ভালো স্কুলের শিক্ষকেরা কোচিং সেন্টারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যবসার রমরমা দেখে তারা একন নিজেই ব্যাচ করে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা অন্য স্কুলের ও এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন। ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন, অস্টেলিয়ার সহায়তায় পরিচালিত শিশু সংগঠন ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট’ এর জরিপে প্রকাশিত 82 শতাংশ ছাত্রছাত্রী গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বা কোচিংয়ে অংশ নেয়। জরিপে মন্তব্য করা হয়, বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারছেনা। এদিকে পরিবারের ওপর কোচিং বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে এবং এ ব্যয় নির্বাহে অভিভাবকেরা অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। চেপে বসা কোচিং বাণিজ্যের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পুরো শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার দরকার। কড়াকড়ি করে কখনো কোনো ভালো কিছু আদায় করা যায় নি এখনো সম্ভব নয়। তবে পড়াশোনাকে আবার শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এখনি। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে জাতি গোল্ডেন জিপিএ পাবে ঠিকই কিন্তু দেশের জিপিএ টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

একলা_আমি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। লেখাটি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিনিটি ব্লগ http://www.lekhaporabd.com তে প্রকাশ করলে ভালো হত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। আমি সাধারণ মানুষ তাই ঐসকল ব্লগে লিখে নিজের সাধারণ চলাফেরায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে চাই না। হা হা হা। এটা শুধু্‌ই নিজের মতামত। কারণ আইন এবং সংবিধান সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নেই। হা হা হা।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪০

নিলু বলেছেন: কোচিং এর জন্য অভিভাবকরাও , অনেকাংশে দায়ী , কারন কোচিং এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে । যারা লেখাপড়ায় মনযোগী বা বাড়ীতে লেখাপড়া করে কিংবা শ্রেণীকক্ষে পঢ়ার প্রতি মনযোগী হয় তাদের কোচিং প্রয়োজন হয় বলে মনে হয় না । এবং অভিভাবক গন যদি , বাড়ীতে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খবর রাখেন , তাহলেও কোচিং দরকার হয় না ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে একটি কথা প্রবাদে আছে- পালিত ঘোড়া উঠানের ঘাস খায় না! প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা পারিবারিকভাবে হয়না। তারপরো অভিভাবকরা সন্তানের পড়াশুনার খোঁজ-খবর রাখলে হয়তো কিছুটা মুক্তি পেতে পারে। ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

নিলু বলেছেন: না , আমি উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেছি , বিনা কোচিঙে , এবং কাজের বাড়ীর বুয়ার ছেলে / মেয়েরা জি পি ৫ পাচ্ছে কিভাবে ?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৮

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, স্বচেষ্টায় সুশিক্ষিত হতে পেরেছেন বলে। কথায় তো বলে- ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়।

বর্তমান সমাজে কোচিং ব্যবস্হা হচ্ছে একটি সামাজিক ব্যাধি। যা প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। তবে এটি নিরাময় যোগ্য।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

মোঃ মাহফিজুর রহমান মামুন বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা যা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কোচিং করা একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমান যা জাতির জন্য অশনিসংকেত।ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।শিক্ষামূলক বিভিন্ন তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন এই ওয়েবসাইটে https://primaryeduinfo.com থেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.