নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে আদিপত্য বিস্তারকারী যারা-

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

একটি মুসলিম প্রধান দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কাদের হাতে চিন্তা করা যায়!? যদিও এসব তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়নি সেহেতু এটার বিশ্বস্ততা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, আর যদি সঠিক হয় তবে একজন বাংলাদেশী হয়ে সত্যি খুবই চিন্তিত...! কারণ অতীত বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যর সাথে বর্তমান বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যর যথেষ্ট গরমিল লক্ষ্যণীয় হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট গবেষণা করে দেখা গেছে যে, কোনো রকম কলমের আছড় না কেটেও পাস করেছে ছাত্র/ছাত্রীরা। অর্থাৎ সাদা কাগজ জমা দিয়ে পাস করার রেকর্ড করেছে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। যা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার কর্তৃপক্ষ সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পুণরায় পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

আমি ভাবছি মূলত দাদাদের বিভিন্ন স্ট্যাইল, ফ্যাশন শো, অভিনয়, শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক অপকৌশল অনুসরণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের কর্তা-ব্যাক্তিরা আজ খেয় হারিয়ে ফেলেছে বলেই আজ আমাদের এত দূরাবস্থা!

এখন নিম্নে দাদাদের একটা শর্ট তালিকা আপনাদের উদ্দেশ্যে লিপিবদ্ধ করলাম :

১. প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শ্যামল কান্তি ঘোষ।
২. পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব বজ্র গোপাল ভৌমিক।
৩. কারিগরি শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব অশোক কুমার বিশ্বাস।
৪. সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন কর্মসূচির (সেসিপ) যুগ্ম পরিচালক রতন কুমার রায়।
৫.সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন কর্মসূচির (সেসিপ) বিশেষজ্ঞ ড. উত্তম কুমার দাশ।
৬. ঢাকা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক অদ্বৈত কুমার রায়। ৭. চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. পীযুষ কান্তি দন্ত।
৮. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী।
৯. বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়্যারম্যান নারায়ন চন্দ্র পাল।
১০. ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ্র।
১১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব অজিত কুমার ঘোষ।
১২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব পতিত পাবন দেবনাথ।
১৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার।
১৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ।
১৫. শিক্ষামন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্রী বনমালী ভৌমিক।
১৬. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস।
১৭. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার।

বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যপুস্তক থেকে পুরোপুরি ইসলামকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তারা… → ২য় শ্রেনীর বই থেকে ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মহানবী (সাঃ)-এর সংগক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দিয়েছে। → ৩য় শ্রেণির বই থেকে খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ) শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দিয়েছে। → ৪র্থ শ্রেণির বই থেকে খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দিয়েছে। → ৫ম শ্রেণির বই থেকে বিদায় হজ্জ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দিয়েছে। → ৫ম শ্রেণির বইয়ে এদেশের ইসলাম-বিদ্বেষী একজন কুখ্যাত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক কবিতা অন্তর্ভূক্ত করেছে। যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরুধী কবিতা। → ৬ষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে সত্যেন সেনের ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প সংযোজন করা হয়েছে। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে- মায়ের মত, তাই গরু জবাই করা ঠিক নয়; অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ। →৭ম শ্রেণির বইয়ে শরৎচন্দ্র চট্রপাধ্যায়ের ‘লালু’ নামক গল্প সংযোজন করা হয়েছে। যাতে শেখানো হচ্ছে হিন্দুদের কালিপুজাঁ ও ফাঁঠা বলির কাহিনি। →৮ম শ্রেণির বইয়ে হিন্দুদের ধর্ম-গ্রন্থ ’রামায়ন’ এর সংক্ষিপ্ত রুপ অন্তর্ভূক্ত করেছে।

এছাড়াও অন্যান্য পাঠ্যপুস্তকেও নারী বিষয়ক এমন কিছু তথ্য সংযোজন করা হয়েছে, যা প্রকৃত পক্ষে একজন শিক্ষার্থী; শুধু শিক্ষক নয় বরং তারা তাদের মা-বাবার সামনে পড়তেও লজ্জাবোধ করে। মূলত এসব কুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষিত না করে বরং যৌনতা বিষয়ক দক্ষ কারিগর এবং বিভিন্ন নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক চ্যাপ্টারগুলো বাদ দিয়ে অবিশ্বাসী আর নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে মনে হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.