নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-এদেশকে বড্ড ভালোবাসি-

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

গত কয়েকদিন আগে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, বাংলাদেশে মুসলিমদের তুলনায় হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এক বছরের ব্যবধানে দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ। সে হিসেবে এক বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠি প্রায় ১৫ লাখের মতো বেড়েছে বলে ধারনা পাওয়া যাচ্ছে।

এটা অবাস্তব কিছু না কিংবা প্রশ্ন আছে এমন অন্ধকারে থাকারও কোনো অবকাশ নাই। সহজভাবে বললেও আমরা বুঝতে পারি...এখানে কি ঘটতেছে। যেখানে হিন্দু পারিবারিক জম্মহার কম এবং খুবই সামান্য সময়ে প্রায় ১৫লক্ষ হিন্দু সংখ্যা বাড়তি দেখা যাচ্ছে, সেখানে ধারণা করছি এটা সম্পূর্ণ আমদানী নির্ভর জনসংখ্যা। এতে কারো দ্বিমত থাকবে বলে মনে হয় না। কারণ ক্ষমতাশীল প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে এখন ওনারাই হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট। সো, আমদানী হওয়ার ব্যাপারে হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্টের সবুজ সংকেতই যথেষ্ট।

যখনই দেখবেন, দেশের কর্তৃপক্ষের গলাবাজি, তাদের শরীরিক অঙ্গভঙ্গি ভিন্নতা এবং প্রশাসনের হুমকি-ধমকি এবং জেল-মামলার মাধ্যমে সামান্য ছুতায় তথাকথিত বিরোধীদল বিএনপি’কে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই মনে করবেন এমন কিছু এদেশে ঘটতেছে যা প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়। পূর্বে সেরকম অনেক ক্ষেত্র বিশেষ দুর্ঘটনা আমরা দেখেছি। তথাকথিত বিরোধীদল বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের কিছু অঞ্চল হিন্দুদের দখলে চলে যাবে কিংবা হিন্দু শাসিত দেশ হয়ে যাবে। একটা সময়ের জন্য কথাটি হাস্যকর হলেও বাস্তবতা কিন্তু দেশের জনগণ এখন দেখতে পাচ্ছে। ভবিষ্যতেও দেখবে।

সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম গণতান্ত্রিক মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে হঠাৎ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এমন উথান ভাবনার বিষয়। দেখার বিষয়, এটি কি নিয়ম-তান্ত্রিকভাবে বৃদ্ধি নাকি অনুপ্রবেশের মাধ্যমে এদেশের শান্তি, সম্প্রীতি, ঐক্য বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বিদেশী কোনো চক্রান্ত।

গত পরশুদিন ভারতের একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে দেখতে পেলাম; এবং পড়ে জানলাম, সেদেশের ‘কুলি’ পদে ৪টি খালি পোষ্টের জন্য আবেদন পড়েছিলো ৪হাজার ২শত ৮৪টি। অনুমান যদি ভুল না হয় তবে, তার মধ্যে ৫জন ছিলেন এমফিল ডিগ্রীধারী। ৯জন ছিলেন পোষ্ট গ্রাজুয়েট। ১০৪ জন ছিলেন ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী। ২০৯ জন ছিলেন সাধারণ ডিগ্রীধারী! এবং বাকিরা ছিলেন ৮ম শ্রেণী থেকে এইচএসসি পর্যন্ত। অথচো ঐ পদের জন্য উল্লেখিত ক্লাসের রিকোয়ারমেন্ট ছিলো ৮ম শ্রেণী পাস।

এখন এটা খুব সহজেই অনুমেয় যে, এত এত শিক্ষিত বেকার যেদেশে একটি কুলি পদের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারেন সে দেশে কি পরিমাণ শিক্ষিত বেকার আছেন তা উক্ত নিয়োগটা দেখলেই বুঝা যায়। অথচো তারা তাদের সে সকল বেকারদের আমাদের মত কম আয়ের দেশে খুব সহজেই রাপ্তানি করে ফায়দা লুটে যাচ্ছে, আর বেকার হয়ে যাচ্ছে কম আয়ের দেশের মানুষগুলো। যাই হোক, দাদাদের মন খুশি করা তো আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের ব্যাপারও বটে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা হয়তো বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে দাদাদের উপস্থিতি টের পাচ্ছি। কম আয়ের দেশ এবং দেশের শিক্ষিত বেকার সমাজ গোল্লায় যাক! কিন্তু দাদাদের পদবীগুলো যেনো থাকে পরিপূর্ণ দুধে-ভাতে!

পৃথিবীতে কোনো দেশই, অন্য কোনো দেশের স্থায়ী বন্ধু নয় আবার স্থায়ী শত্রুও নয়। আমি এবং আমরা মনে করি, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত, চাওয়া-পাওয়ার বাইরে কিংবা দেশের গণমানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না। তারপরেও আমরা আশাহত হচ্ছি যে, এমন অনেক কাজই সরকার করে যাচ্ছে যা গণমানুষের স্বার্থ রক্ষা করছে না। তারমধ্যে একটি হচ্ছে-অল্প টাকার মাশুলে দাদাদের করিডোর দেয়া। যেখানে দেশের একটি ব্রিজ পার হতেই দেশের একটি গাড়িকে দিতে হয় কমপক্ষে ২৫০টাকা থেকে উপরে…সেখানে করিডোর দিয়ে প্রতিটন মালের জন্য আদায় করা হচ্ছে ১০৫৮টাকার যায়গায় ১৯২টাকা! এছাড়াও বাংলাদেশের বেশির ভাগ বই ছাপার কাজ এখন যাচ্ছে ভারতে। কম টাকার টেন্ডার দেখিয়ে বেশির ভাগ লটের কাজ নিয়ে যচ্ছে ভারতে অথচো যখন ভারত থেকে বই আমদানী করা হয় তখন বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হয় ভ্যাট+ট্যাক্স এবং সার্ভিস চার্জ। যোগ করলে দেখা যায় বাংলাদেশীদের টেন্ডারের উল্লেখিত টাকার পরিমাণই সর্বনিম্ন হবে। যা দেশের স্বার্থ রক্ষা করছে না। যার ফলে বাংলাদেশের পুস্তকশিল্প এখন অনেকটা ধ্বংসের মুখে পতিত। এভাবে যদি নিজের ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য দাদাদের অনুকম্পার প্রয়োজন বোধ করেন, তবে তার জন্য পুরো জাতিকেই একটা সময় থেকে খেরাসত দিতে হবে। ইতিহাস আমাদের সেরকমই শিক্ষা দেয়। তাই বিনীত অনুরোধ করবো, দেশ তথা দেশের জনগণের সাথে ধোকাবাজির খেলা না খেলে তাদের ভালো থাকা নিশ্চিত কল্পে কাজ করাই হবে কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।

দেশ স্বাধীন করার পেছনে হয়তো আমার কোনো ভুমিকা নাই কারণ তখনও আমার জম্মই হয়নি। হয়তো দেশ স্বাধীন হয়েছে কিংবা করেছি কিংবা করতে পেরেছি তেমন কোনো সার্টিফিকেটও আমার নেই, কিন্তু আমি এই দেশেই জম্মেছি বলেই দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই দেশটিকে বড্ড বেশি ভালোবাসি। তাই আমার এই ভালোবাসার প্রতিদানে, আমার মৌলিক চাহিদা পূরণ, আমার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ, আমার সম্মান, আমার অস্তিত্ব রক্ষা করা আপনারই দায়িত্ব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.