নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-আশার কথা-

২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

সরকারী দলের ক্ষোভ-
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে সরকারের প্রতিনিধি থাকায় কঠোর সমালোচনা করেছন আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর তামাকের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে ২০৭ জন সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রীকে পিটিশন দিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী এনবিআরের একটি সম্মেলনে বলেছিলেন, তামাকে স্তরভিত্তিক কর তুলে দেয়া হবে। কিন্তু দেখা গেলো সেটা না করে তিনি (অর্থমন্ত্রী) স্তরভিত্তিক কর প্রস্তাব করলেন। এতে কর ফাঁকি দেয়ার যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি করা হলো।

তিনি আরো বলেন, এই তামাকজনিত কারণে দেশে প্রতি বছর এক লাখ লোক মারা যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, স্থানীয় প্রস্ততকারকদের ক্ষেত্রে অধিক হারে কর, আর বিদেশি কোম্পানি ক্ষেত্রে ন্যুনতম কর। এই বিভাজন কেনো? যেখানে মানুষের আয় ১২শতাংশ বাড়ছে, মূল্যস্ফীতি প্রায় ৭শতাংশ; সেখানে যদি ১শতাংশ মুল্য বৃদ্ধি করি তাহলে তামাকের দাম কিন্তু বাড়ালাম না, তামাকের দাম আরো কমিয়ে দিলাম। এই ভাবে বিভিন্ন স্তরের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু কোম্পানি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার সুযোগ পায়। এর আগে এনবিআর ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট দিয়েছিলো, তারা ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে! পরে সেই কোম্পানি আদালতে গিয়ে হেরে গিয়েছিলো এবং আদালত তাদেরকে ৭০০ কোটি টাকা জমা দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে সেই টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি! কারণ ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোতে বাংলাদেশ সরকারের ১৩শতাংশ শেয়ার আছে।

যেখানে বোর্ড অব ডিরেক্টরে ৫জন সচিব পর্যায়ের পরিচালক আছেন। তারা আবার অডিট করেন, নিরীক্ষা করেন, তাহলে কী দাঁড়াল? একটি কোম্পানি, যেখানে সরকারের শেয়ার আছে, সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরা আছেন, তারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে! এটি কি লজ্জাজনক নয়? অথচো গরীব লোকের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে! অন্যদিকে সরকারের ছত্রছায়ায় কিছু অসাধু লোক হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করতে বদ্ধপরিকর!

বিরোধী দলের ক্ষোভ-
ব্যাংক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও শেয়ারবাজার ধসের মাধ্যমে অনেক সাধারণ মানুষ আত্মহত্যা করেছে, পথে বসেছে হাজার হাজার সাধারণ বিনিয়োগকারী, তার দায় স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এর উপস্থিতিতেই তাকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দল খ্যাত জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি আরো বললেন, ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের মহোৎসব হয়েছে। সোনালী, বেসিক ও জনতাসহ সব ব্যাংকে চলছে লুটপাট। তাহলে আপনার নৈতিক দায়িত্ব নেই? এত বড় দুর্নীতির পর আপনার এ পদে থাকার অধিকার নেই, আপনি পদত্যাগ করুন। সাগর চুরি বলার পর ‘ইউ ক্যান নট স্টে হিয়্যার অ্যাজ ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দ্যা কান্ট্রি’।

তিনি আরো একদাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, রাষ্ট্রায়্ত্ত ব্যাংকের এক লাখ কোটি টাকার ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় না এনে বরং ৩৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। বাজেটে দেখেছি এক লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। তাহলে এ টাকা কার কাছে গেছে? এরা কারা? এরা নিশ্চয় কোনো সাধারণ মানুষ নয়। এই টাকা দিয়ে তো দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করা যেতো। ব্যাংকিং খাতে ভর্তুকির সমালোচনা করে বাবলু বলেন, সরকারি ব্যাংকিং সেক্টরে ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন। কার টাকা দিচ্ছেন আপনি? এ টাকা তো গরিব মানুষের টাকা। আবার কি ঐসব অসাধারণ মানুষদের কে লুটপাট বাড়ানোর জন্য পথ করে দিচ্ছেন?

সাধারণ মানুষের পক্ষে শিক্ষকের ক্ষোভ-
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মোহম্মদ বলেছেন, রামপাল বিদ্যুকেন্দ্র একটি মানব বিধ্বংসী প্রকল্প। এটি আর্থিকভাবে অযৌক্তিক, পরিবেশগত ভাবে বিধ্বংসী, রাজনৈতিক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে জন্য রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা এবং সুন্দরবনকে আরো জীবন্ত করা দুই দেশের মানুষেরই দায়িত্ব।

যেখানে ভারত তার নিজের অংশে (সুন্দরবন) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেনি এবং তাদের দেশের জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেই প্রকল্প বাতিল করলো অথচো আমাদের দেশের সরকার মেজোরিটি জনগণের দাবির প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধও করছেন না।

মোদ্দাকথা হচ্ছে, সরকারী দল, বিরোধীদল এবং সাধারণ জনগণ যে যাই বলুক; নিজের ভালো যখন পাগলও বুঝে তখন ডিগ্রী খেতাবপ্রাপ্ত জ্ঞানী ব্যাক্তিদের দারা দেশের ক্ষতি হোক এটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। আমরা আশা করবো সরকার এধরনের (সর্বস্তরে) গণবিধ্বংসী সকল ইস্যু গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। এবং সকল স্তরে কিছু লোকের দারা লুটপাটের আয়োজন বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

ঢাকাবাসী বলেছেন: সবাই ভাগ পায়!

২৮ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। সত্যি খুব ভালো কথা বলেছেন। লাইকস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.