নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-সময় এখন বাংলাদেশের-

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২


ভূ-রাজনীতির জটিল সমীকরণের প্যাঁচে পড়ে বিশ্বশক্তিগুলোর দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। যে ভারত নিজেরদের দেশের দারিদ্র্যতা, অশিক্ষা আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ নিয়ে দুকছে, তারাও এখন বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে চায়। যদিও সেটা নিজেদের দারিদ্র্যতার মতোই নীচু মানের সহায়তা কিংবা ঋণ।

জাপান তো পুরোনো দিনের বন্ধু, চীনের সহায়তাও আসছে বানের জলের মতো। রাশিয়া ইতোমধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের তোড়জোর করছে। আমেরিকা, চীন এবং ভারত গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে অবদান রাখতে এক পায়ে খাড়া। যে বিশ্বব্যাংক কদিন আগে পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় করল সে বিশ্বব্যা্ংকের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং বাংলাদেশে এসেছেন, এখানকার কোন কোন খাতে সহযোগিতা করা যায় তার তালিকা করতে!


নব্য পরাশক্তি প্রতিবেশী ভারত চাইছিল, ২ ‍বিলিয়ন ঋণ দিয়ে বাংলাদেশকে তার আঁচলে বেঁধে রাখার নিশ্চয়তা। কিন্তু চীনের ২৪ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার খবর শুনে এখন তাদের আবার ভিমড়ি খাওয়ার পালা। বাংলাদেশ গেল গেল বলে রব উঠেছে তাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোতে। এতদিন তাদের বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ ভারতের পূর্ণ অনুগত্যে চলে এসেছে। কিন্তু চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রজেক্টে যুক্ত হয়ে বিশাল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে লগ্নি হওয়াতে তাদের মধ্যে যেন হাহাকার পড়ে গেছে।

সব মিলিয়ে সময় এখন বাংলাদেশের। আমাদের প্রয়োজন শুধু বিশ্বশক্তিগুলোর চাহিদাকে হাতিয়ার বানানো। একই সাথে পরাশক্তিগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে রেখে নিজেদের ষোলআনা উসুল করে নেওয়া। একই সাথে এসব শক্তির ছোবল থেকে নিরাপদ দূরত্বও বজায় রাখতে হবে সচেতনভাবেই। তাহলে প্রমাণ হবে যে, সময় এখন বাংলাদেশের।


এই তো কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশকে ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংকসহ নানা জায়গায় ছুটতে হতো। আর এখন বিশ্বব্যাংকের প্রধান বাংলাদেশের পেছনে ছুটে।

এক দশক আগেও সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, দাতা সংস্থাগুলোর কাছে গেলে ভিখারির মতো লাগে। আপনা‌দের কী ম‌নে আছে বছর চারেক আগে পদ্মা সেতুর ঋণ নিয়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে কী না নাকানি চুবানি খাওয়ালো। আজ‌কে বাংলা‌দেশ নি‌জের টাকায় পদ্মা সেতু ক‌রে আর বিশ্বব্যাংকের প্রধান ঢাকায় এসে কতো না প্রকল্পে ঋণ দি‌তে চায়! অন্য‌দি‌কে চীন, জাপান, রা‌শিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র সবাই এখন পরষ্প‌রের সা‌থে প্র‌তি‌যো‌গিতা কর‌ছে কতো বে‌শি ঘ‌নিষ্ঠ হওয়া যায় বাংলাদেশের।

এর নাম সময়। আসলেই সময় এখন বাংলাদেশের।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

রুপম হাছান বলেছেন: লেখাটি পড়ার পর আপনার কাছে ভালো কিংবা খারাপ লাগতেই পারে, তবে লেখাটির জন্য কেউ আমাকে একচোখা রাগ করবেন না। ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৮

নোমান প্রধান বলেছেন: চীন ভালো বন্ধু । ভারত কিংবা আমেরিকার মত নয়

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

রুপম হাছান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন ভাই নোমান প্রধান। সহমত।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৯

আলআমিন১২৩ বলেছেন: "Jatil Vu Rajneeti" subject ti clear korle valo hoto.Amar janamote Chinar 24 billion hoche loan.kono anudan ba grant noi. rin ta interst shoho refundable.Tar mane hoche amader golar fash ta arecto tight holo.Indian loan to aro tight fash and totally political for their own interest.

World Bank er president er tour to part of their normal visit. Uni to takar tholi nie asen nai ba kono commitment o koren nai.Er ageoto world bank president eshechen.Tar porei deshe DURVIKHO suru hoiechilo. So.....
Lekhatir anno uddesho thakle obosho vinna kotha.... Sorry for using English.

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

রুপম হাছান বলেছেন: না না। আপনি ঠিক বলেছেন। আপনার চিন্তার সাথে আমিও একমত। তবে আমার লেখার কোনো অন্য উদ্দেশ্যও ছিলো না। আমার লেখাটি ছিলো আমার অন্যান্য বন্ধুদের উদ্দেশ্যে লেখা। যারা মূলত সেই নীতির লোক, যারা ঐগুলোকে দেশের স্বার্থ বলেই মনে করে। কিছুক্ষণের জন্য আমি তাদেরকে হয়তো একটু সমর্থন দিতে সক্ষম হয়েছি তবে এটি ছিলো তাদের জন্য সত্যিকার অর্থে উপহাস তুল্য।

যাই হোক, আপনার লেখাটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান অভিব্যক্তি প্রকাশ করে আমাকে সাহস যোগানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.